তখন রেমিট্যান্স প্লাবনে ভাসছে পুরো দেশ, যেখানে বৈশ্বিক রেমিট্যান্স প্রায় ৭% সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩৬%, অর্থবছর ২০২১ এর শেষ লগ্নে রেমিট্যান্স অবস্থান করছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলারের অতিকায় চুড়োয়। বাংলাদেশের এই রেমিট্যান্স রূপকথার নেপথ্যে ২ শতাংশ প্রণোদনাকে দেখা হচ্ছিল তুরুপের তাস হিসবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই তাস যখন ছিল না, তখন রেমিট্যান্সগুলো কই ছিল? অবৈধ চ্যানেলে এলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতেই ছিল তারা এবং মানুষের জীবনপ্রবাহেও ভূমিকা রেখেছে। হ্যাঁ, সরকারের হাতে টাকাগুলো আসায় আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যাবে এই সম্পদ। কিন্তু ফুলে যাওয়ার রিজার্ভ (সে মুহুর্তে ৪৬.০৮ বিলিয়ন ডলার) লোভী মানুষের হাতে পড়লে তার গন্তব্য হতে পারে কানাডা, মালয়শিয়ার মত কোন স্বর্গ; সেক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের সাথে বৈধতার সনদ মোড়া রেমিট্যান্সের কোন গুণগত পার্থক্য থাকবে না, মানুষের জীবনমান থেকে যাবে একই রকম।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একদা বলেছিলেন, ‘’There is nothing more deceptive than an obvious fact’’। মানে হল, চোখ দিয়ে যা দেখা যায়, কান দিয়ে যা শোনা যায়, আর নাসারন্ধ দিয়ে যা শোঁকা হয়, তা-ই হতে পারে সবচেয়ে কুহেলিকাপূর্ণ, তা-ই তোমায় সবচেয়ে বেশী প্রতারণা করতে পারে।
সেই ঘোর করোনাকালেও অনেক ব্যাংকের মুনাফা প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কোভিড হানা দেয়ার সূচনাপর্বে ছয় মাস মেয়াদি আমানতের সুদ ৬-৯ শতাংশ থাকলেও পরে তা দেড় শতাংশে নেমে এসেছে। এদিকে পুরো ২০২০ ছাড় পাওয়ার পর ঋণগ্রহীতাদের এ বছরের মার্চে টাকা দেয়ার কথা ছিল, পরে মার্চের প্রদেয় টাকার ২০% জুন-সমাপনীতে দিলেই নিয়মিত থাকার সুযোগ দেয়া হয়, সব শেষে, জুন-প্রদেয় অর্থের প্রায় ২০ ভাগ পরিশোধের সময়সীমা আগস্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে কুঋণের বিকট থাবা থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে মুনাফার মনোহর প্রাসাদকে, যদিও ঋণ পরিশোধে নীতি ছাড়ের প্রবল বায়ু ব্যাংকতরীগুলোকে মাঝ নদীতেই ডুবিয়ে দিতে চলেছে।
সেই সময় কর্পোরেট গোলাও মুনাফাও দিয়ে ভরে উঠছে, মজার ব্যাপার হল, অনেক ক্ষেত্রেই তা ব্যাংকের সুদহার ১৪ থেকে ৭ শতাংশ হওয়ার ফসল। দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এসিআই ২০২০-২১ এর জুলাই-মার্চে ২২.৩১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, অথচ পূর্ববর্তী অর্থবছরে একই সময়ে তারা ১০০ কোটি টাকা লোকসান গুণেছিল। এসিআই জানিয়েছে, অর্থায়ন ব্যয় ২৪.৭% হ্রাস পাওয়ায় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অর্থসংস্থানের খরচ কমে অতিরিক্ত বিনিয়োগ হলে, এবং তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি পেলে তাকে প্রগতি বলা যায়, কিন্তু এক পাত্র থেকে আর এক পাত্রে অর্থের উড়ে যাওয়ায় শুধু অংকের কলেবরই বাড়ে।
স্টিভেন ই ল্যান্ডসবার্গ তার ‘দ্য আর্মচেয়ার ইকোনোমিস্ট’ গ্রন্থে ‘হাউ স্ট্যাটিসটিকস লাই’ প্রবন্ধে বলেছিলেন, “There are always plenty of people around to observe a crowd. There is nobody around to observe a vacuum.’’ নীতি নির্ধারকরা জিডিপির প্রায় ৪.৪% এর সমতূল্য ১,২৪,০৫৩ কোটি টাকার একটি প্রনোদনা প্যাকেজের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ প্রমাণ পেয়েছে, চলতি মূলধনের কথা বলে মানুষ এই টাকা দিয়ে জমি, গাড়ি, বাড়ি, শেয়ার কিনেছেন। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক কর্তৃক ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেয়াদি ঋণ বিতড়ণ বেড়েছে ১৭৮%, অথচ আদায় বাড়েনি ১ শতাংশও। নীতিনির্ধারকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করে বন্ড বাজার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে, অথচ নিবিড় পর্যবেক্ষণে বেরিয়ে এসেছে প্রধান খেলোয়াড়দের পাতানো ম্যাচের খবর। এইতো সেদিন বরিশালে পানের বাম্পার ফলনের খবর দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু ভেতরের খবর হল, ভরা মৌসুমেও পানের দাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় পানচাষীরা।
সেই সময়ের খবরগুলোর মধ্যে সব থেকে কৌতূহলোদ্দীপক হল, মানুষের আয়ুরও প্রবৃদ্ধি হয়েছে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য আয়ুস্কাল ২০১৯ সালের ৭২.৬ বছর থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৭২.৮ বছর হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানায় নিউমোনিয়া ও সর্দি জাতীয় অসুখে মৃত্যু কম হয়েছে। ওদিকে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউএয়ার-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুর গুনবাচক মানে বাংলাদেশ ২০২০ এর নিকৃষ্টতম দেশ এবং ঢাকা দুষিততম শহরের মর্যাদায় ভূষিত।
বিশিষ্ট কমেডিয়ান ও সংগীত শিল্পী হেনরি ইয়ংমেন একবার বলেছিলেন, আমেরিকানরা ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ বছর আগে দশ ডলার মূল্যের মুদীপণ্য বহন করতে দুইজন লোক লাগতো, আজ একটি পাঁচ বছর বয়সী শিশু এই ভার বহন করতে পারে।‘ বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে ৩য় হয়েছে প্রবৃদ্ধির পরীক্ষায়, সেই মহামারীর মধ্যেই। মাথাপিছু আয় ২০১৯ সালের ২,০৬৪ ডলার থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ২,২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, এবং ২০২১ সালে ২,৪৬২ ডলারে পৌঁছুনোর প্রাক্কলন করা হয়েছে। সর্বত্র প্রবৃদ্ধি দেখছি আমরা, প্রবৃদ্ধির জ্বরে আক্রান্ত গোটা দেশ, এদিকে প্রবৃদ্ধির উপচে পড়া জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে বসেছে মানুষ। নতুন দরিদ্রে ভরে গেছে দেশ। বিশ্ব ব্যাংক অনুযায়ী, চলমান মহামারি দারিদ্র্য হার ২০.৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নিয়ে গেছে।
জিডিপিকে নিয়ে আগ্রহ নতুন কিছু নয়, একে একক মাপকাঠি ধরে দেশের স্কোরশিট বের করার ইতিহাস অনেক পুরনো এবং ব্যাপ্তি সারা বিশ্ব জুড়েই। অথচ যতই দিন যাচ্ছে, ততই শ্রী হারাচ্ছে এই সোনার কাঠি এর অন্তর্গত দুর্বলতার জন্য। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একবার লিখেছিলঃ ‘’যদি একটি শিল্পকারখানা এর পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দুষন সৃষ্টি করে এবং সরকারকে সেই দুষিত পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করার বিল পরিশোধ করতে হয়, তাহলে এই দুইটি কাজই জিডিপিতে যোগ করে।‘’ আমাদের দেশের নির্মাণযজ্ঞে আমরা দুইটি চিত্র দেখতে পাই, একদিকে শূন্য জায়গায় নতুন বাড়ি হচ্ছে, অন্যদিকে পুরনো বাড়ি ভেঙ্গেও নতুন বাড়ি হচ্ছে। জিডিপি পুরনো বাড়ির ক্ষতকে স্পর্শ না করে দুইটি চিত্রকে একই দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করে ।
আইভরি কোস্ট ১৯৬০ এর দশকে আফ্রিকার জন্য প্রবৃদ্ধির উদাহরণ ছিল, আর্জেন্টিনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে বিশ্বের প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলির একটি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল, মেক্সিকো উত্তর আমেরিকার প্রবৃদ্ধি তারকা হিসেবে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছিল ১৯৫০ থেকে টানা তিরিশ বছর। কিন্তু দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি-ঝড় থেমে গিয়েছিল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অভাবে। আমলাতন্ত্র, জমির রেকর্ড, সম্পত্তি অধিকার, শিক্ষা, এবং বিচার ব্যবস্থা – রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোতে অব্যবস্থাপনা তাদের প্রবৃদ্ধির বেলুন ফুটো করে দিয়েছিল। অন্যদিকে, কোরিয়া ১৯৬০-৮০ … এই বিশ বছরে তার মাথাপিছু আয় ২০ গুন বাড়িয়ছে, ইতিহাসে যে রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভাংগতে পারেনি। কোরিয়া পড়ে যায়নি কারণ সে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সুদৃঢ়করনে মনোযোগী ছিল শুরু থেকেই।
প্রবৃদ্ধি জ্বরে ভোগা বহু দেশ মায়োপিয়া রোগে আক্রান্ত, যারা কাছে খুব ভাল দেখতে পেলেও দূরে দেখতে ব্যর্থ হয়। অর্থনীতিবিদদের কাছে ঝলমলে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে মধ্যম মাত্রার অথচ দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি কাম্য। এমন একটি প্রবৃদ্ধি তারা প্রত্যাশা করেন যেখানে অর্থনীতির প্রতিটা শাখা সুষমভাবে এগুবে, বড় হয়ে উঠবে। যেমন, ধরা যাক, একটি দেশ শুধু শিল্পের উপর ভর করে বেশী প্রবৃদ্ধি করে ফেলল, অন্যদিকে, আর একটি দেশ কৃষি ও শিল্প দুটোকে ভর করে আগের দেশটির থেকে কম প্রবৃদ্ধি করল, সেক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা গুনবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে পরের দেশটির প্রবৃদ্ধি বেশী হয়েছে বলে রায় দেবেন। এই বিষয়টিকে জোর দিতেই আইএমএফ ‘কোয়ালিটি গ্রোথ ইনডেক্স’ প্রস্তাব করেছে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সামাজিক উপাদানকে সর্বাগ্রে রাখে। কিন্তু এই ‘কোয়ালিটি গ্রোথ ইনডেক্স’ও আজ প্রশ্নের মুখে, একটি দেশের বিদ্যমান শাসন-প্রণালী দীর্ঘমেয়াদে তাকে আর্থিক বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে কিনা, এই সূচক তার উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। যেমন, আসবাবশিল্প, নির্মাণশিল্প, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র ইত্যাদি উচ্চ প্রবৃদ্ধি যতটা নিশ্চিত করতে পারে এই মুহুর্তে, তারও থেকে বেশী নিশ্চিত করতে পারে ভবিষ্যত ধ্বংসের রূপরেখা। অসংগতি দূর করতে তাই তৈরী হয়েছে ‘এম্পাওয়ারড গ্রোথ ইন্ডেক্স’ যা অর্থনীতির সক্ষমতাকে বিচার করে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির কথা বলে।
আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রবার্ট গর্ডনের মতে, প্রবৃদ্ধি বলে কিছু নেই এখন, এর মৃত্যু ঘটেছে ১৯৭৩ সনের ১৬ অক্টোবর, যেদিন ‘ওপেক’ তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পশ্চিমের দেশগুলোতে দশক-জুড়ে স্থবিরতা নেমে এসেছিল, সেই থেকে মন্থর প্রবৃদ্ধি চলছেই। বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে পুঁজি দুর্ল্ভ ছিল, শ্রমের উর ভর করে সে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, পরে আয় ও সঞ্চয়ের উল্লম্ফন পুঁজিতে প্রাচুর্য এনে দেয়, এদিকে অধিক পুঁজি সীমিত সংখ্যক শ্রমিকের হাতে চলে আসায় পুঁজির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, ফলে প্রবৃদ্ধি আবার মন্থর হয়ে পড়ে, এভাবে অর্থনীতি ভারসাম্যপূর্ণ প্রবৃদ্ধির ধারায় চলে আসে। স্বল্প মেয়াদে ভারসাম্যহীনতা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে শ্রম, মূলধন এবং মানবসম্পদ একই হারে বাড়তে থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের জনতত্ত্ব ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ রবার্ট স্লো কোন দেশের এই দীর্ঘমেয়াদী সুষম প্রবৃদ্ধিকে ‘প্রাকৃতিক প্রবৃদ্ধি’ হিসবে অভিহিত করেন। আর্নেস্ট ফ্রেডরিখ শুমেখার তার ‘স্মল ইজ বিউটিফুল’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন, ‘প্রতিটি প্রাকৃতিক উপাদানের একটি পরিমাপ আছে, মাত্রা নির্দিষ্ট করা আছে তাদের আকার, বেগ, এবং হিংস্রতায়। প্রকৃতির বিধান তাই ভারসাম্যপূর্ণ, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়, সে জানে কখন থামতে হয়।‘
বাংলাদেশের আর্থিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাজস্ব আদায়ের ধীরগতি বার্ষিক উন্নয়ন অভিযানকে নিয়ন্ত্রনে রেখেছে, বিদেশী ঋণের ভারে জর্জরিত হতে হয়নি, সরকার দেশীয় উৎস থেকে ঋনের জন্য ঝাঁপিয়ে না পড়ায় বেসরকারী উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে। এই সংস্কৃতিটা আপনাআপনি তৈরী হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটা আশীর্বাদ। এর মূল কথা, উন্নতির গ্রাফে যাও, কিন্তু ধীরে ধীরে, ঋণ করে ঘৃত খাওয়া নয়। এটাই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রাকৃতিক পথ, অনেক চলকের সন্নিবেশে গড়ে উঠা এই পথ নিয়ে অতীতে প্রশ্ন ওঠেনি। এখন প্রবৃদ্ধির নেশায় সার্বভৌম বন্ডের মাধ্যমে টাকা এনে পরিবেশ দুষনকারী প্রকল্প খুললে দীর্ঘমেয়াদী সুষম প্রবৃদ্ধির পথকে কন্টকাকীর্ণ করাই হবে শুধু।
সাহিত্যিক দেবেশ রায় তার ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে বলেছেন, ‘শুধু হালবলদে চাষ হতে পারে, বিছন হলেই ফসল হতে পারে। ফসল হলেই তো আর ফলন হয় না। পাকা ও কাটা পর্যন্ত তো সেই ফসল মাঠে রাখতে হয়।‘ প্রবৃদ্ধি উন্মাদনা কাটিয়ে উঠে সবুজ ও সামাজিক বিনিয়োগ, টেকসই শিক্ষা ও প্রযুক্তি, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিকরণ, দূর্নীতি দূরীকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নজর দিলে গোলাভরা ফসলের সাথে স্বপ্নের ফলনও নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
…………
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।