এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রসঙ্গ : বর্জ্য ঔপনিবেশিকতা ও আমরা 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০২৫ | ৩৪৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • প্রসঙ্গ : বর্জ্য ঔপনিবেশিকতা ও আমরা 
     
    ইংরেজি colonialism শব্দের বহুল ব্যবহৃত প্রতিশব্দটি হলো ঔপনিবেশিকতাবাদ। এ এক আধিপত্য বিস্তারের নীতি, দুর্বলদের ওপর অপেক্ষাকৃত সবলদের প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠার নীতি। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে অকুল পাথারে পালতোলা জাহাজ ভাসিয়ে ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা দলে দলে বেরিয়ে পড়লো সমুদ্র অভিসারে। প্রথম প্রথম দীর্ঘ অনিশ্চিত জলপথ পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশে পৌঁছানোই ছিল এই সব অভিযানের মুখ্য উদ্দেশ্য, অজানাকে জানার ও অদেখাকে দেখার ইচ্ছেটাতো মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এভাবেই তাঁরা জাহাজ নিয়ে হাজির হলো আজকের আফ্রিকায়, আমেরিকায়, ভারতসহ দূর প্রাচ্যের নানান ভূখণ্ডে।
     
    এই পর্যায়ে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশ বা ভূখণ্ডটি সম্পর্কে, তার সম্পন্নতা সম্পর্কে, আবাসিক মানুষজনের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক পরিচিতি লাভ করা। যদিও এই মনোভঙ্গি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এমনটা নিশ্চয়ই নয়। চিরায়ত মনুষ্য নির্ভর দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে অত্যাধুনিক যন্ত্রপ্রযুক্তির ব্যবহার, যা ইতিহাসের পাতায় শিল্প বিপ্লব নামে আখ্যায়িত, পুরনো সব হিসাব প্রায় রাতারাতি বদলে ফেলল। ইউরোপীয় বাজার ছাপিয়ে গেল যন্ত্রোৎপাদিত সস্তার পণ্যে। অভিযাত্রীরা পরিবর্তিত হলেন ব্যবসায়ী বণিকে।
    আর তারপর একদিন বণিকের মানদণ্ড চুপিসারে আড়ালে রেখে রাজদণ্ডকেই হাতে তুলে নিলেন তারা। ইউরোপীয় ভূখণ্ডের বাইরে প্রতিষ্ঠিত হলো মিনি ইংল্যান্ড, মিনি ফ্রান্স, মিনি হল্যান্ড,মিনি স্পেন ,মিনি পর্তুগাল….. আরও কত কি ! নিজেদের রাষ্ট্রিক সীমানার বাইরে প্রতিষ্ঠিত হলো এমন‌ই অগণিত কলোনি বা উপনিবেশ। 
     
    ঔপনিবেশিক শাসনের নগ্ন স্বৈরাচারী রূপ প্রত্যক্ষ করেছে ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর বহু দেশের মানুষ। এইসব উপনিবেশ থেকে কাঁচামাল নিয়ে গিয়েই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আধুনিক যন্ত্র শিল্পের পত্তন ও ক্রমবিকাশ। একসময় ঘুম ভাঙলো স্থানীয় দেশীয় মানুষজনের। তারা সংগঠিত করলেন নিজেদের। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হলো একদিন। একদা ইউরোপীয় কলোনিগুলো একে একে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নিজ নিজ গরিমায়।
     
    স্বাধীনতা পেলেও পর নির্ভরতা কমলো এমনটাও নয়। সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা কায়েম করা মোটেও সহজ কাজ নয়। তার ওপর দেশীয় উৎপাদন কাঠামো বৈদেশিক আগ্রাসনের কারণে একদম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। ভারতের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র বয়ন শিল্প এর সবথেকে বড়ো উদাহরণ। যেসব অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার লুটপাট করে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো নিজেদের ভাঁড়ার ভরেছিল, সেই দেশগুলোই একসময় হয়ে উঠলো তাদের খোলা বাজার। সস্তা পণ্যের আন্তর্দেশীয় বিপণি।
     
    “সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে” এই একবিংশ শতাব্দীতেও। তবে তার চরিত্র বদলেছে অনেকখানি। আগে আসতো বিচিত্র সব পণ্য। আর এখন জাহাজ ভরে আসছে বিচিত্র সব বর্জ্য। ইংরেজিতে যাকে বলে Waste । এখন তো আর তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা হয়না,বলা হয় উন্নতিকামী বা উন্নয়নশীল দেশ– ভারত সহ সেইসব দেশের বন্দরে বন্দরে এখন বিদেশী বর্জ্যের পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছে উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য পোতের বহর। ঠিক যেভাবে আমরা বাড়ির যাবতীয় আবর্জনা পাশের ফাঁকা মাঠে ফেলে দিই চুপিসারে, ফেলে দিয়েই মনে মনে ভাবি - আমার দৃষ্টির আড়ালে মানেই হলো সকলের নজরের আড়ালে– ঠিক সেভাবেই উন্নত ধনী দেশগুলো তাদের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যের সিংহভাগই রপ্তানি করছে আমাদের মতো দেশগুলোতে। অর্থনীতির পরিভাষা অনুসারে এমন ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে Waste Colonialism বা বর্জ্য ঔপনিবেশিকতা। আজ এই বিষয়েই দু চার কথা বলবো আলোচ্য নিবন্ধে।
     
    প্রথমেই বলি, অতীত ঔপনিবেশিকতার মতো আজকের বর্জ্য ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস মোটেই তেমন প্রাচীন নয়, নিতান্তই হালফিলের এক বাণিজ্যিক প্রবণতা। ইতিহাস বলছে ১৯৮৯ সালে আয়োজিত এক কনভেনশনে সর্বপ্রথম Waste Colonialism বা বর্জ্য ঔপনিবেশিকতা কথাটা মান্যতা পায় পৃথিবীর উচ্চ আয়যুক্ত সম্পন্ন পশ্চিমি দেশগুলো থেকে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা স্বল্প আয় বিশিষ্ট গরীব দেশগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে। এই ভয়ঙ্কর প্রবণতাকে নতুন বর্জ্য ঔপনিবেশিকতা বা Waste neo Colonialism নামেও চিহ্নিত করা হয়। পূর্বতন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টক্সিক বা বিষাক্ত বর্জ্য রপ্তানি করা হচ্ছে অতীতের উপনিবেশগুলোতে। তথাকথিত বাণিজ্যিক পণ্যের রপ্তানি নামাঙ্কিত ঘোমটার আড়ালে চলতে থাকে এই বিপজ্জনক পশ্চিমি খেমটা বাণিজ্য।
     
    এই সূত্র মেনেই পূর্বের বৃটিশ উপনিবেশ ভারত ও মালয়েশিয়ায় ইউ. কে. থেকে পাঠানো হলো বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ; ভিয়েতনামের মতো এক ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ থেকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাণিজ্যিক পণ্যের নামে পাঠানো হয় জাহাজ ভরা প্লাস্টিক বর্জ্য। ইন্দোনেশিয়ার প্রতি চরম বদান্যতা দেখিয়ে জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশ থেকে সরবরাহ করা হয় সেই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক পরিবেশ যার উপস্থিতি বায়ু মাটি জলের মতো প্রাণদায়ী প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে বিষিয়ে দেয় একটু একটু করে।
     
    এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া ১.৪ বিলিয়ন কিলোগ্রাম, ভিয়েতনাম ১ বিলিয়ন কিলোগ্রাম, তুরস্ক প্রায় ১ বিলিয়ন কিলোগ্রাম, ইন্দোনেশিয়া প্রায় ৬০০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম এবং ভারতবর্ষ প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম প্লাস্টিক বর্জ্য উপহার হিসেবে পেয়েছে তাদের ভূতপূর্ব ঔপনিবেশিক প্রভু রাষ্ট্রগুলো থেকে। ভাবতে অবাক লাগে যে এমনসব ক্ষতিকারক উপাদান এইসব দেশগুলোতে এসে পৌঁছেছে গালভরা বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে। বলতে বা বুঝতে সামান্যতম অসুবিধা হবার কথা নয় যে এভাবে দূষক পদার্থের রপ্তানির বিষয়টি এক ঐতিহাসিক, পরিবেশগত ও সামাজিক অবিচার। অতীতের অন্যায়ের মতো এই বিষয়টিও যে গভীর অন্যায়ের‌ই নামান্তর তা নিশ্চয়ই আলাদা করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। 
     
    এই দেওয়া নেওয়া, লেনদেনের নয়া অর্থনীতি ইতোমধ্যেই সবার টনক নাড়িয়ে দিয়েছে। বর্জ্য ঔপনিবেশিকতার পাশাপাশি এই ব্যবস্থাকে পরিবেশগত বর্ণবাদ বা এনভায়রনমেন্টাল রেসিজিম হিসেবেও অভিহিত করেছেন বেশ কিছু পরিবেশ অর্থনীতিবিদ। সাবেকি ঔপনিবেশিকতার মতো আজকের এই নয়া ঔপনিবেশিকতার মধ্যেও রয়েছে দুই শ্রেণির রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের বিপুল , দুস্তর ব্যবধান। এই ব্যবস্থাটিও যে বহু পরিচিত সামাজিক নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক শোষণের একটি সাম্প্রতিক প্রতিরূপ তা বুঝতে বোধহয় খুব অসুবিধা নেই। ক্ষমতা ও বৈভবের অসমতার সুযোগ নিয়েই অতীতের প্রভুরা তাদের দেশের ক্ষতিকারক বিভিন্ন বর্জ্যকে যথেচ্ছভাবে পাঠিয়ে দিচ্ছে চির দরিদ্র দেশগুলোতে। আমরা সেই ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্টকেই গদগদ হয়ে প্রসাদ বলে গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র কসুর করছিনা। নিজের ঘাড়ের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার সেই বহুল প্রচলিত প্রকৌশল আজ‌ও স্বমহিমায় বিরাজমান।
     
    আসলে এই বর্জ্য ঔপনিবেশিকতার ভাবনার মধ্যে নিহিত রয়েছে দায়মুক্তির অতি চেনা মানসিকতা। নিজের দেশের বর্জ্য পদার্থকে নিজেদের দেশেই সুষ্ঠুভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার পরিবর্তে গরীব দেশগুলোতে পাঠিয়ে দিলে , নিজেদের ঘাড় থেকে সহজেই সমস্ত দায় দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায়। নিজের ঘরের ময়লা আবর্জনার স্তূপ নিজের কাছে জমিয়ে রাখলে তা নিজেদের দেশের মানুষজনের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর নেতি প্রভাব ফেলবে। সুতরাং নিজেদের সীমানার বাইরে তাকে সরিয়ে দেওয়াই ভালো। এও নয়া দুনিয়ার নয়া উপনিবেশবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। পুঁজিবাদ বিশ্বাস করে ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার একমুখী বিকাশ‌ই হলো দুনিয়াদারির সর্বোত্তম উপায়। আর তাই সুস্থায়ি উন্নয়নের কথা মাথা থেকে হঠিয়ে দিয়ে একতরফাভাবে বাড়িয়ে চলে উৎপাদন ও বর্জ্যের পরিমাণ। মজার বিষয় হলো পশ্চিমি দেশগুলো যা উৎপাদন করছে তার সিংহভাগই হলো সীমিত আয়ুষ্কাল যুক্ত, নির্দিষ্ট সময় মেয়াদি। আমাদের হাতের মুঠোয় ধরা ডট্ পেন থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন সেট্ , ওয়াশিং মেশিন,গীজার…. সব‌ই একবার ব্যবহার করে অচল হলেই বাতিল। এই বাতিল হয়ে যাওয়া বিপুল পরিমাণ বর্জ্য পণ্য যাবে কোথায়? কেন ? ঐ যে গরীব মানুষের দেশে!এক সহজ পুঁজিবাদী জীবন দর্শন। বর্জ্যের চাপে আম জনতার প্রাণ যায়, হুঁশ নেই তেনাদের।
     
    প্রশ্ন হলো আমাদের মতো দেশগুলো কেন এমন এক বিপজ্জনক বাণিজ্যিক লেনদেনের ব্যবস্থাকে মুখবুজে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে? নিঃসন্দেহে সঙ্গত প্রশ্ন। ২০১৭ সালে আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিন এই ব্যাপারে রুখে দাঁড়ায়। তাঁরা এক ফরমান জারি করে বলে যে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ রকমের বর্জ্য পণ্যের আমদানি করা চলবে না কেননা এর ফলে কেবলমাত্র বাণিজ্যিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটছে তা নয় , বর্জ্য আমদানির ফলে দেশের পরিবেশের ভারসাম্য‌ও বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশে অবৈধ চোরাচালান রুখতে চিনা সরকারের ঘোষিত Operation National Sword নীতি এই কালা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো হয়ে ওঠে।
     
    রীতিমতো ঘোষণা করে চিন তাদের দেশের অভ্যন্তরে বর্জ্যের অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রপ্তানিকারক পশ্চিমি দেশগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে নতুন করে ভাগাড় এলাকা খুঁজতে। খুব একটা কষ্ট অবশ্য করতে হয় না। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ - মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো থেকে পাঠানো বৈধ এবং অবৈধ বর্জ্য আমদানির পীঠস্থান হয়ে ওঠে অচিরেই। সমস্ত আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে , লেনদেনের মিথ্যা কাগজপত্র তৈরি করে, আমদানিকৃত পণ্যের পরিচয় গোপন করে চলেছে এই অবৈধ বাণিজ্য।
     
    প্রশ্ন হলো কী কী সামগ্রী ওসব পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে বৈদেশিক বাণিজ্যের নামাবলী গায়ে চাপিয়ে আসছে এদিকে। তালিকায় এতো বিবিধ পণ্যের সমাবেশ যে তা নিয়েই একটি স্বতন্ত্র নিবন্ধ লেখা যেতে পারে। রপ্তানিকৃত পণ্যের তালিকায় রয়েছে জৈব বর্জ্য, বিপদজ্জনক রাসায়নিক বর্জ্য, বিভিন্ন ধরনের কঠিন বর্জ্য, তরল বর্জ্য এবং বিভিন্ন ধরনের পুনর্নবীকরণ যোগ্য বর্জ্য। এইসব বর্জ্য পদার্থের প্রতিটিই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর শুধু নয়, পরিবেশ পরিমণ্ডলে তাদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ঘটছে দূষণ, নাগরিক স্বাস্থ্যের অবনতি এবং বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সম্পদের অপচয়। 
     
    পশ্চিমি দেশগুলো আয়তনে অপেক্ষাকৃতভাবে ছোট এবং তুলনামূলক ভাবে জনবহুল, ফলে ল্যান্ডফিল বা ভাগাড় তৈরির পর্যাপ্ত পরিসরের অভাব রয়েছে। চরম ভোগবাদী জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষজন অপচয়কারী। আর তাই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য, জামাকাপড় এবং ইলেকট্রনিক বর্জ্য নিয়মিত ভাবে পাঠানো হচ্ছে এশিয়া বা আফ্রিকার অনেকটাই পিছিয়ে থাকা অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর দেশগুলোতে। ইউরোপীয় জনগণের ফেলে দেওয়া পোশাক আফ্রিকার গরীব মানুষের গায়ে উঠছে। এইসব বর্জ্য সামগ্রী রি সাইকেল করার নামে নিয়ে আসা হলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো থেকে নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষজনদের। এ এক নাকের বদলে নরুণ পাওয়ার করুণ আখ্যান।
     
    এই সমস্ত বিষয় নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদে সরব রয়েছেন। যথেচ্ছভাবে ওই সব দেশের আবর্জনা আমাদের মতো পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে জমা করার ফলে আমাদের দেশের পরিবেশ মানের ওপর তার প্রভাব পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধভাবে আমদানি করা হচ্ছে এই সব ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র। প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই চলছে বেআইনি রিসাইক্লিং প্লান্ট। সেগুলোর প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা এতোটাই নিম্ন মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে এরফলে পরিবেশ মানের ওপর চাপ বাড়ছে। বে-লাগাম বর্জ্য দহনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীবকুল, ভেঙে পড়ছে প্রাকৃতিক শৃঙ্খলা। আমদানি করা আবর্জনার দূষণের কারণে আমাদের জল- স্থল - অন্তরীক্ষ আজ মাত্রাহীন দূষণের শিকার। মানুষের আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক দারিদ্র্যের দরুণ আমরা একরকম বাধ্য হচ্ছি এই নয়া ঔপনিবেশিকতার নিদারুণ গ্লানিকর উৎপীড়ন সহ্য করতে। উন্নত প্রযুক্তি পরিষেবার সুযোগকে ব্যবহার করে জাপান , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সহজেই তাদের দেশজ বর্জ্য পদার্থকে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামলাতে পারলেও দরিদ্র দেশগুলো পড়েছে মতান্তরে। তাদের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি দশা। 
     
    গোটা দুনিয়া যখন প্লাস্টিক দূষণের কারণে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তখন আমাদের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নয়া ঔপনিবেশিকতার এই বিড়ম্বিত উপহার। প্লাস্টিক তৈরি হয় পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজাত পদার্থ থেকে। এই উপাদানগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কাণ্ডারি। যেসব উন্নত ধনী দেশ এই সব উৎপাদন করে তারা আজ সেইসব বর্জ্য পদার্থ পাচার করে দিয়ে সাধু সাজতে চাইছে। কি নির্মম পরিহাস। গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটির কোনো পরোয়াই করছে না এই সব উন্নত দেশগুলো। তাদের পাপের বোঝা বয়ে নিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের মতো পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে।
     
    পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্রমশই বাড়ছে ল্যান্ড ফিল বা তথাকথিত ভাগাড়ের সংখ্যা। অবস্থাটা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এরফলে অনেক অনুন্নত দেশের ভূমি ব্যবহার মানচিত্র ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। যেসব জমিতে ভাগাড় গড়ে উঠেছে সেই সব জমি টক্সিক উপাদানের বোঝা ধারণ করে ক্রমশই অনুৎপাদনশীল বন্ধ্যা জমিতে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তাহলে এতে ফায়দা হলো কোথায়?
     
    এর থেকে মুক্তির উপায় কী? বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে একদিন পথে নামতে হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল বিস্তৃত ভারতবর্ষের মানুষকে। এই নয়া উপনিবেশবাদী বর্জ্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও হয়তো সেই প্রতিবাদের পথেই পথ হাঁটতে হবে আমাদের সকলকে। এখন থেকেই বরং শুরু হোক নয়া প্রস্তুতির পর্ব।
     
     
     
    সোমনাথ মুখোপাধ্যায় 
    মার্চ ১৫,২০২৫.
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০২৫ | ৩৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:3bfb:a27d:7d0d:3efd:16f2:***:*** | ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪৭541709
  • অসামান্য  লেখা .  একদম  নতুন  ধরনের  দৃষ্টিকোণ  থেকে .  কখনো  এই  বিষয়  নিয়ে  ভাবিনি !  পরিবেশ  দূষণ  নিয়ে  ভাবতাম .  কিন্তু  তা  যে  এমন  রফতানির  বিষয়  হয়ে  উঠেছে ,  তা  জানতাম না .  জাহাজ  ভাঙতে  আসে গুজরাটে ~ সেই  পর্যন্তই  জানতাম !  দারুন  লেখা  এবং  ভবিষ্যৎ  নিয়ে  ভাবতে  বাধ্য  করলো!  অপূর্ব  লেখা .  আলোকপাত  করতে  থাকুন .  আরো  চাই  এই  ধরণের  লেখা !
  • সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় | 113.2.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৬:৪৫541723
  • অসাধারণ লেখা। বিষয়টি নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনা হয়না বললেই চলে। এমন চমৎকার তথ্যবহুল এবং বিশ্লেষণধর্মী লেখা বড় আগ্রহের। লেখককে ধন্যবাদ।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10c7:b9df:8000::***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৭:২১541724
  • লেখক যথারীতি সমস্যাগুলির উপর আলোকপাত করে চলেছেন ।
  • #:+ | 2409:4060:2d81:798d:d4ec:ef4e:e6dc:***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৭541728
  • বিষয় ভাবনার বিচারে সত্যিই অনন্য। এমন বিষয়ের উপস্থাপনা পাঠকদের‌ই শুধু তথ্যগতভাবে সমৃদ্ধ করেনা তাঁদের মধ্যে ভাবনা জাগিয়ে তোলে। ভূমিকা অংশে ঔপনিবেশিকতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমার স্কুল জীবনের ইতিহাসের মাস্টারমশাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলো। নির্মেদ ভাষ্য ‌। পরবর্তী অংশটিও যথাযথ। নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ। আরও লেখা চাই।
  • পৌলমী | 2409:4060:2d94:6acf:8e0d:44ee:1c26:***:*** | ১৯ মার্চ ২০২৫ ১২:৫৩541783
  • শিরোনাম দেখে প্রথমে এড়িয়ে গিয়েছিলাম,পরে আঙুল চালিয়ে ফিরে এসে পড়ে দেখলাম না পড়লে এক গভীর সমস্যার কথা জানতেই পারতাম না। পণ্য কেন্দ্রিক দাদাগিরির পর এবার বর্জ্যের সম্ভারে দরিদ্র দেশগুলোর নাভিশ্বাস ওঠানোর অপচেষ্টা। আমরা নিজেদের তৈরি করা বর্জ্য সামলাতেই জেরবার, তার ওপর পশ্চিমা দুনিয়ার এই বোঝা খালাসের চক্রান্ত। জাহাজ ভর্তি করে এসব পয়মাল এদেশে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা কোথায়? এই বিষয়ে ভাবা দরকার সকলের। 
    নতুন খাতে আলোচনাকে ব‌ইয়ে দেবার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:০৫541786
  • ভালো লাগলো লেখাটা। এইসব খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার। তাতে হয়তো সচেতনতা বাড়বে আরো। পৌলমী যে প্রশ্নটা করেছেন -- "জাহাজ ভর্তি করে এসব পয়মাল এদেশে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা কোথায়?", এটা আমারও মনে আসে। ডেভেলপিং দেশগুলো কেন এই বর্জ্য আমদানী করতে বাধ্য হবে? কেন এরা ঐ চুক্তিতে সই করে? চীন প্রতিবাদ করেছিলো জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু চীন নিজেই আবার খুবই টক্সিক জিনিষপত্র ব্যবহার করে সস্তায় প্রচুর জিনিষ বানায় আর দুনিয়াময় রফ্তানি করে। বানিজ্যের নামে যা তা চলছে পৃথিবীতে। এভাবে চললে যে কদিন পরে পৃথিবীই আর থাকবেনা সেটা মানুষ কবে বুঝবে?
  • Somnath mukhopadhyay | ১৯ মার্চ ২০২৫ ২১:১৭541788
  • কে কে সহ অন্যান্য সকলকেই ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য। আমি বিশ্বাস করি সব ভাবনার দায় একা লেখকের নয়।লেখক তাঁর চিন্তা বা ভাবনার একটা সূত্র রেখে যান লেখার মধ্যে যাতে করে পাঠকরা সেই পথে চিন্তা প্রবাহকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। পৌলমী যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর নিশ্চয়ই খুঁজতে হবে। ভালো থাকুন। ভাবনায় থাকি সবাই মিলে। ছড়িয়ে পড়ুক এই লেখাটি।
     
  • নিরমাল্লো | ২০ মার্চ ২০২৫ ১৫:২৮541796
  • প্লাস্টিক ল্যান্ডফিলের আরো কিছু ঝামেলা আছে। সোমনাথবাবু যে হিসেবটা দিলেন বিভিন্নদেশে কতখানি বর্জ্য প্লাস্টিক আমদানী হচ্ছে, ঐ খানেই গল্পটা শেষ নয়। এই প্লাস্টিকগুলো থেকে গুচ্ছের মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরী হচ্ছে। সেগুলো আবার হাওয়ায় ওড়ে। অর্থাৎ ভারতে আমদানী হলে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান ফ্রিতেই খানিক মাইক্রোপ্লাস্টিক পাচ্ছে। এবারে সেই প্লাস্টিক নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে যাচ্ছে। যদিও তাতে মানুষের কদ্দুর কি হয় সেটা ঠিক জানা নেই, তবে মাছেরা কম কম ডিম পাড়ছে এটুকু জানা গেছে।
     
    এর কিছু সলিউশান হচ্ছে বটে, কিন্তু সেগুলো বেশ এক্সপেন্সিভ। আমরা আবার সস্তা জিনিস কিনতে ভালোবাসি। কিছু করার নেই আপাততঃ।
  • DrSouravM | 2401:4900:1c3f:cfad:95ac:e3f6:eed0:***:*** | ২০ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৭541798
  • Economic power is the real power
  • দিয়ালী চট্টরাজ | 2409:40e1:3156:bc1b:41b9:afa5:972c:***:*** | ২১ মার্চ ২০২৫ ১২:৩২541819
  • বলিষ্ঠ লেখা। জনগণকে সচেতন করা অত্যাবশ্যক। এই লেখাটা নিয়ে ক্লাসে আগামী প্রজম্মের কাছে 
    আলোকপাত করবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন