এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  স্মৃতিচারণ

  • বিদায় সুবিমল মিশ্র

    অমর মিত্র
    স্মৃতিচারণ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৩২৮১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৮ জন)

  • আজ, ৮-ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সাল, আজ ভোর ৪টে ৫০ মিনিটে সুবিমলমিশ্র চলে গেলেন। বিশ্বেন্দু নন্দর লেখা থেকে জানলাম এখন। বাংলা ভাষার সত্যিকারের সকল প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখক চলে গেলেন। এক্ষেত্রে তিনি একজন। আর কেউ নেই। ছিলেন না। এই পথ তাঁর নিজের পথ ছিল। বিশ্বাসে আর যাত্রাপথে কোনো তফাৎ ছিল না। অন্যদের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা দেখেছি। সুবিমল এক্ষেত্রে নিজেই এই পথের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন। তাঁকে দূর থেকে নমস্কার করি।

    পদবী-বর্জিত সুবিমলমিশ্র কোনোদিন একটি বর্ণও কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকায় লেখেননি। আমি তাঁকে পড়েছি লিটল ম্যাগাজিনে। সুবিমল কোনোদিন সাহিত্যের প্রতিষ্ঠান, একাডেমির কাছ দিয়ে হাঁটেননি, আমি তাঁকে পড়েছি মানিক তারাশঙ্কর পড়তে পড়তে নিজ প্রয়োজনে। তাঁর লেখার ভিতরে যে ঝাঁজ দেখেছি সেই চল্লিশ বছর আগে, তা আমাকে শিখিয়েছিল অনেক। আমি নিজে সুবিমলের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সহমত নই, তাঁর পথ আর আমার পথ আলাদা কিন্তু দূরে থেকেও আমি তাঁর লেখার অনুরাগী। বহু বছর তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি, কিন্তু তাঁর রচনাবলীর আলোচক খুঁজে না পেয়ে আমাকে যখন অনুরোধ করেন অতি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, আমি দুই খণ্ড পড়েই লিখেছি। মনে হয়েছিল তাঁর কথা সকলে জানুক। তাঁকে পড়ে বিচার করুক। এ কথা সত্য—সুবিমল যে পথে হেঁটেছেন, সাহিত্যের যে উপদ্রুত এলাকায় আমাদের নিয়ে গেছেন, নিজে পৌঁছেছেন, সেখানে তাঁর আগে কেউ পৌঁছতে পারেননি। আমাদের বেলগাছিয়া থেকে প্রকাশিত একাল পত্রিকায় তিনি লিখেছিলেন ‘বাগানের ঘোড়া নিম গাছে দেখন চাচা থাকতেন’ এবং ‘রক্তের স্বভাব’। তখন আমি সুবিমলকে পড়তে শুরু করি। সেই ১৯৬৯-৭০ থেকে। প্রথম পড়েছিলাম তাঁর বই তাঁর গল্পের বই, ‘হারাণ মাঝির বিধবা বউ-এর মড়া কিংবা সোনার গান্ধী মূর্তি’। বইটি নেই, কিন্তু গল্পগুলো মনে আছে, শিরোনামের হারাণ মাঝির বিধবা... ব্যতীত বাগানের ঘোড়া নিম গাছে দেখন চাচা থাকতেন, পরী জাতক, আর্কিমিডিসের আবিস্কার ও তারপর, রক্তের স্বভাব, পার্ক স্ট্রিটের ট্রাফিক পোস্টে হলুদ রং। এইসব গল্প লেখা হয়েছিল ১৯৬৯,৭০,৭১—এই সময়ে। সেই কঠিন সময়ে এক তরুণ লেখক তাঁর রক্তের উষ্ণতা, মনের দীপ্তি নিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়েছেন এবং নিজের কলমকে ক্রমাগত শাণিত করেছেন। সুবিমল যে সাহিত্যের প্রচলিত পথ ত্যাগ করে যে দুর্গমতায় যাত্রা করেছিলেন সেই স্থান থেকে সরে আসেননি। তাঁর হারাণ মাঝির বিধবা বৌয়ের মড়া বা সোনার গান্ধী মূর্তি গল্পে হারাণ মাঝির ২২ বছরের বিধবা বৌ না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে মরেছিল। তার ছিল আঁটো শরীর, সবাই তার শরীর নিয়ে মাথা ঘামাতে চায়, না পেয়ে বদনাম দেয়। তাই সে ম’লো। মরে খালের জলে তরতর করে ভেসে যাচ্ছে। এই গল্প এক সময়ে আমাদের চিরাচরিত গল্পকে আঘাত করতে পেরেছিল, এখনো করে। হারাণ মাঝির বিধবা বৌয়ের মড়া ভাসছিল, ভাসতে ভাসতে পচা খাল দিয়ে কলকাতা শহরে এসে পড়ে। তারপর সেই মড়া গিয়ে পড়ে থাকে রাইটার্স বিল্ডিঙ থেকে সুখী গেরস্তর দরজায়। এই গল্প লেখা হয়েছিল যখন, তখন কেন, এখনো এই সাহিত্যের এই বাস্তবতা সত্য। সত্য সময়ের এই গা ঘিনঘিনে অভিঘাত। বর্গা চাষ রেকর্ড করাতে গিয়ে ভূমিহীন চাষা হারাণ মাঝি তার চাষের অধিকার হারিয়েছিল। চাষের জমি দখলে গিয়ে মার খেয়ে মাথা দুফাল হয়ে মরে। তার বিধবার মড়া রাষ্ট্রের ঘুম কেড়ে নেয়। একাই তার শব দেহ পারে যত্র তত্র গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শান্তিকে তছনছ করে দিতে। সামনে ছিল নিবার্চন, সেই উপলক্ষে ময়দানে মিটিঙে খুব হাঙ্গামা হয়। হাঙ্গামায় ভেঙে যায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি। আমেরিকা তখন বলে, তারা সোনার গান্ধী মূর্তি বানিয়ে কলকাতায় পাঠাচ্ছে। সেই মূর্তি এল বাক্সবন্দি হয়ে। মন্ত্রী, সান্ত্রী হাজির, বিউগল বাজে, জাতীয় সঙ্গীত হয়। এরপর বাক্স খোলা হয় সোনার গান্ধী মূর্তিকে স্যালিউট জানাতে। হায়, দেখা গেল, সেই সোনার গান্ধী মূর্তির উপরে শুয়ে আছে হারাণ মাঝির বিধবা বৌয়ের মড়া। তাকে না সরালে, গান্ধী মূর্তিকে ছোঁয়া যাবে না। গল্পটি বছর পঁয়তাল্লিশ আগে লেখা, গল্পটি এখনো মনে হয় গতকাল লেখা কিংবা আগামী কাল লেখা হতে পারে। সুবিমল মিশ্র যে গল্প একসময় লিখেছেন, তা আমাদের পাঠ অভ্যাসকে আঘাত করেছিল। যা কিছু আমাদের সাহিত্য বোধ, তাকে শিকড় সমেত উৎপাটিত করে সুবিমল নতুন কথা নিয়ে এসেছিলেন। নতুনভাবে শুনিয়েছেন গল্প।

    একটি গল্পের কথা বলি, ‘আপনি যখন স্বপ্নে বিভোর কোল্ড ক্রিম আপনার ত্বকের গভীরে কাজ করে’। ১৯৭৪-এ লেখা এই গল্প তার শিরোনামেই বুঝিয়ে দেয়, সুবিমল মিশ্র এই বিজ্ঞাপিত-পণ্য নিয়ন্ত্রিত সভ্যতার কথা কত বছর আগে কীভাবে বলেছিলেন। এই গল্প বা প্রতি-গল্প (অ্যান্টি গল্প) যতি চিহ্নহীন করে লেখা। আর সমস্তটাই বিজ্ঞাপনের ভাষা। যে বিজ্ঞাপন সেই চল্লিশ বছর আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতো, সুবিমল সেই বিজ্ঞাপন সাজিয়ে এমন এক নির্মাণ করেছেন, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান এবং সুখী গৃহকোণকে বিব্রত করার পক্ষে অনেক। কী লিখছেন সুবিমল তা একটু দেখি, “দাদ একজিমা সারিয়ে নিন চুলকানি সব সারিয়ে নিন ফুলের সুরভি শ্বাসে-প্রশ্বাসে মধুর পুলক ভেসে ভেসে আসে নাচুন নাচুন ধেই ধেই নাচুন ফিরিয়ে আনুন ত্বকের স্বাস্থ্য ট্যাঁকের স্বাস্থ্য যেটুকু না হলে নয় সেটুকুতেই কেনাকাটা সমঝে রাখুন দেখবেন দর বাড়বে না অসাধু ব্যবসায়ীরে পরাস্ত করুন কেমনে হে ক্রেতা ক্রেতা হে...” সুবিমল এই অ্যান্টি গল্পে আমাদের গল্পের প্রচলিত ধারাকেই যেন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। হ্যাঁ, এর ভিতরেও গল্প আছে, “পাত্র আছে পাত্রী আছে গিটার নিপুণা সুচাকুরে উজ্জ্বল শ্যাম বহুত আছে পাঁচফুট তিনইঞ্চি ভক্তিমতী রসবতী রাঁধিতে পারে বাঁধিতে পারে প্রয়োজন বোধে কাঁদিতে পারে চটপট করুন......।” সুবিমল পরিহাস করেছেন সুখী মধ্যবিত্তের স্বপ্ন বিভোরতা নিয়ে, এই বিভোরতা এখন আরো আরো থকথকে হয়েছে। আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতা ফুটে ফুটে ক্ষীর হয়েছে।

    আর একটি গল্পের কথা বলি, নুয়ে গুয়ে দুই ভাই ( ১৯৭৩)। এই গল্প বলতে বসেছেন তিনি যেন কথক ঠাকুর হয়ে। “তারা ছিল দুই ভাই নুয়ে আর গুয়ে। আপন বলতে তাদের কেউ ছিল না এক দুঃসম্পর্কের মাসি ছাড়া।“ সুবিমলের এই গল্প একেকেবারেই প্রচলিত গল্পের আদলে বলা। কিন্তু তার ভিতরে চারিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রখর সমাজ বোধ। জীবনবোধও নিশ্চয়। বখাটে আর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাসি তাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল। নুয়ে গুয়ে একটি খেজুর গাছের গুঁড়িতে বসে ভাবে কী করে জীবনে উন্নতি করা যায়। বড় ভাই নুয়ে বলল, বেসাতি করবে, চালাক ছোট ভাই গুয়ে বলল, বাসাতি করার কড়ি আসবে কোথা থেকে? তার চেয়ে ওয়াগন ভাঙা অনেক ভাল, ওয়াগন ভেঙে শিবুর দল লাখোপতি হয়ে গেছে। তারা তখন ওয়াগন ভাঙতে গেল নিঝুম রাতে। চারদিকে কুয়াশা, জনমনিষ্যি নেই। ওয়াগান ভেঙেই তারা বড়লোক হয়ে যাবে, তো কাজের সময় সেই অন্ধকারে এক গান্ধীটুপি এসে খাঁচ করে তাদের হাত ধরে ফেলল। তারা ভয়ে তেত্রিশ কোটি দেবতার স্মরণ নিতে লাগল। নুয়ে গুয়েকে সেই গান্ধীটুপি দয়া করল। তাদের আরো বড় উন্নতির ব্যবস্থা করল ওয়াগন থেকে কী ভাবে নিজের মাল সরিয়ে তার নিজের গোডাউনে আগেই ঢুকিয়ে নেবে, সেই উপায় শিখিয়ে দিল। রেল ক্ষতিপুরণ দেবে, আবার নিজের মাল নিজের ঘরেও থাকবে। এই গল্প যেন এক আধুনিক অ-রূপকথা। নুয়ে গুয়েকে দিয়ে কাজ হাসিল করে তাদের বুক এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় সেই গান্ধীটুপি। এখনো পড়তে গিয়ে গা হিম হয়ে আসে।

    সুবিমল রাজনৈতিক কথা বলেন তাঁর সমস্ত গল্পে। তাঁর মতামত খুব স্পষ্ট, কিন্তু তা কখনোই ছকে বাঁধা ক্লিশে হয় না তাঁর বলার গুনে। তাঁকে নিয়ে অনেক কথা হোক। মৃত্যু তো লেখকের বেঁচে থাকার শেষ কথা নয়। আবার বলি সুবিমল মিশ্র ছিলেন আমাদের ভাষার একমাত্র অপ্রাতিষ্ঠানিক লেখক। আর কেউ নন।
    তাঁকে আমার শেষ নমস্কার।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • স্মৃতিচারণ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৩২৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 115.96.***.*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৩516245
  • প্রয়াত সুবিমল মিশ্রের প্রতি শ্রদ্ধা। এই স্মৃতিচারণা সুবিমলের লেখার প্রতি বিশ্বস্ত। 
    গুরুচন্ডা৯কে ধন্যবাদ। এতো দ্রুত এইরকম একটি লেখা পোস্ট করবার জন্য। 
  • Suman Mukherjee | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫০516246
  • যথার্থ শ্রদ্ধার্ঘ্য 
  • বনানী রায় ভট্টাচার্য | 117.194.***.*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৪516247
  • কম পড়েছি সুবিমল মিশ্রকে , তবু তাতেই তিনি শ্রদ্ধার আসনটিতে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন । চলে যাওয়ার খবরটি এই লেখাটির সঙ্গেই পড়লাম । নমস্কার তাঁকে । 
  • সৌমী আচার্য্য | 2405:201:8011:a0a9:21cd:10ca:4fa1:***:*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৭516248
  • আশ্চর্য হচ্ছি কেন পড়িনি ওনাকে? শ্রদ্ধা জানাই এমন লেখক কে। 
  • Subhadeep Ghosh | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৮516250
  • সশ্রদ্ধ প্রণাম সুবিমল মিশ্রকে। যথার্থ লেখা সুবিমলদাকে নিয়ে। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা করতে করতে নিজে প্রতিষ্ঠান না হয়ে ওঠা, এই দুরুহতম কাজটাই করে দেখেছিলেন সুবিমলদা। আর উনি বাংলায় লিখতেন, এটা বাঙলা ভাষা ও বাঙালি পাঠকের সৌভাগ্য।
  • | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৫516251
  • "আমি নিজে সুবিমলের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সহমত নই, তাঁর পথ আর আমার পথ আলাদা কিন্তু দূরে থেকেও আমি তাঁর লেখার অনুরাগী। "

    "সুবিমল মিশ্র যে গল্প একসময় লিখেছেন, তা আমাদের পাঠ অভ্যাসকে আঘাত করেছিল। যা কিছু আমাদের সাহিত্য বোধ, 
    তাকে শিকড় সমেত উৎপাটিত করে সুবিমল নতুন কথা নিয়ে এসেছিলেন। নতুনভাবে শুনিয়েছেন গল্প।" 

    খুবই যথাযথ মুল্যায়ন। অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। 
  • শিবাংশু | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৫516252
  • আন্তরিক, সৎ আর সাম্যময় মূল্যায়ণ। অমরদার নিজস্ব শৈলীতে। সুবিমল মিশ্রের লেখা পড়ছি বছর পঞ্চাশ। সেই 'হারান মাঝির...'-এর দিন থেকেই। বিহারের লোক বলে একটু বেশি গুরুত্ব পেতেন আমাদের থেকে। চমকেছি, বিস্মিত হয়েছি, শিখেছি, কিন্তু অবিরত একমত হতে পারিনি। এই বিশ্লেষণটি পড়ে ভাবলুম এতো যেন আমারই লেখা।  

    আমাদের ভাষায় আবাপের স্পর্শদোষ কীভাবে লেখালেখির জাত নির্ণয় করে আসছে গত পাঁচ দশক, তার কষ্টিপাথরের কাজ করতো সুবিমলদার গদ্য। হাজার প্ররোচনাতেও রাস্তা হারাননি বলে হয়তো বস্তুগত জীবনে অনেক কিছু হারিয়ে ছিলেন। এই মুহূর্তে প্রণাম জানানো ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। 
  • সঙ্ঘশ্রী সেনগুপ্ত | 2401:4900:1c01:61d4:c40f:dc1d:a269:***:*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৮516253
  • সুবিমল মিশ্রকে শ্রদ্ধা জানাই।বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে না লেখার কারণে তার লেখা কম পড়লেও,যেটুকু পড়েছি মনে থেকে গেছে। স্মৃতিচারণটিও চমৎকার লাগলো।
  • সন্তোষ বন্দোপাধ্যায় | 2401:4900:3145:5e62:0:54:55ed:***:*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০১516255
  • নমস্কার জানিয়ে বলি, কি অসাধারণ লেখা লিখেছেন !! মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কে স্মরণ করিয়ে দেয়! এভাবেই হারিয়ে যায় শিরদাঁড়া সোজা থাকা মানুষ গুলো। পড়ে ‌‌‌থাকে কতক মেরুদণ্ডহীন সাপ!! এ পৃথিবীতে!!
  • keya bagchi | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৬516258
  • আজীবন শিরদাঁড়া সোজা রাখা মানুষ টিকে প্রণাম।
  • সুতপন চত্তপাধ্যায় | 202.142.***.*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৭516260
  • খুব ভালো লেখা। আমাদের প্রথম সাহিত্য করার পত্রিকা করার গল্প চক্র করার সময়ে সুবিমল দা কে কফি হাউসে দূর থেকে দেখতাম অপার বিস্ময়ে। প্রবল শক্তিশালী কলম। প্রনাম। সুতপন
  • নাগরিক | 185.22.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫১516277
  • কালচার ইন্ডাস্ট্রির বিপক্ষে একা তিনি গভীর নির্জন পথ বেছে নিয়েছেন। এই নিশ্বাস নিতে না পারা গুলাগ সমাজে আজও একটা বিকল্প নাভি বা জল জমা রাস্তার দৈব নালা সুবিমল, যার মুখে কোনও পলিব্যাগ আটকে নেই। 
     
    https://nagorik.net/culture/literature/tribute-to-subimal-mishra/
  • Indra Mukherjee | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৭516281
  • হাড়মড়মড়ি কি ওনার লেখা? কোথায় পাওয়া যাবে কেউ জানাবেন? 
  • সীমা ঘোষ | 2405:201:a807:4813:b4c0:7beb:a5f7:***:*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৬516287
  • তাঁর চলার পথ ভয়ঙ্কর রকমের কঠিন,তবু, সহজ পথের কোনো হাতছানি তাঁকে বিচলিত করতে পারে নি । এ লড়াইয়ের মূল্যায়ণ সহজ নয় , আজকের নানা প্রলোভনে লেখকদের সহজ বিকিয়ে যাওয়ার দিনে তো বটেই।
  • Jayati roy | 2409:4060:e9f:a6be::554b:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৮516503
  • নমস্কার জানাই 
  • তাপস হালদার | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৫516677
  • সুবিমল মিশ্র কে নিয়ে লেখাটি খুবই মূল্যবান।
  • সঞ্জীব দেবলস্কর | 2405:201:a803:8153:dcae:1247:b62c:***:*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৪516845
  • একটা বই পড়েছিলাম তিরিশ বছর আগে , সুবিমল সুবিমলের বিরুদ্ধে'। এখনও সেই পাঠ অনুভূতি গায়ে কাঁটা দেয়।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন