তবে এই ব্যাপারে সেরা গল্পটা শুনেছি আমার এক বন্ধুর কাছে, গুরগাঁওয়ের এক প্লেস্কুলের। পড়ানো হচ্ছিলো আওয়ার ফ্রেন্ডস ইন নেবারহুড। সুতরাং এক একজন বাচ্চাকে এক এক পেশার মানুষ সেজে আসতে বলা হল। দিদিমণিরাই লিখে দিলেন কাকে কি সেজে আসতে হবে। যে বাচ্চাকে কবলার সেজে আসতে বলা হল, তার মা পরের দিন এসে কেঁদে পড়লো - বাড়িতে একটাও ছেঁড়া জুতো নেই।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:২১ | 122.172.58.211
আর এখন হয়েছে হাতের কাজ আর চার্ট বানানো। কালকে বানিয়ে নিয়ে যেতে হবে টুপি পরা পল অক্টোপাস। ঃ-((
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:১৫ | 168.26.215.13
এই আর একটা ব্যপার, আম্রিগায় আমি যতটুকু দেখেছি সবাই ডলারকে কদর করে। হুট বলতে টাকা খরচ করতে বলে না। বললেও সেটা খুবই রিজনেবল হয়। সব টাকা পয়সা যদি এইসব রং চেনাতেই খরচ হয়ে যায় তাহলে পরে কি করে খরচ করব?
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:১৩ | 122.172.58.211
মারাথাল্লিতেও ফ্যান্সি ড্রেসের দোকান থাকার কথা।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:১১ | 122.172.58.211
আমি এই ভয়াবহ ফেজটা পেরিয়ে এসেছি। ছেলে যখন প্লেস্কুলে যেত, রোজ আতঙ্কে থাকতাম, আজ আবার স্কুল থেকে কি নোটিস আসবে! যখন রং চিনিয়েছিল, কি যে দুরবস্থা গেছে! দুপুরে ছেলে ফিরলো নোটিস নিয়ে, কাল গ্রীন ডে, সব কিছু সবুজ হতে হবে, জামা সবুজ, মোজা সবুজ, টিফিন সবুজ। গ্রীন ডের টিফিন তো পেয়ারা, আঙ্গুর দিয়ে ম্যানেজ হয়ে গেল। তারপর এল ব্রাউন ডে, সন্ধ্যেবেলায় বেরিয়ে কিনে আনলাম বাদামি জামা । টিফিনে গেল ব্রাউন ব্রেড, খুবই সহজ ব্যাপার। একমাস বাদে এল সেই ভয়াবহ দিন - পিঙ্ক ডে। লুরুতে আবার সবাই আধা আম্রিগান। কোনো দোকানেই ছেলেদের পিংক জামা নেই, অবশেষে কমার্শিয়াল স্ট্রীটের এক দোকানে পেলাম পিংক ছেলেদের জামা। এবারে গোলাপি টিফিন কি করে দেব! কোলকাতার গোলাপি চিনির মঠগুলো চোখে ভাসছে, আর রাগে গা চিড়বিড় করছে, স্কুলের আদিখ্যেতায়। শেষে এক বন্ধু বুদ্ধি দিল, স্যান্ডউইচের ভিতরে স্ট্রবেরি সিরাপ দিয়ে, স্যান্ডুইচটা প্রথমে ক্লিঙ্গফিল্ম দিয়ে র্যাপ করে তার উপরে গোলাপি কাগজ দিয়ে মুড়ে দিলাম। (পিংক শার্টটা রেখে দিয়েছি যদি কখনো কারো কাজে লাগে তাকে দেবো বলে, একইভাবে পার্পল শার্টও আছে)
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:০২ | 204.138.240.254
আমার খেয়েদেয়ে কাজ নেই মালেশ্বরম, জয়নগর আর কমার্শিয়াল স্ট্রিটে যাবো (দুইবার করে) এইসব নৌটঙ্কির জন্য।
এনিওয়ে থ্যাংকু। পরে খুঁজে দেখবো মারাথাল্লি বা কেআরপুরম অঞ্চলে কিছু আছে কিনা।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:৫০ | 122.172.62.175
অর্পণ, মালেশ্বরমে অনেকগুলো ফ্যান্সি ড্রেসের দোকান পেয়ে যাবি স্যাঙ্কে রোডের উপরে। আর এদিকে জয়নগর সেভেন্থ ব্লকে ফুডওয়ার্ল্ডের পাশে আর জয়নগর ফোর্থ ব্লক মার্কেটের কাছে আরেকটা দোকান। কমার্শিয়াল স্ট্রীটেও ফ্যান্সি ড্রেসের দোকান পাবি। দেড়শো টাকা করে ভাড়া।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:৩৩ | 122.172.6.71
মেঘদের একটা জিনিস মাঝে মাঝে থাকতো - কোন অনুষ্ঠানের পর বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা বাবা-মাদের শেয়ার করা। দু হপ্তার কম বই নোটিস থাকতো না। ঝমেলার জিনিশও কিছু থাকতো না। এক বাক্সো আঙুর কি এক গোছা পেপার ন্যাপকিন পার পেরেন্ট। একটা সাইন আপ শীট থাকতো দু হপ্তা ধরে। আমার কত্তা মেঘকে ড্রপ করতে যেত আর প্রতিবার দুটি করে ডিসপোজেবল টেবিলক্লথে সাইন আপ করে আসতো। বিরক্ত হয়ে শেষবার আমি নিজে চলে গিয়ে পাস্তা নিয়েছিলাম।
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:২৬ | 168.26.215.13
আম্রিগায় এতটা উৎপাত নেই। বছরে একদিন কস্টিউম ডে থাকে বটে। তারজন্য ওয়ালমার্ট থেকে ফায়ার ফাইটারের ড্রেস কেনা আছে (একটু বড়), প্রতিবছর সাম্পান ফায়ার ফাইটার। বাকি সব কিছু ক্লাসে করে। এই সামারে থ্রি লিটল পিগ ড্রামা করেছে। তার স্টেজ ডেকরেশন থেকে শুরু করে রিহার্সাল সবই ক্লাসে হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে ভলান্টিয়ার ডেকে নেয়। এর আগে অন্য একটা অনুষ্ঠানে স্টেজ তৈরি করতে ভলান্টিয়ার ডেকেছিল, আমার বউ সহোৎসাহে রাজি হয়েছিল। মাত্র একদিন যেতে হয়েছিল। তারপর এই যে ড্রামা হল, সেখানে আমাদের ভূমিকা ছিল ড্রামার দিন ছবি তোলা। তাও আমি যেতে পারি নি, বউ গিয়েছিল। নতুন বছরে কোন একটা ফিল্ম প্রোজেক্ট করবে তারজন্য বছরের শুরুতে ৫ ডলারের একটা গিফট কার্ড চেয়ে নিয়েছে। কিণ্ডারগার্টেনে বলেছে হোমওয়ার্ক থাকবে, রোজ বাড়ি ফিরে নাকি আধঘন্টা পড়তে হবে।
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:২০ | 121.242.177.19
কী-এক কথায় কথায় "ভগবান বলে কিছু হয় টয় না' এই কথাটা বাবার মুখে শোনার পরে মেয়ে যে রকম ক্রেজি হয়ে বাবাকে দুমাদ্দুম পিটিয়েছিল, বুঝতে সময় লাগে নি মগজ ধোলাই কোন রেঞ্জে চলে গেছে। ঃ-) আর এই বয়েসে টিচাররা প্রায় ভগবানের সমতুল্য হয় টয়। বাবা-মা ভুল হতে পারে কিন্তু টিচার যা বলে তা কখনো ভুল হয় না। এই ফীলিংটা আমাদেরও ছিল।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:২০ | 122.172.6.71
মেঘদের স্কুলে পনেরোই অগাস্ট নিয়ে বেশ একটা মেস হল। মঙ্গলবার মেয়ে এসে বলল, কাল আমাদের ফ্রিডম ফাইটারের কস্টিউমে স্কুলে যেতে হবে। দিদা দাদু মাতঙ্গিনী হাজরা টাইপের অনেক সাজেশান দিলেন যাতে শাড়ি পরলেই চলে, বাপ মা এক সন্ধের নোটিসে এত সম্ভব নয় বলে যেমন কে তেমনই ইউনিফর্মে পাঠালো। পরের দিন ডায়রিতে নোটিস এলো ওটা সোমবার অর্থাৎ আজ হবে। তারপর শনিবার রাতে নোটিস এলো ওটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পোস্টপোনড এবং রোব্বার সকালে স্কুলে পতাকা উত্তোলন হবে(জাস্ট FYI। বাচ্চাদের যেতে বলা হয় নি।)। তারপর রোব্বার রাতে রিমাইন্ডার এলো, রেগুলার জামাকাপড়ে পাঠাতে ভুলো না কিন্তু। এদিকে আমাদের চেয়ে উদ্যমী বাবা মারা শুধু শুধু কস্টিউম কিনে ও ইন্দিরা গান্ধীর স্পিচ মুখস্ত করিয়ে বসে রইলেন(ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে আমাকে জিগিয়ো না)। অবভিয়াসলি প্রচন্ড রেগেও গেলেন - বাস থেকে মেয়েকে তুলতে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভ দেখলাম।
ভারতীয় স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হোলো না এও আমার প্রথম দেখা। "There will be a flag hoisting tomorrow. Happy Independence Day to all students, staff and parents!" ব্যাস।
এক কথায় লেজি অ্যান্ড ক্লামজি। এর চেয়ে আমার নৈহাটির স্কুল অনেক ভালো ছিল।
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:১৭ | 92.225.72.207
হে হে! এখানে এখন জনমত নেওয়া হচ্ছে স্কুল পাঠ্য থেকে রিলিজিয়াস স্টাডি তুলে দেওয়া হবে কি না যদিও অধিকাংশ স্কুলেই উহা অপশনাল প্লাস রিলিজিয়াস স্টাডির নামে বেসিক হিউম্যানিটিস এর পাঠ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ লোকজন মত দিয়েছে রিলিজিয়ন প্রসঙ্গটাই তুলে দেওয়া হোক কারণ রিলিজিয়নের পোকা নাকি ডেঞ্জারাস, তার বদলে শুধুই হিউম্যানিটিস পাঠ্য রাখা হোক।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:১০ | 204.138.240.254
কে বলে! আমার মেয়ে রোজ নিয়ম করে গাইছে "টেলিফোন টু জিসাস'। হ্যাঁ! ;-)
এদিকে সেপ্টেম্বর থেকে মেয়ের ফার্স্ট টার্মের পরীক্ষা শুরু। সাত না আটদিন ধরে চলবে। একপাতার গল্প মুখস্থ বলা, একপাতার খ্রীস্টীয় প্রার্থনাসঙ্গীত স-অ-অ-ব আছে।
santanu | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:১০ | 82.112.6.2
কলকাতার স্কুলে এ ব্যপারটার এতোটা রমরমা এখনো হয় নি।
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০৯ | 121.242.177.19
রিলিজিয়াস বিলিফ ব্যাপারটাকে এত দৃষ্টিকটূভাবে প্রকট করে দেখানোর মানসিকতা ভারতীয়দের যতটা আছে, আর কোনও দেশে তেমন আছে কিনা জানি না। আছে নিশ্চয়ই, কিন্তু পাশ্চাত্যের যে কটা দেশ দেখেছি, ইনক্লুডিং আধা-প্রাচ্য তুর্কী, কোথাও এই দিখাওয়া দেখি নি।
উত্তর ভারতে থাকি, তাই হয় তো খুব বেশি করে চোখে লাগে ... এখানকার বাঙালিগুলোও যেন কেমনধারা ...
samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০৫ | 121.242.177.19
এ এক ধরণের গণহিস্টিরিয়া। কেষ্টভক্তি আর দেশভক্তি একেবারে একপাতে ভক্ষ্য। অন্য কিছু, অন্য কোনোভাবে ভাববার, বলবার অবকাশই নেই।
নিঃশব্দে শুরু হয়ে গেল রমজান। কোথাও কোনও উচ্চারণ নেই। এরা জানবেও না রমজানের ইতিহাস।
শালা বালের সেকুলার দেশ।
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০৫ | 92.225.72.207
যত শুনছি তত তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি। যেদেশে থাকি সেখানে এসব উৎপাত দেখিনি বা শুনি নি। আমার বাড়ির প্রায় লাগোয়া একটা কিটা, প্লে গ্রাউণ্ডে মাঝেমাঝেই বাচ্ছাগুলোকে রংবেরঙের পোশাকে খেলতে দেখি, এখানে তো ড্রেস কোড নেই। ভারী মজা লাগে। একটু বড়দের স্কুলও কাছেই আছে। অবশ্য আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নেই এসব ব্যাপারে তবে আমার দুজন পরিচিতর ছেলে ও মেয়ে নার্সারী/স্কুল যায়/যাচ্ছে, প্লাস কলিগদের প্রায় সব্বার ছেলেপুলে কাচ্চাবাচ্চা আছে - তাদের কাউকে এসব নিয়ে কখনো মাথা কুটতে দেখিনি বা শুনি নি। ঐসব নেটিভিটি প্লে'র ঝামেলাও এখানে নেই যেহেতু বার্লিনে রিলিজিয়নের উৎপাত নেই। স্কুল থেকে বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রোজেক্ট করায়, কি লাগবে আগে থেকে গার্জেনকে জানিয়ে দেয় বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওরা নিজেরাই সব করে। হয়ে গেলে গার্জেনদের দেখান হয় কার বাচ্চা কি কি ভেবে বানিয়েছে - এইসব। সে বেশ মজার। তা এখানে বাচ্চাগুলো তো দিব্যি সেসব শিখছে, খেলছে, পড়ছে, লিখছে। মা বাপকে উদভ্রান্ত হতে দেখি না। দেশের ইস্কুলগুলোতে এরকম করে কেন? মানে, এইসব করানোর পিছনে বক্তব্যটা কি? বাচ্চার ইমাজিনেশন, ক্রিয়েটিভিটি বাড়ানো? না, বাবা-মা বাচ্চার পিছনে কত সময় দেয় সেটা দেখা? আর এইসব করে শিশু প্রতিভার/ইম্যাজিনেশন/ক্রিয়েটিভিটির সত্য কি কোন বিকাশ হয়? মানে, করে তো দিচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক মা-বাবারাই। আমি একেবারেই বুঝতে পারছি না এইসব করানোর উদ্দেশ্যটা কি? এতে লাভটা কি এবং কার?
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০৪ | 122.172.6.71
শমীক, সিরিয়াসলি?
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০৩ | 121.242.177.19
সামনে জন্মাষ্টমী আসছে। আবার কৃষ্ণর ড্রেস ভাড়া নিতে হবে।
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৮:০২ | 121.242.177.19
পামিতাদি,
প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা!
অর্পণ,
এই তেরঙ্গা স্যান্ডুইচটা মেয়ের গতবছরের সেলিব্রেশনে ছিল। ঐ একই পন্থাঃ গাজর, চীজ, আর মটরবাটা।
এ বছর ঝাঁসির রানীর ওপর দিয়েই গেছে। তিন বাক্যের একটা স্পিচ মুখস্থ করানো হয়েছিল, মিস খুশি হয়ে তাকে দিয়ে দুইবার করে বলা করিয়েছেন। মিস খুশি হলেই মোগাম্বোও খুশি।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৫৮ | 122.172.6.71
নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে ভাড়া নিতে পারি কিন্তু কেন নেবো? সারা বছরে একটা অ্যানুয়াল ডে বা ওরকম কিছু হলে ঠিক আছে কিন্তু প্রতি হপ্তাতেই যদি বাবা মা-র সময়, অর্থ ও পরিশ্রমের একটা বিরাট ওভারহেড পড়ে যায় স্কুল আছে কি করতে? এতে বাচ্চাদের শেখার দিক থেকেও খুব কিছু লাভ হয় না। সব তো বাবা মার ধকল।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৫৩ | 216.52.215.232
লুরুতেও আছে। স্কুলের মিসকে জিগ্যেস করলেই বলে দেবে। বিরক্তিতে আর জিগ্যেস করিনি।
আজ মেয়ের লাঞ্চে ছিল ট্রাইকালার স্যান্ডউইচ। অবশ্যই স্কুলের দাবি অনুযায়ী। ওপরের লেয়ারে সেদ্দ গাজরের মন্ড, মাঝে চিজের স্লাইস আর নিচের লেয়ারে মাশি পিজ। বোধহয় না খেয়েই ফেরত আনবে।
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৪৮ | 121.242.177.19
কলকাতায় ফ্যান্সি ড্রেস ভাড়া দেবার দোকান হয় না? এখানে তো প্রতিটা স্কুলে খুব উৎপাত এইসবের, তাই পাড়ায় পাড়ায় এই সব ফ্যান্সি ড্রেসের কিরায়া দেবার দোকান রমরমিয়ে চলে। হরিণ বাঘ সিঙ্গি জিরাফ ঝাঁসির রানী, কৃষ্ণ, নেতাজি, চাচা নেহরু, গান্ধিজি, পেড়, অ্যাস্ট্রোনট, সানিয়া মির্জা, মাদার টেরেসা, স-অ-ব রকম ড্রেস পাওয়া যায়। একশো পঁচিশ টাকা করে নেয়।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৪৪ | 122.172.6.71
কে আর হৃদয় খুঁড়ে.. আড়াই বছরের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি - যদি বাপ-মাকে কিছু কিনতে বলা হত (সারা বছরে হয়তো দুবার তেমন হয়েছে - ক্রিসমাসের কস্টিউম কি পাজামা ডের উপযুক্ত কোন পোশাক ফর একজাম্পল) অ্যাট লিস্ট দু হপ্তার নোটিস থাকতো। এই ধরনের স্পেশাল কিছু হলে সেটা ক্লাসের অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে করাতো। একটা পেপার ব্যাগকে উল্টো করে নাক চোখ মুখ বানিয়ে মুখোশ - ইম্যাজিনেশনের কোন অভাব ছিল না - সামান্য সামান্য জিনিস দিয়ে ক্লাসে সবাই মিলে বানাতো। উপাদান ওরা জোগাড় করে দিতো বা নিতো। একবার বছরের শুরুতে লিখলো যাদের ছোট বেবি আছে গারবারের বটলগুলো সেভ কোরো, আর্ট প্রজেক্টে লাগবে - তারপর এক সময় জানালো যথেষ্ট হয়েছে। প্ল্যানিংও ভালো ছিল, শুরুতে মোটামুটি জানতো সারা বছর কি করাবে। এখানে সব অ্যাডহক আর ধরেই নেয় বাবা মা বাচ্চাদের স্কুলের এইসব এক্সট্রা ফরমাশ খাটার জন্য বলিপ্রদত্ত।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৩৭ | 216.52.215.232
* বাড়িতে
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৩৬ | 216.52.215.232
আমাদের স্কুলে তো ডায়েরি লেখাও বন্ধ। ভর্তির সময় জিগ্যেস করে নিয়েছে বাড়ে কম্পিউটার আছে কিনা। সব বায়নাক্কা স্কুলের পোর্টালে আপডেট করে দেয়।
বাড়িতে একদিন নেট কানেকশন না থাকলে বা অন্য কাজ থাকলে হাতে হারিকেন।
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:৩২ | 92.225.72.207
ভয়ে ভয়ে আরেকটা কোচ্চেন করছি। এইসব উৎপাত কি দেশের স্কুলেই খালি? নাকি আম্রিগাতেও ছিল?
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:২৬ | 122.172.6.71
সব পোস্টার কস্টিউম করিয়ে দাও। এমনি জামা প্যান্ট পরিয়ে একটা চৌকো কাগজে লিখে বুকে সেঁটে দাও - "অ্যাস্ট্রোনট"। সব স্কুলে একই দশা - অসম্ভব বায়নাক্কা - এদিকে স্কুল থেকে কুটোটি নাড়বে না। যত্তসব। একদিনের নোটিসে ডায়রিতে লিখে দিল চার প্যাকেট পপ্কর্ণ পাঠাও। বাবা মার যেন সন্ধেবেলা আর কোনো কাজ নেই নয়তো সবার বাড়িতে পপ্কর্নের গাদা প্যাকেট মজুত করা থাকে।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:১৩ | 216.52.215.232
পুরনো জামাকাপড় কিছুই নাই। কোন একটা এনজিও এসেছিল গত বছর, তাদের মুক্তহস্তে সব দান করে দিয়েছি।
পুরোনো জ্যাকেট-ট্যাকেট কিছুই নাই? -- হেল্মেট বানানো যায় থার্মোকল আর ট্রান্সপারেন্সি দিয়ে -- আমার কিন্তু মেয়ের সাথে একসাথে এইসব প্রোজেক্ট-এ নামতে ভালোই লাগে, মেনলি ওই করে, আমি সাথে থাকি!
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:০২ | 204.138.240.254
৩.৫।
আচ্ছা, কলকাতায় এসব উৎপাত আছে? এই স্কেলে?
saikat | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৭:০১ | 202.54.74.119
অর্পণের মেয়ের বয়স কত? ৩? এখনই মহাকাশে পাঠাচ্ছো? আর তো কিছু বাকী থাকলো না !
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৫৫ | 204.138.240.254
হু আমিও এই লাইনে ভেবেছিলাম। কিন্তু সাতমণ তেল পোড়াতে পারলাম না। বাড়িতে হেলেমেট পুরানো রেনকোট ইত্যাদি কিছুই নাই।
ভাবছি ওইদিন আমি অফিস থেকে ছুটি নেবো। আর সবাই মিলে কাছেপিঠে কোথাও বেড়িয়ে আসবো।
যত্তসব উৎপাত!
de | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৫১ | 203.197.30.2
ফুড চার্ট যেকোন পড়াশোনার দোকানে কিনতে পাওয়া যায় তো -- সেখান থেকে কেটেকুটে লাগালেই হবে।
de | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪৯ | 203.197.30.2
*পরিয়ে
de | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪৭ | 203.197.30.2
মাথায় হেলমেট পড়িয়ে একটা অ্যান্টেনা লাগাও--নিজের পুরানো রেনচিটারে সিলভার কালার করো -- পরানোর পর ভেতরে নরম কাগজ কি তুলো ঢুকিয়ে একটু ফুলিয়ে দিতে হবে, একই রকম পাজামা আর পুরানো স্নিকারেও একটু সিলভার কালার করে পড়িয়ে দিলেই হবে -- আর হাতে একখান রিমোট ধরিয়ে দেবে!
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪৫ | 92.225.72.207
গুরুতে এইসব পড়তে গিয়ে খাবি খাই আর ভাবি এইগুলো বাচ্চাদের না তাদের মা বাবার পরীক্ষা! আরো ভাবি সবই যদি মা-বাপের ঘাড় দিয়ে চলে তো স্কুলের দিদিমনি মাস্টাররা করে কি???
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪১ | 204.138.240.254
আরে অ্যাস্ট্রোনট বলেছে। রোবট বলেনি। ঃ-(
m | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪১ | 122.162.42.218
হাত দুটো বাক্স থেকে বেরিয়ে থাকলে ন্যাড়া ন্যাড়া দেখাবে- সাদা ফুল হাতা জামা পরিয়ে দিতে পারো।
m | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৩৯ | 122.162.42.218
এইটা একটা সমস্যা! হুঃ, একটা বড় বাক্স খুঁজে বের করো,মুন্ডু দিয়ে গলিয়ে দাও, সাদা রং করে দিও( মেয়ের গায়ে নয়,বাক্সে)সাদাপ্যান্ট আর সাদা জুতো পরাও-মুখে একটু রং দিয়ে আঁকাজোখা করে দাও। খেল খতম।
quark | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৩৮ | 202.141.148.99
হুম! ঘরোয়া উপকরণ ভাড়া পাওয়াটা গুরুতর সমস্যা বটে!
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:৩২ | 204.138.240.254
এই সমস্যা নিয়ে কান্নাকাটি করছ! এইবার আমার সমিস্যের সমাধান কর। মেয়েকে অ্যাস্ট্রোনট সাজিয়ে পাঠাতে হবে। ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে আইডিয়া চাই। কোন চুলোয় এইসব পোশাক ভাড়া পাওয়া যায় জানি না।
দে'র প্রথম লিংকের ছবিটা দেখে আরেকবার মনে পড়ল "স্নেহ অতি বিসম (ষম নয়) বস্তু"।
m | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৬:১৫ | 122.162.42.218
আমার সিরিয়াস সমিস্যে নিয়ে এরা খিল্লি দিচ্ছে!! ছেলে ফুড পিরামিডে চড়েছে। গত হপ্তায় যেখানে যত বই ছিলো সব নিয়ে কাঁচি হাতে গম্ভীর মুখে বসেছিলো- সর্বত্র আপেল কলার ছবি না পেয়ে সে খুব ভেঙে পড়ায় অন্যলোকের পুরোনো সানন্দা কেটেকুটে সামাল দিয়েছি। আজ দাবি ফ্যাটের 'ইউনিক' ছবি চাই- আমি বল্লাম তুমি কি ভালো ছবি আঁকো, নিজেই তো এঁকে নিতে পারো- তাতে গাল ফুলিয়ে বল্লো, ওরকম হবে না,প্রিন্ট চাইঃ((
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন