এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চলিতেছে সার্কাস! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪১৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আবার কালো এক রাত হাজির হইছে। রাত দেড়টার সময় যখন লিখতে বসেছি তখনও তুমুল অ্যাকশন চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। দেশের সব খবরের চ্যানেল গুলো লাইভ দেখাচ্ছে। রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ঢাবির ক্যাম্পাস, নীলক্ষেত এলাকা। কয়েকটা চ্যানেলের সরাসরি দেখেও আমি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না পুলিশ কোন পক্ষের সাথে আছে! পুলিশ সাত কলেজের ছাত্ররদের দিকেও টিয়ার শেল মারছে আবার ঢাবির ছাত্রদের দিকেও মারছে। তাই বুঝা মুশকিল যে হচ্ছে কী! 

    সাত কলেজ কী, কিসের আন্দোলন এগুলা সবার জানা নাই, একটু এইটা বলে নেই, না হলে বুঝার উপায় নাই যে আসলে কী হচ্ছে এখানে। 

    সাত কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালে সরকার এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত করে দেয়। তখন এইটা নিয়ে কেউ তেমন প্রশ্ন তুলেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পাবে এইটা ভেবে হয়ত খুশিই হয়েছে। এর আগে এই সাত কলেজ ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নিশ্চয়ই বেশি পছন্দের হবে ছাত্রদের? অন্তত তেমনটাই আসাহ করেছিল সবাই। কিন্তু কার্যক্ষত্রে দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। 

    কিছুদিন যেতেই বুঝা গেল এইটা ঠিক কাজ হয়নি। কেন? কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই নিজেদের ছাত্রদের নিয়ে হিমশিম খায়, পরীক্ষা খাতা দেখা সহ নানা ভেজালে তারা থাকে সব সময়। এখন এই বাড়তি সাত কলেজের দায়িত্ব কীভাবে পালন হবে? এদের পরীক্ষা সিলেবাস নিয়ে নানান ভেজাল লাগা শুরু হল। ২০১৯ এসে আন্দোলনই শুরু হল। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে চায়। তখন এইটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। গ্যাঞ্জাম শেষ হয়নি, কিন্তু থেমে ছিল তখনকার মত করে। এরপরে বিভিন্ন সময় এইটা নিয়ে কথা হয়েছে। সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কথা বলেছে কেউ। অন্যদিকে তিতুমির কলেজ নিজেই আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হতে চায়, ঢাকা কলেজের চাওয়াও তেমনই। এই নিয়ে ইউনুস সরকারের আমলেও এক দফা আন্দোলন হয়ে গেছে। কিন্তু এইটা যে শেষ হয়নি, যে কোন সময় শুরু হবে এইটা সবার জানা ছিল। গতকাল সেই দিন এসে হাজির হয়েছে। 

    গতকাল কী হয়েছে? গতকাল সাত কলেজের ছাত্ররা গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে দেখা করতে। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে গেছিল তারা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

    ১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
    ২. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
    ৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
    ৪. নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
    ৫. সাত কলেজের ভর্তি ফি’র স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি’র টাকা জমা রাখতে হবে।

    এখন দাবি তো পরে, ভিসি না কি তাদের সাথে কথাই বলেনি। উল্টো বলেছে তোমরা কারা? এইটা ছাত্রদের খুব লেগেছে, তারা অপমানিত বোধ করেছে! প্রতিবাদ স্বরূপ তারা সাইন্স ল্যাব এলাকার রাস্তা দখল করে বসে। সাত কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁরা নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন। এখন তাদের দাবি হচ্ছে ভিসিকে ক্ষমা চাইতে হবে আর তাদের পাঁচ দফা মেনে নিতে হবে। 

    এখান থেকে শুরু দ্বিতীয় পর্ব। ঢাবির ছাত্ররা এগিয়ে আসে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া! যা এই লেখা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত চলামান। মৃত্যুর খবর শুনিনি, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। ইডেন কলেজের নারী শিক্ষার্থীরাও বের হয়ে এসেছে। অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। হাসনাত নামের এক সমন্বয়ক নিজেকে নায়ক ভেবে এসেছিলেন সব ঠাণ্ডা করতে। অল্পের জন্য জীবন নিয়ে যেতে পেরেছে বলে মনে হল ভিডিও দেখে। তাকে সবাই মিলে ধাওয়া দিয়েছে। তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়েন। 

    বিপদ হচ্ছে অথর্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ে। কেউই এগুলা কীভাবে সামলাবে জানে না। পুলিশ জানে একটাই উত্তর, দেও লাঠি! চালায় দেও টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, মারও গুলি! সব এই তরিকায় সমাধান করতে গিয়ে কই থেকে দেশ কই চলে গেল এখন পর্যন্ত হুশ হয় নাই এদের? 

    না, এদের হুশ নাই। ছাত্রদের আন্দোলনে লাশ না পড়লেও গতকাল লাশ পড়েছে ঢাকার বুকে। ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের চাকরি জাতীয়করণে দাবি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এরপরে তারা তাদের দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যেতে চাইলে শাহবাগের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। জলকামান নিয়ে প্রথমে আক্রমণ হয়। এরপরে হয় লাঠিপেটা, টিয়ার শেল। ছাত্রদের আন্দোলন আর এদের আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে এখানে যারা এসেছিল তারা সবাই পেটের দায়ে আসা লোক। বয়স্ক, মুরুব্বি মানুষ। এদেরকে পুলিশ যে বেধড়ক পেটাল এইটা অবিশ্বাস্য। ছবি গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখা যায় না! মৃত্যুর খবর পত্রিকাতে আসে নাই। একজন লাইভে বলল দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, এইটা নিশ্চিত! কেন এখনও স্মারকলিপি দিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়বে মানুষ? মানে এইটার মানে কী? এত সস্তা কেন মানুষের জীবন? 

    শান্তির পায়রা দেশ চালাতে গিয়ে লেজেগোবরে করে ফেলেছে এইটা ও জীবনেও মানবে না। ওর গুণগানে মুগ্ধ একদল ছাগল আছে তারাও মানবে না। অথচ নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে সকলের। মাজার ভাঙা চলছে এখনও নিয়ম করে। হেফাজতে ইসলাম যখন ইচ্ছা করছে তখন যে কোন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে। একদিকে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকি বলছে মাজার ভাঙা আর বরদাস্ত করা হবে না অন্য দিকে পরেরদিনই ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্নর বলছে এগুলা ভণ্ডদের এমনে বলে লাইনে আনা যাবে না, এদেরকে পিটাইতে হবে, কতল করতে হবে! ফলাফল চলিতেছে সার্কাস! 

    নায়িকা পরিমনি গিয়েছিল টাঙ্গাইলে এক দোকান উদ্বোধন করতে। হেফাজতে ইসলামের প্রবল বাধায় তা করতে পারেনি। চলে এসেছে সেখান থেকে। এর আগে একই পরিস্থিতিতে পরে আরেক মডেল অভিনেত্রী মেহজাবিন চলে আসছিল চট্টগ্রাম থেকে। পরিমনি দুর্মুখ বলে খ্যাতি আছে। সে ফিরেই একটা জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস প্রসব করেছে ফেসবুকে। ফলাফল পুরান এক মামলায় কালকে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে পরিমনির নামে! এই হইল বাক স্বাধীনতার নমুনা শান্তির পায়রার দেশে! বাকরুদ্ধ করার প্রক্রিয়া হিসেবে কিছুদিন আগে একটা প্রজ্ঞাপন জারি হইছে। কোন ছাত্র ছাত্রী যদি শান্তির দূতের নামে খারাপ কিছু বলে, ফেসবুকে পোস্ট করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে সরকার! 

    এত আন্দোলন, এত গণ্ডগোল হচ্ছে, এখন তো লীগ নাই, তাহলে? অনেকেই ধারনা করছে এগুলা বিএনপি করাচ্ছে! আমরা দোষারোপ করতে উস্তাদ! কোন ভুল নাই, কেউ ষড়যন্ত্র করছে, কেউ ফাঁসাচ্ছে এই হল বক্তব্য। অবশ্যই ষড়যন্ত্র আছে, কিন্তু তুমি করছ কী? এগুলা বলে কই নিয়ে যেতে চাও দেশকে? 

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:৫৬540818
  • এ তো দেখি ননস্টপ ঝামেলা। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:86b:1737:9483:***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৪০540819
  • পড়ছি। দুঃসময়ের দিনলিপি :-(
  • :|: | 2607:fb90:bd1b:8bb5:1d0b:73e7:1ffe:***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:০৫540820
  • ডোলান্দা তো সাহায্য বন্ধ করে দিলেন। দেখুন এখন কী হয়। 
  • Mamun Abdullah | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৬540822
  • দূর ভাই ,ফেসবুক বন্ধ করে ,বুকমার্ক করা সমস্ত মিডিয়া ডিলিট করে , ইউটিউবের হিস্টোরি বন্ধ করে ভাবলাম গুরু তে এসে এপার বাংলার দিদির রাজ্যে মানুষ জন কেমনে আছে একটু দেখি । এখানেও আপনি এসে ঢাকার খবর শুনিয়ে গেলেন।
  • কিংবদন্তি | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪২540824
  • ডোলান্দার সাহায্য বন্ধে খুব বড় ঝামেলায় পড়ব আমরা। রোহিঙ্গাদের জন্য বেশ মোটা টাকা সাহায্য আসত। এই কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গাদের এখন খাওয়াবে কীভাবে আল্লাই জানে। আরও বেশ কিছু কার্যক্রম চালু ছিল ইউএসএইডের টাকায়। কালকে ইউএসএইড বাংলাদেশঘোষণা দিয়েছে যে তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক খুব জনপ্রিয় ছিল দেশে। শিশুদের টিকা দেওয়া, স্বাস্থ্য সেবা, গর্ভবতী নারীদের জন্য বড় আশ্রয় স্থল ছিল এইটা। এমন আরও বেশ কিছু খুব ভালো কার্যক্রম চলছিল এতদিন।এখন সব কীভাবে চলবে মাথায় আসে না।
     
    দিদি, ননস্টপ ঝামেলা আর থামবে না। আন্দোলনের মজা পেয়ে গেছে সবাই। জীবন খুব সস্তা হয়ে গেছে। চলছে সার্কাস। বাংলাদেশ আবার কবে স্থিতিশীল হবে তা বলা মুশকিল। এখন নির্বাচিত সরকার আসলেও দেশ শান্ত হবে কি না, অর্থনীতি আবার আগের জায়গায় ফিরতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আবার যদি কোনদিন শেখ হাসিনার মত কেউ আসে যে কঠোর হাতে সব সামাল দিতে পারবে, তখন যদি আবার সব লাইনে আসে! 
     
    Mamun Abdullah, কী করবেন? কোথাও শান্তি নাই, শান্তির মা মরে গেছে!  হা হা হা! 
     
    অরণ্যদা পড়তে থাকুন। এই দিনলিপি লেখা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমনই এক দেশে থাকি, না লিখে আর উপায় নাই। সিনেমা চলতেই আছে একটার পরে একটা! 
     
  • Ranjan Roy | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২২540832
  • কিংবদন্তি 
       লিখে চলুন ভাই দু:সময়ের দিনলিপি,  অরণ্য যেমন বলেছেন।  আমরা পড়ছি। 
  • | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩২540833
  • রোহিঙ্গা প্যাকেজ অক্ষুন্ন রেখেছে দেখলাম। 
  • কিংবদন্তি | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৯540834
  • দ, রোহিঙ্গা প্যাকেজ বন্ধ হয়নি এইটা বাংলাদেশ সরকার বলছে, ইউএস সম্ভবত এখনও কিছু জানায়নি। চালু থাকলে খুব ভালো হবে, কারণ তা না হলে এদেরকে নিয়ে আমরা ভালো বিপদে পড়ব। দেখা যাক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন