এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • আমাদের যাওয়ার জায়গা কই? 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১৮ অক্টোবর ২০২১ | ৩৫৯৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • এখন, এই কয়েকদিনের উত্তাল সময় পার করার সময় বারবার মনে হচ্ছিল ক্ষমতায় জামাত বিএনপি থাকলে কত সুবিধা হত আমার মত মানুষের। স্বপ্ন দেখতে পারতাম। ভাবতে পারতাম লীগ ক্ষমতায় থাকলে এমন হত না। স্বপ্ন দেখতাম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেই সাম্প্রদায়িকতার বিষকে নির্বিষ করে আমাদের মুক্ত করবে। কিন্তু তা আর হওয়ার না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এবং সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী সরকার। তাহলে এখন আমরা কার কাছে যাব? কিসের স্বপ্ন দেখব? আমাদের সমস্ত আশার আলো নিভে যাচ্ছে, গেছে!





    আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই। এই লেখা যখন লিখছি তখন রংপুরের পিরগঞ্জের এক গ্রামে আগুন জ্বলছে। মন্দির জ্বলছে, মানুষের বাড়িঘর জ্বলছে। ধর্মের অবমাননার শোধ নিচ্ছে তথাকথিত ধার্মিকেরা। এর মধ্যে কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনিতে ধর্মের মান সম্মান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে এই আবালরা। ধর্মের কতখানি সম্মান উদ্ধার হয়েছে জানি না, আমরা লজ্জায় আমার বন্ধুর মুখের দিকে তাকাতে পারছি না তা জানি, জাতি হিসেবে আমরা কতটুকু অন্ধকারে পা বাড়িয়েছি তা ভাবতেই শিউরে উঠছি।

    আমি সৌভাগ্যবান, আমার জেলায় তাপ লাগেনি, এখনও, মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখছি, এখানে সবাই সাধু পুরুষ, সবাই অসাম্প্রদায়িক বাস করে তা ভাবার কোন কারণ নাই। কিন্তু যেভাবেই হোক এখন পর্যন্ত শান্তি বজায় আছে। কিন্তু আমি ভিতু মানুষ। আমার মন অজানা আশঙ্কায় কেঁপে কেঁপে উঠে থেকে থেকেই! আমি পারব না আমার বন্ধু, প্রতিবেশীর ভয়ার্ত চেহারা দেখতে। আমি কতখানি সৌভাগ্যবান তা হয়ত কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝা যাবে। অসহায় লাগছে, ক্লান্ত লাগছে।



    আমি খুব লীগ ভক্ত? সম্ভবত। কারণ? কারণ আমি আমার শৈশব পার করেছি বিএনপির শাসন আমলে। শৈশব থেকে যৌবনে পা দেওয়ার সময়টা বিএনপি ছিল ক্ষমতায়। সাম্প্রদায়িকতা কোন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে তা চোখের সামনে দেখেছি। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি জামাতের তাণ্ডব দেখেছি, বাংলা ভাইদের উত্থান দেখছি, সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা দেখেছি, সরকারের তরফ থেকে সাফ অস্বীকার করতে দেখছি যে জেএমবি বা বাংলা ভাই বলে দেশে কিছু আছে, আমি দেখেছি রাজাকারদের প্রচণ্ড আস্ফালন, ধরা কে সরা জ্ঞান করে যা ইচ্ছা তাই করে যাওয়া। বাবরি মসজিদ পরবর্তী সময় দেখেছি, ছোট্ট আমি এখনও ভুলতে পারিনি আমাদের প্রতিবেশীদের আতঙ্কিত মুখ। আমাদের যারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক একজন বলে মনে করি তাদের জন্য বিকল্প কী থাকে তখন? নিজেই দল তৈরি করে নেমে যাওয়া না হয় আর না হয় আওয়ামীলীগকে সমর্থন করা। বধির মূঢ় মূক হয়ে তো বেঁচে থাকা যায় না।

    জন্ম থেকে সাম্প্রদায়িক দল বিএনপি আমাদের প্রচণ্ড রকম ক্ষতি করে দিয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য এক দুঃশাসন দেখে আমাদের আর দ্বিতীয় কিছু ভাবার উপায় থাকে নাই। আরও দুঃখের বিষয় হচ্ছে দ্বিতীয় কিছু নাইও। আমরা তাই লেখার জন্য মানুষ মারা দেখছি, চমকে উঠছি, আবার চুপ করে গেছি কারণ আমাদের মনের কোনে রয়ে গেছে পূর্ণিমার মায়ের আর্ত চিৎকারের কথা। আমরা একে একে দেখেছি নিয়ম করে কোপাকুপি। আমরা দম বন্ধ করে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক সামাল দিয়ে উঠবে। বন্ধ হল একদিন। আমারা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমরা রামু দেখি, নাসিরনগর দেখি, সাঁওতাল গ্রাম দেখি কিন্তু আমাদের আশা আমাদের পিছ ছাড়ে না। আমরা মনে মনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সব সামাল দিবে। আওয়ামীলীগকে সামাল দিতেই হবে। আর কোন রাস্তা নাই। দিতেই হবে। কিছুই হয় না। দিন যায়, আমরা ক্রিকেটে ভুলে যাই, সিনেমায় ভুলে যাই, ব্যক্তিগত দুঃখ কষ্টে ভুলে যাই, আমরা পদ্মা সেতু দেখি, ফোর লেন রাস্তা দেখি, ফ্লাই ওভার দেখি, মেট্রো রেল দেখি, আকাশে স্যাটালাইট দেখি, জিডিবি দেখি। দেখতে দেখতে ভুলে যাই একটা অসভ্যতারও বিচার হয়নি। সংবাদপত্ররা ভুলে যায়, আমরাও ভুলে যাই। ততদিন ভুলে থাকি যতদিন না আরেকটা গ্রাম, আরেকটা মন্দির ধ্বংস হচ্ছে, আরেকজন মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। আবার আমাদের মনে পড়ে, আমরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ি। এবং নিয়ম করে এক সময় স্তিমিত হয়ে যাই। কারণ আমাদের যাওয়ার জায়গা নাই। এই করতে করতে আমাদের দেখা, আমাদের সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কালো রাত এসে হাজির হল। সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় হাজির হল পিশাচেরা। তাণ্ডব নৃত্য করে গেল। প্রশাসন, প্রচণ্ড ক্ষমতাধর সরকার সবাইকে প্রায় ঘোষণা দিয়েই চলল রক্তের হোলি খেলা। মন্দির পুড়ল, মানুষ মরল, খুশির সময় রূপ নিল আতঙ্কিত সময়ে। এবং আজ পর্যন্ত চলছে সেই তাণ্ডবলীলা। কবে থামবে জানি না। কীভাবে থামবে তাও জানি না। আদৌ থামবে না আমরা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে, আফগানিস্তান পাকিস্তানের সাথে সমোচ্চারিত হব তাও জানি না।

    স্বাদের ক্ষমতা কেউ সহজে ছাড়বে না। সরকার নিজের বিপদ বুঝতে পেরে কঠোর হবে যে কোন সময়। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করবে। ফলাফল আরও রক্ত, আরও মানুষ প্রিয়জন হারাবে, আরও মানুষ স্বজন হারা হবে। হয়ত সরকার টিকে যাবে কিন্তু রক্তের নহর যে বয়ে যাবে তার কী হবে? আমাদের কী হবে? আমাদের স্বপ্নের কী হবে? আমাদের আশার কী হবে? আমরা কার কাছে যাব? আমাদের যাওয়ার জায়গা কই? রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে, আর বিশেষ কিছু করার নাই সম্ভবত।

    কিংবা শেষের শুরু হবে। এখনই আমরা আশা করার কিচ্ছু পাচ্ছি না। শেষের শুরু হলে বা শেষ হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? আমাদের কি খুব চাহিদা ছিল? আমরা তো কিছুদিন আগেও দুধ কলা ভাত সড়াত সড়াত পর্যন্তই চাইতাম। আমরা তো পূজার নাড়ু আর ঈদের ফিরনী সেমাই মিশিয়ে খেতাম। আমরা তো অবলীলায় বন্ধুর মাকে নিজের মায়ের জায়গা দিয়ে দিতাম। আমাদের কী হবে? আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ১৮ অক্টোবর ২০২১ | ৩৫৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • কিংবদন্তি | ২২ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৪৫500068
  • অরণ্য দা, এগুলা অবশ্যই আশার কথা। কিন্তু সামগ্রিক চিত্র যে প্রতিনিয়ত আমাদের পিছন পথ দেখাচ্ছে তা তো আবার আমাদের শঙ্কিত করছে। যারা প্রতিবাদ করেছে তারা সব সময়ই প্রতিবাদ করে। ঢাকা শহরে প্রতিবাদ না হয়ে উপায় নাই। হবেই এটা জানা কথা। কিন্তু পুরো দেশের কী অবস্থা? সরকার কী ভাবছে? আমি মূলত হতাশ সরকারের আচারনে। মানুষ আজকে একদিকে কালকে আরেকদিকে যেতে পারে। মানুষকে বুঝ দিয়ে নানা কাজ করায় নেওয়া যায়। কিন্তু রাষ্ট্র বা সরকার তো সেই ভাবে কাজ করে না। রাষ্ট্রের মূলনীতি কী? মূলনীতি থেকে সরে আসতে পারে? আমার মতে সরকার একটু না অনেকখানিই সরে এসেছে মূলনীতি থেকে। ভয়টা সেখানেই। ভোটের রাজনীতি আওয়ামীলীগকে এমন অনেক কিছুই করতে বাধ্য করেছে যা তাদের চরিত্রের সাথে যায় না। যদিও আমার মতে এইটা একটা ভুল পথ। কারণ এদের জন্য যাই করুক সরাকর, এরা কোনোদিনই ভোট দিবে না আওয়ামীলীগকে। সময় মত ঠিক নিজের পথ চিনে নিবে। অথচ সরকার এদের জন্য পাঠ্যবই পরিবর্তন পর্যন্ত করেছে, কাওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এদেরকে খুশি করতেই ধর্ম নিরপেক্ষ নীতিতে আর ফিরে যেতে পারছে না। 
    হাটে মাঠে ঘাটে, সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িক? আমার উত্তর যদি এক কথায় দিতে হয় তাহলে বলতে হচ্ছে হ্যাঁ। এর ব্যাখ্যা যদি দিতে বলেন তাহলে আমি বলব এরা সাম্প্রদায়িক কিন্তু না বুঝেই সাম্প্রদায়িক। যারা হুড় হাঙ্গামা করে মন্দির ভাঙতে গেল এদের মাঝে দুই শতাংশও ঠিক মত পড়াশোনা করে নাই, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।  শিক্ষা আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমাদের মান সম্পন্ন শিক্ষা নাই। যা আছে তার ভিতরেই সাম্প্রদায়িকতা বাসা বেঁধে বসে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় বিবর্তন পড়ান হয় এই কথা বলে যে পড়ার জন্য পড়, বিশ্বাস করার দরকার নাই! 
    আমি মফস্বল শহরের মানুষ। আমি মানুষ দেখি বাজারে, চায়ের দোকানে, খেতে খামারে। এদের বেশির ভাগ শান্তি চায়, তার খেতের ফসলের দাম চায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হাতের নাগালে থাকবে এইটা চায়। এই শান্তি প্রিয় মানুষটাকেও আমি দেখি ক্ষোভে ফেটে পড়তে, কোরআনকে অপমান! কে কোথায় কীভাবে অপমান করল তা ভাবার সময় নাই। ধর্মকে আফিম এমনে এমনেই তো আর বলে না, তাই না? 
    সরকার বিএনপি জামাতকে দোষারোপ করে। এতে দোষের কিচ্ছু নাই। আসলেই শান্তি প্রিয় মানুষকে উস্কে দিয়ে নানা অপকর্ম করিয়ে নিচ্ছে বা নিতে চাচ্ছে এরা। ক্ষমতার লড়ায়ে টিকে থাকতে বিএনপি জামাত করবে না এমন কিছু নাই। যা পারবে তাই করবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তারা ষড়যন্ত্র করবে তা প্রতিহত করবে কে? ওরা করছে বলে লাভ কী? 
    আমি চাই এবার যা হল এটাই শেষ সংঘর্ষ। এখান থেকেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। যদি এটাই সত্যি হয় তাহলে এরচেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?  
  • কিংবদন্তি | ২২ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৫৯500072
  • Debanjan Banerjee
    আনিসুল হকের লেখা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। আমিও তাই লিখেছি। বারুদের উপরেই আছি আমরা। আপনি এনআরসি নিয়ে যে প্রশ্ন করেছেন তাও প্রাসঙ্গিক। তবে একটু পার্থক্য আছে। আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, বাংলাদেশে এর প্রভাব আছে। কিন্তু ওইটা কিন্তু ভিন্ন রাজনীতি। এর সাথে সাম্প্রদায়িক সমস্যার মিল নাই। ঘোর অসাম্প্রদায়িক লোক ভারত বিরোধী। সে আরেক কেস। আমাদের এখানে ভারত বিরোধী কার্ড খেলা হয় সূক্ষ্ম ভাবে এবং স্থূল ভাবে। বন্যায় পানি আসছে কার দোষ? ভারতের দোষ! আরে ওই পাশে পানি আসলে আমাদের এদিক দিয়েই তো পানি নামবে, ওই পাশে বন্যা আসলে এদিকে আসবে না? না, ঠিক পানি বাড়লেই ওরা তিস্তার গেট খুলে দেয়! আমাদের মারার জন্য এই কাজ করে! এমন হচ্ছে চিন্তার দৌড়।
    কতশ মেট্রিক টন ইলিশ প্রতি বছর ধরা পড়ে কেউ জানে না। কিন্তু ভারতে কয়েক টন মাছ গিয়েছে আর তাই দেশে ইলিশের দাম বাড়তি! মোট ধরা পড়া ইলিশের কত শতাংশ ইলিশ ভারতে গেছে আর তাতে দেশের ইলিশের দামের পার্থক্য হতে পারে কিনা এই সব ভাবার দরকার নেই কারো। কারণ এতে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা যাচ্ছে।
    এনআরসি নিয়ে এমন ধরনেরই প্রতিক্রিয়া আছে। কত রাক্ষস খোক্কসের ভয় দেখাচ্ছে প্রতিনিয়ত আর এ তো বাস্তব সমস্যা। মানুষ প্রতিক্রিয়া তো দেখাবেই।
  • guru | 146.196.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১০:০২500088
  • @ সাদেক ভাই ,
     
    উপমহাদেশের সবকটি দেশেই আর্থিক বৃদ্ধির একটি প্রতিক্রিয়া হয়| আর্থিক বৃদ্ধির সাথেসাথে আর্থিক অসাম্য খুবই বেড়ে যায় ও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মনে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়| সরকার তখন এই বিরূপ মনোভাবকে অন্য দিকে চালনা করতে চায় এবং তখন রাষ্ট্রযন্ত্র একাধিক এক্সটার্নাল ও ইন্টারনাল; শত্রুকে তৈরী করে ও তাকে প্রোমোটও করে এর ফলে জনগণের সরকারের প্রতি বিরোধিতা অন্য দিকে চালিত হয় | এটি একটি প্যান-সাউথ এশিয়া সমস্যা | আমি নিজে এটাকে "পলিটিক্স অফ ডাইভারশন" বা "নজর ঘুরানোর রাজনীতি" বলে ডাকি | 
     
    বাংলাদেশেও গত কয়েক বছরের আর্থিক বৃদ্ধির সাথে সাথে আর্থিক অসাম্য খুবই বেড়ে যায় এবং হয়তো শেখ হাসিনা সরকারকেও এরকমই কিছু করতে হতো যেরকম আমরা আজকে দেখছি | এটাতো সত্যি কথা আল-জাজীরা যখন "অল টি প্রাইম মিনিস্টার'স মেন্ " তথ্যচিত্রটি তৈরী করে তখনই সরকারের প্রতি বেশ একটি বিরূপিতা তৈরী হয়েছিল যেটিকে ডাইভার্ট করতেই শেখ হাসিনা সরকার হয়তো এমন একটি ইস্যু দরকার ছিল যাতে সাধারণ মানুষের মনোযোগ সেই দিকেই যায় | geopolitics এর দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশের এখন ভারতের মতো একটি বড় শত্রুর প্রয়োজন | 
     
    এটা একটা সত্য ব্যাপার যে প্রগতিপন্থীদের বাংলাদেশে এখন শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো অপশন নেই | ঘটনা হচ্ছে যে বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা এই দুটি এখন সমার্থক শব্দ | শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে ভাবাই যায়না এখন | শেখ হাসিনাও সেটাই জানেন কাজেই তিনি সেই অনুযায়ী তার "নজর ঘুরানোর রাজনীতি" তিনি তৈরী করেন |
     
    বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার এই মূল্যায়ন |
     
    সাদেক ভাই , অরণ্য আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম |
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১০:৩৮500090
  • কিন্তু নেশন মানেই তার একটি আদার লাগে।  তাৎক্ষণিক ডাইভারসনের প্রশ্ন কি শুধু?  
     
    বাংলাদেশের গুরুর ইউজারদের জন্য এই প্রশ্ন গুলো ছিল: সরাসরি উত্তর চাইনা, বই বা পেপারের রেফারেন্স যথেষ্ট । দেশের বাইরে সকলে সেইফ থাকলে তবে ই জানাবেন। 
     
    ১. বাংলাদেশের বড় মেডিয়া গুলির পোলিটিকাল , অর্থনৈতিক, সোশাল‌ বায়াস ক্যাটেগোরি কিরকম ভাবে করা হয়
    ২. কমিউনিটি পুলিশ তো এবার খুব ভালো কাজ‌ করলো বলেই মনে হয় , এটা কি বরাবর  ছিল না কাফের ঘটনার পর বেটার হয়েছে? সাধারণ বা গরীব বা মার্জিনালাইজড মানুষ থানা পুলিশে ভরসা পায় না সিকিউরিটি র জন্য রাজনৈতিক গুন্ডাদের উপর নির্ভরশীল আমাদের মতো। নাকি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ই মূল সমস্যা। 
    ৩. পুলিশ ফোর্সের মধ্যে রাডিকালাইজেশন আছে নাকি জেনেরালি মেজরেটেরিয়ান , আমাদের এখানে র  মতো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই মহিলা আর গরীব বিরোধী কি পুলিশ? আভ্যন্তরীন সমস্যা য় কথায় কথায় সেন্ট্রাল প্যারামিলিটারি ফোর্স কাজে লাগানো হয়? সরকারি কর্মচারীদের রাডিকালাইজেশন আছে না শুধু ই মেজরেটারিয়ানিজম ? 
    ৪।  ডেটা ভিত্তিক নিউজের কি অবস্থা , আছে না বেড়েছে না কমেছে ? নাকি নতুন ও বাড়ছে? 
    ৫. এই যে খবর বেরিয়েছে , ৩৪ হাজার পুজোয হয়েছে। ৭০ টা মত জায়গায় সমস্যা হয়েছে পূজা মন্ডপে , আর কিছু দোকান ব্যবসা র ক্ষতি হয়েছে এটা কি রিলায়েবল নাম্বার ?   
    ৬. ওখানে কি কমিউনালিজম এর কোনো রিজিওনাল ডিস্ট্রিবিউশন আছে? নাকি সেরকম ডেটা নাই ? বড় শহর ছোট শহর ভাগ আছে? 
    ৭. সত্যি সত্যিই কি‌ প্রবাসীদের  রেমিট্যান্স মানি টাই সাম্প্রদায়িক শক্তির  মূল ফান্ডিং নাকি সেটা আক্রস বোর্ড সব রাজনৈতিক দলের ই বড়ো ফান্ডিং 
    ৮. ৭১ পরবর্তী কমিউনালিজম নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে থিয়োরি আর পরিসংখ্যানে র জন্য কোন আকাদেমি ক বা ই বা লেখা পড়া উচিত
    ৯. শহুরে সেকুলারিস্ট রা কি বামপন্থীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক বা অন্য প্রশাসনিক বিষয়ে কমন ল্যাটফর্মে আসে না কি দুটো সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। ? 
     
    আগাম ধন্যবাদ।
     
    ইগনোর করলেও চলবে। সেইফ না বোধ করলে উত্তর দেবেননা, সরাসরি উত্তর চাইনা , বা ই বা পেপারের রেফারেন্স যথেষ্ট যদিও দেখাই যাচ্ছে প্রশ্নগুলো বোকবৈকা উত্তর ও খুব গোপন কিছু হবার অবকাশ নেই।
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১১:০০500091
  • ১০. পাকিস্তানে পিপিপি, ভারতে কংগ্রেসের প্রভাব কমাটাকে একটা মতে সংখ্যালঘুর অধিকার ও অর্থনৈতিক দাবীর লড়াই কে দুর্বল‌ করেছে বলে মনে করা হয় , এটা কি লীগের ক্ষেত্রে্ বাংলাদেশে মনে করা হয় ?
  • r2h | 2405:201:8005:9947:1124:2db7:62dd:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১১:১৮500093
    • aranya | 2601:84:4600:5410:84a5:dbc8:e47a:8eb0 | ২২ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৪৫500023
    • ...খুবই ​​​​​​​শকিং, ​​​​​​​যদি ​​​​​​​মেজরিটি ​​​​​​​লোক ​​​​​​​সাম্প্রদায়িক ​​​​​​​হয়...
     
    অরণ্যদা, সব দেশে সব কালেই মেজরিটি হয় সাম্প্রদায়িক, রেসিস্ট, বিভেদকামী, অথবা কিছু আসে যায় না - এমন নয় কি? যাই বলি, নেতৃত্ব ম্যাটার করে - প্যাক অ্যানিমেল, আলফাটি কী করতে চায়...

    মানুষ যদি প্রবৃত্তিগতভাবে সরল গোলগাল হতো তাহলে, মানবসভ্যতার কম দিন তো হলো না, এখনো এত মারদাঙ্গা হয় কিসের জন্যে? আগেকার কথা ছেড়েই দিলাম, আধুনিক পৃথিবীতেও নাজিবাদ, ফ্যাসিবাদ, সেগ্রিগেশন, অ্যাপারথেইড, দেশভাগ, একাত্তর, ইজরায়েল প্যালেস্টাইন, রোহিঙ্গা, তাইলিবান, আইসিস - রেকারিং ডেসিমাল চলছে তো চলছেই। আর জাতিভেদ, দলিতহত্যা, প্রতাপ সারঙ্গীর পার্লামেন্ট যাত্রা, বিফ লিঞ্চিং, সেঙ্গার টেঙ্গার ওসব তো খুচরোর মত পকেটের ছ্যাঁদা দিয়ে গলে যায়।

    গ্রাহাম স্টুয়ার্ট্স স্টেন নিয়ে একটু উইকি দেখছিলাম "Dismissing the Central Bureau of Investigation's plea for death penalty to Singh, a Bench of Justice P. Sathasivam and Justice B. S. Chauhan endorsed the Orissa High Court's finding that his crime did not fall under the rarest of rare category. In its 76-page judgment, the court came out strongly against the practice of conversion."। যদিও মিডিয়ার খিস্তি খেয়ে মহামান্য উচ্চতম ন্যায়ালয় মন্তব্য প্রত্যাহার করেছিল।

    হাসিনা তো তাও অ্যাকনলেজ এবং সমালোচনা করেছেন।
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১১:২৯500094
  • হ্যাঁ এবার হাসিনার , হোম সেক্রেটারির  প্রতিটা স্টেটমেন্ট ই ভালো। আওয়ামী লীগের টুইট গুলোও ভালো। পুলিশের কাজ ও ভালো। তবে প্রথম আলো খবর করে ইম্প্লাই করেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা কুমিল্লা য় বাধা দেয় নাই। ওখানে কি লেসার এভিল তত্ব নাই ? নাকি লীগ কে প্লশ্ন করে আকাউন্টেবিলিটি বাড়ানোটাই উদ্দেশ্য ? মানে সেটাতো যা বুঝলাম আর্বান অসংগঠিত সেকূলারিস্ট রাও করে । 
    এই ইস্যুতে বাম স্পেকট্রাম টায় ওয়ার্কার্স পার্টি আর সিপিবির বক্তব্য দেখেছি। অতি বা অন্য বামদের অবস্থান কি?
     
     
  • কিংবদন্তি | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ২২:৫৮500128
  • guru, আপনার মূল্যায়ন যথার্থ। বর্তমানে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সমার্থক বলা চলে। সেই জন্যই আফসোস বেশি হয়। তিনি অনেক কিছুই কেন করেন কী ভেবে করেন বুঝা যায় না। নজর সরানোর জন্য? হতেও পারে। অত বড় রাজনৈতিক প্যাচ আমি বুঝব না। আমি সোজাসুজি যা বুঝি তাই লিখেছি। আমি কিন্তু তেমন কেউ না। মফস্বল শহরে বসে ইন্টারনেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজের মনের যা ইচ্ছা তাই লিখে যাচ্ছি। সুদূর ভারত থেকে বা আল্লাই জানে কে কোথা থেকে কথা বলছেন আমি শুনছি। কাজেই আমার ধারনা ভুল হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা আছে। আমি আপনার কথার সাথে একমত। তবে আল জাজিরার অল দা প্রাইম মিনিস্টার ম্যানকে আপনি যতখানি গুরুত্ব দিচ্ছেন আমার আমার মনে হয় না আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা ততখানি গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। আমি জানি না কেন জানি সব কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আবার এই কারণে এত বড় কাণ্ড করবে এইটাও মেনে নিতে ইচ্ছা করছে না। বর্তমান সরকার এত দুর্বল কেউ না। যে কারণেই হোক, আমার কাছে প্রশাসনের কাজ কাম ভাল লাগে নাই। কোরান পাওয়ার পরেরদিন একটা কিছু হবে এইটা দেশের সকলে জানত। তারা বড় গলায় বলল ২২ জেলায় বিজেবি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ গণ্ডগোল হল এবং তীব্র ভাবেই হল। শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিয়োগ দিয়েই কাজ শেষ ভাবলে এর সমাধান হবে? কোথায় কোথায় এমন হতে পারে, ওই এলাকায় কারা করতে পারে এই সব পুলিশ জানে না? গোয়েন্দারা করে কী? তাদের সাথে বসে আলাপ আলোচনা করে, বিচার হবে, তদন্ত চলছে এমন কিছু বলে হলেও এদেরকে সেদিন রাস্তায় নামতে দেওয়া ঠিক হয়নি। যখনই এই কাজ হয়েছে তখনই প্রশাসনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে সরকার আন্তরিকতা নিয়ে। এর মধ্যেই খবর পাওয়া গেছে নাসিরনগর কাণ্ডের আসামিদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিয়েছে! তখন ক্যামন লাগে বলেন? একে তো বিচারের খবর নাই উল্টা মনোনয়ন দিয়ে পুরস্কার। সারা দেশে এদের উত্থান তো নিজে চোখেই দেখছি। হয়ত আপনার কথাই সত্য। তবে মুশকিল হচ্ছে এতে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।  
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ০৮:০০500140
  • "বর্তমানে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সমার্থক বলা চলে। সেই জন্যই আফসোস বেশি হয়।"
     
    শরীফের অমৃতবচন!!! 
     
    হা হা প গে =)) 
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৪500143
  • আমার মনে হয় বাংলাদেশ এর এখন একটা অন্যতম বড় সমস্যা রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে যাওয়া। আর এদের ধরতে গেলে যদি এরা বিরোধী পক্ষ হয়ে যায়, সেই ভয়ে সরকার এদের ধরতে ভয় পাচ্ছে। হাসিনার সরকার কে চাপে রাখার জন্যই সাম্প্রদায়িকতার চাষ হচ্ছে। শিক্ষার থেকে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো সোজা। আজ কেউ যদি লোককে বোঝাতে চায়, বাংলাদেশ এর উচিত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়ে যাওয়া তখন বিরোধী পক্ষ জাস্ট লোককে তাতিয়ে দেবে এই বলে, ওরা তোমাদের কোরআন কেড়ে নিতে চাইছে। ব্যস, ঝামেলা লেগে যাবে, সাধারণ লোকে আর কিছু বুঝতে চাইবে না। শিক্ষার অভাব টাও বড় ফ্যাক্টর। এই যে আজ ইলিশের ওভার ফিশিং চলছে, প্রজনন ঋতু তেও লুকিয়ে চুরিয়ে ধরা চলছে, লোকে বুঝছেই না তাতে পরের বছর যোগান আরো কমে যাবে, দাম আরো বেড়ে যাবে। কোনো সাস্টেনেবল ভাবনাই নেই। সরকার একা কত আটকাবে। লোকে ভাবছে, এবছর ইলিশের দাম আছে, বিক্রি তো করি, পরের বছর আবার দেখা যাবে। ইলিশ উধাও হয়ে যাবে, হয় নাকি !
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৮500144
  • এই রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির আরো একটা বড় উদাহরণ রাজধানী ঢাকার বুকে রমরমিয়ে ক্রিকেট বেটিং আর ম্যাচ ফিক্সিং চলা। এটা একদম ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। সব ক্রিকেটার এই নিয়ে বিরক্ত। তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
  • guru | 103.135.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৪০500147
  • বাংলাদেশের যদি গত ১০০ বছরের ইতিহাস ধরা হয় দেখা যাবে যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ২০-৪০ বছর পরে পরে একটা করে রাজনৈতিক churn আসে | এই ব্যাপারটির মূল দ্যোতক হচ্ছে এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ক্ষমতাশীল ধনিক শ্রেণীর আর্থিক ও সামাজিক ব্যবধান | ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ চেয়েছিলেন নতুন অঞ্চল "পূর্ববঙ্গ ও অসম " যেহেতু তারা বুঝেছিলেন যে তাদের বঞ্চনা ও উপেক্ষা ছাড়া কলকাতার শিক্ষিত এলিট হিন্দু মানুষের কাছ থেকে আর কিছুই পাবার নেই | ১৯৪৬ -৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের এই মানুষেরা ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের একদম সামনে যেহেতু তারা তখন আবার কলকাতার শিক্ষিত এলিট হিন্দু মানুষের নিয়ন্ত্রণে আরেকবার পরাধীন হয়ে থাকতে চাননি | এই মানুষেরা ১৯৪৬ -৪৭ সালে পাশে না থাকলে জিন্না সফল হতেননা এই সত্যতা এখন পাকিস্তানের সমস্ত ক্লাস মেনে নিয়েছে | ১৯৭১ সালে এই মানুষেরা আবার পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যেহেতু তারা আবার তাদের আর্থ -সামাজিক অবস্থায় একেবারেই খুশী ছিলেননা | 
     
    বর্তমানে বাংলাদেশে ​​​​​​​কি ​​​​​​​আবার ​​​​​​​এই ​​​​​​​রকম ​​​​​​​আরেকটা রাজনৈতিক ​​​​​​​পরিবর্তন ​​​​​​​বা churn আস্তে ​​​​​​​চলেছে ? এই ​​​​​​​বারে ​​​​​​​সাধারণ ​​​​​​​মানুষেরা ​​​​​​​কার ​​​​​​​বিরুদ্ধে ​​​​​​​যাবে ? এই churn এর ​​​​​​​চরিত্র ​​​​​​​কি ​​​​​​​হতে ​​​​​​​পারে ​​​​​​​?
     
  • guru | 103.135.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৪:২৯500148
  • বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি বড় ​​​​​​​ব্যাপার ​​​​​​​হচ্ছে শহরাঞ্চলের ​​​​​​​শিক্ষিত, ​​​​​​​উন্নত, ​​​​​​​সংস্কৃতমনস্ক, ​​​​​​​রুচিশীল , অসাম্প্রদায়ীক ​​​​​​​মানুষের ​​​​​​​সঙ্গে ​​​​​​​গ্রামের ​​​​​​​বা ​​​​​​​মফস্সলের ​​​​​​​সাধারণ ​​​​​​​অপেক্ষাকৃত ভাবে বঞ্চিত ​​​​​​​মানুষের চরমবর্ধমান মানসিক ​​​​​​​দূরত্ব | শহরাঞ্চলের শিক্ষিত, ​​​​​​​উন্নত, ​​​​​​​সংস্কৃতমনস্ক, ​​​​​​​রুচিশীল , অসাম্প্রদায়ীক ​​​​​​​মানুষের কাছে গ্রামের ​​​​​​​বা ​​​​​​​মফস্সলের ​​​​​​​সাধারণ মানুষ ​​​​​​​হলো ​​​​​​​"সাম্প্রদায়িক" , "হুজুর" বা "ছাগু" | গুরুতে বহু শিক্ষিত, ​​​​​​​উন্নত, ​​​​​​​সংস্কৃতমনস্ক, ​​​​​​​রুচিশীল মানুষকে এই দুটি শব্দ "হুজুর" বা "ছাগু" ব্যবহার করতে দেখেছি কাউকে সাম্প্রদায়িক বোঝাতে | এটা শহর ও গ্রামের চরমবর্ধমান মানসিক ​​​​​​​দূরত্বকেই বোঝায় |
    |
    ঘটনা হলো যে ঐসব গ্রামের মানুষ কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তির বেশি প্রয়োজন যেহেতু এই মানুষগুলিকে কম মজুরির বিনিময়ে ঢাকা বা মীরপুরের গার্মেন্টস খাতে খাটিয়ে বা মধ্যপ্রাচ্যে রেমিট্যান্সের জন্য পাঠিয়েই বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনৈতিক উন্নতি | এখন এইসব মানুষেরা ধর্মের মাধ্যমেই তাদের নিজেদের রাজনৈতিক অভাব অভিযোগ প্ৰকাশ করতে পারে যেহেতু আর কোনো মিডিয়াম তাদের সামনে নেই |
     
    এখন  বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের ​​​​​​​শিক্ষিত, ​​​​​​​উন্নত, ​​​​​​​সংস্কৃতমনস্ক, ​​​​​​​রুচিশীল , অসাম্প্রদায়ীক ​​​​​​​মানুষের প্রয়োজন এইসব মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো কেননা এটা ঐতিহাসিক সত্য যে বাংলাদেশে ১৯৪৭ সালে ও ১৯৭১ সালে রাজনৈতিক বিপ্লবের পিছনে প্রধান ভূমিকা এইসব ​​​​​​​গ্রামের ​​​​​​​বা ​​​​​​​মফস্সলের ​​​​​​​সাধারণ মানুষেরই ছিল | 
     
    ১৯৭১ সালে শহরাঞ্চলের বাঙালী জাতীয়তাবাদকে সাফল্যের জন্য একটা শত্রূর প্রয়োজন ছিল এই বিশাল গ্রামের ​​​​​​​বা ​​​​​​​মফস্সলের ​​​​​​​সাধারণ মানুষের একত্র করার জন্য | সেই সময় সেই শত্রু ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী | ২০২১ সালের বাঙালী জাতীয়তাবাদকে নতুন একটি শত্রুর প্রয়োজন তার টিকে থাকার জন্য | প্রশ্ন হচ্ছে এই শত্রুটি কে ?
     
    এখানে পাঠকদের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্যব্যের অপেক্ষায় রইলাম |
  • Haranath Bhattacharya | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৫:০৭500150
  • খুব ভাল
  • guru | 103.135.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ২৩:০৩500174
  • এখন বাংলাদেশের সেক্যুলার ,​​​​​​​শিক্ষিত, ​​​​​​​উন্নত, ​​​​​​​সংস্কৃতমনস্ক, ​​​​​​​রুচিশীল , অসাম্প্রদায়ীক ​​​​​​​মানুষের ​​​​​​​উচিত ত্রিপুরায় এই ঘটনাগুলির প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমে পড়া | তানাহলে তাদের নিজের দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছেই তাদের কোনোরকম ক্রেডিবিলিটি থাকবেনা |
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৫ অক্টোবর ২০২১ ২১:১৪500203
  • হোয়াটআবাউটারির ফাঁদে পড়ে করে লাভ নাই, রাষ্ট্রীয় হোয়াট আবাউটারিতে তো আরো নিষ্ফলা। আজ মহম্মদ শামি র বিরুদ্ধে গদ্দার শব্দটা টুইটারে ট্রেন্ড করছে। এ মানে মিনিংলেস এবং রিলেন্টলেস। কাশ্মীরি ছাত্র ক্যালানো এখন একটা জেনেরাল পাস্ট টাইম। 
    এই ঘটনায় এখনো অব্দি কনক্রিট আকশন এবং প্রতিবাদ বাংলাদেশে নর বড়শহরে যা হয়েছে তার সঙ্গে স্কেলে পশ্চিমবঙ্গ অনেক পেছনে।  হতে পারে তৃণমূল হাসিনাকে এমৃব্যারাস করতে চাইছে না বা লোকে ২০১৪ র ইসু নিয়ে প্যাঁক দেবে তাই করছে না। আই ডোন্ট নো। সব কিছু তে  বুদ্ধিজীবী দের দায়ী করাটা এখন জেনেরাল আন্টি ইন্টেলেকচুয়ালিজম শুধু না থটলেসনেস এর পক্ষে ক্যাম্পেনের পার্ট। সততা সত্যকথন পোলিটিকাল কারেক্টনেস বিরোধিতা এইগুলো সরাসরি রাইট উই়ং গার্বে পরিণত হয়েছে। তাই আমি সিপিএম সমর্থক হিসেবে তৃণমূল এবং তাদের লিবেরেল ইন্টেলেকচুয়াল বন্ধু দের বিরোধী হয়েও এক্ষেত্রে করতে পারব না। দ্যাট ডাজ‌নট লিগ আস এনিহোয়ার। প্রকাশিত অবস্থানের বিরোধিতা করতে পারি সম্মিলিত অবস্থান ই যেখানে নাই কি বিরোধিতা করব। 
    আমার একটু সিরিয়াস লি অবাক লেগেছে দুদিন আগের আনন্দবাজার এ সেমন্তী ঘোষের আর্টিকল, প্রচুর রাস্তায় নামা উচিত , বাংলাদেশ এর তো নামছেন, ইত্যদি ইনডিরেক্ট ইঙ্গিত সত্ত্বেও কোথাও একটা সহকর্মী দের প্রতি রাস্তায় নামার ডাক নাই। অসংগঠিত ইন্টেলেকচুয়াল দের হাঁক পাড়তৈ এত কিসের দুশ্চিন্তা বোঝা মুশকিল।
  • কিংবদন্তি | ২৭ অক্টোবর ২০২১ ২২:০৯500287
  • রমিত, আপনার দুর্নীতির তত্ত্বের সাথে একমত। সরকার বেশ কয়েকবার শক্ত হতে গিয়েছে এবং প্রতিবারই পিছু হটে এসেছে। এখন চোখের সামনে বা যদি ধরেন সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে কোন ঘটনা সেটা শক্ত হাতে দমন করা হচ্ছে, বিচার হচ্ছে। যদিও এরও ব্যতিক্রম রয়েছে। দুর্নীতি অনেক বড় একটা বাঁধা বর্তমান সরকারের পথে। ঢাকায় ক্রিকেট নিয়ে ফিক্সিং ওপেনে চলছে এমন আমার জানা নাই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অনেক দুর্নীতি আছে, নানা অনিয়মের খবর আছে সত্য। তার সাথে চলমান আলোচনার সম্পর্ক আমি বুঝি নাই। 
  • কিংবদন্তি | ২৭ অক্টোবর ২০২১ ২২:২৭500289
  • guru, না, আপনি যেমন ভাবছেন তেমন না বলেই আমার মনে হয়। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোন বিপ্লবের পিছনে দৌড়াচ্ছে না। ওরা আগের মতোই আছে। তাঁদের মূল চাহিদা ঠিক থাকলে ক্ষমতায় ধানের শিষ না নৌকা এইটা নিয়ে তারা অত চিন্তা করে না। বর্তমান সরকার টিকে আছে তার বড় কারণ এইটা একটা। যেভাবেই হোক এদেরকে সরকার খুশি রাখছে। এখন যা হচ্ছে তা হচ্ছে এই শান্তি প্রিয় মানুষ গুলাকে কেউ ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে। ধর্মের কথা বলে এদেরকে উত্তেজিত করা যায়। আওয়ামীলীগ সরকার খারাপ, একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে হবে বলে ডাকলে কাওকেই পাওয়া যায় না। যে নামে ডাকলে পাওয়া যায় ওই নামেই ডাকা হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতা হচ্ছে সরকার এইটা হতে দিচ্ছে। আর সবচেয়ে খারাপ যা হচ্ছে বলির পাঠা হিসেবে জীবন যাচ্ছে সংখ্যালঘুর। সরকার এই অংশটা যেন তাদের বিরুদ্ধে না যায়, কেউ বুঝাইলেই যেন না বুঝে, আসলে তারা খুব ধার্মিক এইটা বুঝানোর জন্য, এদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে যা আসলে হিতে বিপরীত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে শক্তিশালী করে তাকে দমনের চিন্তা বালখিল্য চিন্তা বলে মনে হয় আমার। সরকার এই বালখিল্য কাজটা করছে। 
    আর ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে এখান থেকে প্রতিবাদ জানানোই যায়। তবে এদিকের পরিস্থিতি ভাল না। প্রতিবাদের ভাষা অনেকেই মনে করতে পারে আবার হিন্দুদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়া। মূল দায়িত্ব আপনাদেরই। এদিকে ওই খবর খুব বেশি প্রচারেরও বিপক্ষে আমি। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f1a3:df78:67b8:***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৪২500374
  • ভাল বিশ্লেষণ, শরীফ 
  • guru | 103.135.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০২১ ১০:১৮500377
  • খুব ভালো এনালাইসিস করেছেন সাদিক ভাই | এখানে একটি ব্যাপার আছে যেহেতু বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন শেখ হাসিনার সঙ্গে সমার্থক যেটা আপনিও জানেন | কিন্তু আল্লাহর নিয়মে একদিন শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে ছেড়ে যেতে হবে | এটাই সত্য | এখন যেহেতু পূর্ব পাকিস্তানের কোনো অস্তিত্ব নেই কাজেই বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতাপন্থীদের নতুন একটি শত্রু প্রয়োজন | এমন একটি শত্রু যার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রগতিশীল শক্তিকে একত্র করা যায় যেটি বর্তমানের বাংলাদেশের সমাজের পক্ষে উপযুক্ত | এই শত্রুটি কে হতে পারে সাদেক ভাই ?
  • কিংবদন্তি | ২৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৫৭500385
  • guru, আপনি শত্রু বলতে বিরোধী দল বা বিরোধী পক্ষ বুঝাচ্ছেন? স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বা অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধী পক্ষ খুঁজতে হবে? সাম্প্রদায়িক শক্তির বাহুবল দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র লাগাতার তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রমাণ করে যাচ্ছে যে তারা আছে, বেশ ভাল ভাবেই আছে, শক্তি আগের মত না থাকলেও তারা আছে। সরকার এদের বিরুদ্ধে  লোক দেখানো বিরোধিতা করছে। ঠিক মত চাইলে নিঃশেষ করা খুব অসম্ভব কিছু হওয়ার কথা না। টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার ফলে আমার ধারনা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার এখনকার সরকার। তারা চাইলে না পারার কোন কারণ নাই। কিন্তু নানা কারণেই সরকার এই পথে হাঁটছে না। আজ পর্যন্ত জামাতকে, শিবিরকে নিষিদ্ধ করে নাই। কেন করে নাই তা তারাই ভাল জানে। তারা আপনার মত ভাবছে কিনা জানি না। একজন শত্রু ছাড়া চলবে না, তাই শত্রুকে বাঁচিয়ে রাখা। অচেনা শত্রু আসার চেয়ে পরিচিত শত্রু থাকুক, তারা কী করতে পারে তা যেহেতু ভাল জানি তাই এদেরকে নির্মূল করা যাবে না। কিন্তু আমি যতদূর জানি তা হচ্ছে সরকারের পছন্দ হচ্ছে মাহাথির মোহাম্মদ। সেই ফর্মুলায় দেশ চালানো। মালয়শিয়াকে আদর্শ ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের। সেই ফর্মুলায় বিরোধী দল বলে কিছু নাই। যা থাকবে তা নিজের পকেটে থাকবে। বর্তমানে নুরুর দলকে আমার তাই মনে হয়। সরকার তাদেরকে তৈরি হতে দিয়েছে। বড় হতে দিয়েছে। কারণ সরকার জানে এরা থাকলে বিরোধী পক্ষ থাকল আবার এদের দৌড় যেহেতু জানে তাই খুব বেশি চিন্তাও করতে হবে না। নুরু কয়দিন পরে পরে পুলিশের মার খায়, ছাত্রলীগ ধরে পিটে, এই করে করে নেতা হয়ে গেল! সবাই জানবে খুব ত্যাগী একজন নেতা আছে মাঠে। আসলে ফুলফুলফুক্কা!  
    আপনার কথার সোজা সহজ একটা উত্তর দেই, হাস্যকর শুনাতে পারে কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই কথা বলাই যায় যে, বাংলাদেশে এখন সরকারও আওয়ামীলীগ বিরোধী দলও আওয়ামীলীগ! কমল হাসানের সিনেমার মত, নায়ক, পরিচালক, প্রযোজক, গায়ক, চিত্রনাট্যকার সব কমল হাসান!  যারা বা যাদের দেখছেন তারা আছে আওয়ামীলীগ চাচ্ছে বলেই দেখছেন। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:99cc:ca0f:cf3a:***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:১৫500393
  • 'বাংলাদেশে এখন সরকারও আওয়ামীলীগ বিরোধী দলও আওয়ামীলীগ'
    - ইন্টারেস্টিং। শরীফ, কখনো সময় পেলে মাদ্রাসা সিস্টেম নিয়ে একটু লিখ তো (তুমি বললাম, আশা করি ঠিক আছে)। 
    সরকারী , কওমী , খারিজি এরকম বেশ কিছু ধরণের মাদ্রাসা আছে শুনেছি। 
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১৪500408
  • @guru, 
    "এখানে একটি ব্যাপার আছে যেহেতু বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন শেখ হাসিনার সঙ্গে সমার্থক যেটা আপনিও জানেন |"
     
    শরীফের এই হওয়াই দেবত্ববাদী ত্বত্ত প্রতিষ্ঠা পেল নাকি!? ব্যাপক বিনোদন!!
     
    হা হা প গে =)) 
  • কিংবদন্তি | ৩১ অক্টোবর ২০২১ ০১:০০500476
  • অরণ্য দা, অবশ্যই তুমি করে বলতে পারেন, আমি বরং খুশিই হব আপনি তুমি বলে সম্বোধন করলে। আর মাদ্রাসা নিয়ে লেখার মত অত জানাশোনা নেই আমার। আমি যা লিখতে পারব তা একটু গুগল করলে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারবেন। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন