এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আবার নতুন সূর্য? 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০২৪ | ৬৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এখন আমি যাই লেখি তা মনে হবে এই যে আবার সাফাই গাইতে আসছে। কিন্তু আজকের দিনে এই কথা গুলো না বললে পরে আর বলার অর্থ থাকবে না। এই কথা গুলো আজকে এখনই বলতে হবে। দীর্ঘদিন পরে আবার এমন এক রাত আসছে বাংলাদেশের বুকে যে অনেকেই এই একটা রাত স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না। অথচ যদি গন বিস্ফোরণ হয়েই থাকে, গন অভ্যুত্থান হয়েই থাকে, যদি এখন জনগণ মুক্তিই পেয়ে থাকে তাহলে কেন আজকের রাতেই শান্তির ঘুম দিতে পারবে না এই স্বাধীন দেশে? কেন রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে? কেন প্রথম রাতেই আর্ত চিৎকার শুনতে হচ্ছে? 

    শেখ হাসিনার এই দেশ ত্যাগ আমার কাছে পছন্দ হয়নি। অন্যরা যাই বলুক, তিনি যদি মনে করেন যে তিনি জনগণের পক্ষেই ছিলেন তাহলে যদি কারাগারে যেতে হত তবুও দেশে থাকতে হত। এতে আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতে লড়াইয়ের মাটি পেত। এখন কঠিন হয়ে গেল। এবং এবার আরেক চরিত্র নিয়ে আবার জোরেশোরে বিকল্প নাই তরিকার দিকে দেশ এগিয়ে গেল। যদিও জানি না, ব্যাপারটা যদি হয় মৃত্যু না হয় দেশ ত্যাগ সে ক্ষেত্রে তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন হয়ত। এতগুলা লাশের দায় তো তাকেই নিতে হবে, সেক্ষত্রে এই সিদ্ধান্তই সঠিক। আগস্টেই আরেকটা রক্তপাত হোক তা নিশ্চয়ই আমাদের চাওয়া হতে পারে না। 
    কিন্তু আমার চাওয়া পাওয়ায় আসলে কিছুই আসে যায় না। আজকে যেভাবে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরকে ধুলায় মিশিয়ে ফেলা হয়েছে, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে এইসব নিয়ে কিছু বলারই অর্থ থাকে না আর। ভাস্কর্য ভাঙ্গা হয়েছে, ফুলার রোডে, ঢাবির ভিসির বাসার সামনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিক্ষকদের কিছু ভাস্কর্য আছে, ওইটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল মূর্খ গুলা! আমি মূর্খ ডাকলে এখন আবার আরেক কেলেঙ্কারি! সময় আসছে এখন নতুন করে শিক্ষিত হওয়ার। 

    সেনা প্রধান রাষ্ট্রপতির সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে আলাপ করার জন্য বঙ্গভবনে গেছেন। যাদের নাম শুনলাম তাতে ইতিহাস যে নতুন করে শিখতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। যেমন এখানে আছেন সলিমুল্লাহ খান! তিনি এবার হয়ত প্রমাণ করেই ছাড়বেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান নাই, মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন, পূর্ব বাংলার মানুষকে ঠিক পছন্দ করেন না! আসিফ নজরুল, যিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রথম যে গন বিস্ফোরণ সেই সময় জাহানারা ইমামের সাথে ছিলেন। এবং সাফল্যের সাথে বেইমানি করে লন্ডন চলে গেছিলেন স্কলারশিপ নিয়ে! তিনিও আছেন। শোনা যাচ্ছে হেফাজতের মামানুল হকের নাম! যিনি গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে হোটেলে ধরা খেয়েছিলেন! যদিও এইটা অপরাধ না। কিন্তু সারাদিন আল্লা রসুলের নাম নিয়ে এই কাম ঠিক সহি লাগে না এই আর কি! এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ইত্যাদি নিয়ে তো শিক্ষা সফর করতেই হবে!  সবার নাম জানি না এখনও। যতখানি বুঝছি প্রচুর পীর মাশায়েখ, অলি আউলিয়ার দেখা পাওয়া যাবে এই সরকারের বিভিন্ন জায়গায়। 

    এদিকে ছাত্ররা ভাবছে লাগাম এখনও তাদের হাতেই আছে, ভাবছে ঘুড়ি বুঝি তারাই উরাচ্ছে! তাদের হাতে নকল একটা লাটাই ধরিয়ে দিয়ে যে ঘুড়ি গগন ছুঁতে যাচ্ছে তা তার খবর এখনও তারা পায়নি। তারা আজকে খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘোষণা দিয়েছে সেনা বাহিনী কোন সরকার বানিয়ে দিলে বা রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধায়নে কোন সরকার তৈরি হলে তারা মানবে না। আন্দোলন চালু থাকবে! আমি যে আগেই বলছি যে জিনিস সম্পর্কে কোন ধারণা নাই তাই নিয়েই নাড়াচাড়া করছে এরা এইটা হচ্ছে তার আরেকটা বড় প্রমাণ। আলোচনার জন্য সেনা প্রধান যে তাদেরকে ডাকেই নাই, কেন ডাকে নাই এই হুশ টুকুও নাই। কাদের খেলায় খেলোয়াড় হয়ে খেলে গেল তাও জানল না! তাদের প্রস্তাবিত সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে, তাদেরকেও সরকারের ভূমিকায় রাখতে হবে! এগুলা স্বপ্নও দেখছে।   

    যারা এই তথাকথিত বিপ্লব সংগঠিত করল তারা স্বপ্নবাজ তাতে সন্দেহ নাই। তারা এবং একই সাথে সম্ভবত সেনা প্রধান নিজেও স্বপ্ন দেখেছেন যে এমন একটা কাণ্ড হয়ে যাওয়ার পরে সবাই পরিশুদ্ধ মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। সবাই নিয়ম নীতি মেনে চলবে। আর তাই সবাই শান্ত থাকুন বললেই যে দেশে আক্ষরিক অর্থেই কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাই সেই দেশে সব ঠিকঠাক চলবে বলে আশা করছেন! ফলাফল? সারা দেশ বাদ, আমি আমার শেরপুরের হিসাব দেই। শেরপুর শহর আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সমস্ত দোকানে আঘাত করা হয়েছে। লুট হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। আমার বোনের বাসা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে। তিনি দেখেন বাটার জুতার মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে! লুট করার পরে আবার আগুনও দিয়েছে! আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়ি, প্রতিষ্ঠানে আগুন দিছে এইটার একটা যুক্তি আছে। কিন্তু সবার দোকানে? আর এই বাংলার কপাল পোড়া এক সম্প্রদায় তো আছেই! হিন্দুরা এখন কই যাবে জানে না। আমি কয়েকজনকে সাবধান করলাম, বললাম এমন এক সময় যখন আমরা সাহায্যের জন্য যাইতেও পারব না। বিএনপির ছেলেপেলেরা একটা লিস্ট বানিয়েছে, কাকে মারবে, কার কাছ থেকে টাকা নিবে এমন। যে পর্যন্ত নিশ্চিত না হওয়া যাচ্ছে আমাদের কারও নাম নাই ওই লিস্টে সেই পর্যন্ত সাবধানে থাকা ছাড়া কোন উপায়ও নাই। যদিও আমার নাম বিএনপির লিস্টে থাকার কথা না, থাকলে থাকবে জামাতের কোন লিস্টে। 

    ওরা সাবধানে থাকবে। কিন্তু যে মাত্রার বিপদ, কেউ আক্রন্ত হলে কিচ্ছু করার থাকবে না। বিশ্বাস হবে কি না জানি না, এখানে একটা মানুষও নাই যে এদেরকে থামতে বলবে। পুলিশ নাই, আর্মি নাই, কেউ নাই। যার যা ইচ্ছা তাই করে চলছে কালকে দুপুর থেকে। এরা আজকে রাতে কোথাও গিয়ে হাজির হলে কী হবে? চট্টগ্রামে তো শুনছি অলরেডি হামলা হয়ে গেছে হিন্দুদের উপরে। আমি আশ্চর্য হই নাই। কারণ এইটাই হওয়ার ছিল। জামাতকে বাংলাদেশে যে না চিনছে তার আসলে রাজনীতি, সমাজ, ধর্ম কিছু নিয়েই কথা বলার অধিকার নাই। সেনা প্রধান আমাদের শেরপুরের লোক। নিজ জেলাটাকে যদি একটু দেখত তাহলেও নিশ্চিতে ঘুমান যেত আজকে। শুনলাম পাহারা দিচ্ছে পাড়ার পুলাপান। ওরা কারা? আরে এরাই তো দিনের বেলা লুট করছে! এখন এরা পাহারা দিবে? রাতে কোন কু মতলব মনে জাগবে না তো? কালকে সকালেই জানা যাবে এই সব প্রশ্নের উত্তর।  এখন তো বেশ ভালো রাতই হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন খারাপ সংবাদ পাই নাই। শহরে না কি সব ব্যবসায়ীরা এক সাথে নেমে সবার দোকান পাহারা দিচ্ছে। 

    সারাদিনে যতগুলো জঘন্য কাণ্ড দেখেছি তার মধ্যে গন ভবন লুটেরটা আমি দেখতে পারি নাই। এগুলা নেওয়া যায় না। এই জায়গা গুলোকেই আগলে রাখতে পারে নাই আর্মি, আর কী রক্ষা করবে তাহলে? বেশ ভদ্র চেহারার মানুষ, ডিওর লাগেজ নিয়ে যাচ্ছে! এরা যে সুযোগের অভাবে সাধু তা কিন্তু পরিষ্কার হয়ে গেছে। এরপরে দেখলাম মাশরাফির বাড়িতে আগুন! লোকটা যখন রাজনীতিতে আসে তখন সবাই নানা সমালোচনা করে ছিল। আমি বলেছিলাম ও ভালো মানুষ, ওর দরকার আছে রাজনীতিতে। আসলেই তাই হল। এমনেই ও ওর এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মিশে যায়। ওর সময়ে ওই এলাকার উন্নয়নের চিত্র সারা দেশ থেকে ভিন্ন। এই লোকটার বাড়িতে আগুন দিয়ে দিল! আর মাশরাফি, রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুন দিয়েছে এই পিশাচেরা। আহ! রাহুল আনন্দ, জলের গানের রাহুল আনন্দ। কী অমায়িক একজন মানুষ। উনার বাড়িতে বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রহশালা ছিল। উনার নিজেরই বানান, সব শেষ। আগুনে সব শেষ। 

    এদিকে দেখলাম রাজশাহী কলেজে শিবিরের ব্যানার ঝুলানোও শেষ! আর এই রাজশাহীকে শিবির মুক্ত করতে কত জীবন গেছে, কত রক্ত ঝরেছে, কত সময় লাগছে। আমার এখন হাসি আসছে এইটা ভেবে যে ছাত্ররা এই আন্দোলনের নানা সময় বিএনপিকে নিয়ে, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে নিয়ে মজা করেছে। কত মিম বানিয়েছে। প্রথম রাতেই ঘোষণা এসে গেছে, রাষ্ট্রপতি ভাষণেই বলেছেন সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এইটা দিনের আলোর মতো সত্য যে আওয়ামীলীগ নামলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আর বিএনপি আসা মানে হচ্ছে জামাত আসা। একই বৃন্তের দুইটি ফুল হচ্ছে জামাত বিএনপি। এইটা এক সময় তারেক রহমান নিজেই বলছে! 

    যদি ধরেও নেই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দলীয় কেউ থাকবে না। যদিও যাদের নাম শুনছি তারা শুধু পদ নাই না হলে একেকজন জামাত বিএনপির মুখপাত্র! তো এই সরকার তো দেশ চালাবে না। এই সরকার একটা নির্বাচন দিবে। তো নির্বাচনের প্রত্যাশিত ফলাফল কী হবে? প্রধানমন্ত্রী কে হবে? হা হা হা! জেন জি দাবা খেলতে নামছে গ্র্যান্ড মাস্টারের সাথে, অথচ এক দানের পরের দানই ধরতে পারে না। এইটা থেকে রক্ষা পেতে পারে তারা। একটা দল গঠন করুক। নির্বাচনে যাক। আমি ভোট দেই জেন জিকে! 

    আমরা এই জীবনে নতুন সূর্যের গল্প কয়েকবার শুনে ফেলছি। ঠিক মনে নাই, কিন্তু বড়দের মুখে শুনছি এরশাদ পতনের পরে খুব করে বলা হয়েছে এই কথা। নতুন সূর্য! এবার বাংলাদেশ সব নতুন করে শুরু করবে। এক ধাপ যেতেই মুখ থুবড়ে পড়ল সব। যিনি উঠেছেন তিনি নামবেন না বলে জিদ করে বসে আছেন! যাক, আবার শুরু হল। এবং ইতিহাসে প্রথমবার কেউ সহজেই ক্ষমতা ছেড়ে দিল, আবার আসল বিএনপি। বিএনপি এসে চালাল দেশ মনের মতো করে। এবং আবার এমন এক পরিকল্পনা করল যে তাদের আর নামতে হবে না! ফলাফল সেনা সমর্থিত সরকার আসল। দুই বছর থাকল। আমরা আবার বললাম এবার নতুন সূর্য উঠেছে, সব নতুন করে শুরু হবে। সব ভুল শুধরে নতুন বাংলাদেশ। এরপরে? ১৬ বছর পরে আবার আমাদেরকে নতুন সূর্যের কথা বলতে হচ্ছে। আমরা আশা করছি এবার সব ঠিক হবে। জামাত দুর্গা পূজায় মণ্ডপ পাহারা দিবে, খালেদা জিয়া  ১৫ আগস্টে কেক কাটবে না, বিএনপির ছেলেরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিবে, তারেক রহমান ১০% করে খাবে না না। হাওয়া ভবন আতংকের নাম হবে না। এমন নানা অবিশ্বাস্য অলিক আশা নিয়ে বসে আছি, এবার সব ঠিক হবে। আমরা যেই লাউ সেই কদুও বলতে পারব না, দেখব হালার এইটা তো মাক্কাল ফল, এমনও হবে না নিশ্চয়ই! 

    আওয়ামীলীগ যখন হারে তখন পুরো দেশ হারে, আর যখন জিতে তখন শেখ হাসিনা সহ কিছু নেতা জিতে! এইটা আহমেদ ছফা ১৯৯৫ সালে বলে গেছিলেন! হতাশ লাগে এই কথাটা বড় বেশি রকমের সত্য। এই কথাটার অর্থ আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনা ধরতে পারছে বলে মনে হয় না। দুর্দান্ত সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা আবার ধাক্কা খেলাম। উঠেই গেছিলাম,  এই জীবনে আবার বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখব এমন আশাও নাই আমার। ধুঁকতে হবে শুধু। স্বাধীনতার এত বছর পরে আমরা থাকার কথা এগুলার অনেক ঊর্ধ্বে। আমাদের এখনও কানাগলিতে ঘুরপাক খাচ্ছি! 

    যদি আমাকে ভুল প্রমাণ করে দারুণ কিছু হয় তাহলে তো ভালোই। নাগরিক হিসেবে ভালোর ভাগ তো আমার কপালেও জুটবে। আমি ভাবছি এর আগ পর্যন্ত ডার্ক কমেডির ভক্ত হয়ে যাব। আমি শিবিরের তাণ্ডব দেখব, পোস্ট করে হা হা লিখব। তোমাদের জন্য এরচেয়ে ভালো কিছু নাই! হিন্দি একটা গান ছোটবেলায় খুব বাজত আমাদের এখানে, দিল মেরা বলে হ্যালো হাউ আর ইউ? জামাতের কাণ্ড দেখব আর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে এই গানটা, দিল মেরা বলে হ্যালো হাওয়ার ইউ, ও হাউ আর ইউ! কিন্তু পারব কী?  আমি ছাতার দেশটাকে বড় বেশিই ভালোবাসি! ভালো হোক, ভালো হোক ভালো। নম নম বাংলাদেশ মম, জননী জন্মভূমি! কই যাব? এখানেই মাটি আঁকড়ে পরে থাকতে হবে। 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০২৪ | ৬৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৫535862
  • আমার মনে আছে যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন হাসিনার অবস্থা খুবই করুণ ছিল, সেখান থেকে তার রাজনৈতিক উত্থান বেশ আশ্চর্য ঘটনা। এছাড়া আছে তার প্রবাদপ্রতিম পিতার নৃশংস হত্যা, বিশ্বাসঘাতকতা। এইসবই হয়তো হাসিনাকে ভাবতে শিখিয়েছিল যে কঠোর হতেই সব মোকাবিলা করতে হবে এবং কাউকেও বিশ্বাস করতে শেখেন নি। হয়তোবা এটাই ওই দেশের বাস্তবতা যে হাসিনা স্বৈরাচারী না হলে মুক্ত অবাধ নির্বাচন হলে তার পতন আগেই হত এবং কোনো অপশক্তি ক্ষমতা ধরে নিত। সাধারণ মানুষ আর কতই বোঝে, তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশের অধঃপতন দেখেছে, দুর্নীতি দেখেছে, স্বৈরাচারী মনোভাব দেখেছে এবং মনে করেছে পরিবর্তন চাই (এই বাংলার মতন), কিন্তু পরিবর্তে কি অপেক্ষা করছে হয়তো দেখা সম্ভব হয় নি।
     
    তবে হতে পারে এই খান থেকে ওদেশে নতুন রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের উত্থান হলো। আজ নাহলেও কাল হবেই। কোনো বিদেশি শক্তির হাতে কয়েদ না হয়ে পড়লেই হলো। ভালো হোক ওই দেশের মানুষদের।
  • Guru | 115.187.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৫৪535875
  • @অরিত্র,
     
    "হয়তোবা এটাই ওই দেশের বাস্তবতা যে হাসিনা স্বৈরাচারী না হলে মুক্ত অবাধ নির্বাচন হলে তার পতন আগেই হত এবং কোনো অপশক্তি ক্ষমতা ধরে নিত।"
     
    বাংলাদেশে আগে আমরা দেখেছি প্রতি পাঁচ বছর অন্তুর বিএনপি /আওয়ামী  অদল বদল করে ক্ষমতাতে আস্ত | ৯১ সালে বিএনপি , ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ , 2001 সালে আবার বিএনপি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ | নির্বাচনের আগে অস্থায়ী টেকনোক্রাটদের সরকার আস্ত তিন মাসের জন্য | তারা ইলেকশন করেই চলে যেত | এই ব্যবস্থাটাতে অনেক সমস্যা থাকলেও অন্তত ৩০ ৪০ পার্সেন্ট মুক্ত নির্বাচন হতো ও কোনো দল একবারের বেশি টার্ম পাওয়ার ধরে রাখতে পারতোনা | সেই হিসাব দেখলে ২০১৪ সালে বিএনপি এবং ২০১৮ সালে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতাতে আসতো | স্বৈরাচারী ও ওয়ান পার্টি স্টেট্ হিসাবে মানুষের এতটা রোষ সহ্য করতে হতোনা | ২০২৪ সালে হাসিনা হয়তো গৌরবের সঙ্গে জাতীয় সংসদে বিরোধী নেত্রী হিসাবে থাকতেন এবং বাংলাদেশী রাজনীতিতেও নিজের একটা বড়ো জায়গা ধরে রাখতেন | 
     
    আমার মনে হয় ২০১৩ সালের শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনে বিরাট সাফল্যের পরেই হাসিনা এই স্বৈরাচারী ও ওয়ান পার্টি স্টেট্ তৈরির ১৯৭৪ সালের বাকশাল মডেল ফিরিয়ে আনেন | এর কুফল আজকে আমাদের সামনে ! 
     
    দেখুন হয়তো এটা আমার খুব ধৃষ্টতাই হবে বাংলাদেশের বাইরে বসে এরকম মন্তব্য করার | কিন্তু আমার মনে হয় হাসিনা ২০১৩ সালের শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনের গণআন্দোলনের থেকে সঠিক শিক্ষা নেননি |
     
    আওয়ামী লীগকে মুজিব পরিবারের বাইরে কাউকে আনতে হবে | আওয়ামী লীগের নীতিরও পরিবর্তন দরকার | সাধারণ মানুষের মধ্যে আরো দশ বছর কাজ করে জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে হবে | দরকার হলে এই দলের নামও পরিবর্তন করতে হবে | 
     
     
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:০৮535878
  • গুরু, আমি তো আরও অনেক কম জানি ওই দেশ সম্পর্কে। তবে "ওই দেশের বাস্তবতা" বলার সময় ২০০৮ পরবর্তী পৃথিবীর প্রেক্ষাপটেই বলেছি। তার আগে যা হয়েছে সেটা তার পরেও হতে থাকতো এরকম ভাবার অবকাশ আমার মতে নেই। ভারত আমেরিকা বা অন্যান্য অনেক দেশেই রাজনীতি এমন সব মোর নিয়েছে তারপর থেকে যা আগে ভাবা যেত না। সেইসবও মাথায় ছিল।
  • কিংবদন্তি | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩১535907
  • গুরু, দয়া করে মনগড়া কথা বলবেন না। আওয়ামীলীগের কী করতে হবে না হবে ওই আলাপ থাক। তা আওয়ামীলীগ নিজেই বুঝবে। নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা একবার দুইবার না, বহুবার করা হয়েছে। কেউ না কেউ হাল ধরেছে, আওয়ামীলীগ টিকে গেছে। কীভাবে ফিরবে ওইটা আপাতত তোলাই থাক আলাপ। 
    আপনে যেভাবে লিখছেন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা পরিবর্তন হত, শেখ হাসিনাই সেই সিস্টেম ভেঙ্গেছে ব্যাপারটা এমন না। আমাদের ইতিহাসে একমাত্র ১৯৯৬ সালের আওয়ামীলীগ সরকারই সহজ তরিকায় ক্ষমতা ছেড়েছে, ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা ছেড়েছে, এর আগে পরে কেউ ছাড়ে নাই, এমন কি আওয়ামীলীগও না। না ছাড়ার দোষ যেমন আছে, ভোটের মাধ্যমে ছাড়ার একমাত্র কৃতিত্বও আওয়ামীলীগেরই আছে। আপনি যদি এমন না করত বারবার লিখছেন। এখন আমি যদির কথা বলি। আওয়ামীলীগ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা ছেড়েছিল। পরের নির্বাচনে বিএনপি ভয় পেল কেন? এক কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল। এইটা পরবর্তীতে সেনা শাসিত সরকারই বের করেছে, আমি বানিয়ে বলছি না। নিজেদের পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান পাওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করে বিচারকের বয়স সীমা বৃদ্ধি করেছিল। এই যে এই কাজটা, অনেকের মতে এইটাই শেষ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে। আওয়ামীলীগ পরে এই যুক্তিতেই এইটা বাতিল করেছে। সেদিন যদি তারা সরাসরি নির্বাচন দিত তাহলে আজকের দিন দেখতে হত না তারা দেয় নাই। কারণ ততদিনে বিএনপি করে নাই এমন কোন কাজ বাকি রাখে নাই। জঙ্গি উত্থান, ২১ আগস্ট বোমা হামলা সবই হয়েছে সেই আমলে। 
    এখন অনেকেই স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্র বলছে, কিন্তু আমরা জানি এমন না হলে দেশ এই পর্যন্ত আসত না। এখন নানা কারণেই পুরো বিশ্ব টালমাটাল, না হলে এই গ্রোথ বাড়তেই থাকত। সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসর অর্থনীতির দেশ ছিলাম আমরা। 
    দোষ ছিলই, এই জন্য পতনও হল। কিন্তু তাই সব না। শুধুই সাদা কালো না সব কিছু। এর বাহিরে বহু রং আছে এখানে। 
  • অয়নেশ | 2402:3a80:42ec:4a33:478:5634:1232:***:*** | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ২২:১২535912
  • সাদেকউজ্জামান, 
    আমার একটা প্রশ্ন ছিল? হাসিনা ডিক্টেটর ছিলেন। আওয়ামীলীগ সাম্প্রতিক কালে গণতন্ত্র রুদ্ধ করেছিল, দুর্নীতির কোনো মাপ ছিল না, এই অবধি বোঝা গেল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট রেজিম ছিল কি? যতদূর জানি ফ্যাসিস্ট শাসক হয়ে ওঠার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকে (মানে মুসোলিনির ফাসসিজমের সংজ্ঞা থেকে যা জানি)। গদ্দাফি ডিক্টেটর তো ছিলেন, কিন্তু ফ্যাসিস্ট ছিলেন কি? তো এই যে হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন বলা হচ্ছে তার সারবত্তা কতটা? নাকি সত্যিই তাই? 
  • কিংবদন্তি | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:৩৩535918
  • অয়নেশ, না। শেখ হাসিনাকে যদি আক্ষরিক অর্থ ধরেন তাহলে ডিক্টেটর, ফ্যাসিস্ট কোনটাই বলা যাবে না। লক্ষণ তো ছিলই। ফ্যাসিস্ট বলার সুযোগ নাই, এইটা বলে বলে আরাম পায় বলে মনে হয়। একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ ছিল, বেশ ভালো ভাবেই ছিল। তবুও পুরোপুরি ডিক্টেটর তাকে বলা যাবে না। এমন অনেক কিছু করেছেন যা একজন ডিক্টেটরের শাসনে সম্ভব না। জানি দ্বিমত করবে অনেকেই। আমি আমার মতটাই বললাম। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:৩৮535919
  • আমার একটাই প্রশ্ন যে এতগুলো বছর সুযোগ পেয়েও কেন বিষঝাড় কাটলেন না? অন্তত কিছুটা হলেও? কেন ক্রমাগত এদের তোল্লা দিয়ে গেছেন যারা একেবারে প্রকাশ্যে ধর্মান্ধতা ফেরি করে?
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০১:০২535921
  • হাসিনা জেনেবুঝেই মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিত। এখানে যেমন তিনুরা হিন্দুত্ববাদীদের প্রশ্রয় দেয়।
  • @ | 2001:67c:2628:647:a::***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০১:০৩535922
  • কৌতূহলীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিলে কেমন হয়? সব কৌতূহল মিটিয়ে আসুক।
  • কিংবদন্তি | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৪535925
  • &, ব্যাপারটা এমন না যেমন ভাবছেন। শিবির কোন মাপের সংগঠন এইটা না জানলে বুঝা মুশকিল। ঝাড়ে বংশে উজাড় করার চেষ্টা করা হয়েছে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট শিবিরের ঘাটি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা যেত না। কত রক্ত, কত জীবন গেছে এই ক্যাম্পাস গুলোকে শিবির মুক্ত করতে। রাজশাহীতে দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পুলিশের ক্যাম্প। আমি তো অবাক, ক্যাম্পাসে পুলিশের চৌকি! আমার বন্ধু আমাকে বলল এইটাই বাস্তবতা এখানের। এমন কত চেষ্টা করা হয়েছে। কমে আসছিল, ওরা খোলস বদল করে ফেলছিল। কিন্তু ওরা জানত একদিন আসবে। ওরাই একমাত্র সেইদিনের জন্য প্রস্তুত ছিল। 
    শিবিরকে শেষ করবেন কীভাবে? ওরা ধর্মের বানী শুনায়। নামাজে ডাকে। এইটা বন্ধ করবেন কীভাবে? একজন ছাত্রের পিছনে ইনভেস্ট করে। এক বছর হয়ত কোন রাজনৈতিক আলাপই করল না। খাওয়াইল, নানা কাজে সাহায্য করল। হল জীবনে এমন একজন বড় ভাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এরপরে ধীরে ধীরে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু হল। ভারত দেশ নিয়ে নিলো, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়েছি, আমরা কী এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম! এমন কত কত গল্প শুনছি। ধর্মীয় লেবাসের জন্যই শিবিরকে মিশিয়ে দেওয়া যায়নি। সরকার নিষিদ্ধ করতে চায়নি, এর অন্য রাজনীতি হয়ত আছে, কিন্তু তখন তারা বলত নিষিদ্ধ করলে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাবে, এতে বিপদ আরও বাড়বে। এখন দেখা যাচ্ছে বিপদ আসলে কোনটা বাড়িয়েছে! 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩১535928
  • মুশকিলটা সেটাই। ওরকমভাবে সমাজে মিশে থাকলে দূর করা শক্ত। সামাজিকভাবেই গ্রহণযোগ্যতা আস্তে আস্তে কমিয়ে দিতে থাকলে তবে একটা উপায় হয়। কিন্তু প্রশাসনে পলিসি হিসেবেই তো ধর্মনিরপেক্ষতা নিতে পারেনি, এদের প্রভাব কমানো তো পরের কথা। নাহলে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এগুলো এভাবে থাকতে পারার কথাই তো না! নাশকতার কারবারীরা ইনফিল্ট্রেট করে কী করে ইউনিভার্সিটি লেভেলে?
  • . | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৩:০০535931
  • একটা পোলিটিকালি ইনকারেক্ট কথা বলে দিই। বাংলাদেশ এবার ইসলামিক রিপাবলিক হয়ে যেতে পারে। সংবিধান বদলাবে। আর রাখ ঢাক থাকবে না।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e6af:5252:83ba:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৪:০৮535932
  • বিদেশী শক্তির হাতে কয়েদ হয়ে পড়েছে সেটাই তো ভয়।
     
    যাদের মোটামুটি ডিসেন্ট মানুষ বলে জানতাম তারা জামাতের হয়ে অজুহাত দিচ্ছে, আহা ওরা এখন ছোট শক্তি। কি আর করবে। থাকুক থাকুক।
     
    কি করবে, কি করতে পারে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। মুখে এসে যাচ্ছে তুমি কি নির্বোধ, না জেনে শুনে মিথ্যে বলছ? ভদ্রতা এসে মুখ চেপে ধরছে।
     
    এক চাড্ডি আবার বলে গেল ওদের প্রফেট বলেছে বিধর্মীদের মিথ্যে বলায় দোষ নেই। মনে হচ্ছে চাড্ডি আর ছাগুরা প্ল্যান করে এই ব্যাপারটা ঘটিয়ে তুলেছে।
  • যাক | 45.148.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৬:১৮535937
  • আরেসেসের চক্রান্ত। ফ্যাসিস্ট মোদির কাজকারবার। বোঝা গেল। এইটা এতক্ষণ না শোনায় অস্বস্তি হচ্ছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন