এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঔরঙ্গজেবের মামুজান বাংলার সুবেদার  শায়েস্তা খান

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১১৩ বার পঠিত
  • undefined
    ছবি : শায়েস্তা খান সূত্র উইকিমিডিয়া ​​​​​​​কমন্স 
     
     ইরানি শায়েস্তা খান ছিলেন নুর জাহানের ভাই আর মুমতাজ মহলের বাবা বিখ্যাত আসফ খানের ছেলে । উত্তরাধিকারের লড়াইয়ের সময় ঔরঙ্গজেবের  সমর্থক আর অতি বিশ্বস্ত । ঔরঙ্গজেবের  সেই মামুজান শায়েস্তা খান পুনেতে  শিবাজির বর্গিগিরি –আচমকা আক্রমণে  কোনক্রমে জান বাঁচিয়ে , বেইজ্জত হয়ে চালান হয়েছিলেন  জল জঙ্গল আর পর্তুগিজ হার্মাদ আর মগ দস্যু পীড়িত সুবে বাংলায় সুবেদার হয়ে । যাবার আগে দরবারের তরিকা মতো বাদশাহ দেখা পর্যন্ত করেন না তাঁর মামুর  সঙ্গে । অথচ দেখা যাচ্ছে ষোল শো তেষট্টিতে  বাংলায়  এসে হতমান শায়েস্তা খান  ভালোই পাকড় জমিয়ে দিলেন । সবকটা  ফিরিঙ্গী শক্তিকে জব্দ করতেন তিনি ।  এর বিরুদ্ধে তাকে ব্যবহার করেন   অথচ বাণিজ্যে অনুমতি দিতেন সবাইকে কারণ দিল্লী দরবারে তাঁকে টাকা পাঠাতে হবে আর ফিরিঙ্গীদের থেকে সায়ির –বাণিজ্য শুল্ক এলে টাকা বাড়বে ।
    প্রথমে  শায়েস্তা খান স্থানীয় জমিদার - সামন্তদের সাহায্য নিয়ে একবছরের মধ্যে মোঘল নৌবাহিনীর বিশাল শক্তি বৃদ্ধি করেন।  প্রায় তিনশো যুদ্ধ পোত নিয়ে তিনি বঙ্গোপসাগরের ওপর মোঘল আধিপত্য সুনিশ্চিত করতে নামলেন।  হিন্দুস্থানে উপকূলের রাজা আর দেশের ভেতরের রাজা তখন আলাদা ছিল ।সন্দ্বীপে পর্তুগিজরা কেল্লা বানিয়ে বসে আছে আর চট্টগ্রামে মূল ঘাঁটি যাদের সেই  আরাকানের মগরা তাদের বন্ধু ।ওরাই উপকূলের রাজ করে আর সুবে বাংলায় ঢুকে বল্গাহীন অত্যাচার চালায় , মেয়ে মদ্দকে তুলে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করে চড়া দামে  । 
    আগে ওলন্দাজদের সাহায্য নিয়ে  পর্তুগিজদের ঘেরাবন্দি করে হুগলীর কেল্লা দখল করতে দেখা যাবে মামুজানকে । তারপর তাদেরই  সাহায্য নিয়ে আরাকানের মগদের মূল ঘাঁটি চট্টগ্রাম দখল করেন  তিনি ষোল শো ছেষট্টিতে ।সন্দ্বীপে কেল্লা শুদ্ধু  পর্তুগিজরা মোঘল নৌবাহিনীর তাঁবেতে চলে এলো । এভাবে মামুজান বঙ্গোপসাগরের ওপর মোঘল সামরিক  পাকড় জমাচ্ছেন । পর্তুগিজ , ওলন্দাজ , দিনেমার , আর্মেনীয় আর ইংরেজ সবার থেকে বাণিজ্য শুল্ক পেয়ে আরো ধনী হয়েছিল শাহী তোষাখানা এমনটাই শুধু নয় বাংলার সওদাগর , বস্ত্র – জাহাজ –ধাতু নির্মাণ সহ সব ধরণের হস্ত  শিল্পী- কারিগর , রেশম উৎপাদক, ,ছোট চাষি সবাই সেই আর্থিক সমৃদ্ধির সুবিধে পেয়েছিল । তাঁর আমলে টাকার দাম এতোই বাড়ছে যে টাকায় আট মণ চাল লভ্য আর ঢাকা শহরের শান বেড়ে গোটা জাহানের বাণিজ্য তথা কারিগর অর্থনীতির কেন্দ্র হচ্ছে তা । ষোল শো আটষট্টিতে শায়েস্তা খানের বদলে শাহাজাদা আজমকে বাংলায় পাঠালো দিল্লী দরবার । আবার আশিতে মামুজানকে বাংলায় পাঠিয়েছিলেন আলমগীর। তখন  ইংরেজদের পাঁয়তারা মারা শুরু হয়েছে । তারা সুবে বাংলায় প্রেসিডেন্সি বসাতে চায় । সারা হিন্দুস্থানে অবাধ বাণিজ্যের অনুমতি চাইলো তারা । ইংল্যান্ডের তখত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে হলায়গলায় ছিলো বরাবর । ওই মাফিয়াদের থেকে নানা সময় টাকা পয়সা পেতে দেখা গেছে বিলেতের রাজা রানীদের তথা বৃটিশ রাষ্ট্রকে  ।
    ষোলোশো সাতান্নতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তরফে অলিভার ক্রোমওয়েলের সনদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে স্থায়ী এক জয়েন্ট স্টক কর্পোরেট সংস্থায় পরিণত করে এশিয়ায় তাদের একচেটিয়া  বাণিজ্যের  শুধু নয় রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিলো।  তারই ধারাবাহিকতায় ব্রিটেনের রাজারা পার্লামেন্টের সম্মতিক্রমে বছর বছর সনদ জারি করে  তাদের  সামরিক ও অন্যান্য অধিকার বাড়িয়েই চলে। প্রেসিডেন্সি তৈরি করার গোটা মতলবটাই আসলে ঘুরপথে কলোনি বসানোর ছকবাজি।  মুম্বাই প্রেসিডেন্সি সবচেয়ে পুরোনো তারপরেরটা  হলো মাদ্রাজ। মুম্বাইয়ের দ্বীপাঞ্চলের জমি ষোলোশো একষট্টিতে পর্তুগালের রাজা কন্যাপণ হিসেবে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে দিয়েছিলেন। তাঁদের অলিখিত শর্ত ছিল ব্রিটিশরা ওখানে কেল্লা বানিয়ে ক্রমে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা  ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির  সঙ্গে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করবে।ওই হস্তান্তর ওয়েস্টহলের চুক্তি বলে লাগু  হয়। সে জমি চার্লস দুই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে মাত্র দশ পাউন্ডের বিনিময়ে দিচ্ছেন ষোলোশো আটষট্টিতে আর ওদের থেকে পাচ্ছেন মোটা রকমের ধার। এইভাবে রাজা পর্তুগিজদের রক্ষা করার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব  সপেঁ দিচ্ছেন সশস্ত্র মাফিয়াদের হাতে।
    ষোলোশো ঊনচল্লিশে দক্ষিণ ভারতে কোম্পানি মাদ্রাসপাটনাম নামের একটা গ্রাম কেনে সমুদ্রের ধারে স্থানীয় নায়েক সামন্তদের কাছ থেকে।  সেখানেই তারা সেন্ট জর্জ কেল্লা বানিয়ে ফেলল তড়িঘড়ি।  ক্রমওয়েল সনদের আগেই সেখানে প্রেসিডেন্সির গোড়াপত্তন হয়  , সনদ পাশের পর সেখানে প্রেসিডেন্সি জাঁকিয়ে বসেছিল ষোলোশো চুরাশিতে।
    ষোলোশো বিরাশিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানের কাছে তাদের প্রতিনিধি উইলিয়াম হেজেসকে পাঠালো। সাহেব শায়েস্তা খানকে ধরে পড়লেন,  বিলেত থেকে আনা বুলিয়ন - রৌপ্য  মুদ্রা , যা জমা করে এখান থেকে দামী দামী বস্ত্র , গুড় , সোরা , নীল আমদানী  হয় তার ওপর বর্ধিত কর  কমানোর জন্য। এছাড়া গোটা দেশে বাণিজ্যের জন্য দিল্লী দরবারের কাছ থেকে ফরমান আদায়ের অনুরোধ  তো ছিলই। ফরমান  নিয়ে কথাবার্তা যখন প্রায় পাকা। মামুজান তাঁর  ভাগ্নে বাদশাহকে রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন বলে মনে করছেন হেজেস , তখনই সব ভেস্তে গেলো।  শায়েস্তা খান হেজেসকে বললেন , " আপনাদের কলকাতা ফ্যাক্টরির লোকজনকে সামলান। "
    - কেন হুজুর ?
    - সব অসৎ লোক , কোনো নিয়ম মানে না।
    -সেকি হুজুর !
    - হ্যাঁ , আর কথায় কথায় কোম্পানির বিলেতের বড় কত্তার….  কী যেন নাম ?
    - মহামান্য  জোসায়া চাইল্ড।
    - মহামান্য ! তা হলে তাঁর নাম নিয়ে  এসব দুস্কর্ম হয় কী করে ?
    - জি খোঁজ নিচ্ছি।
    - কী আর খোঁজ নেবেন ! চেষ্টা করে দেখুন।
    হেজেস খোঁজ নিতে গিয়ে গালাগালি খেলেন হয়ত । আর শায়েস্তা খান বললেন ," জানতাম ! আপনারা ইংরেজরা হলেন একের নম্বরের ঝগড়ুটে আর চোর -চ্যাঁচোড় প্রকৃতির। ''(the English are a company of base quarelling people and foul dealers.’’ India , A history , John Keay , chapter From Taj to Raj : 1682 -1750,  page 392 edition 2010) ইংল্যান্ডে বসে  মারমুখী জোসায়া চাইল্ড আর ব্রিটেনের রাজা নাকি হিন্দুস্থানের মোঘল বাদশাহকে জব্দ করতে বারো জাহাজ ফৌজ পাঠাচ্ছেন কয়েকশো তোপ নিয়ে। এসব নিয়ে ব্রিটিশ সূত্রে তেমন কিছু না পাওয়া যায়না কারণ তাদের যুদ্ধটা ছিল একতরফা মার খাওয়ার ।  ফরমান না পেয়ে জোসায়া চাইল্ড এরপর ইংল্যান্ডে বসে মোঘল সালতানাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন  , " আরে  আমাদের সঙ্গে ব্যবসা না করতে পেরে ওই মোঙ্গলদের হাজারো প্রজাকে না খেয়ে মরতে হবে। '' সুরাটের এক ইংরেজ কর্তা যিনি নিরাপত্তার অভাবে মুম্বাইয়ের ব্রিটিশ কেল্লায় ঠাঁই নিয়েছিলেন,  তাঁরও নাম ছিল চাইল্ড , তিনি বড়োকত্তার সুরে সুর মিলিয়ে  ঔরঙ্গজেবকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি মোঘল এডমিরাল সিদ্দি ইয়াকুবের নৌবহরকে  নাকি ,'' পেদে উড়িয়ে দেবেন। ''Meanwhile the Child in Bombay boasted that if Aurangzeb chose to send the admiral of his fleet against him he ‘would blow him off with the wind of his bum’ India , A history , John Keay , chapter From Taj to Raj : 1682 -1750,  page 392 edition 2010)
    এইসব পায়ঁতারাবাজির ফলে যা হবার হলো আলমগীর গোটা হিন্দুস্থানের অভ্যন্তরের সবকটা ব্রিটিশ ফ্যাক্টরি বাজেয়াপ্ত করলেন,  আমির ই বহর সিদ্দি ইয়াকুবকে তাঁর নৌবহর নিয়ে  ময়দানে নামতে দেখা গেলো। গোটা হিন্দুস্থানের সমুদ্ররেখা বরাবর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো । ব্রিটিশরা শায়েস্তা খানের ফৌজের তাড়া খেয়ে মোঘল বন্দর হুগলী  থেকে পালিয়ে কলকাতা নামক পাণ্ডববর্জিত বদ্বীপে ঠাঁই নেবে , সেখান থেকেও তাদের হটে যেতে হবে। হাওয়া ঠাণ্ডা হলে অবশ্য ষোলোশো নব্বইতে তারা স্থায়ী ভাবে ফিরে  এসে ফোর্ট উইলিয়াম কেল্লা তৈরি করেছিল কলকাতায় ।সিদ্দি ইয়াকুব আচমকা মুম্বাই কেল্লা অবরোধ করে ফেললেন , মাদ্রাজের কেল্লাও বাদ  গেলো না। মুম্বাইতে  একবছর ভয়ঙ্কর মোঘল অবরোধে ফিরিঙ্গীরা না খেয়ে মরে ,দুর্ভিক্ষে উজাড় হয়ে যায়।  আর টিঁকতে না পেরে তারা বাদশাহের দরবারে গিয়ে নাকে খত দিয়ে মাফ চেয়ে , দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে আবার ব্যবসা করার অনুমতি পায়।  ঔরঙ্গজেব ফিরিঙ্গীদের কাছ থেকে বাণিজ্য শুল্ক চিরতরে বন্ধ করতে চাননি আর ইতিহাসকার জন কে বলছেন ওদের সঙ্গে মারাঠাদের ঐক্য হোক এটাও তাঁর কাম্য ছিল না। এমনই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয় ইংরেজদের যে হিন্দুস্থানে বাণিজ্যের অধিকার পাওয়ার ফরমানের  কথা তাদের আপাতত ভুলে থাকতে হয়,  যা ইংরেজরা পাবে ফারুখ শিয়রের পেটের অসুখ সারিয়ে ষোল শো সতেরোতে ।আর হ্যাঁ , মাফ করার ফরমানে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধের উল্লেখও করছেন না আলমগীর ।
    শায়েস্তা খান অন্য মোঘল অভিজাতদের মতো উচ্চশিক্ষিত ছিলেন । তিনি ছিলেন বহুভাষাবিদ ,  নিজে সংস্কৃতে কবিতা লিখতেন। সে সব রসকল্পদ্রুম নামের সংকলনে আছে। তাছাড়া উনি সংস্কৃত পণ্ডিতদের পৃষ্টপোষক ছিলেন ও অনুবাদের কাজ করিয়েছিলেন। আকবরের সময় করা মহাভারতের সূচি তৈরি করান বসন্ত রায়কে দিয়ে।
    ষোলশো অষ্টাশিতে  মামুজান শায়েস্তা খান দিল্লীতে ফিরে এসেছিলেন। তিনি মারা গেলেন ঊনিশশো চুরানব্বইতে।  তাঁর বন্দোবস্তে ইংরেজদের নিয়ে বা অন্য ফিরিঙ্গী বণিকদের নিয়ে  সেরকম কোনো সমস্যা নেই আলমগীরের তাদের দেওয়া  বাণিজ্য শুল্ক ঠিকঠাকই এসেছিল সুবে  বাংলা থেকে।
    সূত্র
    ১) বাংলার আর্থিক ইতিহাস , সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়
    ২ ) From Plassey to Partition , After A History of Modern India,  Sekhar Bandhyopadhyay
    ৩ ) India , A history , John Keay
    ৪ ) Aurangzeb: The Man and the Myth,  Audrey Truschke

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন