এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • থ্রি ইডিয়টস - একটি সমালোচনা

    কণিষ্ক লাহিড়ি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ মার্চ ২০১০ | ৫৩১ বার পঠিত
  • হালে বলিউডের সবচেয়ে বেশি রোজগেরে ফিল্মটি নিয়ে চারদিকে যত কথা লেখা হচ্ছে তার মধ্যে বেশির ভাগই প্রশংসায় টইটম্বুর। প্রশংসা, ভারতের শিক্ষা-ব্যবস্থার "আসল রূপ'টার ছবি তুলে ধরার সাহসের জন্য। আর বাকি লেখাগুলি ভক্তিতে গদগদ, এতে যেভাবে বিনোদনের সঙ্গে একই গেলাসে "সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা'র ঘুল-মিল করে দেওয়া হয়েছে সেই অসাধারণ ক্ষমতার জন্য। খুশিতে ভরপুর মিডিয়া এখন চেতন ভগৎ (যাঁর উপন্যাস "ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান' থেকে সিনেমাটা বানানো ) আর প্রোডিউসারদের মনোমালিন্য দেখে যেন চোখ মটকে মিচ্‌কে হাসি হাসছে। প্রোডিউসাররা নাকি চেতনের কৃতিত্ব ছোট করে দেখিয়েছেন। ওঁর নাম দিয়েছেন এক্কেবারে ফিল্মের শেষ, চা-ওয়ালা আর ঝাড়ুদারদের নামের মাঝে। আবার এও বলেছেন যে নিতান্ত ফিল্মের সৌজন্য শর্ত মেনেই ওঁরা নামটা দিয়েছেন, নয়তো, সিনেমার গল্পটা মোটেই ওঁর লেখা থেকে নেওয়া নয়। তবে সে সব যাক, আমি একটু অন্য কথা বলব। কিছু রিভিউ এর নমুনা পড়ে একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়ল। এও সেই উলঙ্গ-রাজার গল্পের মত। সিনেমাটার বড় সমস্যা গুলোর কথা কেউ মুখ ফুটে একবারও বলছে না!

    "থ্রি ইডিয়ট্‌স'এ একটা দৃশ্য আছে যেখানে প্রধান চরিত্রদের মধ্যে একজনের পরিবার দেখানো হচ্ছে। ছেলেটির বাবা একজন ডাকপিয়ন, তাঁর মাইনে বলা হলো মাসে ২৫০০ টাকা, ভদ্রলোক পঙ্গু, শয্যাশায়ী, সংসারে অভাবের শেষ নেই। একমাত্র ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলে তবেই পরিবারটির কিছু সুরাহা হতে পারে। ভারতে এই দৃশ্যটা খুব বিরল নয়। বেশির ভাগ বড় বড় কলেজেই ছেলেমেয়েরা মেধার জোরে পড়ার সুযোগ পায়, তাদের আর্থিক অবস্থা অনেক সময়েই বিশেষ ভালো হয়না। অনেকেই বলেন যে এই কলেজগুলোর এটা সবচেয়ে বড় গুণগুলোর মধ্যে একটা। তবে মজার ব্যাপার হলো যে পরিচালক এই দৃশ্যটাকে কমিকালি দেখাতে চাইলেন। বলা হচ্ছে যে এই ছেলেটির বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে দৃশ্যটা যেন সেই পুরোনো দিনে, উনিশশো পঞ্চাশ সাল টালে যেমন হতো তেমনি অভাব-অনটনের ছবির মত হয়ে গেলো। পুরোনো দিনে?? কয়েক সপ্তাহ আগেই তেন্ডুলকার কমিটির রিপোর্টে বেরিয়েছে যে ভারতের গ্রামের ৪২% আর শহরের ২৬% লোক এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে। সংখ্যাটা কি খুব কম? মাত্র ৪০৭ মিলিয়ন মানুষ!

    থ্রি ইডিয়ট্‌সে অনেক জটিল জিনিষই একটা লঘুতার আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে এই দৃশ্যটায় এমন অনেক কিছু আছে যা মনের মধ্যে খচখচ করে। এখানে দারিদ্র্য ব্যাপারটা এমন ভাবে দেখানো হলো যেন এটা মানুষের সাধারণ জীবনের থেকে আলাদা কিছু, একটা ব্যতিক্রম, একটা অস্বাভাবিক কিছু। দারিদ্র্যকে একজন বাইরের লোকের চোখ দিয়ে দেখতে হয়, আর সেই দৃষ্টিভঙ্গীর বিচারে কখনো কখনো তাকে দেখে হাসিতে ফেটেও পড়তে হয়। আর এই দেখেই অবাক লাগে যে পরিচালকের এ আইডিয়াটা সফল। সত্যি সত্যি দর্শকের মধ্যে এই অভাবী দৃশ্য দেখে হাসির রোল ওঠে। হয়তো পরিচালকের ভেবেছিলেন যদি অন্য কোনো দিক থেকে সিনেমা ফেল করে অন্তত চিত্রনাট্য এমন করতেই হবে ( সে অশোভন হোক আর যাই হোক) যাতে হাসির খোরাক কম না পড়ে, তাহলে পয়সা উসুল ঠেকায় কে! গরীব মা যে বেলনা দিয়ে রুটি করছেন তাই দিয়েই বুড়ো বাবার বুক চুলকে দেন, আবার না ধুয়ে টুয়ে ঐ দিয়েই নতুন রুটি বেলতে থাকেন। ক্যামেরা টুক করে দেখিয়ে দেয় বেলনায় চুল লেগে আছে কি নেই। আমাদের নায়করা বুদ্ধিমানের মত আর রুটি নিতে অস্বীকার করেন, আর সমস্ত হল জুড়ে হাসির হুল্লোড় ওঠে। বেশ বোঝা যাচ্ছে এই দৃশ্যটা কোন শ্রেণীর লোকেদের জন্য বানানো। আচ্ছা, সত্যিই বোঝা যাচ্ছে কি? ধরুন যদি আমিই একজন ডাকপিয়ন হতাম, আর আমার অভাবের সংসার হত? কিম্বা হয়তো এতই ধনী একজন কেউ হতাম যে চারপাশের গরিবি সম্পর্কে কিছুটি জানিনা? ভেবে দেখুন, আজ থেকে কুড়ি বছর আগের কোনো সিনেমায় ঠিক এই দৃশ্যটিই দেখানো হলে কি এমন হাসির রোল উঠতো? উঠতো না মনে হয়। তাহলে? কী পাল্টে যাচ্ছে আমাদের মধ্যে? গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ১৯৯১ সালে দেশের উন্নতির জন্য যে সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো তার বেশির ভাগই গরিবি কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে এখন দারিদ্র্য আগেকার চাইতে অনেক বেশি বেড়েছে। এই অবস্থায় এরকম একটা দৃশ্য দেখে মজা পাওয়া দূরের কথা, কারুর একবারও কিচ্ছু মনেও হয়না? দর্শকের বোধবুদ্ধি তাহলে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে?

    আমার ধারণা সিনেমাটা যাঁরা বানিয়েছেন তাঁরা ভালোভাবেই জানেন যে ভারতের কোনো ছোট শহরের "ইউনিভার্সাল গ্যালাক্সি থিয়েটার'এ অত লোক হাসবেনা যতটা হাসবে বড় শহরে, "কোরমঙ্গলা পিভিআর মাল্টিপ্লেক্সে'। কিন্তু তাতে বিচলিত হবার কিছু নেই। এটাতো ওঁদের একটা ব্যবসানীতি ছাড়া কিছু নয়। ওঁরা খুব ভালো জানেন ওঁদের দর্শক কারা। সেই বুঝেই ওঁরা ছক কষেছেন। দেশের একটা বড় অংশের মানুষের ছোট মন আর সমাজের সত্যিকার সমস্যাগুলোর প্রতি এই উদাসীনতাটাকে ওঁরা দিব্যি নিজেদের কাজে লাগিয়ে নিয়েছেন।

    আরেক দৃশ্যে যখন এই ডাকপিয়ন ভীষণ অসুস্থ, তাঁর গরীব পরিবারের মাথাতেই আসেনা কী করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আমাদের উচ্চবিত্ত নায়ক অ্যাম্বুলেন্সের দেরি দেখে বুদ্ধি খাটিয়ে তাঁর বান্ধবীর স্কুটারে করে বুড়ো মানুষটিকে সোজা হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে হাজির করেন। কমেডির এমনই মাহাত্ম্য যে দর্শক এই দৃশ্যটিও গোগ্রাসে গেলে। পরিচালকের সূক্ষ্মবুদ্ধি এখানে সুন্দর কাজ করে। দর্শকের একবার মনেও হয়না যে কী নির্লজ্জ ভাবে পুরো সিনেমাটা জুড়ে আমীর খানের এই "ছোটলোকদের তাদের নিজেদের হাত থেকেই বাঁচানোর' লীলা দেখিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনটা আগেও হয়েছে, অসংখ্য ইউরোপীয়ান সিনেমায়। সেখানে দেখানো হয়েছে কেমন করে নায়করা তৃতীয় বিশ্বের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে মহানতা করেছেন, সাদা মানুষরা এই "বোঝা' হয়ে থাকা লোকগুলোর জন্য কত উদারতা দেখিয়েছেন। ভারতবর্ষে পয়সাওয়ালা উঁচু মহলের লোকেদের সাথে গরীব বা মধ্যবিত্ত মানুষদের যে ফারাক তা তো খুবই স্পষ্ট। প্রথম দলের লোকেরা মাল্টিপ্লেক্সের এসি ঘরে গদি আঁটা চেয়ারে বসে তিনশো টাকা দামের টিকিট কেটে পর্দায় ঐ দু নম্বর দলের গপ্প দেখেন। কেমন করে ওঁদের নিজেদের দলের একজনই সমাজের থাবা থেকে ছোটলোকগুলোকে বাঁচাচ্ছে সেই দেখে আমোদ পান। এঁদের কাছে গরিবি জিনিষটা কমেডির মালমশলা ছাড়া আর কি বা হবে? এই রকম একটা সিনেমায় যে শুরুতেই নাম দেখানোর সময়ে শাইনিং ইন্ডিয়ার প্রতিভূকে "মুকেশ আম্বানী, চেয়ারম্যান' হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানানো হবে তাতে আর আশ্চর্য্য কি? শুধু "চেয়ারম্যান' লিখে কৃতজ্ঞতা জানালে হয়তো কম হয়ে যেতো? শাইনিং ইন্ডিয়ার রাজন্যদের মাথায় মুকুট তুলে দেবার মতো এই বাড়তি ভক্তিটুকু দেখাবার সুযোগ ওঁরা ছাড়বেন কেন?

    সিনেমাটা যাঁরা বানিয়েছেন তাঁদের বুদ্ধির আমি তারিফ করি। ওঁদের এই সূক্ষ্ম কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি কী চমৎকার ভাবে মাল্টিপ্লেক্স, গেটেড কমিউনিটি, এই সবের পাশাপাশি একটা এমন মাহোল তৈরী করে দিলো যেখানে স্বচ্ছল শহুরে ভারত প্রাণ খুলে হাসতে পারে, বাস্তবের কিছুমাত্র না বুঝে বাস্তবকে নিয়েই হাসি! চমৎকার নয়? হ্যাঁ ওঁদের বুদ্ধির আমি তারিফ করি যে দর্শককে ওঁরা একই সঙ্গে একটা মেকি "ফিল গুড' অনুভূতি দিতে পেরেছেন। একটা "মেসেজ' ওয়ালা সিনেমা দেখার অনুভূতি। দর্শকদের সাথে ওঁরাও নিশ্চয়ই খুব হাসছিলেন। মানুষ কত সহজে এসব বিশ্বাস করে আর তার ফলে ওঁদের বক্স-অফিসের ভাঁড়ার কেমন ভরে ওঠে, সেই দেখে হাসি।

    সিনেমাটার নির্লজ্জ ভণ্ডামি আরো বেশি চোখে লাগে যখন দেখি কোটি কোটি টাকার পাবলিসিটির নামে ভারতের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর বেইজ্জতি হচ্ছে। এখানে ভালো কলেজগুলোর ছবিটা যেরকম আঁকা হয়েছে তা নিতান্ত একমাত্রিক, ভুলভাল, বিরক্তিকর রকমের অগভীর। যদি কোনো কেপার-মুভি তে এরকম দেখানো হত তাহলে মেনে নিতে কোন অসুবিধা ছিলোনা (যেমন ধরুন Ferris Bueller's Day Off , ম্যাথু ব্রোডরিকের হাইস্কুল কেপার ক্লাসিক্‌স)। থ্রি ইডিয়ট্‌স দু'দিকই ধরার চেষ্টা করেছে। এক দিকে সস্তা রসিকতা দেখিয়ে দুহাতে টাকা লোটা, অন্য দিকে পাবলিকের মূল্যবোধে সুড়সুড়ি দিয়ে নিজেদের মহান দেখানোর চেষ্টা। তাও মেনে নেওয়া যেতো, যদি এই জিনিষটাই আরেকটু সূক্ষ্মভাবে আরেকটু নরম ভাবে করা হতো, শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে যে হাজার হাজার লোক কাজ করেন তাঁদের প্রতি একটু সম্মান রেখে ব্যাপারটা দেখানো হতো। কিন্তু তাহলে তো ছবির লাভ কমে যাবে! তাছাড়া চট করে সিস্টেমের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়াটাই তো সুবিধাজনক (লাভজনক তো বটেই)। আচ্ছা, যদি সিনেমাটা সমাজের সত্যি ছবিই দেখাতে চেয়েছে তাহলে বলুন তো একটিবারও কেন ছাত্রদের কোনো দোষ বা ওদের দিক থেকে তৈরী কোনো সমস্যা নিয়ে কিছু দেখানো হলো না? তার বদলে বরং আজকাল বেশির ভাগ বড় কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের যে খারাপ জিনিষগুলো শিক্ষার পরিবেশটা নষ্ট করে তাকেই এখানে ভালো ব'লে দেখানো হলো। ছবিতে যখন আমীর আর তাঁর সঙ্গীরা সময় পেরিয়ে যাবার আধ ঘন্টা পরে মাস্টারমশাইকে বোকা বানিয়ে পরীক্ষার খাতা জমা দেন তখন দর্শক সমর্থনে চিৎকার করে ওঠেন (বোকা বানানোর পরিকল্পনাটা নিজেই কিরকম বোকা বোকা সে কথা নয় বাদই দিলাম!)। কিন্তু নায়কদের মাতলামি বা নির্লজ্জ ক্রিয়াকলাপ নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনা। যদি কোন প্রশ্ন ওঠে তো সেটা ঐ কলেজের হিটলার-তুল্য ডিরেক্টারের কাছ থেকে, যাঁর চরিত্রটাই সমস্ত শিক্ষকের যতরকম ভুল আর দোষ তার মূর্তিমান একটা কমিক। কাজেই, দর্শক এখানে কার দিকে ঝুঁকবেন তা বুঝতে কষ্ট হয় না।

    একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এখন আমাদের দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলো তে অল ইজ মোটেই নট ওয়েল। কিন্তু এই সিনেমা আদৌ সেরকম কোনো এজাহারনামা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি যা দিয়ে সেই ব্যবস্থায় কোনো রকম বদল আনা সম্ভব হতে পারে। মিডিয়া, পাবলিসিটি স্টান্ট আর দর্শকদের হাততালি যে ধারণাটা তৈরী করেছে তা একবার কাটিয়ে উঠতে পারলেই আপনি দেখতে পাবেন যে এটা একটা সাধারণ, মধ্যমানের থেকে একটু ভালো (বলিউডের মান অনুযায়ী) কমেডি ছাড়া কিছুই নয়। আবার তার মধ্যেও কিছু দৃশ্যে বিশ্রী রকম রুচির অভাবও আছে। দু:খের বিষয় হলো যে সাধারণ শহুরে সমাজ আজ এমনই দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে গেছে যে আমরা যদি মনে করি সিনেমা নির্মাতারা তাঁদের বোধবুদ্ধি ঠিক মতো বুঝতে পারেননি তো ভুলই বলা হবে। ওঁরা ঠিকই বুঝেছেন যে বোধবুদ্ধি জিনিষটা এই পিভিআর দর্শকদের মধ্যে আজকাল আর বাকিই নেই। যাইই দেখানো হোক না কেন যদি প্যাকেজিং ঠিকঠাক হয়, সেখানে সিটি পড়বে, লোকে উল্লাসে লাফিয়ে উঠবে। আর অন্যদিকে গ্যালাক্সি থিয়েটার টাইপ দর্শকরা ..... সেই সব লোকের কি হয় না হয় তাতে আজ কারুর কিছু যায় আসেনা।

    **ইংরাজী থেকে বাংলায় লেখাটি অনুবাদ করেছেন কৃষ্ণকলি রায়।

    ১৩ই মার্চ, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ মার্চ ২০১০ | ৫৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন