

ফ্যাসিবাদী উত্থান প্রসঙ্গে আমাদের মাথায় রাখতেই হবে বহুবার উচ্চারিত কথাগুলি, যেমন ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট কালপর্বে হিটলার-মুসোলিনি-ফ্রাঙ্কো-তোজোর উত্থান হয়েছিলো। পুঁজিবাদ যখন সংকটে পড়ে, তখন সে কম সময়ের জন্য হলেও একটি উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শকে হাজির করে, যাকে আমরা ফ্যাসিবাদ নামে চিনি। এখন বেশ কিছু তাত্ত্বিক এমনও বলে থাকেন, শ্রমজীবী মানুষের তীব্র গণরাজনৈতিক আন্দোলন যখন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তখন তা যেন বামপন্থী বিপ্লবের পথ না ধরে, তাই ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। জনগণের সামনে, সকলের কাজের অধিকারের সমাধানকে, সুচিন্তিত ভাবে পর্যবসিত করা হয় জাতিঘৃণায়, একটি অপর নির্মাণ করে, তাকে বিতাড়নের মাধ্যমে সব অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে বলে বর্ণনা করা হয়। যেমন জার্মানির সকল সমস্যার মূলে ইহুদিরা, তা খুব গভীরে প্রোথিত করা গিয়েছিলো, এবং ইহুদি নিধনের মাধ্যমেই যে সকল সমস্যার সমাধান এই লাইনটি জনপ্রিয় করা গিয়েছিলো। এখন সারা বিশ্ব জুড়ে বহু জায়গায়, যেমন ব্রাজিলের বলসোনারো, আমেরিকার ট্রাম্প, ব্রিটেনের জনসন বা ভারতের মোদী, এদের উত্থান হচ্ছে, একে অনেকেই ফ্যাসিবাদের উত্থান বলে অভিহিত করছেন। আসলে বিগত ২০ বছরে লিবারাল রাষ্ট্র মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারেনি, সারা বিশ্ব জুড়েই সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রথম অভিযান পরাজিত, সেখানে মানুষের নতুন আদর্শের এবং ব্যবস্থার প্রতি আকাঙ্ক্ষাকেই পরিপূর্ণ করছে ফ্যাসিবাদ, এ কথা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে। পুঁজিপতিদের লাগামহীন সমর্থন, বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার অপপ্রচার, ডেটা ম্যানুফ্যাকচার সব ধরে নিলেও এই ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পক্ষে বুঝে না বুঝে এক বিপুল সংখ্যক মানুষ আছেন। আমেরিকায় ট্রাম্প হেরে গেলেও, তিনি সেখানে ভোটের শতকরা হিসেবে খুব পিছিয়ে ছিলেন না। তারপর হাউজ দখলের কর্মসূচিতেও ব্যাপক পরিমাণ হ্যাভনট আমেরিকান অস্ত্র হাতে ট্রাম্পের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
পিকেটি দেখাচ্ছেন ১৯২০’তে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সমাজের উপর তলায় বিপুল সম্পত্তি জমায়েতের কারণে ফ্যাসিবাদের উত্থান অবশম্ভাবী হয়ে উঠেছিলো, সেই সমস্যা সমাধিত হয় দুটি বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে। তারপর ৩০ বছর দেশে দেশে কল্যাণকামী ধরনের সরকার গঠন হয়েছে, অর্থনৈতিক বৈষম্যে একটা দূর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেও ছিলো। আবার ৭০ পরবর্তীতে এই বৈষম্য বাড়তে শুরু করেছে, ২০১০-এ এসে সেটা চরম মাত্রা ছুঁয়েছে, এবং সেই কাল পর্ব থেকেই দেখবো দেশে দেশে এক ধরনের অতিদক্ষিণপন্থী ঝোঁক তৈরি হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা বিচার করবো পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির উত্থানকে। এই অর্থনৈতিক কারণ ব্যতিরেকেও ফ্যাসিবাদী যাত্রাপথ কাভাবে এতোটা সুগম হলো, তা বুঝবার চেষ্টা করছি।
কর্তৃত্বের পক্ষে মনোভাব
করোনা আবহে আমরা দেখতে পাবো, নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে আহ্বান দিলেন করোনা ভাইরাস আটকাতে থালা বাজাতে, হাততালি দিতে, একদিন সন্ধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন কাল থেকে লক ডাউন, আমরা দেখলাম সকল মানুষ কম বেশি ঘরে ঢুকে গেলেন, আসলে এর মধ্যে দিয়ে কর্তৃত্বের নির্দেশ পালনের মনোভাব কতটা গভীর সেটা বোঝা যায়। আমরা যখন বড়ো হচ্ছি তখন আমাদের পরিবারের মধ্যে, যখন স্কুলে যাচ্ছি, অফিস করছি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে অংশ নিচ্ছি, কম বেশি সব জায়গাতেই প্রশ্নহীন আনুগত্যের বিষয়টি এখনো প্রবল। বাড়িতে আমরা মূলত বাবার বিরুদ্ধে কথা বলি না, স্কুলে মাস্টারকে প্রশ্ন করিনা, মোদ্দায় মনে করি, এঁরা আমাদের ভালোর জন্যই শাসন করছেন। এটি প্রতিটি স্তরে আছে। ফলে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তা মঙ্গলের জন্যই বলছেন, এমন মনোভঙ্গি থাকতে বাধ্য। সম্প্রতি আমি গিয়েছিলাম কোচবিহারে। সেখানে দীর্ঘদিনব্যাপী রাজতন্ত্র ছিল, এমনকী ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে কোচবিহারের মানুষ ব্যাপক মাত্রায় অংশ গ্রহণ করেননি, ওখানে এই রাজার (আজকের শাসক) প্রতি আনুগত্যের ভাব অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। আবার যখন পাঞ্জাব আন্দোলনে যাই, যখন দেখি লাল কিল্লায় তারা নিশান সাহিবের পতাকা তোলে, সে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারি, এই লাল কিল্লায় পাঞ্জাবের পতাকা উত্তোলন এই প্রথম নয়, মুঘল আমলে বহুবার সংঘর্ষে পাঞ্জাব দিল্লিতে পতাকা তুলেছে। লড়তে লড়তে একটা জাতির মানসিক গঠন একভাবে নির্মিত হয়। ৩৫ বছর এই রাজ্যে তথাকথিত বাম শাসন ছিলো, যেখানে বড় মাত্রায় সমাজের প্রায় প্রতিটি বর্গের মানুষ কোন না কোন ভাবে পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলো। রাজনৈতিক ভাবে কী হয়েছে, সে আলোচনা স্বতন্ত্র, কিন্তু আসলে গোটা সমাজ জুড়ে কোন দর্শন চারিয়ে গেছে তার দিকে নজর দিতে হবে। পার্টির সমর্থক পার্টির লোকাল কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না, পার্টির লোকাল জোনালের বিরুদ্ধে, জোনাল জেলার বিরুদ্ধে, জেলা কমিটি রাজ্য কমিটির বিরুদ্ধে, রাজ্য কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি পলিটব্যুরোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারবে না। পলিটব্যুরো যা ঠিক করছেন তা স্তরে স্তরে পালন করার নির্দেশ আসছে, এর মধ্যে দিয়ে ‘কেন্দ্র’র প্রতি আনুগত্য এবং নির্ভরশীলতা তৈরি হয়, সেই সমাজে সব থেকে যা শক্তিশালী হয়, তা ফ্যাসিবাদী মনোভাব। এই মনোভাবের চাষ হতে হতেই এই পলিটব্যুরো পর্যবসিত হয় ফ্যুয়েরারে, ওখানে আপনি পলিটব্যুরোর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতেন না, এখানে সুপ্রিম নেতার বিরুদ্ধে আপনি আওয়াজ তুলতে পারেন না, আসলে এই সিস্টেমের জন্ম দিয়ে চলে আমাদের মধ্যে থাকা প্রশ্ন না করার মনোভাব। পরবর্তীতেও পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু একধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলের হাতে সরকার থাকায়, সেই মনোভাবের পালে হাওয়া বেড়েছে বৈ কমেনি, সবই আজকাল ‘অনুপ্রেরণা’র অংশ।
ভারতীয় সংবিধান নির্মাতারা যেটুকু অধিকার সুরক্ষিত করেছেন, তা যদিও সবটুকু নয়, তবু সেটুকুও রক্ষিত হয় না, লঙ্ঘিত হলেও মানুষের কিছু যায় আসেনা, কারণ নিম্নবর্গীয় সচেতন মানুষের আন্দোলনের চাপে তা নির্মিত হয়নি। কিছু বুদ্ধিজীবী তাঁদের মতন করে সংবিধান রচনা করেছেন, কিছু কিছু অধিকার সুরক্ষিত করেছেন, কিন্তু তা যেহেতু উপর থেকে চাপানো, ফলে কার্যকর হয়নি।
সাংস্কৃতিক শূন্যতা
ফ্যাসিবাদের যেমন কতকগুলি অর্থনৈতিক কার্যক্রম থাকে, তেমনি থাকে কতকগুলি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, যেমন ভারতে ফ্যাসিবাদ সকল মানুষের উপর হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুত্ব চাপাতে চায়, তারা মনে করে এটিই সব থেকে শ্রেষ্ঠ মতাদর্শ। প্রশ্ন হলো এই মতাদর্শ নির্মাণ হয় কীভাবে বা কী করে এর পক্ষে এতো মানুষ দুহাত তুলে সমর্থন জানান? কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তর বাংলায় এক বিখ্যাত লোকজ দেবতা হলেন মাসান, এ দেবতার বাস জলের ধারে ধারে, কথিত আছে, কেউ যদি চুনো মাছ ধরেন বা জলাশয়ের ক্ষতি করেন তবে তাঁকে মাসানে ধরে। নদী নালা বেশি হওয়ায় ওখানে বহু বিচিত্র রকমের মাছ পাওয়া যায়, এবং এই ২০২১ সালে দাঁড়িয়েও জানা যায়, ওখানে মাছ ধরবার ৫০ রকমের দেশিয় উপকরণ আছে, তাতে মা-মাছ রক্ষা পায়, যাদের পেটে ডিম থাকে, ছোট মাছ রক্ষা পায়। আসলে জেলে মাঝিদের মধ্যে এই রীতির প্রচলন সুপ্রাচীন, বোঝা যায় সেখান থেকেই এই মাসানের জন্ম। এর সঙ্গে ঠিক প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে এক করা যায় না, ওই অঞ্চলের আদিবাসী হিন্দু মুসলমান সকলেই মাসানকে মানেন। এবারে উত্তরবঙ্গ গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো, মাঠের আল দিয়ে চলেছি, সামনেই এক সাঁকোর ধারে মাসানের থান, তার ঠিক পাশেই বিকালে তিন সই গল্প করছে, তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কোথায় পড়াশুনা করছো, জানতে পারলাম, তারা মাথাভাঙ্গা কলেজের ছাত্রী, তাদের মাসানের কথা জিজ্ঞাসা করায় তারা বলল বাড়ির বড়’দের জিজ্ঞাসা করতে হবে। এখানেই সাংস্কৃতিক শূন্যতা টের পাওয়া যায়।
ওখানে গিয়েই শুনেছিলাম সাহেব ঠাকুরের কথা, নামটা লক্ষ করুন- তিনি বেশভূষায় মুসলমান, মাথায় ফেজ টুপি, পরনে ফতুয়া আর লুঙ্গি, ভাবলে অবাক হতে হবে যে ওই অঞ্চলের সব হিন্দু পূজা পার্বণে প্রথমে সাহেব ঠাকুরকে তিনবার সালাম জানিয়ে সব কাজ শুরু করে।
যদি বাংলার মধ্যভাগে আসা যায়, দেখা যাবে জঙ্গল মহল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে আদিবাসীদের বাস, সেখানে বহু গ্রামে আজ পুরুষ-মহিলারা দুর্গা উৎসবে ডিজে বাজিয়ে নাচছেন। এদিকে লোকগাথায় আদিবাসীরা হলেন মহিষাসুর বা অসুরের বংশ আপনি যদি ঝাড়খণ্ড ছত্তিসগড় চলে যান, দেখবেন, সেখানকার বাসিন্দাদাদের সঙ্গে দুর্গা পূজার বিরোধ নেই, কিন্তু তাঁরা মনে করেন আদিবাসী সমাজের বীর যোদ্ধা ছিলেন অসুর, সুর-অসুর বা আর্য-অনার্য যেভাবেই আখ্যায়িত করুন, তাঁরা মনে করেন অনার্য বা অসুর সম্প্রদায়ের বীর সন্তানকে হত্যা করা হয়েছিলো, তিনি শহিদ, ফলে তাঁরা ওই চার দিন অরন্ধন করেন। এখানে দেখা যাবে একটি ‘অন্য’ সংস্কৃতির রেশ, যার লেশমাত্র বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী গ্রামে দেখা যাবে না।
মনে রাখা দরকার এই লোকজ সংস্কৃতিগুলি জন্ম নেয় স্থান বিশেষে, তার একটি অঞ্চলগত ইতিহাস থাকে, ফলে সে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় আবেগের উপরে উঠতে পারে, সমগ্র জনগোষ্ঠীটি তাতে শামিল হয়। বিগত কুড়ি বছর ধরেই এই সংস্কৃতিগুলি কমে আসায় জোরালো হচ্ছে বাংলায় বজরংবলীর মন্দির, গণপতি বাপ্পা পূজা এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান। বিগত কুড়ি বছর ধরে, বিশেষ করে কলকাতা তথা বঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছে বলিউড ফলে আমাদের মধ্যে প্রোথিত হয়েছে হিন্দি সংস্কৃতি, আমাদের এখানের প্রগতিশীল সরকার, প্রগতিশীল বহু নকশালপন্থী দল, গণতান্ত্রিক সংগঠন, পত্রিকা গোষ্ঠী, কোনদিনই এই লোকজ সংস্কৃতিগুলি সম্পর্কে তলিয়ে ভাবেনি, মানুষকে উন্নত সংস্কৃতি দিতে তো পারেইনি, উপরুন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সাথে এগুলিকে মিলিয়ে ফেলে সামগ্রিক বিরোধ তৈরি করেছে, ফলে নতুন সংস্কৃতির জন্ম হয়নি, যেটা হয়েছে, মানুষ তার শিকড়কে ভুলেছে, কনফিউজড বাম সরকার বা দল, দুর্গা পূজায় কমিউনিস্ট বুক স্টল দিয়েছে, সেখানে যেমন ইচ্ছা রামায়ণ-মহাভারত-মহালয়ার পাঠ-বয়ান চলেছে, মধুসূদন দত্তের একটি মাত্র মেঘনাদ বধ কাব্য বাদ দিলে কোনো দিনই ভেবে দেখতে বলা হয়নি, রাম-লক্ষণ, শূর্পনখার সঙ্গে বা ভীম ঘটোৎকচ-হিড়িম্বার সঙ্গে যেটা করলেন তা কার্যত আদ্যন্ত নারী এবং আদিবাসী-অনার্য বিদ্বেষ। তাঁদের অংশিদারিত্ব বা সম্মান না-দেওয়া। একটি জনজাতি যখন তার নিজস্ব ইতিহাস সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়, তখনই সে নিপীড়নের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করতে পারে। এর বিস্তারিত তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এডোয়ার্ড সাইদ তাঁর ওরিয়েন্টালিজম গ্রন্থে দিচ্ছেন।
আমরা এটা কখনই দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রে দেখতে পাবো না, লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেও বিজেপি আরএসএস মোদ্দায় তামিল জনগোষ্ঠীকে তাদের দিকে আনতে পারছে না, কারণ তাঁরা তাঁদের ইতিহাস চেতনা, ভাষা ভুলে যাননি, তাঁরা নির্লজ্জের মতো বলিউডের নকলনবিশি করেনি, ভেগানিজমের লজিক দেখিয়ে সেখানে জালিকাট্টু বন্ধ করানো যাচ্ছে না, সেখানে অর্ণব গোস্বামীর মতো পেয়াদা নামিয়ে এক লহমায় হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করা যাচ্ছে না, কারণ তারা পুছতা হ্যাঁয় ভারত দেখবে না, কর্তৃত্ববাদী ভারত রাষ্ট্রের আইডিয়ার সঙ্গেই তাঁদের মৌলিক বিরোধ আছে, তাই ওই অঞ্চলে ফ্যাসিবাদী রথ বারেবারে লাট খাচ্ছে।
যেখানে যেখানে লোকজ সংস্কৃতি ভাষা ইতিহাস মানুষ ভুলবে সেখানে সেখানেই এই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি ডিম পাড়বে, আস্তে আস্তে সেই ডিম দৈত্যের রূপ নেবে, যেখানে পঞ্চানন বর্মা ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধ্বে রাজবংশী ভূমি পুত্রদের ৬ গ্রন্থি পৈতা শরীরে তুলে দিয়ে লড়াইয়ে আনছেন (সেই আন্দোলন আজ সমর্থন করবো কিনা, তা স্বতন্ত্র প্রশ্ন), তা সম্পূর্ণ বিস্মৃত না হলে কোনো ভাবেই রাজবংশীদের আত্মীকরণ করা সম্ভব নয়। তেমন ভাবেই আদিবাসী মতুয়াদেরও নিজস্ব ইতিহাস আছে, বছরের পর বছর খ্রিস্টান মিশনারিরা ছত্তিসগড় ঝাড়খণ্ডে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বাংলার আদিবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ছলে বলে তাদের ধর্মান্তরিত করেছে, তারা সামগ্রিকভাবেই তাদের প্রকৃতি উপাসনা ভুলেছে, তাদের মধ্যেও গেড়ে বসেছে হিন্দি-হিন্দু আইকন।
কেবল বিজেপিকে ভোটে হারিয়ে, বা আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়তে হবে, এমন শুষ্ক ডাক দিয়ে এসব রোখা যাবে না।
PM | 180.2.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ১০:১৭103485অন্য্ দৃষ্ষ্টিকোন . ...ভাল লাগলো ।..চিন্তাও করালো
বেশ ভালো লাগলো। নিজেদের সংস্কৃতি কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তাকে ভালোবাসতে হবে। তবেই এই অবক্ষয় রোধ করা যাবে। যে বাঙালি নিজেই বাংলাকে ছোটো মনে করে, হিন্দিতে ঝগড়া করে, ইংরেজিতে খাবার অর্ডার দেয়, বলিউড হা করে গেলে আর অষ্টমী আর সরস্বতী পুজোর দিন শুধু পাঞ্জাবি পরে সেলফি তোলে সে সংস্কৃতি কে কতটা বাঁচাতে পারবে তা ভাবতে হবে। বাংলা কে হীনমন্যতা থেকে বার করে আনতে হবে আগে। বাংলা কে ভালোবাসতে শিখতে হবে। বহিরাগতরা হিন্দি বললেও নিজে বাংলায় জবাব দেব এই শিরদাঁড়া শক্ত করতে হবে। নইলে বাঙালি 'বাংগালি' হয়ে যাবে আর ফেস্টিভ্যাল 'মানাবে' । ইংলিশ শিখব, ব্যবহার প্রয়োজন বোধে করতে হবে, কিন্তু আমেরিকান কালচরে ভিড়ে যাবো না। এইটা আগে ঠিক করতে হবে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক খোঁয়াড়ি আমাদের বাঙালিদের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে, ফলতঃ পুঁজিবাদ সহজেই জায়গা করে নেয় মানসিকতায়। দুঃখের বিষয়, এসবে মনোযোগ কম দিয়েছি প্রত্যেকেই, গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে গেছে মার্কসবাদ এবং প্রাসঙ্গিক তত্ত্বের অবতারণা। তবে নাতিদীর্ঘ তথ্যবহুল লেখাটার শেষ পংক্তির স্লোগান কিন্তু একাই শুকনো নয়, বেশকিছু প্রগতিশীল স্লোগান বাংলার গন্ধশব্দ হারিয়ে শুকনো হয়ে পড়েছে।
Srijan | 2a0f:9100:110:a::***:*** | ১১ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৫103496রামায়ণ-মহাভারতের বয়ান বিকৃতি, দুর্গাকে বেশ্যা বানানো, সরস্বতীর ঠোঁটে চুমু খাওয়ার প্রগতিশীলতা শিরদাঁড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন ছিলঃ "এ কথা ভারতবর্ষ ভুলিতে পারে নাই যে তিনি চণ্ডালের মিতা, বানরের দেবতা, বিভীষণের বন্ধু ছিলেন। তিনি শত্রুকে ক্ষয় করিয়াছিলেন এ তাঁহার গৌরব নহে, তিনি শত্রুকে আপন করিয়াছিলেন। তিনি আচারের নিষেধকে, সামাজিক বিদ্বেষের বাধাকে অতিক্রম করিয়াছিলেন ; তিনি আর্য অনার্যের মধ্যে প্রীতির সেতু বন্ধন করিয়া দিয়াছিলেন।" তাকে আর্য আক্রমণের তত্ত্বে দাঁড় করানো হয়েছে। কালী নিয়ে, শিবলিঙ্গ নিয়ে কুৎসিত বক্তব্য প্রোমোট করে সারাক্ষণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে অপমান করা হয়েছে। "নাই যে ধান খামারে মোর কপালগুণে" গানকে নিয়তিবাদী বলে লেখকের কৈফিয়ৎ চাওয়া হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্রকে সাম্প্রদায়িক, রবীন্দ্রনাথকে বুর্জোয়া, বিদ্যাসাগরকে ব্রিটিশের দালাল, রামকৃষ্ণকে মৃগীরুগী, নেতাজিকে তোজোর গাধা বলে বলে নিজের রাজ্যে বাঙালির অপরায়ন এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে বাংলার বাইরে থেকে সংস্কৃতি আমদানি হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা ছিল। এখন সাংস্কৃতিক শূন্যতা নিয়ে হাহাকার করলে ঘুড়ায় হাসব।
PT | 45.64.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ১৫:৪০103497"রামায়ণ-মহাভারতের বয়ান বিকৃতি"
ও মাইকেল সাহেব শুনছেন, আপনি বাংলা সংস্কৃতির কি সর্বনাশ করে গিয়েছেন? আপনিও কি কমুসিস্ট ছিলেন নাকি?
a | 202.53.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ১৭:০৩103499যেখানে যা কিছু ঘটে অনিস্টি / সকলের মূলে কমুনিস্টি
অ এই ব্যপার | 2405:8100:8000:5ca1::59:***:*** | ১১ মার্চ ২০২১ ১৮:১৩103502তাই দীপচো গুরুর বুলবুলভাজায় এসে বুলি কপচায়। এটা ব্লগ নয় গুরুর আলাদা ব্লগ আছে সেটা এর বিবুগোঁজা মাথায় ঢোকে নি।
এদিকে একসাথে ভেবে লিখে উঠতে পারে না আমাশা হয়ে যায়।
@দীপ,
মনুসংহিতায় জাতপাত, নারীবিদ্বেষ ব্রাহ্মণবাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার ইত্যাদি নিয়ে কী বক্তব্য, শুনতে আগ্রহী।
hehe | 216.244.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২০:২৯103509রামকিশ্নচাড্ডি দীপছুঁচো আবার হাগতে লেগেচে
:-))) | 2405:8100:8000:5ca1::31e:***:*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২০:৩৪103510কোকেনএর ডোজ বাওয়া চড়ে আছে পুরো। স্বাভাবিক ভদ্রভাবে কথা বলতে শেখেই নি ধমকাচ্চে। আহা বাল্টিমোর
Abhyu | 198.137.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২২:৩৯103513বিবেকানন্দ গুণগত ব্রাহ্মণত্বের গুণ যতই গেয়ে থাকুন না কেন ওনার প্রতিষ্ঠানে জন্মগত ব্রাহ্মণ না হলে ঠাকুরঘরে পুজো করতে দেওয়া হয় না। এখন আবার অন্য রকম জাস্টিফিকেশন শোনা যাবে :)
r2h | 49.206.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২২:৪৫103515ওসব বহুমাত্রিকতা জায়গা মত বললে গর্বিত হিন্দুরা বাটাম দিয়ে বক্তাকে শুদ্ধু একমাত্রিক বানিয়ে দেবে। ইবাংলা লাইব্রেরি বলে একটা সাইট আছে, সেখানে সব বাংলা বইপ্ত্র ইউনিকোড ফন্টে পড়া যায়, লোকজন ওসিআর স্ক্যান করে ধুয়ে মুছে তোলে। সেখানে প্রতিভা বসুর মহাভারতের মহারণ্যকে লোকজন গালাগাল দিয়ে একশা।
Abhyu | 198.137.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২৩:০৯103516পড়াশোনা করা খুব ভালো, করাই উচিত। তার সঙ্গে একটু, বেশি না, একটু, বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করাও ভালো। সেই কে যেন বলেছিলেন না, ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো?
Abhyu | 198.137.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২৩:২২103519হোস্টেলে না, বেলুড় মঠে। প্রতি হোস্টেলে অতো ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারীর সাপ্লাই পাওয়া সহজ না :)
Abhyu | 198.137.***.*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২৩:৫৩103521এনারা প্রথম দিকের লোক।
তা আপনি একজন অব্রাহ্মণের নাম করুন গত পঞ্চাশ বছরে যিনি বেলুড় মঠে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পূজক হয়েছেন। আগে এটাও ভাবা যেত না বেলুর মঠ থেকে বলা হবে থালা বাজান, কি মোদী খুব ভালো প্রধানমন্ত্রী। আগের কথা দিয়ে কী হবে? রাজা মহারাজের স্ত্রী ছিল এই উদাহরণ এখন কোনো বিবাহিত হোক গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসী হতে পারবে?
ঐ যে বললাম, পড়াশুনার সাথে একটু ভাবনাচিন্তা করলেও সেটা খারাপ না।
Hmm | 2607:f178:0:3::***:*** | ১১ মার্চ ২০২১ ২৩:৫৬103522নিজের সংস্কৃতি ধরে রাখার পথে কতজনের কতরকম বাধা এ পাতাতেই বেশ বুঝতে পারছি। কাঁকড়ার জাতের যা হবার তাই হবে। রামকে সীতাপোড়ানো আগ্রাসনকারীরূপে দেখায় কোন গ্রুপ? কৃষ্ণকে লম্পট বানিয়ে প্রচার করে কারা? (একটি ছাগল আবার ভাবছে এসব মাইকেল সাহেব করে গেছে!)
b | 14.139.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ০৭:৫২103529@ দীপঃ "ভাস তাঁর একাধিক নাটকে দুর্যোধনকে নায়করূপে উপস্থাপিত করেছেন"
অফ টপিক হয়ে যাচ্চে, তবু একটু জিজ্ঞাস্য । ঊরুভঙ্গম ছাড়া অন্য কোন নাটকে দুর্যোধন নায়ক?
PT | 45.64.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ০৮:৫২103530"কৃষ্ণকে লম্পট বানিয়ে প্রচার করে কারা?"
গণশক্তি প্রেশ থেকে প্রকাশিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের কয়েকটি লাইন। গায়ক কমরেড সনাতন দ. বাউলভস্কি।
এদিকে নিশি হল দ্বিপ্রহর/এল না শ্যাম নটবর
খেদে রাধা কহে সখীগণে গো - "এখনও এল না কালীয়া/লম্পট বনমালীয়া.......
........................
যদি সেই লম্পট আসে নিশি শেষে/ বলিও সরোষে বঁধু যেন --যায় হেথা হতে চলিয়া " ।
আচ্ছা দীপবাবু, আমি শুধু মনুসংহিতা নিয়ে আপনার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। আপনার বলে দেওয়া লিস্টে আছে তা তো বলিনি। রেগে যাচ্ছেন কেন?
1 মহাভারতে বৃহদারণ্যক উপনিষদে শতপথ ব্রাহ্মণে বীফ খাওয়া নিয়ে যা বলা আছে সে বিষয়ে কিছু?
2 হিন্দিবলয়ে দলিতের উপর অত্যাচার ধর্ষণ যেভাবে বাড়ছে এরপরেও বলবেন?
3 রামায়ণে রাবণবধের পর সীতাকে রামচন্দ্র যা বলেছেন সে নিয়ে দুই পয়সা?
nd | 2a06:e80:1:1:bad:babe:ca11:***:*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১০:১৩103535এক দিকগজ রাধার বয়ানের লম্পট নিয়ে হাজির। ওরে ভাই,প্রেমিকা অনেক কিছুই বলতে পারে। দিকগজের গিন্নি সখীমহলে বলতেই পারে 'আর বলিস না ভাই, এমন অসভ্য।' তাতে করে গণশক্তি যদি দিকগজের অসভ্যতা নিয়ে পেপার পাব্লিশ করে, দিকগজ খুশি হবে তো? গণোশক্তি আর আনন্দবাজার বাদ দিয়েও বাংলায় পড়ার জিনিস আছে এটা এদের মাথায় কবে ঢুকবে।
এই রঞ্জন বাংলার কথায় মনুসংহিতা আর হিন্দিবলয় টেনে আনে কেন? রামায়ণে রাম কি বলেছে সে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধদেব বসু অনেকেই লিখেছে, একটু খুঁজে পড়তে কি হয়?
Abhyu কেন এখনকার খবর চাইছে? RSS আর RKM গোড়া থেকে একই বলে ত RSSএর ফ্যানবয়রা বাকতাল্লা মেরেছে। নৈলে RSS লেজিটিমাইজ হবে কি করে?
Abhyu | 198.137.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১০:১৯103536nd রাগ করেন না, আমি একবার লিখেছিলাম মতাদর্শগত ভাবে RSS আর রামকৃষ্ণ মিশন একই রকম। তাতে কেউ একটু ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন বইকি।
Bappa | 2401:4900:1227:b345:2:2:900b:***:*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১০:৩৬103537একদমি তাই.
nd
দুটো কারণে।
এক, আলোচ্য লেখাটি ফ্যাসিবাদের বিপদ নিয়ে যা এখন গোটা দেশের সমস্যা।
দুই, বাংলা ভারতের বাইরে নয় বলে।
আর রামায়ণ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদেব বসুর লেখা প্রথম যৌবনে পড়েছিলাম। এখন বৃদ্ধ জরদ্গব হয়ে মূল বাল্মীকি রামায়ণের স্বাদগন্ধ নিচ্ছি। আপনিও নিন, ঠকবেন না --গ্যারান্টি।
PT | 45.64.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১১:১২103539গোলপোস্টটা আগে শক্ত মাটিতে লাগান তারপরে গোল দেওয়ার চেষ্টা করুন। রাধা কিম্বা গাধা, যিনিই বলুন না কেন কৃষ্ণের "লাম্পট্য" বহুল চর্চিত। তবে কবেকার পলিটব্যুরোর মিটিংএ কৃষ্ণকে "লম্পট" আখ্যা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা যদি গণশক্তি ও আনন্দবাজারের বাইরের খবর রাখা পন্ডিতেরা জানাতেন তাহলে আলোকিত হতাম।
এমনকি রাধা নিজেও বাদ যায়নি। আর সেটা কৃষ্ণের বয়ানে নয়।
পলিটব্যুরোর আরেক সদস্যের বয়ানেও রাধা কলঙ্কিনী ও কানু "হারামজাদা"! (ওহে পটা এদেশে এসব গান আর গেওনা বাপু)
দয়া করে হিন্দু সংস্কতির সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি গুলিয়ে ফেলবেন না। বিশেষত পবর মাটিতে তো নয়ই।
প্রসঙ্গক্রমে, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ভারত সরকারের ইকনমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় অনেক যত্ন ও পরিশ্রম করে মূল বাল্মীকি রামায়ণ এবং বেদব্যাস মহাভারত এর সংস্কৃত থেকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। মহাভারতের জন্য পুণের ভান্ডারকর রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং রামায়ণের জন্য বরোদার ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রামাণ্য পাঠ অনুসরণ করেছেন।
আমার মত সংস্কৃতে অজ্ঞ লোকের জন্য আশীর্বাদ। অনেক ফুটনোটস ও রেফারেন্স।
পড়লে জানবেন রামায়ণ লেখা হয়েছিল রাবণবধের অনেক পরে। রাম তখন অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত।
একটু গীতগোবিন্দম? ভক্তকবিবর জয়দেব গোস্বামী বিরচিত? যিনি দশাবতার স্তোত্র রচনা করেছেন?
সখী রাজাকে বলছেন: মদনভোলান সাজুগুজু করে রতিসুখ পেতে অভিসারে যাচ্ছ? চটপট যাও। তোমার উনি অপেক্ষায় রয়েছেন।
এরপর:
ধীরসমীরে যমুনাতীরে বসতি বনে বনমালী।
পীনপয়োধর পরিসরমর্দন চঞ্চল করযুগশালী।।
এর বাংলা করতে আমার লজ্জা করছে। আপনারা বুঝে নেবেন। নইলে বিগত শতাব্দীর কবি বিজয়লাল মজুমদারের চমৎকার বাংলা অনুবাদ রয়েছে।
দেখুন, কৃষ্ণকে পূজো না করলেও বৈষ্ণব পদাবলী ও সাহিত্যের রসাস্বাদন করা যায়। উনি আমাদের প্যাস্টোরাল লোকগাথার মহানায়ক, প্রেমিকপ্রবর।
এসব ছেড়ে খামোখা গণশক্তি মহাশক্তি অপশক্তি শুরু করেছেন।
b | 14.139.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১১:৫৮103545রঞ্জনদা, কালিসিঙ্গি আর হেমচন্দর থাকতে খামোখা ইঞ্জিরি পড়তে যাবেনই বা ক্যানো?
কারণ রামায়ণ মহাভারতের দেশজুড়ে অনেক গাথা অনেক ভার্সন। আজকের ভাষাতাত্বিক রিসার্চ অনেক উন্নত।। পূণের আর জি ভান্ডারকরের নেতৃত্বের পন্ডিতমন্ডলী পঁচিশ বছরের সম্মিলিত পরিশ্রমে আজ মহাভারতের প্রামাণ্য পাঠ দাঁড় করিয়েছেন। একই কথা বরোদায় মহামহোপাধ্যায় পি ভি কাণের নেতৃত্বে রামায়ণ নিয়ে।
বাংলায় সেরা হল রাজশেখর বসুর । কোন প্রসঙ্গ বাদ পড়েনি। অথচ পপুলার ভার্নাকুলার পাঠে বেশ কিছু প্রসঙ্গ বাদ। যেমন কৃত্তিবাস ও তুলসীদাসে শূদ্রক তপস্বীবধ ও সীতাকে কটুুু কথা নেেই।
@Ranjan Roy | 2405:8100:8000:5ca1::5a4:***:*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১২:৩৪103547সবই করা যায় যতক্ষণ তার মধ্যে সেই ভালবাসাটা থাকে। কৃষ্ণকে অবতার না ভেবে গোপাল বলে আদরও করা যায়। তার বদলে "হ্যাহ্যা তোরা তো ঐ লম্পটকে নিয়ে নাচিস", "সব আফিমের কারবার", "রাম তোদের, রামমোহন আমাদের", আবার "রামমোহন তো সাহেবভজা" এসব ছাগলামি করলে আম পাবলিকের কাছে কি মেসেজ যায় সেটা একটু ভেবে দেখবেন। তারপর ফ্যাসিবাদ এসে সব খেয়ে ফেলল গো বলে নাকিকান্না? আরে নেতাজিকেও ফ্যাসিবাদি বানিয়ে দিয়েছিল কারা? সবাই সব ভুলে যাবে?
PT | 45.64.***.*** | ১২ মার্চ ২০২১ ১২:৪২103548"হ্যাহ্যা তোরা তো ঐ লম্পটকে নিয়ে নাচিস"
কে বলেছে এমন কথা?