এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আচার্য শহিদুল্লাহ

    gautam roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২১ জুলাই ২০২২ | ১০৩০ বার পঠিত
  • আচার্য মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
    গৌতম রায়
    আচার্য ডক্টর শহিদুল্লাহ ই বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন ঘিরে আলোচনায় বিজ্ঞানের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে প্রথম সোচ্চার  হয়েছিলেন। পবিত্র ইসলামের  সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্বন্ধ স্থাপনের ক্ষেত্রে আচার্য শহিদুল্লাহের যে অবদান, তা গোটা বিশ্বের সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে ,বাংলা তথা বাঙালির অবদানের এক ঐতিহাসিক মাত্রা সংযুক্ত করেছে। পবিত্র কোরআনকে নিছক এক ভাববাদের অংশ হিসেবে দেখানোর যে বস্তুবাদী প্রবণতা,  সেই জায়গায় ' পবিত্র কোরআন শরীফ ও বিজ্ঞান ' আচার্য শহীদুল্লাহের এই প্রবন্ধটি একটি মাইলফলক ।আল ইসলাম পত্রিকায় ১৩২২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায় আচার্যদেবের এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
                    এই প্রবন্ধে তিনি লিখছেন; 
     " কোরআন শরীফ কোন বৈজ্ঞানিক পুস্তক না হইলেও ইহা অবৈজ্ঞানিক নহে। কোরআনে আল্লার মাহাত্ম্য বর্ণনের জন্য প্রাসঙ্গিকরূপে এরূপ অনেক কথা বলা হইয়াছে, যাহা আশ্চর্যরূপে আধুনিক বিজ্ঞানের সহিত মিলিয়া যায়। যদি দুই এক স্থানে সামান্য কিছু অমিল দেখা যায়, তাহা আধুনিক বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণতা বসতঃই। "
                 বিজ্ঞান কোথায় এসে তার সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে , আর সেই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করবার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন কতখানি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে, সামাজিক দায়বদ্ধতার ভিতর দিয়ে মানব কল্যাণের এক ধারাবাহিক প্রবাহধারা গোটা বিশ্বে প্রবাহিত হচ্ছে, তা দেখানোর ভেতর দিয়ে ডক্টর শহীদুল্লাহ যে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মন ,সংস্কার মুক্ত চেতনা, পরধর্মের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা রেখে নিজ ধর্মের প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছেন ,তা তাঁর সমকালেও যেমন বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে ও ,অর্থাৎ ; ওই  প্রবন্ধটি লেখার পর ১০০ বছর অতিক্রম করে যাওয়ার পরেও ,তার বাস্তবতা ,মানবিক সত্তা, জীবনবোধ, ঐতিহ্যের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার, আমাদের সর্বস্তরের চিন্তা চেতনাকে এক উচ্চ মানবিক বোধি উপস্থাপিত করে।
                      বিগত শতাব্দীর  বিশ শতকের একটা বড় পর্যায়ে আচার্য শহিদুল্লাহ  যেভাবে তাঁর নিজের চরিত্রের সবথেকে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য, ঋজুতাকে   মানব সমাজের সামনে তুলে ধরেছিলেন, তা আজকের দিনে স্মরণ করলে আমাদের আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। সরল বিশ্বাসের উপর নিজের যাপন চিত্রটিকে প্রতিষ্ঠিত করবার বাইরে আচার্য শহিদুল্লাহ তাঁর দীর্ঘ জীবন কর্মের নানা পর্যায়ে  মাতৃভাষার জন্য নিছক আবেগ দেখান নি।একটা তাত্ত্বিক বোধ নির্মাণ করেছেন।যে বোধের সঙ্গে সামাজিক চেতনা, আর অবশ্যই অর্থনৈতিক মানদন্ড সম্পৃক্ততাকে প্রতিষ্ঠিত করবার  মানসে   লড়াই করেছেন।  
               এইসব কিছুর মূলেই কিন্তু তাঁর সহজ সরল যাপনচিত্রের  সবথেকে বড় অবদান ছিল ।কোনো প্রকার চালাকি ,চালবাজি বা কপটতা দিয়ে আচার্য শহিদুল্লাহ  কিন্তু তাঁর নিজের জীবনের একটি কাজও কখনো করেননি। ফলে চালাকির দ্বারা কেউ কোনো কাজ হাসিল করার চেষ্টা করছে, চালবাজি দিয়ে কেউ কিছু নিজের যোগ্যতার বাইরে পেয়ে যাচ্ছে ,বা কপটতার ভেতর দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করছে --এই সমস্ত কিছু দেখলে শহিদুল্লাহ সাহেবের শান্ত ,ঋজু চরিত্রের মধ্যে এক আশ্চর্য  বজ্র কঠিন দৃঢ়তা দেখতে পাওয়া যেত। তখন যেন এক ভিন্ন ডক্টর শহীদুল্লাহ কে আমরা দেখতে পেতাম ।যে মানুষটি স্নেহের আঁধার ,সেই মানুষটি পরিচিত অপরিচিত যেই হোক না কেন, চালবাজি দিয়ে কোনো কাজ হাসিল করবার চেষ্টা করছে, কপটতার ভেতর দিয়ে নিজের কোন কার্যসিদ্ধিতে উদগ্রীব ,বা চালাকির ভেতর দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করছে- এমন কিছু দেখলে স্নেহের আঁধারটি ক্রোধের এক ফুলিঙ্গে পরিণত হতো। 
                         ডক্টর শহীদুল্লাহ তাঁর দীর্ঘজীবনের একটা মুহূর্ত ও কোনরকম ছলনা দিয়ে নিজের কোন কাজ হাসিল করেননি। তাই কথাবার্তার  মাড় প্যাঁচে পছন্দের লোক বা অপছন্দের লোক কাউকেই ঘায়েল করা , এই সমস্ত ব্যাপার গুলো ছিল শহীদুল্লাহ সাহেবের চরিত্র বিরোধী। যে মানুষটি নিজের কার্যসিদ্ধির তাগিদে সত্যের অবহেলা  করছে , সেই মানুষটি তাঁর যত কাছেরই হোক, তাকে তিনি কোনদিনও ক্ষমার  দৃষ্টিতে ,স্নেহের দৃষ্টিতে দেখতে পারেননি।
                   এই শান্ত মানুষটির ভেতরে এই যে চারিত্রিক ঋজুতা, সেই ঋজুটাই কিন্তু ডক্টর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জগতের দিকপালে  পরিণত করেছে।' ৪৭ সালে দেশভাগের প্রশ্নে আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বর্ণ হিন্দুদের স্বার্থের পক্ষে গিয়ে দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন ।কিন্তু ডঃ শহিদুল্লাহ পাকিস্তান সৃষ্টির পর ,পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘিরে পশ্চিম পাকিস্তানের যাবতীয় চোখ রাঙানির পরোয়া না করে ,নিজের স্বাধীন মতামত, অর্থাৎ ; বাংলা ভাষার পক্ষে নিজের স্বাধীন মতামত, অর্থাৎ ; পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা র পক্ষে নিজের মতামতটি শান্ত ঋজু অথচ দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করেছিলেন।
                  এই মানুষটি সবথেকে বেশি ঘৃণা করতেন মিথ্যে কথা বলা কে। কোনো  মানুষ তাঁর পরমাত্মীয় হয়েও অসত্য কথা বলে নিজের কাজ হাসিল করছে, সেই মানুষটির প্রতি কখনোই ডঃ শহিদুল্লাহ  কোনরকম স্নেহ প্রীতি ভালবাসা এসব ছিল না। মিথ্যার সঙ্গে কখনো আপোষ করতে পারবেন না বলেই তাঁর পেশাজীবনের প্রথম পর্বে বসিরহাট আদালতে ওকালতির কাজ শুরু করেও, কেবল অর্থের জন্য মিথ্যে কথা বলা, এটা তার পক্ষে সম্ভব হয় নি।তাই  সেই জায়গা থেকেই সরে এসেছিলেন  ।বসিরহাট আদালত থেকে প্রথম সুযোগেই কিন্তু তিনি  সরে এলেন শিক্ষা জগতে। সেই কারণেই স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ,আচার্য শহিদুল্লাহ কে বলেছিলেন;  শহীদুল্লাহ আদালতের বার তোমার জন্য উপযুক্ত নয়। তোমার জন্য একমাত্র উপযুক্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয়। তুমি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পত্রপাট চলে এসো।
                    শহীদুল্লাহ তাঁর যাপনচিত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শাস্ত্রের আক্ষরিক প্রভাব কে অন্তর দিয়ে স্বীকার করতেন ।কিন্তু সেই স্বীকারোক্তির ভেতরে কখনো কোনো রকম মৌলবাদী চিন্তা চেতনা, সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার স্থায়ী ছিল না। তিনি নিজের জীবনের প্রথম পর্যায়ে ছাত্রাবস্থায় বেদ পাঠ ঘিরে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়েছিলেন ,সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মনে রেখে, বাংলা তথা বিশ্বের সমাজ জীবন থেকে সাম্প্রদায়িকতা কে দূর করা- এটাকে তিনি নিজের জীবনের সারস্বত চর্চার পাশাপাশি একটি ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন ।তাই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে আস্থাশীল হয়েও, শাস্ত্র  বিচারের আক্ষরিক প্রভাব কে স্বীকার করেও, আচার্য শহীদুল্লাহ কিন্তু একজন সুশিক্ষিত ,স্বশিক্ষিত বিবেকবান যুক্তিবাদী আধুনিক আদর্শ নাগরিকদের মতো ই  সব সমস্যা সমাধানে,  সহিষ্ণুতার যে অসামান্য পরিচয় তার গোটা জীবনব্যাপী রেখে  গেছেন, তা আজকের দিনে বিশেষভাবে অনুসরণ অনুকরণযোগ্য ।
                   আচার্য শহিদুল্লার জীবনের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সহযোগিতায় সহাবস্থান করা ।আজকের দুনিয়া যখন 'সহযোগিতা'  শব্দটিকে নিজের জীবনচর্যা থেকে প্রায় বিযুক্ত করে দিচ্ছে, তখন আমরা যদি আচার্য শহীদুল্লাহ জীবনের বিভিন্ন পর্যায়  বিশ্লেষণ করি ,তাহলে দেখতে পাব ছাত্র থেকে সহকর্মী, এমনকি বাড়ির পরিচালক ,তাঁদের সঙ্গেও সহযোগিতার হাত তিনি যেভাবে বাড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন, তা কেবল একজন আদর্শ ভাষাতাত্ত্বিকের যাপনচিত্রের একটা ছবি নয় ।একজন পরিপূর্ণ মানুষের যাপনচিত্রের এক সার্বিক ছবি।
                       আচার্য শহীদুল্লাহ তাঁর বাল্যকিশোর জীবন যে পরিবেশের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছিলেন, সেখানে এই গুণাবলীর সম্যক  বিকাশের উপাদান খুব একটা ছিল না কিন্তু সেই নেতিবাচক অবস্থার ভেতর থেকেই ইতিবাচক দিক  দিকগুলিকে বেছে নেওয়ার ,আহরণ করবার এক অসামান্য ক্ষমতা আচার্যদেবের  ছিল।  প্রতিকূল পরিবেশ থেকেও প্রতিকূলতাকে অস্বীকার করে, অতিক্রম করে ,গুণাবলী অর্জন করে নেওয়ার এক স্বভাবজাত প্রতিভা তাঁর ছিল। এখানেই কিন্তু ভাষাতাত্ত্বিক, মুক্তমনা অথচ প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আচার-আচরণ পালনকারী আচার্য শহিদুল্লার মানবিক জীবন যাপনের সব থেকে বড় পরিচয় লুকিয়ে আছে। নিজের ধর্মে ,নিজের বিশ্বাসে, নিজের আধ্যাত্মিক চেতনায়, এমনকি ধর্মনিষ্ঠার ভেতরে সু সুস্থিত থেকেও আচার্য শহীদুল্লাহ তাঁর গোটা জীবনটা দেশ, জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে জাগতিক জীবনে সমাজ সদস্য মানুষ হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছিলেন।সেভাবেই যাতে মানব সমাজ নিজেকে বিকশিত করতে পারে  তার জন্য নিজের কলমকে, নিজের মনকে, মেধা কে পরিচালিত করেছিলেন ।নিজের ছাত্র সমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
                   আচার্য শহীদুল্লাহ কে নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন বা যাঁরা তাঁর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ লাভ করেছিলেন, তাঁরা অনেকেই তাঁর গোটা জীবনবোধ কে পরিচালিত করবার ক্ষেত্রে তিনজন মানুষের প্রভাব খুব বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন। প্রথমজন হলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ।দ্বিতীয় জন হলেন বহুভাষাবিদ হরিনাথ দে ।আর তৃতীয় জন হলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব দীনেশচন্দ্র সেন।
                    স্যার আশুতোষের ছাত্রপ্রীতি, দীনেশচন্দ্র সেনের অসাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যবোধ আর হরিনাথের বহু ভাষা প্রীতি এটা আচার্য শহীদুল্লাহর গোটা জীবন সাধনা কে পরিচালিত করবার ক্ষেত্রে বিশেষ রকম ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই বোধ থেকেই জীবন এবং সমাজের আরো গভীরে প্রবেশ করে আচার্য শহিদুল্লাহ হিন্দু এবং ইসলামের মধ্যে আশ্চর্য সাদৃশ্য আবিষ্কার করেছিলেন ।তাঁর নিজের কথায়;  আপাতদৃষ্টিতে হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের দুর্লভ ব্যবধান বিদ্যমান মনে হয়, ইহাদের কোন মিলন ভূমি নাই ।কিন্তু বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করিলে উভয়ের মধ্যেই অনতিবিলম্বেই মূল ঐক্য সূত্র পাওয়া যায়। হিন্দু ও ইসলাম উভয় ধর্মেই পরমত সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। সেই সহিষ্ণুতা অন্য ধর্মমতের শ্রদ্ধা হইতেই প্রসূত ।পড়ন্তু ঔদাসীর্ণ হইতে নহে( ডক্টর মুহাম্দ শহিদুল্লাহ জীবন দর্শন - শতবর্ষপূর্তি স্মারক গ্রন্থ, পৃষ্ঠা-৩৭৯) ।
               আচার্য শহীদুল্লাহের এই অসামান্য উপলব্ধিকে মনে রেখে আমরা যদি আমাদের যাপনচিত্র কে পরিচালিত করি, তাহলে আজ কেবল বাংলা বা ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সাম্প্রদায়িকতা ,মৌলবাদের যে নখ দন্ত  বিস্তার আমরা প্রতিদিন লক্ষ্য করছি , সেই বীভৎস্যতা থেকে হয়তো আমরা অনেকটাই উত্তীর্ণ হতে পারব।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ জুলাই ২০২২ | ১০৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.***.*** | ২১ জুলাই ২০২২ ২৩:০৬510100
  • শ্রদ্ধেয় ভাষাচার্যকে সশ্রদ্ধ‌ প্রণাম!
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:১৭510107
  • তবে পণ্ডিত মহোদয় বলেছেন আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বর্ণহিন্দু দের স্বার্থে দেশভাগ চেয়েছিলেন। প্রথমত তাঁর বোধহয় জানা নেই , ১৯৪৬ এর দাঙ্গার পর সত্যেন বোস, মেঘনাদ সাহা, রমেশ মজুমদার - সবাই বাংলাভাই চেয়েছিলেন। কেউ মুসলিম লীগকে বিশ্বাস করেননি।
    আর দেশভাগের সময় থেকেই আজ পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চূড়ান্ত অত্যাচার হয়ে চলেছে। লেখক কি সে ঘটনা জানেন না? নাকি এই অত্যাচারকে খুব স্বাভাবিক বলে মনে করেন? 
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:২০510108
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:২২510109
  • লেখক কি বিষয়ে কিছু জানেন? না কি না জেনেই মাতব্বরি মারতে এসেছেন? নাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন?
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:২৫510110
  • আর লেখক বোধহয় জানেন না পূর্ববঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা র‌ জন্য স্বয়‍ং আম্বেদকর জনবিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। লেখক মনে হয় এগুলোকে কোনো গুরুত্ব দেন না!
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:২৬510111
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ জুলাই ২০২২ ০০:২৮510112
  • বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায়তার ছবি! লেখক বোধহয় এদের মনুষ্যেতর প্রাণী বলে মনে করেন!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন