Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোনব্লগ | ১৯ মে ২০২৩ | ৫৮৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
সত্যিই এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তিনি কোথায়, আর আমি কোথায়!
তাও কেমন করে যেন হয়ে যায় ব্যাপারগুলো।
গতকাল ১৮ই মে আরো একবার অন-ক্যামেরা সাক্ষাৎকার হলো -- বিশ্বখ্যাত দার্শনিক নোম চমস্কির সঙ্গে আর একটি সাক্ষাৎকার
সেই দু'হাজার সাল থেকে এই নিয়ে সপ্তমবার। সমস্ত কথাবার্তা আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেভ করে রাখা আছে। চাইলে দেখতে পারেন, শুনতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে আমার নাম দিয়ে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
যাঁরা চমস্কির নাম জানেন, এবং বিশ্বশ্রেষ্ঠ এক ভাষাতাত্ত্বিক ছাড়াও তিনি যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক মহাপণ্ডিত -- জানেন রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ ও অগাধ বিচরণের কথা, তাঁরা আমার করা এই ইন্টারভিউগুলো থেকে হয়তো অনেক রসদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
আধুনিক পৃথিবীতে যে মহাপণ্ডিতদের নাম এক নিঃশ্বাসে উচ্চারণ করা হয়, সেই মার্ক্স, দেরিদা, ফুকো, এঙ্গেলস, রাসেল ছাড়াও প্লেটো, সক্রেটিস এঁদের সঙ্গে চমস্কির তুলনা করেন অনেকে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, নিশ্চয়ই পূর্বজন্মের কোনো পুণ্যফলে আজ আমার মতো এক রাস্তার ধুলো থেকে উঠে আসা অতি সাধারণ মানুষ গত তেইশ বছর ধরে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করেছি। এ এক ঐশ্বরিক আশীর্বাদ।
চমস্কির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল আমি যখন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা পড়তে গিয়েছিলাম, তখন থেকে। আমরা কয়েকজন সহছাত্র ও ছাত্রী ঠিক করেছিলাম তাঁকে আমাদের ডিপার্টমেন্টে বিশেষ বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসবো। ডিপার্টমেন্টের কোনো উৎসাহ বা সমর্থন ছিলোনা, কারণ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি তার ছাত্রছাত্রী তৈরী করে কর্পোরেট আমেরিকায় সাফল্যলাভ করার জন্যে।
আমাদের ব্যাচে জার্নালিজম বিভাগে সাড়ে তিনশোজন ছাত্রছাত্রী ছিল, এবং তার মধ্যে মাত্র একশোজন সেই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে এসেছিলো। বাকীরা আসেনি, কারণ তারা হয় তাঁর নাম শোনেনি, আর নয়তো তাঁকে অবজ্ঞা অথবা বর্জন করেছিল, ঠিক যেমন নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন অথবা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস অবজ্ঞা অথবা বর্জন করে থাকে।
আমাদের হল কিন্তু জ্যাম হয়ে গিয়েছিলো ভিড়ে, কারণ খবর পেয়ে অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট থেকে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী তাঁর বক্তৃতা শুনতে এসেছিলো। অনেকে দাঁড়িয়েছিল, অনেকে ছিল মাটিতে বসে। বিখ্যাত রেডিও সাংবাদিক এমি গুডম্যান এসেছিলেন তাঁর "ডেমোক্রেসি নাও" প্রোগ্রামের জন্যে চমস্কির সে বক্তৃতা রেকর্ড করতে।
ঐতিহাসিক বললাম এই কারণে যে নোম চমস্কি আগে কখনো ওই ডিপার্টমেন্টে বক্তৃতা করতে আসেন নি, এবং আমরাই প্রথম তাঁকে নিয়ে এসেছিলাম। আজ পর্যন্ত আর কখনো তিনি ওখানে ওই ডিপার্টমেন্টে আসেন নি। সে ঘটনার সাক্ষী আমার কলাম্বিয়ার বন্ধুরা তো আছেই -- যাদের অনেকেই আজ আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড, আরো আছেন নিউ ইয়র্কে সে সময়ে আলাপ হওয়া বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট বন্ধু, যার মধ্যে লেখক -সাংবাদিক আবেদীন কাদের এখনো আমার বন্ধু -- সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং বাস্তব জগতে।
চমস্কির সঙ্গে আলাপ পরিচয় এবং দীর্ঘ ঘনিষ্ঠতা হওয়া রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, জগদীশ বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এই জাতীয় মহামানবকে দেখতে না পাওয়ার দুঃখ কিছুটা ভুলিয়ে দিয়েছে। আমি তাঁর প্রত্যক্ষ ছাত্র নই, অর্থাৎ তাঁর ক্লাসরুমে আমি কখনো বসিনি। কিন্তু তেইশ বছর ধরে তিনিই মেন্টর ও পথপ্রদর্শক হিসেবে আমাকে আলো দেখিয়েছেন। তাঁর ছায়াপথের মতো জ্ঞানের আলোয় আমি হয়তো একটু আলোকিত হয়েছি।
জানিনা, ভবিষ্যতে আমার এই সাক্ষাৎকার ও ইমেল কথোপকথন নিয়ে কেউ কিছু লিখবে কিনা। আমি আমার কাজ করে গেলাম। প্রত্যাশা নেই কোনো।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।