এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • সবকিছু আছে বেশ, বেডটুকু ছাড়া

    অম্লানকুসুম চক্রবর্তী
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ২১ জুন ২০২২ | ১৬৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)

  • অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন ধ্বনির মধ্যে হয়তো আশা বেঁচেছিল তখনও। রাস্তার এপাশ ওপাশ দিয়ে, এ গাড়ি ও গাড়ি কাটিয়ে যখন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল সেই আপৎকালীন যান, রোগীর পরিবারের সদস্যদের মনে প্রায় নিভে আসা সলতের আগুনের মত হয়তো উষ্ণতা ভর করে ছিল, তখনও। দুটো হাসপাতাল ঘোরা হল। শয্যা পেলেন না হৃদরোগে ভোগা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের মধ্যে বিষাদ মাখছিল ক্রমশ। দৃশ্যের যবনিকা পতন হল এক দুর্ঘটনায়। দক্ষিণ কলকাতার দুটি রাস্তার সংযোগস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের পেটের মধ্য সজোরে ধাক্কা মারল একটি বেসরকারি বাস। ধাক্কার অভিঘাত এমনই ছিল যে ওই আপৎকালীন যানের দরজা খুলে গেল চকিতে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান অ্যাম্বুলেন্সের চালকের পাশের আসনে বসে থাকা বৃদ্ধের পুত্রবধূ। জ্ঞান হারান। তা ফিরেও আসে কিছুক্ষণ পর। বৃদ্ধের জ্ঞান আর ফেরেনি অবশ্য।

    তিলোত্তমা মহানগরীর বিখ্যাত খবরের কাগজের পাতার এক কোণে সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছিল এই খবর। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেটের অদলবদল, রোদ্দুর রায়—এসবের মধ্যে এমন খবর মুখ লুকিয়ে ছিল লজ্জায়। এ ধরনের খবরের কোনও ফলো আপ খবর হয় না। আপাত গুরুত্বপূর্ণ খবরের মধ্যে অনেক সময়ই ঢুকে যায় পাতা ভরানোর জন্য। প্রিন্ট মিডিয়ার ভাষায় যার নাম ‘ফিলার’। মধ্যরাত্রে আরও কোনও ব্রেকিং নিউজ ঢুকে পড়লে এমন খবর পাতার লেআউট থেকে মাউসের এক ক্লিকে উঠে যায়। ভ্যানিশ। তবে যাদের জীবনে শূন্যতা নেমে আসে হঠাৎ, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে গেলেও তার সেই দুঃখে কখনও খাদ মেশে না। মনের মধ্যে থেকে যায় আজীবনের সম্পদ হিসেবে। আর সেই সম্পদের গায়ে লেপটে থাকে কাঁটা। হয়তো রক্তও।

    সমাজ নিয়ে যাঁরা মাথা ঘামান, তাঁদের মধ্যে কেউ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলছেন, ‘লোকটাকে হঠাৎ এভাবে মরে যেতে হল কেন?’ এই অপ্রিয় প্রশ্নের গায়ে আরও একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন জুড়ে থাকে। এই বৃদ্ধ বয়সে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে হল কেন তাঁকে? যদি প্রথম হাসপাতালেই ভর্তি করে নেওয়া হত ওই মানুষটিকে, তাহলে হয়তো ভদ্রলোককে এমন বেঘোরে প্রাণ দিতে হত না। খবরের কাগজের সূত্রেই জানতে পারলাম, মধ্য কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে পরীক্ষা করে ভর্তি হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে দশ বারোতলা সেই সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ যে বার্তা দিয়েছিলেন, সোজা কথায় তার মানে দাঁড়ায়, ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই, ছোট এ তরী।’ শয্যা অমিল। অতএব অ্যাম্বুলেন্সে ভর করেই রোগীকে ফের ছুটতে হল আরেকটি সরকারি হাসপাতালে। হয়তো রাস্তায় যাওয়ার সময় রোগীর আত্মীয়রা দেখেছিলেন আকাশ ঢেকে দেওয়া নানা বেসরকারি হাসপাতালের গর্বিত বিজ্ঞাপন। কয়েক লক্ষ খরচা করলে যেখানে জীবনের ‘দাম’ পাওয়া যায় অনেক। মফস্বলের ওই পরিবারের হয়তো সেই আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। ফলস্বরূপ, চোকাতে হল চরম মূল্য।

    অনলাইনে বাঁচতে বড় সাধ হয় আমাদের। বিখ্যাত মোবাইল সংস্থা প্রযুক্তির জেরে তামাম দুনিয়াকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে ফেলার আশা দেখায়। নামজাদা ব্যাঙ্কের নেটব্যাঙ্কিং পরিষেবা তাদের বিজ্ঞাপনে জানান দেয়, ‘আজকের দিনে কেউ আবার ব্যাঙ্কে যায় নাকি? এক ক্লিকে পুরো ব্যাঙ্কের পুরো শাখা আপনার দোরগোড়ায়।’ আন্তর্জালে কিছু জানতে চাইলেই যে মন্দিরের দরজা খোলে, দেখি সেখানে সিংহাসনে অধিষ্ঠান করে রয়েছেন টেরাবাইটের দেবতা। কত জানবে জানো। রিয়েল টাইম ইনফরমেশন নিয়ে কাজ কম হচ্ছে না দুনিয়ায়। মাত্র ঘণ্টা দু'য়েক পরে কোন এয়ারলাইন্সের কোন বিমানে কটা আসন বাকি আছে, তা আমরা চাইলেই জানতে পারছি মুহূর্তে। ঘণ্টা দু'য়েক বলা ভুল, আগামী এক বছরের যাবতীয় বিমানের আসন সংরক্ষণ নিয়ে যাবতীয় তথ্য খোঁজ করলেই উপচে পড়ে মোবাইলে। পছন্দের সরকারি বাস কতক্ষণ পরে আসবে তা জেনে নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে যেতে পারছি সময় মেপে। সিনেমা দেখার ইচ্ছে হলে চোখের পলকে কেটে ফেলা যাচ্ছে টিকিট। প্রিয় মাল্টিপ্লেক্সে কটা সিট আছে, বাহারি অ্যাপের কৃপায় তা আগে থেকেই জেনে নেওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংরক্ষণ করে নেওয়া যাচ্ছে পছন্দমত সিট। জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়ের সময় রিয়েল টাইম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জানতে পারছি কোন কলেজে এই মুহূর্তে আর কটা আসন বাকি। যার সুবিধার জন্য বুক করে দিয়েছি অ্যাপ ট্যাক্সি, এই মুহূর্তে তিনি কোন রাজপথ কিংবা গলিতে রয়েছেন, এমন তথ্যে ইচ্ছে হলেই ধারা-স্নানের সুযোগ করে দিয়েছে হাল আমলের প্রযুক্তি। রিয়েল টাইম আপডেটকে যদি ভালবেসে ‘মুহূর্ত-নামা’ নামে ডাকি, তাহলে বলা যেতে পারে, এই কথাকে নিক্তি মেপে আরও নিখুঁত করার জন্য জোর গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। মাস খানেক আগে একটা নতুন অ্যাপের বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। জানতে পেরেছিলাম, আরও অনেক কাজের মধ্যে এই অ্যাপটা ঠিক কোন জায়গায় আপনার গাড়িটা পার্ক করতে পারবেন, তার সন্ধানও দিতে পারে। এর অর্থ হল, দুটি পাশাপাশি গাড়ির মধ্যে যদি ছ-ফুট বাই সাত-ফুটের আয়তাকার ফাঁক থেকে থাকে, অ্যাপকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে এমন তথ্যও শেয়ার করে নেওয়া যাবে পরিচিত বৃত্তে।

    মুহূর্তনামায় এমন গলা পর্যন্ত ডুবে গিয়েও খুঁতখুঁতে মানুষরা কপাল কুঁচকচ্ছেন বড্ড। তাঁরা বলছেন, সবই তো হল! শুধু শারীরিক অসুস্থতার আপৎকালীন সময়ে যে তথ্যের জন্য চাতক পাখির মত বসে থাকি আমরা, তা নিয়েই কারও কোনও হেলদোল নেই। কথাগুলো আমাদের ভাবাতে বাধ্য। ভাবলে অবাক হতে হয়, প্রযুক্তির এই রিয়েল টাইম আপডেটের ছাতার তলা থেকে চিরকালই ব্রাত্য রয়ে গেল আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। অনামী হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল, শহরের কোনও নামী হাসপাতালেও এই মুহূর্তে কটি শয্যা ফাঁকা রয়েছে তা জানার কোনও পরিকাঠামো আমরা তৈরি করে উঠতে পারলাম না এখনও। এ ভুখা দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ বিপদে সরকারি পরিকাঠামোর যে হাসপাতালগুলির শরণাপন্ন হন, তাদের নিয়ন্ত্রকরা এমন বিষয় নিয়ে কোনোদিনও মাথা ঘামিয়েছেন কিনা জানা নেই। কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। উপায় খোঁজার জন্য অবশ্য প্রথমটি থাকা জরুরি। কোনও অজ্ঞাত কারণে তার মধ্যে মিশে রয়েছে হাহাকার ধ্বনি।

    একটি নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি দেখেছিলাম, অপারেশন থিয়েটার লাগোয়া প্রতীক্ষালয়ে যে বিরাট স্ক্রিনটি বসানো রয়েছে, সেখানে তালিকায় ভেসে আসছে রোগীর আইডেন্টিফিকেশন আইডি এবং অস্ত্রোপচারের বর্তমান অবস্থা। প্রতীক্ষালয়ের এক পোস্টার বলছিল, রোগীকে বেড নম্বর ধরে ডাকি না আমরা। রোগীর পরিচয় তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর। আঁচ করেছিলাম, রোগীর ব্যক্তিগত তথ্যর সুরক্ষার জন্যই হয়তো এমন ব্যবস্থা। স্ক্রিনে ভেসে উঠছিল দশ বারো জন রোগীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর, যে ডাক্তারবাবু অস্ত্রোপচার করছেন তাঁর নাম, কি ধরণের অস্ত্রোপচার হচ্ছে তার দু-এক কথায় বিবরণ এবং শেষে লেখা ছিল বর্তমান অবস্থা। শেষ কলামের লেখাগুলো বদলে যাচ্ছিল কিছুক্ষণ পর। ‘ওটি ইন প্রোগ্রেস’ লেখাটা যখন মুছে গিয়ে ভেসে আসছিল ‘অস্ত্রোপচার শেষ, রোগীকে বেডে দিয়ে দেওয়া হয়েছে’, তখন ওই রোগীদের আপনজনের মুখে খেলা করতে দেখেছিলাম স্মিত আনন্দ। খুব উৎসাহ নিয়ে হাসপাতালের এনকোয়ারিতে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘অপারেশন নিয়ে যে রিয়েল টাইম আপডেট প্রতি মুহূর্তে দিচ্ছেন আপনারা, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে সেটা কেন দিচ্ছেন না আপনাদের ওয়েবসাইটে?’ ঝলমলে রিসেপশনিস্টের মুখ বদলে গিয়েছিল হঠাৎ। ঝাঁঝিয়ে উঠে বলেছিলেন, ‘আপনি কি নিজেকে ভগবান মনে করেন? সরুন তো মশাই। নেক্সট।’

    আন্তর্জাল আর লাইভ আপডেটের যুগে কত তথ্য জরুরি আর কতটুকুই বা অতি জরুরি—এ নিয়ে আমরা ভাবতে শিখব কবে? মরণাপন্ন যে রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরে চলেন রোগীর দিশাহারা আত্মীয়জনেরা, এমন তথ্য তাঁদের হাতের নাগালে থাকলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন বহু মানুষ। এমনটা করা গেলে অতি ব্যস্ত হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে একদিকে যেমন বাড়তি ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকত, অন্যদিকে তুলনামূলক ভাবে কম ব্যস্ত হাসপাতালগুলো হয়তো আরও মন দিয়ে রোগীদের নিরীক্ষণ করতে পারত। হৃদরোগের ক্ষেত্রে যে ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এর কথা সবসময় বলে থাকেন চিকিৎসকেরা, হাসপাতালের দরজায় প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ফলে সার্বিকভাবে সেই সময়ের কতটা অপচয় হচ্ছে, তা নিয়ে কেউ সমীক্ষা করেনি কখনও। বাস্তবের কালিমাখা চিত্রটা ফুটে উঠবে বলেই হয়তো এমন সমীক্ষা করাতে ভরসা পান না আমাদের জনপ্রতিনিধিরা। বাকিটা জানেন সূর্যের আলো মাখা ইউটিউবার!

    খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে কাজে লেগে পড়া জরুরি। আমার এক তথ্য-প্রযুক্তিবিদ বন্ধুকে বলতে শুনেছিলাম, ‘যে দেশে আইআরসিটিসি-র আসন সংরক্ষণের মত একটা বিরাট কর্মযজ্ঞ চলতে পারে, সেদেশে হাসপাতালের বেড অনলাইনে ম্যানেজ করা বাঁ হাতের কাজ। নস্যি।’

    যা প্রয়োজন, তা হল সদিচ্ছা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ জুন ২০২২ | ১৬৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২১ জুন ২০২২ ১২:৪৭509218
  • প্রথম ঘটনাটা ভয়ানক। 

    ভাল লেখা। 
  • Santosh Banerjea | 2401:4900:314e:bc0:0:66:becd:***:*** | ২১ জুন ২০২২ ২০:৩২509241
  • আমরা সাধারণত যে সব দৈনিক পত্রিকা পাই তার নাম গুলো একত্রীকরণ হোক! নাম দেওয়া যাক ""বাজার পত্রিকা"" বা ""বাজারি পত্রিকা""!! আনন্দ তো কিছুতেই নেই , আর মা জননী আর সাদা দাড়ি ওয়ালা দাদুর ধমকি খেয়ে সবাই তটস্থ!! তাই ওই বৃদ্ধ লোকটি মরলো না বাঁচলো কি এসে যায়!! খবর তো ওদের জন্য !! ওই মরে যাওয়া বৃদ্ধ TRP বাড়াবে না!!
  • স্বাতী রায় | ২৩ জুন ২০২২ ২৩:১০509318
  • করোনা র সময় এই সমস্যা টা একেবারে হাতে নাতে দেখা গেছে। সরকার ঘটা করে ওয়েব সাইট লঞ্চ করলেন, যাতে নাকি কোথায় কোন বেড available তা দেখা যাবে, অথচ এমন একটা সিস্টেম খাড়া করতে পারলেন না যাতে সব হাসপাতালের পেসেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে একটা ব্রিজ করে রিয়াল টাইম ডেটা পুল করতে পারে। এখন তো আর কোথাও জাবদা খাতায় রোগী ভর্তি করতে দেখিনা। ফলে সবারই নিশ্চয় সিস্টেম আছে।ফল হল দিনে একবার দুবার যখন কর্মীদের দয়া হল তখনই ডেটা আপডেট হল। একমাত্র হাসপাতালের নাম ঠিকানা ছাড়া আর কিছু কাজে লাগল কিনা কে জানে ! অবশ্য নিশ্চয় কারোর কারোর appraisal এ ভাল নম্বর এসেছে। কত কাজ হল! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন