এটা ঘটনা যে লোকে বেড়াতে ভালোবাসে। এটাও ঘটনা যে বেড়াতে ভালোবাসা লোকের তুলনায় বেড়ানোর জায়গা কম। কোভিড-এর ধাক্কা সেই জায়গা আরও কমিয়েছে। গম্ভীরভাবে বলতে গেলে কোভিডোত্তর পরিস্থিতিতে মানুষ শরীরস্বাস্থ্য বাঁচিয়ে কীভাবে বেড়াবেন তা সত্যিই একটা বড় সমস্যা। আর্থিক সমস্যা তো রয়েইছে, সবাই খুঁজছেন সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্য। এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটা ওয়েবিনারে শুনলাম, ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের হিসেবে ১.৪ বিলিয়ন ভ্রমণপিপাসু মানুষের মধ্যে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ শতাংশই বেড়ানোর সময় পরিচিত হতে চায় এক অন্যরকম জীবনধারার সঙ্গে। সত্যিই তো তাই! কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে শুধু স্থাপত্য আর ইতিহাসে আটকে না থেকে আমরা দেখতে চাই সেখানকার মানুষগুলির জীবনধারা। পরিচিত হতে চাই তাদের শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গেও। এই সূত্রটি মাথায় রেখে বাংলায় ভ্রমণ এক নতুন চেহারা নিতে পারে।
‘বাংলায় ভ্রমণ’ বলতেই মনে পড়ে গেল একটা চমৎকার ভ্রমণ গ্রন্থের কথা। পূর্ব রেল ৪০এর দশকে এই নামে দুখণ্ডের একটা ভ্রমণ গ্রন্থ প্রকাশ করেছিল। অমিয় বসুর লেখা ‘বাংলায় ভ্রমণ’ বইটির পাতায় পাতায় ছিল ছবি আর ম্যাপ। অমনটি আর হল না! রেল কোম্পানির সেই বইটি বেড়াতে ভালোবাসা মানুষদের নতুন নতুন ভ্রমণ বিন্দুর হদিশ দিত। উৎসাহিত করতো সেসব জায়গায় যেতে। এখন পাড়ায় পাড়ায় ‘পথের সাথী’, ‘চলুন বেড়িয়ে আসি’ নামে নানারকম ভ্রমণ-দোকান চালু হয়েছে। কিন্তু তাদের নতুন জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহ দেওয়ায় কোন গরজ নেই।
ঘোরাফেরা তো এখন নানারকম। পর্যটনের আঙিনায় এখন ঢুকে পড়েছে – হেলথ ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, এডুকেশন ট্যুরিজম, হিস্টোরিকাল ট্যুরিজম, কালচারাল ট্যুরিজম, মিউজিক্যাল ট্যুরিজম ইত্যাদি নানা পরিভাষা। অর্থাৎ জীবনের নানা ক্ষেত্রকে ঘিরে ভ্রমণ তার ডালপালা ছড়াচ্ছে। কিছুদিন আগে বর্ধমানের তেপান্তরে গিয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠেছিল এমন একট ভ্রমণের ছবি। কাঁকসার জঙ্গলের লাগোয়া অজয় নদের পাশে সাতকাহানিয়া গ্রামের এই জায়গাটা সত্যি একসময় ছিল রূপকথায় পড়া তেপান্তরের মাঠের মত। গ্রামেরই কিছু থিয়েটার পাগল ছেলেমেয়ে বদলে দিয়েছেন এই প্রান্তরের চেহারা। রেপার্টরি থিয়েটার আন্দোলনে বিশ্বাসী ‘এবং আমরা’ নাট্যদলের সদস্যরা এখানে গড়ে তুলেছেন একটি নাট্যগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই সারা বিশ্বের নাট্যব্যক্তিত্বরা এখানে কাজ করতে আসেন। থিয়েটারের পাশাপাশি জীবিকার জন্য জৈবচাষ, পশু ও মৎস্য পালনের কাজ করেন এরা। সেই তেপান্তর এখন হয়ে উঠেছে প্রকৃতি আর সংস্কৃতির এক চমৎকার প্যাকেজ।
এবার পুজোয় চলুন তেপান্তর। দেখুন তেপান্তরের দুর্গাপুজো। বাংলার গ্রামীণ দুর্গোৎসবের সাবেক চেহারাটি ফুটে উঠবে আপনার চোখের সামনে। মনে পড়বে বাড়ির বড়দের কাছ থেকে শোনা, পালকি নিয়ে কলাবৌ স্নান, আরতি, ভোগ, অঞ্জলি, সিঁদুর খেলা এবং বিসর্জন মিলিয়ে পুজোর চেনা ছবিটি। মন্ডপ সংলগ্ন মাঠে বাউল-ফকিরি গান, ছৌ নাচের সঙ্গে থাকবে পুরনো দিনের পুজোর সান্ধ্য অনুষ্ঠানের অপরিহার্য অঙ্গ থিয়েটার। ভোগ ছাড়াও অতিথিদের জন্য রয়েছে খাওয়াদাওয়ার এক আন্তরিক আয়োজন। ছড়ানো সবুজ আর নানারকম পাখির ডাক আপনার মন ভালো করে দেবে। অজয় নদের তীরে সাদা বালির প্রান্তর এখন কাশফুলে ঢাকা। কাছেই রয়েছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষিত ইছাই ঘোষের দেউল। ইতিহাস পাগল মানুষেরা চলে যেতে পারেন সেখানেও। ৪একর জোড়া এলাকায় ছড়ানো ছোট ছোট কটেজে অতিথিদের থাকার চমৎকার ব্যবস্থা। এমনিতে এখানে প্রায় ১০০ জন অতিথি থাকতে পারেন। তবে পুজোর সময় ভিড় এড়াতে এখানে ৬০জন পর্যটকদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দশমীর দিন স্থানীয় আদিবাসীদের দাঁসাই পরব। দেখুন তাদের দাঁসাই নাচ, শহুরে সংস্কৃতি পেরিয়ে এক অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন। ঘরে ফিরলেও তেপান্তর জেগে থাকবে আপনার অন্তরে।
কলকাতা থেকে তেপান্তরের দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। যেতে লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। বর্ধমানের পানাগড় থেকে ২০ কিলোমিটার এবং শান্তিনিকেতন থেকে ২৩ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে বাসে আসলে নেমে পড়ুন ১১মাইল বাস স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ভ্যান রিকশতে আসা যায়।
অনেকেই ভালোবাসেন একটা প্রশান্তি, নিরিবিলি জায়গায় কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে চান তারা। আমি তাদের দলমা পাহাড়কে সাক্ষী রেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা একটা গ্রামের খোঁজ দিতে পারি। গ্রামের নাম নিমডি। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের একটি ছোট্ট গ্রাম। আদিবাসী এলাকার এই গ্রামটি আদতে একটা গান্ধী আশ্রম। জীবন ও প্রকৃতি এখানে নিরাভরণ, সহজ ও স্বচ্ছন্দ। বিশিষ্ট গান্ধীবাদি প্রয়াত সুবোধ কুমার রায় এবং তাঁর স্ত্রী বাসন্তী রায় স্বাধীনতার পরের বছরই এখানে গড়ে তুলেছিলেন লোকসেবায়তন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গরিব আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। এখনও সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত পরবর্তী প্রজন্ম।
পাহাড়ের কোলে প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে ছড়ানো এই আশ্রমে ঢুকলেই মন ভালো হয়ে যাবে আপনার। এখানে অতিথিদের থাকার নানারকম ব্যবস্থা আছে। কেউ থাকতে পারেন কটেজে, কেউ থাকতে পারেন খড়ের চাল দেওয়া ঘরে আবার ইচ্ছা করলে কেউ পাকা বাড়িতেও থাকতে পারেন। অতিথিদের স্বাচ্ছন্দ্য সব জায়গাতেই সমান। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বছরভর চলে জৈবচাষ, আশ্রমের বাসিন্দা ও অতিথিরা এই ক্ষেতের ফসলই খান। আগ্রহীরা সেই চাষে অংশ নিয়ে শিখে নিতে পারেন জৈবচাষ। ঘুরে আসতে পারেন সংলগ্ন আদিবাসী হাটে। নিমডির ফোক হোলি বা বসন্ত উৎসব এক মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা। নিমডি মানে পলাশে রাঙা অরণ্য আর হোলির আবির একসঙ্গে মেশা। চেনা জীবনের ছকের বাইরে চলে যেতে আসুন নিমডিতে। এখান থেকে আপনি ঘুরে আসতে পারেন অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে পুরুলিয়ার মুখোশ শিল্পীদের গ্রাম চড়িদায়। তাদের কাছ থেকে কিনতে পারেন ছৌ নাচের মুখোশ। শিল্পকর্মের বৈশিষ্টের স্বীকৃতি হিসেবে এই মুখোশ এখন ভারত সরকারের জিআই ট্যাগ পেয়েছে। চড়িদা গ্রামে রয়েছে ছৌ মুখোশের এক আধুনিক মিউজিয়াম। সেটাও দেখে নিতে পারেন।
গাড়িতে কলকাতা থেকে নিমডি আসতে সময় লাগে প্রায় সাত-আট ঘন্টা। ট্রেনে কলকাতা থেকে নিমডি স্টেশন ঠিক এক রাতের সফর। রাতে উঠে সকালে নিমডি স্টেশনে নেমে পড়ুন। পায়ে হেঁটে চলুন আশ্রমের দিকে।
গল্প, গান আর ছবি মিলিয়ে বাংলার পট যেন এক আদি সিনেমা। এমনই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর ইতিহাস-ভূগোল জানতে-বুঝতে হলে এই অনুপম চিত্রকথার স্রষ্টাদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তার জন্য আপনাকে আসতে হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পটুয়াদের গ্রামে। গ্রামের নাম নয়া। পটচিত্রের আকর্ষণ এখানে টেনে এনেছে গুরুসদয় দত্ত, বিনয় ঘোষ, ডেভিড ম্যাকাচ্চন, পূর্ণেন্দু পত্রী, দীপক মজুমদার, তারাপদ সাঁতরা, সুহৃদ ভৌমিক, গাঁস্ত রবেজ এর মত লেখক ও লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদের।
পিংলার পটুয়াদের খ্যাতি বাংলা ও ভারত পেরিয়ে এখন পৌঁছেছে সারা বিশ্বে। দেশ বিদেশের মেলা, প্রদর্শনী, গ্যালারিতে এখন তাদের নিয়মিত যাওয়া আসা। বর্ষার সময়টুকু বাদ দিয়ে প্রায় সারা বছর পিংলায় পটুয়াদের গ্রাম নয়াতে এখন দেশি, বিদেশী মানুষদের আনাগোনা। গত দু’বছরে এই গ্রামে এসেছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক। প্রতি নভেম্বরে পটুয়ারা ‘পটমায়া’ নামে যে বার্ষিক মেলার আয়োজন করেন সেখানেও বহু শিল্পরসিক ও কৌতূহলী মানুষ আসেন। অঙ্কনরীতির বৈশিষ্টের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলার পটচিত্র পেয়েছে ভারত সরকারের জিআই বা জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ।
বুদ্ধের আমল থেকে চলে আসা বাংলার এক নিজস্ব চিত্রকলা ও তার শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হতে আপনিও আসতে পারেন পটুয়াদের গ্রামে। গ্রামে এখন পটুয়াদের সংখ্যা প্রায় তিনশো। বাইরে ও কোন প্রদর্শনী বা মেলাতে না গেলে দিনভোর বাড়িতে বসেই কাজ করেন এরা। পটুয়াদের গ্রামটাই যেন একটা জীবন্ত গ্যালারি। প্রায় প্রতি বাড়ির দেওয়ালে আঁকা ছবির পাশাপাশি আপনি দেখবেন পটুয়ারা আপনমনে কাজ করছেন। কোন জায়গায় ছোটরা পট আঁকা শিখছে বড়দের কাছ থেকে। কোথাও আপনি দেখবেন ফুল, ফল, পাতা থেকে কীভাবে তারা পট আঁকার রঙ বানাচ্ছেন। ইচ্ছে করলে ওদের কাছ থেকে তা আপনি শিখেও নিতে পারেন।
এই শিল্প সফর সত্যি এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। পটুয়াদের সমাজ ও জীবনধারা বড় বিচিত্র। কোন ধর্মীয় বিভেদ সেখানে নেই। মুসলমান পটুয়ারা আঁকেন হিন্দু দেবদেবীর পট। আবার হিন্দু পটুয়াদেরও গাজী পট আঁকতে কোন দ্বিধা নেই। সুনামি থেকে শুরু করে করোনা সবকিছু নিয়েই পটুয়ারা গান বাঁধতে এবং ছবি আঁকতে পারেন। তাদের দেখার চোখটাই অন্যরকম।
পটশিল্পে সম্প্রতি একটা বড় বাঁক এসেছে। এখানে এলে স্বচক্ষে দেখবেন সেই পরিবর্তনটিকেও। পটের অঙ্কনরীতি ও মোটিফগুলি এখন তারা এঁকে দিচ্ছেন কাঠের ট্রে, কেটলি, দরজার পর্দা, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, টি শার্ট, মেয়েদের শাড়ি, কুর্তি, ওড়নার ওপর। টেবিল ল্যাম্প, ব্যাগ থেকে শুরু করে গৃহসজ্জার বহু উপকরণে এখন পটের অবাধ ব্যবহার। তা এখন পুজো মন্ডপ ও উৎসব অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইউনেস্কোর সহায়তায় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পটুয়াদের গ্রাম নয়াতে গড়ে উঠেছে একটি লোকশিল্প কেন্দ্র। এখানে এলে আপনি পটচিত্রের উদ্ভব, বিকাশ এবং বৈচিত্রের নানাদিকের সঙ্গে পরিচিত হবেন। পটুয়াদের গ্রামে থাকারও ব্যবস্থা আছে। লোকশিল্প কেন্দ্রেও রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। এছাড়াও কাছেই একটি বেসরকারি গেস্টহাউসে থাকতে পারেন। বিদেশি পর্যটকদের অনেকেই পটুয়াদের বাড়িতে থাকেন। আপনি চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন। কয়েকদিন এই গ্রামে কাটিয়ে যাওয়া প্রকৃতঅর্থেই এক আশ্চর্য ভ্রমণ, এক অন্যরকম সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। পটুয়াদের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে পট ও অন্যান্য ঘর সাজানোর জিনিস কিনে নেওয়ার এ এক দারুণ সুযোগ।
কলকাতা থেকে পিংলার নয়া গ্রামের দূরত্ব সড়কপথে ১৩০ কিলোমিটার। কাছের রেলস্টেশন বালিচক। বালিচক থেকে বাস কিংবা গাড়িতে নয়া যাওয়া যায়। ওপরের তিনটি জায়গাতে যেতে আগ্রহীরা 8420106396 নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোভিড সময় শুধু মুখ নয়, মুখোশ পরিয়ে দিয়েছে ভ্রমণের মুখেও। গোটা বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ শিল্পের যাকে বলে একেবারে শিরে সংক্রান্তি। চেনা ছকে না হেঁটে বাংলার ভ্রমণও আজ নতুন রাস্তায় হাঁটতে চাইছে। এই জায়গাগুলো আঁকছে সেই অন্য ভ্রমণের এক নতুন নকশা। কোন জায়গায় আপনি দেখুন থিম আর টিমের দাপটে ভেসে যাওয়া বাংলার পুজোর সেই সাবেক চেহারা। উপভোগ করুন প্রকৃতি। কোন জায়গায় দেখবেন সারা পৃথিবীর নজর ঘুরিয়ে দেওয়া বাংলার নিজস্ব চিত্রকলা ও তার শিল্পীদের। পরিচিত হন বহু শতাব্দী প্রাচীন এক অঙ্কন ঐতিহ্যের সঙ্গে। কোন জায়গায় পরিচিত হন এক শান্ত সমাহিত নিস্তরঙ্গ জীবনের সঙ্গে। ভয়ধরানো সময়ে এক আশ্চর্য সফর খুলে দিক আপনার অন্তরের আবরণ। ভূপেন হাজারিকার সেই ‘জীবন খুঁজে পাবি রে তুই’ গানটির মতই এক অচেনা জীবনের সঙ্গে দেখা হোক আপনার।
প্রথমে নিমডি। তারপর অন্যগুলো। এই খবরগুলোর সুন্দর পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ। ঘরে বসে থাকা মুসাফিরদের মন উচাটন করে দেবার জন্যও।
এ এক অন্যরকম বেড়ানোর কথা ।এমন সব জায়গার কথা জানলাম যেখানে যাওয়ার কথা আগে ভাবিনি।ভ্রমণে একটা নতুন দৃষ্টিকোন এনেছেন লেখক ।বেশ সপ্রতিভ ও সুখপাঠ্য লেখা ।
এ এক অন্যরকম বেড়ানোর কথা ।এমন সব জায়গার কথা জানলাম যেখানে যাওয়ার কথা আগে ভাবিনি।ভ্রমণে একটা নতুন দৃষ্টিকোন এনেছেন লেখক ।বেশ সপ্রতিভ ও সুখপাঠ্য লেখা ।
তেপান্তরের দুর্গা পূজা উপর লেখাটি পড়লাম। খুব ভালো লাগলো। এখানে সারা বছর ধরে আসা যায় তবে ভালো সময় অক্টোবর থেকে মার্চ। তেপান্তরে আসুন। আমাদের থিয়েটার দেখুন। আমাদের পাশে থাকুন।
ঘরের কাছে বর্ধমান, কতবার গিয়েছি অথচ এইসব জায়গার হদিসও জানি ন, আনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। নতুন জায়গায় ঘোরার আগ্রহ অনেকেরই কম। ছোট ছোট গ্রামগুলোয় লুকিয়ে থাকে কী বিপুল সৌন্দর্য। কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে।
করোনার সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পটের শিল্পীদের বেশির ভাগই আতান্তরে পড়েছেন। অনেককেই সাহায্যের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তিনটি গ্রামেও পটশিল্পীরা থাকেন। চণ্ডীপুর,হবিচক আর নানকারচক। এই এলাকায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরাও রয়েছেন কিন্তু তাঁরাও করোনার সময়ে বিপাকে। মেলাগুলো বন্ধ। ডাক যোগাযোগ সেরকম চালু না থাকায় বাইরের ক্রেতাদেরও ছবি পাঠানো যাচ্ছে না। অনেক শিল্পী ১০০ দিনের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভালো লাগল।
বা:! এইরকমের বেড়ানোর জায়গার সন্ধান দেওয়াটা খুব দামি কাজ হয়েছে।