এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • রাজ্য বোর্ড ক্রমশ ইয়ার্কিতে পরিণত হচ্ছে কি? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ১০ মার্চ ২০২৩ | ৩৭২৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৬ জন)
  • রাজ্যের আট হাজার ইশকুল তুলে দেবার কথা শুনে সেই বহুচর্চিত মার্কেটিং এক্সিকিউটিভদের গপ্পের কথা মনে পড়ে। জুতো কোম্পানির দুই বিপণন বিশেষজ্ঞকে পাঠানো হয়েছে, কোনো এক প্রাচীন উপজাতি এলাকায়, ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে। একজন দেখে এসে জানালেন, ব্যবসার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ ওই এলাকায় কেউ কোনো জুতো পরেনা। আর দ্বিতীয়জন এসে জানালেন, প্রথমজন ডাহা ভুল। ওখানে ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা, কারণ, ওই এলাকায় কেউ এখনও একটাও জুতো বেচেনি।
    তা, এই হল বাজার-বিশেষজ্ঞতা, যা দিয়ে যেকোনো রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়। সোজা সিদ্ধান্তটা হল, রাজ্যের আট-হাজার ইশকুল তুলে দেওয়াই উচিত, কারণ সেখানে কেউ ভর্তি হয়না। আবার উল্টোদিক থেকে দেখলে, সেটাই দেখা উচিত, যে, ইশকুলগুলোর বিপুল সম্ভাবনা, কারণ, সারা রাজ্যেই ছাত্রছাত্রী বা সম্ভাব্য ছাত্রছাত্রী প্রচুরের চেয়েও বেশি। অবৈতনিক শিক্ষা কোনো বাজারি বিপণন প্রক্রিয়া না, কিন্তু স্রেফ বাজার দিয়ে চিন্তা করলেই এরকম ভাবা উচিত। আমি শিক্ষা, বিশেষ করে বিদ্যালয় শিক্ষা নিয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল নই, কিন্তু চারদিকের চিত্রটা দেখলে মনে হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই লাইনেই ভাবছে। যে, ছাত্রছাত্রী প্রচুর, ধরে এনে বেওসা করতে হবে।  আর রাজ্য সরকার ভাবছে, প্রথম বিশেষজ্ঞের লাইনে, অর্থাৎ কীকরে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে নিজের হাত তুলে নেওয়া যায়।
    চার দিকের কী দেখে এরকম মনে হচ্ছে? আবারও, আমি শিক্ষাবিশেষজ্ঞ নই। এবং আমার দৌড় কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি। সেটাও নেহাৎই মধ্যবিত্ত বৃত্তে। সেই বৃত্তে আমি কী দেখছি? আমার পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা প্রায় কেউ তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজ্য বোর্ডের ইশকুলে পড়াননা। যাঁরা রাজ্য বোর্ডের শিক্ষক, তাঁরাও না। তার নিশ্চয়ই অনেক কারণ আছে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি, এই যে তিরিশ কিলোমিটার এলাকা, স্যাম্পল সার্ভে না করেই বলতে পারি, যে, রাজ্য বোর্ডের ইশকুল গুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ তো নয়ই, বরং অগতির-গতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আমরা যে ইশকুলগুলোয় পড়েছি, যেগুলো নামী ইশকুল বলে জেনেছি, সেগুলো সমেত। দুর্নীতি, ইশকুল-বন্ধ করে দেওয়া, এই ব্যাপারগুলো দিয়ে এই দুচ্ছাইকরণ প্রক্রিয়াটাকে ক্রমশ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
    এর ঠিক উল্টোদিকে আছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের ইশকুলগুলো। সেগুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ। গরীবরাও পারলে ওখানেই পাঠান। এদের পিছনে তৈরি করা হয়েছে এক জ্যোতির্বলয়। একে তো ঝকঝকে। তার উপর হিন্দি-ইংরিজি শেখায়। এবং আজ পর্যন্ত কোনো মিডিয়ায় এদের সিলেবাস, শিক্ষাপদ্ধতি, খরচ, এ নিয়ে কোনো সমালোচনা দেখিনি। অথচ সব কটা নিয়েই সমালোচনার জায়গা আছে। খাজা কেন্দ্রীয় বোর্ডের ইশকুল গুচ্ছের আছে। খরচ, শিক্ষকদের মান, ব্যবসা সব নিয়েই বলার আছে। এবং সবার উপরে বলার আছে সিলেবাস নিয়ে। কিন্তু কোথাও এ নিয়ে কোনো টুঁ শব্দটি দেখিনা। কেন্দ্রীয় বোর্ড এক গৌরবময় ব্যাপার, এটা মোটামুটি সুপ্রতিষ্ঠিত। 
    এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, নানা অ্যাপ, অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা। সেসবেও বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ। আর রাজ্য বোর্ডের নিয়োগে অজস্র দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এই সবকটা জিনিস দেখেশুনেই মনে হয়, দুর্নীতি-টুর্নিতি নেহাৎই উপরিতলের ব্যাপার। কোনোক্রমে হাত ঝেড়ে ইশকুল এবং তার নিয়োগ-পদ্ধতি ব্যাপারটাই তুলে দিতে পারলে সরকার বেঁচে যায়। অন্যদিকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখলেও একই রকম লাগে।যে, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপারটাই ভুলভাল, ঝেঁটিয়ে বিদেয় করলেই ভালো। এবং এই দুইই এক জায়গায় এসে মেলে শেষমেশ। কেন্দ্রীয় বোর্ড ভালো, বেসরকারি শিক্ষা ভালো। ব্যবসা ভালো, হিন্দি-ইংরিজি ভালো। ওগুলোই চালু হোক। এবং জল সেই দিকেই গড়িয়ে চলেছে।
    জল অবশ্য ওদিকেই গড়াবে, এটা ভবিতব্য না। এর উল্টোদিকে দাবী হতেই পারত, এবং পারে, যে, কেন্দ্রীয় বোর্ড বিকল্প না। ব্যবসা বিকল্প না। যদি বিপুল ছাত্রসংখ্যা সত্ত্বেও ইশকুল বন্ধ হয়ে যায়, তার কারণ ছাত্রের অভাব না, রাজ্য বোর্ডের অক্ষমতা। কিছুটা ইশকুল এবং শিক্ষকদেরও। বেশিরভাগটাই অবশ্য এঁদের না। এর সঙ্গে রাজ্য বোর্ডকে, বাংলা ভাষাকে, ভূমিসন্তানদের, চাকরি এবং উচ্চশিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া একটা সরকারি অ্যাজেন্ডা, সেটা একটা সরকারি প্রকল্প হবার কথা, সেটা একেবারেই বোর্ডের বা ইশকুলের বা শিক্ষকদের দায় না। এগুলোকে নিয়ে রাজ্য সরকার স্রেফ ছেলেখেলা করছে বললেও কম বলা হয়। 
    আরও অদ্ভুত লাগে, চারদিকে এত আন্দোলন হচ্ছে, তাতে বিষয়গুলো জোরগলায় দেখিনা কোথাও। হয় থাকেইনা, থাকলেও ক্ষীণ গলায়। শিক্ষায় দুর্নীতি একটা জরুরি বিষয়, কিন্তু সেটা তো স্রেফ কান। বড় ব্যাপারটা, অর্থাৎ মাথাটা হল, গোটা ব্যবস্থাটাই লাটে উঠে যাবার দিকে এগোচ্ছে। রাজ্য বোর্ড উঠে যাওয়া মানে, অবৈতনিক বা কম খরচে শিক্ষার ধারণা উঠে যাওয়া, মাতৃভাষায় শিক্ষার ধারণা উঠে যাওয়া, এবং বস্তুত শিক্ষা ব্যাপারটাই রাজ্যের হাত থেকে উঠে যাওয়া। এছাড়াও আগেকটা বিষয় হল শিক্ষার মান। কী এমন ঘটেছে, যাতে মধ্যবিত্তরা বোর্ডের ইশকুলেই আর বাচ্চাদের পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন না? এই গুলো নিয়ে শিক্ষকরা আওয়াজ তুললে ভালো লাগত। কারণ রাজ্য বোর্ড তো স্রেফ কিছু কর্মসংস্থানের জায়গা নয়। এটা গোটা একটা প্রজন্মকে তৈরি করার বিষয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ মার্চ ২০২৩ | ৩৭২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::9d:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৬517280
  • পোদুমিয়ার মেয়ে কিন্তুক প্রবল্প্রতাপ বামফ্রন্টোর আমলেও বাংলা ইশকুলে পড়তে যায় নি।
  • এলেবেলে | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৮517284
  • ১. রাজ্যে যে ৮২০৭টি স্কুল তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ছাত্রসংখ্যা ৩০ বা তার কম। বাংলার শিক্ষার পোর্টালে এ বিষয়ক নোটিফিকেশনটি দেখলেই সেটি স্পষ্ট হবে। তার মধ্যে প্রাথমিক বা প্রি-প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। ভবিষ্যতে যেসব স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ১০০ বা তার কম, সেগুলো ধর্তব্যের মধ্যে আনলে আরও ১৬ হাজার স্কুল উঠে যেতে পারে।
    ২. সর্বশিক্ষার দৌলতে ছাত্রস্ফীতি সামাল দিতে প্রচুর নিউ সেট আপ স্কুল চালু করা হয়। তাদের ছাত্রসংখ্যা দিনে দিনে কমছে কারণ শিক্ষকের অভাব। ছাত্ররা নিকটবর্তী মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তি হচ্ছে।
    ৩. বাংলা মাধ্যম স্কুলে একটা সেকশন ইংরেজি মাধ্যম চালু করার পরীক্ষা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই ওটা কোনও সমাধান সূত্র নয়।
    ৪. মফস্‌সলে এখনও বাংলা মাধ্যম সরকারি স্কুলে প্রচুর ছাত্র ভর্তি হচ্ছে। আমার নিজের স্কুলই তার প্রমাণ। তার দুটো কারণ - প্রথমত আর্থিক সক্ষমতার অভাব এবং দ্বিতীয়ত প্রাইভেট টিউশন পড়ার ভোগান্তি। নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগরে বাড়ি ভাড়া করে নাইন-টেন পড়তে হচ্ছে, এমন উদাহরণ প্রচুর আছে।
    ৫. সরকারি স্কুল নেহাতই লাবড়া-খিচুড়ি খাওয়ার স্কুলে পর্যবসিত হয়নি। ওটা কলকাতাবাসীদের ভুল ধারণা। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ এখনও প্রতি বছর সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় ভর্তি হয় প্রায় ২৫ লাখ ছেলেমেয়ে। সে অর্থে প্রত্যেক বছর প্রায় এক কোটি পরিবার এই শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে।
    ৬. ছেলেমেয়েদের ভালো রেজাল্ট অন্তত পব-তে স্কুলশিক্ষার গুণগত মানের ওপর নির্ভরশীল নয়। সেটা সরকারিই হোক কিংবা বেসরকারি। গোটা ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করে প্রাইভেট টিউটররা। এই আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে।
    ৭. এত কিছুর পরেও সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষকদের থেকে ধারে ও ভারে অনেক বেশি কাটেন। যে কোনও জেলা শহরের জেলা স্কুলগুলোতে তার উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে।
  • Kishore Ghosal | ১১ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৭517288
  • এত কথার পরেও - মোদ্দা কথাটা হল "স্বাধীনতার অম্ম্রুত উৎসব"-এর পরের বছরেই এতগুলি স্কুল তুলে দিতে চাইছেন আমাদের নির্বাচিত সরকার - অর্থাৎ সর্বশিক্ষা অভিযান নামক প্রকল্পটি আমাদের রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে আর দেরি নেই আর -
       
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ২৩:৩৮517290
  • অম্রুত তো কেন্দ্রে নির্বাচিত সরকারের। তার সঙ্গে রাজ্য শিক্ষার কী সম্পর্ক? 
  • Kishore Ghosal | ১২ মার্চ ২০২৩ ১০:২৫517297
  • অম্রুত উৎসব কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া একটি নাম বিশেষ - আসল কথাটি হল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি - সে স্বাধীনতা আমাদের এই রাজ্যেরও তো বটে। আমাদের অর্থাৎ পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের কথাই আমি বলছি।  
  • ABHISHEK | 203.17.***.*** | ১২ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৮517321
  • THIK
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৩ মার্চ ২০২৩ ০০:০৯517337
  • বর্তমান স্কুল শিক্ষা পদ্ধতিরই অনেক ঝাড়াই বাছাই করা প্রয়োজন আছে, রোজ রোজ তোতা কাহিনী করে লাভ নেই। প্রাইভেট আর পাবলিক স্কুল একই মুদ্রার দুটি পিঠ। পড়াশোনায় বিশাল কোনো আকাশ পাতাল ফারাক নেই। একটা পিঠ একটু কাদা লাগা, আরেক পিঠ চকচকে। ইনফরমেশন বেসড শিক্ষা ও স্থানু সিলেবাস থেকে বেরিয়ে এসে নলেজ ও ক্রিয়েটিভ থিংকিং বেসড শিক্ষার দিকে আসতে হবে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫২517342
  • ঠিক, ঠিক, একদম ঠিক । হীরকরাজের জয় । ঃ-)
  • Somnath | ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৮517347
  • এস এস সি বা টেট-এর মাধ্যমে স্কুল কমিটির হাত থেকে নিয়োগের ক্ষমতা সরিয়ে নেওয়া আর রাজ্যবোর্ডের পতন সমসাময়িক।
    রাজ্য বোর্ড ও বাংলা মিডিয়ামকে বাঁচাতে হলে এস এস সি বা টেট এবং এম সি কিউ নামের ছ্যাবলামি তুলে দিতে হবে।
  • :(( | 2409:4060:2d32:f5d5:a964:1aec:2d61:***:*** | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৬520915
  •  তৃণমূল আমলে তৃণমূল স্তরের সরকারি শিক্ষা জিজিতে। সরকারি কলেজগুলোতে পড়াশুনো হয় টয়?  শিক্ষকরা ক্লাসে এসে পড়ান টড়ান?  কলেজ র‍্যাংকিং হয় নাকি এখন,  হলে সরকারি কলেজের দশা কেমন কেউ জানলে একটু বলুন দেখি! 
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::42e:***:*** | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৪520916
  • এটায় ত দেখি অমিতচাড্ডি  মুখ লাগায় নি।  হায় হায় গেল কটাকা রে!
     অরণ্য তকন মনয় শীতঘুমে ছিল,গরম পড়তে জেগে উঠেছে।laughlaugh
  • Amit | 163.116.***.*** | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫২520917
  • এই তো চারপেয়ে ছাগুটা এসে নাপাচ্ছে আবার। কিরে ছাগু - তোর বাপদের খুঁজে পেলি ? না গুনছিস এখনো ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন