কথাকাররা নিজেদের চেয়ারে বসার পর তিয়াসা চোখ নামিয়ে সামনে রাখা খালি কাপটার দিকে তাকিয়ে রইলো৷ তাকিয়ে রইলো নিষ্পলক দূর দৃষ্টির গভীরে, যা অন্যেরা কিছুই বুঝবে না৷ সে কী অপেক্ষা করবে অন্য কেউ বাকি অংশে কী ঘটেছে, সেই ফাঁসুড়ে স্টেশন থেকে বেড়িয়ে কোথায় গেল জানার জন্য? কে আসবে এবার বাকি অংশ বলতে?
চারদিকে চোখ বোলালো সে। একমাত্র বাকি রয়েছে ক্যাশে বসা মানুষটিই। সে এতক্ষণ নিজের চেয়ারে বসে পর্যবেক্ষণ করছিল প্রতিটি পর্ব থেকে পর্বান্তর। তার ইশারাতেই এতক্ষণ ধরে যারা কথক ছিল, তারা এসে বলে যাচ্ছিল নিজেদের অংশ।
এবার তাহলে উপসংহার টানতে কি সে নিজেই আসবে?
আর কী কী বলতে পারে এই গল্প নিয়ে এমন প্রশ্নও তিয়াসার মাথায় ঘুরতে লাগল। শেষ কথক কেবল ফাঁসুড়ের কথা বলে শেষ করেছে। বাকিরা কোথায় গেল? ট্রেন থেকে কেন তাদের হদিস পাওয়া গেল না? দুজন যাত্রী কি অন্ধকারে একসঙ্গে নেমে গেছিল? যদি নেমেই গেল তবে কতদূর গেল? তাদের পরিণতি কী?
এরকম অজস্র প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরতে লাগল।
কথকের বক্তব্য অনুযায়ী প্রফেশরের স্ত্রী আর বুড়ো জেল ফেরত আসামী যিনি পরে কবরের পাহারাদার তারা এক ট্রেনে উঠেছিল। কিন্তু সেই নার্স বাসনা? যাদুকর? তাদের সম্পর্কে আর কিছু জানা গেল না। কী হল তাদের? তারা কি নতুন করে কিছু শুরু করল নাকি এত বড় জগতে তারা হারিয়ে গেল জনস্রোতে!
আচ্ছা এ গল্প কী হারিয়ে যাওয়ার গল্প! প্রতিটি মানুষের মধ্যে আরেকটা মানুষ বাস করে, যা নিজেরও অজানা। সময়ের সঙ্গে সেই অজানা রূপটা বেরিয়ে আসে।
সেই মানুষটা তখন প্রতিদিনের নিয়ম বাঁধা জীবন থেকে সরে এসে লুকিয়ে থাকা অপর সত্তাকে ভোগ করে।
এসব ভাবতে ভাবতেই সে আবার তাকালো ক্যাশিয়ারের দিকে। সেও তার দিকে তাকিয়ে। অথচ নিজের জায়গাতেই এখনো বসে। সামনের চা শেষ। তবে কী এবার পেমেন্ট করে তার ওঠার সময় হয়ে এসেছে?কিন্তু কত পে করতে হবে,তার বিল তো কেউ দিয়ে গেল না! সে কি নিজেই উঠে যাবে ক্যাশিয়ারের দিকে নাকি ডাকবে ওয়েটারকে?
সে পুরো ঘরটার দিকে তাকালো। সকলেই যেন তাকে দেখছে। ইশারায় বলছে বসো যতক্ষণ ইচ্ছে। সে উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল নিজের চেয়ারে।
বাকিটা কি সে একাই লিখবে নিজের মতো করে?
তার মনে হল এই গল্প যেন তার নিজের জীবনে খুঁজে বেড়ানো একাকীত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির গল্প। এভাবেই সে হারিয়ে যেতে চেয়েছে নানা চরিত্র হয়ে বারবার। অথচ চেনা পাকদণ্ডীর মধ্যেই ঘুরপাক খেয়ে চলেছে এতগুলো বছর ধরে। তার জীবনেও তো আসতে পারত সেই জাদুকর যে তাকে সোনার কাঠি বুলিয়ে ঘুচিয়ে দিত সব বিষাদ।
সে হতে পারত সেই স্ট্যান্টওম্যান, অনেক উঁচু থেকে ঝাঁপ দিয়ে যখন সে নেমে আসত তার নখের ডগা থেকে ঝরে পড়ত কেবল সুখ। কিংবা যাবতীয় যন্ত্রণা ছিনিয়ে নিতে পারত প্রাচীন মন্দিরের সেই লিপি। কেন তার হাতে এসে পড়ল না বৃদ্ধের পাঠ করা সেই গোপন বই যাতে কসমিক রে-র উৎস নিয়ে সবিস্তারে লেখা আছে!
সে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চারদিক তাকাল। এই গল্প কি নেহাৎ ভালবাসার গল্প? এর সাথে কেন এত আত্মিক টান অনুভব করছি আমি? এরা কি বুঝতে পারছে আমি কেবল ভালবাসার সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছি এখানে সেখানে? আজও পালাতে চাইছি, কারণ এই শহরটায় অরণী নেই। অরণী এখন সাত সমুদ্র পার করে অন্য দেশে। অথচ ক’দিন আগেও আমার শূন্য বুকে কেবল ওর গর্জন, ঘনঘটা ছিল।
এমনই এক দিনে ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল। নিজের মনেই বিড়বিড় করল তিয়াসা।
সেদিনও আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন ছিল। বৃষ্টি নেমেছিল দুপুর থেকেই। অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য ভিজতে ভিজতে ট্যাক্সি খুঁজছিল তিয়াসা। অরণীও তাই। বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ছোটাছুটির পর একটা ট্যাক্সি পাওয়া মাত্রই দু’জনেই সেটায় উঠতে চাইল।
অরণীই প্রথম কথা বলল, কোন দিকে যাবেন?
এম জি রোড
আমিও তাই। চলুন একসাথে যাওয়া যাক।
অগত্যা।
সেই শুরু। তারপর একসাথে কত পথ চলা। কত স্বপ্ন দেখা। এই শহরের নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার এক সাথে। নিজেকে চিনতে, বাইরের কঠিন পৃথিবীর সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছিল সে।
সে ঘরের চারদিকে তাকালো। সব কটা চোখ যেন তাকেই দেখছিল। তার মনে হল এই চোখগুলো আসলে একটাই চোখ। সেটা অরণীর। সেদিকে তাকিয়ে তিয়াসা প্রশ্ন করল,
কী দেখছিলে?
আকাশে পলকা রোদ, তাই দেখি, বসে বসে ভাবি এই ঢের ভাল।
বল না কী দেখছিলে?
তোমার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম
কী ভাবছিলে?
প্রথম দিনের কথা। বৃষ্টি ভেজা একটা মেয়েকে দেখে মনে হয়েছিল আমার বহু পরিচিত। যেন তোমাকে অনেক অনেক বছর ধরে চিনি, জানি।
তারপর আমরা হারিয়ে গেছিলাম, তাই তো? তিয়াসা হেসে বলল।
কী করে জানলে?
যে কোনও পুরোনো সিনেমার মনোযোগী দর্শক মাত্রই এই কথাগুলো বলতে পারবে।
না গো সত্যি। তোমায় দেখার পর আমার মনে হয়েছিল আমি শুধু এতগুলো বছর ধরে তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আর এখন তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না। তুমি আমার শরীরের অংশ হয়ে গেছ।
তিয়াসা অরণীকে জিজ্ঞেস করল, এতজন থাকতে তুমি আমাকেই কেন ভালবাসলে?
ভালবাসা কি বলে কয়ে হয়? ভালবাসা হল এক চিলতে সবুজ রোদ্দুরের মত। মন ছুঁয়ে যায়। আর তাই যদি হয় তুমি কেন আমায় ভালবাসলে তিয়াসা?
জানি না, সত্যি জানি না। আমি শুধু জানি, বাবা চলে যাবার পর আমি ঝোড়ো হাওয়ার মত ভেসে যাচ্ছিলাম, আমার জীবন নিভে যাচ্ছিল প্রায়, সেই সময় নিভু নিভু ছাইয়ের ভেতর আচমকা নদীর কলতান। ছাই চাপা আগুন নিভে গেল। আমি ভেবেছিলাম এই অন্ধকারেই আমায় সারা জীবন শুয়ে থাকতে হবে,একটা তীব্র রোদ পাবার প্রত্যাশা আমাকে পাগল করে দিচ্ছিল। সেই সময় তুমি এলে।
এলাম কি?
মানে?
আমার তো মনে হয় আমি আগে থেকেই ছিলাম। শুধু সময়ের কারসাজিতে দেরিতে দেখা হল।
হুঁ। তুমি জান না, এই জীবনে কত শোক আমি পেয়েছি। কিন্তু কাঁদিনি। মা চলে যাওয়া আমার মনে নেই। কিন্তু বাবা চলে যাওয়াটা আজও আমি ভুলতে পারি না। মনে পড়ে, একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল বাড়ির সামনে। কয়েকজন লোক বাবাকে সেখান থেকে ধরে নামাবার চেষ্টা করছিলেন , বাবা নামতে পারলেন না। আমি দৌড়ে এসে বাবাকে ধরতে গেলাম। বাবা যেন আমাকে দেখার জন্যই বেঁচেছিলেন। একবার আমার দিকে তাকালেন, তারপর... সেদিন আমি এতটুকুও কাঁদিনি। আত্মীয়দের খবর দিলাম। সব চুকে যাবার পর এক নিদারুণ শূন্যতা আর এক সাথেই মুক্তির স্বাদ পেলাম। যেন এতদিনে আমি স্বাধীন।
স্বাধীন কি হতে পেরেছ?
কী জানি? একা একা এই জীবনের কোনো মানেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু তোমার মধ্যে আমি আবিষ্কার করলাম মহাকালের ছন্দ। এখন আমার ভীষণ বাঁচতে ইচ্ছে করে।
অরণী তিয়াসার চোখে চুমু খেয়ে বলল, তুমি আমার, তুমি এতটাই পবিত্র আর শুদ্ধ যে ঈশ্বরও তোমার ভালবাসা ফেরাতে পারবেন না।
অরণীর মধ্যে তিয়াসা তার বাবাকে দেখতে পেল। বাবা বলতেন, সময় ক্রমশ ছোটো হয়ে আসছে, জীবনের মানে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে।
কেন এমন বলছ?
দেখিস না চারদিকে এখন কোথাও আলো নেই, কেবল বিশ্বাসভঙ্গের গন্ধ। সব সবুজ স্বপ্নগুলো মরে যাচ্ছে।
তিয়াসা বোকার মত বলত, কিন্তু চারদিকে অনেক গাছ লাগানো হচ্ছে।
যে পরিমাণ লাগানো হচ্ছে তার তুলনায় অনেক বেশি মারা যাচ্ছে। আসলে কী জানিস, আমরা মানুষেরা প্রত্যেকদিন একটু একটু করে বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছি।
কী করে ?
মনে মনে, মনের দরজাটা আমরা খুলে দিতে পারছি না।
কেন পারছি না বাবা?
মন খুলে কথা বলার, নিজেদের সম্পর্কগুলোকে সময় দেবার অবকাশ কমে আসছে যে। আমরা কেবল দৌড়চ্ছি।
মানুষ কেন এত দৌড়ায় ?
মানুষ সুখের জন্য, ভাল থাকার জন্য ছুটছে। কিন্তু সে অর্থে কি সুখ পাচ্ছে?
মানে?
মানে সুখ একটি জটিল শব্দ। মানুষ কী পেলে সুখী হয় সে নিজেও জানে না।
বাবা হাসছিল । জীবন একটা বিশাল সমুদ্র। সেখানে অজস্র নুড়ি, পাথর, মণি মুক্তো ছড়ানো আছে। আবার অনেক আগাছাও জন্মায় সেখানে। তোকে খুঁজে নিতে হবে কোনটা তোর দরকার।
আমার শুধু তোমাকেই দরকার। আর কাউকে নয়। তিয়াসা বাবাকে জাপটে ধরল।
সেই বাবাও হঠাৎ চলে গেলেন। এভাবেই কী যোগসূত্র গুলো এক এক করে ছিন্ন হয়ে যায়!যারা চলে যায় তারা কোথায় যায়? কোন পৃথিবীতে? সেই পৃথিবী কেমন?
স্বর্গ নরক এসব কী আদৌ সত্যি? এই যে চারদিকে এত রং ছড়িয়ে সে সব কী মুছে যায় একজনের অভাবে? নাকি সবই থাকে, কেবল দেখা যায় না!
কোনও শূন্য স্থান ফাঁকা থাকে না।কিন্তু কেউ কী কারোর পরিপূরক হয় না হতে পারে?
আনমনেই সে বলে উঠল- তোমার মতো কেউ তো হল না বাবা। তখনই মনে হল এখানে যারা রয়েছে, এতক্ষণ টানা গল্প বলে গেল,এ গল্প কী তারই গল্প? এই সব চরিত্ররা এতদিন হয়তো তার মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিল,আজ এদের স্পর্শে প্রাণ পেল।
এদের তাহলে আলাদা করে টিপস দেওয়া উচিত। কিন্তু এদের দেখে মনে হচ্ছে না এরা এই ধরনের টিপস নিতে পছন্দ করবে। তাহলে কী করা উচিত? ভাবতে ভাবতে সে সামনে থাকা শূন্য চায়ের পাত্রটার দিকে তাকালো।এখানে কী আদৌ কোনও চা ছিল? সে কি এতক্ষণ এখানে বসে চা পান করেছিল নাকি সবটাই তার কল্পনা!
সে আরেকবার সামনে পড়ে থাকা চায়ের তালিকা দেওয়া মেনু কার্ডটা দেখল। গল্প-চা শব্দটা দু- তিন বার পড়ল। এখন আর এর রহস্য তার অজানা নয়। যদিও সব চরিত্রগুলো কাল্পনিক কিনা তার প্রমাণও সে পায়নি এখনো,তবুও যেন চেনা।
অন্ধকার নেমেছে। বাইরের রাস্তার ত্রিফলা আলোগুলো জ্বলে উঠেছে। হঠাৎ করে যেন এতক্ষণ যে শহরটা অনুজ্জ্বল প্রাণহীন লাগছিল, তা আলোর রোশনাইয়ে মোহময়ী রূপ ধারণ করল। তবু যেন থমথমে। গুমোট একটা ভাব।
তিয়াসা কাচের চওড়া জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাল। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অবশেষে ঘোরের মধ্যেই উঠে দাঁড়াল। তার মনে হল এতক্ষণ যারা গল্প বলছিল আসলে তারা তাদের নিজেদের চরিত্রগুলোই কেবল বলে যাচ্ছিল। অভিনয় নয়, সব আসলে বাস্তব থেকে উঠে আসা, একবারে জীবন্ত। ওই যে বয়স্ক লোকটি মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়ছিল তিনি সেই জ্ঞানী জেলফেরত বৃদ্ধ। আর মেয়েটি সেই স্ট্যান্টওম্যান। কবরখানার মহিলাটিও এখানেই উপস্থিত। দম্পতিরা সেই দুজন যাদুকর যাদুকরী। আর ওয়েটারটাই কি গোপীনাথের ছেলে?
তিয়াসা চারদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে , কিংবা বসে থাকা মুখগুলো দেখল। এতক্ষণে ঘড়ির দিকে নজর গেল তার। সেই সাথে দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারটার দিকেও। আর মাত্র ক'দিন। অরণীর ফেরার সময় হয়ে এসেছে। তার এবার মনে হল থমকে থাকা সময়ের কাঁটাটা যেন হঠাৎ করে চলতে শুরু করল। সে এবার ধীরে ধীরে নিজের স্লিং ব্যাগের ভিতর থেকে বের করে আনল টোকেনটা। যেটা তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল স্টেশনের সেই মাল রাখা কাউন্টারের লোকটা, তার স্যুটকেস জমা রাখার প্রমাণ হিসেবে। টোকেনটাকে উল্টে পাল্টে দেখলো কয়েকবার। আবার উঁচু করে ধরলো, যাতে সবাই দেখতে পায়৷ খানিকটা জল গড়িয়ে পড়ল চোখ থেকে৷ সেটা ডানহাতের আঙুল দিয়ে মুছে নিল। চারপাশের হাস্যোজ্জ্বল করতালির মাঝে হাতের মধ্য উঁচিয়ে ধরে থাকা টোকেনটা কাপের মধ্যে ডুবিয়ে দিল। তারপর ঠোঁটের কোনে এক গূঢ় রহস্যের হাসি নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল।
আকাশটা ভেতর থেকে যেমন অন্ধকার লাগছিল, এখন আর তেমন লাগছে না। বরং অনেকটাই পরিষ্কার। লোকজনের আনাগোণা, কোলাহলে জায়গাটা আর নিঃস্তব্ধ নয়। সে আশপাশটা ভাল করে দেখে নিল। তারপর স্টেশনের ভিতরের দিকে না গিয়ে, স্যুটকেস, টোকেন আর এতক্ষণের বৃষ্টিমাখা গল্প চায়ের স্মৃতি – সবকিছুকে প্রাগৈতিহাসিক অতীতের কোলে সঁপে দিয়ে নিজের বাড়িমুখো একটা খালি ট্যাক্সিতে উঠে পড়ল।
(শেষ)
ধারাবাহিক জমে উঠেছে
সমাপ্তি পর্বও সুন্দর।
ভীষণ ভীষণ সুন্দর এই "গল্প চা"...অসম্ভব ভালোলাগা..
এই ধারাবাহিক খুব ভালো লাগলো।
শেষের অংশ খুব মন কেড়ে নিলো