এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এলারামের ঘড়ি, মই ও ছোটকুমার

    জয়ন্তী অধিকারী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮ | ২৩২৫ বার পঠিত
  • তিনকড়ি। তোল্‌পাড়িয়ে উঠল পাড়া,
          তবু কর্তা দেন না সাড়া! জাগুন শিগ্‌গির জাগুন্‌।
    কর্তা। এলারামের ঘড়িটা যে
          চুপ রয়েছে, কই সে বাজে--
    তিনকড়ি। ঘড়ি পরে বাজবে, এখন ঘরে লাগল আগুন!
    (খাপছাড়া, রবীন্দ্রনাথ)

    এলারামের ঘড়িকে রবীন্দ্রনাথ অমর করে রেখে গেছেন। ঘড়িটি না বাজা পর্যন্ত সুখশয্যা ত্যাগ করতে কর্তাবাবুর ঘোরতর আপত্তি ছিল, এমনকি ঘরে আগুন লাগলেও না!

    কিন্তু আমাদের মহারানীমাতার আপাতত সমস্যা হল, ঘড়ি বেজে, বেজে, বেজে কেলান্ত হয়ে থেমে গেলেও গোবুরাজা, বড়কুমার বা ছোটকুমার কেউই নয়নপদ্ম উন্মীলন করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেন না, এমনকি গোবুরাজার নাক যেমন ইমন রাগ ও কাহারবা তালে খরবায়ু বয় বেগের সুরে ডাকছিল, তেমনই ডাকে, ডেকেই যায়, সেই অসাধারণ গীত যে সারাদিনে থামবে তার কোন লক্ষণ দেখা যায় না।

    গোবুমহারাজ ও কেবলীরানীর সঙ্গে গুরুর অনেক পাঠিকা ও পাঠকরা পূর্ব পরিচিত। তাঁদের অবগতির জন্য বলি, এনারা আর সেই সংসার অনভিজ্ঞ যুবক যুবতী নেই। দিল্লিতে এঁরা মোটামুটি একটি সংসার পেতে বসেছেন। বন্ধুবান্ধবরা অবশ্য সর্বদাই এই সাধের ফেলাটটিকে রেলওয়ে প্লাটফর্মের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন, তাতে মহারাজ বা রানীমা কারো কিছুই এসে যায় না।চতুর্দিকে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বই, বই এবং আরো বই, দুটি নয়নতারা, একটি কাঁঠালিচাঁপা ও সাতটি নাম না জানা গাছ, বড়কুমার ও ছোটকুমারের অজস্র ভাঙা খেলনা, একটি ছোট খাওয়ার টেবিল, বেতের সোফা ইত্যাদি নিয়ে তাঁরা দিব্যি আছেন।

    তা গোবুরাজা আবার ডাক্তার, তিনি তাঁর হাসপাতালে যান, বড়কুমার ইশকুলে যান, ছোটকুমার এখনো খুবি ছোট্ট, তিনি যান প্লে স্কুলে।

    যেমনটি আগে বলা হয়েছে, রানীমার অগণিত সাংসারিক সমস্যার কঠিনতমটি হল ছেলেদের ও তাদের বাবাকে ঠিক সময়ে তুলে ইশকুল/কলেজ/আপিস/এয়ারপোর্ট ইত্যাদি জায়গায় পাঠানো। রান্নাবান্নায় ইদানীং রাণীমা অনেকটা সাব্যস্ত হয়েছেন, দুধ-কর্ণফ্লেক্স,পাঁউরুটি -মাখন/জ্যাম/জেলি, কলা, আপেল, রাজপরিবারের ইস্পেশাল মেনু ভেজানো ছোলা, আদার কুচিসহ - এইসব দিয়ে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে দেওয়া তাঁর বাঁয়া হাতকা খেল। কিন্তু সকালে এলারামের টিংটং শুনে রানীমাই কেবল পড়িমড়ি করে লাফিয়ে ওঠেন, অন্যদের বিন্দুমাত্র হেলদোল নাই। তিনজনকেই রোজ চেঁচিয়ে মেচিয়ে, ঠেলেঠুলে তোলা,কানের গোড়ায় ঘন্টা বাজিয়ে ও চূড়ান্ত পর্যায়ে তুলে বসিয়ে দেওয়া - রোজ রোজ এইসব করে রানীমা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। এমনকি সকলে বেরিয়ে গেলে নিজেই একটু ঘুমিয়ে পড়ছিলেন, তাতে আবার তাঁর নিজের আপিসে লেট হয়ে যাচ্ছিল।

