এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  খেলা  শনিবারবেলা

  • ভারতের অপারেশন টোকিও: দ্বিতীয় পর্ব

    সৌরাংশু
    ধারাবাহিক | খেলা | ২৮ আগস্ট ২০২১ | ২৪৩০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শুরু হল নতুন সিরিজ, চতুর্বর্ষীয় হুজুগে দেশ থেকে যাঁরা এবারের অলিম্পিকে গেলেন তাঁদের মধ্যে সত্যিকারের মেডেলের সম্ভাবনা কাদের ছিল এবং বাকিদের, মেডেল না পেলেও, সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স কোথায় দাঁড়াত, সেই নিয়ে কাটাছেঁড়া। ধীরে ধীরে আসবে বিভিন্ন ডিসিপ্লিন-ভিত্তিক একটা বীক্ষণ ।


    পুরুষদের হকি

    মোট এগারোটা মেডেল। ৮টা সোনা, ১টা রুপো আর ২টো ব্রোঞ্জ। এই হল পুরুষদের হকিতে ভারতের ‘লেগ্যাসি’। কিন্তু ১৯৭৬-এ, যবে থেকে অ্যাস্ট্রো-টার্ফে খেলা শুরু হল, দল সেমিফাইনালেই ওঠেনি আর। যদিও ১৯৮০-র ভাঙা বাজারে একটা সোনা এসেছিল, কিন্তু সেই অলিম্পিকে তো আবার আর্মানি, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডসই ছিল না।

    তারপর থেকে যদি ধরি তাহলে দু’বার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ১৯৮২ বিশ্বকাপে খুব ক্লোজ দু’টো ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর ভারত পঞ্চম হয়। ১৯৮৪ অলিম্পিকে একটা সুযোগ ছিল। মহম্মদ শাহিদ, সোমায়া, জাফর ইকবাল, পারগত সিং, মেলভিন ফার্নান্ডেজদের ভারত গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে গোল-পার্থক্যে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি।

    আর তারপর ১৯৯৮-এ এশিয়ান গেমসে, ৪২ বছর পর সোনা জিতে, অলিম্পিকের জন্য কোয়ালিফাই করে ধনরাজ পিল্লাই, দিলীপ তির্কে, বলজিত সাইনি, মুকেশ কুমার, সুব্বাইয়া, আশিস বল্লাল, সন্দীপ সোমেশদের ভারত। কিন্তু ব্যাঙ্কক থেকে সোনা নিয়ে ফেরার পর দৈনন্দিন ভাতা এবং সার্বিকভাবে অধিক অর্থের দাবির জন্য শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেপিএস গিলের ভারতীয় হকি ফেডারেশন ছ’জন সিনিয়ার খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করে। ২০০০এর অলিম্পিকের সব সম্ভাবনা সেখানেই উৎপাটিত হয়।

    ২০০৪-এও এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। দীপক ঠাকুর, গগন অজিত সিং, যুগরাজ সিং-রা ভালো পারফরম্যান্সের নিরিখে মার্কেটিং চুক্তি পেতে শুরু করেন। প্রথমে আইএফএইচ এঁদের মুখে সেলোটেপ আটকায়, যে মিডিয়ায় কিছু বলা যাবে না, তারপর ব্যক্তিগত চুক্তি নিষিদ্ধ করে। সে যাই হোক, ক্রিকেট ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনের মাথায় অযোগ্য রাজনীতিক বা আমলারা দিনের পর দিন বসে থেকেছেন আর সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করেছেন।
    তবে এসবের শুরু বোধহয় অ্যাস্ট্রো-টার্ফ থেকেই হয়েছিল। এমনিতে ইউরোপীয়দের বরাবরের অভ্যাস, যে জিনিসটা নিজেরা ভালো করে করতে পারবে না, সেটাকে যেনতেন প্রকারেণ বাতিল করিয়ে দেওয়া। ঘাসের মাঠে স্টিকের কারুকার্যে উপমহাদেশীয়রা যতটা ভালো ছিল, বাকিরা তাদের সঙ্গে পেরে উঠত না। উপমহাদেশের কবজি সরু এবং নমনীয়, ফলে স্টিকটাকে হাতের অংশ হিসাবে ভারত বা পাকিস্তানিরা অসমান ঘাসের মাঠে যত সহজে একের পর এক বাধা ডিঙিয়ে যেতে সমর্থ হত, ইউরোপীয় বা অস্ট্রেলিয়রা ততটা নয়। অ্যাস্ট্রো-টার্ফে যেমন অসমান বাউন্স সমস্যা হয় না, তেমনই সমান্তরাল হবার ফলে হিট অ্যান্ড রান হকির ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। চেহারার সুবিধাটা জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়রা নিতে শুরু করে। হকির স্টিকের মাথার বাঁট ঘোরানো থেকে ছোট হয়ে মোটা হয়। মাটিতে স্টিক নামিয়ে ট্যাকল করা নিয়মসম্মত হয়, অফসাইড উঠে যায়।

    তাহলে প্রশ্ন থাকে ভারত কী করছিল? পাকিস্তান? ওই যে – প্রশাসনিক ঝামেলা, অযোগ্য ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ আসনে বসা। সঠিক সময়ে প্রতিবাদ না করার বেদনা হকিতে অনুভূত হতে শুরু করে। পাকিস্তানে তাও হাসান সর্দার, কলিমুল্লাহ, পরভেজ ইকবাল, কামরান আসরাফ, সোহেল আব্বাস এবং সর্বোপরি একজন শাহবাজ আহমেদ এসেছেন। যাঁরা গতির সঙ্গে স্টিকওয়র্কের পারদর্শিতা দিয়ে তাবড় গোরাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিলেন। ভারত তো একটা মহম্মদ শাহিদ বা ধনরাজ পিল্লাইদের নিয়েই লড়াই চালিয়ে গেল বঞ্জর জমিতে।
    চাকাটা ঘুরতে শুরু করে কিন্তু ২০১৩-র পর থেকেই। ২০১২-য় একটাও ম্যাচ না জিতে ভারত শেষ স্থান পেয়েছে অলিম্পিকে, ২০১৩-য় এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম হওয়া ভারত রোলান্ট অল্টমান্সকে ‘হাই পারফরম্যান্স ডাইরেক্টর’ নিয়োগ করে। অল্টমান্স ইতিমধ্যেই নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান হকি নিয়ে কাজ করেছেন। আধুনিক হকি এবং একই সঙ্গে উপমহাদেশীয় হকি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা একটা হয়েছে। ওঁর পরামর্শেই অস্ট্রেলিয় লেজেন্ড টেরি ওয়ালশকে কোচ করে নিয়ে আসা হল। সঙ্গে এক ঝাঁক তরুণ। গোলে শ্রীজেশ তো রয়েইছেনই। সঙ্গে স্টার ও অধিনায়ক সর্দারা সিং, ডিফেন্সে বীরেন্দ্র লাকড়া, রূপিন্দর পাল সিং, পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট রঘুনাথ, মাঝমাঠে মনপ্রীত সিং, গুরবাজ সিং, দানিশ মুজতবা আর সোনার ফরোয়ার্ড লাইনে রমনদীপ সিং, আকাশদীপ সিং আর লেফট উইঙ্গার এস ভি সুনীল। ‘৯৮এর পর আবার সোনা জিতল ভারত, ইঞ্চিয়নে। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে।
    এরই সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে হকি ইন্ডিয়া লিগ। ওই ২০১৩ থেকেই। প্রথমবারের জন্য ত্রিশ মিনিটের দুই অর্ধের জায়গায় পনেরো মিনিট করে চারটি কোয়ার্টার। প্রতিযোগিতা বাড়াবার জন্য ড্র থাকবে না। ড্র হলে শ্যুট আউটে ম্যাচের বিজয়ী নির্ধারিত হবে।
    ওদিকে ভারতীয় হকি ফেডারেশনের সেক্রেটারি-জেনারেল নরেন্দ্র বাত্রা তখন এফআইএইচ-এও ঢুকেছেন। ভারতীয় স্টিকওয়র্ক এবং কুশলতা ভুলে ভারতীয় দলও ইউরোপীয় আধুনিক হকি হিট অ্যান্ড রানে অভ্যস্ত হতে শুরু করল। সঙ্গে পেনাল্টি কর্নারের কুশলতা। যুগরাজ সিং, সন্দীপ সিংদের সময় থেকেই যা বাড়ছিল।
    তবুও আশানরূপ ফল আসছিল না যেন। অলিম্পিক এবং বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে প্রথম পরপর দু’বার উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে শ্যুট-আউটে হার। যদিও এশিয়ায় ধীরে ধীরে সর্দাররা এক নম্বর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কোরিয়া আর সেই কোরিয়া নেই, পাকিস্তানও অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত। মালয়েশিয়া একমাত্র উঠে এসেছে। এই অবস্থায় জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ছন্দপতন হল। সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার কাছে হার। তারপর অবশ্য প্লেট ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জোটে। কিন্তু এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন হল বিস্ময়করভাবে জাপান।
    কিন্তু তবু যেন এই দলটা থেকে কিছু একটা মিসিং। ভারতীয় হকি দল ২০১৬র পর থেকে প্রতিটি বড় দলকেই হারিয়েছে। কিন্তু বলার মতো শুধু শেষ দুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টাইব্রেকারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার আর শেষ হকি প্রো লিগে চতুর্থ, তার গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড লাইনের সদস্য।

    এর মাঝে ভারত ২০১৬-য় যুব বিশ্বকাপ জিতল। কোচ তখন হরেন্দ্র সিং। যুব বিশ্বকাপের দলে তখন একঝাঁক উজ্জ্বল খেলোয়াড়, নীলকান্ত শর্মা, হরমনপ্রীত সিং, গুরজন্ত সিং, সুমিত, সিমরনজিত সিং প্রমুখ।

    কিন্তু কিছু একটা সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যাটা গ্রাহাম রিড কিন্তু ধরে ফেলেছিলেন।

    গ্রাহাম রিড, টেরি ওয়ালশ বা রিক চার্লসওয়র্থের সতীর্থ। ২০১৪-র পরে রিক চার্লসওয়র্থের সহকারী থেকে অস্ট্রেলিয়ার কোচ পদে উন্নীত হয়েও রিওতে কিছু করে উঠতে পারেননি। তারপর আবার যান হল্যান্ডের সহকারী কোচ হতে। আসলে দলের সঙ্গে সঙ্গে কোচও উন্নতি করেন প্রতিদিন, প্রতিটি অভিনব অনুভব থেকে।
    গ্রাহাম রিডও বুঝে গেছিলেন, আধুনিক হকিতে স্টিকওয়র্ক, কারিকুরি চলতে পারে, কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে সোনার মহল তৈরি করা যাবে না।

    গ্রাহাম রিড, রিক চার্লসওয়র্থের রেকমেন্ডেশনে আসা গ্রাহাম রিড পরিবর্তন করা শুরু করলেন। আধুনিক মন্ত্রে মনপ্রীতদের শিক্ষিত করলেন। মাঝে ২০১৯ এবং ২০২০তে খুব বেশি প্রতিযোগিতা না হবার ফলে সুযোগ মিলল নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে আধুনিক হকি দর্শনে শিক্ষিত করার। এবং শেষ বাজি হিসাবে তিনি স্টিক ওয়র্কে সেরা তিন ফরোয়ার্ড এস ভি সুনীল, আকাশদীপ সিং এবং রমনদীপ সিং-এর পরিবর্তে আনকোরা অথচ প্রতিভাবান সামসের সিং, দিলপ্রীত সিং, গুরজন্ত সিং, ললিত উপাধ্যায়, মনজিত সিংদের দলে নিয়ে এলেন, যাঁরা ২০১৬র যুব বিশ্বকাপ বিজয়ী এবং পরিশ্রম করতে বদ্ধপরিকর। মাঝমাঠেও তারুণ্য, মনপ্রীতের সঙ্গে নীলকান্ত শর্মা, সুমিত, হার্দিক সিং আর বিবেক সাগর প্রসাদ।

    আর যেটা বদলালেন সেটা হল পেনাল্টি কর্নার নেবার সময় হরমনপ্রীত এবং রূপিন্দর পাল সিং উভয়কেই ডি-এর মাথায় রেখে বিপক্ষকে ধন্দে রাখা। সঙ্গে রইল গুরজন্ত বা অমিত রোহিদাসের মতো সাহসী এবং বুদ্ধিমান খেলোয়াড়রা। দলের মাঝমাঠে অর্কেস্ট্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অধিনায়ক মনপ্রীত তো ছিলেনই।

    একটা সুবিধা ছিলই, তুলনামূলকভাবে সহজ গ্রুপ পায় ভারত। র‍্যাঙ্কিং-এর জন্যই, অস্ট্রেলিয়া এক নম্বর, কিন্তু নিউজিল্যান্ড আর্জেন্টিনা বা স্পেনের সাম্প্রতিক ইতিহাস দুর্দান্ত হলেও তারা একই দল ধরে রেখে এখন বয়স্ক খেলোয়াড়দের নিয়ে চাপে। আর ভারত তৃতীয় কোয়ার্টারে হাঁপিয়ে গেলেও, চাপ ধরে রাখতে সক্ষম।
    তবু বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে হল না। বেলজিয়ামকে ডি-এর আগে আটকানো গেল না বিশেষ। আর পেনাল্টি কর্নারে এখন বেলজিয়ামের আলেকজান্ডার হেন্ড্রিক্স বিশ্বের সেরা।

    তৃতীয়-চতুর্থ ম্যাচের আগে রিড একটা বিশ্বাস দলের সবার মাথার মধ্যে প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়েছেন। মনপ্রীত, হার্দিক, নীলকান্ত, সুমিত ও সামসেরের মাঝমাঠ অনেক দায়িত্ব নিয়েছেন। ফরওয়ার্ড লাইন যা সুযোগ পেয়েছে তারই সদব্যবহার করেছে। তার উপর পেনাল্টি কর্নার বাঁচাতে অমিত রোহিদাস ও রূপিন্দার পাল সিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

    আরও একটা কাজ করিয়েছেন রিড। আম্পায়ারদের প্রশ্নযোগ্য সিদ্ধান্তে বেশি ঝামেলা না করে আসল কাজে মন দেওয়া। যদিও আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মনপ্রীতের গ্রিন কার্ড সমস্যার তৈরি করেছিল। আজ কিন্তু সে দিক থেকে অবিচল ছিল রূপিন্দার পালরা।

    আর শ্রীজশ, ভারতীয় হকি দলের কলীঞ্জর দুর্গের কথা না বললে তো আসল লোকটার কথাই বলা হল না। মাত্র ষোলো জনের দলে দ্বিতীয় কোনও গোলকিপার নেই। কিন্তু শ্রীজশ একাই একশ’ চুয়াত্তর। তীক্ষ্ণ অনুমান ক্ষমতা, শারীরিক সক্ষমতা এবং লড়াকু মনোভাব নিয়ে ভেঙে পড়া দলটাকে দুই হাতের মাঝে ধরে রেখেছিলেন সারা টুর্নামেন্ট।

    সেই ম্যাচটার কথা মনে পড়ে যায়। ১৯৮৫-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারত ষষ্ঠ হয়েছিল ছ’দলে। কিন্তু জার্মানির সঙ্গে ম্যাচটিতে পারগত সিং, মহিন্দার পাল সিং এবং সর্বোপরি মহম্মদ শাহিদ, ৫-১এ পিছিয়ে থাকা দলকে উজ্জীবিত করে শেষ ১৫ মিনিটে চার গোল শোধ করেন।

    এখানে ৩-১-এ পিছিয়ে থাকা ম্যাচ দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৩-৩ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঝড় তুলে ৫-৩ এবং শেষ মেশ দাঁতে দাঁত চিপে ডিফেন্স করে ৫-৪। ৪৯ বছর পর সেমিফাইনাল, ৪১ বছর পর পদক জয়। কাজ হয়তো এখনও বাকি, রূপিন্দার পাল, বীরেন্দ্র লাকড়াদের জায়গায় তাজা রক্ত আনা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া বা বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে নিয়মিতভাবে জমি ধরানো। কিন্তু গ্রাহাম রিড মনে হয় আসল অসুখটা ধরে তার নিদান দিয়েই দিয়েছেন, স্বর্ণযুগের ফিরে আসাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। চাক দিয়া ইন্ডিয়া!

    মেয়েদের হকিটা এর পরের পর্বে তাহলে!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৮ আগস্ট ২০২১ | ২৪৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramit Chatterjee | ২৮ আগস্ট ২০২১ ২৩:০২497323
  • বাঃ, দুর্দান্ত বিশ্লেষণ। এই সিরিজটি উপহার দেওয়ার জন্য লেখককে ও গুরু কতৃপক্ষ কে অজস্র ধন্যবাদ।
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:29f1:554f:dcc3:***:*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ০৫:৫৬497327
  • দারুণ হচ্ছে সিরিজ, সৌরাংশু দা। খুবই তথ্যপূর্ণ লেখা, ভারতীয় হকির বিবর্তন সুন্দর বোঝা যাচ্ছে। 
     
  • anandaB | 50.125.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ০৯:৫৪497330
  • হ্যাঁ , পঁচাশির ওই ম্যাচ টা এখনো মনে আছে , টিভি তে লাইভ দেখিয়েছিলো , হকি দেখে এতো তৃপ্তি কোনোদিন পাইনি , আর তার পুরো দায় বর্তায় ওই মহম্মদ শাহিদ এর ওপর 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:d31:8036:2c6e:***:*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ০৯:৫৬497331
  • খুব ভাল লাগছে 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:d31:8036:2c6e:***:*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ১০:০১497332
  • ম্যাজিকাল স্টিক ওয়ার্ক থেকে হিট এন্ড রান হকি - ইউরোপিয়ান-দের এই ষড়যন্ত্র মেনে নিতে হল, এটা দুঃখের । খেলাটা কিছুটা যান্ত্রিক, মেকানিকাল দেখতে লাগে এখন 
  • b | 14.139.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ১৬:৫৬497355
  • খুবই ভালো লেখা। তবে ২০০৮ অলিম্পিক্সে কোয়ালিফাই না করার ঘটনাটা সম্ভবতঃ ভারতীয় হকির  "নাদির "।
    আরেকটা টেকনিকাল আবিষ্কার ঘটেছে। পেনাল্টি কর্নার আগে নেওয়া হত "হিট " এর মাধ্যমে। তার বদলে , গত শতকের শেষ দিকে অথবা এই শতকের প্রথম দিকেই ড্র‌্যাগ ফ্লিক এসেছে। বস্তুত সব দলই স্পেশালিস্ট ড্র‌্যাগ ফ্লিকার রাখতে শুরু করেছে। সোহেল আব্বাসের (তবে শাহবাজ আহমেদ আর উনি সমসাময়িক নন ) নাম লেখক করেছেন, উনি পাকিস্তান দলে ঢুকেছিলেন  ড্র‌্যাগ ফ্লিকার হিসেবেই। এই কৌশলটি  রপ্ত করতে ভারতের বহুদিন লেগেছে। 
  • সুকি | 49.207.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০২১ ১৭:২৫497357
  • সৌরাংশু-র এই লেখা গুলো খুব ভালো লাগে। ফেসবুকে নিয়মিত পড়ি খেলা বিষয়ক অন্য লেখাগুলি, এখানে কলাম পেয়ে খুব ভালো লাগছে। 
  • সৌরাংশু | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১১:০৭497374
  • ড্র্যাগফ্লিকের শুরু কিন্তু ১৯৮৭ জে স্টেসি। তারপর পল লিটজেন্স ফ্লোরিস জাঁ বোভেল্যান্ডার। আর হ্যা সোহেল আব্বাস আর শাহবাজ কখনই সমসাময়িক নন বরং সোহেল আব্বাস যুগরাজ সিং-এর সমসাময়িক। 

    যাঁরা পড়ছেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন