এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • মাসিমা মালপো খামু

    কণিষ্ক
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪৮১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৫ জন)
  • সন্দেশখালির ঘটনা আমাদের সকলকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার সত্যাসত্য নিরূপণ বা নিরপেক্ষ বিচার নয়, নিছকই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিলেন লেখক।



    "মাসিমা মালপো খামু" - ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত নিরীহ আবদারই আজ বদলে গেছে হুকুমে। রাত বারোটার সময় সন্দেশখালির বাসিন্দা এক মহিলার ফোনে হঠাৎ ফোন আসে, দাদার জন্য পিঠে বানিয়ে দিতে হবে, তার চ্যালারা বাইকে করে পিঠে তৈরির উপকরণ পৌঁছে দিয়ে চলে যায়, ভোরবেলা নিয়ে যাবে তৈরি পিঠে, পিকনিকে। প্রস্তাবে রাজি না হলে বাড়ি ভাঙচুর, পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার হুমকি। ক্রমাগত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সন্দেশখালির যে ছবি উঠে আসছে তাতে বলা চলে, যে মহিলা মধ্যরাতে পিঠে বানানোর আদেশ পেয়েছিলেন, তিনি হয়ত অল্পের উপর দিয়েই ছাড় পেয়েছেন, বাকিদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কিছু মহিলাকে টার্গেট করে তাদের ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোনে আদেশ দেওয়া হত পার্টি অফিসের নৈশ মিটিংয়ে হাজিরা দিতে। কি হত সেই মিটিংয়ে, বলতে অস্বস্তিতে পড়ছেন অনেকেই, মুখে গামছা বেঁধে ক্যামেরার মুখোমুখি হচ্ছেন লোকলজ্জার ভয়ে। কেউ জানাচ্ছেন সন্দেশখালির এই সমাজবিরোধীরা, ডাক পাওয়া মহিলাদের মধ্যে বিভাজন করত সৌন্দর্যের নিরিখে, তথাকথিত কম সৌন্দর্যের অধিকারী যাঁরা, তাঁদের ওপর থাকত নৈশ মিটিংয়ের জন্য রান্না ও পরিবেশনের দায়িত্ব। আর দুর্ভাগা রূপবতীদের ঘিরেই বসত সমাজ বিরোধীদের বৈঠক। ভোর অবধি চলত সেইসব মিটিং। কোনো মহিলা সেই বৈঠকখানার ডাক অগ্রাহ্য করলে হুমকি ফোন যেত বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কাছে, তাঁদের ফোনে না পেলে প্রতিবেশীদের কাছে। ডাক অমান্যে অকথ্য অত্যাচারের মুখে পড়ত তার স্বামী-সন্তান-স্বজনরাও। এ যেন সেই মহাভারতের একচক্রা নগরীর রাক্ষস যার প্রতিদিন একটি করে মানুষ ভেট লাগত খাদ্য হিসেবে। আজ ভাবতেও অবাক লাগছে এই ঘটনা মাসের পর মাস চলছিল সন্দেশখালিতে, মহিলাদের যেন সেবাদাসীতে পরিণত করে রাখা হয়েছিল, কেউ বিন্দুমাত্র প্রতিবাদও করার সাহস পাননি। নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে সেই সব মহিলাদের অনেকেই আজ গ্রামছাড়া।

    রাতের বেলা যদি এই কাণ্ড চলছিল তাহলে দিনের বেলা? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রে যেসব বক্তব্য উঠে আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে, ছাড় পেতো না ছোটরাও। স্কুল-পড়াশোনা-খেলাধুলা এইসব বাদ দিয়ে ছুটে যেতে হত মিটিং, মিছিল, পার্টির কর্মসূচিতে। গ্রামের মহিলাদেরও হাজিরা ছিল বাধ্যতামূলক। কোনো অনিবার্য কারণে না যেতে পারলে পার্টি অফিসে গিয়ে মুচলেকা দিয়ে আসতে হত কারণ সহ। না গেলে বাড়ি ভাঙচুর, সরকারি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া, ভাতা বন্ধ করে দেওয়া, বাড়ির পুরুষ সদস্যদের মারধোর - সাধারণ ঘটনা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যেত না কোনো থানাতেই, পুলিশ নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিত, এই অভিযোগ অভিযুক্তদের অনুমতি ছাড়া নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ শাজাহান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রকৃত অর্থেই ছিল আইনের ঊর্ধ্বে।

    কিভাবে ভেঙে পড়ল সন্দেশখালির এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর অবশেষটুকুও? উত্তর লুকিয়ে আছে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে। কলকাতার বাইরে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অংশের কর্তৃত্ব আজ চলে গেছে বিভিন্ন সামন্তপ্রভুদের হাতে। অনুব্রত, কাইজার, আরাবুল, শাজাহান - এরাই সেইসব অঞ্চলের হর্তা-কর্তা-বিধাতা। ওখানকার পুলিশ-প্রশাসন-পাবলিক কেউই এদের অনুমতি ছাড়া এক পা'ও নড়ার সাহস পায়না, প্রেসের কাছে মুখ খুলতে পারেনা, মামলায় সাক্ষ্যও নয়। কান পাতলে শোনা যায় শেখ শাজাহানও নাকি ছিল সন্দেশখালির মসিহা, রোয়াব-মোড়া রবিনহুড। তা এমন দানবীরের লক্ষীর ভান্ডার গড়ে উঠল কোন কৌশলে? একের পর এক চাষের জমিতে জোর করে নোনাজল ঢুকিয়ে ভেড়িতে পরিণত করে ও তার দখল নিয়ে, ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করে, রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের টাকার অংশ তোলা হিসেবে আদায় করে, গ্রামের লোককে উচ্ছেদ করে তার বাড়ির দখল নিয়ে। স্থানীয় পুলিশ এই কাজে তাকে বাধা দেওয়ার বদলে সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ ও পার্টি এই যৌথবাহিনীর সম্মিলিত উদ্যোগে আরও বিভিন্ন এলাকার মতো সন্দেশখালিতেও সাধারণ মানুষের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেওয়ালে।

    তাহলে এখন প্রশ্ন হলো ইডি এসে শাজাহানকে ধরতে গিয়ে মার খেল, রাজ্যের মুখ পুড়ল, এলাকার পুলিশ প্রশাসন সব তাদের দলবলের হাতের মুঠোয় চলে গেছে, সে সিস্টেম এর বাইরে নয়, নিজেই সিস্টেমে পরিণত হয়েছে - এসব দেখেও রাজ্য সরকার চুপ কেন? প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরটাও জানা। শিয়রে লোকসভা ভোট। এই শাজাহানের মতো লোকেরাই ভোটকুশলী। এলাকার মানুষকে কন্ট্রোল করে নির্বিঘ্নে "ভোট করানো" এদের দায়িত্ব। কেউ টুঁ শব্দটি করার সাহস পায়না। ঠিক জায়গা মতো ভোট না পড়লে, ঘটে যেতে পারে আরেকটা বগটুই। ভোট বড় বালাই, আর তার পাশাপাশি আরেকটা কারণ হল তোলার ভাগ, যা দলকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করতে, নির্বাচনী প্রচারে ঢালাও খরচ করতে সাহায্য করে। প্রশাসন, পায়ের তলার জমি হারাচ্ছে জেনেও তাই এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনা। এমনকি প্রশাসনে পালাবদল ঘটে গেলেও এদের গায়ে আঁচড়টুকু পড়েনা, এরা পাকা খেলোয়াড়, সময়মত জার্সি বদলে নেয়, ক্ষমতা তাই এদের মতো সামন্তপ্রভুদের হাতেই রয়ে যায়। কখনো কখনো পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী পাওয়ার ভ্যাকুয়াম তৈরি হলে কেষ্ট, কাইজার, শাজাহানদের জায়গায় হয়তো নামগুলো বদলে গোপাল, ডলার বা সুলতান হয়ে যেতে পারে, কিন্তু পাওয়ার ডায়নামিক্সটা একই থাকে।

    আজ ইডির ভয়ে শাজাহান পালানোয়, তার রাশ সাময়িক একটু আলগা, তার দলবল একটু ব্যাকফুটে। এই সময়টুকুর জন্য দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এলাকার মানুষ একটু শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ঘরছাড়া পরিবাররাও গ্রামে ফিরে উগড়ে দিয়েছে এতদিনের জমা ক্ষোভ। সন্দেশখালি সাক্ষী হয়েছে এক গণআন্দোলনের। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় থাকা আশির দশকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মহামস্তান হেমেন মণ্ডলের কথা। একসময়ে শাজাহানের মতোই তিনি এলাকা শাসন করতেন, তাঁর এলাকায় গাছের পাতাও নড়ার সাহস পেতনা তাঁর অনুমতি ছাড়া। পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষদের সম্মিলিত গণপ্রতিরোধ তাঁকেও এলাকা থেকে ল্যাজ তুলে পালাতে বাধ্য করেছিল। কুখ্যাত বামনেতা গাইঘাটার সুশান্ত ঘোষও ছিলেন শাজাহান, শিবু, উত্তমদের প্রকৃষ্ট পূর্বসূরি। তাঁর রোষের আগুনে অসংখ্য মানুষের পাশাপাশি বরুণ বিশ্বাসের মতো প্রতিবাদী স্বরও ঝলসে গিয়েছিলেন। মানুষের প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত সেই সুশান্ত ঘোষেরও স্থান হয়েছিল জেলের কালকুঠুরিতে। আজ সন্দেশখালির ঘটনায় প্রশাসন,মিডিয়া, জনগণ সবাই কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে। এতদিন সবকিছু জেনেও ঘাপটি মেরে থাকা প্রশাসন এর মধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে ড্যামেজ কন্ট্রোলে, দ্রুত এই আন্দোলন যেভাবে হোক ধামাচাপা দিতে হবে, নইলে এটাই ভোটের মুখে যদি বড় ইস্যু হয়ে ওঠে!

    রাজ্য মহিলা কমিশন থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে খোঁজ নিতে। সেই প্রতিনিধি দলও পুলিশের সুরে সুর মিলিয়ে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে গ্রামে ঘুরে ঘুরেও নারী নির্যাতনের কোনো অভিযোগই তারা নাকি পায়নি। আর অন্যদিকে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলার অপরাধে এক অভিযোগকারী মহিলার মুখে গরম লোহার ছেঁকা দেওয়া হয়েছে, আক্রমণের মুখে পড়েছে তার শিশুসন্তান, সমাজবিরোধীদের হাতে মার খেয়ে তার স্বামী ঘরছাড়া। সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলারা এতটাই সন্ত্রস্ত যে আগে যারা সরাসরি মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছিলেন, আজ গামছার আড়ালে পরিচয় লুকাতে হচ্ছে পাছে পরিচয় জেনে আবার গুন্ডাবাহিনী বাড়িতে হানা দেয়। অন্যায্য ভাবে পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে, ইন্টারনেট বন্ধ করে সন্দেশখালিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল, হাইকোর্টের দাবড়ানি খেয়ে সেটা খারিজ করে আবার অঞ্চল ভিত্তিক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিরোধীদলের প্রতিনিধিদের সন্দেশখালি যাওয়া আটকে, অন্য সময় টেবিলের নীচে লুকিয়ে থাকা পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উল্টে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিবারণ সর্দারকে গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে স্লোগান উঠেছে, 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়', রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নানা সময়ে নারী ক্ষমতায়নের কথা আউড়েছেন। তা যে শুধুই কথার কথা, সন্দেশখালির ঘটনা আবার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটছিল, এরকম আরো নানা ঘটনা কাগজে বেরিয়েও আসে কখনো সখনো, মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় শুধু সেই খবরে কি মানুষ এতটা নড়েচড়ে বসত? খুন, ধর্ষণ, পার্টি অফিসে ডেকে শ্লীলতাহানি - এসব নিয়মিত মিডিয়ায় দেখতে দেখতে যেন অনেকটাই গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল বাংলার মানুষের। আমরা চমকে উঠলাম যখন দেখলাম দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একদল মহিলাও লাঠি নিয়ে দোর্দণ্ডপ্রতাপ গুণ্ডাবাহিনীকে ধাওয়া করতে পারে। এ দৃশ্য দেখে বাংলার সাধারণ মানুষের বোধোদয় হবে নাকি এও পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি, আনিস খান হত্যা, বগটুই ও আরো অনেক কালো অধ্যায়ের মতোই 'তুচ্ছ ঘটনা' হয়ে থেকে যাবে তা জানা নেই। পুলিশ প্রশাসন এবারেও নিজের ঐতিহ্যে দাগ লাগতে দেয়নি, পার্টির ঘনিষ্ঠ কোনো নামজাদা মাতব্বরকে কখনই তারা খুঁজে পায়না, এখানেও তার অন্যথা হয়নি, নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমে বুক ফুলিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়ানো শিবু হাজরা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আইনজীবী মারফত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করে চলা শেখ শাজাহান এখনো অন্তরালে থেকে ইডিকে প্রমিস করতে বলছেন, আমায় দেখতে পারো কিন্তু ধরতে পারবে না। শাজাহানের বদান্যতায় বসিরহাটে জয়লাভ করা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান যিনি এত কিছুর মধ্যেও এক মনে নিজের সিনেমার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন, বলেছেন, এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করার কী আছে? বাংলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, তথা সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী, তথা, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যদিও একটুও না ভেবে সটান জানিয়ে দিয়েছেন, সবাই তো ধরা পড়ে গেছে কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনায় যাদের দিকে আসলে অভিযোগের তির, তারা আদৌ উপযুক্ত শাস্তি পাবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে।

    পুনশ্চ: বাম, কংগ্রেস, বিজেপির কিছু নেতা মাঝে মাঝে দাবি করেন 'পিসি-ভাইপোর' সব দুর্নীতির খবর তাঁরা জানেন, রাজ্যে কোথায় কি অরাজকতা চলছে সব তাঁদের নখদর্পণে। কিন্তু কই, সন্দেশখালিতে নিয়মিত ঘটে চলা এইসব অত্যাচারের কথা আগে কখনও তো এইসব ত্রিকালদর্শী নেতাদের মুখে শোনা যায়নি। তাহলে কি তাঁরা এতটাই জনবিচ্ছিন্ন যে রাজ্যে কোথায় কি চলছে খবরও রাখেন না, নাকি জনগণ নিজেরা প্রতিবাদ করে বিষয়টিকে একটি বড় ইস্যুতে পরিণত করার আগে পর্যন্ত তাঁরাও কোনো বিষয়কে ইস্যু বলে মনে করেন না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪০528516
  • সপাট চাবুক লেখা।  হেমেন মন্ডল সুশান্ত ঘোষের মত আরেকজন মজিদ মাস্টার। আরাবুলের আগে খড়িবাড়ি মালঞ্চ  ভাঙড়ের ত্রাস। আর৷ এখন দ্রুত উঠে আসছে নওশাদ। আগের পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পর নওশাদ সমস্ত হাউসিংগুলো থেকে তোলা দাবী করছে। এদিকে আরাবুলও তার ভাগ দাবী করেই যাচ্ছে। অদ্ভুত মাৎস্যন্যায়। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪১528519
  • আপাত ভাবে নওশাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় খুব সংযত, বেশ ভদ্র, কিন্তু যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ। সত্যিই জায়গাগুলো প্রশাসনের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।
  • b | 14.139.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৮528520
  • নওশাদ মানে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ?
  • Arindam Basu | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৬528559
  • "বাম, কংগ্রেস, বিজেপির কিছু নেতা মাঝে মাঝে দাবি করেন 'পিসি-ভাইপোর' সব দুর্নীতির খবর তাঁরা জানেন, রাজ্যে কোথায় কি অরাজকতা চলছে সব তাঁদের নখদর্পণে। কিন্তু কই, সন্দেশখালিতে নিয়মিত ঘটে চলা এইসব অত্যাচারের কথা আগে কখনও তো এইসব ত্রিকালদর্শী নেতাদের মুখে শোনা যায়নি"
     
    দাবী শুধু অসার নয়, এঁরা কতটা জনবিচ্ছিন্ন এবং  নিজেদের জগতে আজব খোয়াব নিয়ে বেঁচে আছেন। ।
    সন্দেশখালীর ওপর এই লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল মহাভারতের কীচক বধের মতন একটা ব্যাপার হলে হয়ত এই দানবদের একটা উচিৎ শিক্ষা হতে পারত‌। দুঃখের বিষয়, এরা অন্যায় করে পার পেয়ে যায়। কে জানে এর বিহিত কোথায় ও কবে হবে?
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:8a34:32db:33a8:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৫528560
  • নওশাদকে পুলিশ ধরে না কেন? তার তো রাজনৈতিক ছাতা নেই।
  • সুদীপ্ত | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৯528561
  • একদম ঠিকঠাক লেখা! অবাক লাগে, পরিচিত কিছু লোকজন যখন সুশান্ত ঘোষরা ছাড়া পাওয়ার পর তাদের নিয়ে লাফালাফি করে আর সেই 'প্রমাণ হয়নি'-র ধুয়ো তোলে! 
     
    যেটা মনে হয়, নওশাদকে হঠাৎ ধরলে তার প্রভাবশালী পরিবার আর সমর্থক জনগোষ্ঠীকে সামলানো সহজ হবে না, যতই অন্য দল হোক, এর প্রভাব সামগ্রিকভাবে তিনোদের ভোটব্যাঙ্কেও পড়বে।
    তবে হাউজিং এর তোলা ওসব কিছু বড় ব্যাপার নয় আজকাল, স্কোয়্যারফুট সেনরা আরও বড় খেলোয়াড় সব।
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৬528563
  • হ্যাঁ নওশাদ সিদ্দিকি। 
    নাহ হাউসিঙের তোলা মানে হেলাফেলা নয়। বেদিক ভিলেজ, গ্রিনটেক সিটি ইত্যাদিগুলো স্বর্ণখনি। ব্যপার এরকম ওইগুলোতে গত পঞ্চায়েত ইলেকশানের পর কেউ বাড়ির সাধারণ মেরামতিও করতে পারে নি ডিসেম্বর ২৩ অবধি।  এক বস্তা সিমেন্ট বা ছোট লিরি স্টোনচিপস কি বালিও ঢোকাতে পারে নি।  দুই তরফই  গেটের কাছে এসে ঝামেলা করে রুখে দিয়েছে। এরপরে শুরু করেছে কে টাকাটা নেবে তাই নিয়ে মারামারি। নওশাদের অনুগামী ওই অঞ্চলে কম নয়। আর আরাবুলের আমলে যারা সেভাবে কামাতে পাতে নি তারাও নওশাদের দিকে ভিড়েছে। ডিসেম্বরে একটা রফা হয় কে কত পাবে তাই নিয়ে। মূলত হাউস ওনার্স অ্যাসো রা উদ্যোগ নিয়ে করায়।  একদল টাকা আর একদল বিভিন্ন আবাসনে চাকরি এরকমো কিছু হয়।  জানুয়ারি থেকে লোকে মেরামতির  কাজ শুরু করার  পরে আব্বাস ভাইজানের লোকজন এসে টাকা চায়। এবার লাগে এদের নিজেদের মধ্যে। 
     
    যেটা দাঁড়িয়েছে ৩ বছর আগে যে কাজ করাতে ৩০ হাজারের মত লেগেছিল এখন সেটা ১ লাখ ৩০ হাজার লাগছে।  এটা ত গেল শুধু মেরামতি। একজন তাঁর বাংলো পুরো রেনোভেট করাবেন, তাঁর কাছে চেয়েছে ৬০ লাখ। এরপরে তিনি তাঁর বাংলোয় গেস্ট হাউস বা হোমিস্টে করলে প্রথমে ব্যবসা শুরু করার তোলা তারপর মাসে মাসে। 
     
    আরাবুল এলাকার দখল নিয়েছিল মজুমদার দ মাস্টারের দলবলের থেকে কেড়ে।  বেদিক ভিলেজের রিসেপশান আর সামনের কটা ইউনিটে আগুন লাগিয়ে ২০০৯ নাগাদ।  তখনো আরাবুল গ্রেপ্তার হয়েছিল কি? মনে পড়ছে না।
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৮528564
  • *মজিদ মাস্টারের দলবলের ( হালার অটোকারেক্ট)
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৩528566
  • লেখক সম্ভবত একটুখানি গুলিয়ে ফেলেছেন একজায়গায়, গাইঘাটার সুশান্ত ঘোষ নয়, নামটা সুশান্ত চৌধুরী হবে। উনি জেলে মারা গিয়েছিলেন। আর গড়বেতার সুশান্ত ঘোষ তো কঙ্কাল কাণ্ডের জন্য কুখ্যাত, তিনি পরে এলাকায় ফিরে এসেছিলেন জেল খেটে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3e96:6295:c29d:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৯528567
  • নওসাদের তো দারুন ক্ষমতা। পুলিশ কিছুই করতে পারেন। কোন পলিটিক্যাল গডফাদার নেই তবুও।
     
    কে জানে, পুলিশ হয়তো সত্যি কথাই বলছে। সাজাহানকে সত্যিই খুঁজে পাচ্ছে না। এর মধ্যে কোন পলিটিক্স নেই।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3e96:6295:c29d:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৯528568
  • *পারেনা।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:১৩528569
  • তোহা সিদ্দিকী, আব্বাস সিদ্দিকী এদের তো ওই অঞ্চলে ধর্মগুরু হওয়ার সুবাদে বিশাল দাপট। তৃণমূলের সাথে ভীষন দহরম মহরম ছিল। এই পরিবারের নাম পিছনে থাকাটাই বড় কারণ নওশাদের উত্থানের। ওই অঞ্চলে যেকোনো পলিটিক্যাল লিডারের থেকে বেশি ক্ষমতা পীরজাদা পরিবারের।
  • সুদীপ্ত | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২০528570
  • ঠিক , নওশাদের পরিবারের ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  আর তার সমর্থক জনগোষ্ঠী একটা বিরাট ভোটব্যাঙ্ক, রাজনৈতিক দলটা নিমিত্ত মাত্র। 
     
    হাউজিং-এর ব্যাপারটা ওদিকে এতদূর গেছে জানতাম না , তোলার ব্যাপার তো ছিলই। তবে 'দ মাস্টার' ব্যাপারটা দুরন্ত হয়েছে কিন্তু laugh
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩০528571
  • 'দিল দিল নওশাদ ভাই'য়ের টাকা খাওয়ার ব্যপার‍্যা মানতে খুব অসুবিধে হচ্ছে বুঝতে পারছি। smiley  মাথায় হাত কারো নেই সেও নিশ্চিত  করে বলা যায় না। এইসব খবর মাঝে মাঝেই ভেসে ওঠে। এছাড়া আরাবুল হাতের বাইরে চলে গেছিল কাজেই তাকে টাইট দিতে তিনোমুলের একাংশ  সাপোর্ট দিচ্ছে এমনও হতেই পারে। বিশেষত আরাবুলের সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের পর এইটাই মনে হচ্ছে।  
     
  • সুদীপ্ত | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:১১528574
  • নওশাদের সঙ্গে থাকা ভোটব্যাঙ্ক সব দলের কাছেই লোভনীয় , সবাই কাছে আসতে চায় , জড়িয়ে ধরতে চায়। আর সব রাজনৈতিক দলেরই টাকা তোলা,ভয় দেখানো এসব দস্তুর। নওশাদ ব্যতিক্রম হবে কেন! আজকাল লেসার ইভিল তত্ত্ব আর ধর্মীয় মেরুকরণ-কে দূরে রাখার তত্ত্ব মেনেই ভোট দিই (তবে অবশ্যই নোটা নয় , ও-জিনিস কোনো কম্মের নয় , অন্ততঃ এ-দেশে)।   
  • dc | 2401:4900:232e:a656:2ce4:80b1:a5f5:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২৯528575
  • আমি পবতে থাকলে সিপিএমকে বা কংগ্রেসকে ভোট দিতাম কারন বিজেপি আর তিনো, কাউকেই ভোট দেওয়া যায় না। মুশকিল হলো, তিনোরা যে চোরের দল, সেটা মোটামুটি ২০০০ সালের থেকেই সবাই জানতো, যখন থেকে দিদির উত্থান শুরু হয়েছিল। চুরি ডাকাতি ধোঁকাবাজিতে প্রথম থেকেই দক্ষ ছিল, এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে গেছে। আবার বিজেপি যে দাংগাবাজ আর খুনে সেও প্রথম থেকেই সবাই জানে। মাস স্কেলে দাঙ্গা লাগিয়ে, রেপ করেই ওরা লাস্ট তিরিশ বছরে লোকসভায় আর রাজ্যে রাজ্যে সিট বাড়িয়েছে। সেসবও লোকে জানে। তাও ভোট দেয়।  
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৩528576
  • নোটা জাস্ট ট্যাক্সের টাকার অপচয়।
  • | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৬528577
  • মহারাষ্ট্রে বলে শোয়েরে ধোয়েরে পলিটিশিয়ান। বিভিন্ন দলে নিকট ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।  তারা নিজেদের মধ্যে প্রচুর ঝগড়া মারামারিও করে। তবে বড়সড় পালাবদল হলে আত্মীয়দের দিকটা দেখে নেয় যাতে কেউ একেবারে সর্বস্ব না হারায়। বিভিন্ন সরকারী টেন্ডারেও তারা সমঝোতা করে নেয়। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৫528581
  • নোটা কন্সেপ্টটা ভালো, কিন্তু এখন যে ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে তাতে নোটাতে পড়া মোট ভোট যদি প্রার্থীদের পাওয়া মোট ভোটের চেয়ে বেশিও হয়ে যায়, তবুও তার কোনো ইমপ্লিকেশন নেই। যেটা উচিত তা হলো সেক্ষেত্রে ওই নির্বাচনী কেন্দ্রে আগের প্রার্থীদের বাতিল করে নতুন প্রার্থী দাঁড় করানো। যেহেতু জনগণ ওই প্রার্থীদের কাউকেই চাইছে না। নইলে নোটাতে ভোট দেওয়া আর ভোট না দেওয়া একই।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3e96:6295:c29d:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৭528584
  • সবাই সমান এটা একটা খুবই চলতি কনসেপ্ট। তাহলে আর ভোট দিয়েই বা লাভ কি আর সন্দেশখালি নিয়ে এত মাথা ঘামিয়েই বা কি হবে? 
     
    কিছুই যখন করার নেই তখন সন্দেশখালি একটা টিভি সিরিয়ালের চেয়ে বেশী কিছু নয়। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:48be:955:6a36:***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:০৩528600
  • মূল লেখাটা খুবই ভাল লাগল 
  • সুদীপ্ত | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫০528610
  • পলিটিশিয়ান - সবাই সমান নয়, সেইজন্যেই আজও নোটাতে ভোট দিই না, কিন্তু সন্দেশখালির এত সিরিয়াস ঘটনা আজ থেকে ছ'মাস পর দেখলে টিভি সিরিয়াল-ই মনে হবে হয়ত, কারণ  এর কোনো উপযুক্ত শাস্তি, বিচার তখনও হবে না বা শেষ হবে না। আমরা কামদুনি, পার্ক স্ট্রীট সবই দেখেছি; যদি মনে থাকে, চেষ্টা করবো ছ'মাস পর এই টইটা একবার তুলে আনতে। আর যদি সত্যি সবকিছু ঠিকঠাক হয়, তাহলে আমি-আপনি সবাই খুশী হবো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:d43c:ff4d:c4d0:***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৪528618
  • একদমই ঠিক সন্দেহ সুদীপ্তবাবু। হয়তো কিছুই হবেনা। নিদেন যদি হেমেন মন্ডলের মত এই লোকগুলো এলাকা ছাড়া হয় তো সেটুকুই লাভ। হেমেনের পরে গৌরীবাড়িতে আর কোন ডন উঠেছে কিনা জানিনা। কিন্তু এতটা আতংক জাগানো আর কেউ ওঠেনি বলেই মনে হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন