পীরজাদার রাজনৈতিক রূপান্তর ও বিবর্তনটার দিকে একবার চোখ মেলে দেখে নেওয়া যাক।
শওকত মোল্লা ভাল না খারাপ সেটা যে যার মত হিসেব করুন। কিন্তু শওকত মোল্লা একজন রাজনৈতিক কর্মী। আজ জিতেছে, কাল হেরে যাবে। আর সেই শওকত মোল্লা এই পীরজাদাকে পীরজাদা হিসেবে পাত্তা দেয় নি, তার বাহুবলিত্বের কনুই ধরে মুচড়ে দিয়েছিল। তারপরই পীরজাদার নেতা হওয়ার ইচ্ছা চাগাড় দিয়ে ওঠে। তার রাজনৈতিক ভাষণ শুরু হয় তার ওয়াজ মেহফিলেই! তার শুরুয়াতি রাজনৈতিক বক্তব্য কী ? “দাদাহুজুরের হাত ধরে জান্নাত যেতে চাও আর পীরজাদার আদেশে ভোট দেবে না?” হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। এটা কমরেড পীরজাদার প্রথম ফতোয়া। প্রথমে তিনি মমতারই দ্বারস্থ হন। বাদ সাধেন তাঁর চাচা ত্বহা সিদ্দিকী। পীর পরিবারের প্রত্যক্ষ রাজনীতি করায় আপত্তি তার। শওকত মোল্লা তো ছিলই।
এরপরের ঘটনাক্রম দেখার মত।
দিলীপ ঘোষ তাঁকে রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য অভিনন্দন জানান, ওয়েসি ফুরফুরা আসেন, বলে যান যে তিনি এখানে মিমের সংগঠন বানাবেন না, আব্বাসের সঙ্গে থাকবেন। এবং কালাতিপাত না করে সিপিএম-কংগ্রেস তাঁর কাছে যায় কবুল-কবুল-কবুল বলতে! সুতরাং ধর্মও এল, জিরাফও এল, পীরজাদার কদমবোস করতে।
একটি বোধোদয় বিমানবাবুদের হয়েছে: যেন-তেন-প্রকারেণ-মমতাকে-হারানোর জন্য ২০১৬তে তারা যে ভোট পদ্মপুষ্পায়ঃ নমঃ করেছিল তা আর ফেরত আসছে না। তাই মমতারই ‘মুসলিম তোষণের’ কম্যুনিস্টিক সংস্করণ সৃষ্টি করার এই মহৎ প্রয়াস। মমতাকে মমতার খেলায় মাৎ দিতে হবে। বিমানদার নিজের সিদ্দিকুল্লা চাই। হ্যাঁ, বিমানবাবুরা জামায়েত উলেমায়ে হিন্দের পদাধিকারী বলে সিদ্দিকুল্লাকে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি মনে করেন। পড়াশোনা করার জন্য বিখ্যাত কমরেডরা ‘জামায়েত উলেমায়ে হিন্দ’ শব্দবন্ধের মানে জানে না, সংস্থাটির ইতিহাস জানে না। চাড্ডিমান্য সংজ্ঞা অনুযায়ী দাড়ি আর টুপি ছাড়া সিদ্দিকুল্লার কোন নেড়েগুণ নাই। অধুনা রাজনৈতিকোচিত হার্মাদপনা, বাটপাড়ি অবশ্যই আছে। তবু, বিমানদা যখন বলেছেন, তখন সিদ্দিকুল্লা জামাতে উলেমায়ে হিন্দের পদাধিকার বলেই সাম্প্রদায়িক। তাই বিমানদার এককাঠি সরেস, নিরেট, একেবারে একটা আস্ত জ্যান্ত পীরজাদা চাই! উলেমায়ে হিন্দ বনাম স্বয়ং শ্রীমান পীরজাদা! ইহা ধ্রুপদী প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি।
আমাদের বিমানবাবুরা একটু বেশি উপরচালাক। আইএসএফ, সোরেন ইত্যাদি। কেবল রাজনীতি করে বলে বাঙালি নেতা বাঙালি জনতাকে শাকে ঢাকা দিয়ে পচা মাছ খাওয়ানোর সাহস করে!
এবার এই কাবিননামার দেনমোহরের হিসেবটা দেখা যাক। ওয়েসি মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, বিহারে কী করেছে সেটা রাজনীতির ক্লাসের শেষ বেঞ্চের শিক্ষানবিশরাও জানে। একটা উদাহরণ দিই। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ। মুসলমান আবাদি ২৭ শতাংশ। রামপুর, মুজফফরনগর, মোরাদাবাদের মতো লোকসভা আছে, যেখানে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মুসলমান ভোটার। ২০১৩ পর্যন্ত সেখানে আধ ডজন মুসলিম সাংসদ আর ডজন দুই মুসলিম বিধায়ক ছিলেন, এসপি/বিএসপি/কংগ্রেস থেকে। ২০১৪ তে সেখানে কোন মুসলমান সাংসদ তো দুর, কোন অমুসলিম অ-বিজেপি নেই। মনে করিয়ে দিই, ২০১৩-তে মুজফ্ফরনগরে দাঙ্গার সূচনা হয় পাকিস্তানের এক ভিডিও উত্তর প্রদেশের বলে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে। কাজটি করে সঙ্গীত সোম, বর্তমান বিজেপি বিধায়ক। আর হ্যাঁ, ২০১৪-র ভোটে ওয়েসি মিয়া উত্তর প্রদেশে ভোটে লড়েন। বলাই বাহুল্য ওয়েসি এইসব মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাতেই প্রার্থী দিয়েছিলেন। এখন, আব্বাস সিদ্দিকী কোন আসনে প্রার্থী দেবেন, তা কি বলে দিতে হবে? কমরেড বিমান বসুরা তাঁকে অমুসলিম অধ্যুষিত, অন্তত তপশিলি আসন ছাড়ছেন নাকি?
আসামে আজমল মিয়ার মুসলমান পরিচয় ভিত্তিক রাজনীতির পরিণতি কারোর অজানা নয়। আসামে মুসলমান আবাদি ৩৩ শতাংশ। বিজেপি একক নিরঙ্কুশ এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঢাক গুড়গুড় না করে বলে দিয়েছে মুসলমান ভোট তার দরকার নেই।
এই হল এই হালাল সোনালী কাবিনের সোনার মোহর ভর্তি দেনমোহরের থোলো! বাঙালি মুসলমান, চিল্লাইয়া কন, আমীন।
******
ভোটের পাটিগণিতটা একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক। আব্বাস মুসলমান অধ্যুষিত সিটে প্রার্থী দেবে।
তৃণমূল, বিজেপি, জোট(আব্বাস) ত্রিমুখী লড়াই। আব্বাস সিপিএমের ফেবল্ড ৭%পাবে? এই ভোটেরও একভাগ কেবল আব্বাসের কারণে বিজেপিতে যাবে।
অন্যদিকে কংগ্রেস ভোটের একাংশও বিজেপির দিকে ঝুঁকবে। বিশেষত অধীর-গড়ে তাঁর ভোটের একটা বড় ভাগ কার্তিক ঠাকুরের আশীর্বাদরূপে আসে। আব্বাস তাঁর মুরীদের ভোট পাবেন। খুব বেশি হলে ৫/৭ শতাংশ মুসলমান ভোট। এটা দুই ২৪ পরগনায়, অধীর-গড় ও অন্যত্র আরো কম। গত নির্বাচনে তাঁদের সিংহভাগ মমতাকেই ভোট দিয়েছিল। আইএসএফের একটা প্রার্থীও জিতবে? মনে হয় না। সুতরাং এইসব সিটে পালাবদল হলে বিজেপিই জিতবে। তবু বিমানদার এই আঁতাত কেন চাই? আদিবাসী ও নমঃশূদ্র হয় ঘাসফুলে চরছে নয় হিন্দুত্বে দীক্ষিত হয়ে গেছে। মুসলমানরা আর ‘বিজেপি চলে আসবে’ বললে মজছে না, তারা ৩৪ বছরের খতিয়ানে নিজেদের দেনাপাওনা খুঁজছে। তাই সিদ্দিকুল্লার অ্যান্টিবায়োটিক চাই বিমানদার। একেবারে আস্ত জ্যান্ত একটা কমরেড পীরজাদা!
নাকের বদলে নরুণ। টাক ডুমা ডুম ডুম। দুই কুকুরের হাড্ডাহাড্ডিতে হাড্ডি শেয়ালেই খাক।
কে এই আব্বাস সিদ্দিকী? আব্বাস সিদ্দিকী ফুরফুরা সিলসিলার অভিষিক্ত পীরজাদা। বেশ বিখ্যাত। তার ল্যাঙ্গোয়েজ, বডি ল্যঙ্গোয়েজ, অমুসলিমবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ রীতিমত হিংসে করার মত। সুফি ইসলামের মানবতাবাদের নামগন্ধ তাতে কিছু নেই। পারিবারিক পরিবেশে শোনার মত নয়, পাড়ার চায়ের দোকানের আড্ডায় উদ্ধৃতি যোগ্যও নয়। জনসমাবেশে গ্রহণযোগ্য উচ্চারণে বাংলা বলতে পারেন না! হ্যাঁ, এখানে জন্মানো, বড় হওয়া, বাঙালি মুসলমান পরিবারের মাদ্রাসা যাওয়া সন্তান ঠিক করে বাংলা বলতে পারে না।
একই ব্যক্তির সাথে একই বাক্যে তুই-তুমি-আপনি/নেবে-লেবে’তে যুগপৎ আনায়াস, রুথলেস, বিরাট কোহলির পৃথিবীর বিভিন্ন পিচে ব্যাটিংয়ের মত যেন!
he displays that streak of extra theatricality in public speaking that jumps over the boundary of acting & lands in the domain of idiocy, dumbness , amply adorned with his legendary semantic somersaults.
ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিতে বর্ণিত মন্দাবুদ্ধির অন্যতম লক্ষণ এটি। অবশ্য অধুনা প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধেও আমাদের পরিচিত ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিস্ট আশিস নন্দী একই কথা বলেছেন প্রায় তিন দশক আগে।
ইউটিউব ভরে পড়ে আছে। যার ইচ্ছা দেখতে পারেন।
এবং ক্লিপগুলি নিয়ে আপনার পরিচিত কোন ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিস্টকে দেখাতেও পারেন।
এখন, হঠাৎ করে এহেন আব্বাস সিদ্দিকীকে নিয়ে পড়লাম কেন? আমি পড়ছি না, পড়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী, যেভাবে এক টেম্পেরামেন্টাল মন্দাবুদ্ধি পড়তে পারেন। যেটা হওয়ার কথা নয়। একই ধর্মের মানুষ হলেও এই প্রাণীটি ৯০ শতাংশ বাঙালি মুসলমানের সামাজিক, পারিবারিক,রাজনৈতিক পরিসরে ছিলেন না। হ্যাঁ, আড়াই কোটির ১০ শতাংশ ২৫লাখ। একটু বেশিই রাখলাম পীরজাদার ভাগায়,খুব বেশি হলে এর আধা হবে। এ হেন কমরেড পীরজাদা হুট করে খুঁটি ছেঁড়া হোঁৎকা বলদের মত ঢুকে পড়েছে মুসলমান ভোটের সবুজ মাঠে।
ভুল বললাম, খুঁটিছেঁড়া নয়, খুঁটি থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লঞ্চ করা হয়েছে বলা যায়! তাকে রাজনৈতিক রাখালেরা চরাচ্ছে। মুসলমান ভোটের মাঠে। দিলীপ ঘোষ, ওয়েসির শুভেচ্ছাপ্রাপ্ত, বিমান বসু, অধীর চৌধুরী এই পীরজাদাকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করেন ব্রিগেডে। তাকে সাবআলটার্ন ভয়েস বলা হচ্ছে। ব্রিগেডে তার নারায়ে তকবীর না-বলার মধ্যে দেশি লেনিনরা সর্বহারা বিপ্লবের অঙ্কুরোদ্গম শুঁকছে। এই পীরজাদাই দরকার হলে রক্ত দিয়ে দেশের “স্বাধীনতা করবে!” মুসলিম অভিনেত্রীর পেশা ও অমুসলিম জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার কারণে সর্বসমক্ষে ‘চাবকে চামড়া তুলে’ সর্বহারার বিপ্লব সমাধা করবে।
সোস্যাল, প্রিন্ট, অডিও-ভিস্যুয়াল মিডিয়ায় কমরেড ভাইজান পড়ানো হচ্ছে সাবআলটার্ন অল্প-অর্ধ-অশিক্ষিত গরিব মুসলমানদের। সবচেয়ে বিষাক্ত শ্রেণিশিক্ষক হচ্ছে কতিপয় তথাকথিত মেকলেশিক্ষিত লেনিনপ্রসূত সেলিমেরা। এইসবই ঐশী, স্বতঃস্ফুর্ত ভাববে কিন্তু ঐ ১০/১৫ লাখ মুরীদ। এই গোয়েবলসিয়ান, সঙ্ঘী খুড়োর কল বাকিদেরও যত সম্ভব যথাসম্ভব মুরীদিকরণের শুভ উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজনীতিতে আমরা যেভাবে নেতাজী-নেহরু-আজাদ পেয়েছি, শ্যামাপ্রসাদ-জিন্নাহ কিন্তু আমরা সেভাবে পাইনি। আবার শ্যামা-জিন্নাহ যেভাবে পেয়েছি মোদী-যোগী-ওয়েসি সেইভাবেই পেয়েছি। নেতাজী যদি মায়ের হাতের পলান্ন হয় শ্যামা হল পাড়ারই/বাড়িরই নর্মদার নোংরা পাঁক। এই আব্বাস সিদ্দিকীও সেই নর্দমা থেকেই, ধর্মান্ধতার পাঁক থেকেই, মুসলমান সমাজের নর্দমার!
এই খেলার প্রথম খেলোয়াড় এঁরা নন, মমতা সেটাও খেলে রেখেছেন পীরজাদার চাচাকে দিয়ে। এঁরা অগ্রবর্তী সংস্করণ এনেছেন। ত্বহা পীর পরিবারের হলেও পীর নয়; এঁরা একেবারে অভিষিক্ত পীরজাদা এনেছেন।
মুসলমান বাঙালি, তোমারই নর্দমা থেকে নোংরা পাঁক তোমারই থালায় পলান্ন বলে রাখছে ওরা। সম্প্রদায়ের অযোগ্যতম লোকেদের থেকে একজনকে সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অভিভাবক বানানোর কমিয়নিষ্টকারী বিপ্লব থেকে নিজেদের বাঁচাতে না পারলে সেটা আত্মহত্যা হবে।
ভাল লেখা।
তেতো সত্যি কথা।
খুব ভালো লেখা।
পশ্চিমবঙ্গে অসাম্প্রদায়িক দল কেউ আছে?
জবাব পেয়েছি। রামকৃষ্ণ মিশন।
ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কথা ভাবলে অবশ্য সবগুলো কমিউনিস্ট দলগুলো। এরা আদর্শগত দিক থেকে কোন ধর্মীয় গ্রুপ বা নেতাকে তোল্লাই না দিয়ে সবার থেকে সমান দুরত্ব রাখতেন। কোন মন্দির মসজিদ গির্জায় মাথা নোয়াতেন না। অন্ততঃ প্রথম কয়েক দশক। পরের কংকালীতলা বা "আমি আগে ব্রাহ্মণ ' বা ইলেকশনের আগে বড়মা ফুরফুরে শরীফ ইত্যাদি স্যাক্রিলেজ বল্লেও কম বলা হয়।
2 স্বামী সহজানন্দ, অগ্নিবেশ বা ভদন্ত আনন্দ কৌশল্যায়ন পার্টির সাথী হয়েছিলেন কৃষক আন্দোলন বা মানবাধিকার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে লাঠি খেয়ে জেলে গিয়ে। কোন ধার্মিক সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে নয়। আব্বাসবাবুর সঙ্গে এদের তুলনা?
একেবারেই চালাকি তে ভরা লেখা। উপর না খুব ই নিম্নমানের। 'গুড মুসলিম-ব্যাড মুসলিম' একটি পরিচিত রোগ।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কেয়াবাত। দুর্দান্ত লেখা। হ্যাঁ, শওকত মোল্লার কথা যখন লিখেছেনই তখন ভেড়ির ভাগাভাগি নিয়ে আব্বাসের গোঁসার কথাটাও খুল্লম খুল্লা লিখতেই পারতেন। তারপরেই তো তাঁর মহাবিবর্তন। সবাই সব জানেন, শুধু সিপিএম কিছু জানে না গো মা! তাই জাগো জাগো সর্বহারার ফাটা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে!!
ভেড়ির ব্যাপারটার দুটি মূল বৈশিষ্ট হল, পুকুর টি মিম সমর্থক হায়েদ্রাবাদী মুসলমান , মাছ গুলি বাঙালি মুসলমান। এছাড়া গভীর তদন্তে জানা গেছে , ওদিকটায় মানুষ নাই। সব ই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ্কারী।
:-)))))))))))))))))))))
ভাটের একটা লিমিট আছে মাইরি। :-))))
একটা নতুন দল, দুটি নিরাকার ব্রহ্ম সাইনবোর্ডের সঙ্গে একটি জনসভা করেছে। কয়েকটি ছেলে মেয়ে কয়েকটি অসইব্য গান গেয়েছে। এখনো সব প্রার্থী ঘোষণা হয় নি। তাতে লোক জন হিলে গেল।
মশাইরা বুকে বল নিয়ে বিজেপি করুন, অবসরে তৃণমূল করুন, প্রতিটি টিভি চ্যানেল আপনাদের , অসুবিধে কি, এত নার্ভাস কেন, দাঁত কপাটি রোগের নতুন সিম্পটম এ সোশাল নেটওয়ার্ক ভরে গেল।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কমরেড
কেন ভিকটিম গেম খেলছেন? বিগ্রেডে বহুকাল বাদে একটা চমৎকার জনসমাগম হয়েছে। এতেই এত অহংকার ? যেন লড়াই জিতে গেছেেন? কে কোথায় যাবে তার ফরমান জারি করছেন! এই অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?
আর কমরেড আব্বাসবাবুর দলটি একটি নতুন দল, এখনও নাড়ি কাটেনি? প্রতিষ্ঠাতার কোন পূর্বাপর কোন ইতিহাস নেই? কী সুইট! আপনি কি এতটাই নাঈভ?
সিপিএম একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাবাজারে পাবলিকের ভোট চাইছে। তার নীতির সমালোচনা খোলা পাতায় করলে ধমক খেতে হবে?
গীতায় শ্রীভগবান বলিয়াছেন---- অহংকারেণ ইত্যাদি!
তো বাপু এতই যখন নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা, তবে মায়া মায়া জপলেই তো হয়। খামোখা একে-তাকে ধমকানো কেন? সাব-অল্টার্ন কি আব্বাস খায় না মাথায় মাখে?
আর হ্যাঁ, ভেড়ির মাছ ও তার মালিকানা সম্পর্কে গভীর চেতনাসম্পন্ন একজনই আছেন। মজিদ মাস্টার। হে হে।
ধমক ধামক কিন্তু রঞ্জন আর এলেবেলেই দিচ্ছেন।
এই ব্যাপারকেই চচিচ এর ঈশেনবাবু গানে গেয়ে গিয়েছেন (একটু বদলিয়ে), "ধমকে ধামকে তারে ধরণী ধরিতে নারে, আঁধার ধারণা মাঝে সে ধারা শিহরে কই?/ ধরি ধরি ধরো ধরো ধরি কিন্তু ধরে কই?" :-)
পলিটিক্যাল
ঠিক বল্লেন কি?
আমার ও এলেবেলের প্রথম পোস্টগুলো ছিল শুধু প্রবন্ধ নিয়ে, কোন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়। বোধির প্রথম পোস্টও তাই, যদিও ভিন্ন সুরে। আমরা কিছুই বলিনি, আপনার সঙ্গে 'অসাম্প্রদায়িক দল' নিয়ে আলাপ জুড়েছি।
হঠাৎই উনি "মশাইরা" বলে সোজা আক্রমণ করে আমাদের বিজেপি তিনো করার ফরমান দিলেন, আমরা নাকি নার্ভাস, কমরেড আব্বাসবাবুর বিক্রম দেখে নাকি 'দাঁতকপাটি' ইত্যাদি।
প্রতিবাদ করে বলেছি খোলাপাতায় একটি দলের নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেখানে বিষয় ছেড়ে ব্যক্তি আক্রমনের অধিকার কে দিয়েছে?
মিলিয়ে দেখুন, তারপর বলুন কে কাকে ধমকাচ্ছে?
এই তর্কটায় ঢুকলে আসল আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশ্ন হল পশ্চিমবঙ্গে সব দলই কি সাম্প্রদায়িক? যদি তাই হয় তো ভোট করে লাভ কিসের?
সিপিএম মোটেও সতী সাধ্বী নয়। আগেও বহু দলের সাথে জোট করেছে। আমি শিওর পরেও করবে। তো সিপিএম আজকে সতীত্ব হারাল বলে এত দুঃখ কেন? সিপিএম এমন কি করেছে যেটা আগে করেনি?
Bengal minister Siddiqullah Chowdhury says Quran will prevail over Constitution
https://www.thestatesman.com/india/bengal-minister-siddiqullah-chowdhury-says-quran-will-prevail-over-constitution-1502687901.html
পঃ বঃ এর রাজনীতির খেলার নিয়মবলী যখন পাল্টাচ্ছিলো তখন রন্জন্দারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। এখন খেলার নিয়ম পাল্টে গেছে--- খেলতে গেলে নতুন নিয়ম এই খেলতে হবে--- হঠাত জেগে কান্নাকাটি করলে হবে ?
এই সিদ্দিকুল্লা যখন নন্দিগ্রামের সময় নানা মিথ্যে বলে সংখ্যালঘু ভোট পোলারাইজ করছিলো বামেদের বিরুদ্ধে তখন সব ঠিক ছিলো--- আব্বাসের বেলায় হাঠাত সব রসাতলে গেলো!!!
"তেরা কুত্তা কুত্তা পর মেরা কুত্তা টমি" এই খেলা আর কদ্দিন চলবে ?
আমরা যারা সিদ্দিকুল্লার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, ইমামভাতায় আপত্তি জানিয়েছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ভেল পড়ে নমাজ পড়ায় আপত্তি জানিয়েছেলাম তারা আব্বাসের সাথে জোটেও আপত্তি জানাচ্ছি--এটা জেনেও যে খেলার নিয়ম ১০ বছর ধরে পাল্টানো হয়েছে।
কিন্তু রন্জন দারা কি সেই অধিকার এখনো রেখে দিয়েছেন ?
ভারতের রাজনীতিতে টিকতে গেলে আইডেন্টিটি পলিটিকস হবেই। আব্বাস কে নিয়ে যাদের সমস্যা মিম কে নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। যদিও মিম বিজেপির b team. এই মীম গরম গরম সাম্প্রদায়িক কথা বলে হিন্দু ভোট consolidate করার চেষ্টা করে এবং সফল ও হচ্ছে। বিহার ইলেকশন প্রমাণ। আব্বাস মীমের হাত ধরলে polarization হতো। রুজি রুটির কথা বাদ পড়ে যেত শুধু ধর্মভিত্তিক ভোট হতো আর বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসতো। বিজেপি একশো পেলেও সরকার গড়বে, তৃণমূলের লোকজন ভাঙিয়ে নিয়ে। ওরা ডেসপারেট। তাই বাম আব্বাসের হাত ধরেছে বলে বিজেপির সমস্যা হয়ে গেল খুবই। তাতে ভক্তবৃন্দের কষ্ট হতে পারে বামপন্থীদের হওয়া উচিত নয়।
এখানে কে এমন বললেন যে 'আব্বাস কে নিয়ে যাদের সমস্যা মিম কে নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই'? কেউ বললেন নাকি এমনটা কাউকে দিয়ে বলিয়ে নিতে পারলে নিজের ন্যারেটিভটা বেশ জোরালো হয়? কোনটা? ত্বহা সিদ্দিকি কোন দিকে? তাঁর ভাইপো সহস্যা অন্যদিকে গেলেন কেন, তার কাটাছেঁড়া হবে না? মিমের সঙ্গে আব্বাসের তালমিলের প্রসঙ্গ উল্লিখিত হবে না?
'বাম আব্বাসের হাত ধরেছে বলে বিজেপির সমস্যা হয়ে গেল খুবই'। তাই? আব্বাস মুসলমান ভোট কাটবেন। আদৌ একটা আসনেও জিততে পারবেন কি না সন্দেহ। তা মুসলমান ভোট কাটলে বিজেপির সমস্যা হবে? সে তো ৬৭% হিন্দুদের কনসোলিডেট করার জন্য মরিয়া। আব্বাস তাদের অক্সিজেন দেবে ভায়া বাম। তাতে তিনো অনেক সিটে মার্জিনালি হারবে, সিপিএমের আশা পূর্ণ হবে।
সিপিএমের স্লোগান - তিনো নিকটতম শত্রু, বিজেপি বৃহত্তম শত্রু। এই স্লোগানের আগামাথা কেউ বুঝতে পেরেছেন?
আর এত দাগিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কেন? মানে সিপিএমকে সমর্থন না করলেই সে হয় ঘেসো নতুবা চাড্ডি নয়তো লিবারেল। এত স্ট্যাম্পো মারার শখ কেন?
তিনো দের নিজেদের তিনো বলতে লজ্জা পেতে দেখে লোকে একটু হেল্প করে দিচ্ছে মাত্র
উপরে বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্তর সঙ্গে একমত। খুব একটা নতুন কিছু নেই লেখাটাতে, apart from the (by now) expected and usual demonisation of আব্বাস সিদ্দিকী।
মানে ধর্মের সুড়সুড়ির বাইরে বেরিয়ে, ম্যানিফেস্টো ইত্যাদি সংক্রান্ত অন্ততঃ দু-একটি বাক্য থাকলে খুশি হতাম।
আজমলের ব্যাপারটা ততো সরল নয়, মানে ওয়েইসির ছকে আজমলকে ফেলা যাবে না। এটা পড়ে দেখা যেতে পারে। (বাংলাদেশের কাগজ থেকে আসামের বাঙালি মুসলমানের হাল-হকিকত জানতে হচ্ছে এও এক করুণ কিসসা)
"সিপিএমের স্লোগান - তিনো নিকটতম শত্রু, বিজেপি বৃহত্তম শত্রু। এই স্লোগানের আগামাথা কেউ বুঝতে পেরেছেন? "
খানিক বুঝেছি নিজের মত করে। ওই যেমন সব দেব দেবীর একটা করে বাহন থাকে, তিনোরা হচ্ছে bjp/rss এর বাহন। নিজেদের survival এর জন্য তিনোরা ক্রমাগত bjp/rss কে বহন করে আনতেই থাকবে। কেননা নিজেরা কখনই 45 শতাংশের বেশি ভোট পাবে না। বিজেপিকে দরকার অন্তত: 25-30 শতাংশ দখল করে বসে থাকার জন্য। বামেদের (পোকিত হোক না হোক) উন্নতি হলে তিনোরা অবলুপ্তির পথে যাবে কেননা ভারতের অন্য কোথাও তাদের কোন অস্তিত্ব নেই।
খুব ভালোl লেখা ।
''ভুল বললাম, খুঁটিছেঁড়া নয়, খুঁটি থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লঞ্চ করা হয়েছে বলা যায়! তাকে রাজনৈতিক রাখালেরা চরাচ্ছে। মুসলমান ভোটের মাঠে। দিলীপ ঘোষ, ওয়েসির শুভেচ্ছাপ্রাপ্ত, বিমান বসু, অধীর চৌধুরী এই পীরজাদাকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করেন ব্রিগেডে। তাকে সাবআলটার্ন ভয়েস বলা হচ্ছে। ব্রিগেডে তার নারায়ে তকবীর না-বলার মধ্যে দেশি লেনিনরা সর্বহারা বিপ্লবের অঙ্কুরোদ্গম শুঁকছে। এই পীরজাদাই দরকার হলে রক্ত দিয়ে দেশের “স্বাধীনতা করবে!” মুসলিম অভিনেত্রীর পেশা ও অমুসলিম জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার কারণে সর্বসমক্ষে ‘চাবকে চামড়া তুলে’ সর্বহারার বিপ্লব সমাধা করবে।"
আব্বাসকে চেনা খুব সহজ কথা নয়। তবে এই লেখায় বহুরূপী গাছপাকা তালেবান ঠিকই ধরা পড়েছে। এমনই করেই প্রকাশ্যে এদের মাস্ক ছিঁড়ে ফেলে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। ব্রেভো!
পবর "সেকুলার" মুসলমান নেতা ও মন্ত্রী। তিনোপ্রেমে মাতোয়ারা পন্ডিতেরা কখনো বিশেষ বাইট খরচা করেন নাই এনার ওপরে। নন্দীগ্রামের মুসলমানদের ক্ষ্যাপানোর জন্য ইনি বিস্তর কলকাঠি নেড়েছিলেন।
"...... the Bangladesh government has denied him (Siddiqullah Chowdhury) a visa for a five-day trip.....
Chowdhury has been an outspoken critic of the Sheikh Hasina government in Bangladesh.......he is perceived to be close to Begum Khaleda Zia’s opposition Bangladesh Nationalist Party, and against Hasina’s Awami League.
...........
Chowdhury held meetings in support of the Razakars, and hailed them as “religious leaders”........
....... his organisation demanded the removal of a statue of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, ....... college hostel in Kolkata."
https://theprint.in/politics/siddiqullah-chowdhury-mamatas-extreme-minister-who-clashes-with-modi-sheikh-hasina/341326/
"ইমামদের বলছি ভাতা নেবেন না ছেলেমেয়ের চাকরির জন্য লড়াই করুন।" বললেন আব্বাস। ধর্মান্ধ? হবেও বা। আপাতত এইটুকু শুনেই খুশী আমি। ইনি কালেদিন্জে জিন্নাহ হবেন কিনা সে সময়ই বলবে। তবে জিন্নাহের জিন্নহ হয়ে ওঠার পেছনেও কঙগ্রেসের হিন্দুলবির কিছু অবদান ছিল। দেখা যাক
এক্কেবারে সেকুলার তিনোমুলঃ
"৩০% এক হয়ে গেলে চার চারটি পাকিস্থান হয়ে যাবে। তখন ৭০% কোথায় যাবে?"
হাম্বাগ টিভি দেখুন ও সেকুলারদের পোকিতো চোরিত্তো জানুন- কেমন খেলা হচ্ছে তিনোমুল স্তরে। এ পোসোঙ্গে কোনো পোবোন্দোর পোত্তাশা কর্বেন না।
(হাম্বাগ টিভির ক্লিপিংস ও মন্তব্যের দায় পিটি নিচ্ছে না)
@ এলেবেলে আপনি আমার কথা বোঝেন নি। মীম আর আব্বাস হাত ধরলে যে হিন্দু polarisation হতো সেটা হতো ওয়াইসি এবং তার চেলা চামুন্ডাদের গরম গরম সাম্প্রদায়িক বুলির জন্য। ইদানিং নির্বাচনে ওয়াইসি এবং বিজেপি মিলিতভাবে এই খেলাটা খেলে। নাহলে ওই ধরনের কথা বলার জন্য ওয়াইসি নিশ্চিত জেলে যেত। ( যেখানে সাংবাদিক কাপ্পান , উমর খালিদ বা ভিমা Koregaon case এ কিরকম প্রমাণের ভিত্তিতে জেলে ভরা হয়েছে সেটা তো ক্রমশ প্রকাশ হচ্ছে)। এই জন্য মিম কে নিয়ে বিজেপির কোনো আপত্তি নেই (ওরা আসলেই তো বিজেপির সুবিধা হয়)।
বামপন্থীদের সাথে মিলে আব্বাস চাকরি বেকারত্ব এসব নিয়ে কথা বলছে বলে বিজেপির polarisation এর চেষ্টা মাঠে মারা গেল। হিন্দু মুসলিম polarisation হলে হিন্দু ভোট তৃণ তে পড়বে এমনটা নিশ্চয়ই ভাবেন না। তৃণ কে যেভাবে বিজেপি মুসলিম তোষন কারি বলে হিন্দু ভোট consolidate করার চেষ্টা করত নিশ্চয় দেখেছেন সেদিক থেকে বিজেপি হাল ছেড়ে দিয়েছে , বেশি কিছু বলছে না। এভাবে ভাবলে তৃণ র দুটো লাভ দেখতে পাচ্ছি আব্বাস বামের হাত ধরায়।
আচ্ছা বাম কং জোট বেশি ভোট পেলে বা মজবুত হলে তো বিরোধী ভোট ভাগ হবে। সেক্ষেত্রে তৃণ এর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা নয় কি? আমি তৃনমূল বিরোধী যতো লোকজনের সাথে কথা বলেছি মনে হয়েছে তারা অনেকেই বিজেপিকে ভোট দেবে তৃণ র পাড়ার মস্তান দের অত্যাচারের অবসানের আশায়। সংযুক্ত মোর্চা শক্তিশালী হলে এই ভোটের একটা বড় অংশ সংযুক্ত মোর্চায় ফেরত আসার কথা। সেক্ষেত্রে তৃণ ও বাম দুয়ের লাভ, বিজেপির ক্ষতি।
আমি কাউকেই দাগিয়ে দেইনি, বামপন্থীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয় এটাই বলেছি।
বাম পন্থী দলগুলো ক্লাস স্ট্রাগল এর পাশাপাশি বিভিন্ন মাইনরিটি এবং oppressed section গুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে (dmk বা rjd র সাথে জোট)। সারা বিশ্ব জুড়েই বামপন্থী শক্তিগুলো এভাবে ভাবছে ও আইডেন্টিটি পলিটিকস কে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে ক্লাস স্ট্রাগল কে শক্তিশালী করার জন্য। (একটা ও সিট জিতুক বা না জিতুক)।
আর একটা কথা, আগুন নেভাতে আগুনের ব্যবহার জানেন তো?
https://www.ctif.org/news/prevention-control-using-back-fire-combat-wildfire
বাম নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে দেখা যাক।
বিজেপি ৪০% ভোট পেয়েও আরামসে জিততে পারে যদি বাকি ৬০% ভোট ভাগ হয়ে যায়। এই বাকি ভোট তিনোর দিকে যদি বেশি যায়, তাহলে বিজেপির বিপদ। তাই বিজেপি নিজের স্বার্থেই চায় বামেদের দিকে একটু ভোট ভাগ হয়ে যাক, তিনো আর বাম ৩০-৩০% হলে বিজেপির খুব সুবিধে হয়। বামেরাই এখন বিজেপির ভরসা। বামেরাই বিজেপির লক্ষ্মীপেঁচা। বামেরা যত তিনো বিরোধিতা করবে বিজেপির তত পোয়াবারো।
একই যুক্তি কিন্তি তিনোদের ক্ষেত্রেও খাটে।
অর্থাৎ, তিনোরাও ৪০% ভোট পেলেই জিতে যেতে পারে, যদি বাকি ৬০% ভোটের বেশির ভাগ ভোট বিজেপির দিকে না যায়। তাই তিনোরাও চাইবে বিরোধী ভোটের একটা ভাগ বামেদের দিকে যাক, ভোট ভাগ হোক। তিনোদেরও লক্ষ্মীপেঁচা বামেরা। বামেরা যত বিজেপি বিরোধিতা করবে তত তিনোদেরও পোয়াবারো।
বামেরা যদি তিনোর ভোট ভাঙাতে পারে তাহলে বিজেপির লাভ, আর বামেরা যদি বিজেপির ভোট ভাঙাতে পারে তাহলে তিনোর লাভ।