এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যৌনকর্মীর মাতৃত্ব ও মানসিক স্বাস্থ্য

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০১৯ | ১২১৮ বার পঠিত
  • সোনাগাছি এলাকায় দুর্বার ও আপনে আপের সৌজন্যে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু ডক্টর স্মরজিত জানা বা টিংকু খান্নার সঙ্গে যৌন কর্মীদের মাতৃত্বসংক্রান্ত সুবিধে অসুবিধে নিয়ে তেমন কথা হয়নি কখনো। তাই ওই এলাকায় যাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা হয়েছে সেইরকম মা ও সন্তানের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই এই লেখার ভিত্তি। বিশেষ করে মায়েরা, কারণ মা হবার দীর্ঘ সময়কালে নিজেদের প্রয়োজন ও ঝুঁকির কথা তাদের থেকে বেশি কে আর জানে !

    মা হবার পর সোনাগাছির মেয়েরা কিন্তু অসম্ভবকেও সম্ভব করে ফেলতে চায় সন্তানের শিক্ষা ও উন্নততর জীবনযাপনের স্বার্থে। আরো কয়েক খেপ কাস্টমারের নেওয়া বা কাকুতিমিনতি করে বাচ্চাকে বারুইপুরের আবাসিক স্কুলে রাখা, কোনটাতেই তাদের খামতি থাকে না। মা হিসেবে সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার, সবচেয়ে কষ্ট করতে হয় বোধহয় একজন যৌনকর্মীকে। তারপরেও প্রতিকূল পরিবেশে কটা বাচ্চাই বা সুন্দর ভবিষ্যতের মুখ দেখে ! দেখলেও কজনই বা মাকে সেই জীবনে প্রবেশাধিকার দেয় !

    সিঙ্গল মাদারের কথা আমরা যখন বলি তখন কেবল সন্তানসহ বিবাহবিচ্ছিন্নাদের কথা ভাবি। মনেও করিনা যৌনকর্মী যখন মা হয় তখন তার মতো একা আর কেউ না। ঐ মহল্লায় পিতৃপরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়া বৃত্তির কারণেই মোটামুটি অসম্ভব। যদিও বা আঁচ করা যায়, কাস্টমার পুরুষটির পক্ষে তা চূড়ান্ত লজ্জা ও সম্মানহানির ব্যাপার, কিন্তু মাতৃত্বের দেহলক্ষণগুলি লুকিয়ে রাখা তো অসম্ভব। তাই সন্তানের মা কে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হলেও, বাচ্চার বাবার পরিচয়টি অত্যন্ত গোপনীয়, এমনকি মা তারস্বরে বাবাটিকে চেনাতে চাইলেও সমাজ তাকে মিথ্যাবাদী বলতে পারে, শত্রুতার কথা তুলতে পারে বা চরিত্রের কথা তুলে কানে আঙুল দিতে পারে, যদি না স্বামী বা পার্টনার নিজে থেকে পিতৃত্ব স্বীকার করে নেয়। ফলে যৌনকর্মীর সন্তানের জীবনে মা একা এবং অদ্বিতীয়ম। তার কোন বাবা নেই।

    এই অভাব পূরণের জন্য সোনাগাছির বেশিরভাগ মেয়ে দেহ, মাসোহারা, এমনকি ভরণপোষণ দিয়েও "বাবু" পোষে। অনেক ক্ষেত্রে বাবুর পুরো পরিবারের আর্থিক খরচও মেয়েটিকে যোগাতে হতে পারে। এই বাবু বিবাহিত হতে পারে, নাও হতে পারে। মেয়েটির মহল্লায় চব্বিশঘন্টা থাকতে পারে বা দিনরাতের নির্দিষ্ট কোন সময়ে, কিন্তু বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তির সময় সে নাম ধার দেবে, খদ্দের পাওনার বেশি সময় থাকতে চাইলে সে নাক গলাবে, কোন মেয়ে খদ্দেরের হাতে মারধোর খেতে থাকলে সেইই ছুটে যাবে। সন্তানপালনে তার কোন ভূমিকা নেই, তবু যে মেয়েদের বাবু নেই, তারা মায়ের ভূমিকায় যেন আরো একটু বেশি একা। পারিবারিক কোন সাহায্য তো এই মেয়েদের কারোরই থাকে না।

    আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে সোনাগাছির মেয়েদের বেশিরভাগই, মানে নিরানব্বই শতাংশ মেয়ে একাধিক বার মা হতে চায়, হয়ও। বৃত্তিগত সমস্ত অসুবিধে তারা তুচ্ছ করে, যাদের মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, শোষণ, দৈহিক কষ্ট, থাকবার জায়গার অপ্রতুলতা, আর্থিক কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণা এবং সুচিকিৎসার অভাব। তবু কেন এই আকাঙ্খা?

    কথা বলে মনে হয়েছে এইটাই এই মেয়েদের কাছে মানসিক মুক্তির একমাত্র পথ। হয়তো কাউকে সম্পূর্ণ নিজের বলে দাবী করবার সহজাত সাধারণ মানবিক আবেগ। যে কারণে মাতৃত্বের মধ্যেই সে খুঁজে পেতে চায় কখনো না পাওয়া সামাজিক সম্মানের ছিটেফোটা, অর্থহীন, যান্ত্রিক বাঁচাকে অতিক্রম করে আমি কারো মা এই পরিচয়ে আর একটুখানি ভালো বাঁচার আস্বাদ। বৃদ্ধবয়সে দেখবে কে সেই চিন্তাও হয়তো তাকে উত্যক্ত করে। যে কারণেই হোক, ঘুরেফিরে মাতৃত্বই হয়ে দাঁড়ায় তার বেঁচে থাকবার নির্যাস। দেখা যাচ্ছে এই পর্যায়ে কুসুমের শুধু শরীর নয়, মনও আছে।

    ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ভারতে যৌনকর্মীদের সন্তানের সংখ্যা ৫.৪ মিলিয়ন এবং এরা মায়ের সঙ্গে লালবাতি এলাকায় থাকতে বাধ্য হয় সারা জীবন অথবা জীবনের কোন না কোন সময়ে। মায়ের কাছে সন্তানের গুরুত্ব এতো বেশি, যে কোন কারণে সন্তানের সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ ঘটে গেলে মায়ের মানসিক সুস্থিতি বজায় রাখা মুশকিল হয়। যাতে তা না হয়, সেজন্য সন্তানকে সব খরচ দিয়ে বাপের বাড়ি বা হস্টেলে রাখার জন্য মা খুবই উদগ্রীব হয় এবং একটা সময় পর্যন্ত নিজের পেশা সন্তানের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে সচেষ্ট থাকে। কে না জানে এ সমাজে বেশ্যাসন্তানও মায়ের মতোই ঘৃণ্য এবং পরিত্যাজ্য !
    তবে দুর্বার পরিচালিত আবাস রাহুলে গিয়ে দেখেছি বাচ্চারা সবাই মাতৃপরিচয় জানে এবং তাদের যে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে সেখানেও সবাই তা জানে। সময় গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের চৌহদ্দির বাইরে তাদের হেনস্থাও নাকি অনেক কমে এসেছে।

    বিদেশের যৌনকর্মীদের মতো তাদের সন্তানেরা সরকারী হেফাজতে বা হোমে বড় হবে সোনাগাছির মায়েরা তা একেবারেই চায় না। ওইভাবে বড় হলে মায়ের সঙ্গে মানসিক বন্ধন একেবারেই গড়ে উঠবে না এই তাদের বদ্ধমূল ধারণা। রাহুলে যারা থাকে তাদের সঙ্গে মায়েদের খুব নিবিড় যোগাযোগ থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করতে আসা, ফোন করে খোঁজ খবর নেওয়া এগুলো সবই মায়েরা করে আর পাঁচজনের মতোই। নিয়ম করে বাচ্চার খরচ দেওয়া, ছুটিছাটায় তাকে "বাড়িতে" নিয়ে যাওয়া এইসবই নিখুঁতভাবে হতে থাকে। খুব ছোটরা বাড়ি যাবার জন্য অধীর হয়ে থাকলেও বড় ছেলেমেয়েদের একটু বেশি সংযত দেখেছি প্রতিক্রিয়ায়। তারা এই বাড়ির মানে বুঝতে শিখে গেছে।

    দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটে আপনে আপ যে স্কুলটি চালায় তার পড়ুয়ারা সকলেই ঐ এলাকার মেয়েদের সন্তান। তারা মায়ের সঙ্গেই ওখানে থাকে। থাকবেও, যদি না মায়েরা তাদের পড়াশুনার জন্য বাইরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ওখানে রাখার বিপদও অনেক।
    সন্তান মেয়ে হলে স্বামী / পার্টনার / বাবু তাকে হয় এই পেশায় নামাতে চাইবে, নয়তো একই উদ্দেশে বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়ে নিতে চাইবে। এইরকম একটি মেয়ের সঙ্গে আপনে আপের পাঠশালায় দেখা হয়েছিল। টিঙ্কু খান্না তার জন্য একটি হিন্দি মিডিয়াম আবাসিক স্কুলের খোঁজ জারি রেখেছেন। আর সন্তান ছেলে হলে দ্রুত নেশাভাঙ, নারীসঙ্গে আসক্ত হয়ে পড়বে। তারপর একসময় হয়তো নারীমাংসের দালালি শুরু করে দেবে।
    এছাড়া নানা সংক্রামক অসুখবিসুখ তো আছেই। নোংরা এলাকায়, ততোধিক নোংরা গালিগালাজ আছে। বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি তা রপ্তও করে ফেলে। অনেকেই বড়দের জোরজুলুমের শিকার হয়। মায়ের পক্ষে রোজ গড়ে কুড়িজনের কাছাকাছি খদ্দের সামলে বাচ্চার দেখাশোনা কতটুকুই বা হতে পারে !

    তবু এই সন্তান মায়ের ভালো থাকার পাসওয়ার্ড। সন্তানকে জোরজুলুম করে ছিনিয়ে নেওয়া হলে যৌনকর্মীর মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে তা দারুণ প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। দেখা গেছে সন্তান হারিয়ে সে চূড়ান্ত মাতলামি শুরু করেছে। আরো নানা নেশায় ডুবে গেছে ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে।
    সন্তানের জন্য এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে এরকম মেয়েও কম নয়। কিন্তু সন্তান কোলছাড়া হলে তাদের বেশিরভাগই আবার পুরনো পেশায় ফিরে আসে। সন্তানের ভালর জন্য সোনাগাছির মা এতোটাই উদগ্রীব হয়ে থাকে যে প্রাপ্তবয়স্কতা প্রাপ্ত হলেও তাকে এই পঙ্কিল পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে তার মরীয়া ভাব দেখার মতো।
    বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত আবাসিক স্কুলই হোক বা সরকারী হোম, বাচ্চাদের থাকবার মেয়াদ আঠার বছর বয়স অব্দি। তারপর তাকে নিয়ে যেতে হবে মাকেই। কিন্তু যৌনকর্মীদের তাতে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। তারা কেউই উঠতিবয়সের সন্তানকে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে চায় না।
    উত্তর কলকাতার একটি কলেজের সেমিনারে দুর্বার থেকে বক্তা হয়ে এসেছিলেন গীতা মন্ডল ( নাম পরিবর্তিত)। এই সমস্যা তার কাছে খুবই মর্মন্তুদ বলে জানালেন। আঠারো বছর হয়ে গেলেই কী বাচ্চারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সাধারণ ঘরেও, এই ছিল তার প্রশ্ন। এই আইন যাতে প্রয়োগ না করা হয় সেজন্য তার করজোড় মিনতি আজও তাড়া করে।
    চূড়ান্ত ঝুঁকিময় পেশায় মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সন্তান কামনা করে সোনাগাছির মেয়েরা। তাদের শারীরিক সুস্থতাও বহুলাংশে নির্ভর করে থাকে সন্তানের ওপর। যা কিছু শুভ ও মঙ্গলময়, এই পৃথিবীতে তার অল্প একটু আভাসের জন্য এ তল্লাটে মা হওয়া খুব জরুরী।

    বেশ্যাদ্বারের মাটি ছাড়া দুর্গাপূজা হয় না, যৌনকর্মী মায়ের বিপুল আত্মোৎসর্গ স্মরণ করা ছাড়া নারীদিবসের উদযাপন হয় কি করে !


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ মার্চ ২০১৯ | ১২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুতপা | ***:*** | ০৮ মার্চ ২০১৯ ০৮:৫৫79092
  • প্রান্তিকতম মেয়েদের সবচেয়ে সংবেদনশীল সমস্যা, আজকের দিনে এমন অন্ত্যেবাসীর কথা সুলিখিত। তুমি ছাড়া এমনভাবে ভাবতে কেই বা পারে?.
  • Biplob Rahman | ***:*** | ০৮ মার্চ ২০১৯ ১২:১৯79093
  • দিদি,

    এপারে ভাসমান যৌন কর্মীদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। এক সময় অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখেছি, তাদের শিশু শিক্ষার বালাই নাই, নারকীয় পরিবেশে বাস, বিচিত্র নেশা, অপুষ্টি, রোগ বালাই লেগেই আছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলতে পাড়ার হাতুড়ে আর এনজিওর বিলি করা কনডম, সে ভাষাতীত দুঃসহ বিষয়।

    সে সব কথা সংবাদপত্রে লিখে ভালো পুরস্কার ও বাহবা জুটেছে, কিন্তু ভাগ্যহত রাস্তার মেয়েদের দিন ফেরেনি। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়।
  • কুশান | ***:*** | ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৮:০৫79094
  • প্রয়োজনীয়, সামাজিক শুশ্রূষার লেখা। এই লেখা লেখিকার সামাজিক দায়ব্ধতার পরিচয় দেয়।
    লেখা নিয়ে কথাই বলব না। আমার সেই যোগ্যতা বা স্পর্ধা নেই। আমি কোয়ালিফাই করি না।
  • | ***:*** | ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৪:১১79096
  • একটু দেরীতে পড়লাম। তোমার লেখা যেমন হয়, যথাযথ তীক্ষ্ণ।

    বহু বছর আগে এরকম একটি নেট ফোরামের কিছু মানুষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বারুইপুরের যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য নিষ্ঠার সাথে সহযোগীতায় একটি লাইব্রেরী বানিয়ে দেবার। সেটির সাথে আমার কিছু সংশ্লিষ্টতা ছিল। এই শিশুগুলি নিষ্ঠায় আসত বিকেল ও সন্ধ্যেয়। অধ্যক্ষার কাছে শুনেছিলাম ওদের মায়েরা চায় ওরা রাতেও নিষ্ঠাতেই থাকুক। রাতে ওদের কাজের সময় বাচ্চাগুলি কোথায় থাকবে সে এক মস্ত সমস্যা। এইসব দেখেশুনে আমাদের অভ্যুদয় 'আশা ফর এডুকেশান' এর সহযোগীতায় লাইব্রেরী সংলগ্ন নাইট শেল্টার কাম স্কুল গড়ে দেয়। এখনও বোধয় আছে সেটা।

    আরো শুনেছিলাম কিছু কিছু মায়েরা বোর্ডিং স্কুল থেকে মুচলেকা দিয়ে মেয়েসন্তানকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে, যখনই নিজেরা বড় কোন অসুখে পড়েছে, লক্ষ মেয়েটিকেও যৌনপেশায় নামানো। আশু রোজগারের আর কোন উপায় বেচারিদের তো নেই আর সঞ্চয়ও থাকে না।

    কি জানি এখন কি অবস্থা!
  • শর্মিষ্ঠা নাহা | ***:*** | ১৭ মার্চ ২০১৯ ১২:৩০79095
  • খুব তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ওঁদের এবং ওঁদের সন্তানদের ভালো হোক এই কামনা করি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন