এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • পরীদের বর

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৬০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  •    
    হাওড়া লিচুবাগান পুলিশ কোয়ার্টারে আমরা ছি‌লাম এপ্রিল ১৯৭০ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ অবধি। সোয়া ষোলোয় চলে যেতে হোলো কালী ব‍্যানার্জী লেনের ভাড়া বাড়িতে। কারণ বাবা জেলা পুলিশ বিভাগ থেকে বদলি হয়ে গেলেন সি‌আইডি বিভাগে। ফলে জেলা পুলিশের জন‍্য নির্ধারিত ঐ কোয়ার্টার বাবাকে ছাড়তে হোলো। 
     
    ব‍্যতিক্রম ব‍্যতীত প্রাকৃতিক প্রবণতা‌য় অধিকাংশ‌ মেয়ে‌ কৈশরের খোলস ছাড়ার সময় শরীরে ইস্ট্রোজেনের প্রভাব শুরু হতেও প্রজাপতির মতো ওড়ে না। বেশী উড়লে তাদের কপালে‌ই নাচবে দূর্ভোগ‌। ছেলেরা তো ঘুড়ি উড়িয়ে‌ই খালাস। ভো কাট্টা হয়ে গেলে স্বখাত সলিলে ডুবতে হয় মেয়েদের‌কেই। তাই সামাজিক অনুশাসনের ফলে এবং দূর্ভোগের দূর্ভাবনাতেই হয়তো মেয়েদের আচরণ সচরাচর হয় সংযত।
     
    ব‍্যতিক্রম ব‍্যতীত অধিকাংশ ছেলেদের স্বভাব হয় মেয়েদের উল্টো। আমি‌‌ ব‍্যতিক্রমী ন‌ই, পাতি ঝাঁকের ক‌ই। তাই শরীরে টেষ্টোষ্টেরোনের প্রভাব মনে অনুভব করার সময় থেকেই পরীদের প্রতি আমার মনে‌ও জাগরিত হোলো ফুরফুরে মোহমায়া। যখন আমি তেরো, তখন কোয়ার্টারে‌ দেখেছি কয়েকটি পরী। তাদের একজন আমার সমবয়সী শুভ্রা। আমাদের পাশের কোয়ার্টারে থাকতো। কোনোদিন হয়তো বিকেলে ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছি, শুভ্রা ওদের ছাদে উঠে  পাঁচিলের কাছে এসে ডাকতো, এ্যাই  সমু। চোখ আকাশ থেকে নামতো বিশ ফুট দুরে ওর মুখে। বলি, কী? ও বলতো, ঐ ব‌ইটা শেষ হয়ে আসছে। পরশু আর একটা দিবি কিন্তু। বা হোতো অন‍্য কোনো প্রসঙ্গে খানিক খেজুরে কথা।
       
    শুভ্রার নামকরণ সার্থক। ওর নিটোল শুভ্র অস্তিত্বে ছিলো আমায় উতলা করার মতো বেশ ‘কিছুর’ সমাহার - মাধূরী‌র মতো ঢেউ খেলানো কাঁধ অবধি কেশ, গোলালো হাত, তুলতুলে চিবুক, হাস‍্যময় চোখ, তালশাঁষের মতো ওষ্ঠ। তবে ঘোর লাগতো সদ‍্য পাপড়ি মেলা  যমজ পারিজাতে চোখ পড়লে‌! ঐ সব ঐশ্বর্য‌ময় সম্ভার ও মর্নিং গ্লোরির রাণী কালার, কলকের হেঁয়ালি হলুদ বা অপরাজিতার অপূর্ব নীল স্কার্টে মুড়ে গল্প করতে এলে আমার আর ঘুড়ি ওড়াতে ইচ্ছে করতো না। খুব ফরসা ছিল বলে‌ অমন উজ্জ্বল রঙের স্কার্ট ফ্রকে ওকে দেখলে ধাঁধা লেগে যেতো মনে। সায়রা বানুর মতো একটু আদুরে ভঙ্গিতে কথা বলতো ও। ওসব দেখে শুনে তখন মনের আকাশে উড়তো অন‍্য ঘুড়ি, যার সুতো ধরা থাকতো শুভ্রা‌র চম্পকাঙ্গুলিতে। তবে সে ঘুড়ি রোজ উড়তো না। কারণ রোজ তো আর আসতো না ও ছাদে। 
     
    শুভ্রা‌রা ছিল দুই বোন। ও ছোট। ওর থেকে বছর তিনেকের বড় দিদি শুক্লা। দুজনেই ব‌ই পড়তে ভালো‌বাসতো। আমি ছিলাম ব‌ইয়ের  যোগানদার। আর ওরা যোগাতো আমায় আনন্দ - ওদের মধূর উপস্থিতি দিয়ে। তবে ওদের বাড়ি যেতে আমার ব‌ইয়ের ভিসা জরুরি ছিল না। আমার গতায়াত ছিল অবাধ। বলে নাকি কন‍্যা রাশি‌র জাতকদের প্রতি নানাবিধ সম্প্রদায়ের কন‍্যা - তুতো বোন বা দিদি, বান্ধবী, নিজের বা পাড়াতুতো বৌদি, কাকিমা, মামীমা গোত্রের নারীদের - কিঞ্চিৎ কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হয়ে থাকে। তদুপরি তখন আমার বয়স এবং উপস্থিতি কোনোটাই তাদের কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়নি। 
     
    কোনো মেয়ে মুখে স্বীকার না করলেও গ্ৰেটা গার্বোর মতো বিষন্নতায় আক্রান্ত সুন্দরী‌ না হলে সচরাচর মেয়েরা তাদের  মোহিনী মায়ার সার্টিফিকেট পুরুষের দৃষ্টিতে অবলীলায় পড়তে পারে। নিজের অজান্তে‌ই পড়তে‌ও চায়‌‌। যদিও তা স্বীকার করতে চায় না। নারীসৌন্দর্যের প্রতি পুরুষের নির্লিপ্ত উদাসীনতা সহ‍্য হয় না অধিকাংশ নারী‌র‌‌ই। সুপুরুষ ব‍্যক্তি‌র উপেক্ষায় তো হতে পারে  কিঞ্চিৎ অন্তর্দাহ‌ও। তবে গায়ে পড়া পুরুষ‌ অধিকাংশ মেয়ের বিরক্তিকর লাগে যদি না সে নিজেও হয় Nymphomaniac ।
     
    সচরাচর ডাকসাইটে সুন্দরী‌দের মনোবাঞ্ছা হয় পুরুষ‌রা তাদের মোগল গার্ডেনে ফুটে থাকা মহার্ঘ্য ইরাণী গোলাপের মতো দূর থেকে দেখে‌ মোহিত হয়ে আহা উহু করবে, বাঞ্ছিত কেউ কাছে এসে নাক না ঠেকিয়ে মৃদু সুবাস‌ নিলেও ক্ষতি নেই, তবে ছিঁড়ে কোটের পকেটে গুঁজতে গেলেই ঘটবে ছন্দপতন - বিগড়ে যাবে সুন্দরী‌র মুড। কোন্ কাঙ্ক্ষিত কোটের পকেটে তিনি শোভিত হবেন সেটা তিনি‌ই ঠিক করবেন অদৃশ‍্য সুতো নেড়ে। এসব আমার পুঁথিগত বিদ‍্যে নয়, কিছু উপলব্ধি‌জাত অনুভব‌। তবে তা কারুর ভুল‌ মনে হলে সবিনয়ে জানি‌য়ে রাখি, আমি কেবল আমার উপলব্ধি‌র কথাই বলছি, জগতের সমগ্ৰ সুন্দরী‌ সম্প্রদায়ের ক‍্যারেকটার সার্টিফিকেট বিলি করতে বসি নি। প্রতিটি মানুষ আলাদা বলে তাদের মানসিকতা‌ও আলাদা।
     
    মনে হয় কৈশর থেকে যত কন‍্যা‌র সাহচর্যে আনন্দ পেয়েছি তাদের কারুর‌ই আমায় অতিরিক্ত আদেখলা বলে মনে হয় নি। তাই বান্ধবী, অফিস কলিগ, ট্রেকমেট, প্রবাসে বঙ্গীয় মহলে বিভিন্ন বয়সী মেয়ে বা মহিলাদের সাথে সাবলীলভাবে গল্পগুজব, হাসি তামাশা করে প্রভূত আনন্দ পেয়েছি। ভ্রমণপথে সম্পূর্ণ অপরিচিত মহিলা‌দের সাথেও স্বচ্ছন্দে গল্প করেছি। তারাও সাবলীলভাবে  কথা বলেছে।
     
    যা আনন্দ দেয়, তাতে ক্ষণিকের বিচ‍্যুতিতে মালিন‍্য লাগুক, কখনো চাইনি। তবে এ‌ও মনে হয় কন‍্যা ফন‍্যা নয় - আমার জন্ম হয়তো মস্করা রাশি, ফাজিল তিথি, ইয়ার্কি গণ, ফক্কুড়ি লগ্নে। তাই হয়তো আকৈশর রয়ে গেছে ফচকেমির স্বভাব। বার্ধক‍্যে‌ও যায়নি বালকসূলভ চাপল‍্য। গভীর প্রজ্ঞা‌র অভাবে সিরিয়া‌স হতে পারা কপালে নেই। হতেও চাইনি কখনো। অবচেতনে‌র সুপ্তবাসনা‌ই তির্যক‌ভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে আমার নানা হালকা চালের অসার লেখায়। 
     
    শুক্লা‌ও ছিল শুভ্রার মতো‌ই ফরসা। তখন আমার সদ‍্য প্রস্ফূটিত চোখে লেগেছিল নিখুঁত সুন্দরী। কিন্তু শুক্লা‌র সৌন্দর্য ছিল প্রতিমা‌র মতো - পবিত্র, কোমল, মায়াবী। যেমন ছিল আমার মিষ্টি তোতু মাসি বা তপতী মাসি। ঐ কোয়ার্টারে‌ তখন দেখেছি আর এক সিনিয়র পরী - দেবযানী চ‍্যাটার্জী। এক ডিএসপি সাহেবের কন‍্যা। তখন কুড়ি একুশের সেই দীর্ঘাঙ্গী পরিপূর্ণা যুবতী‌ও ছিল জগদ্ধাত্রী‌র মতো অভিজাত সুন্দরী। শান্ত, স্নিগ্ধ এক রূপবতী কন‍্যা। যখন তাকে প্রথম দেখি তখন আমি বছর বারো। নারী সৌন্দর্যের মহিমা উপলব্ধি‌র বয়স সেটা নয়। তবু ঐ বয়স থেকেই নানা অস্পষ্ট বোধে‌র উন্মেষ শুরু হয়। 
     
    দেবযানী যখন রাজহংসীর মতো হেঁটে যেতো, এখন মনে হয় - লাগতো যেন রাজ রাজেশ্বরী‌র জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। কখোনো মুক্তোর মতো দাঁতে ঝিলিক তুলে মৃদু হেসে বলতো, 'কী, ভালো তো?' ভ্রাতৃপ্রতিম এক পরিচিত কিশোরের প্রতি নিছক কথার কথা। তবু তাতেই মনে জ্বলে উঠতো রংমশাল - কী সুন্দর! 
     
    'মেলিনা' সিনেমায় তেরো বছরের রেনাটো, মেলিনা‌র ভূমিকা‌য় তার দ্বিগুণ বয়সী ইতালিয়ান স্ক্রিন গডেস মনিকা বেলুচ্চির প্রতি অবুঝ মোহে দিশেহারা। তবে মেলিনা‌র প্রতি রেনাটো‌র মোহে মেলিনা‌র সৌন্দর্যের সাথে জৈবিক আকর্ষণ‌‌ও ছিল তীব্র। দেবযানী‌কে প্রথম দেখে বারো বছরের আমার মুগ্ধতা‌য় তার সৌন্দর্যের মহিমাই ছিল মূখ‍্য। বড় হয়ে বুঝেছি, আমি আসলে ধ্রুপদী নারী সৌন্দর্যের উপাসক যার আবশ‍্যিক উপাদান কোমলতা, মাধুর্য‌, আভিজাত্য। সত‍্যজিৎ রায় কোথাও বলেছিলেন, তাঁর কাছে বলিউডের ধ্রুপদী নারী সৌন্দর্যের প্রতীক - জয়াপ্রদা। 
     
    শুক্লা‌র‌ ছিল দেবী প্রতিমা‌র মতো একমাথা কোঁকড়ানো চুল। কালো দীঘল চোখ। ক্রমশ মেয়েদের চোখের প্রতি আমার সবিশেষ দূর্বলতা তৈরী হয় - বিশেষ করে কাজল নয়নাদের প্রতি। তাই বহু বছর পরে, এক পাহাড়ি দাদা যখন একটি মেয়ের সাথে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন দীঘায় - আমি প্রথম দর্শনে মুগ্ধ হয়েছিলাম তার গভীর কালো চোখের স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে, শান্ত আচরণে, আদুরে ভঙ্গি‌মায়। তেত্রিশ বছরের সহাবস্থানে‌ও সে‌ ঘোর কাটলো না ক্রমশ বদলে গেলো মায়ায়। শারীরিক কুচকাওয়াজের উত্তেজনা সাময়িক। সে আকর্ষণ ক্রমশ দাঁত মাজার মতো অভ‍্যাসে পরিণত হয়। বিবাহিত জীবনে পরিণত বয়সে দাম্পত্য সম্পর্কে‌র মাধুর্যের শিকড় নিহিত থাকে পরস্পরের প্রতি স্নেহ‌মিশ্রিত মায়ায়। এও আমি ব‌ই পড়ে জানিনি।
     
    শুক্লা হাসলে দেখা যেতো নকুলদানার মতো মিষ্টি সুছাঁদ দাঁতের সারি। ভারি মায়াময় ছিল শুক্লার ব‍্যবহার। বয়সে‌ও বড়। তাই শুক্লা‌র হাসি, তাকানো, নরম করে কথা বলার ভঙ্গি খুব ভালো লাগলেও দেবযানী‌র মতোই, তার প্রতি‌ও কোনো জৈবিক উত্তেজনা অনুভব করিনি। আকর্ষণের আধার তার শারীরিক সৌন্দর্য‍্য ও ব‍্যবহার হলেও সে ভালো লাগার আবেশ  ছিল প্লেটোনিক।
     
    দেবযানী‌দের পাশের ফ্ল‍্যাটে থাকতো আর এক ডিএসপি। তাঁর মেয়ে হিমানী (কল্পিত নাম) ছিল আমার সমবয়সী। সে‌ও খুব মিষ্টি দেখতে ছিল। আর বেশ আদুরে। বুঝতাম সে ছিল দূর আকাশের তারা - আমার নাগালের বাইরে। পরে হেমন্তের গানে খুঁজে পেয়েছি আমার কিশোর মনের ভাবালুতার প্রতিফলন: 
      
    "আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি,
    আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি।

    ... ... ... ... ... ...
    কস্তুরী মৃগ তুমি – আপন গন্ধ ঢেলে
    এ হৃদয় ছুঁয়ে গেলে,
    সে মায়ায় আপনারে ঢেকেছি।"


    আমি‌ও দূর থেকেই দেখতাম তাকে। মনে মনে একতরফা রাঁধতাম নানা খেয়ালী পোলাও। আমি পড়তাম এক ধ‍্যারধেরে বাংলা মাধ‍্যম ইসকুলে। সে পড়তো ১৯৩৭ সালে স্থাপিত এক খানদানী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল - সালকিয়া ডন বস্কোতে। সচ্ছল পরিবারের সযত্নে লালিতা সেই স্বাস্থ্য‌বতী পঞ্চদশী যখন সবুজ ইউনিফর্ম পরে হাঁটু থেকে অনাবৃত মোম পায়ে নিউকাট খটখটিয়ে স্কুল বাসে উঠতো - রাহুল‌দার গানের কলির মতো‌ই "একটি কিশোরের" মৃদু দীর্ঘ‌শ্বাস পড়তো তিনতলার ব‍্যালকনি থেকে।
     
    কৈশরে শুভ্রা, শুক্লা, দেবযানী, হিমানীর মতো কিছু মহার্ঘ্য কন‍্যারা অজান্তেই আমায় দিয়েছিল একটি বর - ভবিষ্যতে নারী সৌন্দর্য্যে অভিভূত হতে তারা আমার নাকটা আমার প্রেক্ষাপটে‌র তুলনায় একটু উঁচু তারে বেঁধে দিয়ে‌ছিল। ফলে পরে অনেকের সাথে মিশে, অনেক আনন্দ পেয়েও বিয়ের অনেক আগে, প্রাকযৌবনে, মাত্র একজন ছাড়া আর কারুর প্রতি‌ই কখনও তেমন দূর্বলতা অনুভব করিনি‌। 
     
    বিবাহিত সম্পর্কে আবদ্ধ হ‌ওয়ার পরে নিছক ভালো লাগা যদি প্রশ্রয়ে‌র হাওয়া ও সংযমের অভাবে দূর্বলতা‌য় পর্যবসিত হয়ে যায় -  তার অমোঘ পরিণাম অন্তর্দ্বন্দ্বজনিত মর্মবেদনা। আমায় তা ভুগতে হয়নি। বিয়ের পর ব‍্যালকনি,  ড্রয়িং রুম, বেডরুমের ভূমিকা, সীমারেখা আমার কখনো গুলি‌য়ে যায়নি। তবে দৃশ‍্যমান সৌন্দর্য্য‌ই তো সব নয়। সহজ, সুন্দর সাহচর্যের অমল আনন্দে‌র মাধূর্য‌ও মহার্ঘ্য প্রাপ্তি। সহ‍্যাদ্রীতে বেশ কিছু ট্রেকে গিয়ে যেমন অনুভব করেছি সমবয়সী রোহিণীম‍্যাম বা বয়সে অনেকটাই ছোট অশ্বিনী বা স্বপ্নালীর সাহচর্যে। আমি মনে করি পুরুষ হয়ে জন্মে এসব আমি পেয়েছি প্রকৃতিদত্ত উপহার হিসেবে। মর্যাদার গণ্ডির মধ‍্যে থেকে নানা সুন্দর সাহচর্যে‌র স্বাদ পেয়ে ধন‍্য হয়েছি। পরীরা আমায় মুগ্ধ করেছে বহুবার। আমি তাদের কাছে সবিশেষ ঋণী‌ও।

    পুনশ্চঃ - এ লেখা‌র শুরুতে রাখা পরীর ছবিটি কিশোর কুমারের তৃতীয় পত্নী লীনা চন্দ্রভারকর মহোদয়ার। কৈশর স্মৃতি‌র রেশের সাথে কল্পনায় বাস্তব উপমা মিশিয়ে অনেকবার মনে হয়েছে, তখন কোয়ার্টারে দেখা দেবযানীর আভিজাত্য‌ময় সৌন্দর্য ও কোমলতা মনে হয় ছিল এমনধারা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 111.223.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১৩527171
  • পড়তে পড়তে দাদুর লেখা চতুরঙ্গ মনে এল। খানিকটা উদ্ধৃত করি।
     
    নারীর হৃদয়ের রহস্য জানিবার মতো অভিজ্ঞতা আমার হইল না। নিতান্তই উপর হইতে, বাহির হইতে, যেটুকু দেখিলাম তাহাতে আমার এই বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে, যেখানে মেয়েরা দুঃখ পাইবে সেইখানেই তারা হৃদয় দিতে প্রস্তুত। এমন পশুর জন্য তারা আপনার বরণমালা গাঁথে যে লোক সেই মালা কামনার পাঁকে দলিয়া বীভৎস করিতে পারে; আর তা যদি না হইল তবে এমন কারো দিকে তারা লক্ষ্য করে যার কণ্ঠে তাদের মালা পৌঁছায় না, যে মানুষ ভাবের সূক্ষ্ণতায় এমনি মিলাইয়াছে যেন নাই বলিলেই হয়। মেয়েরা স্বয়ম্বরা হইবার বেলায় তাদেরই বর্জন করে যারা আমাদের মতো মাঝারি মানুষ, যারা স্থূলে সূক্ষ্ণে মিশাইয়া তৈরি-- নারীকে যারা নারী বলিয়াই জানে, অর্থাৎ, এটুকু জানে যে, তারা কাদায় তৈরী খেলার পুতুল নয়, আবার সুরে তৈরি বীণার ঝংকারমাত্রও নহে। মেয়েরা আমাদের ত্যাগ করে, কেননা আমাদের মধ্যে না আছে লুব্ধ লালসার দুর্দান্ত মোহ, না আছে বিভোর ভাবুকতার রঙিন মায়া; আমরা প্রবৃত্তির কঠিন পীড়নে তাদের ভাঙিয়া ফেলিতেও পারি না, আবার ভাবের তাপে গলাইয়া আপন কল্পনার ছাঁচে গড়িয়া তুলিতেও জানি না; তারা যা, আমরা তাদের ঠিক তাই বলিয়াই জানি--এইজন্য তারা যদি-বা আমাদের পছন্দ করে, ভালোবাসিতে পারে না। আমরাই তাদের সত্যকার আশ্রয়, আমাদেরই নিষ্ঠার উপর তারা নির্ভর করিতে পারে, আমাদের আত্মোৎসর্গ এতই সহজ যে তার কোনো দাম আছে সে কথা তারা ভুলিয়াই যায়। আমরা তাদের কাছে এইটুকুমাত্র বকশিশ পাই যে, তারা দরকার পড়িলেই নিজের ব্যবহারে আমাদের লাগায়, এবং হয়তো-বা আমাদের শ্রদ্ধাও করে, কিন্তু-- যাক, এ-সব খুব সম্ভব ক্ষোভের কথা, খুব সম্ভব এ-সমস্ত সত্য নয়, খুব সম্ভব আমরা যে কিছুই পাই না সেইখানেই আমাদের ড়িত-- অন্তত, সেই কথা বলিয়া নিজেকে সান্ত্বনা দিয়া থাকি।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৯527174
  • বা: ! একটা অবাক বিস্ময় নিয়ে জীবন দেখে গেলাম। এতো  তারই ছবি এই মুগ্ধতা। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪০527176
  • @পলিটিশিয়ান,
    চতুরঙ্গ আমি পড়িনি। এই লেখা‌টির প্রেক্ষিতে উদ্ধৃতিটি ভাবালো। কয়েকবার পড়লাম। একটি বিশেষ ব‍্যক্তি‌গত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে কিছুটা রিলেট‌ও করতে‌ পারলাম। সেই বিশেষ অভিজ্ঞতা‌টি 'দু নৌকায় পা - পুনশ্চঃ' লেখা‌য় আছে। সেই প্রসঙ্গ  পরবর্তীতে আসবে আমার আর একটি লেখা - 'নেভা ধূপের সুবাস'-এর তৃতীয় পর্ব 'অবাক রামধনু' লেখায়।
     
    অবাক রামধনু - বছর দুয়েক আগে লেখা, তখন ভেবেছিলাম ঐ তৃতীয়‌ পর্বটি‌‌ই হবে অন্তিম সিক‍্যুয়েল। এখন দেখছি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। দেখা যাক জল কোথায় গড়ায়, তা নিয়ে লেখা উচিত হবে কিনা, তাও ঠিক বুঝতে পারছি না।  আপাততঃ থাক সাসপেন্স।

    উদ্ধৃতির শেষ লাইনে ছোট্ট একটা টাইপো সংশোধন করে দিলাম  - "খুব সম্ভব আমরা যে কিছুই পাই না সেইখানেই আমাদের ড়িত --" - ওটা হবে জিত। দাদুর লেখা বলে ভেবেছিলাম হয়তো 'ড়িত' বলে‌ও কোনো শব্দ থাকতে পারে যার অর্থ আমার জানা নেই।

    ভাবনা‌য় নাড়া দেওয়ার জন‍্য ধন‍্যবাদ। গুরুতে মাঝেমধ্যে পাটকেল পেলেও, এমন মন্তব্যই ফোরামে লেখা‌র প্রাপ্তি।

    @হীরেনদা,
    বহু দেশ ঘুরে, বহু মানুষ দেখে আপনি এক বৈচিত্রময় জীবন কাটিয়েছেন। এমন সৌভাগ্য সবার হয়না। আপনার মতো বর্ণময় জীবনাভিজ্ঞতায় সিক্ত মানুষের‌ও এই সামান্য স্মৃতি‌চারণ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে বাস্তবিক আনন্দিত হলাম।
  • পলিটিশিয়ান | 111.223.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১০527177
  • সমরেশবাবু 
     
    জানি তো খুঁচিয়ে দিলে কিছু প্রাপ্তিযোগ আছে। নইলে কে আর পরিশ্রম করে কোটেশন খুঁজে আনে! 
     
    টাইপো ধরে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৬527180
  • @পলিটিশিয়ান,
    আসবে - মোলায়েম খোঁচানোর প্রাপ্তিস্বরূপ অবশ্যই আসবে দুটি মুচমুচে সিক‍্যুয়েল। তবে "অলীক উষ্ণতা" পড়ার আগে তার প্রিক‍্যুয়েলটি (নেভা ধূপের সুবাস - ১৭.১১) রিক‍্যাপ করে নিলে রসাস্বাদনে ধারাবাহিক‌তা বজায় থাকবে। কেননা দ্বিতীয়‌টি আসতে দেরী হয়ে গেল। 

    নেভা ধূপের সুবাসে একটি তৈলচিত্রের উল্লেখ ছিল - Awakening of Galatea. ৭৯তে দাদার সাথে হায়দ্রাবাদ বেড়াতে গিয়ে সালারজং মিউজিয়ামে ঐ চিত্রটি‌র সামনে এক উনিশের তরুণ হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে‌ পড়েছিল। দাদা মুচকি হেসে টুসকি দিয়ে‌ছিল ভাইকে - আরো তো ছবি আছে - চ‌অঅল, তুই তো এখানেই হাঁ করে দাঁড়িয়ে গেলি।
     
    কিন্তু পরী-তৃপ্ত ভাই আবার থমকে যায় Psyche on her bath’এর সামনে। এতো রিয়‍্যালিস্টিক‌ও হতে পারে তৈলচিত্র! অতঃপর আবার দাঁড়িয়ে যায় Biblis এর সামনে। অবশেষে জমে যায় পূর্ণাবয়ব Veiled Rebecca ভাস্কর্যের  সামনে।  শ্বেতপাথরে ছেনি হাতুড়ি দিয়ে খোদিত কবিতা যেন! 
     
    ৭৯তে হাতে ছিল Agfa Click IV সাদাকালো পাতি ক‍্যামেরা। তাতে ঐ সব পরী-মায়ার কোনো কিছুই ধরা মুশকিল। 
     
    ২০১৭তে আবার গেলাম হায়দ্রাবাদ - শ‍্যালিকা ও তার মেয়ের সাথে। শ‍্যালিকার কন‍্যা জীবনে প্রথম চাকরি‌তে জয়েন করবে হায়দ্রাবাদে। শ‍্যালিকা‌র জ‍্যাম্বু সময়ের আগে চাকরি ছেড়ে ফিরি বসে আছে, তাই যাওয়া। ভায়েরাকে তাই চাকরি‌‌তে ছুটি নিয়ে আসতে হোলো না।
     
    কন‍্যা‌র জয়েনিং ফর্মালিটি মিটলে এক দুপুরে  - ৩৮ বছর পর - আবার গেলাম সালারজং মিউজিয়াম। অনেক কিছু ভুলে গেছি। কিন্তু ক্ষীণ‌ভাবে মনে আছে চার পরীর কথা - রেবেকা, গ‍্যালেটিয়া, সাইকি ও বিবলিস।  একটি বিচিত্র কাঠের ডাবল স্ট‍্যাচুর স্মৃতি‌‌ও ভুলিনি। তার একদিকে পুরুষমূর্তি (মেফিষ্টোফিলিস) অন‍্যদিকে নারী (মার্গারিটা)। নারীমূর্তি‌টি ফুল সাইজ আয়নায় প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়।

    তখন আমার ছিল Nikon D750 Full frame DSLR - কিন্তু দুম্বো যন্ত্রটি বাড়িতে‌ই রেখে এসেছি - বেড়াতে তো আর যাইনি। গেছি‌লাম পারিবারিক দায়িত্ব‌ পালনে। তাই গরীবের আপেল MI5 মোবাইল ক‍্যামেরা‌য় চেষ্টা করলুম ক‍্যানভাসের পরীদের মাধূর্য যথাসম্ভব ধরার। তা করতে গিয়ে সেই সাতান্নতেও অভিভূত হয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে‌ছিলাম তাদের সামনে। পরীদের কাজ‌ই হচ্ছে আমার মতো সামান্য মানুষকে বিমোহিত করে দেওয়া। তা বাস্তবে হোক বা চিত্রে। সেবার, “কী রে চ‌অঅঅল” -  বলে টুসকি দিতে দাদাও ছিলনা। তাই আশ মিটিয়ে তাদের দেখেছি। আজ‌ও আবার দেখলাম - আপনাকে জবাব দেওয়ার ছলে। 













     
  • পলিটিশিয়ান | 103.137.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫527182
  • নেভা ধূপের সুবাস পড়ে ফেললাম। সিকোয়েল চটপট আসুক।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৪527186
  • @পলিটিশিয়ান,

    'অলীক উষ্ণতা' অনেকদিন আগে লেখা। গুরুতে পোষ্টানোর আগে একটু সংশোধন করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু হয়ে উঠছিল না। আপনার আগ্ৰহ তা করিয়ে নিলো। পোষ্টাচ্ছি। দেখুন কেমন লাগে। ভালো না লাগলে‌ও অকপটে জানাবেন। আপনার প্রকাশভঙ্গি মার্জিত। তাই মনে করার কিছু নেই।
    ধন‍্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন