এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মরফিন

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ জানুয়ারি ২০২০ | ২১৩১ বার পঠিত
  • একুশতলার বারান্দায় অন্ধকার ভরা।  বাড়িতে ঘন্টা দেওয়া ঘড়ি নেই, না হলে হয়ত অনেক আগেই শুনতে পেতাম বারোটা ঘন্টা কিংবা কোন সিম্ফনীর ভাঙ্গা টুকরো।  সেই শব্দ পালটে নিতে পারতাম আবার পাখির ডাকে, সমুদ্রের ঢেউয়ে।  কৃত্রিম ঢেউয়ের শব্দে আমার আলাদা কোন ভালো লাগা ছিল না ততদিনে, তুমিও তো বেশী আপন করে নিয়েছিলে সেই অন্য বাইরের বারান্দায় নোনা বাতাস, লবণাক্ত স্বাদ।  সমুদ্র থেকেও বহুদূরে আমাদের সেই লবণাক্ত স্বাদ - রাতের ঘড়ির ঘণ্টায় মিশে যাওয় কত স্বাদকোষ, জিহ্বার কোণ দিয়ে মুছে নেওয়া স্বচ্ছ কেলাস।   

    এই বারান্দা থেকে বাড়ি দেখতে পাই না, আস্ত গোটা বাড়ি।  ঘর দেখি, এই ঘরকে ওরা বাড়ি বলে, আমি দেখি ঘরের সারি, বেশীর ভাগই না হয়ে ওঠা বাড়ি,  – অসম্পূর্ণ।   কাল সকালে আবার কাজের দিন, আলো নিভে এসেছে প্রায় সব খানেই।  একদম আশে পাশে কেউ নেই, দূর থেকে দেখা যায় না ঘরের মৃদু আলো, মিশে গ্যাছে যা রাতের সাথে।  অলস ভাবে আকাশের চাঁদ খোঁজার চেষ্টা করি, এই বারান্দার উত্তর দিক কোনটা? ঘাড় ঘুরিয়ে চাঁদ ঘুঁজতে গিয়ে চোখ আটকে যায় এক ছোট জানালায়।  ঝাপসা কাঁচের আলোর ওদিকে ওটা কি বাথরুম? সেই আলো নিভে আসে ক্রমে, তার পাশের বড় জানালাটা কেউ এসে ঢেকে দেয় – এবার জ্বলে উঠবে হয়ত মৃদু আলো। এর পরের গল্প হয়ত চেনা – এবার আমি আকাশের চাঁদ খুঁজি

    সকাল আরো কাছ এগিয়ে আসে, বিছানায় যাওয়া জরুরী, কাল সকালে মিটিং আছে।  ঘড়িটা ড্রয়ার থেকে টেনে বের করতে গিয়ে চোখ পড়ে যায় সেই মরফিন প্যাচ্‌-গুলোর প্যাকেটে। এখনো রয়ে গ্যাছে এরা? বেশ কয়েকটা প্যাচের প্যাক দেখলাম, হাত দিয়ে সরিয়ে আরো পেলাম মরফিন ট্যাবলেটও।  মনে পড়ে গেল সেই ক্যানাল রোডের দোকান থেকে কেনা – সাথের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনটা এগিয়ে দিয়েছিলাম, সেটা শুধু মরফিনেরই জন্য।  ওরা আবেগহীন আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দেয় যন্ত্রণা – এই ডাক্তারের হাতের লেখা খুব সুন্দর, কালি পেনে লিখেছে। আমিও পড়ে নিতে পারি, ডাক্তার লিখে দিয়েছে চাইলে মাস দুয়েকের জন্য স্টক করে নিতে পারি মরফিন প্যাচ এবং ট্যাবলেট।  ওরা প্যাচ এনে দেখায়, আমার চোখ চলে যায় ছোট ছোট ট্যাবলেটে। কেমন প্রশান্তি এনে দেবে এরা?

    স্টক করে নিই – বেশ কয়েক পাতা প্যাচ আর অনেক মরফিন ট্যাবলেট।  ওরা আবারো কৃত্রিম হাতে ঢুকিয়ে রাখে ড্রায়ারে ডাক্তারের কালি পেনের লেখা।  সব প্যাচ আজে আসে নি, শেষ হবার সময় পায় নি সব ট্যাবলেটেও – ভুলেও গিয়েছিলাম এদের কথা।  ড্রায়ার খুলে হাত বুলিয়ে নিই প্যাচ গুলোতে, আর লালচে মোড়কের ট্যাবলেটে।  ততদিনে গুগুলে জানা হয়ে গ্যাছে এদের কাজ, প্রতিক্রিয়া তোমার শরীরের উপরে সম্ভাব্য।  কিন্তু আমার? একটু দূরের বারান্দার পাশের ঘরের মৃদু আলো, ঢেকে দেওয়া জানালা কেমন যেন ঘোর লাগিয়ে দেয় – এক হাতে প্যাচ আর অন্য হাতে ট্যাবলেটের পাতা নিয়ে বেরিয়ে আসি আবার বারান্দায়।

    কেউ তো দেখার নেই এই আঁধারে, ছুঁইয়ে পরা চাঁদের আলো বিহীন এই বারান্দা।  গেঞ্জীটা ঘুলে ফেলি, ডান হাত দিয়ে বুলিয়ে নিই বুকের বাঁদিকটা, যেখানে হাড়ের পিছনে কম্পন থাকার কথা।  আমারও বুক নির্লোম প্রায়, এইবারে কোন উঁচুনিচু পায় না আমার হাত, ডান হাত দিয়ে হৃদপিন্ডের উপরেই বুলাতে থাকি আঙুল।   মধ্যমায় জড়ানো আঙটি কেমন ঠান্ডা হয়ে গ্যাছে, হালকা শিরশির করে ওঠে বুকের ত্বক আঙটি্র স্পর্শ পেয়ে।  কত সময় কেটে গ্যাছে বুঝতে পারি না – একটু ঠান্ডা লাগছে বাইরের বাতাসে এই একুশ তলায়।  হাতের মঠোয় ধরে থাকা মরফিন প্যাচটা খুলি – কেমন করে লাগাতে হয় সে বড় চেনা, আলোর দরকার হয় না, অভ্যস্ত হাতে বুকের ঠিক একই জায়গায় এঁটে দিই প্যাচটা।  আবারো আকাশের চাঁদ খুঁজি, একদম তেইশ তলার উপরে হেলিপ্যাডের পাশে জ্বালিয়ে রাখা লাল আলোটা জ্বলতে নিভতে দেখি।  এই ভাবে জ্বলতে নিভতে থাকা লাল আলোও বড় চেনা, আমি সেই সাথের আরো চেনা শব্দ কান পেতে শোনার চেষ্টা করি – কিন্তু এখানে শুধুই নিভৃতি। 

    জানি কতক্ষণ অপেক্ষা করার কথা – প্যাচে হাত বুলাই, এইবার কমবে।  যন্ত্রণা খোঁজার চেষ্টা করি প্যাচের জন্য, মরফিনের জন্য – গহীন ভাবি, এই তো মনে হচ্ছে কেমন মোলায়েম হয়ে আসছে সব। পায়ে হাত বুলাই, কদিন আগে ফুটবল খেলা লব্ধ ফুলে থাকা জায়গার ব্যাথা কি ক্রমশ মনে আসছে? এখন অনেক অনেক রাত – যে ঘুম পাচ্ছে সেটা কি মরফিনের জন্য? আমি তো এই সময়ে এমনই ঘুমিয়ে পড়ি – ভাবতে ভাবতে বিছানায় গা এলিয়ে দিই।

    মরফিন প্যাচের সংখ্যা কমে আসে – আর একটু করে চাঁদ সরে যায় বারান্দার দিকে।  আমার পায়ের ব্যাথা তত দিনে ভালো হয়ে গ্যাছে – এতো তাড়াতাড়ি? বাহ মরফিনের এফেক্ট তো তাহলে ভালো, সামনের ম্যাচ খেলার জন্য আমি প্যাচ লাগিয়ে যাই গভীর রাতে।  বুকের উপরে ঠান্ডা আঙটির ছোঁয়া লাগে এই এখনো। অথচ এই আঙটি পরে থাকার আর কোন মানে হয় না, কেউ তো অনুযোগের নেই, নেই তো কেউ সংস্কার মনে করিয়ে দেবারও।  মরফিন প্যাচের সাথে আঙটি কথা বলে, চাঁদ নেমে আসে মৃদু আলোর পর্দার উপরে।  ভিতরের মৃদু আলো আড়াল করে দেয় একঝাঁক  মেঘের ফাঁক থেকে উঁকি মারা ভোর রাতের চাঁদ।

    আর কয়টা প্যাচ রয়ে গ্যাছে? শুয়ে শুয়ে সিলিং-য়ের দিকে তাকিয়ে ভাবি – সিলিংয়ের রঙের নাম ‘মুনলাইট’, তোমার পছন্দের কেনা।  মাথার দিকের দেওয়াল কোন এক পীচ রঙের শেডের, মনে করার চেষ্টা করি সঠিক কালার কোড।  কিছুতেই মনে আসে না! ডান হাত বুকের উপর ঘোরা ফেরা করে, কাল তিনটে প্যাচ লেগেছিল ঘুম আনতে।  অভ্যাস নেই বলে কি প্যাচের জন্য ভুলে যাচ্ছি অতিচেনা রঙও? এই ঘরে টিকটিকি নেই সেই আমাদের আগের বাংলোর মত।  মনে মনে হাসি, যদি ভয় পেয়ে কেউ ঘুমের মাঝে বুকের উপর চলে আসে দুম করে – প্যাচগুলো বরং ঢেকে রাখি, যদি সরে যায় চাপ পেয়ে!

    সিলিং-য়েও দিপদিপ করে জ্বলে এক ছোট লাল আলো, ফায়ার অ্যালার্মের ইন্ডিকেটরটা।  এই লাল আলোও বড় চেনা - পরশু রাতে মনে হয়েছিল কেউ যেন ধূপ নিয়ে আঁধারে সন্ধারতি করছে।  ঠোঁটের ফাঁকে মৃদু হাসি ফুটে ওঠে, ভেবেছ কি ভুলে যাব এত সহজেই?

    সেদিন রাতে আমেরিকার টিমের সাথে মিটিং ঠিক জমে না – অনেক কথা ভুলে যাই যা বলার ছিল। ম্যানেজার জিজ্ঞেস করে কিছু হয়েছে কিনা আমার।  রাত যত বেড়েছে মন চলে গ্যাছে সেই ড্রয়ারের দিকে, প্যাচ লাগাবার সময় চলে যাচ্ছে, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তোমার সাথে গল্প করারও।  দেরী করে বিছানায় গেলে তুমি যদি ঘুমিয়ে পর? কোন মতে মিটিং শেষ করে আমি শুতে চলে আসি, রাতের খাওয়া হয় না আজকাল, সে যতই বাড়ি থেকে মা মনে করিয়ে দিক না সময় মত খাবার কথা।  ড্রয়ার খুলে আমার চমকে ওঠার পালা, প্যাচ নেই আর! বুকে হাত বোলানো হল আর, আজ কি হবে কথা বলা? বাইরের বারান্দায় এসে বসি – এখন চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে কাঠের চেয়ার, বসার টুল – তোমার পছন্দের বেতের মাদুর।  রেন-ফেরেষ্টের গাছের গুঁড়িকে জিজ্ঞেস করি, তোমার মনে আছে, আমরা দুজন একসাথে তোমাকে পছন্দ করে এনেছিলাম বাড়িতে? আরো কত কত গল্প – এক সময় ভোর হয়ে এল।

    পরের দিন অফিস থেকে ফেরার সময় লিফটে দেখা হয়ে যায় নীচের ফ্ল্যাটের কোন এক মহিলা এবং তার ছোট ছেলের সাথে। বড় সুন্দর সেজে তারা কোন এক বার্থডে পার্টি থেকে ফিরছে – ছেলেটার বয়স প্রায় বাবু-র মতই না? আর তার মায়ের বয়স? মনে নেই কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম ওদের দিকে – এখনো আমাদের লিফটে সি সি টি ভি ক্যামেরা বসে নি। তাই কোন প্রমাণ থাকবে না আমি ঠিক দেখছিলাম যাচাই করার। ভদ্রমহিলা কি আমার তাকিয়ে থাকার জন্য অস্বস্তিতে পড়েছিলেন? নিজের স্বামীকে কি বলেছেন সে কথা? তা না হলে কেন উনার স্বামী আমার দিকে আড়চোখে দেখছিল ওইদিন?  কি ভাবে বোঝাতে পারা যায় সেই ঝলমলে শাড়ি নয়, লিফটের ওঠা টুকুর সময় আমি চেয়ে দেখছিলাম সংসার ?

    রাতের বেলা হাত চলে যায় লাল মোড়কের ছোট মরফিন ট্যাবলেটের পাতা গুলোর দিকে – অনেক পাতা যে বেঁচে রয়েছে এখনো।  এর এফেক্টও তো জেনেছি গুগুল থেকে।  চাঁদ আবার ঘোর লাগিয়ে দেয়, বেশী ঘোর লাগায় সেই লিফটের ওঠা, ছেড়ে যাওয়া সুবাস আর অংশত সংসার দৃশ্য।  একটা ট্যাবলেট খুলে খেয়ে নিই ফ্রীজ থেকে বের করে আনা কোকা-কোলার সাথে।  আজ তো বাতাস বড় ফুরফুরে – রাত বাড়ে, ঠান্ডা লাগে না আজ কারণ গেঞ্জী তো খোলার দরকার হয় নি আজ।  বসে থাকি – অনন্তকাল কি? তোমার ডাক শুনে হুঁস আসে। হ্যাঁ, অনেক রাত হল, এবার ঘুমাতে যাচ্ছি।  বারান্দায় মেলতে দেওয়া কাপড় গুলো তুলতে বলছ? ঠিক আছে আমি তুলে নিচ্ছে – ফ্যাব্রিক কন্ডিশনার দিয়েছি কিনা জিজ্ঞেস করছ? আনা হয় নি বুঝলে অনেক দিন, শুধু লিকুইড ডিটারজেন্ট দিয়েই তো অনেক দিন ধুচ্ছি।  ঠিক আছে তোমার শাড়ি গুলো আমি রোদে দিয়ে রাখব – আর সোয়েটার গুলো কেবল ইজি দিয়েই কাচব।

    কত কথা হয় এরপর প্রতিদিন।  অনেক দিনের না কেনা সাংসারিক জিনিস এসে যায়, ভরে ওঠে কিচেন আস্তে আস্তে।  পোচামপল্লী শাড়িটা আগের বার পছন্দ করেও কেনা হল না বলছিলে – হঠ করে পুজোর আগেই অন্য দেশে ছুটতে হল জরুরী দরকারে।  আমরা সিলিং-য়ে মেলে দিই শাড়ির আঁচল, বড় সুন্দর কাজ করা। দেখো, ওই কোনের দিকটা ঠিক করে ধরে রেখো। এ্যাই দেখেছো, গড়িয়ে পড়ছে শাড়িটা – ক্রমশঃ আমাদের মুখ-শরীর ঢেকে যায় শাড়িতে।  আবার লবণের স্বাদ – মাত্র কিছুক্ষণ, তার পরেই মনে হয় পাশে শুয়ে থাকে বাবু-র শরীরও তো ঢেকে গ্যাছে সেই শাড়িতে – ছেলেটার বড় গরমের শরীর, ঘেমে গ্যাছে কপালটা, কিন্তু তবুও অঘোরে ঘুমাচ্ছে।  পোচামপল্লী শাড়ির কোণ দিয়ে বাবুর কপাল মুছিয়ে দেওয়া হয়।

    এক দিন তুমি পাশের ঘর থেকে ডাকলে শাড়ির কোঁচ ধরে দেবার জন্য – আমি বললাম এত রাতে আবার শাড়ি পরে কি হবে? কালকে আসলে লেডিস-টি পার্টি আছে সকালে, তাই রাতে একবার ট্রাই করে দেখে নেওয়া কেমন লাগছে।  আমি সেই ঘুম ঘুম চোখে উঠে গেলাম শাড়ির আঁচল ধরতে।

    ট্যাবলেটের পাতাও প্রায় শেষ হয়ে আসে।   সেদিন বেশী রাত হয় নি – হাতে বেঁচে থাকা কয়টা ট্যাবলেট নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি, আর হয়ত দিন দুয়েক হবে।  এই নিয়ে কথা বলতে হবে তোমার সাথে, যদি তুমি ডাক্তার-কে বলে কন্টিনিউ করার কথা বল, তাহলে হয়ত আরো আনতে পারব।  হঠ করে চোখ চলে যায় নীচের দিকে, এত উপর থেকে ঠিক নজরে আসে না – সুইমিং পুলে যাবার গেটটা খোলা কেন? আর ওটা, ওটা কে একেবারে পুলের জলের ধারে? একপায়ে দাঁড়িয়ে অন্য পায়ে পুলের গভীর দিকটার জলে দিয়ে খেলছে? চাঁদের আলোয় দেখি ফেলি বাবু-কে।  তুমি কোথায়? বাবু কি করে ওখানে গেল? আমি চিৎকার করে বাবুকে ডাকবার চেষ্টা করি – কৈ, ও শুনতে পাচ্ছে না কেন? আমি বারান্দার রেলিং-টা টপকে যাই চট করে, একটু সময় লাগবে নীচের স্পর্শ পেতে। 

    আমি দেখতে থাকি, ওই তো বাবু মায়ের সাথে ওর ঘরের বিছানায়! এক ঘরে ওই তো বাবু নিজের লেখার টেবিলে কি আঁকছে – তুমি বিছানাটা ঝড়ছো – আবার তুমি ড্রেসিং টেবিলের সামনেও রাত পোষাকে মুখে ক্রীম ঘষছ – অন্য ঘরে পর্দাটা টেনে দিচ্ছে কেউ, মৃদু আলো – তুমি একটু অপেক্ষা করো, আমি বাবুকে নিয়ে ফিরছি – শুনতে পেলে কি?   


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ জানুয়ারি ২০২০ | ২১৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:০৩80086
  • কবিতাকে ছাড়িয়ে যাওয়া একটি কবিতা। অনিঃশেষ...
  • Mahua | ***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৭:২৭80084
  • উফফ। ভয় করছে।
  • একক | ***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৭:৪৫80087
  • থরোলি , সেই আফিমের অবসাদটুকু ধরেছে, মৌতাত কে বর্জন করে। গুড ওয়ান!
  • কুমু | ***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ১২:২৮80085
  • অসাধারণ !!!!
  • সুকি | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০৪80089
  • মহুয়া, কুমুদি, শিবাংশুদা, একক, কুশানদা এবং আরো যারা পড়লেন সবাইকে ধন্যবাদ
  • | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৩80090
  • ভালো লেগেছে বাট আই ডু গেট ওরিড। সুকির এই লেখাগুলি কে আমার হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া সন্তানের মত আশংকায় পরিপূর্ণ মনে হয়
  • pi | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:২৪80091
  • খুব ভাল লেগেছের সংগে আমিও ওই ওরিড অংশটি জুড়তে চাই।
  • pi | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:২৮80092
  • লেখাটা বহুদিন হন্ট করে যাবে!
  • কুশান | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৫80088
  • মন স্পর্শ করে। বাধ্যত।

    এই সিরিজ আরো লিখুন।
  • Munia | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:২৪80093
  • আপনার লেখা পড়তে অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু চাপ দিই না। চুপচাপ অপেক্ষা করি।

    আজ অনেকদিন পরে আপনার লেখা দেখে সব ছেড়ে তাকে নিয়েই বসলাম। কিন্তু পড়ে শেষ করতে পারলাম না। গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠলো। চোখ ঝাপসা হয়ে গেল।

    এমন লেখায় আপনাকে চাইনা। এমন ভাবনাতেও আপনাকে চাইনা। আপনার অনাবিল লেখাগুলি যেগুলোতে আগাপাশতলা জড়িয়ে থাকে কৌতুক, তেমন লেখা পড়তে চাই।

    জানি, না লিখলেই যে ভাববেন না, এমন নয়, তবুও লেট্’স ফেক ইট। ফেক করতে করতে সত্যিই যদি যন্ত্রণাগুলো সহ্য হয়ে আসে কিছুটা।

    বেশি বলে ফেললাম হয়ত। ক্ষমাপ্রার্থী।
  • syandi | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৬80097
  • সুকি, আপনার লেখাটা পড়ে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম। আপনি ভালো থাকুন।
  • | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:২৪80098
  • এই গল্পটা...

    চেষ্টা করে ভাল থেকো সুকি। (আর কিইবা বলব জানিনা)
  • | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:২৫80099
  • বলতে ভুলে গেলাম গল্পটা গল্প হিসেবেও খুবই ভাল হয়েছে।
  • সুকি | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৬80094
  • হনুদা, পাই, মুনিয়া,
    তোমাদের ভাবনা আমায় আপ্লুত করল, এটুকু বলার কষ্টর ব্যাপারটা সত্য, বাকি কিছু হয়ত সময়ের সাথে সাথে নিজের মত করে পথ করে নেবে.
  • Prativa Sarker | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:০৩80095
  • খুব দরদী লেখা। দীর্ঘশ্বাসের মতো। কিন্তু এবার তো ফিরতে হবেই।
  • সে | ***:*** | ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:১৯80096
  • সুকি,
    কষ্ট জীবনে থাকবেই। তবুও সামনের দিকে দেখতে হবেই।
    এমন ভাবনা শুধু গল্পেই থাকুক।
  • সুকি | ***:*** | ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৮80100
  • প্রতিভাদি, সে দি, দ দি এবং সায়ান্দি কে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৮:৫১80101
  • মন খারাপ হয়ে গেল। বিষাদমাখা আঁধারের গল্প।
  • Titir | 172.69.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ২০:০৮45384
  • পড়েছি কিন্তু মতামত দিতে গিয়ে আটকে গেছি. কি বা লেখা যায়এই ক্ষতের প্রলেপ দিতে? হয়তো সময় এই সবকিছুকে সামাল দেবে.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন