পদবী (জাত পরিচয়) নিয়ে পেছনে লাগা সত্তর আশির দশকেও ছিল। এখনো আছে কিনা জানি না। জাতের নামে বজ্জাতির চর্চা বোধহয় এভাবেই আমাদের মজ্জায় মিশেছিল।
শেষ লাইনটি পড়ে মনে হল , ছেলেরা কি মা-বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে না? সেটা কেমন লাগে?
রঞ্জনদার লেখা গুলি পড়ি কিন্তু কমেন্ট করা হয় না - আসলে এই কোলকাতার জীবন আমাদের বেড়ে ওঠার থেকে এতটাই আলাদা যে কি বলব বুঝতে পারি না - তবে পড়ছি হয় এটা জানিয়ে রাখলাম আর কি
অনিন্দিতা
আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত ভ্যালিড। তবে তফাৎটা দেখুন।
আমাদের সময়ে ছেলেদের শুধু বাবা-মার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে হত, মেয়ের পরিবারকে নয়। কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হত ছেলের গোটা পরিবারের সাথে। তাকে নিজের শেকড় উপড়ে অচেনা অজানা জায়গায় নতুন করে শেকড় ছড়াতে হত। এই যন্ত্রণা ছেলেদের ভুগতে হয় নি। তাই তারা বুঝতে ও পারে না। আমি ওই জায়গাটা ধরতে চেয়েছি।
আজকে ওই সমস্যাটা নেই। কারণ মেয়েটি ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি করে এবং নবদম্পতি আলাদা আস্তানা গড়ে।
আমাদের সময় বাড়ির বৌয়ের চাকরি বা বিয়ে করে আলাদা বাসা করা স্যাক্রিলেজ।
"বাড়ির বৌ" কথাটা দেখুন।
সুকিকে ধন্যবাদ।
এজ উজুয়াল লা জবাব রঞ্জনদা।
সেই বন্ধুর মায়ের বৈধব্য আর সাদা শাড়ী র গল্প পড়ে ছোটবেলায় নিজের দেখা কিছু কিছু তিক্ত স্মৃতি ফিরে এলো। বহু মানুষ যে কতভাবে দুর্বলদের টর্চার করে আনন্দ পায়। স্যাডিজম ছাড়া কিচ্ছু নয়।
অবশ্য এখনই বা কতটা পাল্টেছে আর ? যেটুকু পাল্টেছে , হয়তো তারা আমাদের দেখা শহুরে কয়েকজন মাত্তর। এই তো কালকের কাগজেই এসেছে মন্দিরা বেদী স্বামীর শেষ যাত্রায় সাদা কাপড় না পড়ে জিনস পড়েছেন বলে কিছু জানোয়ার যথরীতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করে যাচ্ছে। এই সময়ে।