ছোটবেলায় পুজোর পরে ভাসানের নাচ বা বিশ্বকর্মা পুজোর পরে পাড়ার মোড়ে মাইক বসিয়ে ডিস্কো-নাচ যারা দেখেছেন বা নেচেছেন, তাদের জন্য সুখবর। আপনাদের প্রত্যেকের নৃত্যশৈলী গোটা আম্বানি পরিবারের থেকে বেশি। বেশি মানে বেশ অনেকটাই বেশি। ভিডিও-ক্লিপ যা দেখলাম সে কি আশ্চর্য গ্যালাখ্যালা, সে কি খিল্লি। একে তো হিন্দি সিনেমার একেবারে ওঁছাস্য ওঁছা কিছু গান বাজছে নেপথ্যে, আর তার সেইরকম-ই জবড়জং স্টেজ, ওর থেকে এই আমাদের সুরুচি সংঘ ফি বছর অনেক সুন্দর স্টেজ নামাচ্ছে হেসেখেলে। তারপর যা দেখা গেলো, সে মানে চোখে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুলেও ভোলা যাবে না, একপাল কচি আম্বানি কিলবিল করে দরজা খুলে বেরিয়ে এসে সে কেমন যেন “হাত ঘোরালে নাড়ু দেবো” ভঙ্গিমায় হাত পা ঘোরাতে লাগলেন। তারপর মঞ্চে এলেন নীতা-কাকিমা, সে যেন বটক্স আর টক্সিক কেমিক্যালের এক আশ্চর্য প্রতিমা, শেষে হেথায় দাঁড়ায়ে দু-হাত বাড়ায়ে স্টেজে প্রবেশ বড়ো আম্বানির। তার পর যা হ’ল, তাতে ক্লাস সেভেনের পিটি ক্লাসের কথা মনে পড়তে বাধ্য। শিক্ষক হয়তো অদূরে বা অলক্ষ্যে দাঁড়ায়ে ঘুর্ঘুরাসন দেখিয়ে দিয়েছেন আর এক পাল অপদার্থ ছাত্রছাত্রী সেই দেখেও কিছুই না বুঝে ‘যেমন খুশি নাচো’ পোজে স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ় করে যাচ্ছেন। এই যদি এদের লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা নাচ হয়, তাহলে আর কিচ্ছু বলার নেই। (আর, গোটা জিনিষটাই এমন-ই ‘ক্লাসলেস’, যে একে মার্ক্সিস্ট ইউটোপিয়া বললেও কিছু বাড়াবাড়ি হয় না।)
কিন্তু এহ বাহ্য। নিজেদের নেচেই শান্তি নেই। একে একে যতেক সেলিব্রিটি সবাইকে ধরে এনেছেন ও আনছেন। দেশের খানদানি তারকারা সবাই নেচেগেয়ে ফাটিয়ে দিয়েছেন, তারপর বরকর্তার হয়ে পরিবেশন-ও করেছেন। সে দৃশ্য দেখেও আরাম। তবে, শুধু দেশী ভৃত্যে বা নৃত্যে চিত্ত তো ভরে না, তাই ইতোমধ্যে নেচে গ্যাছেন রিহানা। সেই রিহানা যিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে ট্যুইট করার পর ভারতীয় ক্রিকেটার ও অন্যান্য সেলিব্রিটিরা একযোগে ‘এই তুই কে রে ব্যাটা বহিরাগত?’ বলে মহা ঠোঁট ফুলিয়েছিলেন। সে অন্যায় নয়, নিজের পুচ্ছে প্যান্ট নেই, সে কথা বলার অধিকার লোকের কেন-ই বা থাকবে? তবে সেই টুইটকুমার ও কুমারীগণ আর রিহানা এক-ই মাচায় নেচেগেয়ে, এক-ই ক্যাটারারের মেনু সাঁটিয়ে দাদাঠাকুরের সেই অম্লান উক্তিটি আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন, “দুনিয়াটা কার বশ? দুনিয়া টাকার বশ”। এইবারে আবার এনেছেন কানাডার বিখ্যাত কুমার, না অক্ষয় নন, জাস্টিন বিবার। বিবারের দক্ষিণা শুনলাম ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার – প্রায় ৮৩.৫ কোটি টাকা। তাও কম-ই মনে হোলো, বেচারি গেঞ্জি আর জাঙ্গু পরে নাচলেন। পাশেই এল-এম-এল ভেস্পার সিটের মত একটা বেশ ক্যাটকেটে লাল চামড়ার দামড়া জ্যাকেট পরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অনন্ত, কিন্তু হায় শিল্পীর বেদনা কে আর বোঝে?
তবে, না, পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না, আর শারুক্ষান-ও স্টেজে ওঠে না। এই অলীক কুনাট্যরঙ্গের বাছাই-বাছাই ক্লিপস ঘন্টায় ঘন্টায় কভার করছে সব বড় বড় প্রেসের চ্যানেল, মায় পিটিআই। সোশ্যাল মিডিয়াও তদ্রূপ। সে যেন গোটা দেশের বাবার বিয়ে লেগেছে। সবাই অশ্রুথরোথরো আহা ঐ দ্যাখো সতী-লক্ষ্মী মা-ঠাকরুন রথে যেতে যেতে হাত নাড়ালেন। দ্যাখো সে যেন রূপকথা থেকে সাক্ষাৎ নেমে আসা এক পরিবার। এ দৃশ্যের কোথাও কোনো মালিন্য নেই। যেমন প্লাস্টিকের ফুলে থাকে না কোনো পোকা। আর কে না জানে সমাজ-মাধ্যমে একটু সুবাস না ছড়ালে আপনার আসলে অস্তিত্বই নেই? দেকার্ত আজ বেঁচে থাকলে নির্ঘাত বলতেন, ‘I post, therefore I exist!’
আপনি ভাববেন, আমজনতার কি এইসব দেখে রাগ হয়? হিংসে হয়? ছিনিয়ে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করে? নাঃ। হয় না। কিস্যু হয় না। যারা বলে হয় তারা আঁতেল না হয় হাপ্প্যান্ট। শুনুন, হিংসে হয় সমানে-সমানে, বা সামান্য একটু উপরের লোকের উপর, তাকে একটু টেনে নামালে তৃপ্তির ঢেঁকুর ওঠে। আম্বানি কি আদানি সেই সব সীমার বহু বহু উর্ধ্বে। এদের জন্য হিংসে তো দূরস্থান, মানুষের মনে যা থাকে তার নাম একপ্রকার ভালোবাসা-ই। অ্যাডাম স্মিথ একে বলেছিলেন, “পিকিউলিয়ার সিম্প্যাথি” – অদ্ভুত সমবেদনা। আম্বানি-আদানির উচ্চাশা ও লোভ – কী করে যেন পরিণত হয়ে যায় আবাল জনতার উচ্চাশায়। আমাদের দেশ বিশ্বের ধনীতম হওয়ার ধারেকাছেও নেই তো কি আছে, আরে বাবা ধনীতম ব্যক্তিটি তো আমার-ই দেশের। তাই আমরা গৌরবে বহুবচ্চন। আর আহা, এই এতো বড়ো বড়ো বিষ বিলিওয়নেয়ার বড়োলোক, ওরাই যদি এমন বৎসরব্যাপী মোচ্ছব না করে তো করবেটা কে? ও পাড়ার পিন্টুদা? অবশ্য পাড়ার পিন্টুদার-ও বিয়েতে সামান্য ভূমিকা আছে। পিন্টুদা জানেন, ঠিক বিয়ের মরশুম দেখেই জিও-র রিচার্জ বেড়ে গেছে টুক করে, তার দেখাদেখি অন্য দুই নেটওয়ার্কেও। এদিকে মোবাইল না রাখলে গরিবতম মানুষটাও রেশন পাবে না, হাসপাতাল যেতে পারবে না, সরকারি কোনো সুবিধাই পাবে না, তার জীবন একেবারে দুম করে আটকে যাবে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার বিচিত্র সব অ্যাপ-নামক মাকড়সার জালে। পিন্টুদা সব জানেন। তবে, সবাই মিলে নেত্য করে সরকারি বিএসএনএল-কে খাটে তুলে দেওয়ার সময় পিন্টুদাও হয়তো ভেবেছিলেন ও সরকারের সদিচ্ছার ব্যাপারে পাঁচজনের সাথে ঐকমত্য হয়েছিলেন, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলেন, “বাসারকারি হালা পারিসাবা ভালা হাবা”। বাসারকারি তো হয়ে গেছে। ফোন গেছে, এবার ট্রেন। “হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেলফ, ফার্স্ট অ্যাজ় ট্রাজেডি, সেকেণ্ড অ্যাজ় ফার্স”।
যা হোক, এই বিনাকা নৃত্যগীতমালার থেকেও কিছু যেন বেশি অশ্লীল ঐ লক্ষকোটি টাকার ঘি পোড়ানো প্রদীপের ঠিক নিচেই যে জমাটবাধা অন্ধকার সেইটি। ওদিকে ২০২৪-এর প্রথম ছয় মাসে মহারাষ্ট্রেই আত্মহত্যা করেছেন ৫৫৭ জন কৃষক, যার মধ্যে শুধু অমরাবতী গ্রামেই ১৭০। সেই খবর চাপা পড়ে যায় এই মোচ্ছবের খবরে যে রাজধানী মুম্বাইতে তিনদিনের অলিখিত ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে, এই মোচ্ছবের জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ থাকবে বলে, তাও আবার ‘পাবলিক ইভেন্ট’ বলে, যাতে কি না পাবলিকের আদৌ প্রবেশাধিকার নেই! জনৈক মুম্বাইকার তাতে অবশ্য কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলেছেন, 'এতে আশ্চয্যির কিছু নেই, ওটা সত্যিই ওর বাপের রাস্তা।' এ তো তাও বড়লোকের মাহফিল, কদিন আগেই তাড়ু খেলায় বিশ্বকাপ জিতেছে বলে এক এক জন ক্রিকেটার পেয়েছেন ১১ কোটি। সেই দেবতাদের দেখতেও ভিড় উপচে পড়েছিল মেরিন ড্রাইভে। এই রাজ্যের-ই সেই সব নিস্তেল অন্ধকার গ্রামের লোকের কাছে বিয়ের দাওয়াত বা খেলার খবর গেছে কি না এই প্রতিবেদকের জানা নেই।
অন্ধকার শুধু মহারাষ্ট্রেই নয়। গোটা দেশেই। সম্প্রতি, “ক্যাপিটাল”-খ্যাত থমাস পিকেটি ও তার সহকর্মীরা একটি বিস্তৃত গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে এই মূহুর্তে দেশের এই “বিলিওনেয়ার রাজের” অর্থনৈতিক অসাম্য আমাদের ঔপনিবেশিক জমানার ব্রিটিশ রাজের সময়ের চেয়েও বেশি। তথ্য বলছে, দেশের সবথেকে ধনী ১% মানুষের হাতে যত শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে, তা এর চাইতে বেশি আগে কোনোদিন-ই হয়নি। এবং এই ক্রমবর্ধমান অসাম্যের দায় প্রায় সমস্ত শাসকের-ই। পিকেটিরা দেখাচ্ছেন, স্বাধীনতার পরে অল্পদিনের জন্য অসাম্য একটু কমতির দিকে গেলেও, ৮০-র দশক থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে বাড়তে ২০০০-এর পর থেকে সে গ্রাফ লাগামছাড়া হতে হতে, ২০১৪-১৫ আর ২২-২৩-য় এসে একেবারে আকাশছোয়াঁ বেগে উপরের দিকে উঠে গেছে। এর উপায়-ও বাতলেছেন, ওরাই। সরল করে বললে, যাদের নেট ওয়েলথ (গড় সম্পত্তি) ১০ কোটির বেশি তাদের ২% বার্ষিক কর, আর যেসব এস্টেটের মূল্যায়ন ঐ ১০ কোটির বেশি তাদের ৩৩% বার্ষিক কর চাপালে তাতে গোটা দেশের জিডিপি এক লাফে বেড়ে যাবে প্রায় ২.৭%, আর সামান্য টাকা খোয়াবেন সামান্য ০.০৪% অতি-ধনী মানুষ, এই আম্বানিদের মতন কিছু লোক। আর সুফল কত সেও আন্দাজ পাওয়া শক্ত না, এক লপ্তে আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দুইগুণ হয়ে যাবে আগের। পরের প্রজন্মের অশিক্ষার অভিশাপ অনেকটা লাঘব হবে। যেখানে এই মূহুর্তে আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২.৯%, আর লক্ষ ৬%। কিন্তু, এইসব-ই চাপা পড়ে যাবে বিয়েবাড়ি ও ক্রিকেটের খবরে। আমার দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা জিওর নেটওয়ার্কে এইসব চকচকে রাঙতায় মোড়া রিয়েলিটির ছবির দিকে তাকিয়ে মনে মনে কিছু একটা ভেবে নেবে, কারণ ঐসব দেবভোগ তাদের আর কোনোদিন-ই অধিগত হবে না।
হ্যাঁ, জানি “ব্যক্তিগত সম্পত্তি”। আম্বানির টাকা আম্বানি ওড়াচ্ছে, তাতে কার বাপের কী? তাও, এক এক করে শুনুন, আউটলুক আর টাইমস অফ ইণ্ডিয়ার মতে ছোটো আম্বানির বিয়েতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০০ কোটি। সেই টাকায় কী কী হতে পারতো আপনি আন্দাজ করতেই পারবেন, তাও বলি। একটা ১০০-শয্যার হাস্পাতাল বানাতে খরচ হয় ১০০ কোটি, অর্থাৎ বিয়ের টাকায় হতে পারতো ৫০টা হাসপাতাল। একটা পানীয় জলের প্ল্যান্ট বানাতে খরচ হয় গড়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা, এই বিয়ের খরচায় হতে পারতো ২০ হাজারটা ঐরকম জলের প্ল্যান্ট। একটি শিশুকে টিকা দিতে যদি খরচ হয় হাজার দেড়েক টাকা, তবে ৩ কোটির বেশি শিশুর টিকাকরণে খরচ উঠে আসতো এই একটা বিয়ের টাকায়। এসব পাটিগণিত করেও অবশ্য লাভ নেই, কারণ ঐ, কার বাপের কী?
তবে, এই যে বিপুল বৈভবের উলঙ্গ প্রদর্শনী – এর মধ্যে কিছু বার্তা কিন্তু দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এক, পুঁজিই ক্ষমতার উৎস, এ কথা আজও সত্যি আগের মতই, তবে আগেকার মত সেই ক্ষমতার রাশ যাদের হাতে তারা কেউ আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়েন না, বরং প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন যে রাজদণ্ড ও মানদণ্ড দুইই তাদের হাতে। দুই, বিয়ের প্রদর্শনী-ই আসলে আম্বানি সাম্রাজ্যের বায়োডেটা ও শোকেস, নিশ্চিত বার্তা যে তুমি যাই পরিষেবা চাও, এদের থেকে ভালো ডেলিভারি কে দেবে, অ্যাঁ? আর হ্যাঁ সুপ্ত একটু হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান বার্তাও কি নেই? আলবাৎ আছে। না থাকলে ঐ জোড়া বাঁপায়ের নাচের নেপথ্যে বলিউডি নয়, কিছু গুজরাতি গান চলতো, আর আমাদের প্রিয় বিপ্লবী শারুক্ষান স্টেজে উঠে বলতেন না, “...and for very good measure, 'Jai Shri Ram'.”
আর তিন? তিনটা আপনি অলরেডি ধরে ফেলেছেন। আম্বানি বুঝিয়ে দিয়েছেন সর্বময় প্রভু অর্থাৎ ‘বিগ বস’ উনি নিজেই। সে আপনি যত বড়োই নেতা হোন আর ডালপালা মেলুন, আম্বানি চাইলেই কুচ করে কেটে বনসাই টবে ফিট করে দেবে আপনাকে। সে আপনি যতই অযোনিসম্ভূত হোন আর সততার প্রতীক, সেই বিশাল পুঁজিদেবতার থানে দুটো ফুলবেলপাতা চড়াতে হবে আপনাকেও।
তবে এও ঠিক যে এই হরেক মাল দুটাকার বাজারের এই সাংঘাতিক পারভার্স আনন্দ-ই যদি গণতান্ত্রিক না হয়, তাহলে আর হালার কিসের গণতন্ত্র?
সূত্রঃ- “India tycoon Ambani’s son sets off in grand wedding procession”, Zoya Mateen & Meryl Sebastian, BBC News. https://www.bbc.com/news/articles/cq5x22w0xl0o
- https://www.deccanherald.com/india/maharashtra/557-farmers-ended-lives-in-6-months-this-year-in-maharashtras-amravati-division-govt-report-3099922
- https://www.telegraphindia.com/india/before-anant-ambani-radhika-merchant-wedding-mumbai-traffic-cops-post-on-public-event-sparks-online-trolling/cid/2033046
- Justin Bieber performs at India's mega wedding, Flora Drury, BBC News https://www.bbc.com/news/articles/cd1de8gzevpo
- https://www.hindustantimes.com/entertainment/music/justin-biebers-fans-fume-over-his-paycheck-for-indian-wedding-hosted-by-ambani-amid-opulence-criticism-101720674678173.html
- Income and Wealth Inequality in India, 1922-2023: The rise of the Billionaire Raj, Nitin Kumar Bharti, Lucas Chancel, Thomas Piketty, Anmol Somanchi https://shs.hal.science/halshs-04563836/document
- https://economictimes.indiatimes.com/news/india/india-should-impose-tax-on-ultra-wealthy-to-tackle-wealth-inequality-says-study/articleshow/110395141.cms?from=mdr
- https://indianexpress.com/article/trending/trending-in-india/anant-ambani-radhika-merchant-wedding-mumbai-traffic-police-restrictions-viral-9438170/
- https://www.hindustantimes.com/trending/mumbai-bkc-companies-ask-employees-to-work-from-home-wfh-due-to-anant-ambani-wedding-traffic-curbs-101720754145860.html
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।