এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • না আঁচালে বিশ্বাস নেই 

    প্রবুদ্ধ বাগচী লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মে ২০২২ | ১৩৩১ বার পঠিত
  • না আঁচালে বিশ্বাস নেই 
     
    প্রবুদ্ধ বাগচী
     
    বছর তিনেক আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ‘ঐতিহাসিক’ রায় দিয়ে রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দেন। যে বিরোধের সূচনা হয়েছিল কয়েক দশক আগে, যা নিয়ে সারা দেশে প্রচুর গোলমাল হয়েছে, উত্তেজনা দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে তার সমাধান যে এইভাবে হয়ে যেতে পারে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। এই বিস্ময়ের প্রধান কারণ, এই দ্বন্দ্ব আসলে সুচতুরভাবে তৈরি করা হয়েছিল একটা ‘বিশ্বাস’ কে ভিত্তি করে যে বিশ্বাসকে আদৌ কোনো আইনের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এই দশক পেরিয়ে আসা মামলার এই জাদু সমাধান যে হতে পারল তার কারণ স্বয়ং প্রধান বিচারপতি ওই বিশ্বাস যে, রামচন্দ্র ওইখানেই জন্মেছিলেন, এটাকে আইনের কাঠামোর মধ্যে স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থা এর আগে এমন কোনো ‘আজগুবি’ বিচার দেখেছে বলে মনে হয় না। দেশের সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির একটা মর্যাদা আছে, সেই পবিত্র মর্যাদা রক্ষা করার দায় একেবারেই তার। এক্ষেত্রেও তেমন একটা ব্যতিক্রম ঘটে গেল। রামমন্দির বানানোর ছাড়পত্র হাতে পেয়ে মন্দিরপন্থীরা যখন আহ্লাদে আটখানা ঠিক তখনই সেই বিচারপতি অবসর নিলেন আর ছমাসের মধ্যে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত হলেন ওই মন্দিরপন্থীদের ভোটে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এমন নড়বড়ে অবস্থান এর আগে ভারতের গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ করেনি।
    একসঙ্গে সব মানুষ তো নিজেদের বিকিয়ে দিতে পারেন না বা দেনও না। রামমন্দির নিয়ে আদালতের রায়ে দেশের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা কমবেশি তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কেউ কেউ চুপ ছিলেন। এর পরেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নানা গড়িমসি করেছেন, কারোর নাম কেটে দিয়েছেন, কাউকে জুড়ে দিয়েছেন। অভিসন্ধি খুব স্পষ্ট। তবু এর পরেও দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি অনেকদিন পরে নিজস্ব একটা ব্যক্তিত্ব ও কণ্ঠস্বর দিয়ে ওই গ্লানিময় অতীতের আবর্জনা কিছুটা সরাবার চেষ্টা করছেন। দেশদ্রোহ বিষয়ক আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান আবার অনেকটা ইতিবাচক। প্রাক স্বাধীনতা যুগের একটি ঔপনিবেশিক আইনের ধারা কেন আজকের স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে থাকবে এবং তা বারবার ব্যবহৃত হবে এই প্রশ্ন একদম সংগত।
    বিষয়টা আরো গুরুত্ব পায় এই কারণে যে ভারতীয় পেনাল কোড তৈরি করার সময় এইসব আইন বাতিল না করা হলেও তার প্রয়োগ, অন্যায্য হলেও ছিল সীমিত। কিন্তু গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যে রাজ্যে তাঁদের ধামাধরা রাজ্য সরকারগুলি প্রায় নির্বিচারে এই আইন প্রয়োগ করে সাধারণ নাগরিক থেকে সমাজকর্মী, সংবাদকর্মীদের জীবন বিড়ম্বিত করে তুলেছে। এমন সব তুচ্ছ কারণে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে যাতে প্রশাসনের প্রতিহিংসার কদাকার মুখ বারবার ফুটে বেরোয়। এই পরিস্থিতি নাগরিক অধিকার রক্ষার পরিপন্থী এবং এই ধরনের নিবর্তন সাংবিধানিকভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু একথা বলবে কে?
    আরো উল্লেখযোগ্য তথ্য হল আজ অবধি যত মানুষকে এই দেশদ্রোহ ধারায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে একেবারে হাতে গোনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে, তাও এখনো তাঁদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। বুঝতে পারা যায়, ‘দেশরক্ষা’র অজুহাত আসলে দেশের নাগরিকের অধিকার হরণ করারই এক কূট ছলমাত্র। মজার ব্যাপার হল, আজকের বিশ্বায়িত ভুবনে খুব চুপি চুপি কিছু করে ফেলা বেশ সমস্যার। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারত যে গ্লোবাল ইন্ডেক্সে বেশ কিছুটা নেমে এসেছে এই খবর একেবারে সাম্প্রতিক। এটাও তো তাহলে দেশের অবস্থানের নিরিখে একরকমের ‘মুখ পোড়া’ --- তাহলে এই পরিস্থিতির কারিগররাও কি ‘দেশদ্রোহী’ নন, এদের পেছনেও তো তাহলে একশো চব্বিশ নম্বর ধারার ছুঁচোবাজি লাগিয়ে দেওয়া উচিত!
    এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের একটা অবস্থান এইরকম যে, এই আইনের পুনরায় মূল্যায়ন ও সংস্কার দরকার। ঠিক। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। কেন্দ্রীয় আইন বিভাগ মুখে বলছেন এই আইনের পুনর্বিবেচনা তাঁরা করবেন। কিন্তু বললেই তা কার্যকর করা তত সহজ নয়। অবশ্য তাই বা বলি কেমন করে? করোনা কালে নামমাত্র সংসদ খোলা রেখে একের পর এক আইন পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে কোনো আলোচনা না করেই। যে তিনটি কৃষি আইন নিয়ে সারা দেশ পরাক্রমশালী এক আন্দোলন দেখল তারও প্রস্তাবনা ও প্রবর্তনা ঘটেছিল এই পথেই। এমনিভাবেই আধার কার্ড সংক্রান্ত আইন রাজ্যসভায় অনুমোদন করানো যাবে না বিবেচনা করে নজিরবিহীন ভাবে সেটাকে অর্থ বিলের মর্যাদা দিয়ে কৌশলে পাশ করানো হয়েছিল সংসদে। আবার গত নভেম্বরে (২০২১) কৃষি আইন বাতিল করার প্রকাশ্য ঘোষণা হলেও আজ পর্যন্ত সরকার সেই বিষয়ে রা কাড়েনি। কাজেই সবটাই ইচ্ছে, বলা ভাল রাজনৈতিক ইচ্ছের বিষয়।
    আর এই রাজনৈতিক ইচ্ছের কথাই যদি বলতে হয় তাহলে এটা খুব পরিষ্কার, বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসকদল যে মনোভঙ্গিমা বা ভাবনার অনুবর্তী তাতে তাঁদের এই ‘দেশদ্রোহ’ বিষয়ক আইন নিয়ে খুব বেশি নড়েচড়ে বসার ইচ্ছে থাকা সম্ভব নয়। স্বাভাবিক, তারা দেশ জাতি সম্প্রদায় নিয়ে যে একমুখী কেন্দ্রীয় মতাদর্শের দাবিদার তার মধ্যে আমাদের দেশের বিপুল বৈচিত্র্যের কোনও পরিসর নেই। এক ধর্ম এক ভাষা এক দেশ --- এই হল তাদের কাঙ্ক্ষিত ভারতভূমি। কিন্তু এই চাপিয়ে দেওয়া ‘দেশ’ ভাবনা সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় সেটাও তারা বোঝেন, তাই সরকারিভাবে ‘দেশ’এর সংজ্ঞার যারা বিপরীত ভাববেন তাদের বুঝিয়ে দেওয়া দরকার আসলে ‘কেষ্ট কেমন ঠাকুর’! তাই এই আইন, তাই তার এমন অবাধ প্রয়োগ !
    সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের সরকারের কাছে যে প্রস্তাব রেখেছেন তাতে তারা বলতে চান, যতদিন না এই আইনের সংস্কার হয় ততদিন এই আইনের আওতায় এফ আই আর করা মুলতুবি থাকুক। সাধু প্রস্তাব। সুপ্রিম কোর্ট আইন তৈরি বা তার সংস্কার করার এক্তিয়ার রাখেন না কিন্তু আইন নিয়ে সুচিন্তিত মন্তব্য বা রায় দিতে পারেন। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় প্রভুদের প্রতিক্রিয়া খুব সজীব নয়। তারা কতদিনে শীতঘুম থেকে জাগবেন বা আদৌ জাগবেন কি না সে এক লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনা প্রবাহে সুপ্রিম কোর্ট যে নিজেদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের একটা সচেতন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন এটা শুভ ইঙ্গিত। যদিও স্বতন্ত্র মর্যাদা থাকলেও সুপ্রিম কোর্টকেও বহুলাংশে এখনও কেন্দ্রীয় আইন বিভাগের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই পাশাপাশি সংশয় এসে জড়িয়ে ধরে। সত্যিই না আঁচালে বিশ্বাস নেই!
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মে ২০২২ | ১৩৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২২ মে ২০২২ ১৯:৪৭507978
  • হক কথা। আমরা তাকিয়ে আছিঃ
    ১ পেগাসাস নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী রায় বেরোয়। 
    ২ মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি এবং বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ ও শিবলিঙ্গ নিয়ে আদালত কী ফয়সলা দেয়।
    ৩ হায়দ্রাবাদে চারজন বিচারাধীন বন্দীর এনকাউন্টার নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের কমিশনের রায়ের পর জল কতদূর গড়ায় তা দেখতে।
    ৪ মব লিঞ্চিং বিষয়ক আইন প্রণয়ন নিয়ে আদালত ও সরকারের টানাপোড়েনের ফল কী দাঁড়ায় ।
     
    তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কীইবা করতে পারি!
  • santosh banerjee | ২৩ মে ২০২২ ১৯:৪৬508013
  • সুপ্রিম কোর্টের ওপর ভরসা ?? এখনো???৭৫ বছরের মাথায় ?? হাস্যকর !! ঠিক আছে, ভরসা থাকুক !! কিন্তু,,, আইনকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে এই ফ্যাসিসট সরকারের বর্বর লোকগুলো যেভাবে সংবিধান কে রীতিমতো ধর্ষণ করছে, এবঙ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি গন যেভাবে ধরি মাছ না ছুঁই পানি পন্থা অবলম্বন করে চলেছেন, নিজেদের বৌদ্ধিক শক্তি , নিরপেক্ষ বাদ এসব বিসর্জন দিয়ে ঐ গৈরিক তালিবান দের রক্ত চক্ষু কে ভয় পেয়ে, নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবার ভয়ে কাজ করেছেন আর করছেন, এর পর আর কোন কথা নেই সুপ্রিম কোর্টের আদর্শ ইত্যাদি সম্পর্কে!! দাঁড়িপাল্লা হাতে ঐ রমনীর চোখের কালো ঠুলিটা খুলে দিন, মোদী মশাই রা !! ওটার কোনো অর্থ নেই আর!! আপনারা যে বুলডোজার সংস্কৃতি আবিষ্কার করেছেন, তা তো অনেক দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে চালু করেছেন!! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন