এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এক নগ্ন দেবতার সান্নিধ্যে

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৮৪০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পুরুলিয়ায় জঙ্গলে ঢাকা এক গ্রাম। 'ভৈরব মন্দিরের' জন্য বিখ্যাত। কাছে গিয়ে দেখি সারল্যমাখা অলংকরণবর্জিত পাথরের জৈনমন্দির। মন্দিরের ভেতর নয়,বাইরে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে দাঁড়িয়ে কালো কষ্টি পাথরের এক নগ্ন ছ' ফুটিয়া পুরুষ। সিঁদুর মাখালেও উনি ভৈরব নন, তীর্থংকর মহাবীর। জৈন ধর্ম প্রচারে এসেছিলেন পাথুরে মাটির দেশে। জনশ্রুতি, ব্রাহ্মণরা কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিল।

    কি যে সুষমাময় আর সুগঠিত সেই পুরুষমূর্তি! দীর্ঘ দুই পদগত অজানা লতাপাতা। সাধনকালে একভাবে দণ্ডায়মান থাকায় উদ্ভিদেরও বিভ্রম হয়েছে। স্থির অবলম্বন ভেবে আঁকড়ে ধরেছে, উঠে গেছে জানুর উর্ধ্বে। তীর্থংকরের মুখের ভাবে শুধুই প্রশান্তি। সাধনায় লীন হয়ে গেছেন প্রকৃতির সঙ্গে। হাতের মুদ্রায় শান্তি, সহাবস্থান, সর্বজীবে করুণা।

    সূর্যঢলা সোনালি আলোয় নির্জন মন্দির চত্বরে বসে আমার মাথায় বিদ্দ্যুচ্চকিতে ভেসে আসেন মণীন্দ্র গুপ্ত ! কবি তো বটেই, এক ব্যতিক্রমী গদ্যকারও। যাঁর সবটুকু মমতা ও ভালোবাসা 'চতুর্থ পৃথিবীর আদিম অধিবাসী ও বিলীয়মান জীবজন্তুদের উপর। তাঁর বিশ্বাস, জলস্রোত, গাছ ও প্রাণীকুলের একজন হয়ে থাকাতেই মানুষের শ্রেয়।' ভাবি সেই আশ্চর্য ছবিগুলির কথা যা মণীন্দ্র এঁকেছেন আত্মস্মৃতি অক্ষয় মালবেরিতে। ঘরের পেছনের ছোট্ট ডোবার সামনে একা এক বালক। বর্ষার শেষে গাছের পাতা তখন সবুজ মরকতের মতো চিক্কণ দ্যুতিময়। তন্ময় হয়ে সে দেখছে একটা ঝুঁকে পড়া গাছের অদ্ভুত আঁকাবাঁকা ডালের খানিকটা ডুবে আছে টলটলে জলে, মেঘের ছায়ার ঠিক মধ্যখানে। এমন সময় 'ঝোপের ভেতর থেকে একটা কালো মসৃণ গাছের ডাল খুব ধীরে এগোতে এগোতে জলে ডোবা ডালটার অন্য প্রান্ত ধরে ফেলল। সেখানে সে কয়েক মুহূর্ত নিশ্চল হয়ে রইল, তারপর নিজেকে অদ্ভুতভাবে বাঁকিয়ে ডালটাকে একটা প্যাঁচ দিয়ে বাকি শরীরটা আস্তে আস্তে ঝুলিয়ে দিল জলের দিকে, চেরা জিভ দিয়ে যেন জলের গা কয়েকবার চেটে নিল সে, আবার নিজেকে ঢেউয়ের মতো তুলে নিল সেই ডালের উপর, প্যাঁচটা খুলল, ধীরেধীরে আবার বাদামী ডালের ওপর একটা কুচকুচে কালো ডাল হয়ে মন্থরভাবে এগুতে লাগল। ততক্ষণে বুঝে গেছি, একটা বুনো জাতসাপের চারহাত দূরে আমি দাঁড়িয়ে আছি, নিথর। কিন্ত আশ্চর্য, ভয়ের চেয়ে তার সাবলীল শরীর এবং অলস গতির অদ্ভুত সুন্দর রূপ আমাকে যেন জাদু করে রেখেছে।'

    নিজের নগ্ন পা বেয়ে অজানা লতার বাড়বাড়ন্ত না হলে এমন লেখা যায় ?

    কিম্বা মনে করি সেই ম্যালেরিয়া ভোগা যুবকের রাতের কুটিরটিকে। সেখানে কোন ছোট জিনিসই তার নজরের বাইরে নয় - চিনির ক্রিস্টাল, মাছির চোখ, পিঁপড়ে... বাষ্পহীন গভীর রাতে জ্যোৎস্নায় চিনির দানাগুলিকে উড়িয়ে দিলে তারা পরীর মতো ওড়ে। হাতের পাতা দিয়ে পশ্চিমের রোদ আড়াল করলে দেখা যায় ' আমার লম্বা লম্বা আঙুলের ফাঁকে রোদের সঙ্গে মিশে থাকা সূর্যের আত্মহত্যার রক্ত টকটকে লাল। আঙুল ছড়িয়ে দিলে কিছু নেই।... আমার নিজের জিনিস বলতে এই হাত পা মাথা আর একখাবলা চুলের বাইরে আর কিছু নেই। কত দূরের, যেন অন্য আকাশের চাঁদ তারা সূর্যের রশ্মিকে আমার বিশ আঙুলের ডগা আর দশ হাজার চুলের চুম্বক ছুঁচ দাঁড়িয়ে উঠে সসম্ভ্রমে স্পর্শ করে। এ সবই পরীক্ষিত সত্য। '

    প্রকৃতিতে ডুবে যাওয়া, যাকে বলে অবগাহন, কিন্তু সারল্য অনেকসময় কচুরিপানার মতোই ভাসমান। শরীরী জটিলতাকে অন্তর্গত করে দেয় নিরীহ সাঁতার বা ধর্মকাহিনীতেই করায়ত্ত প্রথম তথাকথিত অধর্ম-অভিজ্ঞতা। মিউনিসিপালিটির নির্জন পুকুরে চিতসাঁতার কালে তার দিকে ভেসে আসে রামায়ণের উত্তরাকান্ডের স্ত্রীত্ব প্রাপ্ত রাজা ইল। মেয়ে অবস্থায় যিনি বুধের পিতৃত্বে পুরুরবার জন্ম দেন। মেয়েলি কিশোর এবং যুবতী নারীর সেই সৌন্দর্য বিষমেশানো মেঠাইয়ের মত যা খেয়ে শিশু ভীম অতলে তলিয়ে গেছিল। ইলকে দেখে সেই অবশ তলিয়ে যেতে যেতেও শুরু হয়ে গেল কিশোরের এক অবর্ণনীয় কেলি। প্রচন্ড উত্তেজনায় ঘুম ভেঙে গেলে মরণং বিন্দুপাতেন।

    বিস্মিত হই মণীন্দ্রের গদ্যসংগ্রহ ১ এর উৎসর্গলিপি দেখে। সেখানে প্রথমে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তারপর রাজশেখর বসু আর মাসানোবু ফুকুওকা। শেষোক্ত জনের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চয়ই ওয়ান স্ট্র রেভোলিউশন খ্যাত সেই মতামতের জন্য যে চাষবাসের একটি অতি গূঢ় উদ্দেশ্য আছে। শুধু তো শস্য ফলানো নয়, মানুষকে সে আর একটু বেশি 'মানুষ' হবার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। সাহিত্যও, মণীন্দ্রমতে তাইই । মানুষকে সে নিজের সীমাবদ্ধতা দেখায়, আরো এগোতে বলে। জন্মগত সংস্কার ও সম্মোহ অপসৃত করে। এইবার উদাহরণ দিতে গেলে দিতে হবে মণীন্দ্র গুপ্তের একটি আস্ত কবিতা, গদ্য আর পদ্যের শরীরী মিলনে ভূমিষ্ঠ একটি অতুলনীয় কবিতাখন্ড :

    "তার মৃতদেহের সংস্কার করতে গিয়ে আমার মন দুই বিপরীত পথে চলে। সুগন্ধি জলে তার লম্বা কালো চুল, বাদামী রঙ শরীর তিনবার ধোয়া হল। প্রিয় লাইলাক রঙের সিল্ক পরানো হল। যেন সে এখনো বেঁচে, তাই এত পরিচ্ছন্নতা সাজগোজ। মরা শরীর ভাবলে কি তাকে এমন সাজাতে পারতাম। সে মৃত বলেই এই যত্ন। তার জ্যান্ত শরীর ছুঁতে গিয়ে কোনদিন কি আমার হাত এতো বিধুর হয়েছে ! হাতের মধ্য দিয়ে সমুদ্র এসে যেন তাকে ঢেউ দিল ! এই তো তার শরীর --- যেন সে চলে গেছে, যেন সে আছে।

    সৎকার অনুষ্ঠানে তার চুল আঁচড়ানো হল, বাঁধা হল না। হালকা কোমরে, পোশাকের ওপর, স্যাস পেঁচিয়ে দেওয়া হল, বাঁধা হল না। সঙ্গে যে বীণাটি দেওয়া হল তাতে তার পরানো হল, সুর বাঁধা হল না। গালার কাজ করা শখের কটি কৌটো, বাটি, পেয়ালা ফাঁকা করে দেওয়া হল।কোনো রকমে সে বসতে পারে এমন একটি সুন্দর পালকিও রইল কাহারহীন অবস্থায়। এ সবই যেন প্রতীক --তারই মতো, যার রূপ পড়ে আছে স্পন্দনহীন।

    সালংকারা তাকে এইভাবে কবরে নামিয়ে দেবার সময় আকাশ আর পাতাল, দুই বিপরীত স্রোত এসে, আমার হাত থেকে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। "

    মণীন্দ্র গুপ্তের স্বচ্ছন্দ, অন্য গদ্যে ধরা পড়ে কবিতার জীবন - তার জন্ম, বীজ ও ক্ষেত্র, বৃদ্ধি, প্রজনন, দেহ, ব্যক্তিত্ব এবং মৃত্যু। এই পর্যায়গুলোতে পাঠকের স্বচ্ছন্দ চলনের অভাব কবিতায় প্রবেশের পথকে দুর্গম করে। লেখক তীব্র শ্লেষের সঙ্গে জানান কঠিনপ্রাণ, কঠোর আমলাতান্ত্রিকেরা কবি হবার নিশ্চয়তা থেকে চিরমুক্ত। এই দৃপ্র বলিষ্ঠতা, জ্যা মুক্ত তীরের মতো লক্ষ্যভেদী ভাষা আর বেদুইন টানের কারণে সমালোচকদের মণীন্দ্র গুপ্তকে মনে হয়েছে আদ্যন্ত এক পুরুষ, দুঃসাহসী, সংস্কারমুক্ত, তথাকথিত নারীসুলভ কমনীয়তাবর্জিত। তবু এই অনমনীয় অকাট্য বিশ্লেষণী শক্তিই তার তূণীরের একমাত্র অস্ত্রসম্ভার নয়। কেন লেখেন, এই প্রশ্নের উত্তরে একবার লিখেছিলেন, শুধু মানুষের সঙ্গ নয়, প্রকৃতি এবং বনবাসীদের দেখলে বোঝা যায় অর্থনীতির বাইরে তৃষিত প্রাণ কিভাবে তৃপ্ত হয়। চলে যাবার আগে এইসবই লিখে জানিয়ে যেতে চেয়েছেন। প্রকৃতির মধ্যে শান্ত হয়ে থাকা দীন দরিদ্র জীবনে তার চির আসক্তি। তবে তা কখনওই আত্মমগ্ন পারিপার্শ্ববিমুখ নয়। 'কবিতার দেশ দেশান্তরে' তাঁর প্রশ্ন, এই দীন দরিদ্র অথচ চিরন্তন জীবনের ওপর উন্নয়নের আঘাত এবং রাষ্ট্রিক আক্রমণের মোকাবিলা কি কবিতারও দায় নয় ? "এই দুঃশীল পরিস্থিতিতে কি কবিতা জেগে ওঠে না ? তবে পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্যরা যখন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল তখন এই বঙ্গে এতো কবিতার বন্যা বয়ে গিয়েছিল কেন ? হেন লিটল ম্যাগাজিন ছিল না, যেটি তখন একুশে ফেব্রুয়ারি সংখ্যা বার করাকে তার পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করেনি। কিন্তু এখন যখন... হাজার হাজার নিরীহ চাকমাকে মেরে কেটে রেপ করে তাদের চিরদিনের বাসভূমি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পরভূমি ভারতের দিকে, তখন কবিদের মুখে একটিও কথা নেই কেন ? চাকমারা বাংলা কবিতার পাঠক নন বলে ?... এতক্ষণ এতো বারুদ গন্ধের মধ্যে থেকে মনুষ্যত্ব প্রায় ভুলে যাবার পরে কোথাও আদিম কোন বনজ হাওয়ায় গিয়ে শ্বাস নিতে পারলে ভালো হতো।"

    কবির কাজ গদ্যকার মণীন্দ্র গুপ্ত অনেকটাই কঠিন করেছেন যখন ওই একই নিবন্ধে তিনি মতামত দেন, প্রত্যেক কবিকেই, অন্তত শেষের বয়সে, নিজের পড়ার কবিতা নিজেকেই লিখে নিতে হয়। কবি নিজেই নিজের নিবিষ্টতম পাঠক। কারণ কবিতার আছে এক বিশ্বরূপ, যার মধ্যে ক্রুর মধুর বিধুর সব সংবৃত হয়ে আছে। তাকে ধারণ করা ওপর থেকে চাপানো ছন্দ মিল বা কোন কৃত্রিম ভাষার কর্ম নয়।

    কবি নই, তাঁর কবিতা নিয়ে একটি কথাও বলার সাহস নেই, তবু পাঠক হিসেবে ভারমুক্ত আছি। শেষবয়সে আমার পাঠের জন্য ভণিতাহীন, আড়ালবিহীন মণীন্দ্র গুপ্ত থাকবেন, যেমন ভৈরব মূর্তির আড়ালে ভাঙা মন্দিরের পাশে অপেক্ষারত বরাভয় মুদ্রায় মহাবীর, ধর্মীয় গুরু হিসেবে নন, প্রকৃতি-সাধক এক ; লেলিয়ে দেওয়া বিস্মৃতি আর ফাঁপিয়ে তোলা জনপ্রিয়তা-শ্বাপদের সাধ্য কি তাঁকে ছোঁয় !


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৮৪০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা  - S Azad
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১২85241
  • এক টানে এরকম ঝরঝরে লেখাগুলি যেন অক্সিজেনের মত। মন ভালো করে দেওয়া
  • | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:১৪85237
  • কার লেখা?
  • জয়ন্ত সেনগুপ্ত | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৩৮85242
  • সম্বৃদ্ধ হলাম প্রতিভাদির লেখাটি পড়ে
    জয়ন্ত সেনগুপ্ত
  • Sutapa Das | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪৮85243
  • সারল্য ভাসমান কিন্তু এ লেখার জন্যে মুগ্ধতা বহমানা স্রোতস্বিনীর মতো, অনাবিল।কবির সাহিত্যকর্মকে নতুন আলোয় পড়তে বাধ্য করা, এ বড় সোজা নয়, এই লেখা বাধ্য করবেই 'পুনঃপাঠে', আর প্রতিবার একটা নতুন করে অর্থ খুঁজে পেতে সেই অমোঘ, প্রত্যয়ী উচ্চারণের , "কখনো নিঃসঙ্গ নই, নিজেই নিজের সঙ্গে থাকি।'
  • রুকু | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৫৮85238
  • প্রতিভা সরকার দি
  • | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৭:০৮85239
  • হ্যাঁ এখন দেখছি আপডেট হয়েছে। অনেকক্ষণ কোন লেখকের নাম ছিল না।
  • অলক বসুচৌধুরী | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৭:২২85244
  • জীবনকালেই বিস্মৃতপ্রায় এক শব্দশিল্পীকে লোকান্তরের পরেপরেই এমন তর্পন -- উপমা, অভিব্যক্তি ... সব কিছু নিয়েই অসাধারণ! মুগ্ধতা জানালাম।
  • রুখসানা কাজল | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:৩৮85240
  • কি চমৎকার লেখা ! পড়তে পড়তে মুগ্ধতায় ছেয়ে গেলাম।
  • শিবাংশু | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:০৭85245
  • সবটা মিলিয়ে একটা কবিতা যেন। অনতিশ্রুত উপকথার মতো এক কবি আর তাঁর অনুগামী শ্রমণ আনন্দ। বাঃ...
  • আকবর হোসেন | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩১85246
  • আমার দিদি প্রতিভা সরকার সাধারনের মাঝে অসাধারণ ভাবনার মানুষ। অদ্ভুত সুন্দর লেখা। প্রতিভা আমার কাছে বরফে নিহিত আগুন।
  • কুশান | ***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৩৮85247
  • মণীন্দ্র গুপ্তের ওপর এই আলোচনা যথাযথ এবং মন ছুঁয়ে গেল। অক্ষয় মালবেরী গদ্য ও কবিতার সীমারেখা ভেঙে ফেলা সেই আকরগ্রন্থ, যা অবশ্যপাঠ্য। নিছক সাহিত্য সৃজন নয়, তাঁর লেখায় যেন ছিলো এপিস্টেমলজির খোঁজ। সমস্ত বিষয়কে নিজস্ব অভিজ্ঞানে জারিত করতেন এই ঘুমভাঙানিয়া কবি। প্রতিভা তাঁর লেখায় কবির প্রকৃতির সঙ্গে লগ্ন ও বিজড়িত দিকটিকে নিজস্ব লেখনীতে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন