ফ্যাসিবাদী উত্থান প্রসঙ্গে আমাদের মাথায় রাখতেই হবে বহুবার উচ্চারিত কথাগুলি, যেমন ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট কালপর্বে হিটলার-মুসোলিনি-ফ্রাঙ্কো-তোজোর উত্থান হয়েছিলো। পুঁজিবাদ যখন সংকটে পড়ে, তখন সে কম সময়ের জন্য হলেও একটি উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শকে হাজির করে, যাকে আমরা ফ্যাসিবাদ নামে চিনি। এখন বেশ কিছু তাত্ত্বিক এমনও বলে থাকেন, শ্রমজীবী মানুষের তীব্র গণরাজনৈতিক আন্দোলন যখন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তখন তা যেন বামপন্থী বিপ্লবের পথ না ধরে, তাই ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। জনগণের সামনে, সকলের কাজের অধিকারের সমাধানকে, সুচিন্তিত ভাবে পর্যবসিত করা হয় জাতিঘৃণায়, একটি অপর নির্মাণ করে, তাকে বিতাড়নের মাধ্যমে সব অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে বলে বর্ণনা করা হয়। যেমন জার্মানির সকল সমস্যার মূলে ইহুদিরা, তা খুব গভীরে প্রোথিত করা গিয়েছিলো, এবং ইহুদি নিধনের মাধ্যমেই যে সকল সমস্যার সমাধান এই লাইনটি জনপ্রিয় করা গিয়েছিলো। এখন সারা বিশ্ব জুড়ে বহু জায়গায়, যেমন ব্রাজিলের বলসোনারো, আমেরিকার ট্রাম্প, ব্রিটেনের জনসন বা ভারতের মোদী, এদের উত্থান হচ্ছে, একে অনেকেই ফ্যাসিবাদের উত্থান বলে অভিহিত করছেন। আসলে বিগত ২০ বছরে লিবারাল রাষ্ট্র মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারেনি, সারা বিশ্ব জুড়েই সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রথম অভিযান পরাজিত, সেখানে মানুষের নতুন আদর্শের এবং ব্যবস্থার প্রতি আকাঙ্ক্ষাকেই পরিপূর্ণ করছে ফ্যাসিবাদ, এ কথা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে। পুঁজিপতিদের লাগামহীন সমর্থন, বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার অপপ্রচার, ডেটা ম্যানুফ্যাকচার সব ধরে নিলেও এই ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পক্ষে বুঝে না বুঝে এক বিপুল সংখ্যক মানুষ আছেন। আমেরিকায় ট্রাম্প হেরে গেলেও, তিনি সেখানে ভোটের শতকরা হিসেবে খুব পিছিয়ে ছিলেন না। তারপর হাউজ দখলের কর্মসূচিতেও ব্যাপক পরিমাণ হ্যাভনট আমেরিকান অস্ত্র হাতে ট্রাম্পের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
পিকেটি দেখাচ্ছেন ১৯২০’তে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সমাজের উপর তলায় বিপুল সম্পত্তি জমায়েতের কারণে ফ্যাসিবাদের উত্থান অবশম্ভাবী হয়ে উঠেছিলো, সেই সমস্যা সমাধিত হয় দুটি বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে। তারপর ৩০ বছর দেশে দেশে কল্যাণকামী ধরনের সরকার গঠন হয়েছে, অর্থনৈতিক বৈষম্যে একটা দূর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেও ছিলো। আবার ৭০ পরবর্তীতে এই বৈষম্য বাড়তে শুরু করেছে, ২০১০-এ এসে সেটা চরম মাত্রা ছুঁয়েছে, এবং সেই কাল পর্ব থেকেই দেখবো দেশে দেশে এক ধরনের অতিদক্ষিণপন্থী ঝোঁক তৈরি হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা বিচার করবো পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির উত্থানকে। এই অর্থনৈতিক কারণ ব্যতিরেকেও ফ্যাসিবাদী যাত্রাপথ কাভাবে এতোটা সুগম হলো, তা বুঝবার চেষ্টা করছি।
কর্তৃত্বের পক্ষে মনোভাব
করোনা আবহে আমরা দেখতে পাবো, নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে আহ্বান দিলেন করোনা ভাইরাস আটকাতে থালা বাজাতে, হাততালি দিতে, একদিন সন্ধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন কাল থেকে লক ডাউন, আমরা দেখলাম সকল মানুষ কম বেশি ঘরে ঢুকে গেলেন, আসলে এর মধ্যে দিয়ে কর্তৃত্বের নির্দেশ পালনের মনোভাব কতটা গভীর সেটা বোঝা যায়। আমরা যখন বড়ো হচ্ছি তখন আমাদের পরিবারের মধ্যে, যখন স্কুলে যাচ্ছি, অফিস করছি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে অংশ নিচ্ছি, কম বেশি সব জায়গাতেই প্রশ্নহীন আনুগত্যের বিষয়টি এখনো প্রবল। বাড়িতে আমরা মূলত বাবার বিরুদ্ধে কথা বলি না, স্কুলে মাস্টারকে প্রশ্ন করিনা, মোদ্দায় মনে করি, এঁরা আমাদের ভালোর জন্যই শাসন করছেন। এটি প্রতিটি স্তরে আছে। ফলে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তা মঙ্গলের জন্যই বলছেন, এমন মনোভঙ্গি থাকতে বাধ্য। সম্প্রতি আমি গিয়েছিলাম কোচবিহারে। সেখানে দীর্ঘদিনব্যাপী রাজতন্ত্র ছিল, এমনকী ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে কোচবিহারের মানুষ ব্যাপক মাত্রায় অংশ গ্রহণ করেননি, ওখানে এই রাজার (আজকের শাসক) প্রতি আনুগত্যের ভাব অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। আবার যখন পাঞ্জাব আন্দোলনে যাই, যখন দেখি লাল কিল্লায় তারা নিশান সাহিবের পতাকা তোলে, সে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারি, এই লাল কিল্লায় পাঞ্জাবের পতাকা উত্তোলন এই প্রথম নয়, মুঘল আমলে বহুবার সংঘর্ষে পাঞ্জাব দিল্লিতে পতাকা তুলেছে। লড়তে লড়তে একটা জাতির মানসিক গঠন একভাবে নির্মিত হয়। ৩৫ বছর এই রাজ্যে তথাকথিত বাম শাসন ছিলো, যেখানে বড় মাত্রায় সমাজের প্রায় প্রতিটি বর্গের মানুষ কোন না কোন ভাবে পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলো। রাজনৈতিক ভাবে কী হয়েছে, সে আলোচনা স্বতন্ত্র, কিন্তু আসলে গোটা সমাজ জুড়ে কোন দর্শন চারিয়ে গেছে তার দিকে নজর দিতে হবে। পার্টির সমর্থক পার্টির লোকাল কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না, পার্টির লোকাল জোনালের বিরুদ্ধে, জোনাল জেলার বিরুদ্ধে, জেলা কমিটি রাজ্য কমিটির বিরুদ্ধে, রাজ্য কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি পলিটব্যুরোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারবে না। পলিটব্যুরো যা ঠিক করছেন তা স্তরে স্তরে পালন করার নির্দেশ আসছে, এর মধ্যে দিয়ে ‘কেন্দ্র’র প্রতি আনুগত্য এবং নির্ভরশীলতা তৈরি হয়, সেই সমাজে সব থেকে যা শক্তিশালী হয়, তা ফ্যাসিবাদী মনোভাব। এই মনোভাবের চাষ হতে হতেই এই পলিটব্যুরো পর্যবসিত হয় ফ্যুয়েরারে, ওখানে আপনি পলিটব্যুরোর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতেন না, এখানে সুপ্রিম নেতার বিরুদ্ধে আপনি আওয়াজ তুলতে পারেন না, আসলে এই সিস্টেমের জন্ম দিয়ে চলে আমাদের মধ্যে থাকা প্রশ্ন না করার মনোভাব। পরবর্তীতেও পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু একধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলের হাতে সরকার থাকায়, সেই মনোভাবের পালে হাওয়া বেড়েছে বৈ কমেনি, সবই আজকাল ‘অনুপ্রেরণা’র অংশ।
ভারতীয় সংবিধান নির্মাতারা যেটুকু অধিকার সুরক্ষিত করেছেন, তা যদিও সবটুকু নয়, তবু সেটুকুও রক্ষিত হয় না, লঙ্ঘিত হলেও মানুষের কিছু যায় আসেনা, কারণ নিম্নবর্গীয় সচেতন মানুষের আন্দোলনের চাপে তা নির্মিত হয়নি। কিছু বুদ্ধিজীবী তাঁদের মতন করে সংবিধান রচনা করেছেন, কিছু কিছু অধিকার সুরক্ষিত করেছেন, কিন্তু তা যেহেতু উপর থেকে চাপানো, ফলে কার্যকর হয়নি।
সাংস্কৃতিক শূন্যতা
ফ্যাসিবাদের যেমন কতকগুলি অর্থনৈতিক কার্যক্রম থাকে, তেমনি থাকে কতকগুলি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, যেমন ভারতে ফ্যাসিবাদ সকল মানুষের উপর হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুত্ব চাপাতে চায়, তারা মনে করে এটিই সব থেকে শ্রেষ্ঠ মতাদর্শ। প্রশ্ন হলো এই মতাদর্শ নির্মাণ হয় কীভাবে বা কী করে এর পক্ষে এতো মানুষ দুহাত তুলে সমর্থন জানান? কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তর বাংলায় এক বিখ্যাত লোকজ দেবতা হলেন মাসান, এ দেবতার বাস জলের ধারে ধারে, কথিত আছে, কেউ যদি চুনো মাছ ধরেন বা জলাশয়ের ক্ষতি করেন তবে তাঁকে মাসানে ধরে। নদী নালা বেশি হওয়ায় ওখানে বহু বিচিত্র রকমের মাছ পাওয়া যায়, এবং এই ২০২১ সালে দাঁড়িয়েও জানা যায়, ওখানে মাছ ধরবার ৫০ রকমের দেশিয় উপকরণ আছে, তাতে মা-মাছ রক্ষা পায়, যাদের পেটে ডিম থাকে, ছোট মাছ রক্ষা পায়। আসলে জেলে মাঝিদের মধ্যে এই রীতির প্রচলন সুপ্রাচীন, বোঝা যায় সেখান থেকেই এই মাসানের জন্ম। এর সঙ্গে ঠিক প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে এক করা যায় না, ওই অঞ্চলের আদিবাসী হিন্দু মুসলমান সকলেই মাসানকে মানেন। এবারে উত্তরবঙ্গ গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো, মাঠের আল দিয়ে চলেছি, সামনেই এক সাঁকোর ধারে মাসানের থান, তার ঠিক পাশেই বিকালে তিন সই গল্প করছে, তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কোথায় পড়াশুনা করছো, জানতে পারলাম, তারা মাথাভাঙ্গা কলেজের ছাত্রী, তাদের মাসানের কথা জিজ্ঞাসা করায় তারা বলল বাড়ির বড়’দের জিজ্ঞাসা করতে হবে। এখানেই সাংস্কৃতিক শূন্যতা টের পাওয়া যায়।
ওখানে গিয়েই শুনেছিলাম সাহেব ঠাকুরের কথা, নামটা লক্ষ করুন- তিনি বেশভূষায় মুসলমান, মাথায় ফেজ টুপি, পরনে ফতুয়া আর লুঙ্গি, ভাবলে অবাক হতে হবে যে ওই অঞ্চলের সব হিন্দু পূজা পার্বণে প্রথমে সাহেব ঠাকুরকে তিনবার সালাম জানিয়ে সব কাজ শুরু করে।
যদি বাংলার মধ্যভাগে আসা যায়, দেখা যাবে জঙ্গল মহল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে আদিবাসীদের বাস, সেখানে বহু গ্রামে আজ পুরুষ-মহিলারা দুর্গা উৎসবে ডিজে বাজিয়ে নাচছেন। এদিকে লোকগাথায় আদিবাসীরা হলেন মহিষাসুর বা অসুরের বংশ আপনি যদি ঝাড়খণ্ড ছত্তিসগড় চলে যান, দেখবেন, সেখানকার বাসিন্দাদাদের সঙ্গে দুর্গা পূজার বিরোধ নেই, কিন্তু তাঁরা মনে করেন আদিবাসী সমাজের বীর যোদ্ধা ছিলেন অসুর, সুর-অসুর বা আর্য-অনার্য যেভাবেই আখ্যায়িত করুন, তাঁরা মনে করেন অনার্য বা অসুর সম্প্রদায়ের বীর সন্তানকে হত্যা করা হয়েছিলো, তিনি শহিদ, ফলে তাঁরা ওই চার দিন অরন্ধন করেন। এখানে দেখা যাবে একটি ‘অন্য’ সংস্কৃতির রেশ, যার লেশমাত্র বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী গ্রামে দেখা যাবে না।
মনে রাখা দরকার এই লোকজ সংস্কৃতিগুলি জন্ম নেয় স্থান বিশেষে, তার একটি অঞ্চলগত ইতিহাস থাকে, ফলে সে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় আবেগের উপরে উঠতে পারে, সমগ্র জনগোষ্ঠীটি তাতে শামিল হয়। বিগত কুড়ি বছর ধরেই এই সংস্কৃতিগুলি কমে আসায় জোরালো হচ্ছে বাংলায় বজরংবলীর মন্দির, গণপতি বাপ্পা পূজা এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান। বিগত কুড়ি বছর ধরে, বিশেষ করে কলকাতা তথা বঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছে বলিউড ফলে আমাদের মধ্যে প্রোথিত হয়েছে হিন্দি সংস্কৃতি, আমাদের এখানের প্রগতিশীল সরকার, প্রগতিশীল বহু নকশালপন্থী দল, গণতান্ত্রিক সংগঠন, পত্রিকা গোষ্ঠী, কোনদিনই এই লোকজ সংস্কৃতিগুলি সম্পর্কে তলিয়ে ভাবেনি, মানুষকে উন্নত সংস্কৃতি দিতে তো পারেইনি, উপরুন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সাথে এগুলিকে মিলিয়ে ফেলে সামগ্রিক বিরোধ তৈরি করেছে, ফলে নতুন সংস্কৃতির জন্ম হয়নি, যেটা হয়েছে, মানুষ তার শিকড়কে ভুলেছে, কনফিউজড বাম সরকার বা দল, দুর্গা পূজায় কমিউনিস্ট বুক স্টল দিয়েছে, সেখানে যেমন ইচ্ছা রামায়ণ-মহাভারত-মহালয়ার পাঠ-বয়ান চলেছে, মধুসূদন দত্তের একটি মাত্র মেঘনাদ বধ কাব্য বাদ দিলে কোনো দিনই ভেবে দেখতে বলা হয়নি, রাম-লক্ষণ, শূর্পনখার সঙ্গে বা ভীম ঘটোৎকচ-হিড়িম্বার সঙ্গে যেটা করলেন তা কার্যত আদ্যন্ত নারী এবং আদিবাসী-অনার্য বিদ্বেষ। তাঁদের অংশিদারিত্ব বা সম্মান না-দেওয়া। একটি জনজাতি যখন তার নিজস্ব ইতিহাস সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়, তখনই সে নিপীড়নের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করতে পারে। এর বিস্তারিত তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এডোয়ার্ড সাইদ তাঁর ওরিয়েন্টালিজম গ্রন্থে দিচ্ছেন।
আমরা এটা কখনই দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রে দেখতে পাবো না, লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেও বিজেপি আরএসএস মোদ্দায় তামিল জনগোষ্ঠীকে তাদের দিকে আনতে পারছে না, কারণ তাঁরা তাঁদের ইতিহাস চেতনা, ভাষা ভুলে যাননি, তাঁরা নির্লজ্জের মতো বলিউডের নকলনবিশি করেনি, ভেগানিজমের লজিক দেখিয়ে সেখানে জালিকাট্টু বন্ধ করানো যাচ্ছে না, সেখানে অর্ণব গোস্বামীর মতো পেয়াদা নামিয়ে এক লহমায় হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করা যাচ্ছে না, কারণ তারা পুছতা হ্যাঁয় ভারত দেখবে না, কর্তৃত্ববাদী ভারত রাষ্ট্রের আইডিয়ার সঙ্গেই তাঁদের মৌলিক বিরোধ আছে, তাই ওই অঞ্চলে ফ্যাসিবাদী রথ বারেবারে লাট খাচ্ছে।
যেখানে যেখানে লোকজ সংস্কৃতি ভাষা ইতিহাস মানুষ ভুলবে সেখানে সেখানেই এই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি ডিম পাড়বে, আস্তে আস্তে সেই ডিম দৈত্যের রূপ নেবে, যেখানে পঞ্চানন বর্মা ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধ্বে রাজবংশী ভূমি পুত্রদের ৬ গ্রন্থি পৈতা শরীরে তুলে দিয়ে লড়াইয়ে আনছেন (সেই আন্দোলন আজ সমর্থন করবো কিনা, তা স্বতন্ত্র প্রশ্ন), তা সম্পূর্ণ বিস্মৃত না হলে কোনো ভাবেই রাজবংশীদের আত্মীকরণ করা সম্ভব নয়। তেমন ভাবেই আদিবাসী মতুয়াদেরও নিজস্ব ইতিহাস আছে, বছরের পর বছর খ্রিস্টান মিশনারিরা ছত্তিসগড় ঝাড়খণ্ডে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বাংলার আদিবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ছলে বলে তাদের ধর্মান্তরিত করেছে, তারা সামগ্রিকভাবেই তাদের প্রকৃতি উপাসনা ভুলেছে, তাদের মধ্যেও গেড়ে বসেছে হিন্দি-হিন্দু আইকন।
কেবল বিজেপিকে ভোটে হারিয়ে, বা আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়তে হবে, এমন শুষ্ক ডাক দিয়ে এসব রোখা যাবে না।
অন্য্ দৃষ্ষ্টিকোন . ...ভাল লাগলো ।..চিন্তাও করালো
বেশ ভালো লাগলো। নিজেদের সংস্কৃতি কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তাকে ভালোবাসতে হবে। তবেই এই অবক্ষয় রোধ করা যাবে। যে বাঙালি নিজেই বাংলাকে ছোটো মনে করে, হিন্দিতে ঝগড়া করে, ইংরেজিতে খাবার অর্ডার দেয়, বলিউড হা করে গেলে আর অষ্টমী আর সরস্বতী পুজোর দিন শুধু পাঞ্জাবি পরে সেলফি তোলে সে সংস্কৃতি কে কতটা বাঁচাতে পারবে তা ভাবতে হবে। বাংলা কে হীনমন্যতা থেকে বার করে আনতে হবে আগে। বাংলা কে ভালোবাসতে শিখতে হবে। বহিরাগতরা হিন্দি বললেও নিজে বাংলায় জবাব দেব এই শিরদাঁড়া শক্ত করতে হবে। নইলে বাঙালি 'বাংগালি' হয়ে যাবে আর ফেস্টিভ্যাল 'মানাবে' । ইংলিশ শিখব, ব্যবহার প্রয়োজন বোধে করতে হবে, কিন্তু আমেরিকান কালচরে ভিড়ে যাবো না। এইটা আগে ঠিক করতে হবে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক খোঁয়াড়ি আমাদের বাঙালিদের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে, ফলতঃ পুঁজিবাদ সহজেই জায়গা করে নেয় মানসিকতায়। দুঃখের বিষয়, এসবে মনোযোগ কম দিয়েছি প্রত্যেকেই, গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে গেছে মার্কসবাদ এবং প্রাসঙ্গিক তত্ত্বের অবতারণা। তবে নাতিদীর্ঘ তথ্যবহুল লেখাটার শেষ পংক্তির স্লোগান কিন্তু একাই শুকনো নয়, বেশকিছু প্রগতিশীল স্লোগান বাংলার গন্ধশব্দ হারিয়ে শুকনো হয়ে পড়েছে।
রামায়ণ-মহাভারতের বয়ান বিকৃতি, দুর্গাকে বেশ্যা বানানো, সরস্বতীর ঠোঁটে চুমু খাওয়ার প্রগতিশীলতা শিরদাঁড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন ছিলঃ "এ কথা ভারতবর্ষ ভুলিতে পারে নাই যে তিনি চণ্ডালের মিতা, বানরের দেবতা, বিভীষণের বন্ধু ছিলেন। তিনি শত্রুকে ক্ষয় করিয়াছিলেন এ তাঁহার গৌরব নহে, তিনি শত্রুকে আপন করিয়াছিলেন। তিনি আচারের নিষেধকে, সামাজিক বিদ্বেষের বাধাকে অতিক্রম করিয়াছিলেন ; তিনি আর্য অনার্যের মধ্যে প্রীতির সেতু বন্ধন করিয়া দিয়াছিলেন।" তাকে আর্য আক্রমণের তত্ত্বে দাঁড় করানো হয়েছে। কালী নিয়ে, শিবলিঙ্গ নিয়ে কুৎসিত বক্তব্য প্রোমোট করে সারাক্ষণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে অপমান করা হয়েছে। "নাই যে ধান খামারে মোর কপালগুণে" গানকে নিয়তিবাদী বলে লেখকের কৈফিয়ৎ চাওয়া হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্রকে সাম্প্রদায়িক, রবীন্দ্রনাথকে বুর্জোয়া, বিদ্যাসাগরকে ব্রিটিশের দালাল, রামকৃষ্ণকে মৃগীরুগী, নেতাজিকে তোজোর গাধা বলে বলে নিজের রাজ্যে বাঙালির অপরায়ন এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে বাংলার বাইরে থেকে সংস্কৃতি আমদানি হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা ছিল। এখন সাংস্কৃতিক শূন্যতা নিয়ে হাহাকার করলে ঘুড়ায় হাসব।
"রামায়ণ-মহাভারতের বয়ান বিকৃতি"
ও মাইকেল সাহেব শুনছেন, আপনি বাংলা সংস্কৃতির কি সর্বনাশ করে গিয়েছেন? আপনিও কি কমুসিস্ট ছিলেন নাকি?
যেখানে যা কিছু ঘটে অনিস্টি / সকলের মূলে কমুনিস্টি
বর্তমান ভারতে বিজেপি একটি ভয়ঙ্কর শক্তি। কিন্তু আজ প্রশ্ন উঠবে, বর্তমান ভারতে বিজেপি এত শক্তিশালী হয়ে উঠলো কিকরে? কেন বামপন্থীরা বিকল্প পথ দেখাতে ব্যর্থ?
ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখতে পাই যেকোনো দেশের আন্দোলন সেদেশের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে আশ্রয় করেই গড়ে ওঠে। নিজস্ব সভ্যতাকে অস্বীকার করে কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনা। মার্কস থেকে ঋত্বিক সবাই এটা জানতেন। কিন্তু আমাদের দেশের মহাবিপ্লবীরা এই তত্ত্ব জানেননা! আমাদের দেশের সভ্যতার সবকিছুই তাঁদের চোখে "হিন্দুত্ববাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ"! নিজের দেশের সভ্যতা সম্বন্ধে তাঁদের কোনো ধারণা নেই, সাধারণ মানুষের চিন্তার সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগ নেই। বিজেপি এই শূন্যতা খুব দ্রুত পূর্ণ করেছে নিজেদের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক চিন্তার মাধ্যমে!
তাই বিজেপিকে আটকাতে হলে আগে নিজের দেশটাকে চিনুন, সেদেশের সভ্যতাকে ভালো করে জানুন। রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ ভালো করে পড়ুন! ফেসবুক, ব্লগে বুলি কপচে বিজেপিকে আটকানো যাবেনা!
তাই দীপচো গুরুর বুলবুলভাজায় এসে বুলি কপচায়। এটা ব্লগ নয় গুরুর আলাদা ব্লগ আছে সেটা এর বিবুগোঁজা মাথায় ঢোকে নি।
এদিকে একসাথে ভেবে লিখে উঠতে পারে না আমাশা হয়ে যায়।
বর্তমান লেখা থেকেই উদাহরণ দেওয়া যাক। লেখক হুদুড়দুর্গা নামক এক তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। শক্তিবাদ ও মাতৃউপাসনার সূচনা, ধারাবাহিক বিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু প্রামাণ্য বই পড়েছি। কোথাও এই অসামান্য তথ্য পাইনি। বরং বর্তমান দুর্গাপূজা বহুক্ষেত্রেই বিভিন্ন অবৈদিক জনগোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত, তার পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়! আর অসুর কোনো অনার্য জাতি নয়, ইন্দোইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর একটি শাখা তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে বসতি স্থাপন করেছিলেন! অর্থাৎ কোনোভাবেই মহিষাসুর অনার্য নেতা আর দুর্গা বহিরাগত আক্রমণকারী প্রতিনিধি- এই গপ্প আনা যাচ্ছেনা! আর মাতৃউপাসনা একটা সময় ইউরোপীয় মহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য - এসব স্থানে প্রচলিত ছিল। সেখানেও সিংহবাহিনী মাতৃমূর্তি পাওয়া গেছে! সুতরাং হুদুড়দুর্গা গল্প কোনোভাবেই দাঁড়ায় না! অথচ তারপরও এই তথাকথিত বিপ্লবীরা এই গপ্প আউড়ে চলেছেন! আর লাভ হচ্ছে বিজেপির!
তথ্যবিকৃতিতে দক্ষিণপন্থী, বামপন্থী- কেউ কম যায়না!
@দীপ,
মনুসংহিতায় জাতপাত, নারীবিদ্বেষ ব্রাহ্মণবাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার ইত্যাদি নিয়ে কী বক্তব্য, শুনতে আগ্রহী।
Ranjan, আমি রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ পড়তে বলেছি, মনুসংহিতা নয়। ভুলভাল কথা বলবেন না!
আর রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ কখনো জন্মগত ব্রাহ্মণত্বের কথা বলেননি, গুণগত ব্রাহ্মণত্বের কথা বলেছেন! বিবেকানন্দ খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন স্মৃতিশাস্ত্রগুলি সামাজিক নিয়মকানুন মাত্র এবং কখনোই অনড়-অচল ব্যবস্থা নয়! আজকের যুগে প্রাচীন স্মৃতিশাস্ত্র কখনোই চলবেনা! বলছেন দুষ্ট পুরোহিতদের সমাজে কোনো প্রয়োজন নেই!
বিবেকানন্দ মূলত বেদান্ত দর্শনের কথা বলছেন, যেখানে সমস্ত কিছুই ব্রহ্মের প্রকাশ! রবীন্দ্রনাথের মতে বিবেকানন্দের এই বাণী বাংলার যুবসমাজকে ত্যাগের পথে, কর্মের পথে প্রবৃত্ত করেছে। ভারতে বিবেকানন্দের বক্তৃতাগুলি পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন তবে নিশ্চয় দেখেছেন বিবেকানন্দ সেখানে ভারতের অধঃপতনের জন্য উচ্চবর্ণকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন!
একইভাবে রবীন্দ্রনাথের লেখাতে জাতিভেদ প্রথাকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে!
"হে মোর দুর্ভাগা দেশ যাদের করেছ অপমান,। অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!"
জন্মসূত্রে কেউ ব্রাহ্মণ বা শূদ্র হয়না, সে তার গুণ ও কর্মের দ্বারা ব্রাহ্মণ বা শূদ্র হয়! (মহাভারত)
গুণ ও কর্মের বিভাজনের মাধ্যমে চতুর্বর্ণ সৃষ্টি হয়েছে। (গীতা)
শিখা বা সূত্রের দ্বারা কেউ ব্রাহ্মণ হয়না, যিনি সমস্ত কামনা বাসনাকে জয় করেছেন, তিনিই ব্রাহ্মণ, তাঁকে নমস্কার! (ধম্মপদ)
আর এটা আশাকরি এটাও জানেন আজ থেকে একশো বছরেরও আগে বেলুড় মঠে সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে খাওয়ানো হতো, যা তৎকালীন সমাজে প্রচণ্ড আলোড়ন ফেলেছিল। গোঁড়া ব্রাহ্মণরা বলতেন বিবেকানন্দ সবার জাত মেরে দিচ্ছে! মহেন্দ্রনাথ দত্তের লেখায় এসব পাওয়া রায়। আশা করি পড়েছেন।
আজ ভারতীয় সমাজ থেকে জাতিভেদ প্রথা ক্রমশ দূরীভূত হচ্ছে যা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু অন্যদিকে আসছে অর্থনৈতিক শ্রেণীবিভাগ, যা মানুষকে অর্থের মানদণ্ডে বিচার করছে। অর্থকৌলীন্যই সেখানে একমাত্র বিবেচিত। বঙ্কিম তাঁর একাধিক প্রবন্ধে এই ধনতান্ত্রিক সভ্যতার বিপদ সম্বন্ধে আমাদের সচেতন করে তোলেন! যদিও এই নিয়ে বঙ্গীয় বামেদের বিশেষ আলোচনা করতে দেখা যায়না! তাহলে তো পার্টি প্রোপাগান্ডা অনুযায়ী বঙ্কিমকে সাম্প্রদায়িক প্রতিপন্ন করা যায়না!
ইতিহাসকে নিজেদের স্বার্থে সবাই বিকৃত করে!
রামকিশ্নচাড্ডি দীপছুঁচো আবার হাগতে লেগেচে
কোকেনএর ডোজ বাওয়া চড়ে আছে পুরো। স্বাভাবিক ভদ্রভাবে কথা বলতে শেখেই নি ধমকাচ্চে। আহা বাল্টিমোর
আর লেখক জানেন না রামায়ণ- মহাভারতকে নানা লেখক বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন! অসামান্য সৃষ্টি "কর্ণকুন্তী সংবাদ", "গান্ধারীর আবেদন"! বুদ্ধদেব বসু রচনা করেছেন, "প্রথম পার্থ", "সংক্রান্তি" যেখানে নায়ক কর্ণ, দুর্যোধন! সংস্কৃত সাহিত্যের অসামান্য নাট্যকার ভাস তাঁর একাধিক নাটকে দুর্যোধনকে নায়করূপে উপস্থাপিত করেছেন, কৃষ্ণ সেখানে পার্শ্বচরিত্র মাত্র। ভারতীয়সভ্যতার বিশালত্ব ও বহুমাত্রিকতা সম্পর্কে লেখকের সামান্যতম ধারণা নেই!
বিবেকানন্দ গুণগত ব্রাহ্মণত্বের গুণ যতই গেয়ে থাকুন না কেন ওনার প্রতিষ্ঠানে জন্মগত ব্রাহ্মণ না হলে ঠাকুরঘরে পুজো করতে দেওয়া হয় না। এখন আবার অন্য রকম জাস্টিফিকেশন শোনা যাবে :)
আর মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজার কোনো যোগ নেই। ওই দিন পিতৃপক্ষ শেষ হয়, পরেরদিন থেকে দেবীপক্ষ শুরু। কোনো বিষয় নিয়ে লিখতে হলে একটু পড়াশোনা করতে হয়!
ওসব বহুমাত্রিকতা জায়গা মত বললে গর্বিত হিন্দুরা বাটাম দিয়ে বক্তাকে শুদ্ধু একমাত্রিক বানিয়ে দেবে। ইবাংলা লাইব্রেরি বলে একটা সাইট আছে, সেখানে সব বাংলা বইপ্ত্র ইউনিকোড ফন্টে পড়া যায়, লোকজন ওসিআর স্ক্যান করে ধুয়ে মুছে তোলে। সেখানে প্রতিভা বসুর মহাভারতের মহারণ্যকে লোকজন গালাগাল দিয়ে একশা।
পড়াশোনা করা খুব ভালো, করাই উচিত। তার সঙ্গে একটু, বেশি না, একটু, বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করাও ভালো। সেই কে যেন বলেছিলেন না, ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো?
r2h, ঠিক তেমন এখানে গালাগালির বন্যা ছুটছে! কোনো পার্থক্যই তো দেখতে পাচ্ছিনা!
Abhyu বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার তথ্য ভুল! আমাদের হোস্টেলের ঠাকুরঘরে তিনি পূজা করতেন, তিনি অব্রাহ্মণ, পদবী দাস।
হোস্টেলে না, বেলুড় মঠে। প্রতি হোস্টেলে অতো ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারীর সাপ্লাই পাওয়া সহজ না :)
এবার মিশনের কয়েকজন সঙ্ঘাধ্যক্ষ নিয়ে আলোচনা করা যাক!
স্বামী ব্রহ্মানন্দ (রাখালচন্দ্র ঘোষ)। বিরজানন্দ (কালীকৃষ্ণ বসু)। । মাধবানন্দ (নির্মলচন্দ্র বসু)। গম্ভীরানন্দ ( যতীন্দ্রনাথ দত্ত)। এঁরা অব্রাহ্মণ হয়েও সঙ্ঘের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন।
গত শতকের পাঁচের দশকে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শাখাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাখার প্রথম অধ্যক্ষ ঈশানানন্দ, পূর্বাশ্রমে মন্ডল। মিশন ব্রাহ্মণ্যবাদকে প্রশ্রয় দেয়!
এনারা প্রথম দিকের লোক।
তা আপনি একজন অব্রাহ্মণের নাম করুন গত পঞ্চাশ বছরে যিনি বেলুড় মঠে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পূজক হয়েছেন। আগে এটাও ভাবা যেত না বেলুর মঠ থেকে বলা হবে থালা বাজান, কি মোদী খুব ভালো প্রধানমন্ত্রী। আগের কথা দিয়ে কী হবে? রাজা মহারাজের স্ত্রী ছিল এই উদাহরণ এখন কোনো বিবাহিত হোক গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসী হতে পারবে?
ঐ যে বললাম, পড়াশুনার সাথে একটু ভাবনাচিন্তা করলেও সেটা খারাপ না।
নিজের সংস্কৃতি ধরে রাখার পথে কতজনের কতরকম বাধা এ পাতাতেই বেশ বুঝতে পারছি। কাঁকড়ার জাতের যা হবার তাই হবে। রামকে সীতাপোড়ানো আগ্রাসনকারীরূপে দেখায় কোন গ্রুপ? কৃষ্ণকে লম্পট বানিয়ে প্রচার করে কারা? (একটি ছাগল আবার ভাবছে এসব মাইকেল সাহেব করে গেছে!)
গম্ভীরানন্দ ১৯৮৮ সালে প্রয়াত হয়েছেন। আর তাহলে তো একজন মহিলার সংসার ভাঙবে!
আর মিশনকে কাজ করার জন্য সবার সঙ্গে ই সুসম্পর্ক রাখতে হয়।
একদম ঠিক কথা Hmm. মধুসূদনের অসামান্য প্রতিভার ভগ্নাংশমাত্র নেই তো কি হয়েছে? তেড়ে গালিগালাজ তো করতে পারি! সেখানে প্রতিভার কোনো কমতি নেই!
এইভাবে এঁরা বিজেপিকে আটকাবেন!
@ দীপঃ "ভাস তাঁর একাধিক নাটকে দুর্যোধনকে নায়করূপে উপস্থাপিত করেছেন"
অফ টপিক হয়ে যাচ্চে, তবু একটু জিজ্ঞাস্য । ঊরুভঙ্গম ছাড়া অন্য কোন নাটকে দুর্যোধন নায়ক?