এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  খেলা  শনিবারবেলা

  • ভারতের অপারেশন টোকিওঃ পর্ব ৩

    সৌরাংশু
    ধারাবাহিক | খেলা | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৩৩০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শুরু হল নতুন সিরিজ, চতুর্বর্ষীয় হুজুগে দেশ থেকে যাঁরা এবারের অলিম্পিকে গেলেন তাঁদের মধ্যে সত্যিকারের মেডেলের সম্ভাবনা কাদের ছিল এবং বাকিদের, মেডেল না পেলেও, সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স কোথায় দাঁড়াত, সেই নিয়ে কাটাছেঁড়া। ধীরে ধীরে আসবে বিভিন্ন ডিসিপ্লিন-ভিত্তিক একটা বীক্ষণ ।


    মেয়েদের হকি

    ভারতীয় মহিলা হকি নিয়ে লিখতে গেলে সবার আগে যে নামটা না চাইতেও চলে আসে সেটি হল শাহরুখ খান এবং ‘চাক দে ইন্ডিয়া’। যে সিনেমা ২০০২এর কমনওয়েলথ গেমসের উপর ভিত্তি করে লেখা তার কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসাবে উঠে এলেন যিনি, তাঁকে নিয়ে সিনেমায় ভাবাই হয়নি। মির রঞ্জন নেগি, ১৯৮২র এশিয়ান গেমসের কলঙ্কিত ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে সাত গোল খাওয়া গোলকিপারের কথা।

    কিন্তু এ তো সিনেমা নয়, বাস্তব। তাই ভারতের বর্তমান মহিলা হকি নিয়ে লিখতে গেলে আসবে এই নামগুলো আর এই গল্পগুলো!

    রানি রামপালঃ ভারতীয় মহিলার হকির প্রথম 'স্টার' রানি রামপালের বাবা ঠেলা চালাতেন আর মা পরিচারিকার কাজ করতেন।

    দীপ গ্রেস এক্কাঃ উড়িষ্যার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এক্কা, হকি পরিবারের মেয়ে। কিন্তু যেই মেয়ে হয়ে হকি খেলতে গেলেন তখনই পড়শিদের কটূক্তির সামনে পড়লেন।

    বন্দনা কাটারিয়াঃ ভারত পরপর তিনটে ম্যাচ হারায় তফসিলি জাতির মেয়ে বন্দনা কাটারিয়ার বাড়ির সামনে উত্তরাঞ্চলে বাজি ফাটিয়ে উৎসব হয়। উৎসব করে তথাকথিত উচ্চবংশীয় কুলাঙ্গাররা। এমনিতেই নিচু জাতের মেয়ে আবার হকি খেলবে কী! শুধু মাত্র বাবা কুস্তিগির বলে সামাজিক বয়কটের সামনে দাঁড়িয়ে হকি খেলা চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। বাবা পাহাড়ের মতো সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সমস্ত বিপত্তির।

    গুরজিত কৌরঃ পৃথিবীর সেরা তিন ড্রাগ ফ্লিকারের অন্যতম গুরজিত ১২ বছর বয়সে বোর্ডিং স্কুলে আসার আগে জানতেনই না হকি কাকে বলে। অমৃতসরের কাছে এক প্রত্যন্ত গ্রামে আশ্চর্যজনক ভাবে হকির অস্তিত্বই ছিল না।

    সবিতা পুনিয়াঃ দলের শিরদাঁড়া, ভিত, যার উপর দাঁড়িয়ে রানি, গুরজিত, বন্দনারা চাপের মুখে পাহাড় গড়ে তোলেন, গোলকিপার সবিতা পুনিয়া। শুধুমাত্র হকি খেলার জন্য তিরিশ-তিরিশ ষাট কিমি রোজ যাতায়াত করতেন সিরসা পর্যন্ত।

    সালিমা টেটেঃ ঝাড়খণ্ডের উপজাতি পরিবারের টেটের স্টিকওয়র্ক হিট অ্যান্ড রান হকির মধ্যেও বিচ্ছিন্ন মিনারের মতো আলো ছড়ায়। সেই টেটের বাবা ছিলেন ভাগচাষী।

    নেহা গোয়েলের বাবা নেশা করে সব টাকা উড়িয়ে দিতেন। নিশা ওয়ারসির মা একটা সামান্য ফোমের কারখানায় চাকরি করে পরিবারের পেট চালাতেন।

    এরকমই আরও বাকি মেয়েরা। ভারতে হকি খেলে। মেয়েদের হকি।
    সামাজিক বৈষম্য নিয়ে যখন বলতে গিয়ে আমরা 'নারীশক্তি'-'নারীশক্তি' বলে লাফাই তখন এদের লড়াইগুলোকে গুলিয়ে ফেলি, লঘু করে দিই। কল্পনা করতে পারি না কী বিশাল পরিমাণ বিরোধী শক্তির সামনে 'সিনা তানকে' দাঁড়িয়ে এরা লড়াই করেছে।

    তবে গত অলিম্পিকের আগে ফিরে যেতে চাই ১৯৭৪এ। প্রথম বিশ্বকাপে ভারত গ্রুপ লিগে সবকটা ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল এবং প্লেট ফাইনালে হেরে চতুর্থ হল। তারপর ১৯৮০র মস্কো অলিম্পিকেও চতুর্থ। ১৯৮২র এশিয়ান গেমসে যখন প্রথমবারের জন্য মেয়েদের হকি হল তখন ভারত সোনা জিতল, রাউন্ড রবিনের সবকটি ম্যাচ জিতে। সাতের দশকের হকি বলতে গেলে ওঠে সাইনি বোনেদের নাম। প্রেমা, কৃষ্ণা, রূপা আর স্বর্ণা। তারপরে বেশ কিছুদিন অন্ধকার, যা পুরুষদের ক্ষেত্রেও হয়েছে, যখনই হকি ঘাসের মাঠ থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফে গেল, যখন স্টিকওয়র্কের জায়গা নিল হিট অ্যান্ড রান, স্কিলের জায়গা নিল সক্ষমতা, ভারতীয় মহিলারা পিছিয়ে পড়ল।

    এরপরে স্পটলাইট পড়ে নতুন শতকের গোড়ার বছরগুলিতে। অধিনায়ক সুরজ লতা দেবীর নেতৃত্বে ভারত ২০০২এর কমনওয়েলথ গেমস, ২০০৩এর অ্যাফ্রোএশিয়ান গামেস এবং ২০০৪এর এশিয়া কাপ হকি জেতে ভারত এবং ২০০৬এ কমনওয়েলথ গেমসে রূপো। আর তারপর সেই একেবারে ২০১৪র এশিয়ান গেমসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জাপানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ মেডেল জেতা।

    আসলে ক্রিকেটের মতোই মেয়েদের হকি ভারতে দুয়োরানীর মর্যাদা পেয়ে এসেছে তাদের পুরুষ দলের তুলনায়। এক্সপোজার কম, টুর্নামেন্ট কম, শারীরিক সক্ষমতা কম সর্বোপরি মানসিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া।
    কিন্তু ওই যে ওপরে বললাম, যাদের প্রতিনিয়ত সমাজের সঙ্গে মেয়ে হিসেবে, খেলোয়াড় হিসাবে এবং সমাজ ব্যবস্থার শিকার হিসাবে লড়তে হয় তারা বোধহয় এতো সহজে হার মানে না।

    ফলস্বরূপ প্রথম ম্যাচে গত অলিম্পিকের রৌপ্যপদক বিজয়ী নেদারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথমার্ধে তুল্যমূল্য লড়াই করেও ৫-১ পরাজয়। তারপর জার্মানির সঙ্গে ২-০ আর গত অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে ৪-১।
    শেষ হারটা ধসিয়ে দেয় রানি, বন্দনাদের। মানসিকভাবে। আসলে পড়ে পাওয়া পেনাল্টি কর্নার ছাড়া সেভাবে সুযোগই তৈরি করতে পারেননি গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে তাঁরা।

    এইখানেই মঞ্চে প্রবেশ করলেন সজোয়ের্দ মারহিনে। ডাচ কোচ, এর আগে নেদারল্যান্ডসের মহিলা দলের কোচিং করেছেন। ভারতের হাই পারফরম্যান্স পরামর্শদাতা রোলান্ড অল্টমাস যখন নিজে দায়িত্ব ছাড়লেন তখন মারহিনেকে নিজের হাতে বেছে নিয়েছিলেন।

    কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসের আগে আগেই তাঁকে পাঠানো হল ভারতীয় পুরুষ হকি টিমের কোচিং করতে। বেশিদিন না, কমনওয়েলথ গেমসের খারাপ পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছাঁটাই হলেন পুরুষ দলের কোচের পদ থেকে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় আবার ফিরে এলেন মহিলা দলের সঙ্গে।

    অতিমারীর প্রথম তরঙ্গে চেয়েও তিনি নিজের দেশ নেদারল্যাণ্ডসে ফিরতে পারেননি। ব্যবহার করলেন সেই সময়টুকু, মেয়েদের দলটাকে গড়ে পিটে নিতে। তবু গুণমানের অভাব তো ছিলই।

    ব্রিটেনের ম্যাচের পরে তিনি সকলের সঙ্গে একে একে বসলেন। রানিরা, লং বলে দ্রুতগতির হকি খেলার চেষ্টা করে পর্যুদস্ত হচ্ছেন। শারীরিক শক্তি বা স্ট্যামিনায় কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। উপায়? প্রথমার্ধের পরে তিনি দ্রুত ছোট পাসে জায়গা নেবার হকি খেলার পরামর্শ দিলেন। আয়ার্ল্যান্ড ম্যাচটা চলে এলো। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডিয়ের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা সত্ত্বেও ৪-৩ গোলে ম্যাচ চলে এলো।

    এবারে কোয়ার্টার ফাইনাল। সামনে বিশ্বের সেরা দল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া গ্রুপলিগে ১৩খানা গোল করে এসেছে। ভারতকে উড়িয়ে দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। খানিকটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই গুরজিত কৌর পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পেয়ে গেলেন। তারপর বেশ মিনিট দশেক চেপেও ধরলেন। কিন্তু এবারে হাঁফ ধরছে, এখনও তিরিশ মিনিট বাকি। মারহিনের পরামর্শ অনুযায়ী ডিফেন্সিভ খেলাতেও ছোট পাসে দ্রুত জায়গা নেবার খেলায় চলে গেলেন বন্দনারা। বাঁদিক দিয়ে বন্দনা আর ডান দিক দিয়ে সেলিমা। বল নিজদের নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলতে শুরু করলেন। অস্ট্রেলিয়াকে কি দমানো যায়? মুহুর্মুহু আক্রমণ আছড়ে পড়তে লাগল ভারতীয় ডি-তে। কিন্তু গোলের মুখ পরিষ্কারভাবে কোন সময়েই খোলা ছাড়ছিলেন না নবনীত কৌর, উদিতা, শর্মিলারা। ফলস্বরূপ পেনাল্টি কর্নার, ৯টি। পরিত্রাতার ভূমিকায় এবার সবিতা। দুর্দম রিফ্লেক্স এবং সাহস দিয়ে ভাকরা নাঙ্গালের বাঁধ তুলে দিলেন তিনি ভারতীয় গোলের সামনে।

    কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে ভারত আরও সাহসী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল টেকনিকালি বেটার দল আর্জেন্টিনার উপর। প্রথম কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার থেকে এগিয়েও গেছিল তারা। কিন্তু বিধি বামপন্থী, ধীরে ধীরে আর্জেন্টিনা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলায় ফেরে এবং ছটা পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নিয়ে দু-দুটো কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায়। তারপর? তারপর খেলাটা গিয়ে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনার গোলকিপার মারিয়া বেলেন সুক্কি আর ভারতীয় ফরোয়ার্ডদের মধ্যে। বিশেষত শেষ কুড়ি সেকেন্ডে যে দৃঢ়তার সঙ্গে সুক্কি ডাবল সেভ করেন তা মনে রাখার মতো।

    এর পরে ব্রোঞ্জ পদকের জন্য খেলা, ব্রিটেনের বিরুদ্ধে। ব্রিটেন অভিজ্ঞ এবং টেকনিকালি পোড় খাওয়া দল। শারীরিক সক্ষমতা এবং ২৫ গজের বক্সে বুদ্ধিদীপ্ত পাসিং এবং ঠিক সময়ে রিলিজ করে তারা এগিয়ে যায় ২-০ এ, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে।

    প্রবেশ হয় গুরজিত কৌরের, প্রচণ্ড বেগে দু-দুটি পেনাল্টি কর্নারে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক ম্যাডেলিন হিঞ্চের রক্ষণ ছিন্নভিন্ন করে ২-২। আর তারপরে বন্দনা কাটারিয়ার স্টিকের জাদু ৩-২। কিন্তু আসল সময়ে অভিজ্ঞতায় মার খেলেন রানিরা। ব্রিটেনের অধিনায়ক পিয়ার্নে ওয়েবের সুতীব্র ড্র্যাগফ্লিক সবিতার বাঁ হাঁটুর ভিতরের দিকে লেগে ঢুকে গেল তৃতীয় কোয়ার্টারে।

    আর চতুর্থ কোয়ার্টারে পরপর উদিতার হলুদ কার্ডে ৫ মিনিট এবং সুস্মিতার গ্রিন কার্ডে ২ মিনিট সাসপেনশনে অতিরিক্ত একজনের সুবিধা নিয়ে বারো মিনিট বাকি থাকতে হইহই করে ঢুকে পড়েন ব্রিটিশরা এবং সুযোগসন্ধানী গ্রেস বালসডন ৪-৩ এ ব্রিটেনকে এগিয়ে দেন।

    এরপরের খেলাটা ছিল ভারতীয়দের জেদ এবং ব্রিটিশ সংযমের যুদ্ধ। ব্রিটেন এই ৫৫-৫৬ মিনিট পর্যন্ত অধিক সংখ্যার ফায়দা তুলে ভারতীয় অর্ধেই বল রেখে গেল, রানিরা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মিডল থার্ডে খুব বেশি মিসপাস আর ভেদ শক্তির অভাব ভারতকে ম্যাচ জিততে দেয়নি। সহকারী কোচ ও পেনাল্টি কর্নার কোচ জোয়ানা শোপম্যান ও অঙ্কিতা সুরেশ ডিফেন্সিভ সংগঠনের উপর জোর দিলেন বটে। কিন্তু হয়তো এবারের জার্নিটা এইটুকুই ছিল।

    মেডেল এলো না, তবু এই অলিম্পিকের চতুর্থ স্থানকে হাতিয়ার করে যদি মেয়েদের প্রো লিগ চালু হয় আর কিছুটা প্রচারের মুখ দেখে ভারতীয় মেয়েদের হকি দল তাহলে ২০০২এর কমনওয়েলথ গেমসে হঠাৎ পাওয়া সোনার পরে যে জোয়ার এসেছিল, তার দ্বিতীয় তরঙ্গ হয়তো দেশে আসতে চলেছে। সঙ্গে মারহিনের মতো নিবেদিত প্রাণ কোচ যদিও বা রইলেন না, কিন্তু বল যখন গড়াতে শুরু করেছে বাউন্ডারির কাছাকাছি তো পৌঁছবেই।

    আসলে একটা সময়ে অর্থাৎ ৭-১২ বছর বয়সে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হয়, তাহলে পরবর্তীতে ব্যালান্স ও ক্ষমতা অনেক ভালো থাকে। বারো বছরের পরে যা করা যায়, তা হল ভালো খেলব এবং লড়ব এই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা এবং সামান্য কিছু টেকনিকাল এদিক ওদিক। আর ওই লড়াইটা এই মেয়েগুলো জীবনে তো আগেভাগেই শিখে যায়। শুধু ওই টেকনিকাল দিকগুলো।

    আশা রাখি, শেষ তিনটে ম্যাচ দেখে আশা রাখতে সাধ হয়। তাই না?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৩৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:২৪497611
  • পড়ছি পড়ছি। 
     
  • aranya | 2600:1001:b012:73de:dd5d:798b:4b88:***:*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৫৪497631
  • দারুণ . এই হকি দলের মেয়েদের যা লড়াই করতে হয়েছে বিভিন্ন প্ৰতিকূলতার বিরুদ্ধে ,জাস্ট হ্যাটস অফ .
    খুবই প্রেরণাদায়ক 
  • Amit | 203.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:১৯497632
  • খুব ভালো হচ্ছে এই সিরিজটা। এদের লড়াই ​​​​​​​এর ​​​​​​​কাহিনী ​​​​​​​আরো ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​করে ​​​​​​​উঠে ​​​​​​​আসা ​​​​​​​দরকার ​​​​​​​যাতে ​​​​​​​আরো হাজারটা ​​​​​​​মেয়ে এগিয়ে ​​​​​​​আসার ​​​​​​​সাহস ​​​​​​পায়। গড়ে ওঠার বছরগুলোতে এরা ​​​​​​​না ​​​​​​​পায় ​​​​​​​সরকারি ​​​​​​​সাহায্য , না ​​​​​​​পায় ​​​​​​​কর্পোরেট স্পনসর। ​​​​​​​পায় ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​পড়শিদের ​​​​​​​বাঁকা ​​​​​​​নজর ​​​​​​​আর ​​​​​​​ইভ ​​​​​​​টিজারদের ​​​​​​​উৎপাত। ​​​​​​​তাও ​​​​​​​লড়ে ​​​​​​​যাচ্ছে  মাথা না ঝুকিয়ে। ​​​​​​​কুডোস। 
     
    দুঃখের ​​​​​​​বিষয় ​​​​​​​হলো ​​​​​​​দিনের শেষে ইন্ডিয়া ​​​​​​​র প্যাশন সেই ​​​​​​​এক ​​​​​​​ক্রিকেট ​​​​​​​আর বলিউড। ​​​​​​​কদিন ​​​​​​​পরেই ​​​​​​​এদের  আসল মুখ ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​ভুলে ​​​​​​​যাবে। এরপর হয়তো ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​বি-প্রোডিউসার ​​​​​​​কোনো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বা অন্য কোনো ​​​​​​​ফিমেল ​​​​​​​লিডকে ​​​​​​​নিয়ে একটা ​​​​​​​চক ​​​​​​​দে ​​​​​​​ইন্ডিয়া ​​​​​​​পার্ট ​​​​​​-​২ বানিয়ে ​​​​​​​ফেলবে, আর ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​সেইটা ​​​​​​​নিয়েই ​​​​​​​নাচানাচি ​​​​​​​করবে। ​​​​​​​আসল ​​​​​​​লড়াইয়ের ​​​​​​​মুখগুলো ​​​​​​​সবসময় পেছনেই ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​যাবে। 
     
  • Ramit Chatterjee | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:০১497664
  • খুবই ভালো হচ্ছে এই সিরিজটা। হকি যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। লোকে আবার এই নিয়ে কথা বলছে এটাই অনেক সাফল্য। আরো অনেক পথ চলার বাকি। মুখে খেল ইন্ডিয়া, খেলাশ্রী বলে কার্য ক্ষেত্রে করাপ্ট , খেলার কিছুই না জানা লোক গুলোকে খেলার শীর্ষ পদে বসিয়ে রেখে রেখে খেলা গুলোর সর্বনাশ করা হচ্ছে। খেলার কোনো কালচার ই নেই। সবাই বিকেলে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার বদলে অঙ্কের টিউশন এ পাঠায় ছেলে মেয়েদের।
  • b | 14.139.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩৭497675
  • সৌরাংশু, পারলে একটা এপিসোড প্যারা -অলিম্পিক্স নিয়েও লিখবেন। 
  • সৌরাংশু | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৫497688
  • প্যারা অলিম্পিক নিয়েও থাকবে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5970:dc2f:143a:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:১৯497709
  • সৌরাংশু, খেলাগুলোর বর্তমান পরিকাঠামো, সরকারী সাহায্য, পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়েও যদি লেখেন, খুবই ভাল হয়। 
    যেমন হকিতে, 'IHL' বোধহয় কয়েক বছর বন্ধ আছে।  কোন রাজ্যের কি নিজস্ব হকি লীগ আছে? উড়িষ্যাতে নবীন পট্টনায়ক নাকি একটা হকি-র জন্য অনেক কিছু করেছেন। 
    এই সব নিয়ে। নতুন হকি খেলোয়াড় ওঠার রাস্তা টা কী -জানতে ইচ্ছা করে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন