এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • লা জওয়াব দিল্লী - ৩

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ০২ নভেম্বর ২০০৮ | ৮৮২ বার পঠিত
  • দিল্লির পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সব দিক থেকেই ইউনিক। এখানে এমন এমন সিস্টেম চলে, যা সম্ভবত ভারতের আর কোনও জায়গায় চলে না। প্রথম প্রথম এসে ব্যাপারগুলো ডাইজেস্ট হতে গ্যাঁড়া গেঁড়ি দুজনেরই বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। আর যেহেতু এর পূর্বে মেট্রো সিটি তথা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভিজ্ঞতা বলতে দুজনেরই কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ, ফলে তফাৎগুলো প্রচন্ডভাবে চোখে লেগেছিল।

    এমনিতে দিল্লিবাসী যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই একগাল হেসে বলবেন, দিল্লি দিলওয়ালোঁ কা শহর হ্যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে "দিল' জিনিসটা এখানে খুব বিরল। এখানে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের মূলমন্ত্র হচ্ছে অসততা। শুধুমাত্র অসততার ওপর বেস করেই টিকে থাকে এখানকার দৈনিক জীবন। কে কার কতটা মেরে নিতে পারল, তার ওপরেই দিনের শেষে তৈরি হয় সাফল্যের খতিয়ান।

    দিল্লি এমন একটা শহর, যেখানে একশো শতাংশ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলে সিএনজি গ্যাসে। সরকার অনেক চাপাচাপি করে ভয় দেখিয়ে ভর্তুকি দিয়ে এই একটা জিনিস করে ফেলেছেন অনেকদিন হল। এই ব্যাপারটা এক ধাক্কায় দিল্লির দূষণমাত্রা কমিয়ে এনেছিল অনেকখানি। তারপরে জনসংখ্যার বুম এবং সেই হিসেবে গাড়ির মেলা দিনে দিনে যেভাবে বেড়েছে, এখন আর দূষণ তত কম নেই।

    সে যাই হোক, কথা হচ্ছিল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে। প্রথমে অটো। হলুদ সবুজ রংয়ের এই অটো অতীব দৃষ্টিনন্দন হলেও দিল্লিতে কোনও অটো শেয়ারে চলে না। কোথাও যেতে হলে অটো রিজার্ভ করতে হয়, এবং রেট নির্ধারিত হয় সওয়ারীর বাগ্মীতা ও হিন্দি বা হরিয়ানভি ভাষায় দখলের ওপর ভিত্তি করে। জীবনে প্রথমবারের জন্য নিউ দিল্লি স্টেশনে নেমে গ্যাঁড়া যখন প্রথম অটো চাপে, তখন অটোরিক্সার স্ট্রাইক চলছিল। কেন চলছিল, সেটা একটু পরে জানাচ্ছি। তবে স্ট্রাইক চলছিল, এবং অটোও চলছিল। অতএব যেহেতু স্ট্রাইক, তাই তারা ভাড়া দ্বিগুণ চাইছিল, প্রায় ট্যাক্সির সমান সমান। আশি টাকার রাস্তা নিউ দিল্লি রেল স্টেশন থেকে চিত্তরঞ্জন পার্ক, গ্যাঁড়া গেঁড়ি প্রথমবার অটো নিয়ে এসেছিল আড়াইশো টাকা দিয়ে। যেহেতু সাথে ছিল বেডিং এবং সুটকেশ, এবং মুখে ছিল না দিল্লিওয়ালি হিন্দির আধিক্য, তাই তাদের টুপি পরাতে অটোওলার কোনও অসুবিধাই হয় নি। এই রকম লাখ লাখ লোক রোজ আসে নিউ দিল্লি স্টেশনে, তাদের অনেকেই হিন্দিও বলতে পারে না। সুতরাং প্রথম দিল্লির মাটিতে ওয়েলকামটা বেশ জমিয়েই হয় অটোওলার হাত ধরে।

    প্রতিটা অটোতেই মিটার বসানো আছে, মিটারগুলোতে লাল লাল রংয়ের রিডিং বেশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়েও। কিন্তু আজ পর্যন্ত গ্যাঁড়া কখনও কোনও অটোকে মিটারে চলতে দ্যাখে নি। মিটারগুলো আছে আইন বাঁচানোর জন্য। কিন্তু দিল্লির অটো মিটারে চলে না। মাঝে মাঝে অবশ্য দিল্লি সরকারের মনে হয়, এটা ঠিক হচ্ছে না, তাই মন্ত্রীমশাই মাঝে মাঝে অটো অ্যাসোশিয়েশনকে বকে দেন, মিটারে চলবার জন্য। আর তাতে অটো অ্যাসোশিয়েশন খুব অভিমান করে স্ট্রাইক ডেকে দেয়। স্ট্রাইকও চলে, অটোও চলে, যদ্দিন স্ট্রাইক, তদ্দিন স্ট্রাইকের গাজর দেখিয়ে ডবোল ভাড়া আদায়! টোটাল মস্তি!

    দিল্লির আরেক দর্শনীয় জিনিস হচ্ছে দিল্লির বাস। ডিটিসি নামে চলে এখানকার সরকারি বাস। কন্ডাক্টর এখানে পেছনের সীটে জানলার ধারে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকেন। তিনি ডাকেনও না, ঘুরে ঘুরে টিকিটও কাটেন না। নিয়ম হল, জনতা পেছনের দরজা দিয়ে উঠবে, কন্ডাক্টরকে ডেকে পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে তবে নিজের সিটে বসবে। তা, শহরের নাম রাখতে হলে পরে অসততা এখানেও চালানো উচিৎ। কন্ডাক্টর তো পেছনের দিকে নিজের সীটে গ্যাঁট হয়ে উপবিষ্ট। সামনের দিকে সিট পেয়ে আগে বসে যাওয়া কোনও লোক বা মহিলা যদি দুর্ভাগ্যবশত খুচরোবিহীন হন, তা হলে তাঁকে একখানা একশো টাকার নোট বা পঞ্ছাশ টাকার নোট, মানে যখন যেমন থাকে আর কি, কন্ডাক্টরের দিকে বাড়িয়ে দিতে হয়। কন্ডাক্টর তো আর হাতের রিচে নেই, তাই টাকাটা মাঝে বসে থাকা সহযাত্রীদের হাতে পাস হতে হতে পৌঁছয় কন্ডাক্টরের কাছে। কন্ডাক্টর মহাশয় কখনও হাতে হাতে খুচরো দেন না। "উতরনে সে পেহ্‌লে লে জানা'। এবার উতারনার সময় সাধারণত নামতে হয় সামনের দিকের দরজা দিয়ে। সেদিকে কন্ডাক্টর তো বসে না। আর মাটিতে পা রাখার আগেই বাস হুশ্‌ করে বেরিয়ে যায়। আর দীর্ঘ পথে কোনও কারণে যদি যাত্রী খুচরো পয়সাটা চাইতে ভুলে যান, তো কন্ডাক্টর ভুলেও তা ফেরৎ দেবেন না। শেষ স্টপে বাস ফাঁকা হলেও না। গিয়ে চাইলে তবেই বিরক্ত মুখ করে খুচরো ফেরৎ দেবেন। গেঁড়ির বেশ কয়েকবার একশো টাকার নোট এইভাবে গেঁড়িয়ে গেছে।

    অনেক সময়ে কন্ডাক্টরও হয় তো ফেরৎ দেন টাকাটা, সেটা মাঝে বসা যাত্রীদের হাতে হাতে পাস হতে হতে সামনে পৌঁছবার আগেই হাপিস হয়ে যায়, হয় তো মাঝে কেউ দাঁড়িয়ে ছিলেন, খুচরো হাতে পাওয়া মাত্র তিনি ভিড়ে মিশে দরজার দিকে এগিয়ে যান। যেহেতু সামনে বসা বেচারা যাত্রীর পক্ষে সম্পূর্ণ ট্রানজাক্‌শন নজর করা সম্ভব হয় না ভিড়ের কারণে, সেহেতু তাঁর আর কিছুই করার থাকে না। যতক্ষণে তিনি টের পান, ততক্ষণে মাঝের ব্যক্তি হাপিস।

    এই চোরগুলো কিন্তু ঠিক প্রোফেশনাল চোর বা গাঁটকাটার দল নয়, এমনিই অফিসযাত্রী, কেরানী বা পিওন বা এক্সিকিউটিভ যে কেউ হতে পারে। একশোটা টাকার জন্য এখানে যে কেউ অনেকখানি নিচে নামতে পারে। দিনের শেষে ঐ টাকাতেই নিজেদের বউবাচ্চার জন্য খাবার বা উপহার কিনতে এদের মনে একটুও গ্লানি আসে না। দিল্লির নেচার। দিল্লির লোকমাত্রেই এমন নয় অবশ্যই, তবে এই ধরণের ভদ্রলোক চোরের সংখ্যাও কম নয়।

    ডিটিসির বাসে লেডিজ সিট থাকে। তাতে সাধারণত পুরুষরাই বসে। কোনও মহিলা এসে সেই লোকটিকে উঠতে বললে লোকটি উঠে পড়বে, এমন ঘটনা খুব কম ঘটে। খুব কম। কেউ এসে "ভাইসাব, লেডিজ সিট হ্যায়' বললে উপবিষ্ট ব্যক্তি বেশ কমবয়েসী হলে উত্তর দেবে "তো?', মাঝবয়েসী হলে একটা অবজ্ঞামাখা দৃষ্টি দিয়ে বলবে 'বিমার', কিংবা কোনও উত্তরই দেবে না, আরেকটু বেশি বয়েস হলে বলবে "দেখ নহি রহি হো, বুজুর্গ হুঁ?' লেডিজ সিটে যে মেয়েদের বসার প্রায়োরিটি আগে, সেটা মোটামুটি দিল্লির কেউই জানে না, বা মানে না। ভাবটা এই রকম, জায়গা ছিল, বসেছি। লেডিজ এলেই উঠে যেতে হবে, কে লিখেছে? উঠবো না, কী করবে? লওন্ডি বই তো কিছু নয়!

    এবং এইসব বাকবিতন্ডাতেও কন্ডাক্টর ভদ্রলোক নাক বা মাথা, কিছুই গলান না। বেশি উচ্চগ্রামে চেঁচামেচি হলে তিনি বিরক্ত হয়ে বড়জোর বলতে পারেন, আপনারা বাস থেকে নেমে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন, বাসের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। পুরো ডিপ্লোম্যাটিক কন্ডাক্টর, কারুর পক্ষই নেবেন না। ফলে দিল্লির বাসে মেয়েরা পরিস্থিতি অনুযায়ী নরম এবং গরম হন। গেঁড়িকে মুখ্যত পাবলিক বাসেই অফিস যেতে ও আসতে হয়, ফলে বিবিধ রকমের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে সঞ্চিত হয়েছে। এমন অভ্যেস হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে ক্ষেপে গেলে গ্যাঁড়াকেই বাসের কন্ডাক্টর ভেবে নিয়ে উত্তাল ঝাড় লাগিয়ে দ্যায়।

    প্রথম যুগে, সদ্য দিল্লি আসার পরে প্রথম ডিটিসির বাসে চেপেছিল গ্যাঁড়া আর গেঁড়ি। সফদরজঙ্গ এনক্লেভ থেকে দিল্লি কালীবাড়ি। রাস্তা চেনে না কেউই, তাই কলকাতার স্টাইলে কন্ডাক্টরকেই তারা বলে রেখেছিল, কালীবাড়ি এলে বলে দেবেন। তো, কালিবাড়ি স্টপেজে বাস দাঁড়িয়েওছিল, কিন্তু গ্যাঁড়া সেটা সময়মতো খেয়াল করে নি, গেঁড়ি খেয়াল করে গ্যাঁড়াকে ডাকতে ডাকতেই বাস দিল ছেড়ে, আর ডিটিসির বাস, সরকারি বাসের মতই, পরের স্টপেজ ছাড়া মাঝরাস্তায় দাঁড়ায় না। তড়িঘড়ি নামতে নামতে বাস এসে দাঁড়ালো জনমানবশূন্য জঙ্গলের পাশে এক স্টপেজে। নেমে গ্যাঁড়া বেশ খিঁচোতে গেছিল কন্ডাক্টরকে, কন্ডাক্টর নির্বিকার মুখে গ্যাঁড়াকে বলল, ম্যায়নে তো বোলা থা স্টপেজ আ গিয়া, তেরেকো গোদি মে বিঠাকে লে জাউঁ ক্যা? বলেই হুউশ করে বাস নিয়ে বেরিয়ে গেল পরের স্টপেজের উদ্দেশ্যে। সেই জনমানবশূন্য রাস্তায় অত:পর আধঘন্টা ধরে হেঁটে গ্যাঁড়াগেঁড়ি কালিবাড়ির স্টপেজে এসে পৌঁছেছিল।

    চলেগা নেহি, দৌড়েগা

    নভেম্বর ২, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০২ নভেম্বর ২০০৮ | ৮৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন