এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • লং মার্চের ডায়েরি - পঞ্চম কিস্তি

    নাসরিন সিরাজ লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১৮ এপ্রিল ২০১১ | ৭৩৭ বার পঠিত
  • খাওয়া দাওয়া শেষ করে হাত ধুতে গিয়ে দেখি পানির সরবরাহ বন্ধ। একটা টিনের চৌবাচ্চায় শাবান পানি গুলিয়ে একজন পুরুষ শ্রমিক থালা বাসন ধুচ্ছিলেন আমি সেখানেই হাতটা ধুয়ে নিলাম। হাত ধুতে ধুতে দেখি, অনেক কৌতুহলী দৃষ্টির মাঝে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনকারী বাংলাদেশী আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ছবি তুলছেন। লং মার্চ কাভার করতে তিনিও ঢাকা থেকে আমাদের সাথে এসেছেন।

    হাত ধুয়ে মিশু আপা আর মোসলেমা আপার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গেলাম একটা স্কুলে। সেখানে ছোট একটি উঠানের কোনায় একটি টিউবওয়েল, আর তারপাশে টয়লেট। ২০-২২ বয়সের কিছু মেয়ে জায়গাটার সামনে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ ফ্রেশ হচ্ছেন; কেউ বা অপেক্ষমান। আবার কেউ হালকা আড্ডা আর হাসিতে মগ্ন।

    আমি যখন ফ্রেশ হয়ে বের হচ্ছি, তখন একজন মেয়ে ডাক দিল, আপু, আপনি আমাদের সাথে এসেছেন না? আপনি কোন সংগঠনের? আমি হেসে উত্তর দিলাম, আমি কোন সংগঠনের না, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে লং মার্চে এসেছি।

    ওদের দেখে মনে হল, ওরা হয়তো সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট-এর কর্মী। দলটির সাথে আলাপের কথা মনে করে আমি আশ্বস্ত হলাম এই ভেবে যে, লং মার্চের সাতদিন আমি বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতার মধ্যেই থাকবো।

    যে ছাত্র সংগঠনগুলো লং মার্চে যোগ দিয়েছে, যেমন-- ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সে সব সংগঠনের মেয়েদের সাথে ততক্ষণে আমার মুখ চেনাচেনি হয়ে গেছে। ছাত্র ইউনিয়নে ছিল একজন মেয়ে সদস্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীতে কোন মেয়ে সদস্য ছিল না, আর ছাত্র ফেডারেশনে ছিল চার-পাঁচ জন মেয়ে।

    এরপর গাছের ছায়া ভরা আরামদায়ক ছোট মাঠটি পেরিয়ে স্কুলের বাউন্ডারী থেকে বের হয়ে দেখি, বড় রাস্তায় তখন লং মার্চের যাত্রীরা ধীরে ধীরে বাসে উঠতে শুরু করেছেন। মধ্যাহ্ন ভোজের পর রওনা হয়ে আমাদের পৌঁছানোর কথা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায়। সেখানে জনসভা হবে। মাঝখানে কয়েকটি পথ সভাও হওয়ার কথা।

    বাসে উঠে দেখি, বাস প্রায় ফাঁকা। জিজ্ঞেস করে জানলাম, ছাত্র ইউনিয়নের সব ছেলেরা বাসের ছাদে চলে গেছে। টাটকা রোদ আর ভ্যাপসা গরম আমাদের সবাইকে কাবু করে ফেলেছিল। খোলা ছাদে বাতাস আর আরাম বেশী বিচার করে ছেলেরা ছাদে গেছে বলে মনে হল আমার। বাসের পেছনে খালি সিট পেয়ে খুশীমনে আমি আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে বসলাম। দেখি সীটের উপরে মালমাল রাখার জায়গায় ছাত্রদের ছোট ছোট হ্যাভারসেক ব্যাগ, প্ল্যকার্ড, ফেস্টুন আর ব্যানার বোঝাই করে রাখা।

    ছাদ থেকে ক্রমাগত "লং মার্চ! লং মার্চ!' শ্লোগানে আমি বোধহয় একটু তদ্রাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। বাসটা যখন থামলো তখন রোদ কিছুটা লালচে হয়ে এসেছে। ছাদ থেকে ছেলেরা কেউ জানালা দিয়ে, কেউ দরজা দিয়ে হুটপাট করে বাসের ভেতরে ঢুকে যার যার ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে টানা-হ্যঁ¡চড়া শুরু করে দিল। ছেলেদের হুটপাটে আমিও গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম; ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে ওদের পেছন ছুটলাম।

    আসলে বাসটা তখনো পুরোপুরি থামেনি। সামনে বোধহয় পথসভা শুরু হয়ে গেছে, সে কারনেই আমরা ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। ড্রাইভারের পাশে ইঞ্জিনের ওপর পাতলা গদি পাতা। সেখানে বসে দেখলাম, সামনের রাস্তা লং মার্চের কর্মী আর গাড়ীর মিছিলে একাকার হয়ে গিয়েছে। মূল রাস্তায় দূর পাল্লার দামী বা কম দামী-- সব রকমের বাস ত্যাড়া-ব্যঁ¡কা হয়ে অসম একাধিক সারি তৈরী করে এগুচ্ছে। তাদের পাশেই লং মার্চের কর্মীরা সুশৃংখল লাইন তৈরী করার চেষ্টা করছেন; যদিও তাদের সারির মধ্যে ঢুকে পড়েছে দু-একটা টেম্পো, মিনি বাস বা মাইক্রোবাস।

    হাইওয়ের পাশের যে জায়গাটুকু দিয়ে মানুষজন বা হালকা যানবাহন চলাচলের কথা, সেখানে ছোট বড় খানা-খন্দ। সেগুলো ক্ষয়ে যাওয়া রাস্তার লাল ইটের খোয়া আর মাটির পেস্টের মিশ্রনে তৈরী গাঢ় খয়েরী রঙের কাদায় পূর্ণ। ফলে সে জায়গা দিয়ে হাঁটার বা গাড়ী চলার উপায় নেই। কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই কর্মীরা কেউ হাঁটছেন, আবার কেউ বা দৌড়াচ্ছেন। এর মধ্যে আবার সবুজ রঙের অটোরিক্সাগুলোও ঘোঁত ঘোঁত করে এগুচ্ছে।

    বাস থেকে নেমে আমি একবার হেঁটে এগুনোর চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ হাঁটার পর যখন খেয়াল করলাম আমি আর বাস একই গতিতে পাশাপাশি এগুচ্ছি, তখন আবার বাসেই উঠে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাসের ড্রাইভার-হেলপার তাতে সাধুবাদ জানালো। তাদের নজর খানা-খন্দ পার হয়ে যাওয়া পিছিয়ে পড়া কর্মীদের দিকে। একজন প্রৌঢ় কর্মী লাঠি ঠুকে এগুচ্ছিলেন। তাকে দেখে ড্রাইভার খানিকটা কৌতুক ও প্রশ্রয়ের হাসি মিশিয়ে মন্তব্য করেন, এই সব বুড়ো হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না, এরা করবে লং মার্চ!

    আমি অবশ্য বুড়োদের ডিটারমিনেশন নিয়ে তেমন অবাক হই না। সম্প্রতি রাস্তা পার হতে গিয়ে আমার বাবা অটোরিক্সার ধাক্কায় কোমরের হাড় ভেঙে এখন লাঠি ঠুকে হাঁটেন। সেই অবস্থাতেই তিনি ঠিকই দেড় মাসের জন্য হজ্জ্ব করতে মক্কায় চলে গেছেন। অতএব, এই বুড়োরাও যে লং মার্চ করতে পারবেন, সেটা নিয়ে আমার মনে কোন সন্দেহের নেই।

    বাস যখন আর এগুতে পারছে না, তখন বাস থেকে নামলাম আমি। আমার আশেপাশে দ্রুত পায়ে হাঁটছেন লং মার্চের কর্মীরা। তাদের পরনের গেঞ্জি ও মাথার লাল টুপির কারণে খুব সহজেই তাদের চিহ্নিত করতে পারছিলাম আমি। তা না হলে এই সন্ধ্যার মুখে হাজার হাজার পুরুষের মাঝখানে একা মেয়ে হিসেবে হাঁটতে আমার কিছুতেই ভাল লাগতো না; হয়তো বিরক্তিকর অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হতে হত। সামনে জটলা থেকে ভেসে আসা বক্তৃতার শব্দে বুঝলাম সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে। আমাকে পাশ কাটিয়ে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কে যেন বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করলেন, সমাবেশ কী শুরু হয়ে গেছে? সব নেতৃবৃন্দ না পৌঁছাতেই কে সমাবেশ শুরু করলো?

    সমাবেশস্থলে পৌঁছে প্রথমেই আমার নজরে পড়ল পথসভায় যোগদানকারীদের পায়ের কাছে পড়ে থাকা হলুদ রঙের গাঁদা ফুলের পাপড়ির ওপর। বুঝলাম জাতীয় কমিটির স্থানীয় কর্মীরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে লং মার্চের যাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন। খেয়াল করে দেখি শাড়ী পরা, পরিপাটি করে চুল বাঁধা, আর কপালে মেরুন রঙের টিপ পরা একজন তরুণী তখনও একটি ডালা থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটাচ্ছেন। ফুল দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার রেওয়াজটি এর আগে আমি বিয়ে আর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে দেখেছি। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ এটিই আমার প্রথম। তাই এক্ষেত্রেও রেওয়াজটি সাধারণ কি না তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ দেখা দিল। তবে স্কুলে থাকতে টেলিভিশনে দেখতাম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সামরিক শাসক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হত। সে এতো মালা পেত যে তাতে তার মুখ ঢাকা পড়ে যেত।

    "উন্মুক্ত না, রপ্তানী না, বিদেশী না!' এই শ্লোগান লেখা একটি ব্যানার নিয়ে নেতৃবৃন্দ পথসভায় দাঁড়িয়েছেন। যথারীতি জুনিয়ররা দাঁড়িয়েছে ব্যানারের ধারের দিকে, কেন্দ্রীয় ও সিনিয়ররা ব্যানারের মাঝের দিকে। থিয়েটারের স্টাইলে তাদের সামনে একটু ফাঁকা জায়গা রেখে অন্যান্য কর্মীরা দাঁড়িয়েছেন। তাদের কারো হাতে ফেস্টুন, কারো হাতে ব্যানার। এরই মধ্যে উৎসুক জনতাও ভিড়েছেন। পরে জানলাম জায়গাটির নাম বোর্ডবাজার।

    সংক্ষিপ্ত পথসমাবেশ শেষ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাঁটা শুরু হল জনসভাস্থলে। রাজপথ ততক্ষণে যানবাহন শূন্য; কিন্তু লং-মার্চকারীদের দখলে। গাজীপুর চৌরাস্তার মোড়ে দেখি কমিউনিস্ট পার্টির তরুণ নেতা মাসুদ পথপ্রদর্শনকারী পিকআপের ওপর দাঁড়িয়ে মিছিলকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। তার চোখের ঔজ্বল্যে ও মুখের হাসিতে মনে হচ্ছিল, সে বুঝি অক্টোবর বিপ্লবের মিছিলের পথ প্রদর্শক! তার দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখি আসলেই ঢাকা গাজীপুরের রাস্তা লাল পতাকায় ছেয়ে গেছে, সে দৃশ্য বাংলাদেশের যে কোন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মীর জন্যই আশাব্যঞ্জক।

    যে গোল চক্করটি সবসময় যানজটে পূর্ণ থাকে আজকে সেটা পুরোপুরি ফাঁকা। মাসুদের পিক-আপের কাছে একজন পুলিশ অফিসারকে কিছুক্ষণের জন্য দেখার সুযোগ হল। তার এক হাতে ওয়াকিটকি, সেটি তিনি কানের কাছে ধরে রেখেছেন। অন্য হাতটি মিছিলকারীদের দ্রুত হাঁটার জন্য ইশারা করে একতালে ঘুরছে। কিছুক্ষণ এরকম 'ট্রাফিক সিগন্যাল' দেওয়ার পর তিনি ওয়াকিটকিতে কথা বলতে বলতে দুই চক্কর হাঁটলেন। তাঁর মুখে মারাত্মক রকম বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে। কালো চামড়া ঘামে ভিজে যাওয়ায় তাকে আরো কালো দেখায়। কিন্তু তারপরও ছিপছিপে গড়নের পুলিশটির হাবেভাবে আমার মনে হয়, মিছিলকে হটানোর কোন নির্দেশ তাদের উপর নেই। মোড়ে পুলিশের একটি জীপও নজরে পড়ল। জনাদশেক পুলিশ জীপটিকে ঘিরে অলসভাবে দাঁড়ানো, কয়েকজন আবার জীপের ভেতরেই বসে আছেন।

    সভাস্থলটি হাইওয়ের পাশে। একটি বহুতল ভবনের সামনে ছোট একটু খোলা জায়গায় স্টেজ বানানো হয়েছে। স্টেজের সামনে কয়েকশ প্লাস্টিকের চেয়ার সারি করে পাতা। আমি যখন সভাস্থলে পে?ঁছলাম, তখন স্টেজে চারণ শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা ঢাকার মুক্তাঙ্গনে গাওয়া গানটি আবারও গাইছেন, মিছিলকারীরা চেয়ারে বসতে শুরু করেছেন। সম্ভবত: গানটি লং মার্চ উপলক্ষ্যেই তৈরী করা হয়েছে। স্টেজের সামনে কেন্দ্রীয় আর স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছিলাম। কেউ কেউ প্রথম সারির মাঝামাঝি জায়গার চেয়ারগুলোতে বসেছেন, পাশের লোকের সাথে হালকা আলাপ করছেন, কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন বা মনোযোগ দিয়ে গান শুনছেন, কেউ আবার অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দ্রুত আনাগোনা করছেন। আমি সভার সামনের দিকে এগুলাম।

    এর মধ্যেই শুনতে পেলাম, কারা যেন আলোচনা করছেন যে, চারণ শিল্পীগোষ্ঠী তাদের নাম সম্বলিত ব্যানারটি স্টেজে টাঙিয়ে নাকি "নিয়ম' ভঙ্গ করেছে। কেননা, নিয়ম অনুযায়ী শুধু জাতীয় কমিটির ব্যনারই স্টেজে প্রদর্শিত হওয়ার কথা, কোন দলীয় ব্যানার নয়। তাদের পেরিয়ে আমি সামনের দিকের দ্বিতীয় সারির একদম কোনার দিকের তৃতীয় চেয়ারটি বাছাই করে রাস্তার দিকে মুখ করে বসলাম। সেখান থেকে পুরো সমাবেশস্থলের সকলের আনাগোনার ওপর নজর বোলানো যাচ্ছিল।

    রোদের রং তখন কড়া লালচে। সমাবেশে লোকজন বেশীরভাগই খেটে খাওয়া মাঝ বয়সী মানুষ। তাদের রোদে পোড়া তামাটে চোয়াল আর চিবুকে সেই লালচে আলো প্রতিফলিত হচ্ছে। মেদহীন এই মানুষগুলো পিঠ সোজা করে বসে মনোযোগ দিয়ে স্টেজের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন। কেউ একা বা সঙ্গীসহ চা, পান, তামাক খাবার জন্য আসন ছেড়ে গেলে পাশের জনকে আসনটি রেখে দেওয়ার কথা বলে যাচ্ছেন। আন্দাজ করলাম, সমাবেশস্থল ফাঁকা করে একসাথে সবার বাইরে যাওয়া যাবে না -- তারা এরকম একটা ডিসিপ্লিন রক্ষা করছেন সচেতনভাবে। সমাবেশের কাজে ছুটোছুটি করছেন অপেক্ষাকৃত তরুণরা। তারা ছাত্র সংগঠনের ছেলে। মনে হয়, তারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার পেছনে মার্কেটের দুই ধাপ সিঁড়ি। সেখানে মার্কেটের কর্মচারী, মালিক বা ক্রেতারা (শুধুমাত্র পুরুষেরা) "তামাশা' দেখার জন্য ভীড় করে দাঁড়িয়েছেন। ভীড় জমতে শুরু করেছে রাস্তার দিকেও।

    (চলবে)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ১৮ এপ্রিল ২০১১ | ৭৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন