এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • চারুচন্দ্রবাবুর ডায়েরির অংশবিশেষ

    Anindya Rakshit লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩০ বার পঠিত
  • কালীনারায়ণপুর, ২৬শে মার্চ, ২০৯৮ খ্রিঃ

    গত ২৩শে মার্চ আমরা আমাদের পায়রাডাঙার ভাড়া করা ফ্ল্যাটটি ছাড়িয়া কালীনারায়ণপুরের এই ফ্ল্যাটটিতে পাকাপাকি ভাবে চলিয়া আসিলাম। আমরা বলিতে, আমি, আমার স্ত্রী বিধুমুখী এবং আমাদের পুরানো ও বিশ্বস্ত রোবট উমাপ্রসাদ। কর্মের সুবাদে এতদিন পায়রাডাঙ্গা জেলায় থাকিতে হইয়াছিল কিন্তু সেখানে একটি ফ্ল্যাট কেনা আমার সাধ্যের বাহিরে ছিল তাই বদলী হইয়া আসিবার পর, কালীনারায়ণপুর জেলায় অপেক্ষাকৃত সস্তায় এই ফ্ল্যাটটি কিনিলাম। সাড়ে পাঁচ শ বর্গফুটের, সাধারণ মানের এই ফ্ল্যাটটি, ‘কালীনারায়ণপুর মা চন্ডী মেগাটাউন‘-এর ‘শ্যামা ভবন’ নামক উনসত্তর তলার এই বাড়িটির চুয়াল্লিশ তলায় অবস্থিত। এই ফ্ল্যাটটি কিনিতে আমার সর্বমোট ছাব্বিশ কোটি চুরাশি লক্ষ টাকা খরচ হইল। আমার মতন একজন, মাসিক মাত্র বাইশ লক্ষ টাকা বেতনভোগী চাকুরিজীবীর পক্ষে অবশ্য এর চেয়ে বড় এবং দামী ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব ছিল না। এই মূল্যের ষাট ভাগ নগদে দিতে হইল। আমার সঞ্চয়ের বেশ খানিকটা শেষ হইয়া গেল। বাকিটা মাহিনা হইতে মাসে মাসে কাটিবে। জানি, এরপর সংসার চালাইতে বেশ কষ্ট হইবে। তবু, মাথা গুঁজিবার জন্য় একখানি স্থায়ী আশ্রয় তো হইল।

    শুনিয়াছি, বহু বৎসর পূর্বে এখানে নাকি একটি ছোট নদী ও বিস্তীর্ণ জঙ্গল ছিল। বর্তমানে এখানে একটি মেগাটাউন বানানো হইয়াছে। চতুর্দিকে সবুজের সমারোহ। রাস্তাগুলির দুই পাশে সারি সারি গাছ দেখিলে চোখ জুড়াইয়া যায়। এই সকল গাছ নাকি বিটুমেন, পলিইথিলিন, এবং আরও কী কী সব মিশ্রিত করিয়া বানানো হইয়াছে। এই জনপদের অসংখ্য বহুতল হর্ম্যের বাসিন্দারা মাঝে মধ্যে গাছের তলায় বেড়াইতে আসে, মুখে মাস্ক আর পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাঁধিয়া। এখানে অবশ্য ঘরের ভিতরে থাকিলেও মাস্ক এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করিতে হয়। এমনকি আমার ভৃত্য উমাপ্রসাদকেও করিতে হয়। তা না হইলে ও ম্যালফাংকশন করিতে থাকে। একদিন তো অক্সিজেনের অভাবে বিগড়াইয়া গিয়া আমাকে তাড়া করিয়াছিল। পরে, বিধুমূখী উহাকে অক্সিজেন দিয়া আমাকে বাঁচায়।

    বর্তমানে, দক্ষিণে কল্যাণী জেলা হইতে উত্তরে কালীনারায়ণপুর জেলা পর্যন্ত রাণাঘাট রাজ্যের সীমানা। ইহার উত্তরে, বেথুয়াডহরি জেলা পর্যন্ত কৃষ্ণনগর রাজ্যের সীমানা, এবং তাহার উত্তরে বহরমপুর, জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ ইত্যাদি রাজ্যগুলি অবস্থিত। কল্যাণীর দক্ষিণে হাজিনগর রাজ্যের শুরু যাহা নৈহাটি, বীজপুর ইত্যাদি জেলাগুলি লইয়া দক্ষিণে বারাকপুর জেলা পর্যন্ত প্রসারিত। এবং তাহার দক্ষিণে যথাক্রমে দমদম, উত্তর কলিকাতা ইত্যাদি রাজ্যগুলির অবস্থান। এইগুলির মধ্যে রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর, উত্তর কলিকাতা, দমদম ইত্যাদি পুরোহিত-শাসিত রাজ্য। মুর্শিদাবাদ, জঙ্গীপুর, সুজাপুর ইত্যাদি মৌলবি-শাসিত রাজ্য। কলিকাতা দক্ষিণ, গড়িয়া, সল্টলেক, নিউটাউন ইত্যাদি পাদ্রি-শাসিত রাজ্য। এইরূপ আরো নানা ধর্মের ধর্মীয় প্রধানদের দ্বারা শাসিত এবং বিরাশিটি ওঝা ও তান্ত্রিক-শাসিত ছোট ছোট রাজ্য মিলাইয়া, মোট তিন শ সাতান্নটি রাজ্য লইয়া আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ নামক রাষ্ট্রটি গঠিত যাহা ভারত নামক মহাদেশের অন্তর্গত, এবং এই মহাদেশটি এশিয়া নামক উপবিশ্বে অবস্থিত I আমাদের রাষ্ট্রের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে যথাক্রমে ঝাড়খন্ড, দক্ষিণ বিহার, উত্তর বিহার, দক্ষিণ কাশী ইত্যাদি বহু রাষ্ট্র আছে। এইগুলি সবই সম্পূর্ণ হিন্দু-শাসিত রাষ্ট্র। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বদিকেও প্রচুর রাষ্ট্রের অবস্থান I ইহাদের মধ্যে উত্তর বিহার, পূর্ব রাজস্থান, হায়দ্রাবাদ, গাজিয়াবাদ,পুনে, চন্ডিগড় প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্র।

    ভূগোল বইয়ের এই বিবরণ বর্তমান প্রজন্মের নিকট অনর্থক বলিয়া মনে হইবে, কিন্তু ইহা আমি আমার পূর্বপুরুষদের জন্য় লিখিয়া রাখিতেছি। আরো কিছু বিবরণ লেখা হইলে এই ডায়েরিখানি ‘রেট্রো ক্যুরিয়র’-এর মাধ্যমে আমার পূর্বপুরুষদের নিকটে পাঠাইয়া দিব। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে মহালয়ার দিনে যেরূপ তিল তর্পণ করিয়া থাকি, এই 'ডায়েরি প্রেরণ’ বিষয়টিও অনেকটা সেইরকমই সরল। তবে, সেই সব মন্ত্রঃপূত, নিবেদিত তিল সঠিক স্থানে পৌঁছায় কি না সে সম্পর্কে আমার মনে সন্দেহ প্রবল, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে এই ডায়েরিটি রেট্রো ক্যুরিয়রের ‘টাইম-ফ্রেইট সিস্টেম’-এর মাধ্যমে আমার কোনো না কোনো পূর্বপুরুষের হাতে গিয়া পড়িবেই পড়িবে। ইতোমধ্যে, বিস্তর তথ্য় ঘাঁটিয়া আমি, অদ্রিজ কাঞ্জিলাল নামক আমার এক পূর্বপুরুষের সম্পর্কে কিছু তথ্য় পাইয়াছি I প্রায় চুরাশি বছর অতীতে উনি বসবাস করিতেছেন, বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, উত্তর কলিকাতা রাজ্যের কুমারটুলি জেলার একটি অংশে। এই ডায়েরিখানি লেখা শেষ হইলে ওনার উদ্দেশ্যেই পাঠাইব ঠিক করিয়াছি। ইতোমধ্যে উনি গত হইলেও ওনার সন্ততিদের কেহ নিশ্চয় ইহা হাতে পাইবে।

    কালীনারায়ণপুর, ২৮শে মার্চ, ২০৯৮ খ্রিঃ

    শুধুমাত্র আমাদের এই রাণাঘাট রাজ্যটিই নয়, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র এবং এই ভারত মহাদেশের কোথাও নির্বাচন ব্যবস্থা বলিয়া কিছু নাই। শাক্ত পুরোহিত সম্প্রদায় দ্বারা শাসিত আমাদের এই রাজ্যে প্রধান পুরোহিতই হইলেন রাজ্যের প্রধান শাসক। অতীত দিনে, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভাগুলির যে ভূমিকা ছিল, বর্তমানে প্রধান পুরোহিত ও তাঁহার সাঙ্গপাঙ্গগণ সে ভূমিকা পালন করিয়া থাকেন তবে পুরো শাসনব্যবস্থাটাই পরিচালিত হয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও নিয়মকানুনের উপরে ভিত্তি করিয়া। ইতিহাসে পড়িয়াছি, অতীতে নাকি ‘রাজনৈতিক নেতা’ নামক একদল ব্যক্তি ছিলেন যাহারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হইয়া রাজ্য বা সরকার পরিচালনা করিতেন, কিন্তু এখন সেইরূপ কিছু হয় না। বর্তমানে, কোনো ব্যক্তি নেতা হইতে চাহিলে বা রাষ্ট্র পরিচালনা করিতে চাহিলে তাহাকে আগে একজন ধর্মীয় নেতা হইতে হয়। কালক্রমে ‘প্রধান পুরোহিত’ পদে উন্নীত হইতে পারিলে তবেই রাজ্যের শাসনভার হাতে পাওয়া যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান পুরোহিত পাঁচ বছর শাসন করিবার পর যাহাকে মনোনীত করিয়া যান, তিনিই পরবর্তী প্রধান পুরোহিত বা রজ্যের প্রধান শাসক হন। শুনিয়াছি, মৌলবি ও পাদ্রি-শাসিত রাজ্য ও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিতেও নাকি এই একই নিয়ম প্রচলিত। এই বিষয়ে জনসাধারণের কোনরূপ ভূমিকাই নাই। বরং, প্রতিটি রাজ্যবাসী যথার্থ নিষ্ঠা সহকারে ধর্মীয় আচার বিধি নিয়মিত পালন করিতেছে কি না, তাহারা খাদ্যাখাদ্য বিষয়ে বিধিবদ্ধ আইন পালন করিতেছে কি না, সেই সকল বিষয়ে শাসকগণ সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখেন। এই সকল বিষয়ে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি ঘটিলে নাগরিকদের জন্য কঠোর শাস্তি, এমনকি, প্রাণদণ্ডেরও ব্যবস্থা আছে।

    ইহা ছাড়াও, কঠোর নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে ভাষার ব্যবহার বিষয়ে। আমি গোপনে, নিজের মাতৃভাষায় এই ডায়েরি লিখিতেছি বটে, কিন্তু এই ভারত মহাদেশে হিন্দি ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষার ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অন্যান্য উপবিশ্বগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে কিঞ্চিৎ শিথিলতা দেওয়া হয়, কিন্তু এই মহাদেশে কেউ হিন্দি ছাড়া অপর কোনো ভাষা ব্যবহার করিতে পারে না। এই বিষয়েও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। কেহ এই আইন অমান্য করিলে শাস্তিস্বরূপ, সেই দেশের প্রধান পুরোহিতের পুরীষ, তাহাকে এবং তাহার পরিবারের সকল সদস্যকে খাওয়াইয়া এবং মুখে মাখাইয়া দেওয়া হয়।

    অন্যান্য় রাজ্যগুলির ন্যায় এই রাণাঘাট রাজ্যেও বিধর্মীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নানা কঠোর বিধি নিষেধ রহিয়াছে। এমনকি, শাক্তগণ দ্বারা শাসিত বলিয়া, হিন্দু ধর্মের অন্যান্য় সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদেরও এই রাজ্যে প্রবেশ করিতে গেলে নানাবিধ শর্ত পালন করিতে হয় এবং বিশেষ এক প্রকার কর দিতে হয়। যেমন, কোনো বৈষ্ণব যদি পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর রাজ্য হইতে এই রাজ্যে আসিয়া কিছুদিন থাকিতে চান তবে তাহাকে এই রাজ্যের প্রধান পুরোহিতের অনুমতি অবশ্যই লইতে হইবে এবং প্রধান পুরোহিত দ্বারা নির্ধারিত কর দিতে হইবে, এবং যতদিন তিনি এই রাজ্যে বাস করিবেন, ততদিন তিনি কালী, দূর্গা, চন্ডী, ইত্যাদি ভিন্ন অপর কোনো দেব দেবীর নামও লইতে পারিবেন না। ইহাদের পূজা করা তো দূরস্থান। এছাড়াও, তাঁহাকে প্রত্যহ, দিনে অন্তত দুইবার কালী মন্দির দর্শন এবং সেইখানে পূজা দান করিতেই হইবে। এই বিধি ভঙ্গ করিলে কঠোর শাস্তি, এমনকি, প্রাণদন্ডও হইতে পারে। ঠিক এইরূপেই, শৈব, বৈষ্ণব, রামায়েত, গাণপত্য, বজরঙ্গী ইত্যাদি সম্প্রদায়ভুক্তদের দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলিতেও ঐ একই নিয়ম কঠোররূপে পালিত হয়। হিন্দু ব্যতীত অন্যান্য় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলিতেও একই নিয়ম চলে। কোনো কোনো রাজ্যে আবার বিধর্মীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    যদিও বলা বাহুল্য, তবু জানাইয়া রাখি, বর্তমানে, কোনো নাস্তিক ব্যক্তি এই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রে তো দূরস্থান, সমগ্র ভারত মহাদেশে একটিও খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। এখানে নাস্তিকদের, হয় দারুণ যন্ত্রণাদায়ক প্রাণদন্ড দেওয়া হয়, নতুবা তাহাদের ভারত মহাদেশ হইতে বিতাড়িত করা হয়। আমাদের একমাত্র সন্তান নির্মল নাস্তিক ছিল। আমরা পায়রাডাঙ্গায় থাকাকালীন, সে সেইখানকার কিছু বালক-বালিকাদের নিজের ঘরে বসাইয়া গোপনে, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ শেখাইত। এই সংবাদ প্রকাশিত হইলে, সেই অঞ্চলের প্রধান পুরোহিতের নির্দেশে পৌরহিত সেনারা আসিয়া আমাদের সকলকে বাঁধিয়া নিয়া গিয়াছিল। তাহার পর, দণ্ডভূমিতে আনিয়া আমাদের সকলকে, প্রকাশ্যে, পঞ্চাশ ঘা করিয়া বেত্রাঘাত করা হইয়াছিল। ইহার পর, নির্মলের হাত ও পায়ের সকল অঙ্গুলি একটি একটি করিয়া কাটিয়া নেওয়া হইয়াছিল। প্রতিটি অঙ্গুলি কাটিবার পর দশ মিনিট করিয়া তাহাকে যন্ত্রণা উপভোগ করিবার সুযোগ দেওয়া হইতেছিল। আমাকে আর বিধুমূখীকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে বসাইয়া রাখা হইয়াছিল, এবং ঐ অত্যাচার দেখিতে বাধ্য করা হইতেছিল। অবশেষে, নির্মলের জিভ কাটিয়া, তাহাকে একটি খুঁটির সহিত বাঁধিয়া জীবন্ত দগ্ধ করা হইয়াছিল। পুত্রের সেই যন্ত্রণাকাতর আর্তি আমি আজও স্পষ্ট শুনিতে পাই।

    সন্ধ্যা হইল। উমাপ্রসাদ স্থানীয় কালীমন্দিরের শীতলের প্রসাদ ও চরণামৃত লইয়া আসিয়াছে। উহা ভক্তিভরে গ্রহণ করাও এই রাজ্যের আবশ্যিক নিয়ম। শুনিয়াছি, আমার পূর্বপুরুষগণ সন্ধ্যায় চা পান করিতেন। কেহ বা মদ্যপানও করিতেন। এখন ঐ দুটিই নিষিদ্ধ পানীয়। যাহা হউক, আপাততঃ লেখা থামাইলাম। পরে এই বিষয়ে আরো কিছু তথ্য় লিখিয়া রাখিব।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nepal | 103.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৫736893
  • কনসেপ্টটা তো  ভালোই , তবে "প্রতিটি অঙ্গুলি কাটিবার পর দশ মিনিট করিয়া তাহাকে যন্ত্রণা উপভোগ করিবার সুযোগ দেওয়া হইতেছিল। আমাকে আর বিধুমূখীকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে বসাইয়া রাখা হইয়াছিল, এবং ঐ অত্যাচার দেখিতে বাধ্য করা হইতেছিল" একটু বেশি স্যাডিস্টিক মনে হল | আর ইয়ে, সাধুভাষাটা আরো শ্রুতিমধুর বঙ্কিমী সাধু হতে পারত (তবু ->তথাপি , ঠিক -> যথার্থ, যদিও-> যদ্যপি, মনে হইবে-> প্রতিভাত হইবে ..ইত্যাদি   ) , আবার হাল আমলের সাবলীল চলিত হলেও মন্দ হত না |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন