ও হ্যাঁ, তালপাতা দিয়ে হাতপাখা বানাতে আমাদেরও শেখান হয়েছিল। তাও আবার যে সে নয়, ফোল্ডিং। অবভিয়াসলি, গোটা ক্লাসের মধ্যে একমাত্র আমার পাখাই বন্ধ করার পরে আর খুলতে চায় নি। ডেমো দেবার প্রবল চাপে অবশেষে সব বন্ধন ছিন্ন করে পাতাগুলো পাখনা মেলে উড়েই গেল আর ডাঁটি দুটোর একটা ঠাঁই করে দিদিমণির.... কি ভাগ্যি মাথায় চুমু খায় নি, সামনের টেবিলে ঠকাস করে পড়ে দেহ রেখেছিল। তারপরে বেশ কিছুদিন হাতের কাজের ক্লাসে আমায় হাত বের করতে দেওয়া হয় নি।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:৪৮ | 122.172.59.34
বেচারা পিপি । ঃ-)))
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:৩৫ | 78.52.232.148
মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষার যে খাতা জমা দিতে হয়েছিল তাতে টুপি, মোজা, মাফলার, পেটিকোট, রুমাল ইত্যাদি সাপ ব্যাঙ ছাই ভস্ম সাঁটতে হত। বলতে লজ্জা নেই অনেক কাকুতি মিনতি করায় ওসবের বেশীরভাগই মা করে দিয়েছিল। বাকীগুলো সিনিয়রদের কাছ থেকে ধার করা। খালি টেবিল ক্লথটা বহু যত্নে বহু মাসের চেষ্টায় নিজে বানিয়েছিলাম। জ্যেঠুকে এক জাপানী পেশেন্ট একটা টি সেট উইথ ট্রে ক্লথ, টেবিল ক্লথ উপহার দিয়েছিল। সেই নকশার সাথে কিছুটা আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুল লতাপাতার নকশা এমব্রয়ডারী করে যখন শেষ হল নিজের কাজ দেখে নিজেই তাক মেরে গেলাম। যারা আমার প্রতিভা সম্পর্কে বিশদে জানত তারা তো প্রায় উল্টেই গেল। দু চারটে পিঠ চাপড়ানিও পেলাম। খালি টেবল ক্লথের সাইডে ফিসবোনের কাজটুকু মা করে দিয়েছিল। সেইটি সেঁটে কর্মশিক্ষার খাতা নিয়ে যখন গেলাম, ছাতা জুতো মোজা রুমাল বেড়াল দেখে দিদিমণি টুঁও কল্লেন না। ইনফ্যাক্ট ছুঁয়েও দেখলেন না কিছু। খালি টেবল ক্লথের পাতায় এসে কয়েক সেকেণ্ড দেখে পাতা উল্টাবার সময় নীচু গলায় বললেন - "কেনার কি দরকার ছিল'। ঃ-(
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:৩২ | 122.252.231.14
অরিজিতের টিম আজ নামছে আর অরিজিতের পাত্তা নেই। ঃ-(
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:১৬ | 78.52.232.148
হ্যাঁ হ্যাঁ, ঝালমুড়ির ঠোঙা বানানো বড় বিদ্যা। আমাদের কর্মশিক্ষায় ওটিও শিখতে হয়েছিল। কর্মশিক্ষার খাতায় সেটি সেঁটে নীচে উপযোগীতা সম্পর্কে কেউ একজন লিখেছিল সংসার প্রতিপালন। তারপরে কি হয়েছিল সে আর... যাই হোক, ঐ ঠোঙা (মতান্তরে টুপি) দিয়ে হাতেখড়ি, তারপরে সেই বিদ্যেয় পিএইচডির হ্যাট বানিয়ে লোককে টুপি পরিয়ে পিএইচডি। বললে হবে? সংসার প্রতিপালনে ঠোঙা আই মিন টুপির অবদান নিয়ে থিসিস নামানোই যায়।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:১৩ | 122.172.59.34
পিপি ঃ-))))
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২৩:০৮ | 78.52.232.148
হ্যাঃ আর আমি সেই কব্বেই রঙদার ডিজাইনার মোংবাতি বানিয়ে ফেলেছিলুম। অবশ্য সেই কারণেই আলতার শিশি, হলুদের বোতল থেকে থেকে শূণ্য হয়ে যেত কিনা বা ছাপ সন্দেশ বানাবার মোল্ডগুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে যেত কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলছি না।
ব্যাংদি, ছয় ইঞ্চির মোজা মাফলার - ওফ্হ, চক্ষে ফের জল এসে গেল। কোনওদিনও সেসব পরীক্ষায় শেষ করতে পারি নি। আশেপাশে খালি তাকিয়ে দেখতাম সব্বাই যেন এক একেকজন সব্যসাচী। হংসমধ্যে বক যথা হয়ে খুটুংখুটুং চালিয়ে যেতাম। ঘন্টা বাজলে যেমন যেমন কয়েক সেমি বুনে উঠতে পারতাম তেমনি জমা দিতাম। হাইট হয়েছিল কেলাস নাইনে (নাকি এইটে, মনে নেই)। এক ঘন্টার মধ্যে কাপড় কেটে, সেলাই করে, হেম দিয়ে, দড়ি পরিয়ে ফুট খানেক মাপের পেটিকোট রেডি করে জমা দিতে হবে। আগের রাতেও মা কাগজের উপর পের্যাক্টিশ করিয়েছে। ঘন্টাখানেক বেদম খাটাখাটনির শেষে টেবিলে যেটা জমা দিয়ে এলাম দিদিমণি সেটা তুলে ধরে সব্বাইকে দেখিয়ে বললেন তিনি সেটি স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে দেখাবেন তো বটেই প্লাস বড়দিকে রিকোয়েস্ট করবেন ঐ শিল্পকর্মটিকে বাঁধিয়ে স্কুলের ডিসপ্লে বোর্ডে রাখা যায় কিনা যাতে ভবিষ্যতের ছাত্রীরা উপকৃত হয়ঃ-)
lcm | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:৪৫ | 128.48.7.101
হ্যাঁ, মোমবাতি - পেঁপে গাছের ফাঁপা ডাল দিয়ে। বা, সরু কঞ্চি দিয়েও। আর ছিল কাঠের কাজ, ডাস্টার।
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:৩০ | 122.162.75.54
রিমি জিগাচ্ছিলে না, স্কুলে সাজিয়ে না পাঠালে কী হয়?
গেল বছর এই জন্মাষ্টমী আর স্বাধীনতা দিবস প্রায় একই সাথে পড়েছিল। তো তেনার স্কুলে কিছু বাচ্চাকে গেরুয়া পাঞ্জাবী, কিছু বাচ্চাকে সাদা আর কিছুকে সবুজ পরে আসতে হুকুম হয়েছিল।
কেষ্টপুজো আর ভারতপুজোর মার্কেট, ফ্যান্সি ড্রেসের দোকানের লাইটটা তেমন সুবিধের ছিল না। গেরুয়া বলে যে পাঞ্জাবিটা নিয়ে এলাম, একটু ফ্যাকাশে লাগছিল, পরদিন দিনের আলোয় বোঝা গেল ওটা হলুদের একটা শেড আসলে।
তখন আর কিছু করার নেই, আমাদের এখানে বেলা সাড়ে এগারোটার আগে কোনও দোকান খোলে না। সেই পাঞ্জাবী পরেই পাঠানো হল।
বিকেলে জানা গেল, তিন রো-য়ে গেরুয়া সাদা সবুজ বাচ্চাদের দাঁড় করিয়ে ফটো তোলানো হয়েছিল, আমার মেয়েকে ফটো তুলতে দেওয়াও হয় নি, কিছু বলতেও দেওয়া হয় নি। দেশের ওপর দু লাইন করে বলবারও ছিল।
সাড়ে চার বছরের বাচ্চার পক্ষে সেটাই যথেষ্ট পানিশমেন্ট।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:২৬ | 122.252.231.14
ভেবে দেখলাম মোংবাতিও বানিয়েছিলাম। যদিও তখন সুশীলদের বাজার ছিল না।
nyara | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:১৭ | 122.172.6.71
অর্পণদের আমলে আমাদের স্কুল দেখা যাচ্ছে সিউডো-মাচো হয়ে গেছিল। আমরা ক্লাস সেভেনে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সেলাই করেছি। রান, টাঁক, বোতামঘর ইত্যাদি। নিজের মুখে কি আর বলব, এ ব্যাপারে আমার বেশ ব্যুৎপত্তি জন্মেছিল। কিন্তু গোল,চৌকো, তেকোনা বাক্স বানানোয় প্রতিভা চমক দেখাতে সক্ষম হয়নি।
সাবান দারুণ বানাতাম। পরে শিখে গেছিলাম ক্ষার বেশি দিলে সাবান তাড়াতাড়ি জমে। কিন্তু ফিনাইলের কেসটা নন-ডিটারমিনিস্টিক ছিল। কখনও ফাটাফাটি হত, কখনও ছানা কেটে যেত।
ঝালমুড়ির ঠোঙা আর হ্যাট এক জিনিস হল!! রিমি যেটা বলেছে সেটাই হল প্রকৃত হ্যাটের আকার। ঃ-)
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:১০ | 122.172.59.34
ছেলে এই মাত্র একটা বেড়ে খেলার বুদ্ধি বার করেছে। বললো - মা,বাবা, ঠামি সব্বাই আমাকে ঘাড়ের পিছন থেকে জড়িয়ে ধর, হাতগুলো ওখানে নয়, হাতগুলো আমার ঘাড়ের দিক থেকে এনে আমার বুকে ঝুলিয়ে দাও। ভয়ানক একটা গুঁতোগুঁতি হল, তারপর দেখলাম ছেলের গলার নীচে আটটা হাত ঝুলছে, ছেলের নিজের দুটো নিয়ে। সে চেঁচিয়ে বললো, আমি এখন অক্টোপাস হয়ে গেলাম। আগে থেকেই পাঁচটা পেন্সিল সাজিয়ে রেখেছিল, তার স্কুলের পাঁচটা হাউসের প্রতিভূ হিসেবে। তাকে জিজ্ঞেস করতে হল - এবছর স্পেলিং বীতে কোন হাউস জিতবে, সে কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক করে নীলরঙের পেন্সিল ধরলো, মানে এলফিক হাউস, তার নিজের হাউস। তিনি নিজে এলফিক হাউস থেকে সিলেক্টেড হয়েছেন কিনা ফাইনালের জন্য।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:১০ | 112.133.206.21
শেহবাগ কী খেলেল রে ভাই। ইন্ডিয়াকে জেতানোতে ওর অবদান সবার থেকে বেশি। ইনক্লুডিং তেন্ডুলকর।
কিন্তু শেহবাগের সেঞ্চুরি আটকাতে ওদের স্পিনারটা ডেলিবারেটলি নো বল করল। আগেও একবার শ্রীলঙ্কা এইরকম করেছিল। চার রান বাই দিয়ে দাদার সেঞ্চুরি কেড়ে নিয়েছিল। পুরো পাড়ার টিমের মত প্যাথেটিক অ্যাটিটুড।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:০৭ | 112.133.206.21
আরে। ঝালমুড়ির ঠোঙা বানাওনি কখনো? ওই তো হল টুপি!
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:০৬ | 168.26.215.13
হ্যাপার পদ্ধতিতে টুপি বানাবেন না কূটীর শিল্প দিয়ে সে ব্যক্তিগত ব্যপার। তবে কি দাদা দিদিরা সিম্পল প্রসেসটা দেখে নিতে ভুলবেন না। দেখাদেখি ফ্রি।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২২:০২ | 122.172.59.34
আকা, রিমির পদ্ধতিতেই টুপি বানিয়ে ফেলেছি অলরেডি।
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৫৯ | 168.26.215.13
হ্যাট নির্মাণ পদ্ধতিঃ-
১। একটা আয়তাকার কাগজ (A4 সাইজ)
২। বেশি লম্বা দিক বরাবর আধাআধি ভাঁজ
৩। তারপর প্লেন বানানোর সময়ে যেমন কোণাকুণি ভাঁজ দিতে হয় সেরকম। তারপর নীচের বাড়তি অংশ মুড়ে দিয়ে খুলে দাও।
এটা ঠিক হ্যাট নয় অনেকটা টোঙা মতন হবে। কাজ চলে যাবে মনে হয়।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৫৬ | 122.172.59.34
থ্যাংকু রিমি। ঘিয়ে রঙের পলের মাথায় নীল টুপি শোভা পাচ্ছে। কালো টিপ দিয়ে তার চোখ আর লাল টিপ দিয়ে তার মুখ আঁকা হয়েছে।
rimi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৪৭ | 168.26.215.135
খুব সোজা, একটা কাগজ বেশ লম্বা আয়তক্ষেত্র মত করে কেটে গোল করে পাকিয়ে জুড়ে দাও। আরেকটা কাগজে দুটো একই কেন্দ্রের (কনসেϾট্রক) মাপমতন বৃত্ত এঁকে ভিতরের বৃত্তের পরিধি বরাবর কেটে নাও। এতে একটা চ্যাপ্টা রিং তৈরী হবে।
এরপরে গোল করে পাকানো কাগজের একধারে ক্রেজি গ্লু লাগিয়ে কাগজটা রিংএর উপরে বসিএ দাও।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৪৫ | 122.172.59.34
রিমি ঃ-)))))
rimi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৪৩ | 168.26.215.135
এখন মনে পড়ছে, সকালে কিম্বা সন্ধ্যেতে সেলাই নিয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকলেই মা রাগারাগি করত, কেন লেখাপড়া বাদ দিয়ে এইসব "হাবিজাবি" কাজে বেশি সময় দিচ্ছি!
তবে আমার ছেলেকে আমি সেলাইএর বেসিক ব্যপারটা শিখিয়ে দেবো আর কিছুদিন বাদেই। নইলে বঙ্গীয় ছেলেদের যা হাল দেখি, বোতাম কিম্বা কিছু ছিঁড়ে গেলে ভিখিরির মতন জামা হাতে নিয়ে বউদের পিছন পিছন ঘুরতে থাকে। আজকালকার আধুনিক বর, রেগে হুকুম করতে পারে না, শুধু করুণ চোখে জুল জুল করে তাকিয়ে থাকে - কতদিনে বউ চাকরি, বাচ্চা, রান্না ঘর সংসার ইত্যাদি সামলে একটু সেলাইএর সময় করে উঠতে পারবে!!!
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৩৮ | 122.172.53.250
পলের বডি বানিয়ে ফেলেছি। কিন্তু কাগজ দিয়ে হ্যাট কেমন করে বানানো যায় কেউ জানো?
Samik | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৩৮ | 122.162.75.54
এ নিয়ে অনেক গল্প আছে।
পরে কইব।
kc | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:৩৫ | 89.203.49.18
আমাদের ছিল ক্লে মডেলিং। আমি সেসব কিছুই পারতাম না। মাটির তালটাকে পিটিয়ে চ্যাপ্টা করে তার উপরে একটা বড় আকন্দপাতা পিটিয়ে আউটলাইন বরাবর কেটে ফেলে চালিয়ে দিতাম, একসময় স্যার বলেলেন আর এটা বানানো চলবেনা। তার পর থেকে ঐ চ্যাপ্টা মাটির ওপর ঝাঁটার কাঠি দিয়ে সিনসিনারি এঁকে দিয়ে চালাতাম। এর পরে যখন ফরমান হল এটাও চলবেনা, তখন খুব যত্নকরে দুটো শক্তিগড়ের ল্যাংচা বানিয়েছিলাম। মফস্বলের স্কুলে আমাদের স্মৃতিতে সেই প্রথম গার্জেন কল হয়েছিল, তার ফলস্বরূপ বাড়িতে যে পুরস্কার পেয়েছিলাম তার জন্য তিনদিন স্কুলে যেতে পারিনি, স্কুলের হেডস্যার আরও দুজন স্যারকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে বুঝিয়েছিলেন ওরকম মারধর না করতে, এর ফলে আমার লাভ হয়েছিল, স্কুলে বদমায়েশি করলেও বেশি শাস্তি পেতে হয়নি। সবই খুব করুণার চোখে দেখত। ওয়ার্ক এডুকেশনে পাশ করে যেতাম।
rimi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২১:২৮ | 168.26.215.135
ব্যাং ঃ-)))))
আমি আবার সেলাই কিম্বা উল বোনাতে রীতিমতন ভালো ছিলাম। নির্ঘাৎ জন্মগত প্রতিভা, কারণ আমার মাকে জ্ঞান হবার পরে কোনোদিন সেলাইএর ধার কাছ দিয়েও যেতে দেখি নি!!
দুঃখের বিষয়, এখন সব ভুলে গেছি।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৫৯ | 122.172.53.250
প্রতি বছর সেলাই পরীক্ষার দিনে মা আমাকে টানতে টানতে টিচার্স রুমে নিয়ে গিয়ে সেলাইদিদিমণির হাতে তুলে দিয়ে বলতেন -- আপনি ওকে নিয়ে যা খুশি করুন, মারুন,কাটুন আমি কিচ্ছু বলতে আসবো না, এই মেয়েকে সেলাই শেখানো আমার কর্ম নয়। বলে মা চলে যেত। তারপর সেলাইপরীক্ষায় দিত ৬ইঞ্চির টুপি বোনা, অথবা চার ইঞ্চির মোজা বোনা ইত্যাদি। আমি দেড় ঘন্টায় খান বিশেক মত ঘর তুলতে পারতাম। ততক্ষণে বন্ধুরা তাদের মোজা-মাফলার ইত্যাদি জমা দিয়ে দিয়েছে। আমি কাঁদো কাঁদোমুখে উলকাঁটা নিয়ে বসে আছি। তখন বন্ধুরাই দয়াপরবশ হয়ে আমার হাত থেকে টেনে নিয়ে এক এক জনে কিছুটা কিছুটা করে বুনে দিত, আর সেলাই দিদিমণিও না-দেখি না-দেখি করে অন্য দিকে তাকিয়ে বসে থাকতেন।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৫২ | 122.172.53.250
না রে পিপি, কোএডে পড়ি নি, বিশুদ্ধ বালিকা বিদ্যালয়। ক্লাস এইট অব্দি উল্বোনা, নানারকমের স্টীচ এইসব ছিল, চোখ বন্ধ করে ফেল মারতুম, আমারও বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। তবে ঐ নাইন-টেনে গিয়ে ফিনাইল আর কালি বানাতে হয়েছিল। তাও আমরা থোড়িই বানিয়েছিলাম, আমাদের দিদিমণি নিজেই বানাতেন আর আমাদের বলতেন - তোমরা অন্ততঃ দাঁড়িয়ে পদ্ধতিটা দেখে আমাকে উদ্ধার কর। ঃ-)
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৪৮ | 168.26.215.13
আমি আবার রেডিও নিয়েছিলাম। কি কেস যে খেয়েছিলাম বলার নয়।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৪৭ | 112.133.206.21
আমাদের স্কুলেও মেয়েরা সেলাই ফেলাই করত না। বই বাঁধাই, পেন্সিল বক্স, হাতপাখা এইসব সবাইকে বানাতে হত। নাইন টেনে সাবান আর ফিনাইল। এইসব বানাতে আমার ভালোই লাগে। নাম্বারও পেতাম এন্তার। তাই বলে দোকান থেকে ভাড়া করে পোশাক? রামোঃ।
rimi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৪২ | 168.26.215.135
বাপ রে!!! আমি জীবনে যতবার স্কুলে কানমলা কিম্বা চড় খেয়েছি, প্রত্যেকবার আমারি দোষ ছিল। একবার মুখে জল নিয়ে কুলকুচি করে সেই জল একটা ছেলের গায়ে ফেলেছিলাম পিচ করে। কানমলা না খেয়ে উপায় ছিল না।
M | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৩৮ | 59.93.196.158
হুম,ঋভুদের স্কুলে সেই গরমের ছুটিতে রাজ্যের প্রজেক্ট দিলো, তারপর আর দেয় নি, কি ভাগ্যি।আমরা প্রত্যেকবার ই স্কুলে একবার চিল্লিয়ে আসি আমাদের হোমওয়ার্ক দেবেননা বলে। টিচাররা খুব একটা রাগ টাগ করেনা।
pipi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৩৫ | 92.225.72.207
ফিনাইল আর কালি? ব্যাংদি কি কো-এডে পড়তে? মেয়েদের স্কুলে তো কর্মশিক্ষায় এসব ছিল না। ছিল সেলাই ফোঁড়াই, উলকাঁটা, পেটিকোট বানানো ইত্যাদি জালি কাজ। গোটা স্কুল জীবণে বরাবর গায়ে জ্বর আসত ঐ পিরিয়ডে আর মার্কশিটে ঢ্যাড়া। মা উল বোনা,পশমের কাজ, সেলাই ফোঁড়াইয়ে দুরন্ত অথচ আমার কাজগুলো করবে না। যুক্তি ছিল তাহলে আমি কি শিখব। শেষমেষ দর কষাকষি করে একটা মাঝামাঝি জায়গায় আসা গিয়েছিল 60-40 বেসিসে কাজ করব মা ও আমি। কিন্তু ৬০ ভাগ কাজ করে দেবার বিনিময়ে আমাকে হোমওয়ার্ক ও ঘরের কাজের পিছনে এক্সট্রা টাইম দিতে হবেঃ-( আমার ভাল লাগত ছেলেদের স্কুলের ঐ ফিনাইল, ধূপকাঠি, মোমবাতি বানান, ক্লে মডেলিং এইসব। পরীক্ষা নিরীক্ষার বহর মাঝেমধ্যেই এমনই জায়গায় পৌঁছত যে ঠ্যাঙানি খেয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হতাম। কাদামাটি, পাট, পাটকাঠি, নারকেল কাঠি, ন্যাকড়া, ছোবড়া এইসব দিয়ে বাবা দারুন দারুন সব জিনিস বানাতে পারত আর তেমনি ভাল ড্রয়িং করত। আমার এসব কিছুই আসত না অথচ চেষ্টার অন্তও ছিল না। ফলস্বরূপ মাটি চটকে, চারদিকে ন্যাকড়া ছোবড়া কাঠির জঞ্জাল জমিয়ে, দেওয়ালে রং ছিটিয়ে অবশেষে প্রচুর ধাপুস ধুপুস খেয়ে পেট ভরিয়ে আমার প্রজেক্টসরা খতম হত।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:১৩ | 202.3.120.9
মেঘকে একদিন এক টিচার কান মুলে দিয়েছিল(লেন বলতে ইচ্ছে করলো না)। লাইন আপ বলে চেঁচিয়েছে কিন্তু মেঘ শুনতে পায় নি। আমরা কমপ্লেন করবো মনস্থির করেছি - তবে আর একবার দেখে। একজন বিশেষ নতুন টিচার এই কান্ডটি করছেন।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:১১ | 112.133.206.21
পামিদি ঠিক। আমারো একই অভিজ্ঞতা।
এর মাঝে একদিন শুনলাম মেয়ে কাঁদছিল বলে টিচার মাথায় বারদুয়েক ঠোনা মেরেছে। আমি তো রেগেমেগে পরদিনই প্রিন্সিপালের কাছে কমপ্লেন করতে যাবো ঠিক করেছিলাম। বউ শেষে বুঝিয়েসুজিয়ে ঠান্ডা করল। ঠিক করেছি আর একবারও হলে ছাড়ব না।
নেটে পড়লাম রায়ানের এই দুর্নাম আছে। ধারাবাহিক ভাবে এবং জায়গা নিরপেক্ষে।
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০৭ | 168.26.215.13
আর একবার পিটি পরীক্ষার দিন খুব জ্বর হয়েছিল। বাবা বললে যেতে হবে না, আমি গিয়ে কথা বলছি। কিন্তু আমিই জোর করে গেলাম। তো স্যারেরা তো সেসব শুনে খুব ব্যস্ত হয়ে আমাকে বসিয়ে জল টল খাইয়ে বললে তুমি যে এসেছো তাতেই খুশী হয়েছি। এবারে বাড়ি যাও তোমার পিটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তারপর সেদিন রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় একবার খোঁজও নিয়ে গেলেন কেমন আছি। এইসব ছোটখাটো স্মৃতিই বড় হয়ে ইনস্পিরেশনের কাজ করে। বাকিসব বইয়ের শিক্ষা তো বই পড়লেই জানা যায়।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০৫ | 202.3.120.9
তবে এদের "ওপেন টু ফিডব্যাক পলিসি" মানে হচ্ছে "এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দাও।" অ্যাকশান কিছু নেবে না, তবে রিকোয়েস্ট করলে কেউ থাকবে শোনার জন্য, সেটা ঠিক।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০৪ | 122.172.58.211
আকা, হাত মেলাও। আমিও প্রতিবছর এই ড্রয়িংয়ে আর সেলাইয়ে লাল দাগ পেতাম। আমাদের এসব মডেল-ফডেল বানাতে হত না অবিশ্যি। নাইন-টেনে ফিনাইল আর কালি।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০২ | 202.3.120.9
নাহ, এদের স্কুলের এমন সাহস হবে না যে বাপ মা কে লেজি বলবে। বাবা মারা যথেষ্ট প্রতিবাদী এবং সাপ্লাই আর ডিম্যান্ডের রেশিওটা ট্র্যাডিশনাল স্কুলের মত অতটা ইনভার্টেড নয় - কাজেই স্টুডেন্ট হারানোর ভয় এদের বেশী। কিন্তু কত আর প্রতিবাদ করব। আমি এখন পিক ইয়োর ফাইটস নীতিতে চলি।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০১ | 122.172.58.211
হ্যাঁ, সেটা তো আছেই। আমার ছেলের প্যানপ্যানানির চোটে আমাকে রোজ এই সব বাজে কাজের জন্য সময় নষ্ট করতে হয়। সে যেই দেখে তার বন্ধুরা বানিয়ে আনছে, আর সে নিয়ে যাচ্ছে না, তার খুব মন খারাপ হতে থাকে।
aka | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:০১ | 168.26.215.13
উৎপাদনাত্মক ও সৃজণাত্মক কার্যাবলীতে আমি বরাবর 'গ' পেয়েছি। একবার বোধহয় 'ঘ'ও পেয়েছিলাম। ভাগ্যি এযুগে জন্মাই নি। আমার আঁকা ঘটি পেয়ারা দেখে দু তিনজন স্যার চেষ্টা করেও বুঝতে পারেন নি, আদতে সেটা কি দাঁড়াল। অনেক চেষ্টার পরে সেটাকে লাউয়ের সাথে মেলানো গিয়েছিল বলে সেবারে 'ঘ' পেয়েছিলাম নইলে 'ঙ' অবধারিত ছিল।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৫৬ | 112.133.206.21
তবে বিপদটা উল্টো। কচি বাচ্চা যদি দ্যাখে তার বেস্ট ফ্রেন্ড টাইগার সেজে গেছে আর তার জন্য হাতে স্টার পাচ্ছে, তাহলে তার খারাপ লাগে বৈকি।
shrabani | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৫৬ | 115.118.55.23
শহরে তো এসব দোকান টোকান আছে, গেরামে লোকে কি করবে! আমরা আগে যেখানে ছিলাম কোরবা (ছত্তিশগড়ে) সেখানে স্কুল ছিল ডিপিএস, টাউনশিপের বাচ্চারা সেখানেই পড়ত। ওরকম জায়গা হলে কি হবে স্কুল তো ডিপিএস, তার বায়নাক্কা কিছু কম ছিল না, দিল্লীর মতই প্রায়। আমি বিয়ের পর যে কোয়ার্টারে থাকতে গেলাম তার নীচে এক ভদ্রলোক থাকতেন, বাঙালী। এনার হাতের কাজ সত্যিই খুব ভালো ছিল, ন্যাচরাল। কোনোদিন শেখেননি কিছু, বর্ণ আর্টিস্ট। তবে বেহালার এক মিষ্টির দোকানের বাড়ির ছেলে, ব্যবসাবুদ্ধিও প্রবল। উনি বাচ্চাদের এসব কস্ট্যুম বানিয়ে দিতেন দক্ষিণার বিনিময়ে! তবে চাকরি করে বেশী সময় থাকতনা হাতে এসব করার, তাই একসঙ্গে বেশী প্রজেক্ট নিতনা হাতে। সবসময়ই ভীড় লেগে থাকত মাবাবার। বাঙালী তায় উপরের পড়শী, অনেকে আমাকে ফোন করে অনুরোধ করত ওনাকে সুপারিশ করে তাদের কাজ করিয়ে দিতে! তবে ওনার কাজ খুবই সুন্দর ছিল, ইনোভেটিভ। আশপাশের জিনিস দিয়ে সব বানাতেন, অনেকসময় জাঙ্ক ইউজ করেও। আমি মাঝে মাঝে দেখতে যেতাম।
Arpan | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৫৪ | 112.133.206.21
রায়ানে তেমন কিছু করে না। অনেকেই পাত্তা দেয় না। বাবা মা দু'জনেই চাকরি করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে, বয়েই গেছে তাদের এসবের জন্য সময় বার করতে।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৫৩ | 122.172.58.211
বড় স্কুলে এছাড়াও মাবাবাদের উদ্দেশ্যে দিদিমণিরা মধুর বচন শোনান বাচ্চাদের। এলকেজিতে পড়ার সময় ছেলে একদিন কেঁদে আকুল, পরের দিন কিছুতেই স্কুলে যাবে না। আমি একটা চার্ট বানাই নি, দিদিমণি ডায়েরিতে লিখে দেওয়ার পরেও। পরের দিন নাকি ম্যাম আমার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন লেজি মাদার, তাতে ছেলের খুব অপমান হয়েছিল।
Paramita | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৪৯ | 202.3.120.9
মেঘেদের স্কুলে তেমন কিছু হয় না। তেমন ডিসিপ্লিন নেই আর এনফোর্সও করে না। আমরা সব সময় পেরে উঠি না। একবার চারটে জিপলকের ব্যাগ চাইলো, ভুলেই গেলাম। পপকর্নের বদলে অন্য কি একটা পাঠিয়েছিলাম। এক সন্ধের নোটিসে স্বাধীনতা সংগ্রামীও বানাতে পারি নি। তবে হোমওয়ার্কটা ঠিকঠাক হল কিনা দেখি। বাকিগুলো যতটা পারা যায় করি। কখনো তেমন কিছু বলে নি।
byaang | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৪৮ | 122.172.58.211
প্লেস্কুলে ক্লাসের বাইরে বসিয়ে রাখতো। আর এখন বড় স্কুলে তো নম্বর আছে ক্লাস মডেলের জন্য। সেই নম্বর কাটা যাবে। মানে হাতের কাজ সাবজেক্টটিতে যে একশো নম্বর আছে, সেটা সারা বছরের প্রতিটি মডেলের জন্য পাঁচ নম্বর করে নিয়ে একশো নম্বর।
rimi | ১৬ আগস্ট ২০১০ ১৯:৪০ | 168.26.215.135
আচ্ছা, কেউ যদি এগুলো না করতে পারে তাহলে কি হবে? মানে, ধরো, বাচ্চা যদি পিংক ডেতে পিংক জামা না পরে, বা পিংক টিফিন না নেয়, তাহলে কি তার শাস্তি হবে? কিম্বা যদি টুপি পরা অক্টোপাস বানানোর সময় না পায়?
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন