এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • হারিয়ে যাওয়া কোলকাতার গল্প (১৯৫০-৬০) : ১৫শ পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৪ আগস্ট ২০২১ | ২২৯০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
    ইলেকশন! ইলেকশন!

    সেটা বোধহয় ১৯৫৭ সাল। শিশু বিদ্যাপীঠস্কুলে দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম দশক পূর্ণ হওয়া নিয়ে বড় দিদিমণি অনেক কিছু বললেন। আর কমিউনিস্ট পার্টি তখন ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’ শ্লোগান ছেড়ে দিয়ে বেশ কোমরবেঁধে ইলেকশনে নেমেছে।

    বেলা বারোটা হবে। আমাদের ফ্ল্যাটের দরজার কড়া একটু জোরে নড়ে উঠল। মায়ের পেছন পেছন আমিও গেলাম দেখতে কে এসেছে। দরজা খুলে মা পাথর। পুলিশ! সঙ্গে একটি অচেনা লোক; তার খড়িওঠা খালি পা, পরনে হেটো ধুতি, গায়ে হাফ হাতা আকাশী রঙের জামা, তার হাতের দিকে একটু কোনা কাটা। ভয়পাওয়া চোখে উদভ্রান্ত দৃষ্টি। পুলিশ অফিসার মাকে বলল—কড়েয়া থানা থেকে আসছি। দেখুন তো ইনি সলিলকুমার রায় কি না ? ঠিকানা তো এটাই?

    আমি হতভম্ব। সলিল কুমার তো আমার বাবার নাম; বাবা তো এখন পারস্য উপসাগরে বাহরিন বলে একটা ছোট দ্বীপে তেলের কোম্পানিতে কাজ করে। কয়েকবছর পরে আসবে।

    --- ইনি আপনার স্বামী?

    মা উত্তর না দিয়ে পুলিশকে বলল — একটু দাঁড়ান, বাবাকে ডেকে আনছি।

    ভেতরে গিয়ে দাদুকে বলল — বাবা, পুলিশ এসেছে। আপনার বড়ছেলেকে খুঁজছে। সাবধানে কথা বলবেন। মনে হয় ফলস ভোটের ব্যাপার।

    দাদু গিয়ে বলল — না, এই লোকটি আমার বড়ছেলে নয়। সে বিদেশে চাকরি করে। গত সপ্তাহে ওর চিঠি এসেছে।

    পুলিশের পেছনে পাশের ফ্ল্যাটের দরজা বেশ শব্দ করে খুলে গেল। দরজায় দাঁড়িয়ে রেজ্জাক খাঁ সাহেব।

    -- না না। এ আদৌ সলিলকুমার নয়। আপনাদেরও বলিহারি! কোত্থেকে একটা গেঁয়ো লোককে ধরে এনে বলছেন এ ওনার বড়ছেলে কি না?

    পুলিশ বিরক্ত। আপনাকে কে জিগ্যেস করছে? গায়ে পড়ে মোড়লি করছেন কেন?

    কমরেড রেজ্জাক খাঁ দমবার পাত্র ন’ন।

    --- মশাই, আমি না জানলে কে জানবে? আমি ওদের নেক্সট ডোর নেবার।

    ওঁর ফ্ল্যাটের দরজা দুম করে বন্ধ হয়ে গেল।

    পুলিশ এবার লোকটিকে বলল — কেমন? হল তো ? চল এবার।

    সন্ধ্যে বেলা। ভোটপর্ব চুকে গেছে। বাড়িতে বিরাট গ্যাঞ্জাম। হাসাহাসি চলছে। পিসতুতো দাদা তপন বরাবরই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। স্কুলের বেড়া ডিঙোয় নি, ফলস ভোট দিতে গেছল। পার্ক ইউনিয়ন ক্লাবের ছেলেরা চিনে ফেলে প্রায় পুলিশের হাতে তুলে দেয় আর কি! বাঁচিয়ে দিল মমতাজদা, পাশের বাড়ির রেজ্জাক খান সাহেবের বড় ছেলে। গণনাট্য সংঘ এবং বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের কল্যাণে গোটা পার্কসার্কাস এলাকায় খুব ইজ্জত।

    আমাদের বাড়ির ঘটনাটা শুনে সবাই হৈহৈ করে উঠল। মুরলীধর গার্লস কলেজের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সেক্রেটারি ছোটপিসি বলল — কেন বৌদি, না হয় ওই লোকটাকে সোনাদা বলে আইডেন্টিফাই করেই দিতেন, তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হত? এই তো আমি আর স্মৃতি গিয়ে বোরখা পরে রিকশা চড়ে সার্কাস এভিনিউয়ের দুজন মুসলিম মহিলার ভোট দিয়ে এলাম।

    মা চটে লাল।

    এইডা কী কইল্যা? আমি যারে তারে সর্বসমক্ষে আমার স্বামী বইল্যা স্বীকার করবাম?

    মা তখনও মাণিক বন্দ্যোর ‘হারানের নাতজামাই’ পড়ে নি।

    ন’কাকা বললেন — না বৌদি; আপনে ঠিকই করছেন।

    -- ঠাকুরপো, ওই লোকটার কথা ভাইব্যা খারাপ লাগতাছে। পুলিশ কি অরে মাইরধইর করব? জেলে দিব?

    -- আরে না বৌদি। সারাদিন বসাইয়া রাইখ্যা বিকেলের দিকে ছাইর‍্যা দিব। কংগ্রেসের ফলস ভোটারও ধরা পড়ছে।

    -- তাও ভাল। আচ্ছা, রেজ্জাক খাঁ সাহেব হঠাৎ বলা নাই কওয়া নাই বাইর হইয়া তড়পাইতে ছিলেন ক্যারে?

    সমবেত হাসির হররা।

    -- বুঝলেন না বৌদি? ওঁর ফ্ল্যাটেই তো পুরা ফলস ভোটের মেশিনারি। লিস্টি মিলাইয়া কারা কারা শহরে নাই দ্যাখা হইতাছে। সোনাদার ফলস ভোটও ওনার ঘরেই ঠিক হইছে। পাছে সেদিকে পুলিশের নজর যায়, তাই।

    আচ্ছা, ফলস ভোট মানে কী?

    সবার কথা বন্ধ হয়ে গেল। কানে জুটল আড়াই পাক।

    কমিউনিস্ট কারে কয়?

    ভোটের দিন পাতিপুকুরের সেজপিসিমার বাড়ি থেকে বেড়াতে এল ছোড়দি, স্কুল ফাইনাল দেবে। আমার কাকা-পিসিদের চড়া গলায় ‘পার্টির সিদ্ধান্ত’ , ‘পার্টি-লাইন’ এসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে আমার মাকে জিজ্ঞেস করল — আচ্ছা মাইমা, এইসব পাট্টি-পুট্টি কইর‍্যা কি কিছু অইব? আমার পাড়ায় একটা মাইয়া আছে, পাট্টি করে। অরে দেখি তেঁতুলতলার মোড়ে খাড়ইয়া একটা কৌটা লইয়া মাইনষের সামনে গিয়া ভিখারির মত এমুন এমুন কইর‍্যা নাড়াইয়া চান্দা চায়। মাইগগো, আমার এমুন লাজ করে !

    ছোট পিসি ধমকে উঠল – যা যা, তোকে পার্টি করতে হবে না। আগে স্কুল ফাইনাল দে ঠিক করে।

    ছোড়দি যাই বলুক, আমার কাছে কমিউনিস্টরা বিরাট গ্ল্যামারাস ব্যাপার ! একেবারে রূপকথার লালকমল নীলকমল; রাক্ষস খোক্কসদের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে।

    দাঙ্গার সময় ছোট দুই কাকাকে দেখেছি পুলিশের থেকে কারফিউ পাশ বের করে রাত-বেরাতে গুন্ডার আক্রমণ ঠেকাতে মুসলিম বস্তি পাহারা দিতে, আগুন নেভাতে, রিলিফ বিলি করতে আর এলাকায় শান্তি মিছিল করতে।

    আর এটা চাষীমজুরের পার্টি নয়, বরং উকিল ব্যারিস্টারের দল। একগাদা বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার। ইন্দ্রজিত গুপ্ত, জ্যোতি বসু - সবাই নেহেরুর মত বিলেতফেরত, তেমনি পার্কসার্কাসের মামুন সায়েব, দৃষ্টিহীন চমৎকার গায়ক সাধন গুপ্ত – উনিও ব্যারিস্টার। আমাদের ময়মনসিঙ্ঘের রাজপরিবারের স্নেহাংশুকান্ত আচার্য — উনিও। স্কুল পেরোনোর আগে এই বিশ্বাস পোক্ত হল, কারণ খোদ লেনিন ল’ গ্রাজুয়েট। পরে দেখি মার্ক্সও তাই, দর্শনে মাস্টার্স করেছিলেন পরে। আর ওঁর ধর্ম নিয়ে বিখ্যাত উক্তিটিও তো উঠে এসেছে হেগেলের ল’ নিয়ে ধারণার ক্রিটিক তৈরি করতে গিয়ে।

    সেসব অনেক পরের কথা। ছোটবেলার কমিউনিস্টরা বর্ণাঢ্য চরিত্রের মিছিল। কবি সাহিত্যিকের ভীড়। সুকান্ত থেকে সুভাষ মুখুজ্জে, মাণিক, সমরেশ বসু, দেবেশ রায়, দীপেন বন্দ্যো — বিরাট মিছিল। এরপর যদি নাটক এবং সিনেমার কথা ধরি তো কী আর বলব! নবান্ন এবং রক্তকরবী করে শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, বিজন ভটচায – এঁরা সব কিংবদন্তী হয়েছেন। শেক্সপীয়র এবং অঙ্গার করে উৎপল হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। স্টেজ এবং আলোর খেলায় খালেদ চৌধুরি ও তাপস সেন, গণসংগীত এবং লোকসংগীতে সলিল চৌধুরি, নির্মলেন্দু এবং হেমাঙ্গ বিশ্বাস কলকাতা মাতাচ্ছেন। ঋত্বিক ঘটক মৃণাল সেন তো আছেনই। গঙ্গা সিনেমার পরিচালক রাজেন তরফদার, অভিনেতা তুলসী লাহিড়ি জ্ঞানেশ মুখার্জি কালী ব্যানার্জি এঁরা তখন অসম্ভব জনপ্রিয়। আর পাশের ফ্ল্যাটের মমতাজউদ্দিন আহমেদ বা মমতাজদা তো ছিলেনই। তাই আমাদের মত অপোগণ্ডদের জন্যে এঁদের স্থান আনন্দমঠের ভবানন্দ জীবানন্দ এবং মহাভারতের হাহা-হুহু গন্ধর্বকুলের কাছাকাছি।

    তৃপ্তি মিত্ররা (ভাদুড়ি) ছিলেন ছয় বোন। লোয়ার রেঞ্জের মোড়ের দিকে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন মহীন্দ্র বাগচী, আমার কাকাদের মহীনদা। উনি শম্ভু মিত্রের অন্যতম ভায়রা ভাই। তবে আমরা শুনতাম তেভাগা আন্দোলনের সময় ওঁর উত্তরবঙ্গে রংপুর দিনাজপুর এলাকায় তিরধনুকধারী কোচ, রাজবংশী আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্প।

    মমতাজদার বিয়ে হল। আমাদের বাড়ির এজমালি ছাদে ম্যারাপ বেঁধে, সেই আমার কাকাদের বিয়ের সময় যেমন ভিয়েন বসত। ওইটুকু ফ্ল্যাট, কিন্তু ভীড়ে ভীড়াক্কার। কাকারা সবাই খেতে গেল। আমরা কাকিমাদের পাশে দাঁড়িয়ে বারান্দা থেকে উঁকি মেরে দেখছি - ওই দ্যাখ কালী ব্যানার্জি, ওই দেখ নিরঞ্জন রায়। এ বোধহয় তৃপ্তি মিত্র? না দিদি, তাইন আরেকজন, নামডা মনে আইছে, মুখে আইতাছে না ।

    অ, ওই জে আরেকজন, কই যেন দেখছি?

    আরে ভানু রে চিনলাইন না? ভানু ব্যানার্জি গো, পাশেই মোটামত জহর রায়।

    আমি থাকতে না পেরে বলে উঠি — উত্তমকুমার আইব না ?

    কাকিমাদের হাসি অ্যার থামে না।

    হ, আইব। উত্তমকুমার তর লগে দ্যাখা করতে আইব।

    তখন ক্লাস ফোরের পরীক্ষা হয়ে গেছে। রেজাল্ট বেরোয় নি। ডিসেম্বরের শীত গলিতে গলিতে ক্রিকেট। লোয়র রেঞ্জের মহীন বাগচীদের গলি থেকে একটু এগিয়ে গোটাকয়েক গা ঘেঁষাঘেঁষি বাড়ির গায়ে একচিলতে খেলার মাঠ। ওখানে নাকি একটি ছেলে রীতিমত জোরে বল করে, টেনিস বল নয়, পুরনো ক্রিকেট বলে। সেই পাড়ার প্রদীপ আমায় নিয়ে গেল ফাস্ট বোলিঙয়ের মুখোমুখি হতে — সাহস বাড়বে।

    মাঝেমাঝেই বল গিয়ে পাশের একটি দোতলা বাড়িতে ঢোকে; এক মাঝবয়েসি মহিলা খুব বিরক্ত হয়ে চেঁচামেচি করেন। সে বাড়ি থেকে সদ্য স্কুল পেরনো এক রজনীগন্ধা রোজ চোখে রোদ চশমা, হাইহিল খটখটিয়ে ট্রামডিপোর দিকে যান। আমি খেলার মাঝে মুগ্ধচোখে ওঁকে দেখতে থাকি এবং বোল্ড হয়ে সবার হ্যাটা খাই।

    প্রদীপ শিখিয়ে দিল ওই মাসিমাকে দেখলে আমরা বলি – ফিলিম স্টার! দেখবি খচে গিয়ে যা চেঁচাবে না!

    সত্যি? উনি কি কোন সিনেমায় পার্ট করেছেন? উত্তমকুমারের সঙ্গে?

    আরে, ‘কোমলগান্ধার’ কইয়া একটা যেমনতেমন ফিলিম, চলে নাই। করছে ঝিয়ের পার্ট তাতেই পাড়ায় এমন দেমাক দেখায় যে ! তুই একবার ডাইক্যা দেখ, মজা দেখবি।

    দু’একবার তোল্লাই দিতেই আমি চান্স নিলাম। কিন্তু দিনটা আমার ছিল না। উনি আমাকে কিছু না বলে সরু চোখ করে দেখলেন। তারপরেই এক ভদ্রলোক খাদির পাজামা-কুর্তা আর জহরকোট পরে সাইকেল থেকে নামলেন। সাইকেলের ক্রিং ক্রিং শুনে সেই মাসিমা বেরিয়ে এসে ওঁর হাত থেকে একটা পত্রিকা নিলেন। তারপর আঙুল দিয়ে আমাকে দেখিয়ে নিচু গলায় কিছু বললেন। উনি আমাকে দেখে তেড়ে এসে বললেন — তুই! এখন এই পাড়ায় আইস্যা বখামি করস? দাঁড়া, তর কাকারে কমু, মজা দেখবি।

    আমার হাত-পা ঠান্ডা! ওই জহরকোট গায়ে মুখে চাকা চাকা বসন্তের দাগ ভদ্রলোককে যে চিনি। কাকার কাছে প্রতিমাসে নিয়মিত পার্টির পত্রিকা-টত্রিকা দিতে আসেন। সেরেছে! কেন যে এদের কথায় নাচলাম?

    সাতদিন কাকাকে এড়িয়ে চললেও একদিন ঠিক কাকার সামনে পড়ে গেলাম। ন’কাকা সব শুনে বলল — আর এ’রম ক্যাবলামি করিস না। উনি সুপ্তি ভাদুড়ি, তৃপ্তি মিত্রের নাম শুনেছিস তো, তাঁর আপন বোন। আর জেনে রাখ, ঋত্বিক ঘটকের ‘কোমলগান্ধার’ একটা অসাধারণ ফিল্ম। একদিন বুঝবি।

    ঘটনাচক্রে বহুরূপী দল এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত তৃপ্তি মিত্রের শেষ ক’টি দিন আমাদের পার্কসার্কাস বাড়ির পেছনের গুপ্তদের ফ্ল্যাটে নাট্যকর্মী অশোক গুপ্তের (আলো গুপ্ত) তত্ত্বাবধানেই কেটেছিল। সে গল্প পরের অধ্যায়ে বলা যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
  • ধারাবাহিক | ২৪ আগস্ট ২০২১ | ২২৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ২৪ আগস্ট ২০২১ ১৬:৫০497058
  • অসাধারন । স্মৃতিরা পাতা থেকে উঠে এলো। মনে করিয়ে দিলেন কোন অনবদ্য সময়ে কলকাতায় বড় হয়েছি - কি অসামান্য মানুষেরা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন প্রতিদিন । মৃনাল সেন ঋত্বিক ঘটক উৎপল দত্ত শমভু মিত্র আহা ওই জীবন যদি আবার পাওয়া যেতো 
  • বিপ্লব রহমান | ২৫ আগস্ট ২০২১ ০৫:০৭497073
  • মুগ্ধ হয়ে পড়ছি, যেন সিনেমার স্লাইডের মতো ভেসে উঠছে পুরনো কলকাতা। 
    এই ধারাবাহিক বই হয়ে প্রকাশের দাবি রাখে, আগেও বলেছি বোধহয়।
    তারপর? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন