'আমাদের দিনগুলিও অপূর্ণ, অপূর্ণ আমাদের রাত্রি, তবুও হাত ফস্কে জীবন চলে যায় যেন অকম্পিত ঘাসের মধ্যে একটি মেঠো ইঁদুর।' লিখেছিলেন এজরা পাউন্ড। জীবনের দিকে, এবং বারবার এই সন্ধেবেলায় নিজেদের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে সত্যিই অদ্ভুত ঘটনাহীন জীবন যেন নিস্তরঙ্গ দুপুরের উঠোন। পুকুরের বুক চিরে ব্যাঙাচি খেলার মত একটা করে ঢিল ছুটে যায় মাঝেমাঝে - সত্যিই কি জলের স্তর চিরে যায়? চেরে না। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন যেন ঐরকম, কত কিছু হয়ে যায় দাগ পড়ে না।
তবু সেইসব নিস্তরঙ্গ দিনগুলোর মধ্যে একদিন একটা বিপর্যয় ঘটে যায়। আমরা বোঝার আগেই একটা অন্য পৃথিবীতে গিয়ে পৌঁছুই। আর জেনে যাই - সময় দুইরকম হয়। বিপর্যয়ের আগে, আর বিপর্যয়ের পরে। 'যেমন অসত্য ছিল দীর্ঘ গতকাল, যেমন অসত্য হবে অনন্ত আগামী'।
আগামী তবুও আসবেই। আমরা তো আসলে মনে মনে জানি যে সেকেণ্ড ল' অফ থার্মোডায়নামিক্স বলেছে, যে টোটাল এন্ট্রপি কমতে পারে না, সময়ও শুধু সামনের দিকেই চলতে পারে। যেভাবেই সে যাক না কেন। তাই সেই ঘন্টা, মিনিট, সেকেণ্ড একদিন নরম করে দেবে এইসব যন্ত্রণা। তবে, কোথাও একটা ছোট্ট গর্ত থেকে যাবে বুকের ঠিক বাঁদিকে।
গর্ত, অথবা নিঝুম ডাকবাক্স। জানি না। তবে আমার সেই নিঝুম ডাকবাক্সে ঋতেনদার জন্য একটা চিঠি থাকবেই। ঋতেনদাকে লিখবো, যে না তুমি তো শালা কিছুই জানো না হে, আসলে নিউট্রন স্টার নয়, এক চামচ শোকের ওজন আসলেই পৃথিবীর সমস্ত জীবজগতের সমান-সমান পাল্লায়। এক রত্তিও কম-বেশি নয়।