(খড়গপুর বইমেলা স্মারকসংখ্যা ২০২৩)-এ প্রকাশিত১৯৪৮ সালের ২৬শে জানুয়ারি, গান্ধীজি তাঁর বক্তৃতায় বলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের দিশারী হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের যে সাংগঠনিক প্রাসঙ্গিকতা ছিল, তা ফুরিয়েছে। জাতীয় কংগ্রেসকে ভেঙে দেওয়ার সময় এসেছে। কংগ্রেসকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যা তাঁরা সারা দেশের সাতলক্ষ গ্রামে ছড়িয়ে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নের কাজে নামুক। অধ্যাপক নির্মল কুমার বসুর ‘মাই ডেজ উইথ গান্ধী’ বইয়ে এই বক্তৃতার চুম্বকসার পাওয়া যায়। এইখানে অধ্যাপক বসু একটা আশ্চর্য বিষয়ের প্রতি নজরটান দেন- তা হল, এই সাতলক্ষ গ্রাম তো স্বাধীন ভারতে নেই। তা ছিল পরাধীন ব্রিটিশ ভারতে, অর্থাৎ, ভারত ও পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তান ব্যাপী সমস্ত গ্রামের উন্নয়নে কংগ্রেসকর্মীদের অংশগ্রহণের কথা গান্ধীজি বলেছিলেন, স্বাধীনতার পরের প্রথম ২৬শে ... ...
পনের বছর ধরে সিংগুর নীতি আঁকড়ে থেকে, নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতার ভার 'নিচুতলার' একশ্রেণির কর্মীর ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে সিপিএম ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন এবং পরে বাংলার রাজনীতিতে অকিঞ্চিৎকর হয়ে উঠল। এই নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ মুখ তুলে আনলেও, তাদের প্রায় সকলেই সিপিএমেরই নেতা-কর্মীরই বাড়ির সন্তান। তার বাইরে নতুন প্রজন্মের কাছে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। এমন কী নতুন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এরকম কোনও দিশাও দেখাতে পারে নি দল। এই নির্বাচনে সিপিএমের সম্পূর্ণ ডেসিমেশন বিভিন্ন সামাজিক পরিসর ও মিডিয়াতেও তাদের গুরুত্বহীন করে তুলবে। এই প্রেক্ষাপটে আশি বছরের বামপন্থী, কমিউনিস্ট রাজনীতির পরিসরে এক বিশাল শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যদি ধরে নিই বিভিন্ন কারণে দেশের গরিব মানুষের সংকট ... ...
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গেলবারের মতন এইবছর বাড়িতে আটকে থাকার পরিস্থিতি নয়। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন তা পুনর্মূল্যায়ণের দরকার মনে করছেন নিশ্চয়ই। বিশেষতঃ চারদিক থেকে মাস্ক পরা নিয়ে এত সতর্কবার্তা আসছে, তাই আসুন, আমরা আরেকবার দেখে নিই- কী পরবেন, কেন পরবেন, কীভাবে পরবেন? ... ...
শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন ... ...
Somnath Roy আপনি দেশপ্রমী না কানহাইয়া কুমার? ... ...
Somnath Roy আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ টোকিওয় টোকাটুকি ... ...
প্রায় অনুদ্যাপিত ভাবে গতকাল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী চলে গেল। বাংলা তথা ভারতের রাজনীতিতে এক প্রকৃত ধূমকেতু ছিলেন চিত্তরঞ্জন, যিনি নিজের স্বল্পায়ু রাজনৈতিক জীবনে দেশের ইতিহাসের গতিধারা পাল্টাতে পেরেছিলেন। গত বইমেলায় আকস্মিকভাবে দেশবন্ধুর রচনাসমগ্র খুঁজে পাই অরুণা প্রকাশনীর স্টলে। এর আগে তাঁর লেখাপত্র পড়িই নি। চিত্তরঞ্জনের চিন্তাভাবনায় কিছু নতুন বিষয় ছিল, যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। ... ...
নূরনবী হজরত বাঁকা শ্যামরায় / কেউ যায় মথুরায় কেউ মদিনায় ... ...
বিদ্যাসাগরপুজোর হিড়িকে আমরা যেন ভুলে না যাই তাঁর প্রায় একশ বছর আগে রামপ্রসাদ সেন বাংলাভাষায় যে পদগুলি রচনা করেছিলেন, তার সঙ্গে আজকের লিখিত বাংলার ফারাক সামান্যই। এবং তাঁর বহু পদ বরিশালের মাঝিমাল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগুপ্ত কবিকাহিনিতে ছাপিয়েছিলেন। তবে রামপ্রসাদী বাংলা যাকে বলে যবনীমিশেলযুক্ত, যে বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদূরিত করার ইচ্ছে অনেকে আজ প্রকাশ করছেন।আরও ইন্টারেস্টিং দীনেশচন্দ্র সেন বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থে চৈতন্যসাহিত্য থেকে কিছু বাংলা গদ্যের নমুনা দিয়েছেন, যেগুলি প্রায় পাঁচশ বছর আগে রচিত। পাঠক পড়লে দেখবেন, সেই অর্বাচীন বাংলায় কত প্রাঞ্জল গদ্যরচনা হত।বাংলাভাষার আগের অর্জনগুলি ভুলে/ না জেনে জপেনদার মতন শুধু বিদ্যাসাগরচর্চা করলে আমরা একটা বড় প্রশ্নের ... ...
চলমান পরিস্থিতিতে সাভারকর পড়া/ আবার পড়া দরকার মনে হল। হিন্দুত্ব বস্তুত খাজা বই। উল্টোদিকে ১৮৫৭- প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের বইটা অসামান্য। পড়তে পড়তে বস্তুত রক্ত ফোটে। এবং এই বইয়ে তিনি সর্বতোভাবে হিন্দু-মুসলিম কোলাবরেশনের পক্ষপাতী। ১৮৫৭ থেকে হিন্দুত্ব সাভারকরের যাত্রাকে বোঝা দরকার। ... ...