এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  স্মৃতিচারণ

  • ঋতেন্দ্রনাথ

    যদুবাবু
    স্মৃতিচারণ | ২৪ মার্চ ২০২৫ | ৬৮৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • ঋতেনকে - ১ | ঋতেনকে - ২

    অলঙ্করণ: রমিত



    'আমাদের দিনগুলিও অপূর্ণ, অপূর্ণ আমাদের রাত্রি, তবুও হাত ফস্কে জীবন চলে যায় যেন অকম্পিত ঘাসের মধ্যে একটি মেঠো ইঁদুর।' লিখেছিলেন এজরা পাউন্ড। জীবনের দিকে, এবং বারবার এই সন্ধেবেলায় নিজেদের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে সত্যিই অদ্ভুত ঘটনাহীন জীবন যেন নিস্তরঙ্গ দুপুরের উঠোন। পুকুরের বুক চিরে ব্যাঙাচি খেলার মত একটা করে ঢিল ছুটে যায় মাঝেমাঝে - সত্যিই কি জলের স্তর চিরে যায়? চেরে না। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন যেন ঐরকম, কত কিছু হয়ে যায় দাগ পড়ে না।

    তবু সেইসব নিস্তরঙ্গ দিনগুলোর মধ্যে একদিন একটা বিপর্যয় ঘটে যায়। আমরা বোঝার আগেই একটা অন্য পৃথিবীতে গিয়ে পৌঁছুই। আর জেনে যাই - সময় দুইরকম হয়। বিপর্যয়ের আগে, আর বিপর্যয়ের পরে। 'যেমন অসত্য ছিল দীর্ঘ গতকাল, যেমন অসত্য হবে অনন্ত আগামী'।

    আগামী তবুও আসবেই। আমরা তো আসলে মনে মনে জানি যে সেকেণ্ড ল' অফ থার্মোডায়নামিক্স বলেছে, যে টোটাল এন্ট্রপি কমতে পারে না, সময়ও শুধু সামনের দিকেই চলতে পারে। যেভাবেই সে যাক না কেন। তাই সেই ঘন্টা, মিনিট, সেকেণ্ড একদিন নরম করে দেবে এইসব যন্ত্রণা। তবে, কোথাও একটা ছোট্ট গর্ত থেকে যাবে বুকের ঠিক বাঁদিকে।

    গর্ত, অথবা নিঝুম ডাকবাক্স। জানি না। তবে আমার সেই নিঝুম ডাকবাক্সে ঋতেনদার জন্য একটা চিঠি থাকবেই। ঋতেনদাকে লিখবো, যে না তুমি তো শালা কিছুই জানো না হে, আসলে নিউট্রন স্টার নয়, এক চামচ শোকের ওজন আসলেই পৃথিবীর সমস্ত জীবজগতের সমান-সমান পাল্লায়। এক রত্তিও কম-বেশি নয়।

    ---

    ঋতেনদার সাথে আমার আলাপ ২০০৩ সালের আগস্ট মাসের কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে। আমাদের বিস্ট্যাটের ক্লাস শুরু হয়েছে সেদিন, লাঞ্চব্রেকের আগেই অমর্ত্য দত্তর ক্লাসে গ্যালোয়ার টাওয়ার অফ ফিল্ড-টিল্ড শুনে তখন কান দিয়ে ধোঁয়া-টোঁয়া বেরোচ্ছে, এই অবস্থায় ক্যান্টিনের রাস্তায় আকর্ণবিস্তৃত নিষ্পাপ হাসি মেখে একজন ভালোমানুষ গোছের দাদা এগিয়ে এলেন। ঋতেনদা।

    ঋতেনদার তখন থার্ড ইয়ার। আমাদের ফার্স্ট। তো সেই অর্থে আমরা ক্লাসমেট নই, বরং গ্লাসমেট বললে খুব অত্যুক্তি হয় না। যারা জানে তারা জানে, আমাদের সেই পাপবিদ্ধ আঠেরো-কুড়ির অলৌকিক ছাদপার্টিতে নান্দীপাঠ অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট'স স্পিচ দিতেন ঋতেন মিত্র।

    তো সেই গ্যালাখ্যালার রাত্রিদিন থেকে এই দুঃস্বপ্নের গত সপ্তাহ অব্দি আমাদের চেনাচিনির দৈর্ঘ্য নয়-নয় করেও প্রায় বাইশটি বছর। আমিও পাশ-টাশ দিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে এই অবক্ষয়ী পশ্চিম দিগন্তে এসে ছাত্র চরানো আর পেপার ছড়ানোকেই জীবনের ব্রত জ্ঞান করেছিনু, ঋতেনদাও তাই। আমাদের দুজনের-ই রিসার্চ এরিয়া বেইজিয়ান মেথোডোলজি, তার মধ্যেও খুব-ই কাছাকাছি জিনিষের কাজ। তাই কনফারেন্সে আমরা একসাথে সেশন করেছি - একসাথে কাজ করবো বলে বিভিন্ন পেপার চালাচালি করে ঠিক করেছি যে আগে ভালো করে, মানে সত্যিকারের ভালো করে সবক’টা পেপার পড়ে ফেলা যাক। তারপর একটা জম্পেশ কাজ নামানো যাবে। সে অবশ্য আর করা হয়ে ওঠেনি।

    এই কনভেয়ার-বেল্টে মাস-প্রোডিউসড পেপারের বাজারে একদিন ঋতেনদাই আমাকে দুম করে বলেছিল, একটা সাব-সাব-সাব টপিক খুব ভালো করে পড়ে ইমবাইব করাটাও একটা কন্ট্রিবিউশন। আর বলেছিল যে একটা বিস্তৃত ফিলোজফিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তয়ের করতে হবে প্রথমে, চিন্তাভাবনার একটা বড়ো পরিসর, সেখান থেকে আস্তে আস্তে ডিটেইলসে যেতে হবে। সব-ই হাঁ করে শুনেছি, তারপর বেমালুম ভুলে ছাপাখানার ভূতের মত গাদা পেপার লেখায় মন দিয়েছি।

    তবে, একাডেমিক এটাসেটা আসলে এপসাইলন। ঋতেনদার সাথে আমার একটি গুরুতর পরিচয় আছে। আছেই লিখি কারণ ছিলো-তে অভ্যস্ত হতে এখনো বহু-বহুদিন সময় লেগে যাবে। গুরুচণ্ডা৯-তে আমাকে নিয়ে এসেছিল ঋতেনদাই। গুরুর থেকেই বই বেরুলো যখন, তার অসামান্য ভূমিকাটাও লেখা ঋতেনদার-ই। 'আমরা একত্রে আছি বইয়ের পাতায়।'
    প্রায়ই গুরুর-ই ১০৮-টা বিভিন্ন হোয়া-গ্রুপে আমরা খিল্লি করতাম, কখনো মৃদু পিএনপিসি, গোপন কেচ্ছা। আমি ঠাট্টা করে বলতাম ঋতেনদার নিশ্চয়ই একটা এ্যাই ফিল্টার লাগানো আছে, কোথাও কুচ্ছো কীওয়ার্ড দেখলে একটা বৈদ্যুতিক শকওয়েভ ছুটে যায় লুইভিলের আইভরি টাওয়ারের চূড়ায়। শেষদিন অব্দি সেইসব খিল্লি করে গেছি - ঋতেনদা বলেছে জ্যোতিষ্ক আর সুনন্দ ভালো ছেলে, আর আমি বলেছি না না আমরা তো সিক্রেটলি গাছহারামি।

    খিল্লিই ঋতেন্দ্রনাথের অন্য নাম। খিল্লি আর সেই ফ্যাচফ্যাচ করে হাসি। যেরকম হাসি শেষ হেসেছিলো সেই হযবরল'র বেড়াল। এই যে এখন ঋতেনদা আর নেই, আমি জানি, আমি ঠিক জানি শালা মেঘের উপরে মেঘের ওপারে কোথাও অলক্ষ্যে বসে ফ্যাচফ্যাচ করেই হাসছে। একবার ঋতেনদার বাওয়ালি-স্পৃহা দেখে পদ্য লিখেছিলাম,
    "অতর্কিতেই ফেসবুক জুড়ে কোন্দল লাগে কী বিচিত্র।
    নতুন একটা বাওয়ালি করতে মাঠে নামলেন ঋতেন মিত্র।"

    এই বছর দুই কি তিন আগে, আমি ব্রিগহ্যাম ইয়াং ইউনিতে যাচ্ছি একটা টক দিতে। একদম উত্তুরে উটাঃয়। চার্চ অফ জেসাস ক্রাইস্ট অফ লেটার-ডে সেন্টস অর্থাৎ মরমন-দের রাজ্য। যেতে যেতেই সার্চ করে জানতে পারলাম যে মর্মনরাজ্যে কফিটাও পাওয়া যায় না। একটু রুষ্ট হয়ে সেই কথাটা ঋতেনদাকে বলতেই, ঋতেনদা হাঁহাঁ করে উঠে বললো না না ওরা খুব উপকারী প্রাণী। ঋতেনদা টেক্সাসে পোস্টডক করার সময় একবার নাকি বাড়িতে অনেক সুন্দরী মর্মন এসে অনেক সাহায্য-টাহায্য করে দিয়েছিল। সেই ঘটনায় আপ্লুত হয়ে ঋতেনদা সেই সন্ধ্যেতেই একটি স্বরচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত-ও লিখেছিল, "আজি মরমন-ধ্বনি কেন বাজিল রে!" (সুর প্রচলিত।)

    তবে উইটি লোকের উইট কি শুধুই খোঁচা দেয়? মলম লাগায় না? মোট্টেই না। সেই সেকেণ্ড বা থার্ড ইয়ারের-ই গপ্পো। আমি সেমিস্টার পরীক্ষায় খুব-ই ধেড়িয়েছি। ঋতেনদা আমাদের কয়েকজনকে মদ খাওয়াতে নিয়ে গেলো। গিয়ে বলল ঐ স্যারের নামে একটা থিওরেম আছে, ডিপিএসজি থিওরেম, সেটা বলে যে পড়াশুনো, নম্বর, আর প্রশ্নের ডিফিকাল্টি - এই তিনটে মিউচুয়ালি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তবে হ্যাজ আর নম্বর প্রোপোর্শনাল, তাই না জানলেও কিছুটা হ্যাজ লিখলে ডিপিএসজি দয়াপরবশ হয়ে অল্প নম্বর দিয়ে দেন। চট করে স্ট্যাটিস্টিকাল ইন্ডিপেন্ডেন্স আর পরীক্ষায় সাফল্যের চাবিকাঠি - দুটোই বশ হয়ে গেলো।

    অবশ্য ইন্ডিপেন্ডেন্সের লজিক লাগিয়ে ফ্রেঞ্চ-ও শিখতে উদবুদ্ধ করেছিলো ঋতেনদা। বলেছিল সহি আঁতেল হ'তে গেলে একটু ফরাসী আবশ্যক। খালি শেখার সময় মনে রাখতে হবে, সে ভাষার বানান আর উরুশ্চারণ ইনডিপেন্ডেন্ট।

    অবশ্য আজীবন বামপন্থী (তাও আবার অসিপিএম বাম) মানুষের এইসব টোটকা একটু লাগে। ভোটের ফলের আগের দিন হেব্বি-হেব্বি সব প্রেডিকশন আসছে এবার সিপিএম গোটা দশের সিট নামাবেই নামাবে। ঋতেনদা শুনে-টুনে বললো দ্যাখ আমরাও পরীক্ষার ছড়িয়ে এলে বাড়িতে এসে বলতাম দারুণ দিয়েছি। অন্তত রেজাল্ট না বেরুনো অব্দি শান্তি!

    ---

    ঠাকুমা-ঠাকুরদার গল্প শুনেছি ঋতেনদার কাছে। অথচ, সেই ঠাকুমাই যে স্বয়ং ইলা মিত্র সে কথা জেনেছি অনেক অনেক পরে। নাঃ, ঋতেনদা বলেনি, বলেছে অন্য কেউ। পড়েওছি তারপর। অসামান্য একটা ব্লগ-পোস্টে। যে ইলা মিত্রর কথা শুনেছি কোন ছোটোবেলায়, যাকে নিয়ে লেখা কবিতা, গান শুনেছি, শিউরে উঠেছি ইতিহাস পড়ে - সেই তিনিও একজনের, খুব চেনা একজনের ঠাকমা। জোর করে সক্কাল-সক্কাল ঘুম থেকে তুলে সাঁতার কাটতে নিয়ে যাওয়া, আর দৌড়ে মিনিবাসে উঠে পড়া ঠাকমা।

    ঋতেনদার সেইসব লেখা পড়তে পড়তে একাধিকবার মনে হয়েছে এই লোকটা স্ট্যাটিস্টিক্স না পড়ে শুধু মন দিয়ে বাংলা বা ইংরেজি যে কোনো একটা ভাষায় মন দিয়ে লিখলেও বিখ্যাত হয়ে যেতো।

    আর পড়েছি অজস্র খুচরো ফাজলামো করা লেখা, বেনামে, ছদ্মনামে লেখা সব ভয়ঙ্কর মজার টইপত্তর - গুরুতে। সৃজন সমাদ্দার নামে লেখা 'দোল ইন্টারন্যাশনাল' এখনো দুম করে খুলে পড়লে যে কোনো গোমড়া দিনে দিল তর হয়ে যেতে বাধ্য। আর ঋদ্ধি নামে সেই যে সব অসামান্য সিনেমালোচনা?

    বাইশে শ্রাবণের সেই বিখ্যাত টইতে রাইমা সেনের বর্ণনা, "খারাপ অভিনেত্রী নয়, মিষ্টি হাবভাব , তবে ঐ হাফ পরোটা ভর্টিকালি ইলোঙ্গেট করে সেন্টারে দুটো মুর্গির ডিমের মত চোখ ফিট করা মুখে আর কত ভিন্ন এক্সপ্রেশান আসবে? ঐ নেকু নেকু মিষ্টি কাটিং ছাড়া?" এই এতো বছর পরেও, এখনো টিভি কি বড়পর্দায় রাইমাকে দেখলেই এই একটি লাইন মনে পড়লেই আমিও ফ্যাচফ্যাচ করে হাসি - সে দৃশ্য যতোই বিয়োগান্তক হোক না কেন।

    না হাসলে অবশ্য মুশকিল। আমাদের কোথায় যেন একটা গ্রুপ ফোটো উঠেছিল গোমড়া মুখে। সবাই এদিক-ওদিক তাকিয়ে। কারুর মুখে হাসি নেই। ঋতেনদা দেখে সখেদে বলেছিল, এ যেন মৃণাল সেনের সিনেমার প্রতি পারফেক্ট ট্রিবিউট। ব্লীক, ডিপ্রেসিং, অন্ধকার, সবাই বিষণ্ণ এবং মরকুটে। এ কী বিশ্রী ব্যাপার!

    ---

    মরকুটে তাই থাকবো না ঋতেনদা। খিল্লি করবো গুছিয়ে। দুপুরবেলা গাছের তলায় বসে হারিয়ে ফেলবো চাবি আর ল্যাপটপ। আনমনে হাঁটবো পড়ন্ত বিকেলের কালভার্টে। জীবনটাকে ফুঁকে দেবো বেমালুম।

    একদিন তবে দেখা হবে ঠিক-ই। কোনো এক রাত্রির পারে অলৌকিক ভোরের ছাদে। আপাততঃ সেই দিনের উদ্দেশ্যে, 'উল্লাস কমরেড!'





    আমি, ঋতেনদা, ঈপ্সিতাদি, অর্পিতাদি, আর শান্তনুদা। কোনো এক চায়ের আড্ডায়।



    সিয়াটলের কনফারেন্সে আমি, সাদাগু, অর্ণব-দা আর ঋতেনদা। এই ছবি দেখে সৈকতদা জিজ্ঞেস করেছিলো, "তোমাদের কী খাঁচায় ভরে রেখেছিল?"

    ঋতেনদা (ছবিটি তোলা অনিরুদ্ধ নিয়োগী, ওরফে নিও-দা'র)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    ঋতেনকে - ১ | ঋতেনকে - ২
  • স্মৃতিচারণ | ২৪ মার্চ ২০২৫ | ৬৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:240d:c010:2035:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৬541887
  • 'হঠাৎ করেই আকাশ হানল বিদ্যুতময় আলোকচিত্র 
    নতুন একটা কবিতা পড়তে উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র'
     
    - মনে পড়িয়ে দিলে। 
     
    'মরকুটে তাই থাকবো না ঋতেনদা। খিল্লি করবো গুছিয়ে। দুপুরবেলা গাছের তলায় বসে হারিয়ে ফেলবো চাবি আর ল্যাপটপ। আনমনে হাঁটবো পড়ন্ত বিকেলের কালভার্টে। জীবনটাকে ফুঁকে দেবো বেমালুম'
     
    yes
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:১৯541891
  • অতীব দুঃখের যে, আলাপ হল না। আমার এখান থেকে বেশি দূরেও না, তাও হয়নি।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৫ মার্চ ২০২৫ ০০:২৭541896
  • বেশ লাগলো। 
     
    ঋতেন মিত্র‍কে (ঋতেন মিত্র কে?) জানতাম না। কদিন আগে তাঁর অসময়ে ভবলীলা সাঙ্গ হ‍ওয়ার খবর এখানে‍ই জানলুম। এ লেখা পড়ে তাঁর সম্পর্কে কিছু ধারণা হোলো। সেই প্রেক্ষিতে এই স্মৃতি‍চারণের আঙ্গিক ভালো লাগলো। 
     
    সিয়াটলের গ্রুপ ছবিতে মনে হচ্ছে ওনার ডাকবাক্স আধখোলা। তবে পোষ্টডক করলেও হয়তো উনি ছিলেন আমুদে, আপনভোলা টাইপ - তাই থাকতেই পারে খোলা - তাতে এখন সুদূর ছায়াপথে থাকা ঋতেনদার কাছে উড়ে আসবে ধরা থেকে জ্যোতিষ্কর চিঠি - অলৌকিক ইথার বাহিত হয়ে - উনি সেসব পড়ে মেঘের ওপার থেকে হাসবেন মিটিমিটি অথবা ফ্যাচফ্যাচ করে। 
     
    আলোকচিত্র দেখে রমিতকৃত ঋতেনদার চিত্রায়ন খাসা লাগলো। 
  • Somnath | ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৭541901
  • গুরুতে ঋতেনের প্রথম নিক ছিল Netai
    সে অবশ্য  দেড় দশক আগের কথা।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৫ মার্চ ২০২৫ ১০:৫১541905
  • রমিতলান, 
     
    তখন ভ্রমণপথে চলার কালে আপনার পাঠানো লিংকটার লেখাটি পড়েই জেনেছিলাম ঋতেন মিত্র নামে গুরুর সাথে প্রথম থেকে যুক্ত একজন অকালে চলে গেলেন। ঋতেন মিত্রর মতো এমন অজাতশত্রু, অনেকের মিত্র গোছের চরিত্র আমি আমার জীবনে খুব কম দেখেছি। 
     
    তখন ঐ লেখা‍য় কোনো মন্তব্য করিনি। আজ করলাম নিম্মোক্ত মন্তব্য।
     
     
    "সব কিছু ছাপিয়ে ঋতেন সকলের খুব প্রিয় ছিল .... এমনকি যার মতের সঙ্গে ঋতেনের যথেষ্ট পার্থক্য থাকত, ঋতেন তারও পছন্দের তালিকায় ঢুকে পড়ত।"
     
    এটি একটি দূর্লভ চরিত্র বৈশিষ্ট্য .... অধিকাংশ সময়ই সহজাত.... চেষ্টা করে এটা আত্মস্থ করা যায় কিনা জানি না.... খুব কম জনের মধ্যেই দেখা যায়। 
  • --- | 2405:8100:8000:5ca1::1ee:***:*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ১১:১৬541906
  • প্রথম নিক নেতাই শেষ নিক তানিম মাহবুব রাজু।  গোটা ব্যাপার মিলোলে অসুস্থ মানুসিকতা
  • Ranjan Roy | ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৭541916
  • ঋতেন মিত্রই নেতাই? মানে গুরুর জন্য  নিবেদিত প্রাণ রুবি- নেতাই? ওনার সঙ্গে কাবলিদার বাড়িতে এবং গুরুর স্টলে  পরিচয় হয়েছিল মনে পড়ছে, বিশেষ করে দিলখোলা হাসিটি!
    পরে ঋদ্ধি নামে উনিই লিখতেন?
     
    পছন্দ হত, তর্ক বিতর্কও হত।
     
    লেখার মধ্য দিয়ে যা জানলাম তাতে বুঝলাম ওনাকে ঠিকমত চেনা হয় নি।
     
    আর সে সুযোগ পাব না।
  • π | ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫৩541917
  • না তো নেতাই, না তানিম। একটু জেনেশুনে স্ল্যান্ডারিং এ নামতে হয় তো। 
     
    ঋদ্ধিমান লায়েক,  ঋতেন। 
  • r2h | 208.127.***.*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৪541918
  • এগুলি কী ধরনের ছ্যাবলামি চলছে বুঝতে পারছি না। অত্যন্ত বিরক্ত লাগলো কমেন্টগুলি পড়ে।
  • r2h | 208.127.***.*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৫541919
  • মানে, মাঝে মাঝে স্থান কাল বুঝে হ্যাজ কন্ট্রোল করলে তো এমন কিছু অসুবিধে হওয়ার কথা না। আজব সব লোকজন জুটেছে।
  • π | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৮541920
  • ভবলীলা সাঙ্গ!  সমরেশবাবু, কী আর বলি।
    এত খারাপ লাগার মধ্যে বিরক্তির ফাউ জুটছে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২১:১০541921
  • ভবলীলা সাঙ্গ কথাটা দেখে থমকে থ হয়ে রইলাম। খুব খারাপ লাগল। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২১:১২541922
  • মূল লেখাটির জন্য ধন্যবাদ জানাই। ঋদ্ধিমানের সেই হাফ পরোটাকে ইলঙ্গেট করার ব্যাপারটা তো রীতিমতন অমর হয়ে গেছে। সেই অভিনেত্রীকে দেখলেই মনে পড়ে।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৫ মার্চ ২০২৫ ২২:২৩541924
  • "ভবলীলা সাঙ্গ" শব্দবন্ধ‍টি যে বিদ্রুপাত্মক, বিরক্তিকর এবং দেখে থমকে থ হয়ে যাওয়ার মতো - এতদিন তা জানতাম না। আজ জানলাম। ঋতেন মিত্রর কিছু প্রসঙ্গ যদুবাবুর লেখায় পড়ে অকাল প্র‍য়াত একটি অচেনা মানুষ সম্পর্কে সজ্ঞানে কোনো অসম্মানজনক কথা লিখেছি বলে ভাবিনি। তবু এখন এসব মন্তব্য পড়ে জানাই - ওনার প্রিয়জনদের মনে দুঃখ দেওয়া‍র জন্য মার্জনা‍ প্রার্থী। 
  • :|: | 2607:fb90:bd89:4ace:6c57:6fa5:c0b6:***:*** | ২৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৭541928
  • এই পাতায় যিনি ঋদ্ধি নামে সাড়ে সাতটা নাগাদ কিছু বক্তব্য রেখেছেন তিনিই কি ঋদ্ধিমান লায়েক? 
  • শেখরনাথ মুখোপাধ্যায় | 117.199.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২৫ ১০:১২541937
  • আমার স্ট্যাটিস্টিকাল ফাণ্ডা - আমার, হ্যাঁ এমনকি আমারও - যতটুকু আছে তাতে বোঝা গেল ঋতেনদা আমার নী-ক্যাপের চেয়েও বয়েসে ছোট। তবুও এক লহমায় ফ্যান হয়ে গেলুম। আর, এ-কথাও মানলুম যে সাহিত্য এবং ভাষা চর্চা কিঞ্চিৎ লোস্কান নিশ্চিত করেছে এ-ভদ্রলোকের বেমক্কা রাশিবিজ্ঞানে ভিড়ে যাওয়ায়! রাশি রাশি পাতা গদ্যপদ্য জন্মাবার আগেই আ্যবর্টেড! 
     
    স্মৃতি থেকে দু-চার পিস ছাড়লে বাধিত হই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন