জ্বরজারি, পেটখারাপ ও ডাক্তারবাবুরা; ক্যাপসুল বিপ্লব ও স্লাইস ব্রেড
দাদুর দস্তানায় রায় পরিবারের এত জন সদস্য, কিন্তু সে হিসেবে অসুখ বিসুখ হত কম। সময়ে হামাদেওয়া শিশু এবং টলটল করে হাঁটা বাচ্চা প্রথমে দুই, পরে তিন হল। কয়েক বছর পরে আরো এক এবং দুই।
কিন্তু ততদিনে পৃথিবী বিশেষ বদলায় নি। বাচ্চাদের হত জ্বর ও পেট খারাপ। বড়দের জ্বর; সম্ভবতঃ ওঁরা পৈটিক সমস্যা হলে নিজেরাই সমাধান খুঁজে নিতেন।
আর ওষুধ বলতে কারমেটিভ মিকশচার, তাতে সুন্দর করে ডোজ মেপে কাগজ কেটে আঠা দিয়ে শিশির গায়ে লাগিয়ে দেওয়া। মিকশচারের তলানিতে অনেকখানি গুঁড়ো পাউডার। তবে খাবার আগে শিশি ঝাঁকিয়ে নিয়ে ছোট কাঁচের গ্লাসে ঢেলে খাওয়া বিধি।
কিন্তু কিছুদিন পরেই শুরু হল এসব অসুখে এলোপ্যাথদের কাছে না গিয়ে কাছের হোমিওপ্যাথের কাছে যাওয়া।
আমাদের বাড়ির তালিকায় ছিলেন জনাচারেক ডাক্তার। অসুখের গুরুত্ব বুঝে তাঁদের কাছে যাওয়া; ফি ও ওষুধের দাম বাড়ির কর্তার মাথায় উঁকি দিয়ে যেত, কোন সন্দেহ নেই।
প্রথম নম্বরে জনৈক ‘শুকনা ডাক্তর’। একই পাড়ায় একতলার নিজের ঘরে দুবেলাই বসতেন; রোগা হাড়জিরজিরে খিটখিটে ভদ্রলোক। দিতেন হোমিও ওষূধের পুরিয়া, সম্মানমূল্য দু’পয়সা, নইলে চার পয়সা অর্থাৎ তখনকার মুদ্রায় এক আনা । এরকাছে সময়ে অসময়ে যাওয়া যেত; দাদুর সংগে হাত ধরে গিয়ে জিভ দেখিয়ে পেট টিপিয়ে ওষুধ নিয়ে এসেছি।
তারপরে এলেন ‘শম্ভু ডাক্তর’। সম্মানমূল্য এক আনা ।
আজকের কোলকাতার বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথ ডঃ শম্ভুনাথ চ্যাটার্জি—পঞ্চাশের দশকের অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডঃ জ্ঞান মজুমদারের শিষ্য। ইনি তখন সদ্য পাশ করে প্র্যাকটিস শুরু করেছেন। বসতেন আমির আলি এভিনিউ এর উপরে যেখানে ডিপো থেকে ট্রাম বেরিয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে বাঁক নিয়েছে, সেখানে একটি ঘরে, প্রথমে দুজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে, পরে একমেবাদ্বিতীয়ম। দু’দশক পরে উনি চৌরংগীতে চেম্বার করে চলে যান।
উনি ওর শান্ত মনোযোগী ব্যবহারে আমাদের পরিবারের ফেবারিট। পরিবারের কর্তা সতীশচন্দ্রের মতে ‘শম্ভুর ওষুধে কথা কয়’।
দুটো অসুখেই বড় ছোট নির্বিশেষে একই পথ্য দেওয়া হত। জ্বর হলে দুধসাগু ও পেট খারাপে পিউরিটি ইন্ডিয়ান বার্লি। কাঁসার জামবাটি ভরে সেই হড়হড়ে সুখাদ্যটি চিনি ও লেবু চিপে মুখ ভেটকে গেলা ছিল সবচেয়ে বড় শাস্তি।
তবে জ্বর থেকে ওঠার পর ডাক্তারবাবু ভাত খাওয়ার অনুমতি দিলে চারাপোনার ট্যালটেলে ঝোল, তাতে কচি কাটোয়ার ডাঁটা বা ‘ডেঙ্গা’।
সতীশচন্দ্রের হোমিওপ্যাথির প্রতি পক্ষপাতের দুটো কারণ।
এক, সুলভ ওষুধ ও পথ্য।
ওঁর কাঁধে যে বাইশটি হাঁ-মুখে খাবার জোগানোর দায়! আয় বলতে শুধু প্রথম তিনজনের চাকরি। বড় ছেলে ফোর্ট উইলিয়মে ল্যান্স নায়েক, এন সি ও ক্যাডার, সামান্য মাইনে। বিয়ে করার সময় মাস মাইনে ছিল তিনকুড়ি পাঁচটাকা।
মেজ ব্যারাকপুরের এয়ারফোর্স অফিসে টেলিপ্রিন্টার অপারেটর। মাসের প্রথম শনিবারে শেয়ালদা মার্কেট থেকে একটা বড়সড় নাকে দড়ি দিয়ে ঝোলানো একটি ইলিশমাছ নিয়ে হাজির হয়।
সেজ যদুপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মাত্র ফিলিপ্স কোম্পানিতে চারশ’ টাকায় ঢুকেছে ।
দ্বিতীয় কারণটি হল ফেলে আসা বাঙালবাড়ির স্মৃতিজনিত অভ্যাস। তিরিশ- চল্লিশের দশকে আঠারবাড়িয়া গ্রামের আশপাশের দশ গাঁয়ে ডাক্তার বলতে ছিলেন হোমিওপ্যাথ ললিত ডাগদর। তিনি সব অসুখের চিকিৎসা করতেন, এমনকি ছোটখাট অপারেশন পর্য্যন্ত। বড়ছেলের একুশদিনের সান্নিপাতিক জ্বর ও তার সঙ্গে বিরাট দুই কর্ণমূল—উনিই ওষুধ, পথ্য দিয়ে ও তারপর ছুরিকাঁচি ধরে বাঁচিয়ে তোলেন। এছাড়া ওঁর মাতাঠাকুরাণী সুখময়ী রায়, আমাদের বড়মা, ভুগছিলেন কোমরে জেগে ওঠা এক বিশাল ফোঁড়ায়। ললিত ডাক্তার দেখে বললেন মনে হয় কার্বাংকল ( এই শতাব্দীতে কারও মুখে এই শব্দটি শুনি নি), আর কেটেকুটে পুঁজ বের করে সারিয়ে দিলেন।
কিন্তু কোমরের কোন একটি শিরা-উপশিরা কেটে যাওয়ায় সুখময়ী আর বাকি জীবন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন নি। হাঁটুমুড়ে বসে বসেই খাওয়া-দাওয়া, পূজো-আচ্চা এবং প্রকৃতির ডাকে সময়ে অসময়ে সাড়া দেওয়া—সব দিব্যি চালিয়ে গেলেন।
তাই পরিবারে কারও অসুখ বিসুখ হলে সতীশচন্দ্রের ফার্স্ট প্রেফারেন্স ভোট পড়ত হোমিওপ্যাথির পক্ষে; কৃতজ্ঞতা বলেও কিছু আছে তো না কী!
আর একটা তৃতীয় কারণ ছিল বটে! তবে সেটা সতীশচন্দ্র খোলাখুলি বলতে চাইতেন না । আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রামলাইনের দিকে গুণে দশ-পা হাঁটলেই ছিল ‘আসাদ মেডিক্যাল হল’; ডাক্তার এ এম ও গণি । এটা ছিল সার্কাস মার্কেট প্লেস আর পার্ল স্ট্রীটের মোহানায়।
গণিসাহেব সৌম্যদর্শন মৃদুভাষী ও পোশাকে আশাকে বেশ এলিট । উনি ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেবের আত্মীয়। আর আলীসাহেব তখন পার্ল রোডেই থাকতেন। তখন টেলিফোন বলতে কালো রঙের একটি যন্তর যার ডায়াল এনামেল চকচকে, তাতে গোল গোল খাঁজের মধ্যে দিয়ে ০, ১ থেকে ৯ পর্য্যন্ত সব সংখ্যা দেখা যেত। সেই খাঁজে আঙুল ঢুকিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডায়াল করা আর তারপর ‘হ্যালো’ বলা বাচ্চাদের কাছে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ ঘষে মন্তর পরার চেয়ে কিছু কম ছিল না । তখন এসমস্ত পাড়াতে ওষূধের দোকান আর ডাক্তার ছাড়া কারও বাড়িতে টেলিফোন থাকত না ।
একবার বাবার সঙ্গে হাত ধরে ডঃ গণির ডিস্পেন্সারিতে গিয়ে বেঞ্চিতে বসলাম। এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, কখনও রোগিদের দিকে, কখনও অ্যান্টিক ডিজাইনের দেয়ালঘড়ির দিকে। এমনসময় ঢুকলেন একজন গৌরবর্ণ সুদর্শন পুরুষ। ‘ঢুকলেন’ না বলে ‘প্রবেশ’ করলেন বলাই সঙ্গত হবে। পরণে সাদা পাজামা ও সূতির কাজ করা পাঞ্জাবি। স্মিতমুখে গণি সাহেবকে ‘বাও’ করে সোজা টেলিফোনের দখল নিলেন। তারপর কোন অজ্ঞাত ভদ্রজনের সঙ্গে চলল ওঁর কথাবার্তা, থুড়ি অতীব সরস ‘কথোপকথন’।
চলে গেলে বাবা জিজ্ঞেস করলেন—উনি কে?
--ওঁকে চেনেন না? আমাদের আলীসাহেব, মুজতবা আলী।
দাদু কখনও কখনও বিড়বিড় করতেন – শ্যাকে আমরারে পূর্বপুরুষের ভিটা থেইক্যা খেদাইয়া দিছে, হেই শ্যাকের ওষুধ খাওন লাগব?
আর এক কাকার বিশ্বাস ছিল মুসলমান কখনও ভাল ডাক্তার হয় না ।
অথচ সেই চেম্বারে ডাক্তার গণির পাশে বসে রোগি দেখতেন রেণু চক্রবর্তী। পরে কাকাদের থেকে জেনেছি গণি সাহেব অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। দাঙ্গার সময় মুসলিমবহুল পার্কসার্কাস পাড়ায় বেশ কিছু হিন্দু পরিবারের প্রাণ বাঁচানোয় তাঁর সক্রিয় সহযোগ ছিল।
বাড়ির তৃতীয় রোজগেরে ব্যক্তি বিনয়কুমার যদুপুরের হোস্টেলে থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ও ফিলিপ্স কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সুবাদে নব্য আলোকপ্রাপ্ত যুবক। চমৎকার ‘কইলাকাত্তাই টানে ফার্সি’ , অর্থাৎ ‘ঘটি’ জুবান কইতে পারেন । বন্ধুদের আসরে শচীনকর্তার ‘রবীন্দ্রসংগীত’ এবং পঙ্কজ মল্লিকের ‘পল্লীগীতি’ গেয়ে বেশ জনপ্রিয়।
কেউ বিশেষ অসুস্থ হলে তিনি কল দিয়ে বাড়িতে আনেন ফণিবাবুকে। স্যুটেড বুটেড ফণিবাবু আসেন কালো ভটভটিতে চড়ে, তাতে লাগানো সাইড কার। উনি বিলেত ফেরত। তাই ফীস বেশি।
মেজকা বিনয়কুমার শর্টকাট রাস্তা ধরলেন। একই ধরণের জ্বরজারিতে উনি ফণিবাবুর পুরনো প্রেস্ক্রিপশন দেখে সেই ওষুধ এনে দিলেন। কয়েকবার ফল দিল। সবাই মেজকার ‘প্রতিভায়’ চমৎকৃত। কিন্ত একবার কেস গেল বিগড়ে, একেবারে হাতে হ্যারিকেন!
ফণিবাবু এসেই সমস্যার শেকড়ে হাত দিলেন। মেজকার দিকে উকিলের মত আঙুল তুলে বললেন—সেলফ মেডিকেশন? আপনি ইঞ্জিনিয়র , সেটাই মন দিয়ে করুন। আমাদের ভাত নাই মারলেন!
বিনয়কুমার হতবদন হইলেন।
কিন্তু আমরা কুঁচোকাঁচার দল ঠিক করলাম যে কোনদিন ফণীডাক্তারের ওষুধ খাব না। উনি আমাদের ফেবারিট মেজকাকে ইল্লি করেছেন। ‘ইল্লি’ কথাটা ছাদে খেলতে গিয়ে পড়শী ফ্ল্যাটের বড় বাচ্চাদের থেকে সদ্য শেখা।
মেজকা যে আমাদের খেলনা কিনে দেয়, ঘেমো গরমে হাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে খবরের কাগজ পাকিয়ে ‘পত্রিকা বাতাস’ করে ঘুম পাড়ায়। ঠোঙায় করে মুখরোচক নাম-না –জানা খাবার নিয়ে আসে। কোলে করে ছাদে নিয়ে যায়।
তবে আমাদের এই যুদ্ধঘোষণা বৃথা যায় নি।
হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছেঃ ‘ ঈশ্বর কে রাজ মেঁ দের হ্যাঁয়, অন্ধের নহীঁ’।
ঈশ্বরের রাজত্বে দেরি হতে পারে, কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে ঠিকই নড়ে।
সেই মেজকা’ই একদিন আমাদের কারও অসুখে নিয়ে এল আদ্দেক সাদা আদ্দেক গোলাপি লম্বাটে ছোট্ট মত ওষুধ, যা জল দিয়ে ঢক করে গিলে ফেলা খুব সোজা, আদৌ সাদা কাগজে মোড়া নিমতেতো গুঁড়ো পাউডার না । এরে কয় ক্যাপসুল। এটা পেটে গিয়ে গলে যায়, আর কোন দাগ দেওয়া শিশি থেকে বিচ্ছিরি মিক্সচার খাওয়ার দরকার নেই ।
এহ বাহ্য; মেজকা জানাল এই ওষুধগুলো খুব কড়া। তাই এর সঙ্গে ভাল খাওয়া দাওয়া দরকার । সাগু-বার্লির দিন শেষ। খেতে হবে পাঁউরুটি। তাও বড় বড় মোটা মোটা মাথার দিকে গাঢ় তামাটে রঙের লোফ নয়, সুন্দর করে কাটা ছোট ছোট মিষ্টি মিষ্টি স্লাইস ব্রেড।
ব্যস, আমাদের অসুখ হওয়ার হিড়িক পরে গেল।
একদিন মেজকা নিয়ে এল কয়েক প্যাকেট স্লাইস ব্রেড আর একটি শিশি। তাতে টলটল করছে সোনালি রঙের চ্যাটচেটে তরল দ্রব্য। বাচ্চাদের উৎসুক চোখের সামনে সেই শিশি কেটে চামচ করে সোনালি জিনিসটি একটু একটু করে একেক পিস স্লাইসে লাগিয়ে সবাইকে দেওয়া হল।
কাকা বললেন—এরে কয় জেলি। এইডা আনারস থেইক্যা বানাইছে, পেয়ারা আর আম থেইক্যা আরও ভাল হয়।
কয়েক মিনিট। ব্রেড শেষ, জেলি শেষ। সবাই আঙুল চাটছে, মুখের ভাব যেন ‘ইহাই কি অমৃত’?
কিন্ত কী এক ত্র্যহস্পর্শ যোগে তক্ষুণি বাড়িতে ঢুকলেন কাকামণি; ব্যারাকপুরের এয়ারফোর্সের অফিস থেকে। নাক কুঁচকে ‘জেলি’ নিয়ে প্রাকৃত উল্লাসে মাতোয়ারা জনতাকে নিরুৎসাহ করে ঘোষণা করলেন – জেলি কিস্যু না , আসল জিনিস হইল জ্যাম।
মেজকা হাল ছাড়ার পাত্র নয়। বলল—জেলি তৈরি হয় ফলের রস জ্বাল দিয়া সারফেস লেভেলের শুদ্ধ সাবস্ট্যান্স দিয়া; আর জ্যাম হয় জেলি তৈরির পরে নীচে যে ছাঁট পইর্যা থাকে--।
--হঃ; আমাদের মিলিটারি মেসে ব্রেডের লগে জ্যাম দেয় , জেলি না । অরা কি বেকুব?
পিসতুতো দাদা তপন বলল –দুটোই নিয়ে এস মামা। আমরা খেয়ে দেখি কোনটা কী!
অসাধারন
ওষুধটির নাম Carmative mixture নয়, Carminative mixture| আন্ত্রিক গ্যাসজনিত অস্বস্তি বা অসুখের, যথা চোঁয়াঢেঁকুর ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হত। জোয়ানের আরকও একপ্রকারের Carminative.
@ কৌশিকবাবু,
অনেক ধন্যবাদ ভুলটা শুধরে দেয়ার জন্যে। আসলে ছোটবেলায় যে উচ্চারণ স্মৃতিতে রয়ে গেছে তাই লিখেছি আরকি।
তবু ভুল তো ভুলই। আমার ওয়ার্ড ফাইলে শুধরে নিচ্ছি।
কেন এই লেখায় শুদ্ধ করে দিতে আসুবিধে কী? ব্লগে ত দিব্বি এডিট হয়। আর এই পুরো সিরিজটা সিরিজ আকারে না লিখে এরকম খামচে খামচে লেখার কারণই বা কী? ওপরে কোণায় একটা ১ লিখে রাখার মানেই বা কী?হেডিঙে লেখা পঞ্চম পর্ব এদিকে লেখার ওপরে ১.
?? এমন রেগে যাচ্ছেন কেনঃ)
রঞ্জনদা, যেকোন ধারাবাহিক লেখাতে দুটো জিনিস খেয়াল রাখবেন, লেখার বাক্সের নীচে সারমর্ম, তার নীচে লেখকের নাম, তার নীচেঃ
ধারাবাহিক: প্রথম আর্টিকল# - এখানে প্রথম পর্বের টপিক নাম্বার। আপনি যদি কম্পিউটার থেকে গুরু করেন তাহলে এই পাতার লিঙ্ক দেখবেন https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=21264। এই যে শেষে topic=21264, এই 21264 হলো টপিক নাম্বার। আর এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্বের টপিক নাম্বার হলো 21011, যেটা আপনি প্রথম পর্বের লিংকে গেলে দেখতে পাবেন। আপনি এই বাক্সে ২১০১১ লিখলে গুরুর কল বুঝে নেবে এটা ঐ ধারাবাহিকের অংশ, আর সেই মত জুড়ে দেবে।
এখন যেমন ধারাবাহিকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এই পর্ব, প্রথম লাইনের ওপরে যে ১ ২ ৩ ৪ আছে, ওখান থেকে প্রথম পর্বে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন।
আর,
ধারাবাহিক: এপিসোডের লিংক বিবরণঃ এটা সহজ। এই পর্ব ৫ নং, এই বাক্সে যাবে ৫। আগামী পর্বে ৬।
হুতো ও ??
বুঝতে পেরেছি আমি ভাল করে ছড়িয়েছি। অন্য ধারাবাহিকের টপিক নাম্বার এলসিএম বলে দেওয়ায় চালিয়ে যাচ্ছি। এটার সময় আমি গাইডলাইন ফলো করেও টপিক নম্বরটা বের করতে পারিনি।
মনে হয় এবার ঠিক করে নেব।
হুতো ও ??
বুঝতে পেরেছি আমি ভাল করে ছড়িয়েছি। অন্য ধারাবাহিকের টপিক নাম্বার এলসিএম বলে দেওয়ায় চালিয়ে যাচ্ছি। এটার সময় আমি গাইডলাইন ফলো করেও টপিক নম্বরটা বের করতে পারিনি।
মনে হয় এবার ঠিক করে নেব।