এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যে আলো আঁধার-অধিক

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ জুন ২০১৮ | ১০৮৬ বার পঠিত
  • আজকাল বড়ো আলোর আধিক্য এই প্রাচীন নগরী আর পাশের দুটো উপনগরীতে । বিকেল হতে না হতে পার্কে পার্কে জ্বলে ওঠে আকাশছোঁয়া বাতিদানে বিশাল মেটাল হ্যালাইড। রাস্তায় রাস্তায় পেঁচানো সাদা আর নীল এল ই ডি ।“ মা “ফ্লাইওভার দিয়ে চিংড়িঘাটা নামতে গিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়, যেমন যায় নিউ টাউন রাজারহাটের ভেতর দিয়ে এয়ার পোর্টের দিকে যেতে গেলে। একবার ত্রিফলা আলোয় সেজে উঠল জনপদ। খুব বেশীদিনের কথা তো নয়। এরই মধ্যে দেখি প্রায় সব ত্রিফলা ভাঙা , আমার তল্লাটে তা এখন রঙচঙে বাগানের ঢঙে ভর্তি । জানি , দুদিন পর এ ঢঙও আবার ফিকে হয়ে যাবে। কিন্তু আলোহীন ন্যাংটো কাঠামোগুলিকে আমার লাগে যেন যীশুর অপেক্ষায় ক্লান্ত ক্রসের মতো নিষ্ঠুর ।

    এক শীতের দিন ভোর চারটেয় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম একজনকে বিমান বন্দরে পৌঁছে দিতে। ঠেলায় করে ভোর ভোর সবজি নিয়ে যাওয়া দুচারজন দেহাতী মানুষ ছাড়া কেউ কোত্থাও নেই, কুয়াশার ভেতর লি লি করছে নীল সাদা আলো , আর বহুদূরে ভুতের মতো দাঁড়িয়ে কামদুনীর মেয়ের কলেজ, মনে হয়েছিল ,আহা মেয়েটির ফেরার রাস্তায় আলো থাকলে হয়তো –

    মনে হয়েছিল আরো অনেক কিছু , এতো অপচয় কেন , এতো আলোর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা পরিবেশের ওপরে । কারণ নিজেই দেখেছি বাড়ির সামনের পার্কে মেটাল হ্যালাইড ঘেঁষা যে কদম গাছ তাতে বরষাকাল ছাড়াও সারা বছর কুঁড়ি আসছে, আর একটি কুঁড়িও ফুলে পূর্ণতা পাচ্ছে না, সবুজ থেকেই ঝরে পড়ছে । আরো অদ্ভুত ব্যাপার দেখি , ফিঙের মতো কালো পুঁছওয়ালা রোগা রোগা পাখি সারা রাত ছোঁ মেরে বাতিদানের কাছে ওড়াউড়ি করা পোকা গেলে গবগব , তারপর সারাদিন কি ঝিমোয় ? মেটাল হ্যালোইডের বিশাল উঁচু স্তম্ভের মাথার গোল করে লাগানো কতো যে আলো ,নীচে দাঁড়ালে মনে হয় হাল্কা তাপের ঢেউ নীচে নেমে আসছে। হয়তো সেটা মনের ভুল , কিন্তু শীতকালে মর্ণিং ওয়াকে গিয়ে নজর করেছি মাঠের অন্য অন্য জায়গায় ঘাসের আগায় শিশির জমে থাকলেও আলোর ছাতা যতদূর ছায়া দেয়, ঠিক ততোদূর গোল করে ঘাস শুকনো কেঠো । যেন আকাশ বেছে বেছে ওই জায়গাটুকুকেই ষড়যন্ত্র করে শিশিরবঞ্চিত করেছে । তা তো নয় , আসলে প্রখর তাপে ওখানের শিশিরটুকু আগেই বাষ্প হয়ে যায় । তাতে কিছু যেত আসত না , যদি না একধরণের গান গাওয়া পাখির খাদ্যই না হত ভোরের শিশিরকণায় লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট পতঙ্গ । খাবারও ওই , খাবার সময়ও ওই । বোঝাই যায় যত মেটাল হ্যালাইড , ততো ওই পাখির অপমৃত্যু ।

    এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যেটুকু জেনেছি বুঝেছি , রাতের ঘুম কেড়ে নেবার পক্ষে যথেষ্ট। অপ্রয়োজনীয় ও চড়া আলো বর্জনের পক্ষে যখন বিজ্ঞান ও সচেতনতা , তখন আমরা পিছু হেঁটে চলেছি বেশ সচেতনভাবেই। মাত্রাতিরিক্ত আলোতে বৈপরীত্যের ( contrast ) জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানুষ । চালক বা পথচারী দুইই হতে পারে এর শিকার । রাতকানা হয়ে পড়ে অধিকাংশ পশুপাখি। কোন নিরিবিলি জায়গায় সহর থেকে দূরে গেলে বোঝা যায় রাতের আকাশ কখনোই নিশ্ছিদ্র অন্ধকার নয়। ঘুটঘুটে অমাবস্যা রাতেও আকাশের গায়ে লেগে থাকে এক আভা। এই নিজস্ব আলোভাবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় না গিয়েও সাধারণভাবে বলা যায় ভাসন্ত ধূলিকণায় বিচ্ছুরিত সূর্যাস্তের আভা ,দূরান্তরের তারা ও ছায়াপথ থেকে আসা আলোর রেশ রাতের আকাশকে পুরোপুরি অন্ধকার হতে দেয় না কখনোই। এই আলো উন্নয়নের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে । এখন পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ খালি চোখে ছায়াপথ দেখতে পায়না। সেটা বিষম ক্ষতি বলে যদি নাও মনে হয় , পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্রের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কিন্তু অপূরণীয় । ওই আলোর রেখা ধরে পথ চলে ( navigate ) এমন পশুপাখীর সংখ্যা খুব বেশি । চাঁদের আলোয় রাস্তা চেনে এমন প্রাণীও কম নেই । তীব্র আলো তাদের চোখ ধাঁধিয়ে রাস্তা ভুলিয়ে দিচ্ছে এমনটি ঘটছে আকছার । যেমন অলিভ রিডলে প্রজাতির কচ্ছপেরা । আজ থেকে বছর বিশেক আগে একদল সমাজকর্মীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেরিনা বীচে অলিভ রিডলের সদ্য ডিমফোটা ছানাদের উদ্ধার করতে নেমেছিলাম । ডিমের খোলা ফটানোর পর ওদের প্রথম কাজ হয় তুরতুরে ঘাড় ঘুরিয়ে স্কাইগ্লো বা আকাশের নিজস্ব আলোটুকু খুঁজে বার করা । সমুদ্র যেখানে শুয়ে আছে ,সেখানে দিগন্ত-আলো থাকবে সমুদ্রে লগ্ন এটাই স্বাভাবিক । ওরা সেই আলোর আভাসে চলতে চলতে নিজেদের নরম শরীরগুলোকে ভাসিয়ে দেয় ঢেউয়ে । এটা যে করতে হবে বাচ্চাগুলোর জিনে এই নির্দেশ লুকিয়ে আছে। এখন সৈকতের চড়া আলোর শক্তি এতো বেশী যে চোখ ধাঁধিয়ে বাচ্চাগুলো চলতে শুরু করে একেবারে উল্টোবাগে ,যেদিকে শহরের কৃত্রিম আলোর ছটা সেদিকে । এইবার মহাভোজে নামে শেয়াল কুকুর । মানুষের পদপিষ্ট হয়ে মরে অনেক । তাই বাচ্চাগুলোকে ঝুড়িতে তুলে ঢেউয়ের দুলুনিতে ভাসিয়ে দিতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম । শুধু অলিভ রিডলে নয় , বেশির ভাগ সী টার্টলদেরই এই নিয়ম । তাদের কাছ থেকে দিগন্ত-আলো কেড়ে নেওয়া যায় ?

    সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হবার অহংকার যদি সব ঝোল নিজের কোলে টানতে চায় তাহলে তিল তিল করে গড়ে ওঠা বাস্তুতন্ত্রের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী । কেবলমাত্র রাতে ফোটে যারা এইরকম ফুলের বেশিরভাগের পরাগমিলন ঘটে রাতচরা মথের সাহায্যে । এই মথেরা পথভ্রষ্ট হয় চড়া আলোতে। পরিযায়ী পাখির ঝাঁক যেখানে পৌঁছবার কথা তার উল্টোবাগে উড়তে থাকে। এককথায় সব উল্টোপাল্টা করে দিতে পারে কৃত্রিম আলোর অপব্যবহার । নবারুণীয় ভাষায় “জগত জোড়া হলুদ হ্যালোজেনের আলো” এড়িয়ে চলাই ভালো।

    কারণ শুধু প্রকৃতি নয়, মানবদেহ আর মনের ক্ষতিও তো কম হয়না।পুলিশ লক আপে অন্ধকারে কেন অভিযুক্তের চোখ বরাবর চড়া আলো জ্বলে তার কারণখানি খুবই বৈজ্ঞানিক । রাতজাগা চোখে চড়া আলো মনকে চঞ্চল এবং অবসাদগ্রস্ত করে ।খুব মারাত্মক হতে পারে এই মুড সুইং । শুরু হতে পারে ক্রনিক মাথাব্যথা , অল্প কাজেই ক্লান্তি ,স্ট্রেস , যৌন অক্ষমতা । নাইট শিফটের কাজে আলোর নীচে অনেকক্ষণ থাকলে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি হয় । হরমোন ক্ষরণে গড়বড় দেখা দিতে পারে ।

    এগুলো সবাই জানে । প্রশাসনে পরিবেশদূষণ নিয়ে ভাবার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে আলাদা মন্ত্রক রয়েছে । তবু নগরীর এই চটুল সাজ কেন ? কেন প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি আলো , চড়া আলোর মালা দুলছে চতুর্দিকে ? এর উত্তর নিহিত আছে এ রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় । ২০১২-১৩ তেই এখানে বিদ্যুত উদবৃত্ত হতে শুরু করে । ডোমেস্টিক সেক্টরে তখন চাহিদাবৃদ্ধি ঘটেছিল ১৯%, শিল্পক্ষেত্রে মাত্র ৪% । সে সময় হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছিল গোটা দেশে একটিমাত্র রাজ্যে এমনকি গ্রীষ্মকালে, যখন চাহিদা থাকে তুঙ্গে, তখনো বিদ্যুৎ উদবৃত্ত হয় । সে রাজ্যটি ছিল পশ্চিমবঙ্গ । আর চার বছর পর ক্লাইমেটস্কোপ ২০১৭ তে দেখতে পাচ্ছি গড় বিদ্যুৎ ঘাটতি দশমিক তিন শতাংশ । শিল্পের কোন গল্প নেই যে দেশে সেখানে চার বছরে এই পরিবর্তনের কারণ কি হতে পারে ? গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি একা এই পরিবর্তন কখনোই ঘটাতে পারবে না । তাহলে কি এই বিপুল আলোকসজ্জার বিন্দুমাত্র অবদান রয়েছে বিদ্যুতের উদবৃত্তি ঘাটতি ইত্যাদির পালটে যাওয়া হিসেবের পেছনে ?

    এ আশঙ্কা যদি অমূলকও হয়ে থাকে , এর মনস্তাত্বিক প্রভাব কিন্তু সুদূরপ্রসারী । আমার নগর আলো ঝলমলে বিদেশী শহরের আদল পেয়েছে এই ভেবে যারা শ্লাঘা বোধ করে , তাদের চোখের আড়ালে চিরকালই রয়ে যাবে রাতের সহরে বাড়ি ফেরা হা ক্লান্ত সিভিক পুলিশ বা শপিং মলের তিনহাজারী কর্মচারী । পরিবেশের কথা তাদের দূরতম চেতনাতেও আসবে না এটাই স্বাভাবিক ।

    যারা বলবেন আলো লাগাবার সঙ্গে জনসাধারণের নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে ,তাদের সবিনয়ে বলব এর সঙ্গে দুষ্কৃতিদের রমরমা কমবার কোন সম্পর্ক থাকবার আশা পশ্চিমবঙ্গে সমূলে নিহত হয়েছে বহুদিন আগেই । প্রমান শুধু পঞ্চায়েত ভোটের সময় নয় , তার আগে এবং পরে । পরিবেশদূষণ যদি নাড়া না দেয় , তাহলে আসুন এক কাজ করি । আর টি আই করে জেনে নিই শুধু কলকাতা কর্পোরেশনের পাঁচ বছর আগে ইলেক্ট্রিসিটি বিল কতো ছিল , এখন কতো হয়েছে । ইনফ্লেশন ইত্যাদির কারণে কতো যোগবিয়োগ গুণ ভাগ করা দরকার তা আমরা সবাই জানি । আর টি আই করার কথা বললাম , কারণ সাইটে এসব তথ্য আপনি কখনোই পাবেন না। নিজেদের ট্যাক্সের টাকা হ্যালোজেনের আলোয় পুড়তে দেখেও যদি আপনার চৈতন্য না ফেরে ,তাহলে আবার নবারুণকে স্মরণ কোরে বলা যেতে পারে, “ ব্ল্যাক মাল খেলে কখনো হলুদ হ্যালোজেনের জোনে যেও না ।“

    আমরা ব্ল্যাক খাচ্ছি ও ত্যাগ করছি , সঙ্গে কালো করছি চারপাশের পরিবেশকে । আসলে শাসকের অগ্রাধিকার কিসে সেটা তো দেখতে হবে । নোদাখালি থেকে মাটির তলায় তলায় যে কাজটি হয়েছিল তার কোন আলোকোজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ না থাকলেও আগামী পঞ্চাশ বছর জলকষ্টের হাত থেকে বেঁচেছে বেহালাসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল । এখন শাসক যদি ভাবে ওরকম ঢাকঢোল পিটিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে করা দীর্ঘমেয়াদী হিতকাজে দরকার নেই , এই ক্ষণিকের জাঁকই ভালো,তাহলে ছুটবে্ই মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক আলোর বন্যা, কারণ বিদ্যুৎ তো সিন্দুকে তুলে রাখা যায় না ।

    জনকল্যাণ হবার কথা ছিল এদেশের রাজনীতির প্রথম পাঠ , দুর্ভাগ্যবশত তা হয়েছে জনরঞ্জন , যতই তা হোক না কেন পরিবেশ প্রতিবেশের চূড়ান্ত ক্ষতিসাধন করে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ জুন ২০১৮ | ১০৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:৫৪84347
  • অসম্ভব ভাল লেখা। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অতিইইইরিক্ত আলো ও পরিবেশের উপর তার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা হয়, হয়েছে। কিন্তু তার পেছনে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করার শয়তানি বুদ্ধিটা মাথায় আসে নি।
  • dc | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০১:০৭84353
  • গাছগাছড়ার ওপর আলোদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে এই পেপারটা আছেঃ

    https://onlinelibrary.wiley.com/doi/full/10.1111/brv.12036

    Across a wide range of species, there is evidence that artificial light affects processes including primary productivity, partitioning of the temporal niche, repair and recovery of physiological function, measurement of time through interference with the detection of circadian, lunar and seasonal cycles, detection of resources and natural enemies and navigation.

    এটা আরেকটা পেপার, আলোকদূষণের জেনারাল হেল্থের ওপর প্রভাব নিয়েঃ

    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2627884/
  • h | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০১:০৭84354
  • ঃ-))))) হ্যাঁ আরো এভিডেন্স চাই। পিটি যেটা বলেছে সেটাও সত্য, একেক সময়ে একেক ইয়ার্ডস্টিকে সরকার কে মাপা হয়, এবং এই জন্যেই নিরপেক্ষ মিডিয়া জরুরী এবং সেটা এখানে নেই, এটা তো একটা সমস্যা।
  • h | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০১:০৯84355
  • থ্যাংক ইউ ডিসি।
  • amit | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০২:০৬84348
  • খুব ভালো লেখা।
  • মৌসুমী | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০৩:৩০84356
  • চোখে দেখে অসুস্থ হওয়া ছাড়াও , বিভিন্ন ওভারব্রীজ যেমন 'মা; ব্রীজ এর রেলিং এ চিড়িক বিড়িক আলো তিরিং বিড়িং করে যেভাবে ঘোরে, তাতে আমার কেবলই মনে হয় , গাড়ীর চালকের মাথা ঘুরে যাবে ! আমি , একাধিক গাড়ীর চালককে জিজ্ঞসা করেছি - তারা জানিয়েছেন ঐ স্পাইরাল আলোর ঘূর্ণন তাদের খুবই অসুবিধা জনক লাগে । তারা কষ্ট করে চোখ শুধু সামনের দিক রাখেন - পাশে না তাকিয়ে !! এটা কি ব্যাপার ? এই ক্ষাপামি কেন চলতে দেওয়া হয় ?
  • প্রতিভা | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০৩:৩০84357
  • লিঙ্কগুলো দারুণ কাজের সত্যি।
  • রুখসানা কাজল | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০৪:০০84358
  • ভালো লাগল লেখাটি। আমি তো এমনিতেই হাফ অন্ধ। এই সব আলোর চক্রে আমার দৃষ্টি আলো পোকার মত এতাল বেতাল নাচতে থাকে।
  • শামীম আহমেদ | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০৪:৩৬84349
  • পরিবেশ দিবসে এঅবধি যতগুলো লেখা পড়লাম এটাই সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। অভিনন্দন নেবেন দিদি।
  • PT | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ০৮:০০84350
  • একটা সময় ছিল যখন সরকার "বিদ্যুত উদ্বৃত্ত" দাবী করলে, সংবাদ মাধ্যম ও চ্যাটারিং ক্লাশ বিস্তর হ্যাটা দিত। কিন্তু এই সরকার যেহেতু শিল্পের বিরোধীতা করে ক্ষমতায় এসেছে, তাই "শিল্প নেই বলে এত বিদ্যুত" কোন আলোচ্য বিষয় না কেননা যো জিতা ওহি সিকন্দর!! আর আলোর আধিক্যের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদন্ডের নমনীয়তার আধিক্যও বাড়ায় হ্যাটা দেওয়ার মত কেউ আর অবশিষ্টও নেই।
    তবে গড়িয়ার খালের ওপরের ব্রিজগুলো পেরোনোর সময়ে ঐ দাঁত বেরা বিভৎস আলোর ছ্টায় খালের দুধারের বস্তির দারিদ্র অরো প্রকট হয়ে ওঠে।
  • h | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ১২:৩৮84351
  • আমি ব্যাপারটাকে ঠিক এই ভাবে দেখি না। বিদ্যুত উদ্বৃত্ত যাতে কেউ বলতে না পারে সেই জন্যে লোকে ডেলিবারেটলি, গাছের গায়ে টুনিবাল্ব লাগাচ্ছে, আর ডিসট্রিবিউশনে লস খাচ্ছে, আমার এটা বড় ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম হয়ে ডকুমেন্টেড প্রুফ না উঠে এলে একটু বেশি সিনিকাল লাগছে। অবশ্য তৃণমূল এবং সরকার গোটাটাই সিনিকাল একটা এনটারপ্রাইজ, তবে, এটা কি হতে পারে যে এটা এফেক্ট মাত্র, কজ না?

    আমার মনে হয় বড় জায়গাটা প্রতিভা , পিটি দুজনেই বলেছেন, মেন কেস হল, ঢপের সৌন্দর্যায়ন এর ধারণা, যেটা তে সোশাল হাউজিং ইত্যাদি লং টার্ম কমিটমেন্টে না গিয়ে টুনি বাল্ব লাগানো হচ্ছে। আর লো স্কিল সিভিল কনট্রাকটর দের কাজ তৈরী হচ্ছে, আর ছোটো শহরের ক্ষেত্রে পাবলিক পার্ক্স ইত্যাদি না থাকায়, এটাকেই পাবলিক স্পেস হিসেবে বেচা হচ্ছে। ইকো পার্ক ইত্যাদি থিম পার্ক আমার খারাপ লাগে না, লোকে আনন্দ পায় এবং শপিং মলের বাইরে এটা আমার খারাপ লাগে না, কিন্তু শহর বা গ্রাম বা ছোটো শহর সর্বত্রই মূল চালিকা শক্তি হল, লো স্কিল কনট্রাকটর কে নিয়মিত কাজ দেওয়া এবং তাই দিয়ে একটা সাপোর্ট বেস তৈরী করা। ২০১১ র পরিবর্তনের ইমিডিয়েট পরের ঐ জঙ্গলমহলের বিচিত্র ঘটনাটা মনে আছে নিশ্চয়ী, বিভিন্ন স্থানীয় আর বড়নেতাদের ঘনিষ্ঠ ডেকোরেটর দের মধ্যে মারামারি হয়, বিজ্যোৎসবের ডেকোরেশন। কে কাজ পাবে বা নিয়মিত পাবে তার প্রতিযোগিতা। এক দিক থেকে দেখলে ব্যাপারটা স্যাড, যে আদিবাসী আন্দোলন দিয়ে পরিবর্তন এলো, আদিবাসীর নিজস্ব জীবনের অধিকারের দাবী উঠলো, তাদের এলাকায় ফাইট টা হল, ডেকোরেশনের ঠিকা নিয়ে, আন্দোলনের নেতারাও একেক জন সরকারী ঠিকাদার বই কিসু না। তৃণমূলের মত পপুলিস্ট পার্টির মূল সাফল্য, রাষ্ট্রের কাছে মানুষের চাহিদার বড় দিক গুলো কমিয়ে দিয়ে অল্প স্বল্প দেওয়া থোয়া তে মানুষকে খুশি রাখা। আর বাকি টা সরকারী অসহায়তার দাবী, বিরাট ডেট, সরকারী কর্মচারীর কর্মসংস্কৃতি খারাপ ইত্যাদির গল্প।

    আর গাছের গায়ে আলো জড়ালে সত্যি ই গাছের ক্ষতি হয় অনেকেই বলেন, তবে , আমি কমপেলিঙ সাইন্টিফিক এভিডেন্স চাই, বা তার টোটাল রিলেটিভ এফেক্ট কতটা, ধরুন বায়ু দুষণ বা গাছ কাটার তুলনায় বা জলাশয়ে বাড়ি তৈরীর তুলনায় সেটাও জানতে চাই। এবার বলতে ই পারেন এভিডেন্সে কি এসে যায় আমাদের দেশের পাবলিক পলিসির গোমুত্র গবেষণার দিন আসছে, সেটা ঠিক , সেখানে কিছু বলার নেই, সবাই মিলে রে রে করে দিলেই হল।
  • Prativa Sarker | ***:*** | ০৬ জুন ২০১৮ ১২:৪৯84352
  • টুনি কোন ব্যাপার নয়। টুনির মা, মানে গোটা শহর জুড়ে যে বিরাট বিরাট স্তম্ভের মাথায় মেটাল হ্যালাইড গুলো বসান হয়েছে, সেগুলোর সাইন্টিফিক ক্ষতির পরিমাণ নেটা ছড়িয়ে রয়েছে। আর নিজের চোখেও দেখছি। অই যেমন বাদল দিনের প্রথম কদমফুল ফোটে না আর।
    তবে মাত্রাতিরিক্ত আলো, সে টুনি বা টুনির মা, ক্ষতিকর এবং দৃশ্যদূষণ তৈরি করছে তাতে সন্দেহ নেই।
    আমি আসলে শিব ঠাকুরের আপন দেশে চার বছরের মধ্যে উদবৃত্ত থেকে ঘাটতি এই উল্লম্ফনটাকে কোন যুক্তি দিয়ে ধরতে পারছি না। কলিকাতা কর্পোরেশনের ইলেক্ট্রিক বিলটা সে ব্যাপারে একটু আলো ফেলতে পারে।
  • শক্তি | ***:*** | ০৭ জুন ২০১৮ ০৪:১০84359
  • মূল্যবান লেখা, আলোর উতপাতে বিনিদ্র পাখিরা রাত জেগে সারারাত রাজপথের গাছে আর্তনাদ করে ।ওদের একটু অন্ধকার দরকার
  • PT | ***:*** | ০৭ জুন ২০১৮ ০৪:৪২84360
  • "এই ক্ষাপামি কেন চলতে দেওয়া হয় "
    সর্বত্র শুধু একটি রঙের ব্যবহার এক রঙিন স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রায় সকলেই নীরব। লক্ষণীয় যে টুনি টুনিতে ছয়্লাপ পব-র সমস্ত ব্রিজ বা রাস্তার ধারের গাছ বা ল্যাম্পপোস্টেও মূলতঃ সেই একই রঙের আলোর ব্যবহার চলছে। আমার বিশ্বাস রাস্তা সৌন্দর্য র্বাড়ানো বা আলোকিত করা ছাড়াও এই রঙের ব্যবহারের আরো অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে।
  • pi | ***:*** | ১৯ জুন ২০১৮ ০৩:৫৫84361
  • এবারে নাকি প্রচুর পাওয়ার কাট, এই গরমে।

    অনুমতি ছাড়া এসি র ব্যবহার নিয়ে বলছে অনেকে, তা এই এত উদ্বৃত্ত আলো কি কিছু বন্ধ থাকছে?
  • একক | ***:*** | ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:২৮84362
  • এই সরকার প্রথম থেকেই পপুলিস্ট । সাধারণ মানুষ কী চোখে দ্যাখে তা বোঝার ক্ষমতাবলে এরা টিঁকে আছে । সাধারণ মানুষ ওসব আলোক দূষণ ফূষণ দেখেনা । কবিতায় অন্ত্যমিল থাকবে ,বিছানার চাদর হবে ধবধবে আর আলো হবে ফটফটে ......এই হলো জনতার এস্থেটিক্স বা বোধবুদ্ধি সে যাই বলুন । এইটি সরকার পালন করছেন অক্ষরে অক্ষরে । প্রচুর লোককে শুনেছি ভূয়সী প্রশংসা করতে যে মমতা আসার পর রাস্তায় রাস্তায় গলিতে গলিতে দিনের মত আলো !!! এটাই এদের কাছে মাপকাঠি । তো কী বলব ? যাঁরা রিয়ালিস্ট ক্যালেন্ডার মার্কা পেইন্টিং এর তলায় লাইক দিয়ে লিখে আসেন "পুরো ফটোর মত লাগছে !!" তাঁরা রাতের আলো রাতের মত রাখার বোধবুদ্ধি ধরবেন এমন দুরাশা করি না । এইত সেদিন দেখলুম কথায় একটা রাস্তা জুড়ে মাইলের পর মাইল কল্কা আঁকিযেচে সরকার থেকে । রাস্তাগুলো ক্যানভাসের ধারে বর্ডারের মত , তাই সেটাকে রাখতে হয় একরঙা আর কল্কা আঁকতে হয় বাড়ির গায়ে ......এইটুকু সেন্স ও নেই । তো কী করব ? আমরা আমাদের সহনাগরিকদের যা বোধবুদ্ধি ও রুচি তার ই প্রতিফলন দেকচি । সরকার জাস্ট সেগুলোকেই হ্যা হ্যা করে ইমপ্লিমেন্ট কচ্চে মাত্র ।
  • নিশানদিহি খাম্বা | ***:*** | ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:৪৩84363
  • আর রাতের আলো। ঊণকোটি গেলাম সন্ধ্যার শেষে, সে এক ভয়ানক ব্যাপার, জঙ্গল পাহাড় পাথর কোন আধুনিক স্ট্রাকচার নেই, পুরো বন্য অন্ধকারে গামা গামা পাথরের মাথা।

    কিসের কি, জনতা মোবাইলের টর্চ জ্বেলে শোভা দেখে ও দেখায়।
    এমন ফ্রাসট্রেশন বহুকাল হয়নি।
  • Ekak | ***:*** | ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:৫৪84364
  • ওই মোবাইলে ছপি তোলার কথা ভেবেই সবকিছু । সস্তায় ফাস্ট লেন্স হয়না । সেটা কম্পেন্সেট করতে চতুর্দিকে সর্বক্ষণ সোডিয়াম ভেপার মেরে রাখো । তাহলে সস্তার লেন্সও ঝিক ঝ্যাক ছপি উটবে । প্রতিটা রাস্তায় প্রতি গলিরমোড়ে দাঁত বের করে সেলফি তুলবেন কীকরে যদিনা সরকার থেকে ফ্যাটফেটে সাদা আলো মেরে না রাখে । এরাই তো দুহাত তুলে আশীর্বাদ করবে সরকারকে । এরাই সাধারণ মানুষ ।
  • | ***:*** | ২২ জুন ২০১৮ ০৩:৪৫84365
  • সদাপ্রভু কহিলেন আলো হউক, অতঃপর আলো হইল।
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৩84367
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন