এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • শারদীয়া সাহিত্য: অণুগল্প 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৪৫ বার পঠিত
  • অণু গল্প : কাঠামো, পানি বটল্, কাবারিওয়ালি।

    উৎসবের কাল সমাগত। ঐশী শক্তির প্রতি আনুগত্য থাকুক বা নাই থাকুক, এই মহামিলনের উৎসবের আঁচ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা মোটেই সহজ নয়। উৎসবের আলো এসে নিয়ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় আমাদের ভেতরে থাকা অন্য মানুষদের, জাগিয়ে দিয়ে যায়। মানুষের ভিতরমহল মেতে উঠতে চায় নব সৃষ্টির আনন্দে। এই শিহরিত আনন্দেরই স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ পাব্বনি – ত্রয়ী অণুগল্প। গতবারের মতো এবারও উৎসবের প্রেক্ষাপটে সমাজের তিন কন্যার বেঁচে থাকার গল্প বলার চেষ্টা। সকলের ভালো লাগলে জানাবো উৎসবের আঁচ আমাকেও ছুঁয়ে গেছে।

    পাব্বনি : ১. কাঠামো

    “বাঁশগুলোকে এভাবেই খাড়া দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এভাবে রাখলে বাঁশের পরমায়ু বাড়ে। নাহলে জল পেয়ে ভিজে পচে যায় সেগুলো।” – পড়শির ছোট্ট মেয়ের প্রশ্নের জবাবে কথাকটি বলে অনীতা। সামনেই উৎসবের মরশুম। প্যান্ডেল বাঁধতে হবে। তাই খাটাল থেকে এক এক করে বাঁশগুলোকে বের করে আনছিলো অনীতা আর বুদ্ধু – বাবুলাল চলে যাবার পর এই বুদ্ধুই অনীতাকে আর তার ব্যবসাটাকে আগলে রেখেছে। এখনও পর্যন্ত দুটি কাজের বরাত পেয়েছে অনীতার ইউনিক ডেকরেটর। অনীতা জানে আরও দুটো ছোট কাজ করতে হবে তাকে- চক্কোত্তি বাড়ি আর কুণ্ডুদের বাড়ি। দুটোই দুগ্গা পুজোর প্যান্ডেলের কাজ। কেলাবের পুজোর কাজে ঝুঁকি আর ঝক্কি দুইই বেশি। হাজারো ফরমাইশ আর আবদার। তবুও এড়িয়ে যেতে পারেনা। বাবুলাল থাকলে এসবের মধ্যে মাথা গলাতে হতোনা তাকে। সেইই সবদিক সামলে নিতো।কপাল মন্দ। মাত্র কয়েক দিনের ছোঁয়াচে জ্বরে আজ পাঁচ বছর হলো বাবুলাল মারা গেছে। অতিমারির কারণে রেল বস্তির বেশ কয়েকটি পরিবারের চেনা কাঠামোটাই এভাবে নড়বড়ে হয়ে ভেঙে পড়ার মুখে। বেড়েছে রয়ে যাওয়া মানুষদের টিকে থাকার লড়াই। অনীতা এখন সেই লড়াইয়ের ময়দান আগলে রয়েছে দাঁতে দাঁত চেপে।

    এবার যেন আকাশ ফোঁড়া বৃষ্টির ঢল নেমেছে। বৃষ্টির দাপটে কাজকর্ম করা দায়। কী হবে তা ভেবে আকুল অনীতা। তাঁর সামান্য পুঁজির কারবার। তাও যদি এভাবে বিপদের মুখে পড়ে, তা হলে চলবে কী করে? সাতসকালে কার্তিক শাবল আর দড়ির বান্ডিল নিয়ে হাজির। কার্তিক ফুরনের লেবার। আজ থেকে কাঠামোয় ত্রিপল ছাওয়ার কাজ শুরু হবে। পুব পাড়ার সেক্রেটারি ভুতো অনীতাকে বলেছে, মহালয়ার আগেই প্যান্ডেল ফিনিশ করে দিতে হবে। এদিক ওদিক হলেই পেমেন্ট বন্ধ। এমন ফরমানে খুব চাপে পড়েছে অনীতা।

    সেদিনের কাজ শেষ করে অনীতা সন্ধের মুখে বাড়ি ফিরে আসে। দুই প্যান্ডেলের ছাউনি দেবার কাজ শেষ। এই কদিন নাওয়া খাওয়ার ফুরসৎ মেলেনা। মেয়ে প্রণীতা মাকে খেতে দিয়ে বাইরের আকাশটা একবার দেখে আসে।

    – কি রে আকাশটা কেমন দেখলি?

    – মেঘ ঘনাচ্ছে বাঁশ বাগানের মাথায়।

    – বাঁশ বাগানের মাথায়? ওটাতো ঈশান কোণ। তারমানে ঝড় উঠবে।

    বলতে বলতে বাতাস সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করে। একলাফে উঠে পড়ে অনীতা ভাতের থালা সরিয়ে। বাইরে বাতাসের শব্দ জোরালো হয়। উঠোনে রাখা সাইকেলটা টেনে নিয়ে বেরিয়ে যায় সে।

    – তুমি এখন‌ই এভাবে বেরিয়ে যাবে? এই ঝড়ের মধ্যে?

    – হ্যাঁ। তোর্ বাবা চলে গিয়ে একবার কাঠামোটাকে ভেঙে দিয়ে গেছে। এবার আর কাঠামোর কোনো ক্ষতি হতে দেবোনা। সাবধানে থাকবি।

    অনীতা চলে যায়। কাঠামোটাকে যে এবার খাঁড়া রাখতেই হবে। ভেঙে পড়তে দেওয়া যাবেনা কোনোমতেই।

    পাব্বনি : ২. পানি বটল্

    ওরা বলে চক্কোর রেল। লাইনের ধার ঘেঁষে সার দিয়ে থাকা ঝুপড়ি গুলোর বাসিন্দাদের রোজনামচা এই রেলের যাওয়া আসার চক্রের সঙ্গে যেন একরকম বাঁধা। ভো করে হুইসেল বাজতেই লাইনের ধার থেকে খানিক দূরে সরে দাঁড়ায় রাধা, সঙ্গে আরও কয়েকজন। হুস্ হাস শব্দ ছড়িয়ে গাড়ি চলে যেতেই রাধা অস্ফুট স্বরে নিজের মনে মনেই বলে - ‘সাড়ে দশকি গাড়ি।’ লাইনের ধার ঘেঁষে একটানা ঝুপড়ি ঘরের একটায় ওদের আস্তানা। রাধা, চামেলি, কানুদের জনম এখানেই, এই ঘিঞ্জি ঘরে।

    গাড়ি চলে যেতেই লাইন বরাবর হাঁটতে শুরু করলো রাধা। টেরেনের প্যাসেঞ্জাররা প্রায়শই জল খেয়ে খালি পানি বটল্ গুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যায় লাইনের ওপর। সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট বস্তায় ভরে রাখে রাধা। দিনকয়েক জমানোর পর সেগুলো নিয়ে বিক্রি করে দেয় সামনের আনোখা লালের দোকানে, সেই ওদের মহাজন। বিনিময়ে দশ বিশ টাকা রোজগার হয় তার। এই সামান্য রোজগারের ওপরেও বাপুর নজর। দারুর পয়সায় টান পড়লেই মারধোর করে কেড়ে নেয় সবটা। রাধার মা নেই, তাকে ছেড়ে এক পরদেশীর সঙ্গে চলে গেছে কবেই। সেসব কথা রাধার মনে নেই। সে একা।

    আনোখা লালের দোকানেই কাজ করে বিজয়। বয়সে রাধার থেকে হয়তো সামান্য কিছু বড়ো। মাঝেমাঝে গঙ্গার ঘাটে বসে বিজয়ের সঙ্গে গল্প করে রাধা। ফাঁক পেলে বিজয়‌ও রাধার মতো লাইন থেকে বোতল কুড়িয়ে জমা করে রাখে। কখনো কখনো অবশিষ্ট তরল পদার্থে ভরা থাকে কিছু বোতল। বিজয় গলায় ঢেলে বলে – ’শালো নে পানি বটল্ মে ভী দারু পীতা।’

    কয়েক দিন ধরেই রাধা লক্ষ্য করে গঙ্গার ঘাটের আশপাশের এলাকা সাফ সুতরো করার ধূম পড়েছে। কর্পোরেশনের লোকজন বড়ো বড়ো মেশিন দিয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে নিয়ে যাচ্ছে। এই গাড়িগুলো দেখলে খুব ভয় পায় রাধা। এমন মেশিন দিয়েই সেবার তাদের ঝুপড়ি গুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। হঠাৎ কেন এমন তৎপরতা?

    রেলগেটের গেটম্যান বাদল চাচুকে জিজ্ঞেস করলে অবশ্য জবাব মিলতে পারে। গুটিগুটি পায়ে সেখানেই উপস্থিত হয় সে। মাঝবয়সী বাদল রাধাকে খুব ভালোবাসে। স্নেহ করে। রাধাকে দেখে বাদল নিজেই আগ বাড়িয়ে প্রশ্ন করে –

    – হ্যাঁরে রাধা তোর মুখ শুকনো কেন ? কিছু হয়েছে?

    – চাচু, সাফাই হো রহা কিউ? হমে হঠানেকো লিয়ে?

    – আরে না না। সামনেই মহালয়া। তারপর সব পুজোর পর্ব শুরু হবে। গঙ্গা পাড়ের ব্যস্ততা মিটতে মিটতে সেই ডিসেম্বর মাস। সেজন্যই সাফ করার কাজ শুরু হয়েছে আমাদের কদম তলার ঘাটে।

    – চাচু মহালয়া কবে? সামনের রবিবার? তাইনা?

    বাদল মুচকি হেসে ঘাড় নাড়ে।

    মহালয়ার দিন ভোর হতে না হতেই কদমতলার ঘাট সরগরম।
    তর্পণ করতে আসা স্নানার্থীদের পাশাপাশি আরও বহু মানুষের সমাগম আজ -- টিকি দোলানো বামুন ঠাকুরের দল, ফুল দুব্বো বিক্রির জন্য বেশ কিছু মানুষ, তিল হরিতকী যব ইত্যাদি নিয়ে অস্থায়ী দশকর্মা ভাণ্ডার, লম্বা ফ্লাক্সে করে চা নিয়ে আসা শ্যাম কাকা – মহালয়ার বাজার ধরতে আজ সবাই সামিল হয়েছে। ঘাটের লাগোয়া বিশাল কদম গাছের নিচে সার সার প্লাস্টিক বোতলে গঙ্গা পানি ভর্তি করে দাঁড়িয়ে আছে রাধা আর বিজয়‌ও।

    ভিড় জমাতে বিজয় হাঁক দিতে থাকে – গঙ্গাপানি বটল্ বিশ রূপিয়া,স্রিফ বিশ রূপিয়া। লিয়ে যান, লিয়ে যান। মাঝেমাঝে রাধাও বিজয়ের সঙ্গে গলা মিলিয়ে হাঁক দিতে থাকে। ঘন্টা দুইয়ের মধ্যে একশো পানি বটল্ হৈ হৈ করে বিকিয়ে যায়। কুড়িয়ে আনা জলের বোতলকে ধুয়ে নিয়ে এভাবে কাজে লাগানোর বুদ্ধিটা যে রাধার!

    গঙ্গার ঘাট এখন শান্ত। চেনা কিছু মানুষ ছাড়া বাইরের লোকজনের ভিড় অনেক আগেই পাতলা হয়ে গেছে। ঝুপড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে পায়ে হেঁটে ঘাটের সিঁড়িতে এসে বসে বিজয়। রাধাও চুপচাপ এসে বসে ওর পাশে। জামার আড়াল থেকে সকালের টাকার আধা ভাগ বের করে বিজয়ের হাতে দেয়।

    – এটা কী?
    – আজ সুবাহ্ কি কামাই।
    – তোর্ কাছেই ওটা রেখে দে। এটা তোর‌ই প্রাপ্য। গঙ্গা মাইয়ার কাছ থেকে কেউ টাকার ভাগ নেয়? ওটা তোর প্রণামী।

    রাত আরও খানিকটা ঘন হয়ে আসে। কুলকুল শব্দের লহরী তুলে বয়ে যায় জাহ্নবী। দূরে মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দেয় কাস্তের মতো শুক্লা প্রতিপদের চাঁদ।

    পাব্বনি : ৩. কাবারিওয়ালি

    উৎসবের আগাম পূর্বাভাস টের পেয়েই বাড়িঘর সাফসুতরো করে তোলার ধূম পড়েছে। আজকাল এই কাজের বরাত পাবার জন্য বাড়ির সারাবছরের কাজের মেয়েরাও বেশ মুখিয়ে থাকে। বাড়ির গিন্নিদের সঙ্গে রীতিমতো দরকষাকষির পর্ব চলে বেশ কিছুদিন। শেষে রফা হতেই ময়দানে নেমে পড়ে তারা। এখন কাজের মেয়েদেরও বিপুল ব্যস্ততার সময়।

    ব্যস্ততার সময় রতন,কলিম, আনসার কিংবা অশোকের‌ও। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে পুরনো ভাঙাচোরা জিনিসপত্র খরিদ করে ওরা – পুরনো খবরের কাগজ, ব‌ইপত্র, খাতা, লোহা ভাঙ্গা, টিন ভাঙ্গা, প্লাস্টিকের নানান উপকরণ থেকে শুরু করে হাল আমলের ইলেকট্রনিক সাজসরঞ্জাম। একালে আবর্জনাই হলো রতন, সম্পদ। রতন মাঝে মাঝে ভাবে -- তাহলে কি একালে সংসার করা মানে, কেবলই আবর্জনার স্তূপ বাড়িয়ে চলা ! যে বাড়ির আবর্জনা বেশি, সেই বাড়ি নাকি ততবেশি আধুনিক। দশ ক্লাস অবধি স্কুলে পড়া রতন কুমার মালাকার অবশ্য এমন অর্থনীতি বোঝে না, সে শাঁস থেকে আঁটি পর্যন্ত নিংড়ে খেতে শেখা পরিবারের ছেলে। রতনের মা তাকে এমনভাবেই শিক্ষা দিয়েছেন। একসময়ে কারখানার ঢালাই মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করা রতন অতিমারির পর থেকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভাঙ্গাচোরা কিনে ফেরা কাবারিওয়ালা।

    আজ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছে রতন। জ্বরের আর দোষ কি? নিজের ভ্যান রিক্সা নিয়ে তাকে তো কম ঘোরাঘুরি করতে হয়না? তার ওপর বৃষ্টির কোনো সময় গময়ের ঠিক নেই। ঝরছে তো ঝরছেই। গাড়িতে রাখা জিনিসগুলোকে ভালো করে ঢেকে রাখতে হয়। কাগজ ব‌ইপত্র এসব ভিজে গেলে মহাজন নেবে না। ওগুলোকে সামলাতে হয় সবার আগে। এই করতে গিয়েই সেদিন কাকভেজা ভিজেছিল রতন। এমনিতেই দুর্বল শরীর, তার ওপর কাকভেজা ভিজেছিল সেদিন। বাড়ি ফিরেই সর্দি, খুসখুসে কাশি, আর জ্বর। রমলা নিকুঞ্জ ডাক্তারকে বলে ওষুধ এনেছিল বটে তবে তাতে কাজ বিশেষ হয়নি। উৎসবের দিন ঘনিয়ে আসছে, অথচ শরীরের কারণে বেচাকেনা বন্ধ। সকলেই অপেক্ষা করে আছে রতন আসবে বলে।

    কোচিং থেকে ফেরার পথে রচনা বাবার আদ্যিকালের 2G মোবাইলে পয়সা ভরে আনে। আজকাল ফোন পোষার খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে। ফলে সেটাকে নিয়মিত চালু রাখতে হিমশিম খেতে হয় রতনদের। টেপাটিপি করে ফোন চালু করতেই মেসেজ বক্স উপচে পড়ে। এঁরা সবাই রতনের কাস্টমার। সবার‌ই একটাই অনুরোধ – তাড়াতাড়ি এসো। পুজোর আগে বাড়িঘর সাফ করতে হবে। মেসেজগুলো পড়ে রতনের উদ্বেগ বেড়ে যায়। নাহ্! ভ্যানটা নিয়ে একবার ঘুরে আসা যাক্। এমন ভাবনা নিয়ে উঠোনে নামতেই মেয়ে রচনা হৈ হৈ করে ছুটে আসে। রতনের গায়ে হাত দিয়ে বলে –

    – তুমি তো আশ্চর্য মানুষ। গায়ে এখনও জ্বর রয়েছে। চলতে ফিরতে টাল খাচ্ছ, আর তুমি কিনা যাবে ভ্যান চালিয়ে মাল কিনতে? ওপরে উঠে বসো।

    – শোন্, আমাকে আটকাসনা। আমি ঠিক পারবো। আর তাছাড়া আমি না গেলে আর কে যাবে বল?

    – কেন? আমি তো আছি। আমি যাবো।

    – তু তুইই? রতনের বিস্মিত কন্ঠের প্রশ্ন।

    – হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি। রতন কাবারিওয়ালার মেয়ে রচনা কাবারিওয়ালি। চিন্তা করো না।

    এই বলেই ওড়নাটাকে কষে বেঁধে নেয় কোমরে। আর তারপর প্যাডেল করে রতনের ভ্যানটা নিয়ে বেরিয়ে যায় রচনা। রতন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে মেয়ের যাত্রাপথের দিকে। তার দুচোখ ভরে ওঠে নির্ভরতার আশ্বাসের জলে। সে জানে আজকেই তার শরীরের জ্বর কমে যাবে।

    সেপ্টেম্বর ২২.২০২৫
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৪৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রীমল্লার বলছি | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:২৮734419
  • "মাঝেমাঝে গঙ্গার ঘাটে বসে বিজয়ের সঙ্গে গল্প করে রাখা"
    রাধা হবে।
     
    "মহালয়ার দিন ভোর হতে না হতেই কদমতলার ঘাট সরগরম।
    তর্পণ করতে আসা স্থানার্থীদের..." 
    স্নানার্থীদের হবে।
     
    ''গঙ্গা মাইয়ার কাছ থেকে থেকে কেউ টাকার ভাগ নেয়?''
    থেকে একটা বেশি আছে।
     
    "এই বলেই ওড়নাটাকে কষে বেঁধে নেয় কোমড়ে।"
    কোমরে হবে। 
     
    শেষমেশ বলি, অসামান্য একটি লেখা! 
  • Somnath mukhopadhyay | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:৫৪734425
  • ধন্যবাদ শ্রীমল্লার বলছি , যত্ন করে ছাপার ভুল চিহ্নিত করার জন্য।
  • Ritabrata Gupta | 2409:40e1:114b:604f:70:5916:7fce:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৭734433
  • Oshadharon laglo protiti golpo !
    Erokom  golpo lekhar manush aaj Kal khub beshi nei. 
    Chaliye Jan, Somnath Da. Aro Erokom golpo guchcho Pawar opekkhay roilam. 
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b11b:6957:7feb:65cb:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৭734435
  • ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে থাকা তিন কন্যার কথা খুব ভালো লাগলো।‌ একেবারে প্রান্তিক মানুষের কথা তুলে ধরার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:110d:d99c:8000::***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৯734442
  • পুজোর গন্ধে মিশে আছে মাটির গন্ধ। দারুন !
  • সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। | 2409:40e0:4c:f456:8000::***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৩734444
  • একেবারে নীচের সারির খেঁটেখাওয়া প্রান্তিক মানুষগুলোর চিরন্তন জীবন সংগ্রামের অসামান্য  আখ্যান। ওপরতলার মানুষের যখন উৎসব উজ্জাপনের সময়, ওদের তখন দু'টো পয়সার মুখ দেখার বৎসরপোষিত আশা পূরণের সংগ্রাম। তাও বুঝি হাতছাড়া হয় অসময়ের বৃষ্টি বা অসুস্থতার কারণে । দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন লড়াই ছাঁড়া এই মানুষগুলোর যে অন্য কোন পথ নেই। সারা বছরের রসদ সংগ্রহ করার এই তো লগণ। আশা নিরাশার দোলাচলে বয়ে চলে দিন। থামলে চলবে না।  আশাটাকে আঁকড়ে ধরে  লড়াই করার নাম ই তো জীবন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন