এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • আজব গজব চিঠি-পত্র

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ মার্চ ২০২০ | ২৮৮০ বার পঠিত
  • পরিচয়হীনতা
    --------------------------------------------------------
    “তুমি যখন আমার কাছে গবেষণা করতে এসেছিলে তখনি আমি নিজের কেরিয়ারের শীর্ষে এবং ফলতঃ তোমার হয়ত মনে হয়েছিল আমি তেমনই সব সমস্যার সমাধানে নিজেকে নিয়োজিত করেছি যা প্রায় ঈশ্বরের এক্তিয়ারভুক্ত! কিন্তু তুমি জানতে না ঠিক ওই সময়েই আমার কাছে আরো এক পি এইচ ডি ছাত্র গবেষণা করত যার বিষয় ছিল সমুদ্রের জলের উপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়ে কিভাবে ঢেউয়ের সৃষ্টি করে। তাকে ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলাম কারণ সে আমার কাছে এসেছিল একটা ‘সমস্যা’ নিয়ে যা সে মন থেকে সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে আমি একটা ভুল করেছিলাম – তোমাকে সেই ‘সমস্যা’-টি আগেই আমি নিজে থেকে ঠিক করে দিয়েছিলাম, তোমাকে নিজের অনুসন্ধানের সুযোগ না দিয়েই। এর ফলে তুমি এক ভুল ধরণা তৈরী করে ফেলেছ মনের মধ্যে কোন কাজটি আকর্ষণীয় বা আনন্দদায়ক বা গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে। বিশেষত সেই ‘সমস্যা’গুলি বিষয়ে যেগুলিতে সত্যি হয়ত তুমি নিজে থেকে কিছু অবদান রাখতে পারতে। এর জন্য আমি দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী - আশা করি যে এই চিঠি সেই পুরানো ভুলের কিছুটা হলেও সংশোধন করবে”।

    এই চিঠি লিখছেন রিচার্ড ফাইনম্যান তাঁর ছাত্র কোইচি মানো-কে ১৯৬৬ সালে, তখন সবে মাত্র নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। ক্যালিফোর্ণিয়া ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ফাইনম্যানের ছাত্র ছিলেন মানো, সেখান থেকে পি এইচ ডি শেষ করেছিলান ১৯৫৯ সালে। নোবেল প্রাইজ পাবার পর নিজের স্যার-কে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লেখেন মানো – সেই চিঠির উত্তর দিয়ে ফাইনম্যান কথাপ্রসঙ্গে জানতে চান মানো-র কাজ কর্ম কেমন চলছে। পরের চিঠিতে মানো জানান তিনি এমন রিসার্চে ব্যস্ত আছেন যা তেমন জটিল কিছু নয় এবং তুলনায় খুবই সাধাসিধে টাইপের। মানোর সেই চিঠির জবাবে ফাইনম্যান যা লিখেছিলেন তার থেকেই উদ্ধৃত এই লেখার প্রথম অনুচ্ছেদটি।

    ফিজিক্স নিয়ে বিন্দুমাত্র উৎসাহ আছে কিছু ফাইনম্যানের জীবন নিয়ে জানার ইচ্ছা হয় নি এবং জনতা প্রায় নেই বললেই চলে। উনাকে নিয়ে একটু আধটু পড়াশুনা করলেও এই চিঠিটি কোন এক কারণে হোক আমার পড়া ছিল না – এখন দেখছি এটা ফাইনম্যানের উল্লেখযোগ্য চিঠির মধ্যে একটা।

    মানো-কে লেখা সেই চিঠি ফাইনম্যান শুরু করছেন এইভাবেঃ

    “আমি তোমার রিসার্চ পজিশনের খবর পেয়ে খুবই আনন্দিত। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তোমার চিঠি সামগ্রিক ভাবে আমাকে খুবই অসন্তুষ্ট করেছে কারণ মনে হল তুমি গভীরভাবে দুঃখী একজন মানুষ। মনে হল শিক্ষকেরা তোমাকে ভুলভাবে প্রভাবিত করেছে সার্থক সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলি আদপে কি সেই সম্পর্কে তোমার মনের মধ্যে এক ভুল ধরণা তৈরী করে। সেই গুলোই সার্থক সমস্যা যা তুমি নিজে সমাধান করতে পারবে বা সমাধানে সহায়তা করতে পারবে বা সেগুলিতে সত্যিকার অর্থে কিছুটা অবদান রাখতে পারবে। যে কোন সমস্যাই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বৃহৎ যদি সেটির সমাধান আমাদের না জানা থাকে এবং তার সমাধানের জন্য আমরা কিছুটা হলেও পথ এগুতে পারি। আমি তোমাকে আরো সহজ বা তুমি যাকে খুব ‘সাধাসিধে’ বলছ – তেমন সমস্যায় মনোযোগ দিতে বলছি যতক্ষণ না তুমি তার সমাধান সহজেই করতে পারছ, তা আপাতদৃষ্টিতে যতই তুচ্ছ দেখাক না কেন। তুমি সাফল্যের আনন্দ পাবে এবং নিজের সহকর্মীকে সাহায্য করার সুযোগ পাবে, এমনকি তা যদি হয় তোমার চেয়ে কম দক্ষ কোন সহকর্মীর মনের মধ্যে রয়ে যাওয়া প্রশ্ন – তাও। প্রকৃত সার্থকতা কি – এই নিয়ে তোমার মনে ঢুকে যাওয়া ভ্রান্ত ধারণার জন্য তুমি নিজেকে কখনই এই ধরণের আনন্দগুলির থেকে বিচ্ছিন্ন করবে না !”

    কত সুন্দর করে এক শিক্ষক বোঝাচ্ছেন তার ছাত্রকে – এক নোবেল প্রাপ্ত পৃথিবী বিখ্যাত ব্যস্ত বিজ্ঞানী, কতখানি ভিতর থেকে ভাবলে সময় নিয়ে এমন পরামর্শ দেওয়া যায়, তাও চিঠি লিখে! ফাইনম্যান আরো লিখছেনঃ

    “আমি নিজে জীবনে অসংখ্য সমস্যার সমাধানে নিয়োজিত হয়েছি যেগুলি তোমার মাপকাঠিতে হয়ত খুবই ‘সাধাসিধে’। কিন্তু সেই সমস্যাগুলির সমাধান করতে গিয়ে প্রভূত আনন্দ ও ভালোলাগা পেয়েছি কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যলাভ করেছিলাম। কোন সমস্যাই খুব ছোট বা তুচ্ছ কিছু নয় যদি তার সম্পর্কে আমরা সত্যিকারে কিছু করতে পারি।

    তুমি লিখেছ তুমি পরিচয়হীন এক মানুষ। কিন্তু মনে রাখবে তোমার স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে তুমি তো পরিচয়হীন নয়! তোমার সহকর্মীদের কাছেও তুমি পরিচয়হীন থাকবে না যদি তাদের কোন সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারো যখন তারা তোমার অফিসে আসবে। আমার কাছেও তুমি পরিচয়হীন নয়। নিজের কাছে পরিচয়হীন থেকো না – সে এক অতি দুঃখজনক ব্যাপার। পৃথিবীতে নিজের জায়গা খুঁজে নাও এবং নিজের যোগ্যতার সঠিক পরিমাপ করো। কিন্তু সেই পরিমাপের মাপকাঠি যেন নিজের যৌবনের অতিসরল আদর্শভিত্তিক বা নিজের শিক্ষকের আদর্শগুলি কি হতে পারে সেই বিষয়ক ভ্রান্ত ধারণাভিত্তিক না হয়!”

    চিঠিটা আমি অনেকবার পড়লাম। নিজের অস্তিত্ত্বর সঙ্কটে ভোগা - পরিচয়হীনতা – হীনমন্যতা বছরের পর বছর অনেক গবেষক বা ছাত্রদের শেষ করে দিচ্ছে। এমন সঙ্কটে পড়লে ফাইনফ্যানের এই চিঠিটা একবার পড়ে নেওয়া যেতে পারে। অপরে কি ভাবতে পারে বা অপরে সফলতার কি মাপকাঠি তৈরী করে দিল সেই নিয়ে মনোকষ্টে না ভুগে বা সেই আদলে নিজের সফলতা না মেপে, বরং চেষ্টা করুন ছোট ছোট কাজে আনন্দ খুঁজে নিতে। এটা ফাইনম্যান মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন – আর সেই জন্যই তাঁর একটা বইয়ের নাম ছিল মনে হয়, “প্লেজারস্‌ অব ফাইন্ডিং থিঙ্কস আউট”।


    -------------------------------------------------------- 
    জিও বস
    --------------------------------------------------------
    আমেরিকার টেক্সস শহরে হেড অফিস থাকা এককালে এক কোম্পানী ছিল “টাইগার ওয়েল কোম্পানী” নামে। তবে এই কোম্পানী এখন বিলুপ্ত, বহুদিন আগে দেউলিয়া হয়ে ডকে উঠে গ্যাছে। সেই টাইগার তেল কোম্পানীর মালিক এবং সিইও ছিল এডওয়ার্ড মাইক ডেভিস, যাকে ডাকা হত “টাইগার মাইক” বলে। পুরো পাগলাচোদা টাইপের লোক ছিল নাকি – একরোখা, বিচক্ষণহীন, এবং খোরাক। টাইগার মাইকের আচার আচরণ, মানসিক প্রকৃতি এবং ব্যবসা চালাবার ধরণ সে কালে এই তেল লাইনের লোকেরা প্রায় সবাই জানত। বলতে গেলে বিখ্যাত বা কুখ্যাত ম্যানেজমেন্ট স্টাইল যাকে বলে।

    একবিংশ শতাব্দীর সূচনায়, কম্পিউটার যখন প্রায় ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে, সেই সময় ইন্টারনেটে কিভাবে যেন প্রকাশ পেল সেই টাইগার মাইকের লেখা বিভিন্ন মেমোরেন্ডাম – নানা সময়ে মাইক সে সব লিখেছে তার অধীনে যারা কাজ কর্ম করত তাদের। দুএকটা সাথে দিয়ে দিলামঃ
    --------------------------------------------------------
    মেমোরেন্ডাম – ১

    ১১ই জানুয়ারী, ১৯৭৮ সালে লেখা সব কর্মচারীদের

    বিষয়ঃ ফালতু কথাবার্তা

    এই অফিসে পরচর্চা এবং অলস কথাবার্তা চালালে ততক্ষণাৎ চাকুরী থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে। পরের সমন্ধে কথা বলো না এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা চালানো নিষেষ।

    মুখ বুঝে নিজের কাজ করে যাও কেবল”।



    মেমোরেন্ডাম – ২

    ৩রা জানুয়ারী, ১৯৭৮ সালে লেখা তার সেক্রেটারীদের। লিখছেনঃ
    “এটা একটা বিজনেস অফিস। সমস্ত ধরণের করেসপন্ডেন্স এবং এই অফিসের চিঠিপত্র সব টাইপরাইটারে লেখা হবে। হাতে লেখা চিঠি অনেক বেশী সময় নেয় টাইপরাইটারে টাইপ করার থেকে – যারা হাতে লেখে তারা নিজেদের সময় নষ্ট করছে – তার থেকেও বড় কথা তারা আমার কোম্পানীর সময় নষ্ট করছে। যদি কেউ টাইপ না জান, তাহলে তাড়াতাড়ি শিখে নেবার আদেশ দেওয়া হচ্ছে”।



    মেমোরেন্ডাম – ৩

    ১২ই জানুয়ারী, ১৯৭৮ সালে লেখা সব কর্মচারীদের

    বিষয়ঃ অফিসে খিস্তি করা

    “এই অফিস চত্ত্বরে খিস্তি করা নিষেধ - যে ছেলে হোক বা মেয়ে। খিস্তি করার অধিকার থাকবে কেবল আমার, কারণ আমি মালিক। কর্মচারীরা যেন নিজেদের অধিকারের সাথে আমার অধিকার ঘুলিয়ে না ফেলে। মনে রাখবে, আমি মালিক এবং তোমরা কর্মচারী – এবং আমি সর্বদা সম্পর্কটা সেই ভাবেই রাখতে চাই”।



    মেমোরেন্ডাম – ৪

    ১২ই জানুয়ারী, ১৯৭৮ সালে লেখা সব কর্মচারীদের

    “তোমাদের মত কর্মচারীদের এবং আমি মালিকের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে যে আমাকে সবাই ‘সন-ওব-এ-বীচ্‌” (কুত্তার বাচ্চা) বলে ভালো ভাবেই চেনে এবং আমি সেই ভাবেই পরিচিত হয়ে থাকতে চাই। এই অফিসে কেবল আমার একারই অধিকার আছে যেখানে ইচ্ছা, যার সামনে ইচ্ছা খিস্তি করতে এবং আর যা কিছু মন চায় করতে – কারণ এই কোম্পানী আমার। যেহেতু তোমরা আমার অধীনে কাজ করো তাই তোমাদের সেই অধিকার নেই। আমার মত আচরণ করার চেষ্টা করো না – একমাত্র আমিই আমার মত আচরণ করতে পারি। তোমরা নিজেদের মধ্যে এবং আমরা যাদের সাথে ব্যবসা করি তাদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করবে। এটা আমার আদেশ – এটা কেমন ভাবে তোমরা নেবে তাতে আমার কিছু ছেঁড়া যায় না। তোমরা নিজেদের বাড়িতে কি করবে সেটা তোমাদের ব্যাপার – কিন্তু তোমরা আমার অফিসে কি করবে সেটা আমি ঠিক করব। আমি কোন দার্শনিক নই বা আমি পৃথিবীকে উদ্ধার করতে আসি নি – আমি কেবল চাই যে আমার ব্যবসা আমি যেমন ইচ্ছে চালাবো”।



    মেমোরেন্ডাম – ৫

    ২০ই এপ্রিল, ১৯৭৮ সালে লেখা সব কর্মচারীদের

    বিষয়ঃ অফিসের আসবাবপত্র

    “এই অফিসের সব আসবাবপত্র খুব দামী – এদের উপরে নিজের ‘পা’ তুলো না। তোমাদের কাজ করার জন্য পয়সা দিই – নিজেদের চেয়ারে জুবুথুবু হয়ে বসে টেবিলে বা ডেক্সে পা তুলে থাকার জন্য নয়! আমি তোমাদের বাড়িতে গিয়ে তোমাদের আসবাবপত্রে পা তুলে বসি না, তাই তোমরাও আমার আসবাবে পা তুলবে না!”



    যখন নিজের বসকে খুব ঝাঁটের মনে হবে এবং রাগ লাগবে তখন এই চিঠিগুলো একবার করে চোখ বুলিয়ে নেবেন। ছুটে গিয়ে বসকে চুমু খেয়ে আসার কথা মনে চলে আসতে পারে।

    [Courtsey, “More Letters of Note”, Compiled by Shaun Usher, Unbound, 2015 ].

    --------------------------------------------------------
    রবিন-কুপার
    --------------------------------------------------------
    কৈশোর বেলায় আমাদের মত কিছু পাবলিকের কাছে পাচু রায় ছিল এক লেজেন্ডের নাম। বিদেশের সাহেব সুবাদের ব্যাপার বলতে পারব না, কিন্তু বাংলা ভাষায় কাগজে ‘সম্পাদক সমীপেষু’ শীর্ষক চিঠি লিখে পাচু বাবুর থেকে বেশী নাম কেউ করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। আনন্দবাজার খুললেই চারের পাতায় তেনার চিঠি একদিন অন্তর। আর হেন কোন বিষয় নেই যে তিনি চিঠি লেখেন নি – দ্বিতীয় হুগলি সেতু গঙ্গার দুই দিকের দুই পাড় থেকে বানিয়ে নদীর মাঝ বরাবর মেলাবার ক্ষমতা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নেই থেকে শুরু করে জার্সি গরুর দুধের উপকারিতা বেশী, ইডেনের থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে উৎপল চ্যাটার্জীর লাঞ্চের পর ঝিমানো, সুন্দরবনের আসল মধু যৌবন ফিরিয়ে আনে, পানিফলের উপকারিতা আপেলের থেকে বেশী, জ্যোতিবাবু বিগত কুড়ি বছর ধরে নাকি ক্যালকুলেটেড রিক্স নিচ্ছেন – ইত্যাদি ইত্যাদি। গ্যাট চুক্তি এবং কলকাতা বইমেলার ব্যাপারটা আর ঢোকালাম না – এই দুই জিনিস নিয়ে নিলে, গান্ধীর চিঠির রচনাবলীর ভ্যলউমের থেকেও বেশী হবে পাচু রচনাবলী।

    লেজেন্ড হলে যা হয় আর কি – ফলোয়ার তৈরী হবে। পাচু রায়ের তেমনি এক একনিষ্ট ফলোয়ার ছিল আমাদের মেমারীর দেবু সরকার। আমার এলেম দেখেই নিশ্চয় বুঝে গেছেন নিমো গ্রামে শিক্ষার হাল কেমন! তাই পড়াশুনা ইত্যাদির প্রসঙ্গ এলেই আমি নিমোর পরিধি বাড়িয়ে আমার লেখায় মেমারীকে ঢুকিয়ে নিই। আজকাল ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার যুগে সম্পাদক সমীপেষুর সেই চার্মটা আর নেই। যে কেউই কম্পিউটার খুলে দুম করে ইমেল করে দিচ্ছে! সেই হাতে চিঠি লিখে, খামে মুড়ে ছয়, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রীটের ঠিকানায় পোষ্ট করার মত চার্মটা আর নেই। সেই পুরানো ক্লাসিক মেমারীর শেষ পাচু রায় ফলোয়ার ছিল সেবু সরকার।

    কিছু হলেই বা অনেক সময় কিছু না হলেও কাগজের সম্পাদকে দিত ঠুকে লম্বা চিঠি দেবু সরকার। তবে পাঠানো চিঠি সত্যি করে কত বড় হত বলতে পারব না, কারণ যেটা ছাপা হত সেটা বিজয়া দশমীর প্রণাম জানিয়ে দেওয়া চিঠিগুলির মত সাইজে। আপ প্লাটফর্মে প্রসাবখানা নেই, টিকিট কাউণ্টারের সামনে মূত্রাগার থেকে প্রবল গন্ধ বেরুচ্ছে, ফুটপাথের হকাররা কেন ফুটপাথে বসবে, সকালে সবাই একসাথে বাজার করতে বেরুলে কি প্রবল জানজট সৃষ্টি হয় – সেই সবই ছিল চিঠির বিষয় বস্তু। চিঠি লিখে দেবু সরকার ফেমাস – সেই এলাকার বইমেলার উদ্বোধন করছে দেবু, সাহিত্য সভায় প্রধান অতিথি দেবু, ওখান থেকে বেরোনো লিটিল ম্যাগাজিনে গেষ্ট কলামে দেবু!

    বিদেশ যাবার পর একটু খোঁজ খবর করতে শুরু করলাম এই মর্মে যে ইংল্যান্ডের বুকে পাচু রায় বা দেবু সরকার জাতীয় কেউ আছে কিনা। তা যা খুঁজে পেলাম সে এক স্বর্ণখনি – খুঁজে পেলাম রবিন কুপারকে যিনি চিঠি লিখে যাপরনাই বিখ্যাত [তবে বিখ্যাত হয়েছেন বইটি বেরোবার পর]। তবে এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে রবিনবাবুর পাচু রায় বা দেবু সরকারের বাবা। তিনি শুধু খবরের কাগজেই চিঠি লিখে খান্ত হন নি – যাকে পেরেছেন, সে ডিপার্মেন্ট স্টোর থেকে শুরু করে আইকিয়া, নানা কালেকটরস্‌ গ্রুপ, মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ, নানা পাবলিশারস, ফিশারি অ্যাশোসিয়েশন – এন্তার চিঠি লিখে গেছেন। নানা উদ্ভট প্রস্তাব দিয়ে – বেশীর ভাগ চিঠিই ঝাঁট জ্বালানও মূলক। চিঠি লিখলে তার উত্তর দেওয়া এক বৃটিশ কার্টসির মধ্যে পড়ে – আপনারা সেটা নিশ্চয়ই নীরোদ সি কে দেখে শিখেছেন। রবিন কুপার বাবু প্রায় তাঁর সব চিঠিরই জবাব পেয়েছেন – সেই চিঠি এবং তার জবার গুলি এক জায়গায় করে বের হয়েছে বই “দ্যা টাইমওয়েষ্টার লেটারস্‌”। আমি একটা কথাই বলতে পারি এই বইটা হিলারিয়াস – মানুষ যে এমন ঝাঁট জ্বলাবার জন্য উদ্ভট চিঠি লিখতে পারে এই বইটি না পড়লে আমি বিশ্বাস করতাম না।

    গোটা বই জুড়ে এমন হাস্যকর চিঠি ছড়িয়ে আছে – সবই কোট করতে হয়। স্থানাভাবে দু-একটা শেয়ার করে নিইঃ

    চিঠি -১

    রবিন বাবু মাদাম তুসো-র মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন তাঁর নিজের এক মোমের মূর্তি বানাবার প্রস্থাব দিয়েঃ

    “প্রিয় মার্টিন,
    আমার শুনেছি যে মাদাম তুসো মিউজিয়াম বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোমের মূর্তি বানায়। আমি সেই অর্থে বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ত নয়, কিন্তু আমি নিজেকে এক মহৎ ব্যক্তি বলে মনে করি। নিজেকে মহৎ মনে করার প্রমাণগুলি নীচে উল্লেখ করলামঃ

    ১। আমি সর্বদা সকাল দশটার আগে বিছানা ছাড়ি
    ২। আমি কখনই মহিলাদের উদ্দেশ্যে জোড় গলায় বা চেঁচিয়ে কথা বলি না
    ৩। আমি জীবনে কোনদিন কোন পশুকে লাঠি দিয়ে পেটাই নি

    তোমরা কি আমার একটা মোমের মূর্তি করতে রাজী হবে?
    চেনাশুনা লোকেরা প্রায়ই বলে যে আমাকে নাকি রোমান সম্রাট আগষ্টাস এর মত দেখতে! একটা টোগা-র (রোমান পোষাক) দিয়ে আমাকে সাজিয়ে দিলে আর দেখতে হবে না! কেউ আর আমাকে আলাদা করে চিনতেই পারবে না (শুধু তুমি এবং আমি এই গোপন ব্যাপারটা জানব মার্টিন)।
    আমাকে সত্ত্বর জানাবে যে কবে এবং কখন আমাকে মডেলিং এর জন্য তোমাদের মিউজিয়ামে আসতে হবে।

    রবিন কুপার”

    স্বভাব মতই মাদাম তুসো মিউজিয়াম উত্তর দিয়েছিল সেই চিঠির – কেন তারা রবিন কুপারের অনুরোধ রাখতে পারছে না সেই ব্যাখ্যা করে। সেটার আর অনুবাদ করছি না – ইংরাজী চিঠিটা পড়ে নিতে পারেন।



    চিঠি -২

    রবিন বাবু এবার চিঠি লিখছেন ‘ডেবেনহ্যাম’ ডিপার্টমেন্ট স্টোরকেঃ

    প্রিয় মহাশয়/মহোদয়া,
    আমি আপনাদের কাছ থেকে একটু সাহায্য পাবার আশায় এই চিঠি লিখছি।
    আমি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী, শনিবার আপনাদের স্টোরে গিয়েছিলাম। লিলেন ডিপারমেন্টে এ গিয়ে বিছানার চাদর দেখে পছন্দ করার সময় মনে হচ্ছে আমি আমার ডান পায়ের জুতোর ফিতেটা হারিয়ে ফেলেছি।
    কেউ কি ইতিমধ্যে ওই ফিতেটা কুড়িয়ে পেয়ে আপনাদের কাছে জমা দিয়েছে? ফিতার কালো রঙের, প্রায় দু বছরের পুরানো, এবং ২৫ সেন্টিমিটার মত লম্বা।
    আমি ভাবছিলাম হয়ত আপনারা সি সি টিভি দেখে এটা খুঁজে পাবেন। অবশ্য আমার স্ত্রী এই সি সি টিভির উপর খুব একটা ভরসা করতে বারন করছে, এমনকি আমাকে নতুন ফিতে কিনে নেবার জন্যও বলছে। কিন্তু বুঝতেই তো পারছ, কিনে নেওয়া আর খুঁজে পাওয়া জিনিসটা দুটো এক নয়।
    আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব যদি আমাকে সত্ত্বর জানান ওই ফিতেটা আপনার খুঁজে পেয়েছেন কিনা। আমি এই নিয়ে খুবই টেনশনে আছি। পাওয়া যাবে কি না – কিছুটা একটা কনফার্ম না হওয়া পর্যন্ত আমি অন্য কাজে মন বসাতে পারছি না।
    আপনাদের উত্তরের আশায়।

    রবিন কুপার”

    এর পরেও ডেবেনহাম এবং রবিন বাবুর মধ্যে পাঁচটা চিঠি চালাচালি হয় – তার পর ডেবেনহাম আর উত্তর দেয় নি







    [Ref: The Timewaster Letters by Robin Cooper, Michael O'Mara Books Ltd, 2005]  

    --------------------------------------------------------
    ভালো বিপ্লবী হয়ে বেড়ে ওঠো
    --------------------------------------------------------
    ১৯৫৫ সালে আর্জেন্টিনার জন্মগ্রহণকারী চে গুয়েভেরা ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে দেখা করে তার সাথে মিলে কিউবার নেতা হিসাবে ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টায় যোগ দেন। এটি ক্রমে এমন বিপ্লবের আকার ধারণ করবে যাতে চে গুয়েভেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন এবং পরে ক্ষমতায় এলে কাস্ত্রোর শাসনামলে অর্থমন্ত্রী হয়ে উঠবেন।

    ১৯৬৫ সাল নাগাদ গুয়েভেরা উৎসাহী হয়ে পড়লেন সারা পৃথিবীতে তার বিপ্লবী ধারণাগুলি ছড়িয়ে। কঙ্গো গিয়ে সেখানে বিদ্রোহী বাহিনীকে প্রশিক্ষণের ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। এরপর তিনি গেলেন বলিভিয়া - সেখানে শেষ পর্যন্ত তাকে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী ধরে ফেলে, এবং পরে রাষ্ট্রপতি রেনে ব্যারিয়েন্টসের আদেশে গুয়েভেরাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    বলিভিয়া যাওয়ার আগে তিনি শেষবারের মত গোপনে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে কিউবা যান এবং তাদের ছেড়ে আসার আগে এই নীচের চিঠিটি স্ত্রী-র কাছে রেখে আসেন। বলে যান যে কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর পাঁচ সন্তানকে যেন এই চিঠিটি পড়তে দেওয়া হয়।

    প্রিয় হিলডিটা, অ্যালিডিটা, ক্যামিলো, সিলিয়া এবং আর্ণেষ্টো,

    যদি কখনও এই চিঠিটি তোমাদের পড়তে হয় তবে জানবে যে তার কারণ আমি আর তোমাদের মাঝে নেই। তোমরা কার্যত আমাকে হয়ত স্মরণ করতে পারবে না এবং সবচেয়ে ছোটটি আমাকে মোটেও মনে রাখবে না।
    কিন্তু মনে রাখবে, তোমাদের বাবার সব কাজকর্মের ভিত্তি ছিল নিজের বিশ্বাস এবং তোমাদের বাবা সর্বদাই সেই বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ় আনুগত্য দেখিয়েছে।
    ভালো বিপ্লবী হয়ে বেড়ে ওঠো। মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা কর যাতে করে তোমরা প্রযুক্তি বিদ্যা গভীরে জানতে পারো। কারণ এই প্রযুক্তি বিদ্যাই আমাদের শেখাবে কি ভাবে প্রকৃতিকে আয়ত্ত্বে আনতে সাহায্য করবে। সবসময় মনে রাখবে সবাই মিলে করে ওঠা বিপ্লবই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একাকী ব্যক্তি বিশেষের এই আমরা তেমন মূল্যবান কিছুই না।
    সর্বোপরি, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে, যে কারো বিরুদ্ধে ঘটতে থাকা অনাচার গভীরভাবে অনুভব করে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মনসিকতা গড়ে তুলবে। একজন বিপ্লবীর এর থেকে বড় গুণ আর কিছু হয় না।
    আমার চিরদিনের প্রিয় বাচ্চারা, আমি এখনও তোমাদের দেখতে পাবার আশা রাখি।
    অনেক অনেক চুমু এবং অনেক বড় আলিঙ্গন,

    তোমাদের বাবা।

    সাথের ছবিঃ চে গুয়েভেরা এবং তঁর স্ত্রী অ্যালাইডা মার্চ, ১৯৫৯ সালে হনিমুনে যাবার সময় তোলা।



    [Courtsey, “More Letters of Note”, Compiled by Shaun Usher, Unbound, 2015 ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ মার্চ ২০২০ | ২৮৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ২৮ মার্চ ২০২০ ১০:২৯91829
  • বাঃ! রকমারী স্বাদের। বুলবুলভাজায় যাবে কি?
  • হখগ | 162.158.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২০ ২১:৫৯91846
  • বাঃ
  • গবু | 162.158.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২০ ০৮:৫২91882
  • সুকান্ত, ভালো লাগলো।
  • সুকি | 172.69.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২০ ০৭:৩৪91896
  • ধন্যবাদ একলহমা, হানুদা, গবু
  • dc | 162.158.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২০ ০৯:১৪91898
  • ফেনম্যানের লেখা এই চিঠিটা পড়েছিলাম, এটা আমার জীবনে পড়া সেরা লেখাগুলোর মধ্যে একটা। "নিজের কাছে পরিচয়হীন থেকো না" - এই লাইনটা পড়ে এক সময়ে আমার জীবন পাল্টে গেছিলো। প্রথম যে বিকেলে পড়েছিলাম সেই বিকেলটা এখনও মনে আছে - গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশনের লাইব্রেরিতে রাস্তার দিকের একটা টেবিলে বসে, বাঁ দিকে কার্ডের বড়ো বড়ো ফাইলিং ক্যাবিনেটগুলো আর এখানে ওখানে আলো জ্বলে উঠছে। ঠিক যেমন মনে আছে প্রথম নিউরোম্যান্সার পড়ার স্মৃতি, হোস্টেলের রুমে রাত এগারোটা থেকে সকাল পাঁচটা অবধি, আর কয়েক ঘন্টা পরেই পরীক্ষা, তার প্রায় কিছুই পড়া হয়নি।

    অনুবাদককে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন