এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই

  • বন্দরনগরীর দর্পণে ধরা বাঙালির সাতশো বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তন

    দময়ন্তী
    পড়াবই | ২৩ মার্চ ২০২৫ | ১২২৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)



  • কিছু বই হয় যেগুলো পড়ার সময় বইটা, তার চরিত্রগুলো ক্রমশ পাঠককে গ্রাস করে ফেলতে থাকে। এইসব বই পড়া শেষ হওয়ার পরেও সঙ্গ ছাড়ে না, মস্তিষ্কের কোষে কোষে জাল বুনে থেকে যায় আরো বেশ কিছুদিন। এমনই এক বই ‘'সাতগাঁর হাওয়াতাঁতিরা”। পড়া শেষ হয়েছে তা প্রায় দেড়মাস হয়ে গেল, এখনো মাঝে মধ্যেই সেই মৎস্যভূমি আর তার নয় প্রজন্মের বাসিন্দারা মাথার মধ্যে ঘুরে ফিরে বেড়ায়। 

    ‘মৎস্যভূমি’ - ত্রিবেণীতে গঙ্গা, ভাগীরথী ও সরস্বতীতে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় এই দুই শাখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে পলি জমে জমে সৃষ্টি হয় মাছের আকৃতির এক ভূমি, যা প্রাক ইসলামিক পাল ও সেন যুগ থেকে ষোড়শ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত ধারণ করে রেখেছে জমজমাট এক বাণিজ্যকেন্দ্র, সপ্তগ্রাম বন্দর। চলতি কথায় সাতগাঁ। সপ্তদশ শতকে সরস্বতী ক্রমশ: ক্ষীণকায়া হতে শুরু করলে সাতগাঁ বন্দর তার কৌলিন্য হারাতে শুরু করে। 

    সপ্তদশ শতকে সাতগাঁ সংলগ্ন বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, শ্রীরামপুর বিভিন্ন ইউরোপিয়ান জাতির কলোনী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। মসলিন ও কাপাসবস্ত্রের চালানের সাথে পর্তুগীজ ও ওলন্দাজদের ক্রীতদাস ক্রীতদাসী চালানের যোগানদারও ছিল এই অঞ্চল। 
    অষ্টাদশ শতকে কলকাতা ইংরেজদের অধীনে মূল বন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে উঠলে সাতগাঁ বন্দর ও সংলগ্ন অঞ্চল গুরুত্বহীন হয়ে দাঁড়ায়। 

    এ বই সাতগাঁয়ের এক স্মার্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের নয়টি প্রজন্মের কাহিনী এবং সিলেটের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কাহিনীই শুধু নয়, মৎস্যভূমির বিবর্তনের ইতিহাস এবং সাতগাঁ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা, যা আমরা হুগলীজেলা নামে চিনে এসেছি তার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাসও বটে। গঙ্গা আর সরস্বতী তাদের খাত বদলেছে বারেবারে, বন্যায় আসা পলিতে স্তরে স্তরে চাপা পড়েছে পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণসমূহ যা সম্পর্কে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘হিয়ার দ্য পাস্ট এন্ড দ্য প্রেজেন্ট আর সো ইনেক্সট্রিকেবলি লিংকড দ্যাট সিকিং আ প্রপার ক্রনোলজিকাল সিকোয়েন্স ইজ অ্যাজ গুড অ্যাজ চেজিং আ মিরাজ’। 

    শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাটি উপন্যাসের মূল সুরটি বেঁধে দিয়েছে। আখ্যানকথক বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী জীবনের প্রায় শেষপ্রান্তে সহসাই ভারতরাষ্ট্রের অনাগরিক ঘোষিত হবার মুখে এসে দাঁড়ান। নির্দিষ্ট একটি তারিখের আগে ভারতে তাঁর জন্ম বা বসবাসের প্রমাণ চায় রাষ্ট্র। অথচ কাগজ কিছুই নেই, থাকার মধ্যে বাপ্পার আছে শুধু স্মৃতি। সেই স্মৃতিকেই প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে চেয়ে বাপ্পা শোনান আখ্যান। সেই আখ্যান যার ‘'প্রপার ক্রনোলজিকাল সিকোয়েন্স’ খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। সেই আখ্যান কাটুনিডাঙার মেয়েদের হাওয়াতাঁতে বোনা মসলিনের মতই প্রায় স্বচ্ছ রহস্যময় আখ্যান। তার কিছু স্পষ্ট কিছু শুধু আভাষ। 

    সাতগাঁয়ের পুরাতাত্ত্বিক ইতিহাসের মতই এই কাহিনীতে বাস্তবের সাথে মিলেমিশে আছে পরাবাস্তব, ইতিহাসের টুকরো টাকরা। এখানে কলার মান্দাসে ভেসে আসা মেয়ের পাছায় থাকে হার্মাদদের ক্রীতদাসত্বের সিলমোহর, পর্তুগিজ ভাষায় খিস্তি করা কাকাতুয়া মানুষমেয়েকে গর্ভবতী করতে পারে। বাপ্পার দিদিমা গঙ্গায় ডুব দিয়ে দূরবর্তী আত্মীয়া, বান্ধবীদের সাথে কথাবার্তা বলতে পারেন, সাতগাঁয়ের অন্য মেয়েদের সে কৌশল শিখিয়ে দিতেও পারেন। 

    এই সবই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে আসে। সময় আগুপিছু করে গল্প শোনায় কনৌজি রাজপুত্রদের সাতগাঁয় আসা থেকে বর্গী আক্রমণ, পর্তুগিজ দিনেমার ওলন্দাজদের বাণিজ্যবিস্তার থেকে ইংরেজদের উপনিবেশ তৈরী। বারেবারে এগিয়ে পিছিয়ে বলা আখ্যানসমূহ সান্তা আনার জাহাজের মত ঠেকে যায় না, কোথাও বাধার সৃষ্টি করে না, বরং গল্পের নৌকোখানা এমন তরতরিয়ে এগিয়ে চলে যে সাড়ে ছশো পাতার বই শেষ হয় চারদিনে। স্বচ্ছ রহস্যময়ভ ‘'বফ্‌ত হাওয়া’য় গড়া এক সুবিশাল ক্যানভাস ছড়িয়ে যায় মস্তিষ্কের কোষে কোষে। 

    এই বই সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনায় মার্কেজের নাম বারেবারে আসছে। বুয়েন্দিয়া পরিবারের ইতিহাস যেভাবে সমগ্র লাতিন আমেরিকার ইতিহাস হয়ে ওঠে সাতগাঁয়ের চক্রবর্তী পরিবারের ইতিহাসও বাংলা ও বাঙালির সাতশো বছরব্যপী সাংস্কৃতিক ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস হয়ে উঠেছে। আমি আরো দুটো বইয়ের কথা এই প্রসঙ্গে বলতে চাই বিষয়গতভাবে যারা এ বইয়ের খুব কাছাকাছি। কুররাতুল-আইন হায়দারের River of Fire (উর্দু আগ কি দরিয়া) আর রিজিয়া রহমানের বং থেকে বাংলা। 

    রিভার অব ফায়ারে হায়দার ধরেছেন ভারতীয় উপমহাদেশের ২৫০০ বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মানুষের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। উপমহাদেশে খ্রীষ্টপুর্ব চতুর্থ শতকে বৌদ্ধধর্মের প্রসার থেকে শুরু করে সপ্তম খ্রীস্টাব্দ থেকে মুসলমান ধর্মের বিস্তার, গঙ্গা যমুনি তেহজিব ও ৪৭এর দেশভাগে তার পরাজয়। রিজিয়ার দৃষ্টিকোণ একটু আলাদা। উপমহাদেশে মোটামুটি আড়াই হাজার বছরের কালক্রমে ‘বং’ নৃ গোষ্ঠী থেকে বাঙালিজাতির নৃতাত্ত্বিক বিবর্তনকে ধরেছেন বং থেকে বাংলা উপন্যাসে। 

    হায়দার, রিজিয়া বা পরিমলবাবু কেউই ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখেন নি, যা লিখেছেন সেগুলিকে ইতিহাসসম্মত বলা যায়। এই তিনটি বইতেই পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রের চাইতে অধিকতর ব্যপ্ত পরিপ্রেক্ষিত হল সময়। রিভার অব ফায়ার শেষ হয় দেশভাগ ও রক্তাক্ত বিভাজনে সৃষ্ট দুই রাষ্ট্র, তার নাগরিকদের নতুন করে পথ খোঁজায়। বং থেকে বাংলা শেষ হয় উপমহাদেশের পুনর্বিভাজন ও আরেক নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টিতে, বাঙালি জাতিসত্ত্বার নতুন আশার উন্মেষে। 

    সাতগাঁর হাওয়াতাঁতিরা শেষ হয় সময়ের রথে আরেকটু এগিয়ে এসে নাগরিকত্ব কী, কোথায় কীভাবে তার সীমা নির্ধারণ করা যায় এই প্রশ্নে। রাষ্ট্র কি চাইলেই খুশীমত কাউকে নাগরিক বা অনাগরিক করে দিতে পারে? বইটা পড়ার সময় এই দিনেমারডাঙা ফিরিঙ্গিডাঙা, কাটুনিডাঙা, আর্মানিডাঙা, পোর্তোহাটা জায়গাগুলো চিনতে পারা, আলগোছে ছড়িয়ে রাখা কিছু সূত্র থেকে ঐতিহাসিক ঘটনা ও মানুষগুলো চিহ্নিত করতে পারা অত্যন্ত আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। 

    রাজীব চক্রবর্তীর করা প্রচ্ছদ চমৎকার। বইটিতে কিছু মুদ্রণপ্রমাদ রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, যেগুলো না থাকলেই ভাল হত। নি:সংশয়ে বলতে পারি এই বই আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাংলা উপন্যাস। বারে বারে আমাকে ফিরে যেতে হবে এ উপন্যাসের কাছে। 

    বই: সাতগাঁর হাওয়াতাঁতিরা
    লেখক : পরিমল ভট্টাচার্য 
    প্রকাশক : অবভাস
    দাম - ৮২৫/- 
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৩ মার্চ ২০২৫ | ১২২৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • চমৎকার  | 173.62.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৪:৪৩541866
  • বা রে বাহ
  • শক্তি | 2405:201:8005:981e:f0bb:a972:ab90:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০:২৯541872
  • মূল বইটি  পড়ছি,ধীরে ধীরে সময় নিয়ে।খুব মনোযোগ টানার মতো।দময়ন্তীর পাঠ প্রতিক্রিয়া  যথাযথ বললে কম বলা হয়।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ১৩:২৮541876
  • না পড়া অবধি স্বস্তি নেই। 
  • প্রতিভা | 117.22.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৩541878
  • এত চমৎকার আলোচনা কর তুমি। বইটি না পড়া অবধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারছি না, এইটে আমার অস্বস্তি।  আমার তো ফিরতে ফিরতে মে মাসের শেষ। 
  • | ২৪ মার্চ ২০২৫ ২০:৫৫541885
  • সবাইকে ধন্যবাদ। 
    'বং থেকে বাংলা'  নিয়েও লেখার ইচ্ছে আছে। এ বইটা এপারের কেউ প্রায় নামই শোনে নি। 
  • পাপাঙ্গুল | 150.242.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২৫ ২৩:১২541969
  • জোগাড় করে পড়ব। দাম বেশি বলে দোনামোনা করছিলাম।
  • ঋতব্রত ঘোষ | ০৫ মে ২০২৫ ১০:৪৭731096
  • পুরো উপন্যাসই চমৎকার, কিন্তু শেষ ২০-৩০ পাতা এতটাই চড়া তারে বাঁধা, এতটাই বিষম- গোটা উপন্যাস যে উচ্চ মান বজায় রেখে চলছিল, শেষটায় তা অনেকটাই নেমে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন