এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্যারানসেবিসের যুদ্ধু

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ এপ্রিল ২০২১ | ২৯৭৪ বার পঠিত
  • অনেকদূরের ইতিহাসের গল্প যেন ঝাপসা পর্দার ওপারের অপসৃয়মাণ ছবির মতন, এই কেউ একটু পর্দাটা তুলে ধরলো আর অমনি হাজার-হাজার ঝালর, চৌকি, পাইক-বরকন্দাজ, রাজারাণীর এক অদ্ভুত জগতের একটা টুকরো ঠিক চোখের সামনে। তখন মনে হবে যেন আসলেতে কিছুই অতীত নয়, সময় যেন বিশাল একটা মানচিত্র, এই মুহূর্তটুকু যেন তাতে একটা নিকোনো ঠাকুরদালান, নাটক হবে বলে সেজেগুজে উঠেছে সকাল থেকে। 


    সেই বিস্তীর্ণ রঙ্গমঞ্চে আজকের নাটকঃ ক্যারেনসেবিসের যুদ্ধ। 


    যুদ্ধের সময় ১৭৮৮ সন, সেপ্টেম্বর ১৭। যুযুধান দুই পক্ষ - একদিকে হ্যাবসবার্গ সাম্রাজ্যের সেনা, আর একদিকে তাদের আবহমান কালের শত্রু - অটোমান তুর্কী।



    'হ্যাবসবার্গ' সাম্রাজ্যের কথা সেই ক্লাস সেভেনের ইতিহাসের বইতে পাওয়া যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে একেবারে এই সেদিনের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অব্দি টিঁকে থাকা সেই রাজবংশ যারা মধ্য-পূর্ব ইউরোপ (ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া) শাসন করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। হ্যাবসবার্গ বংশের ইতিহাস প্রায় সেই সময়ের ইয়ুরোপের ইতিহাস - অস্ট্রিয়া-ই শুধু নয়, হ্যাবসবার্গ বংশের এক কুলতিলক যেমন বসেছেন 'হোলি রোমান এম্পায়ার'-এর সিংহাসনে, আরেক ওইদিকে বহুদূর স্পেনে রাজত্ব করেছেন আরেক হ্যাবসবার্গ নামধারী রাজা। আসলে 'সাম্রাজ্য' বা এম্পায়ার বলতে আমরা যা ভাবি হ্যাবসবার্গ এম্পায়ার ঠিক তাই ছিলো কিনা বলা শক্ত - মধ্য-পূর্ব ইয়ুরোপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো ছোট্ট-ছোট্ট অঙ্গরাজ্য মিলে একটা সাম্রাজ্য - সাদামাটা করে বলতে গেলে আজকের দিনের অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া, এক চিলতে ইতালি, আবার এদিকে চেক রিপাবলিক আর পোল্যান্ডের একটু (বোহেমিয়া, মোরাভিয়া, সাইলেশিয়া), আর একটু 'বৃহত্তর' হাঙ্গেরি - এই নিয়ে হ্যাবসবার্গ সাম্রাজ্যের বিস্তার। 



    কিন্তু সাম্রাজ্যের সীমানা পাল্টাতেই থাকে, কারণ ঠিক ওই এক-ই সময় জুড়ে পাশেই দেদীপ্যমান অটোমান সাম্রাজ্যের সূর্য। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের প্রায় সমস্তটাই যাঁদের ছায়ায় তখন শুধু বিশাল এক সাম্রাজ্য-ই নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞান-কলার উৎকর্ষের অন্যতম কেন্দ্র। এইখানে এসে এইটা না বললে অন্যায় হবে যে অটোমান তুর্কী বললেই মনে যে ছবিটা ভেসে আসে, সেটা যদি অসভ্য, বর্বর শত্রুর হয়, তাহলে শুনুন, সেইটে পাশ্চাত্যের বানানো গল্প - মানুষের লব্ধজ্ঞানের প্রত্যেকটি শাখার দিকে যদি তাকান, দেখবেন তার শিকড় চলে গেছে সেই অটোমান সাম্রাজ্যের গভীরে। 


    তো এই অটোমান আর হ্যাবসবার্গের মধ্যে অশান্তি ঠিক দুই সাম্রাজ্যের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একটি নদীকে নিয়ে - যার নাম দানিয়ুব (ম্যাপে দেখুন)। আর আমাদের গল্পের ঘটনাস্থল ক্যারেনসেবিস নামের একটি ছোট্ট জনপদ, এখন যার ঠিকানা রোমানিয়া। আগেই বললাম হ্যাবসবার্গ সাম্রাজ্য আসলে একটি বিচিত্র মিলিঝুলি সরকার (দুষ্টু লোকে বলবে 'মহাগঠবন্ধন'), কাজেই তাদের সৈন্যদের কেউ অস্ট্রিয়ান, কেউ জর্মন, কেউ ফ্রেঞ্চ, কেউ সার্ব, কেউ ক্রোট তো কেউ পোলিশ - সে যেন টাওয়ার অফ ব্যাবেল-এর গল্প বইয়ের পাতা থেকে সত্যি হয়ে নেমে এসেছে। আর অস্ট্রিয়ার (অর্থাৎ হ্যাবসবার্গের) সিংহাসনের মালিক তখন ভয়ানক অসুস্থ জোসেফ টু, অটোমানদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ যুদ্ধ কিছুটা অন্ততঃ দখল নেওয়া - হ্যাবসবার্গের সৈন্যরা, বলাই বাহুল্য, হুঁশিয়ার। 



    কিন্তু বজ্র আঁটুনি হলেই বুঝি একটু ফস্কা গেরোর ভয় থাকে। যেমনটা হলো এইবেলায়। 


    সতেরোই সেপ্টেম্বর - ক্যারেনসেবিসের সৈন্যশিবিরে রাত নেমেছে, একদল সৈনিক টহলদারিতে বেরোলো সন্ধ্যের মুখে। জনপদের সীমানার বাইরে, দানিয়ুবের অপর পারে, তাদের নজরে এলো একটি ছোট্ট জিপসি ভবঘুরেদের ছাউনি, অল্প নাচগানের আওয়াজ ভেসে আসছে হাওয়ার হাত ধরে। ছাউনিতে সৈন্যদল উঁকি মারতে ভবঘুরের দল একটুখানি শ্ন্যাপ (Schnapp) সাধলো তাদের - সারাদিনে খাটাখাটনির পরে এক পাত্র পানীয় (এবং দুর্গন্ধ তাড়ি নয়, শ্ন্যাপ!), কেই বা মানা করে? অতএব, অচিরেই শুরু হলো আশ্চর্য গ্যালাখ্যালা। 


    কিন্তু বিধি বাম। চলছিলো দিব্যি মোচ্ছব, কোথা থেকে আরেকদল অস্তর-শস্তর-শোভিত ইনফ্যান্ট্রিমেন হাওয়ায়-হাওয়ায় খবর পেয়ে হাজির হলো ছাউনিতে। এমন বসন্ত রাতে, তারাও কি ফিরে যাবে খালি হাতে? এদিকে জগাই-মাধাইমাত্রে জানেন, উদারচরিতানাম হলেই কি আর বসুধৈবকে দেদার হাতে মদের বোতল দেওয়া যায় ? ব্যস, শুরু হলো মারামারি, বাওয়ালি ফুরিয়ে যেতে না যেতেই চলে এলো বন্দুক। দু-এক দফা গোলাগুলিও চালিয়ে দিলো কোনো এক বেহেড সৈনিক। 


    ওদিকে দূরে, হ্যাবসবার্গের সৈন্যছাউনি তখন নিস্তব্ধ, নিরুৎসব ও সতর্ক পাহারায়। তাদের কানে এলো নদীর ওপার থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু গোলাগুলির শব্দ ! সৈন্যছাউনি ধরেই নিলো নিশ্চয়ই তুর্কী সৈন্যদল উপস্থিত। সমাসন্ন যুদ্ধের আশঙ্কায় জনপদ তৈরী হয়ে লাগলো রণসজ্জায়। ক্রন্দনরোল উঠলো ক্যারেনসেবিসের আকাশে ""তুর্কী, তুর্কী!"


    এইদিকে মাতাল সৈনিক-দের মারামারি করে নেশা একটু কেটেছে কি কাটেনি, দূর থেকে সেই চিৎকার শুনে তাদের মনে হলো, হয়তো তুর্কী ব্যাটারা সোজা আক্রমণ করেছে শহরে, আর সাহায্যের চিৎকার করছে তাদের সঙ্গীরা। ছুট লাগালো তারা জনপদের দিকে। 


    দৃশ্যটা কল্পনা করুন -  গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে অদূরেই, সন্ধ্যের ঘনিয়ে আসা আঁধারে নদীর দিক থেকে জনপদের দিকে ছুটে আসছে একদল লোক, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে - তাহলে এরাই নিশ্চয়ই তুর্কী? ক্যারেনসেবিসের ছাউনি থেকে শুরু হলো গোলাবর্ষণ, মুহুর্মুহু গুলি। 


    মাতাল সৈন্যদেরও মনে হলো নিজেদের সেনাছাউনি থেকেই নিজেদের উপর গুলি কি কেউ চালায়? অস্যার্থ তুর্কীরা শহর দখল করেই ফেললে বোধহয়, কাজেই পালটা গুলি চালানোই একমাত্র উচিত কাজ। শুরু হয়ে গেলো দুপক্ষের (নাকি একপক্ষের?) ভয়ানক গুলির যুদ্ধ। 


    একটু তাও আশার আলো ছিলো। একজন জর্মন সেনাপতি বোধহয় ওই সুধায় বঞ্চিত ছিলেন, যেমন সব মাতালের দলেই একজন ম্যানমার্কার থাকে বা ডেসিগনেটেড ডেরাইভার। তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন 'হল্ট!' (হ্যাঁ এটি জর্মন শব্দ)! সেই চিৎকার পৌঁছেও গেলো বাকিদের কানে। কিন্তু হায় ব্যাবেলের টাওয়ার, সৈন্যদের অনেকেই জর্মন একবিন্দু বুঝতেন না, দূরের অস্পষ্ট  'হল্ট' তাদের মনে হলো যেন তুর্কীদের ব্যাটল-ক্রাই, অর্থাৎ ঈশ্বরের ন-লক্ষ কোটি নামের সেই একটি নাম - দ্য ওয়ান, আল্লাহ। ছাউনি নিশ্চিত হলো, এঁরা তুর্কী শত্রু না হয়েই যায় না। 


    যুদ্ধ কতোক্ষণ চলেছিলো, কতজন বেচারী সেই রাত্রেই মারা গেছিলেন তার সঠিক হিসেব কেউ রাখেনি, কেউ কেউ বলে প্রায় দশ হাজার - কেউ বারোশো, কিন্তু ব্যাটল অফ ক্যারেনসেবিসের রাত্রি যেন ইতিহাসের একটি মৌষল-পর্ব, সামান্য একটি ফুলকি থেকে শুরু করে অস্ট্রিয়ান সৈন্য যেন যদুবংশের মতন নিজেরাই শেষ করে ফেললো নিজেদের। 


    অটোমান তুর্কীরা সেই রাত্রে বহুদূরে কোথাও। দিন দুয়েক পরে তারা যখন এসে পৌঁছলেন ক্যারেন্সেবিসের দরজায় - হ্যাবসবার্গের সৈন্য তখন বিশেষ কেউ বাকি নেই।


    আর সেই যে অসুস্থ সম্রাট দ্বিতীয় জোসেফ? পালাতে গিয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যান একটি ছোট্ট নালায়। সে যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পেলেও, এর ঠিক দুই বছরের মাথায়, ২০শে ফেব্রুয়ারী, ১৭৯০ তিক্ত, ভগ্নস্বাস্থ্য, পরাভূত সম্রাট মারা যান নিতান্ত নিঃসঙ্গ অবস্থায়, একা। 


    এককালের পরাক্রান্ত হোলি রোমান এম্পারার জোসেফ টু-র শেষ ইচ্ছে কি ছিলো জানেন? উনি চেয়েছিলেন এপিটাফে লেখা থাকুক, "Here lies Joseph II, who failed in all he undertook"। 


    মোৎসার্ট-এর পৃষ্ঠপোষক, মারি আঁতোয়ানেতের ভাই এই সম্রাটের জীবনের গল্প কোনো গ্রীক ট্রাজেডির চেয়ে কম নয়, তবে সে তোলা থাক আরেকদিনের জন্য? 


    ***


    ইতিহাসে ব্যাটল অফ ক্যারেনসেবিসের কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে এর প্রায় চল্লিশ বছরের-ও বেশী পরে। আসলে এইসব লজ্জার ইতিহাস কেই বা মিলিটারি জর্নলে লেখে? যেখানে শৌর্য্য ছাড়া আর সবকিছুই অনপনেয় কলঙ্ক? 


    শুরুতেই বললাম না, ইতিহাস আসলে অতীত নয়, মৃত-ও নয়, যা ঘটে গেছে বলে মনে হয়, আসলে তা-ই ঘটমান, সামান্য পোষাক-আশাক পালটে সেই এক-ই পালা হয়ে চলেছে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে। ভালো করে দেখুন হ্যাবসবার্গ-এর মাতাল সেনা, অটোমান তুর্কীর জুজু - সব-ই দেখতে পাবেন আপনার চারপাশে। আর পরিণতি কি সে তো বলেই দিলাম একটু আগে। মৌষলপর্ব-টা বরং আরেকবার পড়ে নিন। 


    আন্দ্রেই তারকোস্কির একটা বিখ্যাত কথাই একটু প্যারাফ্রেজ করে বলি, "It is obvious that history cannot teach anyone anything, since in four thousand years humanity has learned nothing at all.” 


    --------


    পুনশ্চঃ  যুদ্ধের দিনটা খেয়াল করেছেন তো সুধী পাঠক? সতেরোই সেপ্টেম্বর মানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন। সন্ধ্যেবেলায় কারখানার বন্ধুদের সাথে এক-ই জিনিষ চারখানা করে দেখার দিন, ছাদে উঠে পাশের বাড়ির ছাদের দিকে তাকিয়ে ভোঁ-কাট্টা হওয়ার দিন। তা ভোঁ-কাট্টা হোন ক্ষতি নেই, খালি কেউ কারণসুধা দিতে না চাইলে গুলিটুলি চালাবেন না, ব্যাস ! 


    ******************************************************************


    সূত্রঃ 


    ১) How Chance and Stupidity Have Changed History: The Hinge Factor - By Erik Durschmied


    ২) https://ro.wikipedia.org/wiki/Caransebe%C8%99


    ৩) https://www.visitingvienna.com/.../habsburg-monarchy.../


    ৪) সঙ্গের ছবিগুলি Battle of Karansebes সংক্রান্ত বিভিন্ন পেজ থেকে নেওয়া, মূল উৎস উইকিমিডিয়া কমন্স। একটি ব্রিটিশ লাইব্রেরীর।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ এপ্রিল ২০২১ | ২৯৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১০:২৩104865
  • অসাম!


    মনে পড়ল ডোভার বীচ কবিতার শেষ পংক্তিটি: Ignorant armies clash by night.

  • যদুবাবু | ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৪৬104888
  • খুব সুন্দর কবিতাটা। আমার প্রিয় ওয়র পোয়েট্রি-র একটা হচ্ছে ভিটাই লাম্পাদা (ট্রান্সলিটারেশনে ভুল হলো)। এখানে একেবারে প্রাসঙ্গিক না হলেও সেইটা মনে পড়লো। 

    The sand of the desert is sodden red, --
    Red with the wreck of a square that broke; --
    The Gatling's jammed and the Colonel dead,
    And the regiment blind with dust and smoke.
    The river of death has brimmed his banks,
    And England's far, and Honour a name,
    But the voice of a schoolboy rallies the ranks:
    'Play up! play up! and play the game!'  

  • শঙ্খ | 103.217.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৩০104896
  • দারুণ !!

  • যদুবাবু | ১৯ এপ্রিল ২০২১ ০৩:১৫104909
  • ধন্যবাদ শঙ্খ-বাবু ! 

  • রঞ্জন | 2405:201:4011:c04e:19e4:a3b5:aa1e:***:*** | ২০ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৪২104952
  • এক্ষুণি দেখলাম। চমৎকার।

  • যদুবাবু | ২০ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৫২104959
  • ধন্যবাদ রঞ্জন ! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন