এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • CALCUTTA CINE INSTITUTE - যৌথ-স্মৃতির চিঠি

    Subhadeep Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  •       আন্দ্রেই তারকভস্কি একদা বলেছিলেন, স্মৃতির রং হয়, আর সেই রং হল সেপিয়া। কথাটা কতটা ব্যঞ্জনাময় বোঝা যায় যখন ঘর-গোছানোর মাঝে আচম্বিতে খুঁজে পাওয়া যায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি আগের কিছু চিঠিপত্র। বেশির ভাগই ব্যক্তিগত স্মৃতির ভাণ্ডার। কিন্তু কিছু কিছু থাকে, যা আবার যৌথ-স্মৃতির অংশে বিরাজ করে। ব্যক্তিগত চিঠিই, কিন্তু বংশ ও সামাজিক পরম্পরায় পঞ্চাশ বছরের ব্যবধানে তা পরিণত হয় যৌথ-চিঠি থুড়ি যৌথ-স্মৃতির বিষয়ে। পঞ্চাশ বছরের পূর্বের চিঠি অবশ্যই আমার নয়। আমার বাবা অঙ্কের অধ্যাপক শ্রী শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ ছিলেন তৎকালীন সময়ের ফিল্ম সোসাইটি CALCUTTA CINE INSTITUTE-র সদস্য! সিনে বাফ যাকে বলে বাবা ছিলেন তাই। এই ফিল্ম সোসাইটির অস্তিত্ব সম্ভবত এখন আর নেই। সে-সময়ে কোনো ছবির প্রদর্শনী থাকলে তার ডিটেল অর্থাৎ কি ছবি, কোন দেশের ছবি ও কবে-কোথায় দেখানো হবে তার ডিটেল, পোস্ট-কার্ড চিঠির মাধ্যমে সদস্যদের কাছে প্রেরণ করা হত। সেই সব চিঠির কিছু আজ হঠাৎ খুঁজে পাওয়া গেল! ৭১ থেকে ৭৩-র মধ্যে এই চিঠিগুলি বাবার কাছে এসেছিল। এই চিঠিগুলিকে যৌথ-স্মৃতি বলার কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার মত অনেকে যারা বেশ কম বয়স থেকে বাবা-মায়েদের সুবাদে সারা পৃথিবীর ছবির অন্তত নামগুলি ও পরিচালকদের নামের (রেনোয়া, ব্রেসঁ, গদার, বুনুয়েল ইত্যাদি) সঙ্গে পরিচিত ছিলাম এবং পরবর্তীকালে সেইসব ছবি দেখার সুযোগ পেয়েছি, তাদের কাছে আচম্বিতে খুঁজে পাওয়া এইসব চিঠি যেন আমাদেরই পাঠানো হয়েছিল বলে অনুভূত হয়। বলা-বাহুল্য, বাবা-মায়েদের মুখে শোনা সেইসব গল্প এবং শিল্প-সঞ্জাত আবেগ এর মূল।

         বাবার মুখে শোনা দু-একটি বিষয়ের উল্লেখ এখানে করা যেতে পারে। এটা ঘটনা যে, সে সময়ে সেই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সিনেমার সিদ্ধার্থর বন্ধুর বলা ‘সুইডিশ ছবি, নো কাঁচি’-র ব্যাপারটা ছিল। তথাপি সেই সব ছেলেপুলেও এমনকি ভালো ছবি আনলে অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে দেখত এবং ছবিগুলি নিয়ে চিন্তা করত। মুস্কিল হত ফিল্ম সোসাইটির কর্মকর্তাদের নিয়ে। তাঁদের হামবড়া ভাবের জন্য আমার বাবার মত অনেকেই ধীরে ধীরে ফিল্ম সোসাইটিতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। কারণ তাঁরা নিজেদের মর্জি ও মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কথা অনুযায়ী ছবি আনতেন, বাকিদের কথায় আমল দিতেন না। এমন কি সত্যের খাতিরে এও বলতে হয় যে তাঁরা ঘটনা-চক্রে কর্তাব্যক্তি হলেও, সবসময় চলচ্চিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব পরিণত বোধ-বুদ্ধির পরিচয় দিতেন না।  ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের মুখ থুবড়ে পড়ার অন্যতম বড় কারণ এটি বলে অনেকেই মনে করে থাকেন। কেননা এই ব্যাপারটা, আরো বেশি মানুষকে সৎ-চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত করার আন্দোলনের যে মূল স্পিরিট, তারই বিরোধিতা করে। তথাপি, অজস্র ভালো ছবি সে সময় এই ফিল্ম সোসাইটিগুলির হাত ধরে এ-রাজ্যের মানুষ দেখেছেন এবং সর্বোপরি বাঙ্গালীর পরিণত চলচ্চিত্র-বোধ তৈরির পিছনে এই ফিল্ম সোসাইটিগুলির অবদানকেও অস্বীকার করা যায় না।
     
        চিঠিগুলির ছবি সাল ধরে এখানে দিলাম -

     
        এবং সঙ্গে দিলাম একটা চার্টও –
    https://ibb.co/8DRFqbvH
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন