"আইটিওলা" শব্দটাও তখনও প্রচলিত হয় নি। আমরা নিজেদের প্রোগ্রামার/ডেভেলপার, টেস্টার এইসবই বলতাম। সেটা আমার প্রথম প্রোগ্রামারের চাকরি ছিল কলকাতার একটা মাঝারিগোছের কোম্পানিতে। তো, কোম্পানিটা মাঝারিগোছের হলেও সেই ৯৯-২০০০ সাল নাগাদ কলকাতায় সফটওয়্যার কোম্পানি হিসেবে মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেক্টর-৫ এ যে হাতেগোণা কটি কোম্পানি তখন বর্তমান এটি তার অন্যতম পুরানো একটি। তা এখানে একসময় লোকের তুলনায় বসার জায়গা এতই কম ছিল যে কর্মীরা দুই তিন শিফটে কাজ করত। আমার শিফট তখন ছিল সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুটো। এই শিফটে আমার সাথে কাজ করত ঝুমকি। হ্যাঁ এটাই ওর অফিশিয়াল নাম ছিল। কেমন ডাকনামের মত শুনতে না?
ঝুমকি বোধহয় সল্ট লেকে বা তার খুব কাছেই কোথাও থাকত, অফিসে পৌঁছে যেত সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। আর মেশিন টেশিন অন করে মেল দেখেই টুক করে বেরিয়ে যেত। সল্ট লেকেই কোথাও একটা ওর কোনও এক বন্ধুর নাকি বুটিক ছিল। কলকাতায় তখন 'বুটিক' ব্যপারটা সবে আসছে, খুব একটা অলি গলিতে চোখে পড়ে না, শুধু খবরের কাগজে বা পাক্ষিক সানন্দায় পয়লা বৈশাখ দুর্গাপুজা ইত্যাদির আগে বুটিকদের নাম ঠিকানা আর প্রদর্শনীর দিন তারিখ বের হয়। আমি, আমার পরিমন্ডলের লোকেরা জানি বুটিকের কাপড় জামা 'ভয়ানক দামী' হয়। তা সে হেন বুটিকের মালকিন ঝুমকির বন্ধু এই খবরে আমরা ওকে একটু সমীহই করতাম। সমীহ করার আরো কারণ হল ঝুমকি প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই সেখান থেকে কিছু না কিছু নতুন ড্রেস বানিয়ে আনত। এখানে ড্রেস বলতে সালোয়ার/চুড়িদার কামিজ বুঝতে হবে। তখনও কলকাতার অফিসে টফিসে ওয়েস্টার্ন ফ্রক টাইপের ড্রেস প্রচলিত ছিল না। ঐ কোম্পানিতে বা সমজাতীয় কোম্পানিগুলিতে আমরা যারা চাকরি করতাম, সকলেই তখন মোটামুটি সচ্ছল বলা চলে। জামাকাপড় আমরাও নিতান্ত অপ্রয়োজনেও প্রচুরই কিনতাম। সেই আমাদের কাছেও ঝুমকির প্রতি সপ্তাহে তিনটি কি চারটি বহুমূল্য পোষাক বানানো কিঞ্চিৎ বাহুল্যই মনে হত।
তা এরকমই এক সকালে ঝুমকি দেখি বেরিয়ে না গিয়ে অফিসের মধ্যেই এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার ক্যান্টিনে গেল, একবার এসে যে নতুন বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে সেদিকটায় গিয়ে একা একা দাঁড়িয়ে রইল। মেয়েদের মধ্যে এত সকালে আমি ছাড়া আর কেউ আসে না। আমি ক্যান্টিন থেকে এককাপ কফি নিয়ে বাইরের খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে চুমুক দিচ্ছি তখন দেখি চুপচাপ এসে আমার পাশে দাঁড়াল। ভদ্রতাসুচক দুই একটা কথা বললাম, কেমন অন্যমনস্কভাবে খানিক উত্তর দিল খানিক দিল না। তারপর হঠাৎ নিজে থেকেই বলল 'আজ আমার মেয়ের মুখেভাত'।
আমি ভেতরে ভেতরে বেশ চমকালাম। এই রোগাপাতলা নিতান্ত বাচ্চাগোছের মেয়েটার আবার একটা মেয়েও আছে! মুখে বললাম 'আচ্ছা'!? ভাবলাম হয়ত একেবারেই ছুটি নেই তাই এসেছে অফিসে। এরপর নিজে থেকেই ও বলল ওর শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান, ওর বর তন্ময় কোনও চাকরি বাকরি করে না, করার দরকার নেই, বর্ধমানে ওদের পৈত্ৃক চালকলের ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তাতে চাকরি করার কোনও প্রয়োজনই নেই। ওরা একইসাথে ইন্জিনিয়ারিং পড়ত, সেখান থেকেই সম্পর্ক ও বিয়ে। ওর মেয়েটাকে রাজকন্যার মত যত্নে রাখে ওর শ্বশুরবাড়ি, কিন্তু বর্ধমানে থাকলে ঝুমকির চাকরি ছাড়তে হয়, তাই ও তন্ময় আর মেয়েকে নিয়ে সল্ট লেকেই থাকে। আমি আদৌ শুনছি কিনা তার তোয়াক্কা না করেই ঝুমকি একটানা বলে যাচ্ছিল। ঝুমকি যতক্ষণ কথা বলোছিল আমি চুপ করে ওকে লক্ষ করছিলাম। অদ্ভুত এক বিপন্নভাব লেগে ছিল ওর চোখেমুখে, যেন ভীষণ চাইছে সবাই দেখুক ও কত ভাল আছে, কত বড়লোক ওর শ্বশুরবাড়ি, কত যত্নে রাখে ওকে তন্ময় - আর তার মধ্যে দিয়ে বারেবারে বেরিয়ে আসছে মাতৃত্বের ফাঁসে বন্দী হয়ে যাওয়া এক তরুণী, যে হয়ত এখনও যখন তখন হুট করে এদিক ওদিক বেড়াতে চলে যেতে চায়, রাতভোর গানের আসর শুনতে বসে যেতে চায় - কিন্তু বাড়িতে বাচ্চা আছে ভেবে যাকে ঠিক সময়ে গুটি গুটি পায়ে বাড়ি ফিরতে হয় - বাড়িই ফিরতে হয়। বারেবারেই বলছিল ওর মেয়ের মুখেভাত অনুষ্ঠানে বর্ধমান থেকে ওর শ্বশুর বাড়ির প্রচুর আত্মীয়স্বজন, বাপের বাড়ির দিক থেকে কত লোকজন এসেছেন, তন্ময় কেমন তাঁদের সবার দেখাশোনা করছে -- ওর আসলে সেখানে থাকারই কোনও দরকার নেই। হয়ত সত্যিই নেই, কিন্তু সেটাও যে ওর খুব ভাল লাগছে তাও তেমন মনে হল না। নিজের মেয়ের মুখেভাতে উপস্থিত থাকতে না পারার কষ্ট আর উপস্থিত থাকতে বাধ্য না হওয়ার স্বস্তি দুইই ওর চোখেমুখে অপর্যাপ্ত লেগেছিল সেদিন।
এরপর তো কেটে গেল কতশত দিন মাস, খান দশবারো বছরও, ঘুরে ফেললাম পৃথিবীর বেশ খানিকটা। আর এই দশ বারো বছরে পৃথিবীটা যেন হ্যাঁচকাটানে এগিয়েও গেল অনেকখানি। এর মধ্যেই সেদিন কাগজে দেখলাম মায়েদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক রোগ। 'মায়েদের মধ্যে'? মানুষের মধ্যে বা এমনকি মেয়েদের মধ্যেও নয় একেবারে মায়েদের মধ্যে!? খবর পড়ে জানলাম বেশ কিছু মা 'মাতৃত্ব' নামক বোঝাটির চাপে প্রায় পাগল হতে বসেছেন। কেউ কেউ ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়েছেন, আর কেউ হয়ত সন্তানটি সহই মৃত্যুর দিকে হেঁটে গেছেন। কী ভয়ংকর কথা। যে শিশুটি হয়ত হতে পারত অজস্র আনন্দের উৎস, সে শুধুই হয়ে দাঁড়াল তার মায়ের চরম বিপন্নতার কারণ। আবার তাকে কোথায় কার কাছে রেখে যাবেন এই হতাশায় মা তাকেও নিয়ে গেলেন মৃত্যুর দিকে। এঁরা অনেকেই সম্ভবতঃ 'পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশান' শব্দগুচ্ছর নামও শোনেন নি। আর আমাদের দেশে "মাতৃত্ব" আর্কিটাইপ সম্পর্কে যে অসম্ভব প্রত্যাশা গোটা সমাজ চাপিয়ে দেয় মেয়েটির মাথায় তার থেকে বেরোবার রাস্তাও অনেকেই খুঁজে পান না। একটা মেয়ে একেবারে ছোট থেকে শুনে আসে 'মা হওয়া কি মুখের কথা!' তা মুখের কথা নয় তো বটেই প্রচুর শারীরিক মানসিক প্রস্তুতি ও ধকলের ব্যপার জড়িত পুরো 'মা হওয়া' প্রসেসটার সাথেই। মজা হল 'মুখের কথা' যে নয় এটা যতই বলা হোক না কার্যক্ষেত্রে অনেকসময় স্রেফ মুখের কথার ওপরে নির্ভর ও ভরসা করেই 'মা' হয়ে যেতে হয় অনেককে। সন্তানধারণকালীন যে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় একজন মেয়েকে তার জন্য প্রস্তুত করার সুযোগ ও শিক্ষা এমনকি মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্ত বাড়িগুলোতেও যথেষ্ট সীমিত। অমুক কোরো না বা তমুক জায়গায় যেও না জাতীয় বিধিনিষেধ যেমন সহজে শুনিয়ে দেওয়া হয় তেমনভাবে কিন্তু একটি অতি ছোট প্রাণ জীবনে চলে এলে জীবনযাপনে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, নিজের চেহারা সহসা পরিবর্তিত হয়ে গেলে নিজের মনে তার কী ছাপ পড়তে পারে; এই ব্যপারগুলো বোঝানো হয় না। উপরন্তু যে হাসিখুশী তরুণীটি এইগুলি একা একা বুঝতে না পেরে, সামলাতে না পেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তাকে কখনও ঠাট্টা, কখনও রীতিমত তিরস্কার, কিছু ক্ষেত্রে অত্যাচারও করা হয়ে থাকে। ফলতঃ মাতৃত্ব কখনও ফাঁস হয়ে বসে মেয়েটির গলায়।
এ তো গেল একটা দিক। আর একটা দিক হল মা হওয়া যে 'মুখের কথা' নয় এ কথা অনবরত শুনতে শুনতে মেয়েটিও ক্রমশ দূরে যেতে থাকেন তাঁর শখসাধ, নিজস্ব ভুবন থেকে। বহুক্ষেত্রে উপযুক্ত সাপোর্ট সিস্টেমের অভাব তাঁকে বাধ্য করে সর্বত্র থেকে গুটিয়ে আসতে। ইন্দ্রা নুইর গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুনিয়ে যাওয়া হয় আর মেয়েদেরই একটা বড় অংশ সেটাকে অনবরত জাস্টিফাই করে চলে। যত যাইই কর না কেন বাপু দিনের শেষে তুমি যে 'মা' সেটিই তোমার সবচেয়ে বড় অর্জন এই কথাটিই সবদিক থেকে বোঝাবার চেষ্টা চলে। ঝুমকিদের তাই 'অফিসে একদম ছুটি নেই' অজুহাতে পালিয়ে থাকতে হয়। হ্যাঁ তখন ঝুমকির লিভ ব্যালেন্স ছিল, ও সেদিন দুই শিফট কাজ করে বাড়ি গেছে সেটা কিছু পরে জেনেছিলাম। ঝুমকি তো তাও নিজের নিশ্বাস ফেলবার জায়গাটুকু খুঁজে নিয়েছিল, যে মায়েরা সেটুকুও না পেয়ে মৃত্যুকেই বেছে নেন, কিম্বা সন্তানসহ মৃত্যু বেছে নেন তাঁদের অসহায়তার কথা ভাবলেও নিজেরই অসহায় লাগে।
পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশান নিয়ে আমাদের দেশে কিরকম সহায়তা পাওয়া যায়, কতদূর সচেতনতা আছে আমি জানি না। পরিচিত মহলে আদৌ দেখি নি। ডিপ্রেশান অসুখটিকেই মোটা দাগে 'মানসিক রোগ' বলে চিহ্নিত করে সামাজিক একঘরে করে রাখার প্রবণতা কিম্বা "যত্ত ঢং" বলে তাচ্ছিল্যভরে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতাই যেখানে প্রবল, সেখানে সন্তানজন্ম পরবর্তী ডিপ্রেশানকে হয়ত পুরোপুরি ট্যাবু বলেই ধরা হবে। আমার ফেসবুক ওয়ালে এই নিয়ে ছোট একটি পোস্ট দেওয়ায় বন্ধুদের সাথে আলোচনায় দুটো ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট পাই। আত্রেয়ী দেখায় গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক মায়ের কথা, যিনি মা হয়েই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর নিজেরই ভাষায় I made a mistake। কিন্তু তাঁর সে কথা শুনতে প্রায় কেউ রাজী নয়। তিনি তাঁর মেয়েটিকে খুবই ভালোবাসেন, মেয়ের বড় হয়ে ওঠাও যথেষ্ট উপভোগ করেছেন, কিন্তু একজন মায়ের কাছ থেকে তিনি মা হয়ে ভুল করেছেন এই কথাটা শুনতে প্রায় কেউ রাজী থাকে না। তাঁর মেয়ের সাথেও তিনি এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। মজা হল তিনি মুখ খোলার পর অ্যানোনিমাস ফোরামে অনেক মেয়েই জানায় 'মাতৃত্ব' ব্যপারটা তারাও মোটেই উপভোগ করছে না। প্রথম বিশ্বের ব্যক্তির অধিকার ও যথেষ্ট শারীরিক ও মানসিক সাপোর্ট সত্ত্বেও যদি মেয়েরা অ্যানোনিমাস না হয়ে এই নিয়ে মুখ খুলতে না পারে, তাহলে ভারতের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।অন্য আরেকটা পয়েন্ট যেটা বন্ধুদের আলোচনায় উঠে এসেছিল সেটা হল বাচ্চাদের সমস্যার পেছনে মায়েদের ডিপ্রেশান বা আন্ডারকেয়ার অথবা ওভারকেয়ার এবং তার পেছনে আসা অত্যধিক প্রত্যাশার চাপকে কারণ মনে করছেন মনস্তাত্বিকগণ।
আমাদের দেশে এখনও তেমন পর্যাপ্ত সমীক্ষা হয় নি এই নিয়ে। সন্তানের প্রতি অত্যধিক কেয়ার ও অত্যধিক প্রত্যাশা যে সন্তানের গলায়ই ফাঁস হয়ে চেপে বসে এর বেশ কটি উদাহরণ আমার কাছের পরিচিত ও আত্মীয়মহলেই দেখা।এঁদের কেউ কেউ নিজের পড়াশোনা, গান, কেরিয়ার সব ছেড়ে সন্তানের সাথে সর্বদা লেগে থাকেন, প্রতিটি ক্রিয়াকর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব নেন এবং প্রত্যাশামাফিক না হলেই অনর্থ বাধান। কেউ বা আবার তেমন কিছু ছাড়েন নি, মানে প্রথম থেকেই নিজের জন্য তেমন কোনও ভুবন গড়ার চেষ্টাই করেন নি, সন্তান ও তার/তাদের ভবিষ্যতই তাঁর নিজস্ব ভুবন ধরে নিয়েছেন। এইবার সন্তান যত বড় হতে থাকে ততই তার ওপরে এই আকাশচুম্বী প্রত্যাশার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে থাকে। এরকম এক পরিচিতা, প্রায় আত্মীয়াই বলা চলে, তাঁর সন্তানকে বলতেন 'তোর জন্য আমি আমার সমস্ত জীবন শেষ করে দিলাম আর তুই?" সেই সন্তান মোটামুটি রকম একটা চাকরি যোগাড় করে মা'কে বলেছে "সারা জীবন বলে গেলে 'জীবন শেষ করে দিলে' সত্যি যদি তুমি মরে যেতে আমার জীবনটা অনেক বেটার হত"। কথাগুলি বলার সময় আমার সেই পরিচিতার গলার অতল শূন্যতা আমাকে অবশ করে দেয়। আমি তাঁকে মনে করাতে পারি না সন্তানটি ছোট ছিল সময় তার দাদু, ওঁর শ্বশুর যখন শিশুটিকে অন্য শিশুদের মিশতে দিতে খেলতে যেতে দিতে বলতেন উনি তখন কত রাগ করতেন। এখন তো আর কিছুই ফিরবে না।
আর শুধু ডিপ্রেশানই নয়,এমনিই সুস্থ হাসিখুশি বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত অনেক মেয়েকেই দেখি একলা একলা বা স্রেফ নিজের বন্ধুদের সাথে খুব একটা কোথাও বেড়াতে টেড়াতে যায় না। এদের দেখি আর আর আমার খালি ঝুমকির কথা মনে পড়ে। ঝুমকি তো পরে ১৬ মাসের মেয়েকে রেখে বেলজিয়াম গেছিল, নিজের মত ঘুরে বেড়িয়ে চাকরি করেছে, পরে তন্ময় আর মেয়েকেও নিয়ে গেছিল কয়েক মাসের জন্য। কিন্তু এখন যারা একেবারে সরে যাচ্ছেন কেরিয়ার ছেড়ে বা নিজের শখসাধ নিজস্ব কিছুটা সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়ে সমস্ত সময়টুকু সন্তাদের পেছনে দিয়ে দিচ্ছেন নিজের জন্য একটুও স্পেস না রেখে স-সন্তান যখন বড় হয়ে নিজের ভুবন গড়ে নেবে তখন এরা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট কারণ, নিজস্ব পরিচয়টুকু খুঁজে পাবেন তো?