একটি পিটিশন, দু'চার কথা : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৮ জুন ২০১৩ | ১১৫৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
আমাদের পিটিশনটি প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়ে আছে এই দুটি জায়গায়। অনুরোধ, এই পিটিশনটিকে আপনার আরও পরিচিতজনেদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া, যাতে পিটিশনটি আরও বেশি সই সংগ্রহ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে আমরা যত বেশি সংখ্যক সই সংগ্রহ করতে চাই। আর সেটা করতে চাই খুব তাড়াতাড়ি।... আমরা সবাই মিলে একসাথে প্রতিবাদ না জানালে, এ অন্ধকার কাটবে কী করে?
উত্তরবঙ্গ - ১৩ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ২০ এপ্রিল ২০১১ | ১১৭২ বার পঠিত
আমরা দুই বিরহী প্রেমিক চার বছরের মাথায় সেই সকালে প্রথমবারের জন্য মর্নিং ওয়াক করতে বেরোলাম। চা-বাগানের মাথায় হাল্কা লেপের মত জড়িয়ে আছে কুয়াশা, তার বুক চিরে হুশ্-হুশ করতে করতে বেরিয়ে গেল আসামগামী কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন, কিংবা কে জানে, কামরূপ বা তিস্তা-তোর্সা ঢুকল বোধ হয়। আমরা লেডিজ হস্টেলের দিকের রাস্তাটা ধরলাম। সারা ক্যাম্পাস ঘুমিয়ে, কেউ দেখবে না, কেবল কিছু স্বাস্থ্যসচেতন প্রফেসরদের সাথে দেখা হয়ে যাওয়া ছাড়া, তা, তাতে আর কবে ফোর্থ ইয়ার ভয় পেয়েছে!
উত্তরবঙ্গ - ১৪ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ১৫ মে ২০১১ | ১১৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
যে কোনও সিম্পটম নিয়ে খনির কাছে গেলে খনি কিছু টিপিক্যাল প্রশ্ন করতেন, আর কিছু ওষুধ দিতেন। বেশি দিতেন ব্রুফেন নামে এক পেইনকিলার। আমার রুমমেট কে-কে একবার কাশি হয়েছিল বলে খনির কাছে গিয়েছিল ওষুধ আনতে, খনি তাকেও ঐ একই কোশ্চেন করেছিল : সিগারেট খাও? খারাপ পাড়ায় টাড়ায় যাও? অত:পর একপাতা ব্রুফেন হাতে দিয়ে বিদায়। এই জন্য ছেলেপুলে খনির ওপর একইসঙ্গে রেগেও থাকত, আর খনিকে নিয়ে মজাও করত। শোনা যায় একবার ওভালে খেলতে গিয়ে একটা ছেলের প্রচুর কেটে গিয়ে রক্তপাত হয়েছিল। তাকে ধরাধরি করে খনির কাছে নিয়ে যাওয়া হলে পরে, খনি তাকে দেখে আঁতকে উঠে বলেছিলেন, "এখানে কেন? এখানে কেন? ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও!' অত:পর একপাতা ব্রুফেন।
লা জবাব দিল্লি - এক্সট্রা কোচ ৫ঃ ই-গভর্নেন্স কারে কয়? : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৫ জুন ২০১১ | ১২১৭ বার পঠিত
আজ, ২০১১ সালে এই ব্যাপারগুলো অনেক বেশিমাত্রায় অ্যাডপ্ট করে নিয়েছে মিনিস্ট্রির এমপ্লয়ীরা। অন্য সব মিনিস্ট্রির কথা জানে না গ্যঁ¡ড়া, তবে পাওয়ার মিনিস্ট্রির নিজস্ব ইনট্রানেট আছে, নিজস্ব ইমেল সিস্টেম আছে, এমনকি আর ক্যাশ সেকশন থেকে আগেকার মত স্যালারি স্লিপও নিতে হয় না, ইন?ট্রানেটে লগিন করলে সেখানেই ই-পেস্লিপ দেখতে পাওয়া যায়, দরকারমতো ডাউনলোডিয়ে নিলেই হল। ইন?ট্রানেটে সরাসরি চলে আসে এনআইসি-র ডেটা, নর্দার্ন গ্রিড ইস্টার্ন গ্রিড সাদার্ন গ্রিড ইত্যাদির ডেটা, সরাসরি সেখান থেকে কপি করে তুলে নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় তথ্য।
ব্র্যান্ড ইমেজ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১৬ মার্চ ২০১১ | ১০৩৭ বার পঠিত
একমুখ ধোঁয়া গাল ফুলিয়ে গিলে ফেলে জবাব দিল দীপ্তেন, হ্যাঁ, বলতে পারিস। আসলে ভুবনেশ্বরের কিছু টিপিকাল ব্যাপার আছে। একেকটা রাস্তার মোড়কে এরা "ছকো' বলে রেফার করে। মানে সাদা বাংলায় চক্। চক্-এর ওড়িয়া হল ছক। আর ওড়িয়ারা তো যে কোনও অ-কারান্ত শব্দের শেষেই একটা করে "অ' লাগায়, তাই ছকঅ। এমনি আছে মেফেয়ার ছকঅ, মানে মেফেয়ার হোটেলের সামনের মোড়, জয়দেব বিহারঅ ছকঅ, ওমফেড ছকঅ, পাটিয়া ছকঅ ইত্যাদি। পাটিয়া চকের মোড়ে সন্ধ্যেবেলায় বাজার বসে, ঐ এলাকার লোকজন সন্ধ্যেবেলায় ওখান থেকেই সব্জিবাজার টাজার করে আর কি।
উত্তরবঙ্গ - ১২ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | ১১৭৬ বার পঠিত
একদিন বঙ্কা পড়াশোনা শেষ করে খুব ক্লান্ত হয়ে ছাদে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল, অ্যাকসিডেন্টালি বা ইনসিডেন্টালি তার মুখটা ছিল পাকিস্তান বর্ডারের দিকে ফেরানো। উইংয়ের ছেলেরা এর থেকে দল বেঁধে সহজ পাটিগণিত সমাধান করে ফেলে এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে মাথায় রেখে সেদিন সারারাত ছাদ থেকে তারস্বরে, পাকিস্তান বর্ডারের দিকে মুখ করে আমরা গেয়েছিলাম, একটাই লাইন : আন তবে বীণা, আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ, আন তবে বীণা, আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ ... সে যে কী অপূর্ব শুনতে হয়েছিল, কী বলব।
উত্তরবঙ্গ - ১১ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ৩০ জানুয়ারি ২০১১ | ১০৫৩ বার পঠিত
কলেজের তরফে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। কিন্তু ভার্সন শোনা যায় কিছু কিছু। সে জলপাইগুড়ি শহরেরই এক লোকাল মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলে লোকাল মেয়েকে "তুললে' সেটা শহরের এক ধরণের অপমান হয়ে দাঁড়ায়, কারণ আর যাই হোক, আমরা ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলেরা, আসলে কলকাতা বা তদ্সন্নিহিত অঞ্চল থেকে আসা একদল বহিরাগত গুণ্ডা অ্যান্টিসোশ্যাল প্রকৃতির ছেলে ছাড়া তো কিছু নয় টাউনের লোকেদের কাছে! সেই ছেলেদের কারুর প্রেমে পড়বে জলপাইগুড়ি টাউনের মেয়ে, এটা কী করে মেনে নেয় টাউনের এলিজিবল ব্যাচেলরের দল? শোনা যায়, অর্ঘ্যও টার্গেট হয়েছিল সেইভাবেই। মেয়েটিরও দেখা করতে আসার ছিল তিস্তার পাড়েই, তাকে কোনওভাবে ঘরে আটকে অন্যরা আসে, এবং একা অর্ঘ্যকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বর্ষার ভরা তিস্তার জলে। কোনও সাক্ষী ছিল না, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই, কেস উঠেছিল, কিন্তু টেঁকে নি। কেবল মনে সন্দেহটা রয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির বর্ষার কথা মনে পড়লেই এখনও অর্ঘ্যকে মনে পড়ে।
উত্তরবঙ্গ - ১০ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ১০ জানুয়ারি ২০১১ | ১১৪৮ বার পঠিত
তার পরের ঘটনাগুলো ম্যাজিকের মত ঘটল। দেড়শো ছেলে একসাথে নেমে এল নিচে, প্রথমে হস্টেলের কোলাপসিবল গেট বন্ধ করে তালা মারা হল। তারপর ম্যাজিকের মত সকলের হাতে চলে এল অØষন। জিনিসগুলো এক্স্যাক্টলি আমাদের ঘরেই ছিল, কেউ জানতাম না, কী করে যে সেই মুহুর্তেই জেনে ফেললাম তাও মনে পড়ছে না, কেবল মনে আছে আমার ঘরেই লকারের মাথা থেকে বেরোল একটা হকিস্টিক, একটা চেন। আমি হকিস্টিকটা নিলাম, রুমমেট কে-কে নিল চেন। প্রায় পুরো হস্টেল এই রকম চেন রড হকিস্টিক ইত্যাদি জিনিস নিয়ে নিচে মেন গেটের সামনে লবিতে পজিশন নিল, কেবল মাষন একজন ফোর্থ ডান ব্ল্যাক বেল্টের মোকাবিলা করার প্রচেষ্টায়।
উত্তরবঙ্গ ৭ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৩১৪ বার পঠিত
ফর্ম ভর্তি হয়ে চলে এলে হস্টেলে কাজে নেমে পড়ত শিল্পীরা। আমিও এই শিল্পকর্মে নিযুক্ত থেকেছি অনেকদিন। শিল্পটা আর কিছুই না, একটা দেশলাই কাঠির ডগায় অল্প একটু তুলো লাগিয়ে, সেই তুলো জিওলিনে ভিজিয়ে সুক্ষ্ম হাতে যাওয়া এবং আসার তারিখদুটোকে মুছে দেওয়া। সবুজ কালি উঠে গিয়ে জায়গা দুটো ক্লোরিনের কল্যাণে একেবারে কোরা কাগজ হয়ে যেত। এইবার নিজেদের সবুজ কালিতে, সেই ভদ্রলোকের হাতের লেখার স্টাইলে নিজেদের পছন্দমত ডেট বসানো হত। সাধারণত পুজোর ছুটি পড়ত মহালয়ার দিন থেকে, থাকত ভাইফোঁটা পর্যন্ত। আমরা সেটাকে বাড়িয়ে নিতাম আগে পিছে এক থেকে দু সপ্তাহ মতন। মোটামুটি মহালয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই হস্টেল ফাঁকা হয়ে যেত, আবার ভর্তি হত ভাইফোঁটার পরের সোমবার। অনিচ্ছুক হবার কারুর উপায়ও ছিল না, কারণ মেজরিটি চলে যাবার ফলে মেস টেসও বন্ধ হয়ে যেত। বাইরে একদিন দু দিন খাওয়া যেত, কিন্তু দীর্ঘদিন বাইরে খাওয়া ছাত্রদের পক্ষে বেশ অসুবিধাজনক ছিল। ফলে, সেই বিশেষ দিনটিতে প্রায় দেড়শো দুশো ছাত্র একসাথে ট্রেনে চড়ত।
উত্তরবঙ্গ ৬ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১০০৭ বার পঠিত
ফার্স্ট ইয়ারের জনতার প্রথম আলাপচারিতায় অবশ্যম্ভাবী টপিক মূলত দুটো, কার কেমন র্যাগিং হল, আর কে কে কেমন প্রেম করে টরে, এবং তারই ল্যাজ ধরে কে প্রেমে কতদূর পর্যন্ত এগিয়েছে। বর্ষাকালেই প্রেম আর ভূতের গপ্পো ভালো জমে। আমাদের ইনটেক হয়েছিল আগস্ট মাসে, তখন বাংলায় শ্রাবণ মাস, তরাই ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টিতে। প্রকৃতি এত সবুজ আর এত নীল আকাশ, আমরা প্রায় কেউই এর আগে দেখি নি। সন্ধ্যে বেলায় লোড শেডিং, ক্যাম্পাসের ব্যাকআপ জেনারেটর খারাপ, কাঁপা কাঁপা মোমবাতির আলোয় ঘিরে বসে জমতে থাকল আঠেরো ঊনিশ বছর বয়েসী একদল ছেলের আড্ডা। বিষয় প্রেম।
উত্তরবঙ্গ ৮ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ২৩ নভেম্বর ২০১০ | ১১০১ বার পঠিত
কলেজে পরীক্ষা হত, ঐ যেমন বললাম, বছরে দুবার মাত্র। মোটামুটি ক্লাস ফলো করলে আর পরীক্ষার আগে একমাস থেকে দেড়মাস ঘষলেই পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়া যেত। পরীক্ষা যে হেতু ছাত্রজীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, উত্তরণের একেকটা সিঁড়ির মতন, ফলে এই পরীক্ষার আগে অনেক ছাত্রই মনে মনে বা প্রকাশ্যে অনেক রকম সংস্কার মেনে চলে। ছোটখাটো বা বড়সড়। আমাদের ইয়ারের এক ছেলে প্রতি পরীক্ষায় একটা প্রায় ছিঁড়ে আসা জামাপ্যন্টের সেট পরে পরীক্ষা দিত। একবার বাড়ি থেকে আসার সময়ে সে সেই সেত নিয়ে আসতে ভুলে গেছিল বলে তাকে বাড়ির লোক কুরিয়ার করে সেই জামাপ্যান্ট পাঠিয়েছিল। সেটাই নাকি তার লাকি জামা প্যান্ট। সেটা না পরলে নাকি পরীক্ষা ভালো হয় না।
লা-জওয়াব দিল্লি ঃ এক্সট্রা কোচ ৩ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৭ জুন ২০১০ | ৯৩২ বার পঠিত
মাথা নিচু হয়ে আসে। দেশের রাজধানীর সবচেয়ে হাই প্রোফাইল জায়গা, সাউথ ব্লকে চাকরি করা একজন সরকারি কর্মচারির মুখে এই কথা।
কথা কিছু আলাদা হয় না যখন স্টার নিউজ বা এনডিটিভির ক্যামেরা বুম করে দিল্লির অশোক বিহারের সেই মহল্লায়, যেখানে গুজ্জর হয়ে রাজপুতকে বিয়ে করার অপরাধে মরতে হয়েছে মোনিকা আর কুলদীপকে, আর অন্য গোত্রে শুধু প্রেম করার অপরাধে মরতে হয়েছে মোনিকার বোনকেও, একই দিনে। মহল্লারই একজন জুগিয়েছে অস্ত্র, মারবার জন্য, একজন জুগিয়েছে গাড়ি, মারার পরে মৃতদেহ ডাম্প করে আসার জন্য।
লা-জওয়াব দিল্লি - এক্সট্রা কোচ ৪ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ আগস্ট ২০১০ | ৭৫৭ বার পঠিত
নতুন এয়ারপোর্টের দু কিলোমিটারের মধ্যে অটোরিক্সা ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এয়ারপোর্ট যাত্রীকে সেখানে পৌঁছতে হলে হয় নিজের গাড়ি, নয় ট্যাক্সি, নয় মেট্রো রেলের সাহায্য নিতে হবে। অটোরিক্সা-চাপা ন্যাস্টি মিডলক্লাস লোকজনের জন্য নয় নতুন এয়ারপোর্ট। নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে, আধ ঘণ্টার পার্কিং চার্জ ষাট টাকা, দু ঘন্টার একশো কুড়ি টাকা, ছ ঘন্টার জন্য চার্জ আটশো টাকা। নতুন এয়ারপোর্টে জল কিনে খেতে হলে এক লিটার জলের জন্য দিতে হবে আশি টাকা। আর যদি মেট্রোয় করে যান; এখনও মেট্রোর লাইন চালু হয় নি, কাজ চলছে, তবে শুরু হয়ে যাবে খুব শিগগিরই; কনট প্লেস থেকে এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনে করে এয়ারপোর্টে পৌঁছতে গেলে আপনাকে কাটতে হবে একটা আড়াইশো টাকার টিকিট। চোদ্দ কিলোমিটারের জন্য।
উত্তরবঙ্গ ৪ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ১৬ আগস্ট ২০১০ | ১০০৭ বার পঠিত
জীবনে কোনওদিন কারুর গায়ে হাত তুলি নি, মারা বা মার খেতে দেখা কোনওটাই আমার পোষায় না। প্রায় সমবয়েসি কিছু ছেলেকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতেও আমার রুচিতে বেধেছে, সে দিক দিয়ে আমি সৌভাগ্যবান যে, আমাকে র্যাগ্ড হতে হয় নি। পরবর্তীকালেও সেই বিশেষ সময়গুলোতে আমি কলেজে বা নিজের রুমে স্বেচ্ছাবন্দী থাকতাম, এই ধরণের যৌনউল্লাস থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছি। এবং এইসব করেছি বলে আমি নিজেকে খুব গুড বয় বা ভালো ছেলে বলে তুলে ধরতেও চাইছি না, কারণ এই রকম মানসিকতার আমি একাই ছিলাম না, আমি সৌভাগ্যবান যে পরবর্তীকালে আমাদের ইয়ারের বা সিনিয়র ইয়ারের অধিকাংশ ছেলেকেই আমি এই মানসিকতার দেখেছিলাম। এই ধরণের নোংরামো করে খুবই কম সংখ্যক কিছু ছেলে।
উত্তরবঙ্গ-৩ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ০২ আগস্ট ২০১০ | ১০৬১ বার পঠিত
র্যাগিং নিয়ে অল্পবিস্তর চেঁচামেচি সব সময়েই হয়ে এসেছে, তবে সেই ১৯৯৫ সালে ব্যাপারটা খুব একটা উচ্চগ্রামে হত না। ফলে সিনিয়ররা, যারা মূলত র্যাগিং করত, তারা ব্যাপারটা বেশ খুল্লমখুল্লাই করত। প্রফেসররাও তাকিয়ে দেখতেন না, নাম-কা-ওয়াস্তে একটা অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি বানিয়ে তাঁরা দায় সারতেন। সেই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিতে থাকত কলেজের জি এস এবং আরও কিছু টপার গোত্রের ছেলে।
উত্তরবঙ্গ ৫ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ৩০ আগস্ট ২০১০ | ১০১০ বার পঠিত
এই খালি আকাশই জাদু দেখায় নভেম্বরের মাঝ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এটা ক্যাম্পাসের উত্তর দিক। ঝকঝকে হেমন্তের ওয়েদারে আকাশের গায়ে ফুটে ওঠে হিমালয়, পুরো নীল রংয়ের। আর সেই হিমালয়ান রেঞ্জের মাথায় মুকুটের মত ঝকঝক করে তিনটে বরফে ঢাকা শৃঙ্গ : কাঞ্চনজঙ্ঘা, সান্দাকফু, ফালুট। লোকে পয়সা খরচা করে এদের দেখতে আসে কত দূর দূর থেকে, আমরা হস্টেলের ছাদে বসে, নিজের বেডে বসে দিনের পর দিন দেখেছি কাঞ্চনের রূপ, কখনও টকটকে লাল, কখনও আগুনের হল্কার রং, কখনও ধবধবে সাদা, কখনও বিষণ্ন নীল। তবে বছরে ঐ একটা সময়েই দেখা যেত, এক মাসের জন্য। তার পরেই কুয়াশায় ঢেকে যেত তরাই ডুয়ার্স। সে আরেক রূপ।
উত্তরবঙ্গ ৯ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ | ১০৪৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
শিলাবৃষ্টি ছিল তরাইয়ের শীতকালে উপরি পাওনা। এ শিল আবার আমাদের দক্ষিণবঙ্গের মত মিহি শিল নয়, যে ছাতা মাথায় কুড়োতে বেরিয়ে পড়লাম। রীতিমতো তাগড়া তাগড়া শিল, মাথায় পড়লে আর বেঁচে ফিরতে হবে না। বরফের বড় বড় চাঙড় পুরো। সেকেন্ড ইয়ারেই বোধ হয় দেখেছিলাম শ্রেষ্ঠ শিলাবৃষ্টি। আধঘন্টার মধ্যে হস্টেলের সামনে বিশাল ফাঁকা সবুজ ক্যাম্পাস পুরো সাদা হয়ে গেল। শিলের সাইজ দেখে কেউ বেরোতে সাহস পায় নি। একজন বোধ হয় বেরিয়েছিল, প্রথম শিলের আঘাতেই তার ছাতা ছিঁড়ে ফুটো হয়ে গেল।
মোহাম্মদ, বিড়াল ও হাজতবাস ইত্যাদি : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ | ১৪১৬ বার পঠিত
আরিফের অপরাধও সেই পর্যায়েরই। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা। আবার যে-সে ধর্ম নয়, ইসলাম ধর্মের "ভাবাবেগে', তাও, খোদ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে বসে, যার জন্ম হয়েছিল একটা ভাষাকে ভালোবেসে, এখন দিন কাটে ধর্মকে ভালোবেসে।
লা জবাব দিল্লী - ১১ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২১ জুন ২০০৯ | ৭৯০ বার পঠিত
দেখতে দেখতে ছ'বছর পূর্ণ হয়ে গেল গ্যাঁড়ার, দিল্লিবাসের। শুরু হয়েছিল নয়ডা কুড়ি সেক্টরের এক সহৃদয় ব্যক্তির চিলেকোঠার ঘরে, দু হাজার তিন সালের মে মাসের এক মনোরম গ্রীষ্মের দুপুরে। এই ছবছরে আরও ছবার গ্রীষ্ম এল, এল বসন্ত। নতুন চোখে দেখা দিল্লি নয়ডা গুরগাঁও শহর চোখের সামনেই দেখতে দেখতে কত তাড়াতাড়ি পাল্টে গেল। কত হাজারে হাজারে লোক এল। কত নতুন নতুন সিগন্যাল বসল রাস্তার মোড়ে, কত সিগন্যাল চিরতরে হারিয়ে গেল নবনির্মিত ফ্লাইওভারের তলায়! ফেসলিফ্ট হচ্ছে রাজধানীর, সাজো সাজো রব পড়েছে দিল্লির এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে, তৈরি হতে হবে ২০১০ সালের কমনওয়েল্থ গেম্সের জন্য। চেনাজানা আনাচকানাচগুলো দেখতে দেখতে নতুন রূপ নিয়ে বেরিয়ে আসছে নীল হলুদ বোর্ডের আড়াল থেকে।
অন্য দিল্লি : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ | ১০৬৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
সরকার কোনও চেষ্টা করে নি আমজনতার মধ্যে এই ক্ষোভ প্রশমিত করার। নিজের নিজের নিরাপদ সিকিওরিটির ঘেরাটোপের মধ্যে তাঁরা ব্যস্ত থেকেছেন ধর্ষণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে কবে আলোচনায় বসা যায়, তাই নিয়ে, কিংবা অন্য কোনও বিষয় নিয়ে। সরকারপক্ষের এই নীরবতাই এক বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল গত বাইশ আর তেইশে ডিসেম্বরের বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের।
গত শনিবার সকাল থেকেই দেখেছিলাম দলে দলে ছেলেমেয়ের দল, যাদের বয়েস সতেরো থেকে পঁচিশের মধ্যে, দলে দলে চলেছে ইন্ডিয়া গেটের দিকে। কোনও নেতা ছিল না তাদের। নিজেরাই চলেছিল। হাতে ব্যানার, পোস্টার, তাতে কালো আর লাল অক্ষরে লেখা তাদের ঘৃণা আর ছিছিক্কারের ভাষা। এর আগেও দিল্লির রাস্তায় ছাত্রদের, যুবকদের, এনজিওদের মিছিল দেখেছি, সেই মিছিলের মুখগুলো আমার লাগত এক রকমের। বিষয় হয় তো কোনও ঘটনা বা নিয়মনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কিন্তু প্রতিবাদের আগুন থাকত না মিছিলকারীদের চোখেমুখে। সামনের লাইনের দু তিনজন শ্লোগান বা “নারা-বাজি”তে ব্যস্ত থাকতেন, বাকি পেছনের সারির লোকজন নিজেদের মধ্যে হাসি তামাশা করতে করতে পথ হাঁটতেন। কখনও সামনে মিডিয়ার ক্যামেরা দেখা গেলে সোৎসাহে হাত নেড়ে নিজের অস্তিত্ত্ব প্রকাশ। মিছিলের মুখপাত্র যখন রাগী রাগী মুখ করে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করতেন বাড়ানো মাইক্রোফোনের সামনে, তখনও ব্যাকড্রপে দেখা যেত অগুনতি উৎসাহী মানুষের হাসিমুখ আর তাদের হাত নাড়া।
আমরা সবাই টিভিতে অনেক দেখেছি এই ধরণের ক্লিপিং। এই প্রথম, গত শনিবারে, একটা নয়, অন্তত তিন চারটে মিছিল দেখলাম, কমবয়েসী ছেলেমেয়ের দল, তাদের কারুর মুখে হাসি নেই, নিজেদের মধ্যে ঠাট্টাতামাশা নেই। গনগনে রাগ মুখে মেখে তারা চলেছে ইন্ডিয়া গেটের দিকে। হাতে পোস্টার।
একটি কল্পবিজ্ঞান গল্প : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ৯১৭ বার পঠিত
২০০৭ সাল। মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকায়, কচ্ছ থেকে ইটানগরে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে। কোনও খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন বেরলো না, টিভি রেডিওর কোনও চ্যানেলেই সম্প্রচারিত হল না সেই খবর, তবু এক কী আশ্চর্য ইথার তরঙ্গে অসমুদ্রহিমচলের তাবৎ যুবাকূলের কর্ণপটহে প্রবেশ করিল সেই বার্তা। আকূল করিল প্রাণ। পনেরো থেকে পঞ্চান্ন সমস্ত ভারতীয় যুবকের দল এক নিমেষে চার্জড হয়ে গেল। দীর্ঘ দু মাসের উপোসের দিন শেষ। শালা, ভাগ্যিস মাঝের ফেব্রুয়ারি মাসটা আঠাশ দিনের ছিল!
পালনা : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১৭ জুন ২০০৭ | ৮১২ বার পঠিত
শূন্যে দুলছে একটা শিশুদোলনা। হা-হা হাওয়ায় ওদিক যাচ্ছে, এ দিক আসছে, একটা শিশুদোলনা। পালনা। কয়েকমাস আগে একটা হরর মুভি দেখেছিলাম এক জনপ্রিয় হিন্দি নিউজ চ্যানেলে। সত্যি ঘটনা, তবে ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলোকে গ্রাফ, স্কেচ, নাট্য রূপান্তর ইত্যাদি আর চাটনি আচার সহযোগে এমনভাবে পৌঁছে দেওয়া হয় আমাদের ড্রয়িং রুমে, মনে হতেই পারে যে, আমরা রাত এগারোটায় মুভি চ্যানেল খুলে কোনও ভয়ের সিনেমা দেখছি।
খবর্নয় (ফেব্রুয়ারী ১৭) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৭৯১ বার পঠিত
সেই যে রাজা মন্ত্রীর জামায় গন্ধ পেয়েছিলেন, সেই গন্ধ বিচার করতে সাহস করে কেউ এগিয়ে আসে নি, শের পালোয়ান ভীমসিং থেকে রাজার শালা চন্দ্রকেতু, সকলেই নিজ নিজ নাক এই বিচারে গলাতে অস্বীকার করেছিলেন। শেষমেশ ভাগ্যিস নবতিপর বৃদ্ধ নাজির হাজির ছিলেন, তাই সে যাত্রা শেষরক্ষা হয়েছিল। কিন্তু মজার কবিতাতেই শুধু নয়, গন্ধের ক্ষমতা আসলে মোটেই হেলাফেলা করার মত নয়। জীবনসঙ্গী / সঙ্গিনী বাছার ক্ষেত্রেও গন্ধবিচার যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। ক্লেইম করছে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট, সঙ্গী নির্বাচনের চাবিকাঠি নাকি আসলে লুকিয়ে আছে গায়ের গন্ধে। মেয়েরা পছন্দ করে সেই ছেলেদের, যাদের গায়ের গন্ধ তাদের নিজেদের গায়ের গন্ধের থেকে সবচেয়ে বেশি আলাদা। অ্যান্ড ভাইসি ভার্সা।
খবর্নয় (ফেব্রুয়ারী ২৪) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৭২৪ বার পঠিত
শ্রী মহেশ প্রসাদ ভার্মাকে চেনেন? ... এই নামে না-ও চিনতে পারেন, কিন্তু মহাঋষি মহেশ যোগী বললে এক্ষুনি চিনতে পারবেন। জীবদ্দশায় তাঁর বিপুল ভ্রমণ, জীবনদর্শন ও কীর্তিকলাপের ডিটেইল খবরাখবর হয় তো আমরা উন্নাসিক তর্কপ্রিয় বাঙালিরা রাখি না, মোটামুটি তাঁকে এই জন্যেই চিনি যে, তিনি পপ গ্রুপ বীট্লসদের ধর্মগুরু ছিলেন, মানে বীটল্সদের শিষ্যত্বই তাঁকে বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছিল, আর এ মাসের পাঁচ তারিখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন।
খবর্নয় (মার্চ ২) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ০২ মার্চ ২০০৮ | ৭৭৪ বার পঠিত
ভারতে কিছু কিছু কমিউনিটির বিয়েতে অত্যধিক খরচাপাতি করার ট্র্যাডিশন আছে আমরা জানি। লাখ লাখ রুপিয়া উড়ে যায় এক রাতের বিয়েতে, তবে এ সব ঘোড়ারোগ কেবল ভারতীয়দেরই নয়। তৃতীয় ও অনুন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এমন বিয়েতে খরচা করার রীতি আছে। যেমন মেক্সিকো। ওয়েডিং গাউন থেকে শুরু করে, খবরের কাগজের পাতায় প্রত্যেক অতিথি অভ্যাগতদের দ্বারা প্রকাশিত উইশের বন্যা, নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন, চার্চের খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে একটা বিশাল অঙ্কের টাকা সাধারণত কনের বাড়িকেই খরচ করতে হয়। এর পরেও, বর্তমানে প্রতি দশজোড়া বিবাহিত দম্পতির মধ্যে তিনজোড়া দম্পতির মধ্যে ঘটে যাচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদ, ১৯৭০ সালেও যেখানে অনুপাতটা ছিল দশজোড়ায় একজোড়া। যেহেতু জীবন থেমে থাকে না, তাই বিচ্ছিন্ন দম্পতিরা আবার প্রত্যেকেই নিজেদের নিজেদের পছন্দসই সঙ্গী / সঙ্গিনী বেছে নেন, এবং চক্রবৎ এই চক্করে আর্থিকভাবে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন মেয়েদের বাড়ির লোকই, কারণ বিয়ের সিংহভাগ খরচই তাঁদের পকেট থেকে মেটাতে হয়।
খবর্নয় (মার্চ ৯) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ০৯ মার্চ ২০০৮ | ৮৭৬ বার পঠিত
--বাবা, বাবা, আমি বিট্টুর সাথে পুকুরে যাচ্ছি, সাঁতার শিখতে।
-- আচ্ছা যাচ্ছো যাও, কিন্তু মনে রেখো, যদি ডুবে যাও, তা হলে আমি আর এ বাড়িতে ঢুকতে দেব না।
ছোটবেলায় আনন্দমেলায় জোক্টা পড়ে বেশ নির্মল আনন্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু সত্যি সত্যি যদি কেউ কাউকে এমনতরো হুমকি দেয়, "যদি মরে যাও, তবে কঠিন শাস্তি দেব'?
ঠিক এমনটাই ঘটেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের এক গাঁয়ে। সে গাঁয়ের নামটা বাঙালি জিভে কেমন উচ্চারণ হবে জানি না, Sarpourenx নাম তার। গ্রামের মেয়র কাউন্সিল অফিসে সম্প্রতি এক অর্ডিন্যান্স জারি করেছেন যে গ্রামের কবরখানায় ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই, তিলমাত্র ঠাঁই নাই। শবদেহে শবদেহে ওভারক্রাউডেড। অতএব যাঁদের গ্রামের কবরখানায় প্লট অ্যালট করা নেই, তাঁদের মরা বারণ। নিচে লেখা: Offenders will be severely punished .
খবর্নয় (মার্চ ১৬) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ১৬ মার্চ ২০০৮ | ৭৮০ বার পঠিত
কেরালার কোট্টায়ামের এক মেরীভক্ত হোটেলিয়ার দাবি করেছিলেন সুর্যের দিকে তাকালেই মা মেরীর অলৌকিক ছবি দেখতে পাওয়া যাবে। তা, এমন অলৌকিক ব্যাপার স্যাপারে বিশ্বাস করার জনতার কখনও অভাব ঘটে না, বিশেষত ভারতে। অতএব মা মেরীর অলৌকিক দর্শন পাবার আকাঙ্ক্ষায় দলে দলে লোক পূর্ণদৃষ্টিতে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। ফল, অন্তত পঞ্চাশজন লোক পাকাপাকিভাবে অন্ধ হয়ে গেছেন। কোট্টায়ামের এক জেলা হাসপাতালে ৪৮ জন ভর্তি হয়েছেন জ্বলে যাওয়া রেটিনা নিয়ে। সেই বিশ্বাসী হোটেলিয়ার আরও দাবি করেছিলেন তাঁর কাছে এক মেরীর মূর্তি আছে যা কাঁদলে চোখ দিয়ে মধুগড়ায়, কেটে গেলে রক্তের বদলে তেল আর সুগন্ধী বেরোয়। সেই কোথায় যেন কোন ধর্মের এক দেবতা শুনেছিলাম শুঁড়ের সামনে চামচে করে দুধ ধরলে চেটেপুটে দুধ খেয়ে নেন। সব ধর্মের অন্ধবিশ্বাসেই কী মিল!
খবর্নয় (এপ্রিল ৬) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ০৬ এপ্রিল ২০০৮ | ৮১৫ বার পঠিত
ছোট্ট থেকে শুনে এসেছি। মা কানের কাছে মন্তর পড়ত, যখনই ডাক্তারের কাছে গেছি, ডাক্তারও ঐ একই মন্তর পড়ত, বেশি করে জল খাও, প্রচুর পরিমাণে জল খাও, শরীর ভালো থাকবে, স্বাস্থ্য ভালো হবে। কত বেশি? মোটামুটি আট আউন্স জলভর্তি আট গ্লাস প্রত্যেকদিন। তা হলেই একদম সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় থাকবে, রোগব্যাধি সহজে কাছে ঘেঁষবে না। ইহা মার্কেটে কমনলি 8x8 rule নামে পরিচিত। কেবল আমাদের দেশের ডাক্তার নয়, সারা পৃথিবীতেই এই রকম একটা ধারণা চালু আছে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই ধারণা? এর কোনও বিজ্ঞানসম্মত এভিডেন্স আছে কি? এত জল খেতেই হবে কেন ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে?
গ্রামের নাম নিঠারি : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ জানুয়ারি ২০০৭ | ৭৯৮ বার পঠিত
নিঠারি গ্রামে আমি যাই নি কোনওদিনও, তবে নয়ডা সাতাশ সেক্টরে গেছি বেশ কয়েকবার, ইন ফ্যাক্ট, ওর কাছাকাছিই যেতে হয় আমাকে প্রতি সপ্তাহেই, বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। এ রকম আরও অনেক খুচরো খাচরা অখ্যাত গ্রাম পাওয়া যায় নয়ডার বিভিন্ন সেক্টরে ... হরোলা, সলারপুর, ভঙ্গেল ...
দেবতার মৃত্যু : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ | ৬৯৩ বার পঠিত
তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ ভারতবর্ষ। মোট জনসংখ্যার ওয়ান থার্ড। কিন্তু আফটার অল তাঁরা ভারতীয় দেবতা। তাই বহু-প্রাচীন এই দেবশুমারির সংখ্যা যে আজ কতটা রিলায়েবল, তা দেবা ন জানন্তি, কুতো আমজনতা:। তবে এঁয়ারা কিনা আমাদের মতন করে বংশবৃদ্ধি করেন না, তাই এঁদের ঝাড় বংশের উতার চড়াও সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আমাদের ভক্তির বহর এবং প্রস্থের ওপর।
ইউ পি মে দম্ হ্যায় : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৭৯৫ বার পঠিত
খবরটা পড়েই বেশ চম্কে চমস্কি হয়ে গেলাম। সত্যিই তো, পাপ পুণ্য নির্ধারণ করবার তুমি কে হে? এই সেদিন মাত্তর গ্রাম দেশ থেকে কলকাতায় চাকরি করতে গেলে বামুনের বাচ্চাদের জাত যেত, ওখেনে চামড়ার কলে করে জল দেয় কিনা! তা সে সব ছুঁৎমার্গ আটকে রাখতে পেরেছে কাউকে কলকেতা যাওয়ার থেকে? কলকেতা তো কোন ছাড়, লোকে দিনে দুবার করে কালাপানি পার হচ্ছে আজকাল, প্রয়োজনের খাতিরে, অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে নিয়ম চিরদিনই বদলায়। এ কি মোহাব্বতের গুরুকূল নাকি, যে নিয়ম অমোঘ, অপরিবর্তনীয় জিনিস? দরকার পড়লে অনিয়মকে নিয়ম, বেআইনীকে আইনি, পাপকে পুণ্য বানাতে কতক্ষণ?
লোকপরিত্রাণ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৮৮৫ বার পঠিত
শখ বা হবি তো অনেকেরই অনেক রকমের থাকে, নিজের পড়াশোনা, চাকরি বাকরির বাইরে। লিস্টি করতে গেলে হেজে যাব, কিন্তু রাজনীতি কখনও কারুর হবি হয়, শুনেছেন কখনও? সেদিন আপিসের তরফে একটা ভাটের সফ্ট স্কিলের ট্রেনিং প্রোগ্রাম ছিল। কর্পোরেট আপিস তো, তাই ভেনুগুলো বড় বড় হোটেলে হয়। এটা ছিল দিল্লির পার্ক হোটেলে।
লা জওয়াব দিল্লী - ১ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ৯৬৪ বার পঠিত
দিল্লি অতি খাজা জায়গা .... সেই কবে কোন বিস্মৃত অতীতে অর্ণব চ্যাটার্জি অ্যালিয়াস ন্যাবা চিঠিতে লিখে সাবধান করেছিল তার প্রিয় বন্ধু আসমা চৌধুরি জয়িতা, ওরফে জয়ি-কে। তা, কে কার কথা শোনে! এই যুগে ভালো কথার কে-ই বা দাম দেয়, কে-ই বা শোনে। গ্যাঁড়ারই বা অতএব, শোনার কী দায় পড়েছে! একবিংশ শতাব্দী ঝক্কাস করে এসে পড়েছে তার স্লোডাউন সমেত, ওয়াইটুকে-র ম্যাজিক তখন একেবারে গায়ব-ইট'স গন-চলে গেছে কেস, তখন গ্যাঁড়ার দিব্যদৃষ্টি খুলে গেল, একেবারে পোষ্কারভাবে গ্যাঁড়া বুঝতে পারল জীবনের সমস্ত সাফল্য দিল্লিতেই মিলবে। ভুবনেশ্বরে নয়, বাড়ির পাশে কলকাতাতে তো নয়ই, প্রেমিকাকে বিয়ে করে শুরু থেকে পাশে পেতে হলে দিল্লিই একমাত্র সম্ভাব্য ডেস্টিনেশন।
লা জওয়াব দিল্লী - ৫ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ | ১২৭২ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
পুলিশ ঘুষ খায় - ধ্যার মশাই, এ আবার একটা লেখার মত জিনিস হল? পুলিশ ঘুষ খায়? এ তো চিরন্তন সত্য! অলমোস্ট প্রত্যেককেই কোনও না কোনও সময়ে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে, যাঁরা এখনও দ্যান নি, নিকট ভবিষ্যতেই দেবেন টেবেন হয় তো। সেই বৃদ্ধ সর্দারজির অভিশাপ যেমন গ্যাঁড়ার জীবনে অচিরেই সফল হয়েছিল, ও অমন খুচরো অভিশাপের বোঝা অনেককেই বয়ে বেড়াতে হয়।
লা জওয়াব দিল্লী - ৭ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ০১ মার্চ ২০০৯ | ৯৭৪ বার পঠিত
আবার অন্যদিক থেকে দেখলে, দিল্লিতে বাঙালি, পুনরায়, দুই প্রকার। এক গ্যাঁড়ার মত লোকজন, যারা প্রায়শই বড়মেজ বিভিন্ন রকমের চাকরি পেয়ে বাংলার মাটি ছেড়ে দুর্জয় ঘাঁটি গেড়ে বসছে দিল্লি এনসিআরের বুকে, এবং এখানেই থেকে করেকম্মে খাচ্ছে, পয়দা করছে সেকেন্ড, থার্ড জেনারেশন প্রবাসী বাঙালি। চাকরি অথবা উচ্চশিক্ষা, সঙ্গে সাইড ডিশ হিসেবে উইকএন্ডে বাংলা কল্চর, এই এদের গল্প তো শুনেছেন আগের বারে।
লা জওয়াব দিল্লী - ৮ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ১৫ মার্চ ২০০৯ | ৮৬০ বার পঠিত
উৎসবের নাম দুর্গাপূজো। মারাঠিদের যেমন গণেশ চতুর্থী, উত্তরভারতীয়দের যেমন দিওয়ালী, বাঙালির তেমনি ট্রেড সিম্বল হল দুর্গাপূজো। এমনিতেই বাঙালি কমিউনিটিপ্রিয় জাতি, বাংলার বাইরে এসে বাঙালির মত কমিউনিটি তৈরি করতে আর কোনও প্রবাসী ভারতীয় জাতি পারে না। তবে প্রবাসে সব ঐক্যের শেষ ঐক্য খাটে এই দুর্গাপূজোর সময়ে।
লা জওয়াব দিল্লী - ৯ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ২৯ মার্চ ২০০৯ | ৮৯৭ বার পঠিত
ভোজ কয় যাহারে -
আজ বরম্ একটু খাওয়া দাওয়ার গল্প হোক। শুধু শুধু চা আর লেড়ো বিস্কুটের জোরে আর কতদিন গল্প জমে, বলুন?
আচ্ছা, বলেন তো, দিল্লি বললেই প্রথম কোন্ খাবারের কথা আপনার মনে আসে? ....... ঐ দ্যাখেন, একসাথে কতগুলো হাত উঠেছে। এদিকে দমোদিদি চোখ পাকিয়ে এক নিশ্বাসে বলে যাচ্ছেন "ঘেভর ঘেভর'; ঐদিকে অজ্জিতকাকু এন্তার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটছেন আর মন্তর পড়ার মত করে বলছেন "করিম্স ..... লস্যি ..... মালাই মার কে'।
লা জওয়াব দিল্লী - ১০ : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ১২ এপ্রিল ২০০৯ | ৯০৮ বার পঠিত
দিল্লিওয়ালা কী করে চিনবেন?
একটা প্রচলিত জোক চলে বাজারে, কলকাতার বাঙালির হাতে পয়সা জমলে বাঙালি কী করে? না, এবারে পূজোয় কোথায় বেড়াতে যাবে, তার প্ল্যান করে। বম্বের মারাঠির হাতে পয়সা জমলে সে কী করে? না, কোন শেয়ারে সেই পয়সা লাগালে তার সবচেয়ে বেশি লাভ হবে, তার ছক কষে। আর দিল্লিওয়ালার হাতে পয়সা জমলে দিল্লিওয়ালা কী করে? ... কী আবার, প্রপার্টি কেনে।
উত্তরবঙ্গ (প্রথম পর্ব) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ০৩ জুন ২০০৮ | ৯৭৮ বার পঠিত
কোনও ধারাবাহিক স্মৃতিচারণ হিসেবে রাখতে চাইছি না আমার এই লেখা, কারণ এই লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কোনও গুরুদায়িত্ব আমার ঘাড়ে নেই। নিছকই কিছু অদূর অতীতের স্মৃতিচারণ, লিখতে গিয়ে যখন যা যেমন মনে আসবে, লিখে ফেলব, তাতে করে পরের ঘটনা আগে আসতে পারে, আগের ঘটনা পরে। অনুচ্ছেদের পরে আরেকটা অনুচ্ছেদ ঠিকই আসবে, পড়তে গিয়ে পাঠক হয় তো খেইও হারিয়ে ফেলবেন না, তবে কোনওরকমের ক্রোনোলজিকাল অর্ডার মেইনটেইন করতে আমি রাজি নই।
উত্তরবঙ্গ (দ্বিতীয় পর্ব) : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : স্মৃতিকথা | ০১ মার্চ ২০০৯ | ৯২২ বার পঠিত
যদিও শুরু করেছিলাম এই বলে যে, ধারাবাহিকভাবে কিছু লিখব না, তবুও শুরু থেকে এতখানি পর্য্যন্ত প্রচন্ডভাবেই ধারাবাহিক হয়ে গেল, খাওয়ার পর শোওয়া, শোওয়া হলে ঘুম থেকে ওঠার মত। আসলে এক ধরণের জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে আসার পর নতুন জীবনে যাবার ট্র্যানজিশনটা এত বেশি ঘটনাবহুল মনে হয় নিজের কাছে, যে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের দিকে মন চলে যায়। জলপাইগুড়িতে চার বছর কাটানোর প্রতিটা দিন আর আলাদা করে মনে নেই, কিন্তু ঐ শুরুর দিনকটা ভীষণভাবে মনে আছে।
গড্ডলিকার গল্প : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০২ অক্টোবর ২০১১ | ১২১৪ বার পঠিত
একটা বেওয়ারিশ কুকুরছানা, খুব বেশি হলে হয় তো কয়েক দিন বয়েস হবে, পৃথিবী সম্বন্ধে একেবারে অনভিজ্ঞ, ভরা মার্কেটের মাঝে ছোট্ট শরীরটা নিয়ে রাস্তা পার হতে যাচ্ছিল, আর দু'পা চলামাত্র হুড়মুড়িয়ে তার ওপর এসে পড়ল একটা সওয়ারি-বোঝাই রিকশা। পেছনের একটা চাকা চলে গেল কুকুরটার ঠিক গলার ওপর দিয়ে। একটা ক্ষীণ আওয়াজ বেরলো কি বেরলো না তার ছোট্ট গলাটা থেকে, সাথে সাথে বেরিয়ে এল তাজা লাল রক্ত। ছোটো শরীরটা ছটফটাতে লাগল তাতাপোড়া পিচের রাস্তার ওপর।
পরস্মৈপদী হাতির গল্প : শমীক মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৫৯০ বার পঠিত
এ কাহিনি আমার নয়, আমার পিতৃদেব মাতৃদেবীর। ঘটনা আমার জন্মের কিছুমাস আগেকার। তথ্যগত কিছু ভুলত্রুটি তাই কিছু থেকে যেতে পারে, কারণ গল্পের পুরোটাই পরস্মৈপদী।
পিতৃদেব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পিডব্লুডির ইঞ্জিনীয়ার। দু-তিন বছর অন্তর অন্তর পোস্টিং বদলাত। চাকরিজীবনের তখন শুরুর দিক, আঞ্চলিক রাজনীতির নিয়ম মেনেই তখন "ভালো' জায়গায় পোস্টিং পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। এজন্য পিতৃদেবের মনে কোনও বিশেষ ক্ষোভও ছিল না, কারণ তখনও দোষ দেবার জন্য সিপিএমের ঐতিহাসিক জমানা শুরু হয় নি।