এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নিজেরে করো জয়

    জয়ন্তী অধিকারী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১৫২৩ বার পঠিত
  • দৃশ্য ১
    --------
    ছন্দা গায়েনকে মনে পড়ে? কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান করতে গিয়ে যে অসমসাহসিনী কন্যা পাহাড়ের কোলেই থেকে গেছেন। পড়ুন তাঁর লেখার একটু অংশ -

    "এভারেস্ট একা নয়, তাকে ঘিরে রয়েছে আরও কিছু শৃঙ্গ। ‌ কুমারী পিক, লোলা পিক, নুৎসে পিক। ‌ এই পিকগুলির মধ্য দিয়ে খুম্বু আইসফলের ভিতর দিয়ে একটু একটু করে পথ করে এগোনো। ‌ রাস্তা কোথাও কোথাও এতটাই সরু যে, অনেক সময় শুধুমাত্র গোড়ালির ওপর ভর দিয়েও হাঁটতে হয়। ‌এই পথচলা তাই একইসঙ্গে কষ্টসাধ্য এবং রোমাঞ্চকর। ‌ আবার কঠিন এই পথ পেরিয়ে আসার অভিজ্ঞতাও একজন অভিযাত্রীর কাছে কম আনন্দের নয়। ‌
    বেসক্যাম্প থেকে ক্যাম্প-১, ক্যাম্প-২, ক্যাম্প-৩। ‌ তার পর সাউথ কল বা সামিট ক্যাম্প। ‌ এর পর ব্যালকনি। ‌ ব্যালকনির পরে সাউথ সামিট, হিলারি স্টেপ। ‌ এবং শেষে সামিট। ‌ এটাই এভারেস্টের শীর্ষবিন্দু। ‌ অর্থাৎ অভীষ্টে পৌঁছনোর টার্গেট পয়েন্ট। ‌ আমার অভিযানের পথটা ছিল এরকমই। ‌ ১৬ তারিখ রাতে ফিরে আসার পরে আমি আবার পরের দিন ওই দুর্যোগের মধ্যেই শেরপাকে সঙ্গে নিয়ে রাত ৯টার সময় বেরিয়ে পড়লাম। ‌ -------- বেরিয়ে তো পড়লাম, কিন্তু ১৭ তারিখও প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছিল। ‌ রোপের ওপরে বরফ জমে এমন অবস্হা হয়েছিল যে, ঠিকমতো জুমারিং করাও যাচ্ছিল না। ‌ যাইহোক, শেষ অবধি ১৮ তারিখ সকাল ৭টায় উঠে পড়লাম এভারেস্টের চূড়ায়। ‌
    প্রথম অসামরিক বাঙালি কন্যার এভারেস্ট আরোহণে তৈরি হল নতুন রেকর্ড।
    এবার এগোলাম লোৎসের পথে। ‌ এটা এভারেস্টের পথের চেয়েও বেশি কঠিন। ‌ ২০ মে সেই শৃঙ্গও জয় হল। ‌ তৈরি হল আরও একটা রেকর্ড। লোৎসেতে পা পড়ল প্রথম ভারতীয় মহিলার। ‌ আর এত কম সময়ের ব্যবধানে দুই শৃঙ্গ জয় তো আজ বিশ্বরেকর্ড। ‌
    ওপরটা কেমন?
    দুই শৃঙ্গের ওপরে যেখানে জাতীয় পতাকা ওড়ালাম, সেখানে রয়েছে ছোট্ট একটা সমতলভূমি। ‌ বরফে ঢাকা সেই জায়গাটাতে খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়াতে পারে। ‌এভারেস্টের মাথায় আছে চোরতেন বা বরফের একটা স্তম্ভ। ‌ যা অনেকটা মন্দিরের মতো দেখতে। ‌ দুটো লোহার দণ্ডও পোঁতা আছে সেখানে। ‌ তার মাঝে একটা কাচের বাক্সে রাখা আছে বুদ্ধদেবের ছবি। ‌ শীর্ষে পৌঁছনোর প্রমাণ হিসাবে এই চোরতেন এবং বুদ্ধদেবের ছবি তুলে নিয়ে আসেন অভিযাত্রীরা। ‌
    দুই শৃঙ্গে ওপর থেকে দেখা যায় একদিকে চীন এবং অন্যদিকে নেপালকে। আমিও দেখলাম। ‌ একবার ২৯,০২৯ ফিট এবং আরেকবার প্রায় ২৮,০০০ ফিট ওপর থেকে। ‌ ভাবা যায়! "


    ছন্দা গায়েন মেয়েটির জন্য কোন বিশেষণই বোধহয় যথেষ্ট নয়। ছন্দা একজন বাঙ্গালী পর্বতারোহী, দক্ষ মার্শাল আর্টিস্ট, অনুসন্ধানকারী ও আত্মরক্ষা শিক্ষক ছিলেন, যিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম অসামরিক নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে সক্ষম হন, একই অভিযানে জয় করেন লোৎসে শৃঙ্গও।

    তাঁর বাড়ি ছিল হাওড়ায়, ডেয়ারী প্রোডাক্টের ব্যবসা করতেন।

    ২০১৪ সালে মে মাসে কাঞ্চনজংঘা পর্বত আরোহণ করতে গিয়ে বরফধ্বসে চাপা পড়ে ৩৫ বছর বয়েসে, এই অকুতোভয় কন্যার মৃত্যু হয়। ছন্দাকে নিয়ে যখন বিশ্বের মিডিয়া জগৎ তোলপাড়, তখন হিড়িম্বা ম্যাডামের হঠাৎ মনে হল, এই আশ্চর্য মেয়েটির কথা আজকের মেয়েদের চিন্তায় বা মনে কী প্রভাব ফেলে একটু দেখি।

    যাঁরা হিড়িম্বা ম্যাডামকে চেনেন না তাঁদের জন্য, ইনি গাছকোমর করে শাড়ি পরা, মুড়োখোঁপা বাঁধা দিল্লি বাসিনী এক ল্যাবারু, ঐ যাকে সাধুভাষায় বৈজ্ঞানিক বলেন আপনেরা। হিড়িম্বা হল অসাধারণ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের কারণে প্রাপ্ত অফিসনাম, বয়েস কখনো ৯০ কখনো ৫০ কখনো ২৬। কেমিস্ট্রি ছাড়া সব বিষয়েই তাঁর অসীম উৎসাহ - কাঠবেড়ালী পোষেন, পাড়ার সব বাচ্চাদের নিয়ে দশেরাতে রাবণ পোড়ানো দেখতে যান, দুদিন ধরে বাঁদুরে রং, আলকাতরা, বিচ্ছিরি বেগুনী আবির এইসব দিয়ে হোলি খেলেন, কিন্তু কপালগুণে ঐ কেমিস্ট্রিই তাঁর সারা জীবনের সাথী।

    যে কথা হচ্ছিল, দুদিন ধরে পনেরো জন বিভিন্ন বয়েস ও পেশার মহিলাকে ফোনে/সামনাসামনি অন্য পাঁচটা সাধারণ কথার পর তিনি ছন্দার কথা বললেন, ওপরে দেওয়া লেখা পড়ে শোনানোর যথাসাধ্য চেষ্টাও করলেন।

    সকলেই জানতে চাইলেন, তিনি ছন্দাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন কিনা, এত আগ্রহ কেন।

    পাঁচ জনের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না, নির্বিকার মুখে অন্য কথায় (ছেলেমেদের অবিশ্বাস্য রেজাল্ট বা স্বামীর দিবারাত্র ব্যস্ততার কাহিনীতে) চলে গেলেন।

    বাকিদের প্রতিক্রিয়া নীচে দেওয়া গেল, বন্ধনীতে মতদাত্রীর একটু পরিচয়, আনুমানিক বয়েস।

    ১। খুব হিম্মত মেয়েটির। খুব ভালো। পাহাড়ে গেলে সব অন্যরকম মনে হয় ।(গাড়োয়ালের মেয়ে, গত ২০ বছর বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার ও আরও বহু কাজ করে, ৩০)।
    ২। যাই বল ওসব পাহাড়ে চড়াটড়া বাপু মেয়েদের কাজ না। লেখাপড়া করে সে তাও ঠিক আছে (সরকারি আপিসে কাজ করেন, ৪৫)
    ৩। যার গেল তার গেল, সেধে বিপদ ডাকা (সরকারি আপিসে কাজ করেন, ৫০)
    ৪। ৩৫ বছর বয়েস!! আর বাবামা বিয়ে না দিয়ে পাহাড় চড়তে পাঠিয়ে দিল!! কী অদ্ভুত, না!! (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের স্ত্রী, ৬০)
    ৫। বাবা, এইসব মেয়েরা যেন কেমন হয়। আমার টুব্লুসোনার জন্য এইরকম এক ক্যারাটে জানা মেয়ের সম্বন্ধ এসেছিল, সে আমি তক্ষুনি বাতিল করেছি (নিজেদের ক্যাটারিংএর ব্যবসা আছে, ৪৫)
    ৬। টিভিতে দেখিয়েছে? আমাদের ঐ জলসা না কী যেন ছাড়া বাংলা চ্যানেল আসে না। ওর তো সময়ই হয় না যে আরো দুএকটা চ্যানেলের ব্যবস্থা করবে, সারাদিন কী ব্যস্ত, বাব্বা (গৃহবধূ, ৩৫)
    ৭। তুমি কোথায় দেখলে এ খবর? খুব দুঃখ হল শুনে। আমি প্রে করব মেয়েটি ও শেরপা দুজনের জন্য। এমন মেয়েদের যে কত দরকার এদেশে (ডাক্তার, ৫৫)
    ৮। যার যেটা সাজে। মেয়েদের অত ডানপিটেমি বাপু আমার দুটি চক্ষের বিষ। আমার কলির বাইশ হল, ওর জন্য তো আমি দেখাশোনা শুরু করেচি, গয়নাটয়না সব গড়ানো আছে অবশ্য।(অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা, ৬০)
    ৯,১০। দুবার শোনার পর - শেষপর্যন্ত তো মারাই গেল, ফায়দা কী হল? (গবেষিকা, ২৭-২৮)।

    স্যাম্পল সাইজ খুব খুব কম। কোন সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়, তবু কোথাও সরু একটা কাঁটা ফোটে, হিড়িম্বার চোখে ভাসে একটি হলুদ জ্যাকেট পরা মেয়ের ছবি, বরফ ভেঙে ভেঙে যে চলেছে পর্বতশীর্ষের দিকে।

    দৃশ্য ২
    --------
    দিল্লির একটি বিখ্যাত মহিলা কলেজে রসায়নের অধ্যাপিকা নেওয়া হবে, ইন্টারভিউ চলছে। হিড়িম্বা ল্যাগরব্যাগর করে উপস্থিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ রূপে, আরও চারপাঁচজন আছেন।
    হঠাৎ কী খেয়ালে তিনি প্রশ্ন করে বসেন,
    - আচ্ছা, দুজন ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারবেন?
    তিন মিনিট নীরবতার পর উদ্ভাসিত মুখে
    - ম্যাডাম কুরি!
    না
    মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানীর নাম চাওয়া হয়েছে।
    পাঁচ মিনিট নীরবতার পর হিড়িম্বার ধৈর্য্চ্যুতি ঘটে,
    - ডক্টর কাদম্বিনী গাঙ্গুলির নাম শুনেছেন? তিনি ও চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজ থেকে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে প্রথম স্নাতক হন। পরে মেডিকাল কলেজ থেকে ডাক্তার হন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম মহিলা ডাক্তার তিনি ও আনন্দীবাঈ যোশী। কাদম্বিনী ইয়োরোপ গিয়েছিলেন, LRCP, LRCS, GFPS ডিগ্রি পেয়েছিলেন।

    প্রার্থী মেয়েটির অবশ্য এত কথা শুনেও হেলদোল নাই, নিরুত্তাপ মুখে জানিয়ে দেয় এইসব নাম সে কোনদিন শোনেনি।
    হিড়িম্বা অবশ্য হাল ছাড়েন না।
    - আচ্ছা, আপনার বিষয় তো জৈব রসায়ন। তাহলে প্রফেসর অসীমা চ্যাটার্জির নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন, ভারতীয় বনৌষধি নিয়ে যাঁর গবেষণাকে একটি মাইলস্টোন বললে খুব কম বলা হয়।
    - নাম জানিনা ম্যাডাম, ইনি কি ফেসবুকে আছেন?
    হিড়িম্বা হেঁচেকেশে বেজায় অস্থির হন, জলটল দিয়ে সকলে তাঁকে সাব্যস্ত করেন।
    মেয়েটি বেরিয়ে গেলে পাশে বসা একটি সরকারি সংস্থার প্রধান বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক মগনলালীয় ভঙ্গিতে ফিসফিসিয়ে বলেন
    - একটু সহজ সহজ কোশ্চেন কোরেন মেডাম, নইলে কেন্ডিডেট পাওয়া যাবে না। ঐ কাদম্বরী দেবীর নাম তো আমিও কোখোনো শুনি নি।
    হিড়িম্বা এবার ব্যাগে ইনহেলার খোঁজেন।

    দৃশ্য ৩
    --------
    ম্যাডামকে এখন দেখুন তাঁর ল্যাবে, নিজের চেয়ারে অতিসাবধানে উপবিষ্ট। বহুপ্রাচীন চেয়ারটার একদিকের পায়াটা কমজোর, একটু হিসেব কষে বসতে হয়,হেলান দেয়া যায় না, তবু এটিই হিড়িম্বার প্রিয় আসন।
    কফির কাপটি হাতে নিয়েছেন কি নেননি, ঝলমলে মুখে ঢুকে আসে অনুজা, বায়োটে্কনোলজি প্রকল্পের (আহা, প্রোজেক্টের) গবেষিকা, তিন মাস আগে যোগ দিয়েছে।
    - ম্যাম, আই হ্যাভ ভেরি গুড নিউজ।
    - মাত্র কদিন হল কাজে লেগেছো মা, বলে বলে হয়রান হয়ে যাই, ঠিক করে লিটারেচার রিভিউ অব্দি শুরু করলে না, গুড নিউজ কিসের?

    অনুজা যা বলে তার মর্মার্থ এই রকম-তার স্বামী পুনে(বা বরোদা বা নাগপুরে) বিশাল চাকরি পেয়েছে, বিশাল বাংলো, বিশাল গাড়ি, আয়া, বাবুর্চি ইত্যাদি, ইত্যাদি। অনুজা কাল থেকে আসবে না।
    - তা কী করে হয়, নিয়মানুযায়ী নোটিস দিতে হবে। রুলস পড়ে দেখো।
    - ওসব নিয়মটিয়ম আপনি দেখুন ম্যাডাম। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে যাব, এখানে আবার নিয়ম কিসের? আর, আমার তিন মাসের স্যালারিটা দিয়ে দিন।

    স্পর্ধা দেখে হিড়িম্বা অবাক হতে ভুলে যান।

    - যতটা লিটারেচার জোগাড় করেছো, গুছিয়ে লিখে দাও আগে, তারপর স্যালারির কথা ভাবা যাবে।
    - কী বলছেন? আমাকে এখন প্যাকিং শুরু করতে হবে, যাওয়ার আগে কত কাজ,এ খন আমি লিখতে বসব? পিসিতে আছে, দেখে নেবেন।
    - কাজটার প্রতি কোন আগ্রহই নেই বোঝা যাচ্ছে, এসেছিলে কেন ?
    - ওহ, এমএসসি করে কি ঘরে বসে থাকব? একটু টাইম পাস, হাতখরচ এসবও তো লাগে। টাকাটা কখন পাব?
    - এখনও তো ঘরে বসতেই যাচ্ছ।
    - নিজের সংসারে বসা আর বাপের বাড়িতে বসা এক হল?

    দুপদুপ করে প্রচন্ড অসভ্যের মত বেরিয়ে যায়।

    হিড়িম্বার মাথায় প্রথমেই যা আসে, এরা এমএসসিতে ভাল ফল করে কিভাবে? কেন? সংসার করে করুক, প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের জীবন বেছে নেবার, কিন্তু যে কাজ নিজেই বেছে নিয়েছিল তা শুধুই সময় কাটানো? কাজের প্রতি এত অশ্রদ্ধা!!

    একটি ভীতু হাত দরজা ফাঁক করে -
    - আসব ম্যাম?
    - এসো, এসো, শাশ্বতী, বোসো, কেমন চলছে কাজ?
    - তিন নম্বর ফেজের কাজ প্রায় শেষ ম্যাম। কিন্তু সেজন্য আসিনি একটা ব্যাড নিউজ আছে, একটু হেল্প চাইতাম।
    - নিউজ! তোমারো নিউজ! বিয়ে নাকি? নাহ, ব্যাড নিউজ বলচো তো (মেয়েদের মুখে নিউজ শুনলেই বিয়ের কথা মনে হয়, হিড়িম্বারও)
    - ইয়েস ম্যাম। ঐ বিয়েই। বাবা কোন এক এনারাইএর সঙ্গে প্রায় ঠিক করে ফেলেছে ম্যাম। ভীষণ চাপ দিচ্ছে সকলে। কিন্তু আমি আগে পিএইচডি করব, এতদূর কাজ করেছি, এখন ছাড়ব না কিছুতেই। আর নিজের জোরেই বিদেশ যাব, কারো ল্যাজ ধরে না।
    - তা বাড়িতে এই কথাগুলো বুঝিয়ে বল।
    - শুনছে না কেউ, অনেক বলেছি। রাতদিন কান্নাকাটি, খাওয়া বন্ধ, ভাল করে কেউ কথা বলে না। দাদাও ঐ দলে,ও কে নাকি আবার অনন্যাদি বেজায় চাপ দিচ্ছে, আমার গোয়ার্ত্তুমির জন্য নাকি প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সকলের। মা বাবা এখন বলছে কাল থেকে নাকি সুগার, প্রেশার সবকিছুর ওষুধ বন্ধ করে দেবে।
    - তা আমি কী করব, বল? চিরকালের বদভ্যাস অনুযায়ী উত্তেজিত হয়ে হিড়িম্বা তুমি তুই গুলিয়ে ফেলেন।
    - আপনি একবারটি আমাদের বাড়ি চলুন না ম্যাম। বাবা আপনার কথা শুনবে। প্লীজ ম্যাম, আমি ট্যাক্সি করে নিয়ে যাব।

    হিড়িম্বার মনে পড়ে কতসব ভুলে যাওয়া দিনের কথা -

    - বিয়া করব না, গবেষণা কইরা ম্যাডাম কুরি হইব।
    - একবার হাতে অ্যাসিড ফেলসিল, এইবার মুখে ফ্যালাইব। যা ট্যালা মাইয়া!!
    - এতখানি লম্বা হইসে তোমার মাইয়া, রাতদিন অই দড়ি লাফাইয়া। পাত্তর খুঁজতে জীবন শ্যাস হইবো, কইলাম।
    - কাল থিক্যা অইসব সাইন্স কলেজ মলেজে যাওয়া বন্ধ করতে কও। রান্নাবান্না শিখাও।

    বাবা মা যত বলেন, আত্মীয়কুল বলেন তার শতগুণ।

    অবস্থা কি পালটেছে? একটুও?
    শাশ্বতীরা আছে, অনুজারাও আছে।
    হিড়িম্বা বর্ত্তমানে ফেরেন, হাসিমুখে বলেন
    - এই তো কাছেই তোর বাড়ি। আমি নিজেই আস্তে আস্তে চালিয়ে যাব। কাল শনিবার বিকেলের দিকে যাব, বলে রাখিস।

    যে লড়তে চায় তার পাশে তো থাকতেই হবে।

    দৃশ্য ৪
    --------
    নানা ঝামেলায় ব্যতিব্যস্ত হিড়িম্বা শেষ বিকেলে প্রাণের বন্ধু সঙ্ঘমিত্রার বাড়িতে ঢুকে বিছানায় নিজেকে ফেলে দেন।
    মিত্রা চোখ পাকিয়ে বন্ধুর দগ্ধাননটি ভাল করে দ্যাখেন, তারপর ম্যাজিকের মত লেবু, নুন, জোয়ান, চিনি আরও কি কি সব দেয়া সরবত নিয়ে আসনে এক লম্বা গ্লাসে।

    - এইটে খেয়ে, চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়, আধঘন্টা পর উঠবি।
    - এক্কাপ চা যদি -- হিড়িম্বা মিনমিন করেন।
    - না, চা এখন না। আধঘন্টা পরে উঠে চা খাবি।

    চাদরচাপা হিড়িম্বা বন্ধু ও তার মেয়ের কথা শোনেন।
    - আজ কত তারিখ জানিস?
    - সিক্সথ --- না,না,একুশে, উম ম, ফাল্গুন, ১৪২৪, তাই না, মা?
    - হ্যাঁ, গীতবিতান সাইটে কী পেলাম বল তো? বিভিন্ন বছরে এই তারিখে লেখা রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্যে আছে সেই গানটি - চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।
    - আহা, ইমন রাগ, ফাল্গুনী নাটকের চতুর্থ অঙ্কে আছে, মনে আছে মা?
    - হ্যাঁ তো, সেই যে চন্দ্রহাস বুড়োকে খুঁজতে গুহায় ঢুকেছে, আর যুবকরা ভাবছে চন্দ্রহাসের হাসিটি কত সুন্দর ছিল
    - একটু গাও না মা
    - না রে, এক্ষুনি রনো আর মঞ্জরী ফিরবে, তোর বাবাও এসে পড়বেন, এখন না রে, রাত্রে, কেমন?

    - আচ্ছা মা, তুমি গানের চর্চাটা এত সুন্দর ভাবে চালিয়ে গেলে কী করে?
    - ভারী ভালমানুষ ছিলাম তো, ঘরে বাইরে নানা বেঁকা কথা সহ্য করতে খুব কষ্ট হত। তোদের ইচ্ছে করে অযত্ন করি, এই কথাটাই বড্ড লেগেছিল। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হইনি কোনোদিন। সব কর্ত্তব্যের সঙ্গে গান চালিয়ে গেছি।
    - তুমি সকলের মায়ের চেয়ে আলাদা ছিলে মা। রান্নাবান্নায় তেমন মন দিতে না, দুটোতিনটে রান্নাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করতে, তাই আমরা খেতাম। পুজো, নববর্ষ, জন্মদিন সব সময় বই কিনতে, আর সময় পেলেই গান নিয়ে বসতে।
    - তুই কিন্তু নাচ ছাড়িস না, সুমন্ত্র তো খুব উৎসাহ দেয় তোকে।
    - তা ঠিক, কিন্তু, জানো মা ও প্রায়ই জিজ্ঞেস করে কবে বড় স্টেজে প্রোগ্রাম হবে, সিরিয়ালে সুযোগ পাব কিনা, কত ছোট বাচ্চারা তো বিখ্যাত হয়ে গেল, আমি এতদিন ধরে শিখছি, আউটপুট কী এই সব। শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজন সবাই খুব সুন্দর ভাষায় শান্ত ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় যে হয় বিখ্যাত তারকা হতে হবে, যার নামে গর্ব করা চলবে, অথবা নাচটাচ ছেড়ে দিয়ে ঘর সংসার করো।
    - তবে শোন ইমনকল্যাণে, ভুলিস না কোনদিন,

    “সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান,
    সংকটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।"

    মনের জোরটাই আসল জোর, একথা কখনো ভুলিস না, মা।

    হিড়িম্বা ভাবেন, মেয়েদের সামনে এখনো অনেক দীর্ঘ পথ, বহু বাধা ভিতরে, বাহিরে -
    কিন্তু সকলে মিলে, হাত ধরে অতিক্রম করা যাবে, যাবেই।

    “মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।”
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১৫২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৮85046
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা। বিশেষ করে দৃশ্য ১ আর ৩
  • Du | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৪85047
  • কুমুদি কি বলবো। হাসলাম কাঁদ্লাম, হতাশ হয়ে তারপর আবার আশায় ভরে উঠলাম। আর কি আশ্চর্য্য, আজ সকাল থেকেই মনে এই গানটাই ঘুরছিল।
  • i | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩৩85048
  • কিছু অংশ আগে পড়েছি। চার ল্যাবারু খোঁজেন গরু ও মনে পড়ল। আরো পর্ব আসুক।
  • রৌহিন | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১২:৩৪85044
  • অজস্র ভালোবাসা কুমুদি।

    হলুদ জ্যাকেট পরা একাকিনী এক যাত্রী হেঁটে চলেছে এক চূড়া থেকে আরেক চূড়ায় - এ আমার স্বপ্নের দৃশ্যকল্প। কোনদিন এভাবেই যদি হেঁটে যেতে পারি - চূড়ায় নাই বা উঠলাম। না হয় ছন্দার মতই --
  • পৃথা | ***:*** | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৩85045
  • কি অসম্ভব ভালো লেখা ।
  • সিকি | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০১:৪০85055
  • হেলমেট খুললাম।

    দের আয়ে, দুরুস্ত আয়ে।
  • hu | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৩85050
  • অপূর্ব লেখা
  • সুতপা | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৭85051
  • জল বেরোয় না চোখে, শুধু আবেগের তাড়নায় অসহ্য ব্যাথা করতে থাকে চোখের কোণে। এলেখা সেই অনুভূতির জন্ম দিলো। হিড়িম্বাদিদির নামটি জানিনে, তাকে আভূমি প্রনাম। বাধা ঠেলে নীলকন্ঠ হয়ে যে নারীরা চলতে চান, তাঁদের সকলকে আন্তরিক শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছা। আমরা প্রত্যেকেই নিচের ধাপে থাকা মানুষগুলোকে হাত বাড়িয়ে দিলে অবস্হা একটু পাল্টায় কি?
  • গবু | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:২৮85057
  • কুর্নিশ, দিদি!
  • গবু | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:২৮85056
  • কুর্নিশ, দিদি!
  • Nina | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:০৮85058
  • কুমু কি যে বলি --- সঠিক ভাষাটাই খুঁজে পাচ্ছি না! কুর্নিশ
  • অমৃতা | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১১:২৬85052
  • অসাধারণ কুমু দি।।।।
  • প্রতিভা | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১১:৩৮85053
  • শাশ্বতীর হাত কেন ভীতু হবে ? আর যারা লড়তে চায় তাদের পাশে থাকতেই হবে এইটেই সেরা কথা। ভালো লাগলো।
  • Kakali Sinha Roy. | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:১২85054
  • ভীষণ ভীষণ ভালো লাগল কুমুদি। দুর্দান্ত সুন্দর লেখা।
  • aranya | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১২:৫১85049
  • দারুণ
  • শেখর | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৮ ০৭:৩৬85060
  • আমাদের এই পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্য্যার দেশে মেয়েদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থান অতীতে দৃঢ় ছিল না |
    বর্তমানেও যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে
    তাও বলা যায় না | কিন্তু এই প্রতিকুলতার মধ্যেও
    ডতো ছন্দা গায়েন কিংবা শাশ্বতীরা নিজের জীবনকে
    বাজি রেখে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন | অবস্থার
    পরিবর্তন যারা চান তাদের তো এদের পাশে থাকতেই
    হবে |
    লেখাটা ভাল লাগল |
  • Titir | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৮ ০৭:৪৯85061
  • কুমুদির লেখার সবচেয়ে বড়গুন সহজ ভাষায় কঠিন জিনিসকে বুঝিয়ে দেওয়া। মজার মোড়কে মুড়ে। বড় ভালো।
  • kumu | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৮ ১২:৪১85059
  • সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা,চিকেন পকোড়া ও গুজিয়া।
  • kihobejene | ***:*** | ২৮ মার্চ ২০১৮ ১১:১১85062
  • khub bhalo laaglo

    hirimba debi jodi doya kore bairer meye der opor ektu lekhen bhalo laagbe. apni je scenario gulo -r shonge baire (ekhane USA dhorchi) melate parchi 100%. borong onekei onek fight kore kaaj shongshar chele pule chaliye jaache ... tobe onek unknown golpo nishchoi aahce ..

    apnaar lekha pore nabanita deb sen -er lekhar katha khub mone pore
  • রীতা | ***:*** | ৩১ মে ২০১৮ ০৪:২০85063
  • অসম্ভব ভাল লাগল দিদি। মাকে মনে করিয়ে দিলে।
  • গবু | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৮ ০৪:১৩85064
  • এইটা তুললাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন