রঞ্জন দার প্রতিটা পর্ব তো ভালো হচ্ছেই। এটা পড়ে রঞ্জনদার মায়ের জন্যেও শ্রদ্ধা রইলো। আমার ছোটবেলায় দু একবার বাড়িতে কনে দেখতে আসার বা যাওয়ার যে অভিজ্ঞতা , তাতে দেখতাম মহিলারাই যেন বেশি করে উৎকট সব প্রশ্ন বা আচরণ করতেন।
অসাধারন মানবিক দলিল। গুন্টার গ্রাসের একটা কথা মনে পড়ে - আমার জন্মভুমি আজ হারিয়ে গেছে । আমার গল্পে যদি তার ছবি সঠিক আঁকতে না পারি কল্পনার ভেলকি অন্তত দেখাতে পারি ( নোবেল বক্তৃতা)।
সেটা ডানজিগের কথা। মিলে যায় কলকাতা পুব বাংলার সংগে ।
এই দলিল গুলো রাখা থাক আমাদের বা আরো পরের জেনেরেশনের জন্যে। বিশেষ করে আমরা যারা দেশভাগের অনেক পরে জন্মেছি, সেই ভয়াবহ পিরিয়ড আর স্ট্রাগল-অপমান-বঞ্চনা নিজের চোখে দেখিনি। শুধু দাদু স্থানীয় প্রবীণ কয়েকজনের কাছে গল্প শুনেছি যারা নিজেরা এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাও খুব কম সময়ের জন্যেই। আমার সাত বছরেই দাদু মারা যান। ওই জেনারেশন র বাকী রা তারও আগে। এই লেখাগুলো পড়তে পড়তে সেই ছোটবেলার শোনা কিছু কিছু গল্প যেন ভেসে ফিরে ফিরে আসছে।
কেঠো ইতিহাসের বইতে এই মানুষের গল্প গুলো কেন আরো উঠে আসেনা ? হয়তো আরো বেশি লোক ইতিহাসচর্চা করতো তাহলে।
ঠিক তাই! কেঠো ইতিহাস এই গল্প বলে না। ৭৫ বছর আগে চেক পোল্যানড বাল্টিক থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন প্রায় দু কোটি জার্মান উদ্বাস্তু । তাঁরা এই দলিলটা পরের প্রজন্মকে দিলেন না। দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে তার কোন স্মৃতি নেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তাই গুন্টার গ্রাসের কথা বললাম । রনজন বাবুর কাজ অসাধারন হছছে সকল পরিপ্রক্ষিতে।
কি মায়াময় শৈশব! এই ধারাবাহিক বই হিসাবে প্রকাশের দাবি রাখে।
নিজের ছোট বেলার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ খুব হিংসে হলো। আরো লিখুন