    সব সমস্যারই সমাধান আছে - এই নীতিতে বিশ্বাসী রানীমা এক চমৎকার রবিবারের বিকেলে একটি মোটামুটি ভদ্রস্থ সিল্কের শাড়ি গুছিয়ে পরলেন, (মনে বল আনতে হলে যা তিনি করে থাকেন), মুড়োখোঁপাটি খুলে টাইট করে বেঁধে নিলেন, আর দুই সোনার চাঁদকে দুই ট্যাঁকে ভাল করে গুঁজে ঘড়ির দোকানে হাজির হলেন।

    “এক আচ্ছাসা অ্যালার্ম ঘড়ি দিখাইয়ে।”

    নানারকম ঘড়ি দেখাল-যেমন হয় টিংটং, ঘন্টা, পাখীর ডাক ইত্যাদি। এসবে কাজ হবার নয় সে তো আগেই দেখা গেছে।

    অনেক ঘড়ি দেখেও রানীমার পছন্দ হচ্ছে না দেখে কাউন্টারের ছেলেটি কোত্থেকে দুটি লম্বা টুল এনে একটা আরেকটার ওপর চাপাল, আর রানীমাকে নীচের টুলটা ধরতে বলল। "আচ্ছাসে পকড়িয়ে, নেহি তো গির যাউংগা,(একটু থেমে), আপকি উপর।”

    কিন্তু টুলে চড়ে ওপরের লফট থেকে ছেলেটি যে ঘড়ি নামিয়ে আনল, তা দেখে রানীমার আনন্দের শেষ রইল না।

    ঠিক যেমনটি চাইছিলেন তাই, ছরকম শব্দ হয় - জয় জগদীশ হরে, ওঁ ভূর্ভুবঃ, হানুমান চালিশা, সারে জাহাঁসে আচ্ছা, জয় গণেশ ইত্যাদি, অসম্ভব ক্যারকেরে বিকট গলায়। সবচেয়ে ভাল হল আওয়াজ বন্ধ কররার বোতামটি এইটুকু আর একটা অভাবনীয় জায়গায়।

    পরদিন যা চমৎকার ঘটনা হোলো সে লিখে বোঝানো অসম্ভব।

    রাজামশাই পেলেন ধরবেন, তেনাকে উঠতে হোতো ভোর পাঁচটায় আর বাকীদের অবশ্য কী কারণে ছুটি।

    ঠিক সাড়ে চারটেয় দিকবিদিক প্রকম্পিত করে "জ্জয় জ্জগ্গদ্দীশ হরে" বেজে উঠল। গোবুরাজা ভয়ংকর চমকে লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে আর্ত্তনাদ করে উঠলেন "ছোর ছোর - চ্চোর নাকি, ঘরে কথা বলে কে!"

    অন্য ঘর থেকে ছেলেরা চ্যাঁচাল,

    "পুলিশ পুলিশ, বাবা, মা কই"

    "তোর মাকে কবে কাজের সময় দেখা যায়? ঘরে চোর ঢুকে সব নিয়ে গেল, কোন হেলদোল নাই!"

    "মিঃ গোবু, হোয়াট হ্যাপেনড?" নীচের ফ্ল্যাট থেকে।

    ভীষণ গোলমাল।

    কোনরকমে হাসি সামলে মুন্ডুর চাদর সরিয়ে রাজমহিষী ঘড়িটি বন্ধ করে দেন। চোর চুরি করতে এসে ভগবানকে এত্ত জোরে ডাকবে কিনা বা গাদাগুচ্ছের বই ছাড়া ঘরে চুরিযোগ্য কী আছে - এই সব কঠিন প্রশ্ন অবশ্যই করেন না।

    তখন আবার রাজাবাবুর রাগ দেখে কে।

    "একটু উঠতে গড়িমসি করি বলে এইরকম ব্যবস্থা করবে? এই, মইটা আন স্টোর থেকে। খোল ব্যাটারী খোল ঐ ঘড়ির। লফটে ফেলে দে ঐ সর্বনাশা জিনিস। ওঃ এখনো প্যালপিটিশন মত হচ্চে নইলে আমি হাতুড়ি দিয়ে ------- ”

    "কী হল, তোদের মই আনতে বললাম যে?"

    দুই কুমার সামান্য বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে একে অপরকে দেখেন, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার দরুন অনেক বাংলা কথা ধরতে একটু দেরি হয়।

    "মই? মই কী, বাবা?"

    "মই না বই?"

    "ওঃ, তখনি বলেছিলাম, এইসব ইশকুলে দিও না। মই, মই হল গিয়ে - "

    "ল্যাডার, আমাদের স্টীলের ল্যাডারটার কথা বলছে বাবা, যেটা ঘোষ আঙ্কল নিয়ে গেল, ঘরে রং করাচ্ছিল বলে।"

    "নিয়ে গেল তো কী, ফেরত দেয়নি ক্যানো? অ্যাদ্দিন ধরে ঘর রং হচ্ছে? এই, আঙ্কলকে ফোন কর, বল, আমাদের মই দাও, এক্ষুনিই দাও।"

    রানীমা আর থাকতে পারেন না, চাদর থেকে বেরিয়ে আসেন, "খবর্দার না। ভোর পাঁচটার সময় ফোন করে মই ফেরত দিতে বললে লোকে পাগল ভাববে।”

    "তবে, দুপুরে বলো, বা বিকেলে, যখন খুশি। কিন্তু মই আমার চাই, আজই চাই।"

    প্রথমে ঘড়ি, তারপর মই, এত জটিল সব ইস্যু ছোটকুমার ঠিক ধরতে পারেন না। তিনি গিয়ে বাবার হাঁটু জড়িয়ে ধরেন। এটি হল এই রাজপরিবারের নিজস্ব সংকেত। রাজন ছফুট লম্বা, কিন্তু কুমার এখনও খুবই ছোট্ট, বড়জোর আড়াই ফুট, সুতরাং বাবার সঙ্গে কথা বলতে হলে তিনি আগে কোলে চড়েন। কারণ, তিনি ও পিতাশ্রী দুজনেই মনে করেন মাটিতে দাঁড়িয়ে বললে কথাগুলো মাঝপথেই হারিয়ে যায়, বাতাসে উড়ে যায় বা ইচিংবিচিং পাখিরা কথাদের নিয়ে যায়।

    কোলে চড়ে কুমার তাঁর ছোট্ট হাত দিয়ে রাজার মুখ চেপে ধরেন ও কানে কানে বলেন,

    "বাবা, তুমি না আজ প্লেনে চড়ে কোথায় যাবে?"

    গোবুরাজা গোল্লা গোল্লা চোখ করে তাকান,

    "তাই তো, আমি তো এখন ইড়িমিড়িকিড়িপুর যাব"

    “না-আ-আ, ঐ জায়গাটা না"

    “তবে টিরানোসেরাসল্যান্ডে?"

    "না - আ আ- "

    "তবে ম্যাকলাস্কিখাটোমটো গঞ্জে"

    "না, না, মুম্বাই, মুম্বাই যাবে তো এখন।"

    নৃপতির আনন্দের শেষ থাকে না।

    "তাইতো, ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলি, নইলে আমি তো সে এ ই কোথায় চলে যেতাম।"

    ছোটকুমারকে কোলে নিয়েই তিনি নেচে নেচে ব্রাশ করেন, অদ্ভুত কায়দায় শেভ করেন, মাঝে মাঝে হেঁড়েগলায় গান করেন "নেড়ীমুন্ডে নতুন পাতা বেরুচ্ছেন, বেরুচ্ছেন ।”

    রানীমা ইতিমধ্যে চা, স্যান্ডউইচ বানিয়ে টেবিলে ধরে দিয়েছেন, সুতরাং তাঁর ডিউটি টেকনিক্যালি অফ হয়ে গেছে, তিনি সোফায় থেবড়ে বসেন। বড়কুমার কোল ঘেঁষে আসায় তাঁকে টেনে নেন।

    চানটান করে গোবুরাজা টাই বাঁধেন, ছোটকুমার ইতিমধ্যে রানীমার কোলে এসে বসেছেন, দুই ভাইতে মৃদু ঘুষোঘুষি চলছে, তার মধ্যেই দুজনে উপদেশ দেন, কোট পরো, বাবা, কোট পরো।

    বাবা অবশ্য কোট পরেন না, চা খেতে খেতেই তিনি রাজপরিবারের প্রথা অনুযায়ী দুই ভাইয়ের গালে দুটি করে মিত্তি দিয়ে যান।

    ছোটকুমার সাম্যবাদে বিশ্বাসী, তিনি হঠাৎ বলেন "মাম্মির গালেও মিত্তি দাও"।

    রানী এতক্ষণ দুই ছেলের পিঠের ওপর দিয়ে সদ্য আসা ম্যাগাজিনটি পড়ার চেষ্টায় ছিলেন, হঠাৎ এমত প্রস্তাব শুনে সামান্য কিংকর্ত্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। বড়কুমার বড়দের জগতের সামান্য আভাস পেতে শুরু করেছেন, তিনি একটু অস্বস্তির সঙ্গে অন্যদিকে তাকান।

    এবং তাঁর নজরে পড়ে, সদ্যকেনা ক্রিকেট ব্যাটের ওপর নীরব কর্মী ছোট ভাই নানা ছবিছাবা এঁকে রেখেছেন। বাঘের মত লাফিয়ে তিনি ভাইএর ওপর পড়েন, সশব্দে, সক্রন্দনে শুম্ভ নিশুম্ভের যুদ্ধ শুরু হয়, ড্রাইভার এসে গে্ছে, সে অনবরত হর্ণ দেয়, কুড়াওয়ালা বেল দেয়।

    আর এইসব গন্ডগোলের মধ্যে, গোবুচন্দ্র টুক করে --

    ছোটকুমার যতই পুঁচকে হোন, ভবিষ্যত রাজা তো বটেন, তাঁর আদেশ কি অমান্য করা যায়?

    খালি তাড়াহুড়োতে একটু ভুল হয়ে যায়, দুটির বদলে চারটি, তা অত ধরলে চলে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ অক্টোবর ২০১৮ | ২৩২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পুপে | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:০৯85772
  • কি মিত্তি !
  • ফরিদা | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০২85776
  • তুমুল, ফাটাফাটি, জলবাতাসা, খোলকত্তাল....

    সব মিলিয়ে খুবই মজাদার।
  • kumu | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৬85774
  • উৎসব সংখ্যায় আমার গল্প প্রকাশ করার জন্য গুরুকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

    সকলকে শারদ শুভেচ্ছা।
  • dc | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩৮85775
  • আমাদের পরিবারের রাজকুমারী যখন খুব ছোট্ট ছিল তখন সে রানীমার কোলে চেপে বসে আব্দার করতো রাজা আর রানী দুদিক থেকে চেপ্টে দিয়ে তাকে আদর করবে। সে বড়ো সুখের সময় ছিল ঃ)
  • Titir | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:০৫85777
  • রানীমার জয় হোক। রাজামশাই ও রাজপুত্রদের নিয়ে সুখে কালাতিপাত করুক। আর এইরকম সুন্দর সুন্দর লেখা আসুক।
  • amit | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২২85773
  • সকাল সকাল মন ভালো করে দেওয়া গল্প। দারুন।
  • aranya | ***:*** | ২০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৫85778
  • দারুণ
  • Anamitra Roy | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৬85783
  • মিষ্টি লেখা :)
  • arpita | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫১85784
  • দারুন
  • i | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৩৪85779
  • এ লেখা মন স্নিগ্ধ করে , পড়তে পড়তে গোমড়া মুখে নরম হয়, হাসি ফোটে, ঘর দোর বড় মায়াময় লাগে।
    গল্পটি যেন পুরাতন অ্যালবাম থেকে পাওয়া একখানি ছবি-রাজা রাণী , দুই কুমার-সিপিয়া রং-
  • Tim | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৪৪85780
  • এতক্ষনে পড়লাম। মন ভালো করে দেওয়া লেখা।
  • প্রতিভা | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:৪৬85781
  • এইরকম লেখার বড় অভাব, যা হাসির ঝলকে চারদিক আলো করে দেয়। ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে যাবার পর মনে হয় ওরা আরো কিছুদিন ছোট থাকলেই ভালো হতো। সেই মনে হওয়াটাকে একটা প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেল লেখাটা।
  • পীযূষ কান্তি দাস | ***:*** | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ১০:১০85782
  • এলারামের ঘড়ি মই ও ছোট রাজকুমার গল্পটা মন ছুঁয়ে গেল । আসলে বিশুদ্ধ হাসির গল্প এখন তো পাইই না।
  • Shn | ***:*** | ২২ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩১85785
  • কী মিত্তি কী মিত্তি!
  • কুমু | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৩১85786
  • সকলকে ধন‍্যবাদ।একজনের মন্তব্য দেখলাম,ছোট ও বড়কুমার এত জলদি এসে গেলেন কেন।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | ***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:১৯85787
  • নিজেদের নিত্যদিনের গল্পের সাথে মিলে যায় বলে এমন লেখাকে আর গল্প বলে মনে হয় না। গোবুমহারাজ, কেবলীরানী, বড়কুমার বা ছোটকুমার কারও চেহারা, কর্মকাণ্ড বা প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে হয় না, চোখের সামনেই দেখা যায়।
  • কুমু | 171.79.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৪৫101659
  • সেই এলারাম ঘড়িটি চমতকার চলছিল,অবশেষে গত সপ্তাহে দেহ রাখলো।


    ভাবলাম,গু্রুকে জানিয়ে  দিই।

  • Abhyu | 198.137.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২১ ০০:২৫103580
  • আর আপডেট হবে না। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল, কুমুদি।

  • &/ | 151.14.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২১ ০২:৩৪103583
  • ওঃ কুমুদি! এটা কী করলে? দেখা হবার কথা ছিল যে!
    প্রণাম রইল, ভালোবাসা রইল। দেখা সেখানে হবে। যাচ্ছি তো সকলেই, কেউ আগে কেউ পরে। দেখা হবে। ভালো থেকো।

  • দু | 47.184.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২১ ০৪:৩৫103584
  • কাঁদিয়ে চলে যাবে বলেই কি এত হাসি দিয়েছিলে কুমূদি। একদম ঠিক হলনা‌ ।  রাজবাড়ীর জন্য ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন