এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার ধর্ম, বাংলাদেশের দুর্গাপুজো, এবং গরুর রচনা

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৭৩৩ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • (এক)

    কেন পুজোয় যাই?
    _____________

    অনেকে অবাক হন। আশ্চর্য হন। 

    কারণ, আমি তো আর ঠিক ধার্মিক নই। রক্ষণশীল নই। হিন্দুত্ববাদীর জামা তো অনেককাল আগেই চিরকালের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। সংস্কৃত মন্ত্র ভালো করে উচ্চারণ করতে পারিনা। বিজ্ঞানে আস্থা। সোশ্যালিজমের কথা বলি। প্রচুর মুসলমান, খৃষ্টান, ইহুদি, কালো, সাদা, বাদামি বন্ধু ও বান্ধবী। কুসংস্কার ঘৃণা করি। তাগা তাবিজ মাদুলি গ্রহরত্ন শনি মঙ্গলবার সেনকো জুয়েলার্স আর পিসিচন্দ্র আর হনুমান চালিশা হাস্যকর মনে করি। ব্রাহ্মণ হয়েও পৈতে পরিনা, আর "শূদ্র" বা "চণ্ডালের" বাড়ি গিয়ে তাদের রান্না ভাত তরকারি দিব্যি খাই। নারী স্বাধীনতায় একশো দশ ভাগ বিশ্বাস করি।

    তাহলে এই দুর্গাপুজো দুর্গাপুজো নিয়ে আমার এতো হা হুতাশ কেন?

    আসলে, আমার আমেরিকার ইমিগ্র্যান্ট জীবনে আমার দুর্গাপুজো আমার রবীন্দ্রনাথ সত্যজিৎ জীবনানন্দ বিভূতিভূষণের মতোই। বা, আমার বাঙালি চেহারা, নাম আর ভাষাটার মতোই। আমার পাঁচ ফুট পাঁচ, আমার দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস, বৃষ্টি পড়লেই বাইরে তাকিয়ে থাকা সব কাজ ফেলে, আর বন্ধু পেলেই সম্পূর্ণ আত্মবিস্মৃতি -- এই সব কিছুর মতোই। 

    আমার হিন্দুধর্ম হিন্দুত্ব-মৌলবাদ আর মুসলমান-বিদ্বেষে বিশ্বাস করেনা, কিন্তু নিজের আজন্ম আইডেন্টিটিতে খুব বিশ্বাস করে। আমি যখন দুর্গাপুজোয় যাই, আর বাংলাদেশিদের মন্দিরে গিয়ে ভক্তিমূলক গান শুনি, তখন নিজের বাঙালি, ভারতীয়, দক্ষিণ এশীয়, ওল্ড ওয়ার্ল্ড আইডেন্টিটিটাকে আর একবার নতুন করে  গায়ে মেখে আসি। দুর্গাপুজোর মন্দিরের ধূপের আর ধুনোর গন্ধ আর ঢাক আর আরতির আওয়াজ আমাকে আমার অনেক ভেতরকার সত্তাটাকে আর একবার নতুন করে জাগিয়ে তোলে। যে সত্তাটা এই ইমিগ্র্যান্ট জীবনের ভয়ংকর একাকীত্বে, সমাজবিহীনতায়, এবং মূলস্রোত মার্কিনি সমাজের ও বিশেষ করে মিডিয়া ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের চরম অবজ্ঞা আর অবহেলায় প্রতিদিন একটু একটু করে মুছে, মিলিয়ে যেতে থাকে। আমি তাকে আবার ফিরিয়ে আনি। 

    তাকে বলি, "ও আমার সোল, আমি তোমার সঙ্গেই আছি। আর, তুমি আমার।"

    আমার দুর্গাপুজো, আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত, আমার বাংলা ভাষা, আমার ভারতীয়-বাংলা গায়ের রং, আমার দেশ থেকে নিয়ে আসা পুরুষালি বদভ্যেসগুলো, আর আমার সমস্ত ফেলে আসা স্মৃতি -- সবই আমার আইডেন্টিটির এক একটা ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট এলিমেন্ট। একটা যদি হয় আমার চোখ, তাহলে আর একটা আমার ঠোঁট। একটা যদি হয় আমার যৌনতা, তাহলে আর একটা আমার কবিতা আর গরিব মানুষের প্রতি তীব্র কম্প্যাশন। 

    এই সব কিছু মিলিয়েই আমি। গোটা আমিটা। 

    আমার দুর্গাপুজো, আমার হিন্দুধর্ম, আমার জীবনদর্শনের বেঁচে থাকার আর আমার জীবনকে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিদিনের সঙ্গী। 

    ক্ষমতাধর, তুমি আমাকে কেড়ে নিতে পারো। আমার প্রাণ। কিন্তু আমার এই ভালোবাসাকে কখনো কেড়ে নিতে পারবে না। 
    _______________

    (দুই)

    বাংলাদেশের দুর্গাপুজো ২০২২

    দুহাজার বাইশ সালে বাংলাদেশে ৩২,১১৮টি দুর্গাপুজো হয়েছে। আমি কোনো ভায়োলেন্স বা মূর্তি ভাঙা অথবা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনিনি। এই নিয়ে কারুকে কোনো কথা বলতে শুনছিনা। অথচ, দুহাজার একুশে একটা দুটো খারাপ ঘটনা ঘটেছিলো, এবং হিন্দুত্ববাদী মাংকি ব্রিগেড সেই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়েছিলো। 

    তবে, দুহাজার তেইশে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় বড় ধরনের গণ্ডগোল বাধানো হলে আশ্চর্য হবোনা। দুই দেশেই উগ্র সাম্প্রদায়িকরা লাগিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছে। এদিকে হিন্দুত্ব হনুমান বাহিনী। ওদিকে মোল্লাপন্থী ইসলামীরা। এদিকে বিজেপি। ওদিকে বিএনপি। কী আশ্চর্য মিল!

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটা সরকার আছে, তাদের হাজার ভাইসের (পাপের) মধ্যেও তারা সে দেশটাতে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেছে। এবং ধর্মান্ধ ইসলামী শক্তি মাথা চাড়া দিতে পারছেনা তেমন করে। যদিও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ইলেকশন এলেই তাদের আবার কাজে লাগানো হবে। 

    যে দেশে ৮ পার্সেন্ট হিন্দু থাকে, সে দেশে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজো হয়। এবং হৈহৈ করে হয়। কত ছবি বন্ধু ও বান্ধবীরা পাঠান ঢাকা থেকে, যশোর থেকে, সিলেট থেকে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উৎসব করছেন। এবং মুসলমান বন্ধুরাও দলে দলে অংশগ্রহণ করছেন। আনন্দের শরিক হচ্ছেন প্রতি বছরের মতোই।  

    কোথায় দাঙ্গা, কোথায় গণহত্যা, কোথায় গণধর্ষণ? দুহাজার বাইশে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজোতে প্রায় একটাও অশুভ ঘটনা ঘটেনি। 

    সিলেটের হিন্দু বস্ত্র ব্যবসায়ী এই ২০২৩'এর গোড়ায় আমাকে বললেন তাঁর দোকানে চা অফার করে, "দাদা, ওসব ফালতু প্রচার। এই জায়গাটায় পুজোর সময়ে এসে একবার দেখে যাবেন। দাঁড়ানোর জায়গা পাবেন না, এতো ভীড়।"
     
    লক্ষ্য করে দেখবেন, আমরা কখনো ভালো জিনিসগুলো নিয়ে কথা বলিনা। মিডিয়াও বলেনা। কিন্তু একটা খারাপ কিছু ঘটলে মিডিয়া ও জনগণ লাফালাফি করতে শুরু করে দেয়। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও মানুষ দেখেনা। আর সোশ্যাল মিডিয়া তো গরু আর শুয়োরের খোঁয়াড়। 

    চেতনা ঘুমিয়ে পড়েছে। একেই আমি বলে আসছি "দ্য এরা অফ পোস্ট-রীজন" -- প্রশ্ন-উত্তর, বিচার-উত্তর যুগ। 

    হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানাই। এই সম্প্রীতি বজায় রাখুন। মৌলবাদী, চরমপন্থী এবং সাম্প্রদায়িক হিন্দুবিদ্বেষী শক্তিগুলোকে নির্মম হাতে দমন করুন। 

    জানি আপনি অনেকটা ইন্দিরা গান্ধীর মতন। কিন্তু তাও আপনি ইন্দিরা গান্ধীর মতন। নাথুরাম সাভারকার গোলওয়ালকার মোদী নন। হামাস, আইসিসের ভাতিজি অথবা নানী নন। 

    _________________

    (তিন)

    গরুর রচনা 

    আমি বললাম, "বাংলাদেশে এবারে তিরিশ হাজার দুর্গাপুজো হয়েছে, এবং একটাও মূর্তিভাঙা বা মন্দির অপবিত্র করার ঘটনা ঘটেনি।"

    গরুর রচনা লেখেন যাঁরা, তাঁরা উত্তরে বললেন, "কিন্তু বাংলাদেশে কুমিল্লাতে গত বছর ..."

    আমি বললাম, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা মাত্র আট পার্সেন্ট হওয়া সত্ত্বেও সেখানে তাঁরা যথেষ্ট শান্তিতে আছেন। কিছু কিছু গুণ্ডামি এবং ভায়োলেন্স ঘটে চলেছে এখানে ওখানে, কিন্তু সেখানে একটা সরকার আছে যারা সুবিচারের পক্ষে। ২০২২'এর দুর্গাপুজোই তার প্রমাণ।"

    গরুর রচনা -- "কিন্তু বাংলাদেশে আজ মাত্র আট পার্সেন্ট হিন্দু কেন?"

    আমি বললাম, "ইতিহাসের আলোচনা করা দরকার অবশ্যই। কিন্তু যখন একটা খুব বড় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, এবং মাত্র আট পার্সেন্ট হওয়া সত্ত্বেও গ্রামে গঞ্জে, শহরে উপশহরে তাঁরা নির্বিঘ্নে তাঁদের উৎসব পালন করতে পারেন, তখন তা নিয়ে একটা দুটো পজিটিভ কথা বলা দরকার নয় কী?"

    গরুর রচনা -- "স্বাধীনতার পর থেকেই হিন্দু বিতাড়ন শুরু হয়েছে, এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের শ্যামাপ্রসাদ, আমাদের সাভারকার, আমাদের অমুক, আমাদের তমুক। নোয়াখালী দাঙ্গা, তারপর ইয়ে দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং ... ওসামা বিন লাদেন ... কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের ওপরে অত্যাচার।"

    আমি থামলাম। 

    আসলে, আমি এতদিন ভাবতাম গরুর রচনা হলো গরুর ওপরে লেখা রচনা। এখন দেখছি, গরুর রচনা মানে হলো গরুর বা গরুদের দ্বারা লিখিত রচনা।

    সুতরাং, এখানে আলোচনা নিষ্ফল। 

    মা আসছেন। সবাই ভালো থাকুন। 

    __________
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৭৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::356:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪৭525063
  • কিরে দিপচাড্ডি পয়সা পাস নি?পয়সা পাবার আগেই মুছে দিয়েছে সব?খ্যা খ্যা। আবার এসেচিস পোঁদে লাথ খেতে? আসামের কেসটা চাপা দিলে তোর একটু রোজগার হবে না রে শুয়োরের বাচ্চা?
  • badal | 2402:8b70:3cd1:2871:182:5573:7861:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৫৩525065


  • https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/328718/durga-puja-celebration-begins-with-shashti-in-old

    Every year, the festive ambience during the evening is more beautiful, lively, and celebratory than during the daytime. From 7pm to midnight on Saturday, this correspondent visited several mandaps in Old Dhaka to experience the vibrant scene.

    Besides followers of the Hindu religion, others are also taking part in the Durga Puja festivities by visiting these puja mandaps.

    Malti Sarkar, a homemaker, came with her family to witness the puja in Shankharibazar. Her husband, Soumya Sarkar, who is occupied with business during the day, has eagerly joined the family to partake in the evening rituals.

    In front of the Pratidhi puja pandal, said: "I performed the morning puja rituals at home, and will perform the rest of the rituals at Puja Mandap in the evening. On Saptami night, there is a special puja for the well-being of the family members. Some people participate, and some don't."

    A five-year-old child, Anima, is thrilled to see the puja at night with her mother.

    Anima's mother, Kakli, reminisces about her own childhood, saying: "I have always been used to strolling around at night since I was a kid. Children love all the lights and decorations at night, especially how the goddesses' ornaments and sarees shine under the pandal's lighting. It's quite fascinating. That's why the nighttime puja is so enchanting to watch, and that's why the pandals are more crowded in the evening."
  • দীপ | 2402:3a80:198d:6f1a:778:5634:1232:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৫525069
  • আবার বাংলাদেশের খবর মুছে দেওয়া হলো!
    চালিয়ে যান স্যার, আপনাদের হবে! 
    আপনারা বিজেপিকে পাকাপোক্ত করেই ছাড়বেন!
  • গুপু | 45.14.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪৩525097
  • মনে রাখবেন মাস্টারমশাই, আপনি কিছুই দেখেননি।
  • দীপ | 2402:3a80:198d:4665:778:5634:1232:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১০:১১525098
  • দীপ | 2402:3a80:198d:4665:778:5634:1232:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১০:১৯525099
  • ২০২১ সালে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে রামকৃষ্ণ মিশনের বিবৃতি।
    যদিও পণ্ডিতেরা জানিয়েছেন ২০২১ সালে নাকি কিছুই ঘটেনি!
    পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, তালিবান, ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন নিয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ নামাতে পারেন, কিন্তু এইসময় মৌনব্রত অবলম্বন করে থাকেন! 
    তখন সেটা অন্যদেশের ব্যাপার হয়ে যায়! 
    ২০২১ সালে অসংখ্য ব্যক্তি বাংলাদেশে হিন্দুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন! 
    এই ব্লগের মহাবিপ্লবীদের গলায় একটা শব্দ‌ও বের হয়নি!
  • কমরেড কমি ডগ | 2409:4060:2e11:5d7b:4819:9467:ea9f:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫৯525104
  • এই সাইটের জন্মসূত্রে হিন্দু আগুনখোর বিপ্লবীরা কজন মুখ খুলেছিলো?
  • দীপ | 2402:3a80:198d:79fb:778:5634:1232:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২৪525107
  • কেউ কেউ কথায় কথায় মনুসংহিতা নিয়ে নাচানাচি শুরু করে দেন! তাঁরাই আবার শরিয়তী আইনের সপক্ষে কথা বলেন!
    তবে এইসময় সবাই মৌন! 
    সাধে কি বিজেপি উঠে আসে!
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::152:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৩525114
  • দিপচাড্ডি আর সব চাড্ডিগুনো কেমন গাধাচো ওয়েবসাইট আর ব্লগের তফাৎ বোঝে না। ব্লগ ওয়েবসাইটের আর পাঁচটা বিভাগের  একটা। উদিগে আসামের কেসগুলো নিয়ে মুখে ল্যাওড়া পুরে বসে আছে। কতাটি কইছে না। নিজের ফেসবুক দেবালে বাংলাদেশের দুস্কু নিয়ে গর্ভিত হেঁদুগিরি কপচায় না। এইখানে আসে কারণ বাপশা বলে দিইচে নাহলে পৈসা পাবি না। লসাগুদা  খামখা চাট্টি লিং আর ছপি দে কীইবা কিরবে যেকানে মগজে বাপশায়ের কার্ফু লাগানো।
  • রাম রাম | 185.22.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১২525130
  • পার্থদা আসামের দুর্গাপূজা নিয়ে টই খুলেছে আর গাড়ল চাড্ডিগুলি বাংলাদেশ নিয়ে পড়েছে!
  • ফ্যাসিস্ট  | 2001:67c:2660:425:1::***:*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৮526908
  • পার্থ বাবু বাংলাদেশের মাইনরিটি নিয়ে যে প্রচারে করতে চান এদের বইটির তথ্য সেই প্রোপাগান্ডার ঠিক বিপরীতে, কিন্তু সেই কথাওযে বলা দরকার কারন এরাও কিন্তু তথ্যের ​​​​​​​ভিত্তিতেই  ​​​​​​​লিখেছেন। শেখর গুপ্তা এবং প্রিন্ট কে ধন্যবাদ কারন পার্থ বাবুর মত লোকেরা চাননা এই নিয়ে কোন কথা হোক। এই সুবিধেমত চেপে যাওয়াটা কিন্তু manufacturing কনসেন্ট বলতে নাম চমস্কি যা বলেছেন তার সেই এক্সক্লুশনের মধ্যেই পড়ে। পার্থ বাবু আবার সেই চমস্কির গুণগ্রাহী, কিন্তু ক্রমাগত প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছু বলতে পারেননা :-)    
     
     
     
  • dilip | 2001:67c:2628:647:f::***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ০১:০৮538273
  • দূর্গা পুজো এলেই পার্থ বাবু র বেগ আসে, এবারেও এসেছে , নিচের লেখাটি ২০২৪ সেই প্রাতঃকৃত্যের ফল। ওনার সমস্ত পয়েন্টের বিরোধিতা করা সম্ভব, দেখান সম্ভব যে উনি যা বলছেন সেটা একটা স্টিরিও টাইপ আর সেটাও ওনার নিজেরই তৈরী করা। এটাও বলা প্রয়োজন উনি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে এখানে Persona non grata  কারন ওনার হাম্বড়াই ভাব, আর ​​​​​​​"আমিই ​ঠিক তোরা ভুল" এই পলিটিক্যাল ইডিওলজির জন্য। সব থেকে জঘন্য বিষয় হলো উনি বাংলাদেশী হিন্দুদের নিয়ে ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে কথা বলেন তাদের অবস্থা নিয়ে ​​​​​​​এই ​​​​​​​দুদিন ​​​​​​​আগেও ​​​​​​​বলে ​​​​​​​এসেছেন ​​​​​​​তারা ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​বাংলদেশে ​​​​​​​খুব ​​​​​​​ভাল ​​​​​​​আছে। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​কুকুরের ​​​​​​​মত ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​পুজোতেই ​​​​​​​উনি ​​​​​​​যান। বাংলাদেশী হিন্দুরা যে হৃদয় ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​তাকে ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​ফ্রীতে উৎসবে ​​​​​​​অংশগ্রহণ ​​​​​​​করতে ​​​​​​​দেয়, তারা সামান্য রিটার্ন তো দূরের প্রশ্ন তাদের করুন অবস্থার সত্যি কথাটা মিথ্যে করে উনি দিনরাত বলে চলেন। আসলে যে পাত্রে খান সেখানেই মোতার অভ্যেস ওনার বহু পুরান, সেটা ওনার এই এডপ্টেড দেশ আমেরিকার জন্যও উনি প্রতি নিয়ত করে চলেছেন । আমি নিউ ইয়র্কে থাকলে একজন বাংলাদেশী হিন্দু হিসেবে পুজোর যায়গাতেই ওনাকে অপদস্ত করার ব্যাবস্থা করতাম যাতে হয় উনি পুজোয় না আসেন, অথবা আমাদের নিয়ে দেয় মিথ্যাচার উনি বন্ধ করেন।
     
    ----------
    আমেরিকার দুর্গাপুজো কেমন হয়? আনন্দবাজারে আসল খবরটা পাবেন না। এখানে পুজো গোপনে, অন্তরালে, বিষাদে, নির্জনতায়, একাকীত্বে। মার্কিনিরা কেউ জানেনা। তাদের কেউ ডাকেনা। মিডিয়া এই অপূর্ব উৎসব নিয়ে একটা কথাও কখনো বলেনা। ঊনচল্লিশ বছরে মাত্র একবার দেশের পুজো দেখতে গেছি দুহাজার পাঁচ সালে। কারণ, যখন কাজ করতাম, তখন ছুটি পেতাম না। এখানে দুর্গাপুজো, হিন্দুধর্ম নিয়ে মূলস্রোত মিডিয়াতে একটা কথাও বলা হয়না। যেসব মিডিয়া লণ্ডন বার্লিন প্যারিস নিউ ইয়র্কের পুজো নিয়ে গল্প ফাঁদে, তারা আসল খবর কখনো দেয়না। বিগ মিডিয়াতে সাজিয়ে কথা বলা হয়। এখানে দুর্গাপুজোয় পুজোর বাজার নেই, প্যাণ্ডেল নেই, ঢাক নেই, আলোর রোশনাই নেই, প্যাণ্ডেল হপিং নেই -- প্যাণ্ডেলই নেই তা প্যাণ্ডেল হপিং! শহুরে পশ্চিমী বংদের পুজো হয় কেবলমাত্র উইকেণ্ডে -- কোনো স্কুলবাড়ি ভাড়া করে। অনেক জায়গায় চুপিচুপি আগেই হয়ে গেছে -- বিশ্বাস করুন আর না করুন। কলকাতার বংরা দিনক্ষণ মেনে পুজো করবার বান্দা নন। সে ধান্দা তাঁদের নেই। আবার অনেক জায়গায় লুকিয়ে লুকিয়ে পুজো হবে -- আসল পুজোর দিন শেষ হয়ে যাবার পর। ভদ্রলোক শহুরে কলকাতার বংদের পুজোয় বলিউড প্রায় প্রাতঃকৃত্যের মতোই অবশ্যম্ভাবী। আমরা বাংলাদেশী হিন্দুদের পুজোয় যাই। ওরা এতো উচ্চশিক্ষিত নয়। এতো এলিট নয়। বাঙাল ভাষায় কথা বলে। ওদের পুজোয় চাঁদার জুলুম নেই। দিলে দাও, না দিলে দিওনা। আমরা নিজে থেকেই খুশিমনে দিই। ওখানে চুরালিয়া আর দোলা রে দোলা নেই। ভক্তিগীতি, কীর্তন, রামপ্রসাদী আছে। গানের কোয়ালিটি অত ভালো নয় --দেশ থেকে কালেভদ্রে আসা ব্যতিক্রমী শিল্পী ছাড়া। কিন্তু হৃদয় আছে, ভক্তি আছে, ভালোবাসা আছে। ওখানে পুজোর চারদিন নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো হয়। আমরা ওখানেই যাই প্রতি বছর। ঢাক বাজানোর জন্যে মার্কিনি প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিয়েছিলো। পুলিশ এসে ঢাক বাজানো বন্ধ করে দিয়েছিলো। এই হলো আসল আমেরিকার আসল দুর্গাপুজোর খবর। ইচ্ছে আছে শরীর একটু ভালো হলেই এই নিয়ে একটা লাইভ আলোচনা করবো। অবশ্য শুনবে কে, সেটা বলা মুশকিল। অপ্রিয় কথা, যাতে আনন্দের বাজার নেই, তা কেউ শুনতে চায়না আর।
     
    পুনশ্চ ​​​​​​​:- এখানে ​​​​​​​লিখলাম ​​​​​​​কারন ​​​​​​​এই অধর্ম ​​​​​​-ভোগী আমাকে ​​​​​​​সব ​​​​​​​জায়গায় ​​​​​​​ব্লক করে রেখেছেন, কটু কথা বা সমলোচনা শোনা আবার ওঁনার ঠিক ধাতে নেই কিনা।   
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন