এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • The Rule of Law – The rule of Flaw

    Indranil Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭৮ বার পঠিত
  •  
    Tom Bingham একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম The Rule of Law. তিনি ব্রিটেনের একজন স্বনামধন্য আইনজ্ঞ। তিনি Master of Rolls, Lord Chief Justice এবং Senior Law Lord ছিলেন। হিউম্যান রাইট্‌স নিয়েও তাঁর লেখালেখি ও লেকচার রয়েছে।

    আমাদের এখানেও অনেকেই ‘হিউম্যান রাইট্‌স’ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি করেছেন কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেইসবের প্রতি আমল না দিয়ে আমরা ‘হিউম্যান ফাইট্‌স’ নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করছি। সিনেমাতেও আপাদমস্তক ঝাড়পিট না থাকলে আবার অনেক দর্শকের সিনেমাটিকেই জোলো বলে মনে হয়! যদিও এই ‘ঝাড়পিট’ প্রেমীদের জন্য আলাদা করে বেশ কিছু চ্যানেল বিভিন্ন অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা রয়েছে।

    তবুও শুনেছিলাম সেই এক ঘেয়ে ঝাড়পিট দেখতে দেখতে কোনও কোনও দর্শক নাকি চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। শেষে ঝাড়পিট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করে তার একটা রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট উইং খোলা হল। এলো স্পেশাল এফেক্ট।

    এবার মামলা করলেন অন্যেরা। তারা বললেন যে এই রকম ঝাড়পিট মানুষের পক্ষে করা অসম্ভব। তাই এইরকম আজগুবি ঝাড়পিট দেখানো বন্ধ হোক কারণ বাচ্চারা এইসব আজগুবি ঝাড়পিট শিখছে এবং তার ফলে কেলেঙ্কারি ঘটছে। শুনলাম সেই মামলা নাকি এখন চলছে!

    এইরকম মামলার কথা আমি জানি না বা আমার জ্ঞানে নেই; তবে হতে কতক্ষণ? তাই না?    

    প্রসঙ্গে ফিরে আসি, এখানে বইতে Tom Bingham মহাশয় একটি আধুনিক দেশ এবং সেখানে সভ্যতার অগ্রগতিতে আইনের নানান অনুশাসনের কথা বলেছেন। সঙ্গে এও দেখিয়েছেন যে কীভাবে আইনকে ব্যবহার করে ক্ষমতাবানেরা গণতন্ত্রকে কাঁচকলা দেখাচ্ছেন। গণতন্ত্রের থেকেও আইন উঠেছে শক্তিশালী হয়ে এবং তার দ্বারা কোনও কোনও দেশের ক্ষমতাবান দল ও সরকার মানুষকে শোষণ, নিপীড়ন এবং দরিদ্র করার অভিমুখে চালনা করছেন। কারণ বহু দেশেই বিরোধীদের চুপ করানোর জন্য সরকার পক্ষ দুটি অস্ত্র নিয়েছেন – হামলা অথবা মামলা।    

    যেখানে নেতা মন্ত্রী, বৃহৎ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বড় চাকুরে থেকে শুরু করে পাড়ার কেল্টু কাকু বা হত দরিদ্র নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে আইন একই হওয়া উচিৎ ছিল সেখানে কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেটি আলাদা হয়ে যাচ্ছে।

    বইতে তিনি আরও দেখিয়েছেন যে আইনের শাসন একটি শুকনো আইনী মতবাদ নয়, বরং এটি একটি ন্যায্য ও ন্যায়পরায়ণ সমাজের ভিত্তি। দায়িত্বশীল সরকারের একটা গ্যারান্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এবং শান্তি রক্ষার জন্য এখনও সর্বোত্তম উপায় প্রস্তাব করে।

    কিন্তু শুধু প্রস্তাব করলেই তো হবে না, তাকে কার্যকরও করতে হবে বইকি।

    তিনি এই বইটিতে সংক্ষিপ্তভাবে শাসনের ঐতিহাসিক উৎস পরীক্ষা করেছেন এবং আটটি শর্তের কথা বলেছেন যা আজকের পশ্চিমা গনতন্ত্রকে বোঝবার একটা মাপকাঠি। আর সেই আটটি মাপকাঠি হল –
    1. The law must be accessible and predictable – The law should be readily available and its meaning clear, allowing citizens to understand their rights and obligations.
    2. Use law, not discretion, as far as possible – Public authorities should rely on established legal frameworks rather than arbitrary decisions.
    3. Equality before law – The law should apply equally to all, without discrimination, regardless of status or position.
    4. Exercise of power must be used for the purpose for which the power was conferred – Public officials should use their authority within the bounds of the law and for the intended purposes.
    5. Respect for human rights – The law should protect fundamental human rights, ensuring they are not infringed upon.
    6. Means must be provided for resolving disputes fairly and efficiently – A system should be in place of citizens to resolve disputes through legitimate and effective legal process.
    7. Right to legal redress and fair trials – Every one should have the right to seek legal redress for wrongs and to have a fair trial before an independent and impartial court.
    8. The laws must comply with International law – A country’s laws should be consistent with international legal obligations and treaties.
      

    কিন্তু গণতন্ত্র কি শুধুই ‘পশ্চিমা’ থাকবে?

    এছাড়াও, তিনি তাঁর বইয়ে দেশে দেশে গজানো ভুঁইফোঁড় ফ্যাশিজম এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছেন।
     
    আমরা যাদের আইনসভায় নির্বাচিত করি আসলে আমরা তাদেরকে এই অধিকার প্রদান করি যাতে তারা আইনকে পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব বিধানসভা এবং লোকসভায় অবস্থিত মিউনিসিপ্যালিটি এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দেশের একদম নিম্ন অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষটিকেও নানান রকম সুরক্ষা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে পারেন; যাতে তারা আইনকে আরও বেশি বেশি করে মানবিক করে তুলতে পারেন।
     
    অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেইসব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কেউ কেউ ধুমাধার উন্নয়নের নামে মানুষের ভোটে জিতে সেই সব মানুষদেরই আবার হেনস্থা করছেন এবং নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।   
     
    স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশেও এমন অনেক নতুন আইন এসেছে যা গণতন্ত্র রক্ষার উপযোগী; আবার গত কয়েক বছরে যা সব নতুন আইন আমরা দেখতে পাচ্ছি সেগুলি গণতন্ত্র বিরোধী না গণতন্ত্র উপযোগী তা নিয়ে সুস্থ সমালোচনা কোথাও শুনতে বা পড়তে পাচ্ছি না। নতুন আইনগুলো নিয়ে সুস্থ আলোচনার প্রস্তাব জানাচ্ছি।  

    ব্রিটিশ আমলে তাদের বলবৎ করা আইন নিয়ে সেকালে ছড়া লেখা হয়েছিল – ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে / আইন-কানুন সর্বোনেশে’।

    এদিকে দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধারের পরে নতুন করে বিচারপতি নিয়োগের বর্তমান ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।
     
    এই বাউন্সার সামলাতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেছেন যে ২০১৫ সালে সংসদে সর্ব সন্মতিতে আইন তৈরি হয়েছিল যা অর্ধেক রাজ্য সিলমোহর দিয়েছিল। এখন ফের সেই ঐতিহাসিক পথে হাঁটার উপযুক্ত সময় নাকি এসে গেছে।

    অপরদিকে বিরোধীরা তার জবাবে বলেছেন যে স্বয়ং সুপ্রীম কোর্ট সেই বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দিয়েছিলেন। তা হলে শাসক এখন কোন পথে এগোতে চাইছে? নাকি দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতিকে পদ থেকে সরানো বা ইমপিচমেন্ট-এর প্রক্রিয়া শুরু হবে? (আবাপ – ২৬/০৩/২০২৫)

    এই প্রসঙ্গে ফেবুতে বিজন ঘোষ লিখলেন – নিন্দুকেরা বলছেন, “যদি টাকা দিয়ে বিচারপতি রাখা যায়, তবে খরচ করে আইনজীবী রাখার দরকার কি প্রয়োজন?”

    আবার একজন তুখোড় ফেসবুকীয়ান শ্রী অরূপ শঙ্কর মৈত্র লিখলেন – দুর্নীতির অভিযোগ হলেই হাইকোর্টের বিচারপতি সঙ্গে সঙ্গে ইডিকে দায়িত্ব দেন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার। নো জামিন। বছরের পর বছর জেল। সুয়োমোটো, পি আই এল, বিকাশ। দশ বছরে ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। দশ বছরে মাত্র ২ জনের ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এবার একজন হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে আগুণ লাগার পর দমকল বাহিনী এসে সেখানে ১৫ কোটি ক্যাশ টাকা পেয়েছে।
    ইডি নয়; দমকল পেয়েছে।
    আগুণ তো ইডি নয়। লাগ লাগ বললেই লাগে না।
    শুনছি আগুণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হয়েছে!
     
    কেউ কেউ চাইছেন যে মাননীয় বিচারপতি মহাশয়দেরও RTI আইনের আওতাভুক্ত করা হোক। যদিও উল্লেখযোগ্য যে হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিচার করার ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু আলাদা আইন রয়েছে।

    আমাদের দেশে এখন আইনের অপপ্রয়োগ এবং অভূতপুর্ব মামলার একটা যুগ চলছে। এতো মামলা হচ্ছে যে সেই নিয়ে আবার কেউ নতুন একটা মামলা করে না বসেন, যে এতো মামলা হচ্ছে কেন?

    গত ২০২৩-এর পয়লা অগস্টে আনন্দবাজারে প্রকাশিত একটা খবর পড়ে যুগপৎ কান্না ও হাসি পেয়ে গেছিল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুকে উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশ করে যে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত দূর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলায় তাঁরা ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে পড়েছেন। তাঁদেরই নাকি সব গুলিয়ে যাচ্ছে।ওদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত মহাশয় সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতির এই বক্তব্য শুনে বলেছেন, “এমন কেউ নেই যিনি ধন্দে পড়ে যাচ্ছেন না। সকলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন”।

    অন্যদিকে সেই খবরেই প্রকাশ যে ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি শ্রী জে জে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি শ্রী কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ ফের কলকাতা হাইকোর্টকে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন।

    এখানে উল্লেখ্য যে ২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি যিনি একসময় বইমেলায় মার্ক্সের পুস্তক ক্রয় করেছিলেন) সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি আপাতত বহাল রাখবার সিদ্ধান্ত দেন। সঙ্গে এই বিবাদের দ্রুত নিস্পত্তি যেন হয় তার কথাও বলেছিলেন।

    সেটি এখন কী অবস্থায় আছে কে জানে! অনেকে জানালেন যে সেটিও ঝুলে রয়েছে!  

    অপরপক্ষে, আজ, ০৩/০৪/২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এস এস সি শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিলেন। অর্থাৎ ২৬০০০ চাকরিই বাতিল! আপাতত বৈধরা স্কুলে ক্লাস নিতে পারবেন। কিন্তু কে বৈধ আর কে অবৈধ জানা যাবে কী করে?

    সঙ্গে আরও আদেশ দিলেন যে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ও এম আর শীটের কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে সেই শীটের ডেটা কেন সংরক্ষণ করা গেল না? কার নির্দেশে সেই ডেটা মুছে দেওয়া হল? কারণ সেই ডেটা পাওয়া গেলেই যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হত।

    যাঁদের বিরুদ্ধে এস এস সি বা সিবিআই বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন, সেইসব অযোগ্যদের থেকে, যতদিন তাঁরা বেতন পেয়েছেন, সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। আর যোগ্য যাঁদের চাকরি বাতিল হয়ে গেল, তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে না, তাঁরা আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে বয়সে ছাড় পাবেন।   

    এই প্রসঙ্গে শিক্ষক ও লেখক দেবোতোষ দাশ লিখলেন, ‘খাঁটি দুধেশ্বরের সঙ্গে এমনভাবে নকল মিনিকেট মিশিয়েছে যে আলাদা করতে পারে নি কেউ। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ও নয়। এই কাতারে অনেকেই আছেন যাঁরা সৎভাবেই চাকরিটা পেয়েছিলেন। ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন; সন্তানকে মনে মতো স্কুলে পড়াচ্ছেন। এখন তাঁরা কী করবেন ভেবেই শিউরে উঠছি! অথচ চাকরিচোরদের যাবজ্জীবন জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে না! এ বিচার না অ-বিচার!              

    আরেকটি মিম ফেবুতে ঘুরছে –
    -  স্যার, এক ধাক্কায় ২৬ হাজার চাকরি গেলো?
    - সাধারণ মানুষ একজন পকেটমার বা একজন মোবাইল চোরের সঙ্গে যে আচরণ করে থাকে, তার ৫০% যদি এই চাকরি চোরেদের সঙ্গে করতো, তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি থাকত না।

    আইনি পথে সমস্যা সমাধানের যে যে সমস্যাগুলো আছে তার মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা হল সমাধানের শম্বুক গতি আর তার মধ্যে যদি গাদা গাদা মামলা জমা হতে থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এ যেন মামলার পর মামলা দিয়ে আদালত জ্যাম করে ফেলবার একটা সুচতুর প্রচেষ্টা।

    আমরা সকলেই স্কুলে এবং কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে বেঞ্চে বসেছিলাম। কেউ ফার্স্ট বেঞ্চে; কেউ আবার লাস্ট বেঞ্চ খুঁজেছিলাম। সেখানে যে দু’প্রকার বেঞ্চ দেখা যেত তা হল সিঙ্গল বেঞ্চ আর ডবল বেঞ্চ। এই ডবল বেঞ্চ জোড়া থাকে। বেঞ্চে আঁকিবুঁকি অর্থাৎ নানান মহান শিল্প প্রচেষ্টা যেমন থাকে, তেমনি থাকে বেঞ্চ বাজিয়ে গান এবং বেঞ্চের ওপর দাঁড়ানো। কোনও দুষ্টু মিষ্টি মানুষ দ্বারা সৃষ্ট সেই শ্লোকটির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে – ‘নর নরৌ নরা / বেঞ্চির ওপর দাঁড়া’।

    মামলার ক্ষেত্রেও বেঞ্চ আছে। কোথাও সুবিচার পাওয়ার আশায় আবার কোথাও বা মামলাকে দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনায় আজকাল অনেক কেস প্রথমে নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্ট; হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ, তারপর সুপ্রিম কোর্ট এবং সেখানে সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চালান হতে থাকে। দেখা যায় সেখান থেকে মামলা আবার হাইকোর্টে ফেরত আসছে; তবে অন্য বেঞ্চে। এ যেন ‘মামলার বেঞ্চ এবং ভারত ভ্রমণ’।
     
    মানে এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে মামলা চলে যাচ্ছে। তবে মামলা লাইনে থাকছে না বেলাইনে চলে যাচ্ছে সেটাও জনগণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে কারণ জনগণও আর খেই ধরে রাখতে পারছেন না। একদিকে মামলার পর মামলা, তারপর এই বেঞ্চ; সেই বেঞ্চ।  

    এর ফলে মামলা এমন দীর্ঘায়িত হয় যে অন্য পক্ষ মনে মনে বলে ওঠেন যে ‘ছেড়ে দে বেঞ্চ কেঁদে বাঁচি’। অপরদিকে যাঁদের অর্থবল কম তাঁদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট কেন, হাইকোর্টে যাওয়াও সম্ভবপর হচ্ছে না। তাহলে সেই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ বিচার পাবেন কী করে?  

    অপরদিকে দেখা যাচ্ছে যে নানান ‘কলকব্জা’ প্রয়োগ করে ক্ষমতাবানেরা আইনকে নিজের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ফলে এতে আইনের প্রতি আস্থা কিন্তু মানুষের কমছে বই বাড়ছে না।

    কারণ আমাদের বুঝতে হবে আইনের জন্য মানুষ না মানুষের জন্য আইন।
     
    একদিকে যেমন দেখা যাচ্ছে বিচারপতি থেকে কেউ কেউ সরাসরি রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে যাচ্ছেন, আবার অপরদিকে নানানধরণের বিশেষ ‘আদর ও আপ্যায়নের’ ঠেলায় অনেক বিচারপতি আগেই রিটায়ার নিচ্ছেন।

    গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভ গুলোর মধ্যে একটা পোলারাইজেশন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যা আদতে গণতন্ত্রকেই খোখলা করে দিচ্ছে। একটা ‘আধিপত্যবাদী গণতন্ত্রের’ দিকে যেন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কী সমাজ কী প্রশাসন – উদারনৈতিক গণতন্ত্র যেন ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে উঠছে। সেইজন্য একদিকে যেমন আধিকারিকদের এগিয়ে আসতে হবে, সঙ্গে চেতনাযুক্ত মানুষদেরকেও আসতে হবে এগিয়ে। যে কোনও মূল্যে আধিপত্যবাদী ফ্যাশিস্তদের হাত থেকে গণতন্ত্র আনতে হবে ছিনিয়ে।

    গত কয়েকদিন আগে ক্যালকাটা ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে ক্যালকাটা ক্লাবে হয়ে গেল এক বিতর্ক সভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিখ্যাত সাংবাদিক শ্রী রাজদ্দ্বীপ সারদেশাই মহাশয় বললেন যে এই দেশের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম ভঙ্গুর হয়ে গেছে। তিনি বললেন যে This is not a tale of two cities; but tale of two journalists where we have seen the discrimination.

    এখানে দুজন সাংবাদিকের মধ্যে একজন অর্নব গোস্বামী এবং অপরজন সিদ্দিক কাপ্পান। একজন তুমুল বিখ্যাত (!) আর একজন অখ্যাত। একদিকে যেখানে সাংবাদিক অর্নব গোস্বামীকে ৬ দিনের মধ্যে জামিন দিয়ে দেওয়া হল (তাও আবার তদানীন্তন সুপ্রীম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি চন্দ্রচূড় মহাশয় শনিবার দিন এই রায় দিয়েছিলেন), অপরদিকে সিদ্দিক কাপ্পানকে, যিনি সামান্য হাথরসে একটি গণধর্ষনের প্রতিবেদন নিতে গিয়েছিলেন, ২ বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রাখা হয়েছিল, শেষমেশ জামিন পাওয়ার আগে। তাহলে?

    তিনি আরও বলেন যে এখানে জেলের ভিতর কোনও বৃদ্ধকে (যিনি আদিবাসীদের জন্য আজীবন লড়াই করেছিলেন) একটা স্ট্র দেওয়া হয় না, আবার কেউ কেউ রাজার হালে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত পান। তিনি আরও উদাহরণ টেনে আমাদের দেখান যে ঠিক কী পরিমাণ বৈষম্য রয়েছে আমাদের দেশের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম-এ। কীভাবে ক্ষমতাবানেরা অক্ষমদের ধরে ধরে এমন সব মামলায়, এমন সব ধারায় কেস দিচ্ছে যে তাতে সেই অক্ষমদের মনে জাস্টিস ব্যাপারটাই হয় একটা হাস্যকর নতুবা একটা ভয়াবহ কাণ্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন – Justice denied anywhere is justice diminishes everywhere.

    অপরদিকে যখন আইন ও প্রশাসনে এইরকম একটা অবস্থা, তখন আবার কিছু কিম্ভূত নাগরিকদের অদ্ভুত সব বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে একমাত্র যাদুঘরই হল যেন এদের সঠিক বাসস্থান। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি -   

    প্রায় বছর ১৫ পড়ানোর সুবাদে নানা রকমের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাঁদের বাবা-মা এবং কর্ম ও ঘর্ম সূত্রে নানান কিসিমের পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে কথা বলবার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে আবার অনেক মজার ও গজার অভিজ্ঞতাও হয়েছিল।   

    একবার এক বারো ক্লাসে পড়া এক ছাত্রের দেখলাম মুখভার। ছেলেটি তেমন সুশ্রী ছিল না। কিন্তু তার জন্য সে তো আর দোষী নয়। যাইহোক ক’দিন আগে সে মেয়ে পটানোর উদ্দেশ্যে একটা দামী বাইক কিনে খুব উড়ছিল। তাকে আমি তার মন ভারাক্রান্তের কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। সে উত্তর দিলো, “এতো দাম দিয়ে একটা বাইক কিনলাম স্যার, কিন্তু একটাও মেয়ে পট্‌ল না। আমি বাইক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করবো”।

    আমি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম যে তুই বাইকে লরির চাকা লাগিয়ে একবার দেখ। জানিনা তারপর সে কী করেছিল।

    এরপর একজন মহিলা। তিনি একটি বিডিও অফিসে কাজ করতেন। কাজটা যদিও ছিল অস্থায়ী, তবে তাকে দেখতে যেমন দুর্দান্ত ছিল তেমনই তার ঘ্যামও ছিল বিরাট। যদিও তাকে দেখে বোঝা যেত না যে তিনি ইক্‌নমিক্স নিয়ে এম.এস.সি. করেছেন কারণ কথা বললে তিনি ইক্‌নমিক্সের জায়গায় ‘ইনোকমিক্স’ আওড়াতেন!

    একদিন দেখলাম তিনি ডেস্কে একা মনমরা হয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে আছেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তাতে তিনি জানালেন যে মামলা করবেন। কেন জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বললেন যে রোজ রোজ কত্ত সেজেগুজে অফিসে বেরোন কিন্তু পথে অনেকেই তাকে দেখে না বা পাত্তা দেয় না। বোঝ কাণ্ড!

    আমি তাকে বলেছিলাম সঙ্গে একটা হর্ন বা হুইসিল রাখতে আর কাউকে দেখলেই সেটা বাজাতে যাতে করে সবাই তার দিকে তাকান।

    তারপর তিনি অবশ্য কী করেছিলেন সেটা জানি না।

    আবার একজন একদিন রাস্তায় গরুর গোবরে আছাড় খেয়ে বুঝতেই পারছিল না যে সে কার বিরুদ্ধে মামলা করবে? রাস্তা? গরু? না গোবর? আমি তাঁকে তার বিরুদ্ধেই মামলা করতে বলেছিলাম।

    ফেসবুক এহন এক্কেরে জমজমাট। এতো লেখার আইডিয়া আসে যে বলবার না। তা সেখানেই একদিন একটি থ্রেডে দেখলাম একজন মামলা করবার কথা বলেছেন কারণ তার মনে হয়েছে যে শ্রদ্ধেয় সত্যজিত রায় মহাশয় তাঁর সোনার কেল্লা সিনেমাতে রাজস্থানে ডাকুদের আস্তানা আছে কীনা সেটি একটি সংলাপ আকারে বলিয়েছিলেন। ব্যাস! কমেন্টের লেখকের বক্তব্য যে কেন? ডাকাতি কি আর ভারতের কোনও জায়গায় হয় না?

    এখন এরা এবং এদের মতো অনেকেই যদি তাদের এইসব বিদঘুটে ব্যাপার নিয়ে মামলা করতেন তাহলে ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াত? ভাবুন একবার। বুথ জ্যামের মতো আদালত জ্যাম হয়ে যেত না?   

    কথায় বলে, ‘বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো’। অর্থ হল বোকা বানানো। আসলে একসময় অবিভক্ত ভারত তথা বাংলায় হাইকোর্ট ছিল কেবল কলকাতায় আর কলকাতা বেড়াতে আসা কোনও পূর্ববঙ্গবাসী হাইকোর্টভবন দেখতে চাইলে তাকে বহুতল উঁচু যে কোনও একটা বাড়ি দেখিয়ে বলা হত – এই তো হাইকোর্ট!

    এইবার আপনাদের একটি গল্প বলি –

    একবার এক আদালতে একজন বৃদ্ধাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হল যে তিনি কেন চুরি করেছেন? উত্তরে বৃদ্ধা বললেন যে তিনি নিজে অসুস্থ, তাঁর ছেলে ক’দিন আগে আক্সিডেন্টে মারা গেছে, ঘরে রয়েছে বিধবা বউমা এবং তাঁর নাতি। তাঁরা বেশ কয়েকদিন ধরেই অভুক্ত। তাই ক্ষিদের জ্বালায় তিনি চাল, ডাল, তেল, আনাজপাতি, বেবি ফুড, ওষুধ ইত্যাদি চুরি করেছেন।

    ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক জজ সাহেবকে জানালেন যে ওই বৃদ্ধা প্রায় ৩০,০০০ টাকার মাল চুরি করেছেন। আর সেইজন্য তাঁর শাস্তি হওয়া দরকার।

    জজ সাহেব সব শুনলেন। তারপর একটু ভাবলেন। তারপর ফুটেজ টুটেজ দেখে বৃদ্ধাকে বললেন যে আপনি যে চুরি করেছেন তার শাস্তি কিন্তু আপনাকে পেতেই হবে। আপনাকে জরিমানা বাবদ দোকানদারকে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে, নয়তো জেলে যেতে হবে।
     
    জজ সাহেবের কথা শুনে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক তো মহা খুশি। ওদিকে বৃদ্ধার চোখে জল। ভাবলেন যে জজ সাহেবের কি একটুও মায়াদয়া নেই গো?  

    তারপর জজ সাহেব নিজের ব্যাগ থেকে কী যেন বের করে খসখস করে লিখলেন।

    এবং জজ সাহেব আবার বললেন, “আমি কিন্তু আমার রায়দান শেষ করিনি”। তারপর তিনি তার একটা ব্যাগ বা ঝোলা বের করে বললেন, “এবার আমার এই ঝুলিতে আমি ৫,০০০ টাকার একটা চেক ওই বৃদ্ধার নামে লিখে দিলাম। এবার এখানে উপস্থিত আপনারাও যার যা সাধ্যমতো দিন কারণ এই অসুস্থ বৃদ্ধা এবং তাঁর বউমা, নাতিদের প্রতি আমরা বা সমাজ যে অনাচার করেছে, তাঁকে যে চুরি করতে প্রবৃত্ত করেছে, এটা হল তার ফাইন। সঙ্গে ওঁদেরকে যাতে সাহায্য করে, যাতে ওঁরা কাজ পায়, এমন কোনও NGO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হোক”।

    ক্লার্ক সবার কাছে ঝুলি নিয়ে গেলেন এবং দেখা গেল যে প্রায় ৫০,০০০ মতো টাকা সেই ঝুলিতে উঠল। জজ সাহেব ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিকের টাকা মিটিয়ে দিয়ে বাকি টাকা বৃদ্ধাকে দিয়ে দিতে বললেন।  

    জানিনা এইরকম ঘটনা আমরা হয়তো খানিকটা আমাদের কোর্টে দেখেছি বা দেখিনি, কিন্তু এইরকম ঘটনা আরও বেশি বেশি করে আমরা দেখতে চাই।
             
    পরিশেষে পরম শ্রদ্ধ্যেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুক্ষ্ণ বিচার’ নামক একটি নাতি দীর্ঘ নাটিকা রয়েছে, যেখানে রয়েছে কেবলরাম আর চণ্ডীচরণের মধ্যেকার বার্তালাপ। কেবলরাম খালি চণ্ডীচরণের আছে জানতে চেয়েছিলেন যে তিনি ভালো আছেন কীনা? ব্যাস।   

    আমাদের সাধারণ মানুষদের অবস্থাটাও ঠিক ওই ‘কেবলরামের’ মতো। প্রশ্ন করা যাবে না। প্রশ্ন করা যাবে না; উট, লুট, ঝুট – কোনও কিছুর সম্বন্ধেই প্রশ্ন করা যাবে না। আর প্রশ্ন করলেই হয় দাগিয়ে দেওয়া হবে নয়তো মামলায় ঠুসে দিয়ে চণ্ডীচরণের মতো প্রশ্নবাণে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হবে।নয়তো করা হবে হামলা।

    কারণ আমরা অনেকেই দেখেছি কিন্তু বিচারের বানীকে নীরবে নিভৃতে কাঁদতে। 

    তাই জনগণকে বস্তাপচা সিরিয়াল আর এলাকাগত কূটকাচালি ছেড়ে দিয়ে নানা বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনের একটা প্রাথমিক পাঠ নেওয়া আশু প্রয়োজন। 
     
    আর আন্দোলন তো চলছেই। 
     
    ©রানা সরকার
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন