এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • শতবর্ষে নরেন্দ্রনাথ

    অমর মিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ মার্চ ২০১৬ | ২০৩২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • গত ৩০শে জানুয়ারি, তিনি একশো বছর অতিক্রান্ত হলেন এক বিস্ময়কর নীরবতার ভিতর দিয়ে। তখন ছিল মাঘ মাস, তখনো কোনো এক পল্লীর গাছি মোতালেফ রসের কলসি নামিয়ে আনছে খেজুর গাছ ছুলে। ঘরে রূপসী বউ ফুলবানু, তার হাতে রসের জ্বাল ভাল হয় না। পুড়ে যায় গুড়, ধরে যায়। যার হাতে হতো অপূর্ব সোয়াদ সেই অতি সাধারণ, কুরূপা মাজুবিবিকে তালাক দেওয়ায় সে চলে গেছে নাদির শেখের বিবি হয়ে। এক রসের লোভে আর এক রসের কুম্ভ বুঝি ভেঙে দিয়েছিল মোতালেফ। বেওয়া মাজুবিবিকে সে শাদি করেছিল রসের সিজিনে রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির জন্য। মাজুবিবি ছিল এই কাজে শিল্পী। তার হাতের গুড় হয় অমৃত। সেইবার গুড় বেচে প্রচুর টাকা লাভ করে মাজুবিবিকে তালাক দিয়ে সুন্দরী ফুলবানুকে ঘরে নিয়ে আসে মোতালেফ। ফুলবানুর পণের টাকা তোলার জন্যই না ছিল মাজুবিবিকে শাদি। টাকা উঠে গেলে আর মাজুবিবিকে রাখবে কেন সে? ফুলবানু সুন্দরী বটে, কিন্তু রস জ্বাল দেওয়ায় আনাড়ি। পরের সনে মোতালেফের গুড়ের খ্যাতি গেল। আগের সনের গুড় আর এই সনের গুড়ে আকাশ পাতাল পার্থক্য। লোকে ছ্যা ছ্যা করতে লাগল। মোতালেফ নিজেও তো শিল্পী। সে মাজুবিবির কাছে রওনা হলো। ভিটেয় ফুলবানু বসে কাঁদে। এ এক আশ্চয প্রেমের গল্প। রস-এর মতো গল্প বিশ্ব সাহিত্যে বিরল। গিয়েছে সেই মাঘ মাস, সেই মাসে গোটা দেশ ছিল উৎসবে মত্ত। রসের কারবারি মোতালেফ মিঞার কথা ভুলে গেলাম আমরা? রসের উৎসব, সাহিত্যের উৎসব, লিটারারি মিট, সেখানে চিত্র তারকা থেকে ইংরেজিতে লেখা কুলীন ঔপন্যাসিকের ভীড়। কত বই বিক্রি হয় তার হিসেব কষছেন। এরই ভিতর নিঃশব্দে তিনি ১০০। তাঁর মতো বড় ছোটগল্পের লেখক এই উপমহাদেশে জন্মাননি। আমাদের বিস্মরণ সীমাহীন। নরেন্দ্রনাথ মিত্রকে দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি। ধুতি আর খুব সম্ভবত শাদা আরদির পাঞ্জাবি পরা নরেন্দ্রনাথকে আমি দেখেছি পাইকপাড়ার দিক থেকে হেঁটে আসছেন বেলগাছিয়ার রাস্তায়, একা একা, নিজ মনে। তাঁর রস, শ্বেতময়ূর, পালঙ্ক, এক পো দুধ, টিকিট, চিলেকোঠা, হেড মাস্টার, চোর, চাঁদ মিঞা, বিলম্বিত লয় – এই সব গল্পের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ধীরে ধীরে। কত তুচ্ছ ঘটনা, কত তুচ্ছ মুহূর্ত থেকেই না তিনি গল্প বের করতে পারতেন। আর সেই গল্প হত কী অনুভূতিময়। পাঠক আপনি টিকিট গল্পটির কথা স্মরণ করুন। ছেলেটির অভ্যাস প্রতিদিন বাবা বাড়ি ফিরলে টিকিটটি সংগ্রহ করা। ট্রামে টিকিট ফাঁকি দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল বাবা। বাড়ি ফিরে শিশু সন্তানের হাতে ধরা পড়ে যায় ট্রামের টিকিটে দুপয়সা বাঁচিয়ে তৃপ্ত বাবা। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের মনের অন্দরমহলে প্রবেশ করতে পারতেন নরেন্দ্রনাথ। ‘চোর’ গল্পটির কথা মনে করি, অমূল্য সামান্য এক দোকান কর্মচারী। ঘরে নতুন বউ রেনু। অমূল্যর হাত সাফাই-এর অভ্যাস। দোকান থেকে স্নো, পাউডার, চিরুনি নিয়ে আসে লুকিয়ে। বউ রেনু তা পছন্দ করে না। অমূল্য বিয়ের পর রেনুকে নিয়ে কলকাতা দেখাতে কিংবা সিনেমায় যেতে ট্রামের ভাড়া দেয় না ফার্স্ট ক্লাসে চেপে। ঘাড় কাত করে কিংবা আবোলতাবোল গল্পের অভিনয় করে ট্রামের টিকিট ফাঁকি দেয়। রেনুর ভয় করে। যদি ধরতে পারে কন্ডাক্টর? কী অপমানই না করবে। অমূল্য হেসেই উড়িয়ে দেয়। তা আবার হয় নাকি! ফার্স্ট ক্লাসে ওঠাই তো ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার জন্য। সেই অমুল্যই তাদের ভাড়াটে বাড়ির দোতলা থেকে রেনুকে কাঁসার বাটি সরিয়ে আনতে উপদেশ দেয়। রেনু লজ্জায় ঘেন্নায় মরে যায়। ওপরের মাসিমার কাছে যায় সে। সেই ফ্ল্যাটের বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে আসে রেনু। সে কি পারে? অমূল্য যখন তাকে আদর করে, রেনুর গা ঘিনঘিন করে। ইস, অমূল্য কেন ভাল হয় না। এর ভিতরেই অমূল্যর চাকরি যায়। দোকানের বুড়ো ক্যাশিয়ার তার বউয়ের জন্য অমুল্যকে সাফাই করতে বলেছিল স্নো পাউডার, অমূল্য তা না করায় মালিকের কাছে সাতকাহন করে লাগিয়ে সে তার চাকরি খেয়েছে। কী হবে? এই গল্পে অভাবী রেনুই শেষ পযর্ন্ত অমূল্যর পথ অনুসরণ করে উপরতলা থেকে একটি ঘড়ি চুরি করে আনে। অমূল্য বলেছিল বটে, কিন্তু শেষ অবধি যে রেনু তাই করবে, তা সে ভাবেনি। প্রেমের মুহূর্তে রেনুর কঙ্কন-ক্কণিত মৃণালভুজ তার কাছে শ্রীহীন কলঙ্কিত হয়ে যায়। মনের বিচিত্র যে রূপ তা নরেন্দ্রনাথের গল্পে বারবার ঘুরে এসেছে। তিনি শুধুমাত্র কাহিনিকথক ছিলেন না, ছিলেন জীবনদর্শী। 

     শ্বেতময়ূর গল্পে দাদার বন্ধু জার্মান যুবক কদিন অতিথি হয়েছিল তাদের বাড়ি। কিশোরী মেয়েটি জানে না সেই যুবকের মনে প্রেমের সঞ্চার হয়েছে তার প্রতি, যেমন হয়েছিল তারও। যাওয়ার দিন সেই জার্মান যুবক নিজের ভাষায় তার যে আবেগ প্রকাশ করল তা কিশোরী মেয়েটির মন দুমড়ে দিল। প্রেমের ভাষা কেউ চিনতে ভুল করে না। একজন জার্মান, অন্যজন বাংলায় কথা বলে যাচ্ছিল। বাংলা ভাষায় এমন প্রেমের গল্প আমরা খুব কম পড়েছি। আমি বলছি অন্য এক গল্প “রানু যদি না হত”র কথা। নরেন্দ্রনাথ ছিলেন অসামান্য গল্প বলিয়ে। তাঁর মতো গল্প কথক আমাদের সাহিত্যে আর আসেননি। নরেন্দ্রনাথের গল্প পড়তে পড়তে মনে হয় তিনি যেন আকাশ থেকে গল্প নামিয়ে আনতেন। তিনি যেন প্রাচীন কালের গ্রামবৃদ্ধের মতো শোনাতে পারতেন কতকালের পুরোন সব কাহিনি। 

     হেডমাস্টার গল্পের কথা মনে করি। দেশভাগের পর হিন্দু ছাত্ররা ওপার থেকে এপারে চলে আসায় পূর্ববঙ্গের সাগরপুর এম,ই, ইস্কুলের হেড মাস্টার মশায়ের ছাত্র কমে গিয়েছিল খুব। দেশভাগের পর তিনি ঠিক করেছিলেন ওপার থেকে আসবেন না, কিন্তু আসতে বাধ্য হন, ইস্কুল চলছিল না। যা ছাত্র ছিল, তাদের সকলের কাছ থেকে বেতন আদায় হয় না। বুড়ো হয়েছেন। কলকাতায় এসে তাঁর দিন চলবে কী করে পরিবার নিয়ে? পঞ্চাশোর্ধ হেড মাস্টার মশায় সওদাগরী অফিসে চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছেন। গ্রামের ছাত্রর অফিসে এসে তার কাছেই চাকরি প্রার্থনা করছেন। একটি মেয়ের বিয়ে হয়নি, তিনটি নাবালক পুত্রও আছে। কত বড় সংসার, কী করে চলবে? হেড মাস্টার মশায়কে তার ব্যাঙ্কে ক্লার্কের চাকরি দিয়েছিল ছাত্র নিরুপম। হেড মাস্টার মশায় খুব ভালো ইংরিজি পড়াতেন। তাঁর ছাত্ররা কৃতী। তিনি তাঁর এতকালের অভ্যাস ছাড়তে পারেননি। গল্পটি এত হৃদয় গ্রাহ্য, এত মানবিক যে পড়তে পড়তে স্তম্ভিত হয়ে থাকতে হয়। পার্টিশন আমাদের জীবনকে কত রকম ভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল তা নরেন্দ্রনাথের গল্পে ধরা যায়। মানুষের বেঁচে থাকার ভিতরেও যে নির্মমতা তৈরি হয়েছিল, তা তাঁকে না পড়লে ধরা যায় না। নরেন্দ্রনাথের অধিকাংশ গল্প জীবিকার কথা বলেছে। পার্টিশন জীবিকা বদল করে দিয়েছিল। মেয়েদের ঘর থেকে বাইরে এনেছিল জীবিকার খোঁজে (অবতরনিকা )। 

     “রানু যদি না হত” এই শহরের এক সতের বছরের মেয়ে রানুর গল্প। এই শহর মানে এই ২০১৬-র শহর তো নয়। সেই শহর আমার ছেলে বেলার। ষাটের দশক হতে পারে। পঞ্চাশের দশকও হতে পারে গত শতাব্দীর। তারপর পৃথিবী অনেকখানি পথ পার হয়েছে। পুরোন ধ্যান ধারণা বদলে গেছে অনেক। নরেন্দ্রনাথ তাঁর চারপাশের মানুষের মুখ আঁকতেন নানা রঙে। আমি বার বার মৃদুভাষী, আত্মমগ্ন এই লেখককে দেখে আপ্লুত হয়েছি। রানুর গল্পটি এক আত্মমগ্ন মেয়ের গল্প। নিতান্ত মধ্যবিত্ত কেরানি বাবার কন্যা রানু। কলেজে পড়ে। মা থাকে প্রায়ই অসুস্থ। রানুকে সব দেখতে হয়। সে তো মা বাবার প্রথম সন্তান। তার পরে আর এক বোন বুলু, দুইটি বালক ভাই। নরেন্দ্রনাথ যে নিম্নবিত্তের সংসার আঁকেন, সেই সংসারেই আমরা বড় হয়েছি। এই বয়সে তাঁর গল্প পড়তে গেলে সেই কলকাতা সেই ছোটবেলাকে দেখা যায়। বিস্মৃতি স্মৃতিতে ফিরে আসে। 

     রানুর মায়ের অসুখ, জ্বর। বুড়ো ডাক্তার বলেছে বিকেলে এসে মিকশ্চার নিয়ে যেতে। ডিসপেন্সারিতে মিকশ্চারের শিশি রেখে রানু কলেজে গেল, ফিরল সাড়ে চারটে নাগাদ সেই বুড়ো ডাক্তারের ডিসপেনসারিতে। ডাক্তার বিকেলে থাকে না। থাকে যে কম্পাউন্ডার সেও বুড়ো। এই ডিসপেনসারি তাদের বাড়ি থেকে অনেকটা দূর, এর চেয়ার টেবিল থেকে সমস্ত ফারনিচার পুরোন। এখানে যে কেন আসে বাবা মা বার বার। বুড়ো ডাকতারের বুড়ো কম্পাউন্ডার নেই। তার টেবিলে রানুর রেখে যাওয়া শিশিটি রয়েছে। রানু বসে আছে। ডিসপেনসারিতে আছে বুড়ি ধাই সারদা। হতাশ বিরক্ত রানু যখন চলে যাবে ভাবে, ধাই বুড়িকে সেই কথা বলতে সে রানুর হাত ধরে ফেলে। আর একটু বস। কম্পাউন্ডার এসে যাবে। বুড়ি বলে, তার হাতেই জন্ম হয়েছিল রানুর। সে-ই খালাশ করেছিল তাকে। জানে রানু তা। বাড়িতেই শুনেছে সে কথা। কিন্তু এর পর বুড়ি যা বলে তার জন্য রানু প্রস্তুত ছিল না। বুড়ি বলছে, রানু তো জন্মাত না, শুধু মেয়েমানুষের জান বলে আসতে পেরেছে। সে আবার কেমন কথা? রানু কৌতুহলী হয়। বুড়ি কথাটা ভাঙতে শুরু করে ধীরে ধীরে। সে সতের বছর আগে এক দুপুরে এই ডাক্তারখানায় রানুর ঠাকুরদা এল হাঁপাতে হাঁপাতে। কী হয়েছে, না তার তিন মাসের পোয়াতি বউমার রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তার বোধ হয় সব্বোনাশ হয়ে গেল। ডাক্তার আর ধাই ছুটল সেই বাড়ি। দেখল সত্যি। ধাই তো সব বোঝে। ডাক্তার চিকিৎসা করে বাঁচাল বউকে আর তার পেটেরটাকে। কিন্তু হল কেন অমন? ডাক্তারের জেরায় রানুর বাবা গোপনে কাঁপতে কাঁপতে বলেছিল, তার চাকরি নেই, বউকে সে পড়াবেও ভেবেছে, এখন সন্তান হলে খুব অসুবিধে হয়ে যাবে ভেবেছিল, সন্তানটিকে নষ্ট করতে চেয়েছিল সে।

     রানু জানল, সে না আসতেও পারত। তাকে মা বাবা চায়নি সে আসুক, তবু সে এসে গেছে। রানু কেমন শূন্য হয়ে গেল। এ পৃথিবীতে তার না আসবার, না থাকবার কথাই তো সবচেয়ে বেশি ছিল। এই যে সন্ধেবেলায় এমন আলোয় ভরা লোকজনভরা শহরের পথ দিয়ে সে হেঁটে চলেছে এই চলবার কোনো কথা ছিল না।

     প্রতিদিনের অভ্যাসে বাড়ি ফেরা রানু আজ বিরক্ত বাড়ির উপর। মায়ের কাছে গেল না অভিমান আর রাগে। তাকে চায়নি মা বাবা। এই গল্প ক্রমশ নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের দীনতার ভিতরে ঢুকে পড়ে। বাবা হেমাঙ্গ বাড়ি ফিরে রানুর কাছে খোঁজ নেয় তার কী হয়েছে যে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছে? তারপর হেমাঙ্গ বেরোয় টাকা ধারের জন্য হাতিবাগানের দিকে। মাসের শেষ যে। রানুর দুই ভাই, বাড়ির দুই বালক খাওয়া নিয়ে বায়না করে। শুধু ডাল ভাত খেতে চায় না। রানুর পরের বোন বুলু জেরবার। রানুর মা, অভাবী সংসারের অসুস্থ গৃহিনী অপারগ স্বামীর প্রতি অভিযোগ জানায় নিজের মনে, খেতে দিতে না পারলে জন্ম দেওয়া কেন? মায়ের আক্ষেপ, ভাই দুটির না মেটা ক্ষুধার বাস্তবতা রানুকে ধীরে ধীরে নিজের স্বত্বার কাছে ফেরায়। সে ঘরের অন্ধকার থেকে বেরোয়। তাদের শোয়ার ঘর আর রান্না ঘরের মাঝখানে একফালি উঠন। তার উপরে তারায় তারায় ভরা আকাশ। রানু অনুভব করে, সে না এলে এই বিরাট আকাশ আর বিপুলা পৃথিবীর হয়তো কিছুই এসে যেত না। কিন্তু সে যখন কোন না কোন ভাবে একবার এসে পড়েছে, তখন এর চেয়ে বড় কথা আর কী হতে পারে। এই গল্প ফিরে ফিরে পড়ি। নরেন্দ্রনাথ মিত্র নীরবতার ভিতরে ১০০- পূর্ণ করলেন। তিনি হৃদয়ে জড়িয়ে থাকুন।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ মার্চ ২০১৬ | ২০৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Robu | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৯81282
  • সত্যিই অসাধারণ কথাশিল্পী।অনেক গল্প পড়েছি, তবে সব গল্প পড়া নেই। দেখি সমগ্র পাই কিনা।
  • Ruchira | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১১:১৪81283
  • ভালো লাগল
  • Ruchira | ***:*** | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১১:২১81284
  • আমিও দেখেছি নরেন্দ্রনাথ মিত্রকে - আমার দাদুর বন্ধু ছিলেন, বেলগাছিয়ায় MIG Housing Estateএর বাড়িতে প্রায়-ই আসতেন - নরেন্দ্রনাথ ও শোভনা মিত্র। ওদের বাড়ি থেকে একটা কাঠের ঘোরানো খটখটে পাখি দানা খাচ্ছে খেলনা নিয়ে এসেছিলুম একবার। তখন ছোট ছিলাম, এরা কারা কিছুই বুঝ্তাম না। পরে অনেক লেখা পড়েছি
  • Nina | ***:*** | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৪81286
  • খুব প্রিয় লেখক আমার ! আনেক গল্প রা মনে ভীড় করে এল--- নতুন করে আবার পড়তে ইচ্ছে করছে
    আজ ও আমার প্রিয় বৌদির রান্না ভাল না লাগলে বলি আজ ফুলবনুর হেসেল
  • sosen | ***:*** | ২৮ মার্চ ২০১৬ ১২:১৫81285
  • অসম্ভব সব ছোটগল্প, ফর্ম নিয়ে লোফালুফির শো-অফ নেই-শুধু সত্যি মানুষদের কথা। আমার প্রিয়তম লেখকদের একজন। ও তো সিনেমা সিরিয়ালের গল্প-বলে লোকজনকে তাচ্ছিল্য করতেও শুনেছি!
  • bip | ***:*** | ৩০ মার্চ ২০১৬ ১০:২০81287
  • নরেন মিত্রকে বাংলার চেকভ উপাধি দেওয়া উচিত। ওর ছোট গল্পের সম্পূর্ন কালেকশন কিনে ছিলাম ছাত্রাবস্থায়। উনি নিঃসন্দেহে বাংলার সেরা ছোট গল্পকার-মানিকের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। ইনফ্যাক্ট উনাকে বাংলায় কেউ প্রায় চেনেই না দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম বাঙালীর পেটে সুনীল হুমায়ুনের মতন তৃতীয় শ্রেনীর সাহিত্যিকরাই হজমযোগ্য। নরেন মিত্র বিদেশে জন্মালে এতদিনে নোবেল প্রাইজের জন্য বিবেচিত হতেন-নেহাৎ বাংলায় জন্মেছেন।
  • Robu | ***:*** | ৩০ মার্চ ২০১৬ ১২:১০81288
  • সুনীল, হুমায়ুন বা মানিককে নিয়ে নির্মোহ ব থাকলে লিন্ক দেবেন প্লিজ।
  • pi | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৫81289
  • রস সত্যিই অসাধারণ। ক'দিন আগে সোহাগিনী পড়লাম। সেও।

    এবার বইমেলাতেও নরেন মিত্রের নামে কোন প্যাভিলিয়ল দেখলাম না, সরণিও বোধহয় দেখিনি। কোন আলোচনাও হতে শুনিনি।

    রোবু, সুনীলকে নিয়ে তো শাক্য আর হানুদাই করেছিল। হুমায়ূনকে নিয়েও বেশ কিছু আলোচনা ছিল, মনে আছে। কোন টই মনে নেই।
  • dd | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৮81290
  • নরেন্দ্র মিত্রের আরেকটি বিশেষতঃ ,ওনার রচনায় অনেক মুস্লিম চরিত্র্র ভীড়। রস ছাড়াও ঝট করে মনে আসছে দ্বিরাগমন আর পুনশ্চ। খুব কম হিন্দু মধ্যবিত্ত সাহিত্যিকের কলমেই এটা ঘটেছে।

    আর গ্রাম আর শহর - এই দিউ পটভুমিকাতেই উনি সমান স্বচ্ছন্দ ছিলেন। এটাও খুব প্রচলিত নয়।
  • pi | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৯81291
  • সোহাগিনীই হিন্দু -মুসলিম প্রেম নিয়ে।
  • b | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৩81292
  • আরেকটা বলি। ওনার বাল্য/কৈশোর জীবন নিয়ে ছোটো ছোটো কিছু অসাধারণ স্কেচ আছে।
  • Ekak | ***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১২81293
  • ফিকশন যেটুকু পড়েছি তার মধ্যে নরেন্দ্রনাথ বড় পছন্দের লেখক। ওনাকে অনেকে সিরিয়াল -সিনেমার লেখক বলেন ঠিকই , তবে সেইটা ওনার চরিত্র চিত্রণ ও নাটকীয়তার গুণে ।পসিটিভ অর্থেই :) শরত্বাবুর মত ঘরেলু ঘটি গরম পরিবেশনের কারণে নয় ।

    লেখাটা ভালো লাগেনি । এ যেন ওনার সব লেখার একটু একটু স্নিপেত্স , লেখার নিজের কোনো জোর নাই ।
  • অতনু | ***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১২81294
  • নরেন্দ্রনাথ মিত্রর গল্পমালার একটা খণ্ড হাতে এসেছিল অনেকদিন আগে। আবার নতুন করে পড়ার ইচ্ছা চাগিয়ে উঠল।
  • ঊমেশ | ***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪০81295
  • আমি তো প্রথমে লেখাটার টাইটেল দেখে ভাবলাম, বাঙ্গালী'র সবথেকে পরিচিত নরেন্দ্রনাথে কথা হচ্ছে। তারপর হিসাব করে দেখলাম, ঐ নরেন্দ্রনাথ মারা গেছেই ১০০ বছরের ওপর।
    এটা আমার বেশী পরিচিত নরেন্দ্রনাথের কথা হচ্ছে।

    আমার মতে বাংলা'র সেরা ছোটো গল্পকার দের নাম নিলে নরেন্দ্রনাথের নাম অনেক উপরে আসবে। রবি-ঠাকুর, সুবোধ ঘোষ এর পরই আমার নরেন্দ্রনাথের নাম মনে আসে।
    উপন্যাস গুলো একটু সিনেমা সিনেমা মনে হলেও ছোটো গল্প গুলো অনবদ্য।

    আর সিনেমা সিনেমা লাগা তো আর এক সেরা বাঙ্গালী লেখক শরদিন্দু'র লেখা তেও থাকে। শরদিন্দু'র মতো নরেন্দ্রনাথ অনেক দিন বম্বের ফিল্ম জগতের সাথে যুক্ত ছিল, তাই বোধহয় লেখা ওরকম।
  • kumu | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৩81296
  • " কথা সাহিত্যিক নরেন্দ্রনাথ মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাঙ্গা উপজেলা মিলনায়তনে বসেছিল কবি ও সাহিত্যিকদের এক মিলন মেলা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিক সমাবেত হন ভাঙ্গা উপজেলা মিলনায়তনে। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রনাথ মিত্রের সুযোগ্য কনিষ্ঠ পুত্র ডঃ অভিজিৎ মিত্র। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুদুর কলকাতা থেকে ভাঙ্গা আসেন।
    বেলা ৩ঃ০০ ঘটিকায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বরেন্য চলচিত্রকার তারেক মাসুদের মাতা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর উপ মহাপরিচালক শ্রী তপন বাগচি, অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, ফরিদপুর জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিজ ইমাম মিলন, সাংবাদিক ওবায়দুল আলম স¤্রাট, আয়োজক মাদুলি পত্রিকার সম্পাদক অরবিন্দ চক্রবর্তী, মাদুলি পত্রিকার উপদেষ্ঠা সাইদ মাসুদ ও আরো শতাধিক কবি সাহিত্যিক। পরে প্রধান অতিথি ডঃ অভিজিৎ মিত্রকে ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। স্বর্গীয় নরেন্দ্রনাথ মিত্র ১৯১৬ সালে ভাঙ্গা উপজেলার রায়পাড়া সদরদী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।"
    প্রশংসনীয় !!
  • নিটপিকিং | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৫৭81297
  • স্বর্গীয়= স্বর্গ সম্বন্ধীয়
    স্বর্গতঃ= স্বর্গ প্রাপ্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তি/প্রয়াত।
  • kumu | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:১৯81298
  • বানান ও ভাষা অপরিবর্তিত।
  • নিটপিকিং | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৭81299
  • আরে কুমুকে বলি নাই। এই পত্রিকাকেই বলছিলাম।
  • সে | ***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ১০:১০81300
  • স্বর্গীয়, স্বর্গ্য - স্বর্গ বিষয়ক। স্বর্গসুখতুল্য। (বাং) স্বর্গগত ('স্বর্গীয় পিতৃদেব')।

    লেখায় স্বর্গীয় শব্দের প্রয়োগ ঠিকই আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন