এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • হারিয়ে যাওয়া কোলকাতার গল্পঃ পর্ব ৪

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৬ মে ২০২১ | ২৯৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
    (৪)

    - 'দ' য়ের হইল মাথায় ব্যথা।
    দাদু শ্লেটে চক পেনসিল দিয়ে একটা বড় করে 'দ' আঁকলেন।
    -- চন্দ্র আইলেন দেখতে।
    এবার দ'য়ের পাশে একটা চন্দ্রবিন্দু আঁকা হল।
    -- তাইন দিলেন বাইশ টাকা।
    দাদু দয়ের পেটের নীচে বিচ্ছিরি করে ২২ লিখলেন।
    --- এইবার মাথাব্যথা পলাইয়া গেল।
    একটানে উনি দয়ের মাথাও লেজ মিলিয়ে দিলেন।
    --দ্যাখ দাদুভাই, কেমুন পাখি হইছে!
    দাদুভাই শোয়া থেকে উঠে বসে দাদুর হাতের শ্লেটে উঁকি মারে।
    হ্যাঁ, একটা বাচ্চাদের আঁকা পাখির মত দেখা যাচ্ছে বটে! দ' হল পাখির ঠোঁট আর পেট, ২২ হল জোড়া পা আর চন্দ্রবিন্দু পাখির চোখ ।

    জ্বর এখনো সারেনি। একটু আগে ওর মা এসে মাথা ধুইয়ে দিয়েছেন। বালিশের নীচে একটা বড়সড় গামছা ঘাড়ের নীচে গোঁজা যাতে বালিশ না ভিজে যায়। আর তার নীচে একটা লালরঙা রাবার ক্লথ, কিন্তু বাঙালবাড়িতে বলা হয় অয়েল-ক্লথ; কেন? কে জানে। সেই অয়েলক্লথ ওর বালিশ থেকে নেমে গেছে একটি লোহার বালতির ভেতর। পাশে একটা চেয়ারে বসে ওর মা ঘটি দিয়ে বালতি থেকে জল তুলে ঝিরঝির করে ওর মাথায় ঢালছেন আর মাথায় হাত বুলিয়ে জলধারাকে সঠিক দিশায় চালনা করছেন। কপাল ও মাথা ভিজিয়ে সেই জল অয়েলক্লথ বেয়ে বালতিতে ফিরে যাচ্ছে।
    দুই চোখ আরামে বুজে আসে। বারান্দায় রেলিং এ বসে কাক ডাকছে। উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের টানা বারান্দায় কেউ ধাঁই ধপাস করে কাপড় কাচছে আর ওদের লোক্যাল সেট রেডিওতে বিজনবালা ঘোষ দস্তিদার বলে একজন মহিলা ভারী পুরুষালি গলায় খেয়াল গাইছেন।
    এই মাথা ধুইয়ে দেওয়া যেন বন্ধ না হয়, অনন্তকাল ধরে চলে। ক্লাস টু'র দাদুভাই জানে না অনন্তকাল মানে কতকাল। দাদুর মুখে পুরাণের গল্প শোনার সময় অনন্তকাল শব্দটা অনেকবার শুনে ওর মুখস্থ হয়ে গেছে। এটুকু বোধ হয়েছে যে এটার মানে অন্ততঃ কয়েকমাস বা তারও বেশি হবে। কিন্তু কোন ভাল জিনিসই অনন্তকাল চলে না। তাই মাথামুছিয়ে দিয়ে মা নিয়ে এসেছেন একবাটি বার্লি, লেবু দেওয়া।

    এঃ কিছুতেই খাবে না, ওর বমি পায়। আর ও জানে যে বার্লির বাটি খালি হলেই পাশের কালো টেবিলে রাখা একটা কাঁচের শিশি থেকে একদাগ মিক্শ্চার ছোট কাঁচের গ্লাসে করে খেতে ওকে বাধ্য করা হবে।
    অতদিন ধরে মা ওর মাথায় জল ঢালতেই থাকবে? দূর সে আবার হয় নাকি? বাড়ির একমাত্র বৌ ওর মা, ভোর থেকে হেঁসেল সামলায়। রাত্তির এগারটায় ছুটি।
    তো কী হয়েছে? মা না হোক, ঠাকুমা আছে, আছে পিসিমণি। আর বড়পিসিমা। এছাড়া ছুটির দিনে মেজকাকাও তো জল ঢালতে পারেন। এরা সবাই আমাকে ভাল বাসেন।

    আহা! ও যে হিন্দু সংযুক্ত পরিবারের কর্তার বড়ছেলের বড়ছেলে।
    দাদু হুকুম করলেই সবাই মেনে নেবে। ও যে দাদুর আদরে বাঁদর হচ্ছে সেটা ওর কাকারা কেউ কেউ বলা শুরু করেছেন। তাতে ওর বয়েই গেছে।
    ও বায়না ধরে দাদুকে ডাক, উনি বললে তবে খাব।
    দাদু দৌড়ে এসেছেন। ওর কপালে হাত দিয়ে জ্বরের আন্দাজ নিয়ে ওর বিছানায় বসে শ্লেটে পাখি আঁকতে শেখাচ্ছেন।
    --এই বার পথ্য খাইয়া লও সোনাভাই। এক চুমুকে বাটি খালি কর। ওষুধ্ খাও, তারপরে চোখ বুইজ্যা শুইয়া থাক। তাড়াতড়ি সাইরা উঠবা।

    আচ্ছা, ঘটিদের বাড়িতে বড়দা-মেজদা-সেজদা-ছোড়দার মাঝখানে ফুলদা, নতুনদা -- কী সুন্দর সব নাম।
    কিন্তু বাঙালদের সেজদা ও ছোড়দার মাঝে অবধারিত ভাবে একজন ধনদা, ধনদি, সোনাদা, সোনাদি, রাঙাদা-রাঙাদির পর একখানা কুলিদা এসে জুটবে।
    ধনদার কোন ধন নেই; কুলিদা কোন স্টেশনে মাথায় করে মাল বইতে যায় না।
    ওর কাকারা ওকে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করতে শিখিয়েছেন -- 'সেদিন দেখিনু রেলে, কুলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে।'
    হাওড়া স্টেশনে লাল জামা গায়ে হাতে বাঁধা পেতলের চাকতি মাথায় গামছা পাকানো পাগড়ি কুলিদের ও দেখেছে। ওদের মনে হয়েছে অন্যগ্রহের জীব। ওর বড় হয়ে কুলি হতে একটুও ইচ্ছে করে না।
    তবে কেন দাদু ওর মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে নীচুগলায় বলছেন -- আমার সোনাভাই! আমার কুলিভাই! তাড়াতাড়ি সাইর‍্যা উঠ, সুস্থ হও। অনেক কাজ করনের আছে।
    দাদুর গলায় ময়মনসিংহের ঘুমপাড়ানি গানের সুরঃ

    'আয় ঘুম, যায় ঘুম, ঘুমালো গাছের পাতা,
    হেঁসেলঘরে যায় ঘুম মাগুরের মাথা।
    আগদুয়ারে যায় ঘুম কালো কুকুর,
    বিছানাতে যায় ঘুম বাপের ঠাকুর।'
    গানের একঘেয়ে সুরের দোলানিতে ও কখন ঘুমিয়ে পড়ে।

    একটু বড় হবার পর জানতে পেরেছে যে মাগুরের মাথা রান্নাঘরে কখন ঘুমোয়!

    সকাল বেলায় চোখে পড়ে এক ভদ্রলোককে। তিনি বাড়িতে লুঙি আর হাতকাটা গেঞ্জি পরে থাকেন আর স্নান করে খাকি জামাপ্যান্ট ও টুপি মাথায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে যান। তাঁর বুক পকেটের উপর লাগানো থাকে একফালি সাতরঙা রিবন গোছের। ওটাকে নাকি মেডেল বলে; কাশ্মীরে যুদ্ধ করার সময়ে পেয়েছেন। এটা নাকি খুব সম্মানের ব্যাপার। একটু একটু করে মাথায় ঢোকে যে উনি মিলিটারি, যারা যুদ্ধ করে। রোজ উনি একটা দুর্গে যান যার নাম ফোর্ট উইলিয়াম। আর সন্ধ্যের মুখে ফিরে আসেন।

    কিন্তু ভদ্রলোক যে ভারি বদমেজাজি! রাগলে বাড়ি শুদ্ধ সবাই ভয় পায়। উনি এ বাড়ির কর্তার বড় ছেলে। সবার সোনাদা। একদিন ধরাচুড়া পরে সেই ভদ্রলোক রান্নাঘরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মাকে বকুনি দিয়ে চলে গেল। মা চুপ করে রইল।

    আমার বেশ লাগল। তাহলে মাকেও চুপ করিয়ে দেওয়া যায়!

    তখন মাকে বাবার অনুকরণে ‘চউখে পাক দিয়া’ কিছু বললাম।

    মার মুখটা আমসি হয়ে গেল।

    নীচু গলায় বিড় বিড় করছিলেন — তুমার বাবা আমারে বকে, তুমিও তাই?

    আমি চুপচাপ ছাদে গেলাম।

    বারান্দার শেষ কোণায় বাথরুমের পাশে একটা ভাঙা বালতিতে রাজ্যের এঁটোকাঁটা ফেলা হত। সকাল বেলায় মাথায় গামছা বেঁধে গেঞ্জি গায়ে হাতে ঝাঁটা একজন উচ্চরবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে দরজার কড়া নাড়ত। তার নাম জানিনে। সবাই বলত জমাদার। তার কড়া নাড়া শুনলেই সবাই খলবলিয়ে উঠত – জমাদার আইছে, জমাদার আইছে!

    চটপট সরিয়ে দেওয়া হত বাচ্চাদের, নামিয়ে নেওয়া হত দড়ি থেকে সব জামাকাপড়। পাছে ওর ছোঁয়া লেগে যায়!

    ও বুঝত, দু’মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে তারপর বারান্দা সাফ হলে লম্বা লম্বা পা ফেলে এসে বালতি নিয়ে নীচে করপোরেশনের ময়লা ফেলার হাত ঠেলায় আবর্জনা ঢেলে ঝাঁটা ও জল দিয়ে বালতি সাফ করে আগের জায়গায় বসিয়ে দিয়ে যেত।

    বাড়ির সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচত।

    ক’বছর পরে স্কুলের সরকারি পাঠ্যবই ‘কিশলয়’ এ পেলাম কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘কে বলে তোমারে বন্ধু অস্পৃশ্য অশুচি, শুচিতা ফিরিছে সদা তোমারি পিছনে’।

    দাদুকে জিজ্ঞেস করলাম জমাদার ওর দেশে ফিরে গেলে আমাদের বনে যেতে হবে কি না !

    দাদু অবাক। শেষে বই খুলে লাইন ক’টা দেখালাম। বইয়ে ল্যাখছে, মিছা ক্যারে অইব?

    দাদু তাঁর পেয়ারের নাতিকে বললেন যে তার বদহজম হইছে।

    কিন্তু খুব ছোটবেলায় ভাল করে অক্ষর পরিচয়ের আগে থেকেই তো ওকে দেখছি। ওর নাম মুসাফির। বেশ ফর্সা, নাকের নীচে পাতলা গোঁফ, গায়ে হাতকাটা আধময়লা ফতুয়া, পরনে মালকোঁচা মারা ধুতি আর মাথায় গামছাবাঁধা পাগড়ি। সকালবেলা ঘড় ঘড় শব্দে নীচে এসে দাঁড়াত ওর করপোরেশনের হাত ঠেলা। এক এক করে সব ফ্ল্যাটের থেকে ময়লার বালতি এনে ও উপুড় করে দিত ওর হাতঠেলায়। ব্যস, তারপর ওইরকম শব্দ করে চলে যেত ওর গাড়ি।

    একদিন আমাদের বাড়ির কাজের মানুষ রাম’দা আমার ছোটভাইকে কোলে নিয়ে নীচে গেছে, পেছন পেছন এক পা এক পা করে আমি। নীচে এসে থেমেছে মুসাফিরের হাতঠেলা আর তক্ষুণি এসেছে এক খেলনাওলা, তার ঝোলায় রঙিন প্লাস্টিকের বাঁশি ও লালরঙা সেলোফোনে মোড়া ব্যাঙ অথবা কটকটি। কাঠিটি ধরে জোরে ঘোরালেই কটকট শব্দ হয়। রামদা’র কোল থেকে ভাই হাত বাড়াতেই মুসাফির একটা কটকটি কিনে ওর হাতে ধরিয়ে দিল। সেই দেখে আমিও হাত বাড়ালাম। মুসাফির পড়লো ফাঁপরে। একেকটার দাম যে একপয়সা করে। এমন সময় আমার এক কাকা ফিরছিলেন বাজার করে। উনি সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়ের হাত থেকে কটকটি কেড়ে ফেরত করে দিলেন। মুসাফির বারবার বললো যে ও ভালবেসে খোঁখাবাবুকে দিয়েছে।

    ঘরে ফিরে দেখি দমকল ডাকার অবস্থা! আমার ফৌজি বাবা অপমানের জ্বালায় জ্বলছেন। আইজ ভিটামাটি থেইক্যা উচ্ছেদ হইয়া আইছি বইল্যা এই দিন দেখন লাগব! জমাদারে আমার পুলাপানরে খেলনা কিইন্যা দিব?

    কটকটি তিনটুকরো হয়ে সেই ময়লা ফেলার ভাঙা বালতিতে ঠাঁই পেল আর আমাদের দুই ভাইয়ের গালে পড়ল দুটো পেল্লায় চড়!

    মানুষকে ভালবাসা কি এতই সহজ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
  • ধারাবাহিক | ১৬ মে ২০২১ | ২৯৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anindita Roy Saha | ১৭ মে ২০২১ ১৭:৫৪106148
  • নিয়মিত পড়ছি। চেনা ঘটনা ,চেনা ভাষা , চেনা চেনা চরিত্র। 


    বেশ কিছুকালের ব্যবধানে সত্তরের দশকেও আমাদের ছেলেবেলা অনেকটা এমনই ছিল। অয়েল ক্লথ , দাগ কাটা মিক্সচারের শিশি । কিংবা করপোরেশনের রামুদাদা । সেই মানসিকতা , সামাজিক শ্রেণীবিভেদ । আবার যে কোন কিছুতেই সব ফেলে আসার স্পর্শকাতরতা। 


    বাবা মায়ের মুখে শোনা শব্দগুলি ফিরে শুনছি: হাচা-মিছা , তাইন-তাই-হ্যা এইসব। 


    ভীষণ ভাল লাগছে। অপেক্ষা রইল। 

  • যদুবাবু | ২০ মে ২০২১ ০৮:১৯106196
  • সেই সুভাষবাবু লিখেছিলেন না, 'রাস্তার ছোট ছোট গর্তে জমানো ছিলো আমাদের চোখের জল'? সেইরকম কিছু কিছু জমানো অভিমান বোধহয় মৃত্যুতক রয়ে যায়। 

    এই লেখাটার প্রত্যেকটা পর্ব-ই মন দিয়ে পড়ি। সবকটায় মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না। 

  • aranya | 73.197.***.*** | ২০ মে ২০২১ ০৯:৫৮106198
  • খুবই উপভোগ্য।  রঞ্জন দা-র লেখার হাত লা-জবাব 

  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ২৬ জুন ২০২১ ২৩:২০495331
  • একদিকে বাঙালীরা নাকি ছোঁয়াছুঁয়ি র বাছবিচার করে না  ওদিকে  জমাদার নিয়ে হাজার নিয়ম - এই স্মৃতি আমার ও আছে। ওই দিয়েই প্রথম শেখা যে বড় মানেই সব লজিক্যাল নয়। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন